নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সমস্ত পেরেশানি \"একীন\" ঠিক না হওয়ার কারণে পয়দা হয়!\" টিএম.নীরব\"

টিএম.নীরব

بسم الله الرحمن الرحيم

টিএম.নীরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে, তখন এটাকে বলা হয় অপরাধ। আর যখন কোন মুসলিম একই খারাপ কাজ করে, তখন এটাকে বলা হয় ইসলামীয় জঙ্গীবাদ!

২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

জার্মানির এক টিভি লাইভশোতে একজন জার্মান মুসলিম স্কলারকে যখন উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, মুসলমানরা কেন সন্ত্রাস করে? তখন তিনি উক্ত প্রশ্নের জবাব এভাবে উল্টো প্রশ্নের মাধ্যমে দিয়েছিলেন:- ১. যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ২. যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ৩.যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ৪.যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ৫.যারা আমেরিকা আবিষ্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য উত্তর আমেরিকাতে ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড- ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ৬. যারা ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিল। যাদের ৮৮ ভাগ সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কি মুসলিম? উত্তর হবে, এসব মহাসন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলিমরা কখনো জড়িত ছিলনা। . আপনাকে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা সঠিকভাবে করতে হবে। যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে, তখন এটাকে বলা হয় অপরাধ। আর যখন কোন মুসলিম একই খারাপ কাজ করে, তখন এটাকে বলা হয় ইসলামীয় জঙ্গীবাদ!

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

এ আর ১৫ বলেছেন: দেখুন আপনি যে সমস্থ উদাহরন দিলেন ও গুলো কোন টাই ধর্মীয় সন্ত্রাস নয় ওগুলো ক্ষমতার লড়াই । এ সমস্থ সন্ত্রাস বা অপরাধ ধর্মের নামে হয় নি । একই ভাবে ক্ষমতা লিপ্সু মুসলমান রাজা বাদশাহ খলিফারা বিভিন্ন দেশে যে সন্ত্রাস অপরাধ করেছে সে গুলো মোটেও ইসলামের নামে নয় । মুঘল আমলে যত খুনা খুনি হয়েছে ঐ গুলো কোন ধর্মীয় সন্ত্রাস নয় ।
ইসলামের নামে তালেবান, আই সিসি, রাজাকার , জামাত যা করছে তা ধর্মীয় সন্ত্রাস । ইসলামের নামে বর্তমানে যা শুরু হয়েছে তাকে জাস্টিফাই করার জন্য হিটলার, মুরসালিন , চেংগিস খান এদের ধর্মের সাথে সম্পর্ক বিহীন ক্ষমতার লড়াইকে একই কাতারে যারা আনতে চায় তারা প্রকার্ন্তরে ধর্মীয় সন্ত্রাসকে উৎসাহ দেয়। বর্তমানে মুসলমান ছাড়া দুনিয়া জুড়ে অন্য কোন ধর্মের মানুষের বিরুদ্ধে ধর্মের নামে খুনা খুনির উদাহরন খুবই নগন্য ।

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

টিএম.নীরব বলেছেন: তালেবান, আল-কায়দা , আইএস, বাকোহারাম, যা কিছুই বলেন না কেন, এগুলো ইসলামের মাজে নাই, ইসলাম কে মানুষের কাছে একটি জঙ্গীবাদ ধর্ম প্রচার করার জন্য। আমাদের দুষ মনেরা এদের নামিয়েছেন। ইহুদি বাদি ইসরাইল, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, এরা ইসলামের দুষমন । ইসলাম গুপ্ত হামলার কুনো আদেশ দেননি, পূর্বগসিত,ধর্ম বা দেশের জন্য যুদ্ধ করার আধিকার রাখে? তবে ইসলামি শাসন রাষ্টো কায়েম করার বিধান ও মনে হয় আছে ? একজন মুসলিম প্রতিবাদ করার জন্য মাঠে নামলে তাকে আজকাল বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ বলা হচ্ছে । নাস্তিক, বা ইসলামের এমন কুনো বেক্তিকে নিয়ে কার্টুন বানাচ্ছে, হজ, বা তাবলিগ জামাত নিয়ে কথা বলছে, তার জন্য কি প্রতিবাদ করা জাবেনা? আর প্রতিবাদ করলে কি আমি জঙ্গী হয়ে গেলাম?

২| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: @এ আর ১৫

"ইসলামের নামে তালেবান, আই সিসি, রাজাকার , জামাত যা করছে তা ধর্মীয় সন্ত্রাস । " আপনি ভুল বলছেন , তালেবান, আই সিসি, রাজাকার , জামাত এরা এদের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য । এটা কোনভাবেই ধর্মীয় সন্ত্রাস না , অরা যা করছে তা যদি ইসলাম সমর্থন করত তাহলে আপনি ইসলাম কে দোষ দিতে পারতেন , কিন্তু ইসলাম তো সমর্থন করেই না , উলটো এসব হীন কাজের জন্য ইসলামে চরম শাস্তির বিধান আছে । এই সামান্য বিষইয় যদি আপনার মাথায় না ঢোকে , তাহলে কিছুই করার নাই ।

আপনি খাবার চুরি করে খাবেন , তারপর বাচার জন্য বা আপনার দোষ আড়াল করার জন্য খাবারের সুগন্ধকে দোষ দিবেন ?????????

সঠিকভাবে চিন্তা করতে শিখুন ।

লেখকের সাথে সহমত ।

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪২

টিএম.নীরব বলেছেন: আমার লেখাটা আপনি বুজতে পেরেছেন ?

