নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সমস্ত পেরেশানি \"একীন\" ঠিক না হওয়ার কারণে পয়দা হয়!\" টিএম.নীরব\"

টিএম.নীরব

بسم الله الرحمن الرحيم

টিএম.নীরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল-কুরআন

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

এ কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত যিনি মহাপরাক্রমশালী, সবকিছু সম্পর্কে অতিশয় জ্ঞাত,

গোনাহ মাফকারী, তাওবা কবুলকারী, কঠোর শাস্তিদাতা এবং অত্যন্ত দয়ালু৷ তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই৷ সবাইকে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে ৷
সুরা আল মুমিন
আয়াত ২ ও ৩
এটা বক্তব্যের ভূমিকা । এর মাধ্যমে পূর্বাহ্নেই শ্রোতাদেরকে এ মর্মে সাবধান করে দেয়া হয়েছে যে , তাদের সামনে যে বাণী পেশ করা হচ্ছে তা কোন সাধারণ সত্তার বাণী নয় , বরং তা নাযিল হয়েছে , এমন আল্লাহর পক্ষ থেকে যিনি এসব গুণাবলীর অধিকারী। এরপর এরেক পর এক আল্লাহর তা'আলার কতিপয় গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। যা পরবর্তী বিষয়বস্তুর সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত :
প্রথম গুণটি হচ্ছে তিনি পরাক্রমশালী বা সর্বমক্তিমান অর্থাৎ সবার ওপরে বিজয়ী। কারো ব্যাপারে তিনি যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করেন তা নিশ্চিতভাবেই কার্যকরী হয়। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করে কেউ বিজয়ী হতে পারে না। কিংবা কেউ তাঁর পাকড়াও থেকেও বাঁচতে পারে না। তাই তাঁর নির্দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে কেউ যদি সফলতার আশা করে এবং তাঁর রসূলের বিরোধিতা করে তাঁকে পরাভূত ও অবদমিত দেখানোর আশা করে , তাহলে তা তার নিজের বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ধরনের আশা কখনো পূরণ হতে পারে না।

দ্বিতীয় গুণটি হচ্ছে , তিনি সবকিছু জানেন। অর্থাৎ তিনি অনুমান ও ধারণার ভিত্তিতে কোন কথা বলেন না , বরং তিনি প্রতিটি বস্তু সম্পর্কেই সরাসরি জ্ঞানের অধিকারী। এ জন্য অনুভূতি ও ইন্দ্রিয় বহির্ভূত বিষয়ে তিনি যেসব তথ্য দিচ্ছেন কেবল সেগুলোই সঠিক হতে পারে এবং তা না মানার অর্থ হচ্ছে অযথা অজ্ঞতার অনুসরণ করা। একইভাবে তিনি জানেন কোন জিনিসে মানুষের উন্নতি এবং তার কল্যাণের জন্য কোন নীতিমালা , আইন কানুন ও বিধি নিষেধ আবশ্যক। তাঁর প্রতিটি শিক্ষা সঠিক কৌশল ও জ্ঞান ভিত্তিক যার মধ্যে ভুল ভ্রান্তির কোন সম্ভাবনা নেই। অতএব , তাঁর পথনির্দেশনা গ্রহণ না করার অর্থ হচ্ছে , ব্যক্তি নিজেই তার ধ্বংসের পথে চলতে চায়। তাছাড়া মানুষের কোন গতিবিধি তাঁর নিকট গোপন থাকতে পারে না। এমনকি মনের যে নিয়ত ও ইচছা মানুষের সমস্ত কাজ কর্মের মূল চালিকাশক্তি তাও তিনি জানেন। তাই কোন অজুহাত বা বাহানা দেখিয়ে মানুষ তাঁর শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে পারে না।

