![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘অর্ডার দেওয়ার দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে বাসাবাড়ি, অফিসে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু বগুড়ার দই, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের চমচম ইত্যাদি সপ্তাহে এক দিন ডেলিভারি দিয়ে থাকি। কারণ, এগুলো আনতে সময় লাগে এবং বেশি দিন রাখাও সম্ভব নয়।’ এভাবেই বলছিলেন ‘ইট এনজয় ডট কমের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজিম চৌধুরী। চট্টগ্রাম নগরের জেলা ক্রীড়া সংস্থার জিমনেসিয়ামে আয়োজিত ঈদ ই-বাণিজ্য মেলার স্টলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। ইট এনজয় ডট কম চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে দর্শনার্থীদের পদচারণে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিনথিয়া চৌধুরী বললেন, ‘আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলেই মেলায় এসেছি। ভালোই লাগছে। এখানে এসে অনলাইন কেনাকাটায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া গেল।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিস আহমেদ বললেন, ‘চট্টগ্রামে অনেক দিন পরে একটি ব্যতিক্রমী মেলা হচ্ছে—এ খবর পেয়ে এখানে ছুটে এসেছি।’ এ মেলার বিশেষত্ব হলো, এখানে ই-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিকাশমান প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম তুলে ধরা। গতকাল ছিল মেলার দ্বিতীয় দিন। এর আয়োজন করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
এ মেলার স্লোগান ‘ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব’। মেলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাসিক কমপিউটার বিচিত্রার প্রতিনিধি এহতেশাম উদ্দিন জানান, এ মেলার মূল ভাবনা এবং স্লোগান তাঁরাই নির্ধারণ করেছেন।
মেলায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক, ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের স্টল রয়েছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সফটওয়্যার ও অ্যাপস প্রদর্শন করছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়-বাণিজ্য বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কমিশনার আসিফ ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ই-কমার্সের বয়স বছর দেড়েকের বেশি হবে না। আমরা এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভারত ও চীনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি। এই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে সবাইকে সচেতন করা এবং ই-বাণিজ্যের প্রসার ঘটনোর জন্যই এ মেলার আয়োজন।’
©somewhere in net ltd.