৩| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: তালেবান আই সিসি আলকায়দা জামাত রাজাকার এরা ইহুদী নাসার সৃষ্ঠি হোলে তাদের অপকর্মকে জাস্টিফাই করার জন্য হিটলারদের আনেন কেন ?? তারাতো ধর্মের নামে কিছু করে নাই । তালেবান আইসিসি ইসলামের দুষমনের যদি সৃষ্ঠ হয় তাহোলে ইসলামে দুষমনের সৃষ্ঠদের অপকর্ম ঢাকার জন্য হিটলারদের ধর্মের সাথে সম্পর্ক হীন অপকর্মকে নিয়ে আসেন কেন ?? আপনি কি জানেন মুসলমানরাই বিশেষ করে মোল্লা শ্রেণী সবচেয়ে বেশি অন্য ধর্মকে গালিগালাজ করে ??? ইসলামে গুপ্ত হত্যার কোন আদেশ নাই তাহোলে কি জন্য চাপাতি দিয়ে গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে ইসলামের নামে । কৈ অন্য ধর্মের মানুষ তো তাদের ধর্মকে গালাগালি করার জন্য গুপ্ত হত্যা করে না । এই যে মোল্লারা কথায় কথায় অন্য ধর্মকে গালাগালি করে তাদেরকে তো গুপ্ত হত্যা হতে হয় না । আপনার আসল মতলবটা কি -- এক দিকে বলেন তালেবান আলকায়দা, আই সিসি জামাত শিবির রাজাকার ইসলামের দুষমনের সৃষ্ঠি -- সেই সৃষ্ঠির দু:কর্মের সাফাই গাওয়ার জন্য ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন হিটলার মুসেলিনদের দু:কর্মকে সামনে নিয়ে আসেন।

৪| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

তপ্ত সীসা বলেছেন: ব্লগে এক ছুপা ছাগু কাম হাম্বার উদয় হইছে। যার নাম ছাম্বা পুঙ্গায়ভাস (প্রভাষ নহে)। ওর মুখ কেউ ওর পাকি জারজ সত ভাই ওয়ামীর পশ্চাদদেশে ঢুকাইয়া দ্যাও।

৫| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: @ প্রভাস প্রদৌত ---"ইসলামের নামে তালেবান, আই সিসি, রাজাকার , জামাত যা করছে তা ধর্মীয় সন্ত্রাস । "--- এই লাইনের শুরুতে ইসলামের নামে এই শব্দ দুটো আছে । যার অর্থ হোল ইসলাম ধর্মের নামে সন্ত্রাস । সেই সন্ত্রাসকে জাস্টিফাই করার জন্য ধর্মের সাথে সম্পর্ক হীন হিটলার মুরসেলিনদের অপকর্মকে আনা হয়েছে । এখন যখন বোলছেন ইসলামের নামে এই সন্ত্রাস ইসলাম সম্মত নহে --- তাহোলে ইসলাম সম্মত নহে এই সন্ত্রাসকে ঢাকা দেওয়া বা জাস্টিফাই করার এতো তামাশা কেন ??

৬| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: @এ আর ১৫ , এখানে কোন অন্যায় কে জাস্টিফাই করা হচ্ছে না , এখন মুসলিম নামধারী অপরাধীর অপরাধের দায়ভার ইসলাম কেন নিবে ???????????

এখানে বলার চেষ্টা করা হয়েছে হিটলারের অন্যায় কে কোনদিন কেউ খ্রিষ্টীয় জঙ্গিবাদ বলে নাই , তবে আইসিস , তালেবান , জামাতের অপকর্ম কেন ইসলামী জঙ্গিবাদ বলা হবে ??????? ওদের অপকর্ম জঙ্গিবাদ এতে কোন সন্দেহ নাই , কিন্তু ইসলামকে টানা হচ্ছে কেন ? একটা উদাহরন দিলাম তাও বুঝলেন না ? যে খাবার চোর খাবার চুরি করার অজুহাত খাবারের সুগন্ধকেই দিবে তাই বলে কি খাবারের সুগন্ধের দোষ হবে ??????

আইসিস , তালেবান , জামাত , এরা অপকর্মের অজুহাত হিসেবে হিসেবে ইসলাম আনবেই , তাই বলে কি আপনি ইসলামকে দোষ দিতে পারেন ?????????????? এদেরকে পানি জঙ্গি বলেন , গালি দেন , কোন সমস্যা নাই ঙ্কিন্তু ইসলামী জঙ্গিবাদ বলবেন নাহ , কারন ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই , কোন অপরাধীর অপরাধের দায়ভার ইসলাম নিবে না

৭| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

তপ্ত সীসা বলেছেন: ছাগু বলগার পুঙ্গায়ভাস কি সাধু ভাব লইতাছে রে। কেউ এরে অস্কার নমিনেশন দ্যাও। =p~

৮| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: হিটলারদের আদর্শ ছিল নাজি বাদ বা ফ্যাসি বাদ তাদের কর্মকে ফ্যাসিবাদী কর্ম বলে । আর এনাদের টাও ফ্যাসিবাদ ইসলামের নামে। মুল ইসলামকে কোথায় দোষারোপ করা হয়েছে @ প্রভাস প্রদৌত ? ইসলামি জংগি বাদ মানে ইসলাম ধর্মের নামে যে জংগি বাদ । হিন্দু ধর্মের নামে যে জংগি বাদ তাকে হিন্দু জংগি বাদ বলে যেমন শিব সেনা সেটা মোটেও মুল হিন্দু ধর্ম নহে। একই ভাবে খৃষ্টান বা ইহুদী জংগীবাদ যার সাথে মুল ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই !!!!

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

টিএম.নীরব বলেছেন: আমি কারো আদর্শ কথা বলছি না, আমি বুজাতে চেয়েছি কনো মুসলিম পরিবারের ছেলে ( যদি তার মুখে দারি থাকে, বা টুপি ওলা ) আপরাধ করে, তাহলে বিসয়টা এমন ভাবে মেডিয়াতে বলা হয় জার সাথে ইসলামীয় জঙ্গীবাদ বলা হয় কেন? তাকে সুদু জঙ্গী বলা হক, তাতে আমার মাথা বেতা নাই, হিটলার ছিল খ্রিষ্টীয় জাতি, তার আদর্শ জাই হক তার ধর্ম কি ছিল? তাকে তো বলা হয়নি খ্রিষ্টীয় জঙ্গিবাদ, সুদু একজন অপরাধি বলা হয়ে থাকে? আমি বলে ছিলাম ইসলাম কে কেও গালি দিলে তাকে ছার দেয়া হবে না? আর যে মানুষ সম্পন্য ইসলামের মাজে আছেন, সে অন্য কনো জাতি বা ধর্মে গালি দিতে পারেনা ।
@এ আর ১৫ঃ আমার দেয়া নিচের লেখাটা একবার হলেও মন দিয়ে পরবেন?