তৃতীয় গুন হচ্ছে , " গোনাহ মাফকারী ও তাওবা কবুলকারী " এটা তাঁর আশা ও উৎসাহ দানকারী গুণ। এ গুণটি বর্ণনা করর উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা এখনো পর্যন্ত বিদ্রোহ করে চলেছে তারা যেন নিরাশ না হয় বরং একথা ভেবে নিজেদের আচরণ পুনর্বিবেচনা করে যে , এখনো যদি তারা এ আচরণ থেকে বিরত হয় তাহলে আল্লাহর রহমত লাভ করতে পারে। এখানে একথা বুঝে নিতে হবে যে , গোনাহ মাফ করা আর তাওবা কবুল করা একই বিষয়ের দু'টি শিরোনাম মোটেই নয়। অনেক সময় তাওবা ছাড়াই আল্লাহ তা'আলা গোনাহ মাফ করতে থাকেন। উদাহরণ স্বরূপ এক ব্যক্তি ভুল ত্রুটিও করে আবার নেকীর কাজও করে এবং তার নেকীর কাজ গোনাহ মাফ হওয়ার কারণ হয়ে যায় , চাই ঐ সব ভুল - ত্রুটির জন্য তার তাওবা করার ও ক্ষমা প্রার্থনা করার সুযোগ হোক বা না হোক । এমনকি সে যদি তা ভুলে গিয়ে থাকে তাও। অনুরূপভাবে পৃথিবীতে কোন ব্যক্তির ওপর যত দুঃখ - কষ্ট , বিপদাপদ , রোগ ব্যাধি এবং নানা রকম দুশ্চিন্তা ও মর্মপীড়াদায়ক বিপদাপদই আসে তা সবাই তার গোনাহ ও ভুল ত্রুটির কাফফরা হয়ে যায়। এ কারণে গোনাহ মাফ করার কথা তাওবা কবুল করার কথা থেকে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে , তাওবা ছাড়াই গোনাহ মাফ লাভের এ সুযোগ কেবল ঈমানদারদের জন্যই আছে। আর ঈমানদারদের মধ্যেও কেবল তারাই এ সুযোগ লাভ করবে যারা বিদ্রোহ করার মানসিকতা থেকে মুক্ত এবং যাদের দ্বারা মানুবক দুর্বলতার কারণে গোনাহর কাজ সংঘটিত হয়েছে , অহংকার ও বার বার গোনাহ করার কারণে নয়।

চতুর্থ গুণ হচ্ছে , তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। এ গুণটি উল্লেখ করে মানুষকে এ মর্মে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে , বন্দেগী ও দাসত্বের পথ অনুসরণকারীদের জন্য আল্লাহ তা'আলা যতটা দয়াবান , বিদ্রোহ ও অবাধ্যতার আচরণকারীদের জন্য তিনি ঠিক ততটাই কঠোর। যেসব সীমা পর্যন্ত তিনি ভুল ত্রুটি ক্ষমা ও উপেক্ষা করেন , যখন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি সে সীমাসমূহ লংঘন করে তখন তারা তাঁর শাস্তির যোগ্য হয়ে যায় । আর তাঁর শাস্তি এমন ভয়াবহ যে , কোন নির্বোধ মানুষই কেবল তা সহ্য করার মত বলে মনে করতে পারে।

পঞ্চম গুণ হচ্ছে , তিনি অত্যন্ত দয়ালু অর্থাৎ দানশীল , অভাবশূন্য এবং উদার ও অকৃপণ। সমস্ত সৃষ্টিকূলের ওপর প্রতিমুহূর্তে তাঁর নিয়ামত ও অনুগ্রহরাজি ব্যাপকভাবে বর্ষিত হচ্ছে । বান্দা যা কিছু লাভ করছে তা তাঁর দয়া ও অনুগ্রহেই লাভ করছে।

এ পাঁচটি গুণ বর্ণনা করা পর অত্যন্ত খোলাখুলিভাবে দু'টি সত্য বর্ণনা করা হয়েছে। একটি হচ্ছে , মানুষ আর যত মিথ্যা উপাস্যই বানিয়ে রাখুক না কেন প্রকৃত উপাস্য একমাত্র তিনি । অপরটি হচ্ছে , অবশেষে সবাইকে আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে । মানুষের কৃতকর্মসমূহের হিসেব গ্রহণকারী এবং সে অনুসারে পুরস্কার বা শাস্তি দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী আর কোন উপাস্য নেই। অতএব , কেউ যদি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের উপাস্য বানিয়ে নেয় তাহলে তার এ নির্বুদ্ধিতার ফল সে নিজেই ভোগ করবে।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: "মানুষ আর যত মিথ্যা উপাস্যই বানিয়ে রাখুক না কেন প্রকৃত উপাস্য একমাত্র তিনি"- If only we can realize this truth once in our life.

২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

টিএম.নীরব বলেছেন: আল্লাহ ছাড়া ২য় আর কনো ইলাহ নাই । এটা কেই ঈমান বলা হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.