![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোবাইলের সিমকার্ডও নিরাপদ নয়। দু’টি এসএমএস পাঠিয়ে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে হ্যাক করে কোনো সিমকার্ডে রক্ষিত তথ্য চুরি করা সম্ভব। সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানে সিমকার্ডের এ নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্ত করা গেছে।
এতোদিন মনে করা হতো, জিএসএম সিমকার্ডগুলো অন্তত যেকোনো হ্যাকিংয়ের হুমকি থেকে নিরাপদ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কারস্টেন নোল অব সিকিউরিটি রিসার্চ ল্যাবরেটরি এর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফাঁক ধরতে পেরেছে। তারা দেখেছে, মাত্র দুটি টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে একটি সিমকার্ড হ্যাক করা সম্ভব। এই একই প্রতিষ্ঠান কয়েক বছর আগে জিএসএম মোবাইলে কল এনক্রিপশন সিস্টেমের নিরাপত্তা দুর্বলতা ধরতে পেরেছিল।
নোল জানায়, একটি এসএমএসের আড়ালে এ কাজটি করা যায়। আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে মেসেজেটি কোনো ব্যবহারকারীর কাছ থেকেই এসেছে। নোল বলছে, এক চতুর্থাংশের ক্ষেত্রে তারা ফিরতি মেসেজ পেয়েছেন যাতে ওই সিমের ডিজিটাল কী বের করার জন্য যথেষ্ট তথ্য রয়েছে। এখান থেকে তথ্য নিয়ে আরেকটি মেসেজ পাঠিয়ে সিমকার্ড পুরোপুরি আয়ত্তে আনা সম্ভব। তখন এর কথপোকথন, মেসেজ পাঠানো, মোবাইলে কেনাকাটা এবং সব তথ্য চুরি করা সম্ভব হয়।
তারা আরো বলেছে, এটা একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার করে মাত্র দুই মিনিটেই করা যায়। তবে এ কৌশল শুধু সিমের ড্যাটা এনক্রিপশন স্ট্যান্ডার্ডের (ডিইএস) পুরাতন সংস্করণগেুলোর ক্ষেত্রেই খাটে। নতুন যে ট্রিপল ডিইএস সিস্টেম এসেছে সেগুলোতে এটি অকেজো। অন্য সিমগুলোর ক্ষেত্রে নোল ফিরতি মেসেজ পেয়েছে। তবে তার সবগুলোই ভুয়া।
এখন ঠিক কতো সংখ্যক সিমকার্ড এরকম নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি নোল। তবে তারা অনুমান করেছে ৭৫ কোটি সিমকার্ড এরকম হুমকিতে আছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসএম অ্যাসোসিয়েশনকে ইতিমধ্যে এ সমস্যার ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
©somewhere in net ltd.