আল্লাহ তায়ালা তার রাসুল কে বলছেনঃ
১) বলে দাও , হে কাফেররা !১

১. এ আয়াতে কয়েকটি কথা বিশেষভাবে ভেবে দেখার মতো :
(ক) যদিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হুকুম দেয়া হয়েছে , তুমি কাফেরদের পরিস্কার বলে দাও । তবুও সামনের আলোচনা জানিয়ে দিচ্ছে , পরবর্তী আয়াতগুলোতে যেসব কথা বলা হযেছে প্রত্যেক মু'মিনের সে কথাগুলোই কাফেরদেরকে জানিয়ে দিতে হবে। এমনকি যে ব্যক্তি কুফরী থেকে তাওবা করে ঈমান এনেছে তার জন্যও কুফরী ধর্ম , তার পূজা - উপাসনা ও উপাস্যদের থেকে নিজের সম্পর্কহীনতা ও দায়মুক্তির কথা প্রকাশ করতে হবে। কাজেই ' কুল' বলে দাও। শব্দটির মাধ্যমে প্রধানত ও প্রথমত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করা হয়েছে । কিন্তু এ হুকুমটি বিশেষভাবে শুধু তাঁকেই করা হয়নি বরং তাঁর মাধ্যমে প্রত্যেক মু'মিনকে করা হয়েছে।

(খ) এ আয়াতে প্রতিপক্ষকে যে " কাফের " বলে সম্বোধন করা হয়েছে , এটা তাদের জন্য কোন গালি নয়। বরং আরবী ভাষায় কাফের মানে অস্বীকারকারী ও অমান্যকারী (Unbeliever)। এর মোকাবিলায় ' মু'মিন ' শব্দটি বলা হয় , মেনে নেয়া ও স্বীকার করে নেয়া অর্থে (Believer) । কাজেই আল্লাহর নির্দেশক্রমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ( হে কাফেররা ! ) বলার অর্থই হচ্ছে এই যে , " হে লোকেরা ! তোমরা যারা আমার রিসালাত ও আমার প্রদত্ত শিক্ষা মেনে নিতে অস্বীকার করছো। " অনুরূপভাবে একজন মু'মিন যখন একথা বলবে অর্থাৎ যখন সে বলবে , " হে কাফেররা ! " তখন কাফের বলতে তাদেরকে বুঝানো হবে যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর ঈমান আনেনি।

(গ) " হে কাফেররা !" বলা হয়েছে , " হে মুশরিকরা " বলা হয়নি। কাজেই এখানে কেবল মুশরিকদের উদ্দেশ্যেই বক্তব্য পেশ করা হয়নি বরং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যারা আল্লাহর রসূল এবং তিনি যে শিক্ষা ও হিদায়াত দিয়েছেন তাকে আল্লাহর শিক্ষা ও হিদায়াত বলে মেনে নেয় না , তারা ইহুদী খৃষ্টান ও অগ্নি উপাসক বা সারা দুনিয়ার কাফের , মুশরিক ও নাস্তিক যেই হোক না কেন , তাদের সবাইকে এখানে সম্বোধন করা হয়েছে। এ সম্বোধনকেই শুধুমাত্র কুরাইশ বা আরবের মুশরিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কোন কারণ নেই।

(ঘ) অস্বীকারকরীদেরকে 'হে কাফেররা ' বলে সম্বোধন করা ঠিক তেমনি যেমন আমরা কিছু লোককে সম্বোধন করি "ওহে শত্রুরা " বা " ওহে বিরোধীরা" বলে। এ ধরনের সম্বোধনের ক্ষেত্রে আসলে বিরোধী ব্যক্তিরা লক্ষ্য হয় না , লক্ষ হয় তাদের বিরোধিতা ও শত্রুতা । আর এ সম্বোধন ততক্ষণের জন্য হয় যতক্ষণ তাদের মধ্যে এ গুণগুলো থাকে। যখন তাদের কেউ এ শত্রুতা ও বিরোধিতা পরিহার করে অথবা বন্ধু ও সহযোগী হয়ে যায় তখন সে আর এ সম্বোধনের লক্ষ থাকে না। অনুরূপভাবে যাদেরকে " হে কাফেররা " বলে সম্বোধন করা হয়েছে তারাও তাদের কুফরীর কারণে এ সম্বোধনের লক্ষস্থলে পরিণত হয়েছে , তাদের ব্যক্তি সত্তার কারণে নয়। তাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি আমৃত্যু কাফের থাকে তার জন্য এ সম্বোধন হবে চিরন্তন। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান আনবে তার প্রতি আর এ সম্বোধন আরোপিত হবে না।

(ঙ) অনেক মুফাসসিরের মতে এ সূরায় " হে কাফেররা " সম্বোধন কেবলমাত্র কুরাইশদের এমন কিছু লোককে করা হয়েছে যারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে দীনের ব্যাপারে সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল এবং যাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাঁর রসূলকে (সা) বলে দিয়েছিলেন , এরা ঈমান আনবে না। দু'টি কারণে তারা এ মত অবলম্বন করেছেন।

প্রথমত , সামনের দিকে বলা হয়েছে ( আরবী --------------) ( যারা বা যাদের ইবাদাত তোমরা করো আমি তার বা তাদের ইবাদাত করি না)। তাদের মতে এ উক্তি ইহুদি ও খৃষ্টানদের জন্য সঠিক নয়। কেননা , তারা আল্লাহর ইবাদাত করে।

দ্বিতীয়ত, সামনের দিকে একথাও বলা হয়েছে : আরবী ----------------------------) ( আর না তোমরা তার ইবাদাত করো যার ইবাদাত আমি করছি)। এ ব্যাপারে তাদের যুক্তি হচ্ছে , এ সূরা নাযিলের সময় যারা কাফের ছিল এবং পরে ঈমান আনে তাদের ব্যাপারে এ উক্তি সত্য নয়। কিন্তু এ উভয় যুক্তির কোন সারবত্তা নেই। অবশ্যি এ আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা আমি পরে করবো। তা থেকে জানা যাবে , এগুলোর অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। তবে এখানে এ যুক্তির গলদ স্পষ্ট করার জন্য শুধুমাত্র এতটুকু বলে দেয়াই যথেষ্ট মনে করি , যদি শুধুমাত্র উল্লেখিত লোকদেরকেই এ সূরায় সম্বোধন করা হয়ে থাকে তাহলে তাদের মরে শেষ হয়ে যাওয়ার পর এ সূরার তেলাওয়াত জারী থাকার কি কারণ থাকতে পারে ৷ কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের পড়ার জন্য স্থায়ীভাবে কুরআনে এটি লিখিত থাকারই বা কি প্রয়োজন ছিল ৷


২) আমি তাদের ইবাদাত করি না যাদের ইবাদাত তোমরা করো৷২

২. সারা দুনিয়ার কাফের মুশরিকরা যেসব উপাস্যের উপাসনা , আরাধনা ও পূজা করে , ফেরেশতা , জিন , নবী , আউলিয়া , জীবিত ও মৃত মানুষের আত্মা তথা ভূত প্রেত , চাঁদ , সূর্য , তারা , জীব - জন্তু , গাছপালা , মাটির মূর্তি বা কাল্পনিক দেব - দেবী সবই এর অন্তরভুক্ত। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা যেতে পারে , আরবের মুশরিকরা মহান আল্লাহকেও তো মাবুদ ও উপাস্য বলে মানতো এবং দুনিয়ার অন্যান্য মুশরিকরাও প্রাচীন যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত ও আল্লাহর উপাস্য হবার ব্যাপারটি অস্বীকার করেনি। আর আহলি কিতাবরা তো আল্লাহকেই আসল মাবুদ বলে মানতো। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার ব্যতিক্রমের উল্লেখ না করেই এদের সমস্ত মাবুদের ইবাদাত করা থেকে সম্পর্কহীনতা ও দায়মুক্তির কথা ঘোষণা করা , যেখানে আল্লাহও তার অন্তরভুক্ত , কিভাবে সঠিক হতে পারে৷ এর জবাবে বলা যায় , আল্লাহকে অন্য মাবুদদের সাথে মিশিয়ে মাবুদ সমষ্টির একজন হিসেবে যদি অন্যদের সাথে তাঁর ইবাদাত করা হয় তাহলে তাওহীদ বিশ্বাসী প্রতিটি ব্যক্তি অবশ্যি নিজেকে এ ইবাদাত থেকে দায়মুক্ত ও সম্পর্কহীন ঘোষণা করবে। কারণ তার দৃষ্টিতে আল্লাহ মাবুদ সমষ্টির একজন মাবুদ নন। বরং তিনি একাই এবং একক মাবুদ । আর এ সমষ্টি ইবাদাত আসলে আল্লাহর ইবাদাত নয়। যদিও আল্লাহর ইবাদাত এর অন্তরভুক্ত। কুরআন মজীদে পরিস্কার বলে দেয়া হয়েছে একমাত্র সেটিই আল্লাহর ইবাদাত যার মধ্যে অন্যের ইবাদাতের কোন গন্ধও নেই এবং যার মধ্যে মানুষ নিজের বন্দেগীকে পুরোপুরি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে ।
আরবী ------------------------------------------------------------------------------------

লোকদেরকে এ ছাড়া আর কোন হুকুম দেয়া হয়নি যে , তারা পুরোপুরি একমুখী হয়ে নিজেদের দীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে তাঁর ইবাদাত করবে । কুরআনের বহু জায়গায় সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে এবং অত্যন্ত জোরালো ভাষায় এ বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে । যেমন সুরা আন নিসা ১৪৫ ও ১৪৬ , আল আ'রাফ ২৯ , আয যুমার ২,৩,১১, ১৪, ও ১৫ এবং আল মু'মিন ১৪ ও ৬৪- ৬৬ আয়াত সমূহ । এ বক্তব্য একটি হাদীসে কুদসীতে ও উপস্থাপিত হয়েছে । তাতে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , মহান আল্লাহ বলেন , প্রত্যেক শরীকের অংশীদারিত্ব থেকে আমি সব চেয়ে বেশী মুক্ত । যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করেছে যার মধ্যে আমার সাথে অন্য কাউকেও শরীক করেছে , তা থেকে আমি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত এবং আমার সাথে যাকে সে ঐ কাজে শরীক করেছে , ঐ সম্পূর্ণ কাজটি তারই জন্য ( মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ ও ইবনে মাজাহ )। কাজেই আল্লাহকে দুই, তিন বা বহু ইলাহের একজন গণ্য করা এবং তাঁর সাথে অন্যদের বন্দেগী উপাসনা ও পূজা করাই হচ্ছে আসল কুফরী এবং এ ধরনের কুফরীর সাথে পুরোপুরি সম্পর্কহীনতার কথা ঘোষণা করাই এ সূরার উদ্দেশ্য )


৩) আর না তোমরা তার ইবাদাত করো যার ইবাদাত আমি করি না৷৩

৩. এখানে মূলে ------ বলা হয়েছে । আরবী ভাষায় ----(মা) শব্দটি সাধারণত নিষ্প্রাণ বা বুদ্ধি- বিবেচনাহীন বস্তু বিষয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে । অন্য দিকে বুদ্ধি- বিবেচনা সম্পন্ন জীবের জন্য ---- (মান ) শব্দ ব্যবহার করা হয় । এ কারণে প্রশ্ন দেখা দেয়, এখানে ---- না বলে ---- বলা হলো কেন ৷ মুফাসসিরগণ সাধারণত এর চারটি জবাব দিয়ে থাকেন । এক , এখানে ----- শব্দটি -- অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে । দুই , এখানে মা শব্দটি ( আললাযী ) অর্থাৎ যে বা যাকে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তিন , উভয় , বাক্যেই মা শব্দটি মূল শব্দ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এখানে এর অর্থ হয় : আমি সেই ইবাদাত করি না যা তোমরা করো। অর্থাৎ মুশরিকী ইবাদাত। আর তোমরা সেই ইবাদাত করো না যা আমি করি অর্থাৎ তাওহীদবাদী ইবাদাত। চার , প্রথম বাক্যে যেহেতু ( আরবী ---------) বলা হয়েছে তাই দ্বিতীয় বাক্যে বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্য রাখার খাতিরে ( আরবী -------) বলা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একই শব্দ বলা হয়েছে কিন্তু এর মানে এক নয়। কুরআন মজীদে এর উদাহরণ রয়েছে। যেমন সূরা আল বাকারাহ ১৯৪ আয়াতে বলা হয়েছে :
আরবী -------------------------------------

" যে ব্যক্তি তোমার ওপর বাড়াবাড়ি করে তুমি ও তার ওপর তেমনি বাড়াবাড়ি করো যেমন সে তোমার ওপর করেছে"।

একথা সুস্পষ্ট যে , কারো বাড়াবাড়ির জবাবে ঠিক তেমনি বাড়াবাড়িমূলক আচরনকে আসলে বাড়াবাড়ি বলে না। কিন্তু নিছক বক্তব্যের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের উদ্দেশ্যেই জবাবী কার্যকলাপকে বাড়াবাড়ি শব্দ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।অনরূপভাবে সূরা তাওবার ৬৭ আয়াতে বলা হয়েছে আরবী ------------------------------------ "তারা আল্লাহকে ভুলে গেলো কাজেই আল্লাহ তাদেরকে ভুলে গেলেন ।"অথচ আল্লাহ ভোলেন না । এখানে আল্লাহর বক্তব্যের অর্থ হচ্ছে ,আল্লাহ তাদেরকে উপেক্ষা করলেন । কিন্তু তাদের ভুলে যাওয়ার জবাবে আল্লাহ ভুলে যাওয়া শব্দটি নিছক বক্তব্যের মধ্যে মিল রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

এ চারটি অর্থ যদিও এক এক দৃষ্টিতে যথার্থ এবং আরবী ভাষায় এসব গ্রহণ করার অবকাশও রয়েছে তবুও যে মূল বক্তব্যটিকে সুম্পষ্ট করে তোলার জন্য ( আরবী ---------- ) এর জায়গায় (আরবী ------------ ) বলা হয়েছে তা এর মধ্য থেকে কোন একটি অর্থের মাধ্যমেও পাওয়া যায় না। আসলে আরবী ভাষায় কোন ব্যক্তির জন্য ( আরবী --- ) শব্দটি ব্যবহার করে তার মাধ্যমে তার ব্যক্তিসত্তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় এবং (আরবী ---- ) শব্দটি ব্যবহার করে তার মাধ্যমে তার গুণগত সত্তা সম্পর্কে জানার ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয়। যেমন আমাদের ভাষায় কারো সম্পর্কে আমরা জিজ্ঞেস করি , ইনি কে ৷ তখন তার ব্যক্তি সত্তার পরিচিতি লাভ করাই হয় আমাদের উদ্দেশ্য । কিন্তু যখন জিজ্ঞেস করি ,ইনি কি ৷ তখন আসলে আমরা চাই তার গুণগত পরিচিতি । যেমন তিনি যদি সেনাবাহিনীর লোক হন তাহলে সেখানে তার পদমর্যাদা কি ৷ তিনি যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান , তাহলে সেখানে তিনি রীডার ,লেকচারার না প্রফেসর পদে অধিষ্ঠিত আছেন ৷ তিনি কোন বিষয়টি পড়ান ৷ তার ডিগ্রী কি ইত্যাদি বিষয় জানাই হয় আমাদের উদ্দেশ্য । কাজেই যদি এ আয়াতে বলা হতো আরবী ------------ তাহলে এর অর্থ হতো , তোমরা সেই সত্তার ইবাদাত করবে না যার ইবাদাত আমি করছি। এর জবাবে মুশরিক ও কাফেররা বলতে পারতো : আল্লাহর সত্তাকে তো আমরা মানি এবং তার ইবাদাতও করি । কিন্তু যখন বলা হলো : আরবী -------------------- 'তখন অর্থ দাঁড়ালো :যেসব গুণের অধিকারী মাবুদের ইবাদাত আমি করি সেইসব গুণের অধিকারী মাবুদের ইবাদাত তোমরা করবে না।এখানে মূল বক্তব্য এটিই । এরি ভিত্তিরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দীন সব ধরনের কাফেরদের দীন থেকে পুরোপুরি আলাদা হয়ে যায় । কারণ সব ধরনের কাফেরদের খোদা থেকে তাঁর খোদা সম্পূর্ণ আলাদা । তাদের কারো খোদার ছয় দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করার পর সপ্তম দিনে বিশ্রাম নেবার প্রয়োজন হয়েছে। সে বিশ্ব - জগতের প্রভু নয় বরং ইসরাঈলের প্রভু । একটি গোষ্ঠীর লোকদের সাথে তার এমন বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে যা অন্যদের সাথে নেই। সে হযরত ইয়াকুবের সাথে কুস্তি লড়ে কিন্তু তাকে আছাড় দিতে পারে না । তার উযাইর নামক একটি ছেলেও আছে। আবার কারো খোদা হযরত ঈসা (সা )মসিহ নামক একমাত্র পুত্রের পিতা। সে অন্যদের গুণাহের কাফফারা দেবার জন্য নিজের পুত্রকে ক্রুশ বিদ্ধ করায়। কারোর খোদার স্ত্রী সন্তান আছে। কিন্তু সে বেচারার শুধু কণ্যা আবির্ভূত হয়েছে এবং মানুষের দেহ পিঞ্জরে আবদ্ধ হয়ে পৃথিবীর বুকে এবং মানুষের মতো কাজ করে যাচ্ছে । কারো খোদা নিছক অনিবার্য অস্তিত্ব অথবা সকল কার্যকারণের কারণ কিংবা প্রথম কার্যকারণ (First cause ) । বিশ্ব জগতের ব্যবস্থাপনাকে একবার সচল করে দিয়ে সে আলাদা হয়ে গেছে।তারপর বিশ্ব জাহান ধরা বাধা আইন মুতাবেক স্বয়ং চলছে। অতপর মানুষের সাথে তার ও তার সাথে মানুষের কোন সম্পর্ক নেই । মোটকথা ,খোদাকে মানে এমন সব কাফেরও আসলে ঐ আল্লাহ মানে না যিনি সমগ্র বিশ্ব জাহানের এ ব্যবস্থাপনার শুধু স্রষ্টাই নন বরং তার সার্বক্ষণিক পরিচালক । তাঁর হুকুম এখানে প্রতি মুহূর্তেই চলছে। তিনি সকল প্রকার দোষ ,ক্রটি ,দুর্বলতা ও ভ্রান্তি থেকে মুক্ত । তিনি সব রকমের উপমা ও সাকার সত্তা থেকে পবিত্র ,নজীর , সাদৃশ্য ও সামঞ্জস্য মুক্ত এবং কোন সাথী , সহাকারী ও অংশীদারের মুখাপেক্ষী নন। তাঁর সত্তা , গুণাবলী , ক্ষমতা ,ইখতিয়ার ও মাবুদ হবার অধিকারে কেউ তাঁর সাথে শরীক নয়। তাঁর সন্তানাদি থাকা , কাউকে বিয়ে করে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার এবং কোন পরিবার বা গোষ্ঠীর সাথে কোন বিশেষ সম্পর্ক থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না। প্রতিঠি সত্তার সাথে রিজিকদাতা ,পালনর্কতা ,অনুগ্রহকারী ও ব্যবস্থাপক হিসেবে তাঁর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তিনি প্রার্থনা শোনেন ও তার জবাব দেন। জীবন - মৃত্যু , লাভ - ক্ষতি এবং ভাগ্যের ভাঙা - গড়ার পূর্ণ ক্ষমতা তিনিই একচ্ছত্র মালিক। তিনি নিজের সৃষ্টির কেবল পালনকর্তাই নন বরং প্রত্যেককে তার মর্যাদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী হিদায়াতও দান করেন। তাঁর সাথে আমাদের সম্পর্ক কেবল এতটুকুই নয় যে , তিনি আমাদের মাবুদ এবং আমরা তাঁর পূজা অর্চনাকারী বরং তিনি নিজের নবী ও কিতাবের সাহায্যে আমাদের আদেশ নিষেধের বিধান দান করেন এবং তাঁর বিধানের আনুগত্য করাই আমাদের কাজ। নিজেদের কাজের জন্য তাঁর কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। মৃত্যুর পর তিনি পূর্ণবার আমদের ওঠাবেন এবং আমাদের কাজকর্ম পর্যালোচনা করে পুরস্কার ও শাস্তি দেবেন। এসব গুণাবলী সম্পন্ন মাবুদের ইবাদাত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর অনুসারীরা ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ করছে না। অন্যেরা খোদার ইবাদাত করলেও আসল ও প্রকৃত খোদার ইবাদাত করছে না। বরং তারা নিজেদের উদ্ভাবিত কাল্পনিক খোদার ইবাদাত করছে।


৪) আর না আমি তাদের ইবাদাত করবো যাদের ইবাদাত তোমরা করে আসছো৷

৫) আর না তোমরা তার ইবাদাত করবে যার ইবাদাত আমি করি ৷৪

৪. একদল তাফসীরকারে মতে এ বাক্য দু'টিতে প্রথম বাক্য দু'টির বিষয়বস্তুর পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। প্রথম বাক্য দু'টিতে যা কিছু বলা হয়েছে তাকে অত্যধিক শক্তিশালী ও বেশী জোরদার করার জন্য এটা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক মুফাসসির একে পুনরাবৃত্তি বলে মনে করেন না। তারা বলেন , এর মধ্যে অন্য একটি কথা বলা হয়েছে। প্রথম বাক্য দু'টিতে যে কথা বলা হয়েছে তা থেকে একথার বক্তব্যই আলাদা। আমার মতে , এ বাক্য দু'টিতে আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি নেই , এতটুকু কথা সঠিক বলে মেনে নেয়া যায়।
কারণ এখানে শুধুমাত্র " আর না তোমরা তার ইবাদাত করবে যার ইবাদাত আমি করি " একথাটুকুর পুনরাবুত্তি করা হয়েছে। আর আগের বক্তব্যে একথাটি যে অর্থে বলা হয়েছিল এখানে সে অর্থে এর পুনরাবৃত্তি করা হয়নি। কিন্তু পুনরাবৃত্তি অস্বীকার করার পর মুফাসসিরগণের এ দলটি এ দু'টি বাক্যের যে অর্থ বর্ণনা করেছেন তা পরস্পর অনেক ভিন্নধর্মী। এখানে তাদের প্রত্যেকের বর্ণিত অর্থ উল্লেখ করে তার ওপর আলোচনা করার সুযোগ নেই। আলোচনা দীর্ঘ হবার আশংকায় শুধুমাত্র আমার মতে যে অর্থটি সঠিক সেটিই এখানে বর্ণনা করলাম।

প্রথম বাক্যে বলা হয়েছে : " আর না আমি তাদের ইবাদাত করবো যাদের ইবাদাত তোমরা করে আসছো। " এর বক্তব্য দ্বিতীয় আয়াতের বক্তব্য বিষয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে বলা হয়েছে : " আর আমি তাদের ইবাদাত করি না যাদের ইবাদাত তোমরা করো।" এ দু'টি বক্তব্যে দু'টি দিক দিয়ে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। এক , অমুক কাজ করি না বা করবো না বলার মধ্যে যদিও অস্বীকৃতি ও শক্তিশালী অস্বীকৃতি রয়েছে কিন্তু আমি অমুক কাজটি করবো না একথার ওপর অনেক বেশী জোর দেয়া হয়েছে। কারণ এর অর্থ হচ্ছে , সেটা এত বেশী খারাপ কাজ যে , সেটা করা তো দূরের কথা সেটা করার ইচ্ছা পোষণ করাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। দুই " যাদের ইবাদাত তোমরা করো " একথা বলতে কাফেররা বর্তমানে যেসব মাবুদের ইবাদাত করে শুধুমাত্র তাদেরকে বুঝায়। বিপরীত পক্ষে " যাদের ইবাদাত তোমরা করেছো" বললে এমনসব মাবুদদের কথা বুঝায় যাদের ইবাদাত কাফেররা ও তাদের পূর্বপুরুষরা অতীতে করেছে। একথা সবাই জানে , মুশরিক ও কাফেরদের মাবুদদের মধ্যে হামেশা রদবদল ও কমবেশী হতে থেকেছে। বিভিন্ন যুগে কাফেরদের বিভিন্ন দল বিভিন্ন মাবুদের পূজা করেছে। সবসময় ও সব জায়গায় সব কাফেরের মাবুদ কখনো এক থাকেনি। কাজেই এখানে আয়াতের অর্থ হচ্ছে , আমি তোমাদের শুধু আজকের মাবুদদের থেকে নয় , তোমাদের পিতৃপুরুষের মাবুদদের থেকেও দায়মুক্ত। এ ধরনের মাবুদদের ইবাদাত করার চিন্তা ও মনের মধ্যে ঠাঁই দেয়া আমার কাজ নয়।

আর দ্বিতীয় বাক্যটিতে ব্যাপারে বলা যায় , যদিও ৫ নম্বর আয়াতে উল্লেখিত এ বাক্যটির শব্দাবলী ও ৩ নম্বর আয়াতের শব্দাবলী একই ধরনের তবুও এদের উভয়ের মধ্যে অর্থের বিভিন্নতা রয়েছে। তিন নম্বর আয়াতে সংশ্লিষ্ট বাক্যটি নিম্নোক্ত বাক্যটির পরে এসেছে : " আমি তাদের ইবাদাত করি না যাদের ইবাদাত তোমরা করো। " তাই এর অর্থ হয় , " আর না তোমরা সেই ধরনের গুণাবলী সম্পন্ন একক মাবুদের ইবাদাত করবে যার ইবাদাত আমি করি।" আর পাঁচ নম্বর আয়াতে এই সংশ্লিষ্ট বাক্যটি নিম্নোক্ত বাক্যটির পরে এসেছে : " আর না আমি তাদের ইবাদাত করবো যাদের ইবাদাত তোমরা করেছো।" তাই এর মানে হয় " আর না তোমরা সেই একক মাবুদের ইবাদাত করবে বলে মনে হচ্ছে যার ইবাদাত আমি করি। " অন্য কথায় , তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষরা যাদে যাদের পূজা - উপাসনা করেছো তাদের পূজারী হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর বহু মাবুদের বন্দেগী পরিহার এর একক মাবুদের ইবাদাত করার ব্যাপারে তোমাদের যে বিতৃষ্ণা সে কারণে তোমরা নিজেদের করার পথ অবলম্বন করবে , এ আশাও করি না।


৬) তোমাদের দীন তোমাদের জন্য এবং আমার দীন আমার জন্য ৷৫

৫. অর্থাৎ আমার দীন আলাদা এবং তোমাদের দীন আলাদা । আমি তোমাদের মাবুদদের পূজা - উপাসনা - বন্দেগী করি না এবং তোমরা ও আমার মাবুদের পূজা - উপাসনা করো না। আমি তোমাদের মাবুদদের বন্দেগী করতে পারি না এবং তোমরা আমার মাবুদের বন্দেগী করতে প্রস্তুত নও। তাই আমার ও তোমার পথ কখনো এক হতে পারে না। এটা কাফেরদের প্রতি উদারনীতি নয় বরং তারা কাফের থাকা অবস্থায় চিরকালের জন্য তাদের ব্যাপারে দায়মুক্তি , সম্পর্কহীনতা ও অসন্তোষের ঘোষণাবাণী । আর আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি যারা ঈমান এনেছে তারা দীনের ব্যাপারে কখনো তাদের সাথে সমঝোতা করবে না ------ এ ব্যাপারে তাদেরকে সর্বশেষ ও চূড়ান্তভাবে নিরাশ করে দেয়াই এর উদ্দেশ্য। এ সূরার পরে নাযিল হওয়া কয়েকটি মক্কী সূরাতে পর পর এ দায়মুক্তি , সম্পর্কহীনতা ও অসন্তোষ প্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সূরা ইউনুসে বলা হয়েছে : " এরা যদি তোমাকে মিথ্যা বলে তাহলে বলে দাও , আমার কাজ আমার জন্য এবং তোমাদের কাজ তোমাদের জন্য । আমি যা কিছু করি তার দায় - দায়িত্ব থেকে তোমরা মুক্ত। " ( ৪১ আয়াত ) এ সূরাতেই তারপর সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলা হয়েছে। : " হে নবী ! বলে দাও , হে লোকেরা , যদি তোমরা আমার দীনের ব্যাপারে ( এখানে ) কোন রকম সন্দেহের মধ্যে থাকো তাহলে ( শুনে রাখো) , আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের বন্দেগী করছো আমি তাদের বন্দেগী করি না বরং আমি শুধুমাত্র সেই আল্লাহর বন্দেগী করি যার কর্তৃত্বাধীনে রয়েছে তোমাদের মৃত্যু। " ( ১০৪ আয়াত ) সূরা আশ শু'আরায় বরেছেন : " হে নবী ! যদি এরা এখন তোমার কথা না মানে তাহলে বলে দাও , তোমরা যা কিছু করছো তা থেকে আমি দায়মুক্ত।" (২১৬ আয়াত ) সূরা সাবায় বলেছেন : এদেরকে বলো , আমাদের ত্রুটির জন্য তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না এবং তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো সে জন্য আমাদের জবাবদিহি করতে হবে না। বলো , আমাদের রব একই সময় আমাদের ও তোমাদের একত্র করবেন এবং আমাদের মধ্যে ঠিকমতো ফায়সালা করবেন।" ( ২৫-২৬ আয়াত ) সূরা যুমার - এ বলেছেন : " এদেরকে বলো , হে আমার জাতির লোকেরা ! তোমরা নিজেদের জায়গায় কাজ করে যাও। আমি আমার কাজ করে যেতে থাকবো । শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে কার ওপর আসছে লাঞ্ছনাকর আযাব এবং কে এমন শাস্তি লাভ করছে যা অটল। " (৩৯-৪০ আয়াত ) আবার মদীনা তাইয়েবার সমস্ত মুসলমানকে ও এই একই শিক্ষা দেয়া হয় । তাদেরকে বলা হয় : তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তার সাথীদের মধ্যে রয়েছে একটি ভালো আদর্শ । ( সেটি হচ্ছে :) তারা নিজেদের জাতিকে পরিষ্কার বলে দিয়েছে , আমরা তোমাদের থেকে ও তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে সব মাবুদদের পূজা করো তাদের থেকে পুরোপুরি সম্পর্কহীন । আমরা তোমাদের কুফরী করি ও অস্বীকৃতি জানাই এবং যতক্ষণ তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনো ততক্ষণ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরকালীন শক্রতা সৃষ্টি হয়ে গেছে । " (আল মুমতাহিনা ৪ আয়াত ) কুরআন মজীদের একের পর এক এসব সুস্পষ্ট বক্তব্যের পর তোমরা তোমাদের ধর্ম মেনে চলো এবং আমাকে আমার ধর্ম মেনে চলতে দাও -"লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন "- এর এ ধরনের কোন অর্থের অবকাশই থাকে না । বরং সূরা যুমার - এ যে কথা বলা হয়েছে , একে ঠিক সেই পর্যায়ে রাখা যায় যেখানে বলা হয়েছে : "হে নবী ! এদেরকে বলে দাও , আমি তো আমার দীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে তাঁরই ইবাদাত করবো , তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে যার যার বন্দেগী করতে চাও করতে থাক না কেন ।" ( ১৪ আয়াত )
এ আয়াতের ভিত্তিতে ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম শাফেয়ী এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে , কাফেরদের ধর্ম পরস্পর যতই বিভিন্ন হোক না কেন সামগ্রিকভাবে সমস্ত কাফেররা মূলত একই গোষ্ঠীভুক্ত। কাজেই তাদের মধ্যে যদি বংশ বা বিবাহের ভিত্তিতে অথবা অন্য কোন কারণে এমন কোন সম্পর্ক থাকে যা একের সম্পত্তিতে অন্যের উত্তরাধিকারী স্বত্ব দাবী করে তাহলে একজন খৃষ্টান একজন ইহুদীর , একজন ইহুদী একজন খৃষ্টানের এক ধর্মের কাফের অন্য ধর্মের কাফেরের উত্তরাধিকারী হতে পারে। বিপরীত পক্ষে ইমাম মালিক , ইমাম আওযায়ী ও ইমাম আহমাদের মতে এক ধর্মের লোকেরা অন্য ধর্মের লোকদের উত্তরাধিকারী হতে পারে না। তারা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে এ মত পোষণ করেন। এ হাদীসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : আরবী -------------------------------------------------------------------------- "দুই ভিন্ন ধর্মের লোক পরস্পরের ওয়ারিশ হতে পারে না। " ( মুসনাদে আহমাদ , আবু দাউদ , দারে কুতনী)। প্রায় একই ধরনের বিষয়বস্তু সম্বলিত একটি হাদীস ইমাম তিরমিযী হযরত জাবের (রা) থেকে , ইবনে হিব্বান হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওপর (রা) থেকে এবং বাযযার আবু হুরাইরা (রা) থেকে উদ্ধৃত করেছেন। এ বিষয়টি আলোচনা প্রসংগে হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত ইমাম শাসসুল আয়েম্মা সারাখসী লিখেছেন : যে সমস্ত কারণে মুসলমানরা পরস্পরের ওয়ারিশ হয় সে সমস্ত কারণে কাফেররাও পরস্পরের ওয়ারিশ হতে পারে। আবার তাদের মধ্যে এমন কোন কোন অবস্থায়ও উত্তরাধিকার স্বত্ব জারী হতে পারে যে অবস্থায় মুসলমানদের মধ্যে হয় না। ........................ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে দীন হচ্ছে দু'টি একটি সত্য দীন এবং অন্যটি মিথ্যা দীন। তাই তিনি বলেছেন : আরবী -------------- এই সাথে তিনি মানুষদের দু'দলে বিভক্ত করেছেন । একদল জান্নাতী এবং তারা হচ্ছে মুমিন। একদল জাহান্নামী এবং সামগ্রিকভাবে তারা হচ্ছে কাফের সমাজ। এ দু'দলকে তিনি পরস্পরের বিরোধী গণ্য করেছেন তাই তিনি বলেছেন : আরবী -------------------- ( এই দু'টি পরস্পর বিরোধী দল। এদের মধ্যে রয়েছে নিজেদের রবের ব্যাপারে বিরোধ । ----- আল হজ্জ ১৯ আয়াত ) অর্থাৎ সমস্ত কাফেররা মিলে একটি দল। তাদের বিরোধ ঈমানদার বা মু'মিনদের সাথে ।---------------------------------- তাদের নিজেদের আকীদা- বিশ্বাসের দিক দিয়ে আলাদা আলাদা মিল্লাতে তথা মানব গোষ্ঠীর অন্তরভুক্ত বলে আমরা মনে করি না। বরং মুসলমানদের মোকাবিলায় তারা সবাই একটি মিল্লাতের অন্তরভুক্ত। কারণ মুসলমানরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাত ও কুরআনকে আল্লাহর কিতাব বলে স্বীকার করে। অন্যদিকে তারা এসব অস্বীকার করে । এ জন্য তাদেরকে কাফের বলা হয়। মুসলমানদের মোকাবিলায় তারা একই গোষ্ঠীভুক্ত হয় ( আরবী -------------------------) হাদীসটি আমি ইতিপূর্বে যে কথার উল্লেখ করেছি সেদিকেই ইংগিত করে। কারণ , " মিল্লাতাইন " ( দুই মিল্লাত তথা দুই গোষ্ঠী ) শব্দের ব্যাখ্যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নিম্নোক্ত হাদীসের মাধ্যমে করে দিয়েছেন : (আরবী --------------------) অর্থাৎ " মুসলমান কাফেরের ওয়ারিশ হতে পারে না এবং কাফের হতে পারে না মুসলমানের ওয়ারিশ । " [ আল মাবসূত ৩ খণ্ড , ৩০-৩২ পৃষ্ঠা । ইমাম সারাখসী এখানে যে হাদীসটির বরাত দিয়েছেন সেটি বুখারী , মুসলিম , নাসায়ী , আহমাদ , তিরমিযী , ইবনে মাজাহ ও আবু দাউদ হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রা) থেকে রেওয়ায়াত করেছেন ।]


৯| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:২৬

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: @লেখকঃ "আমার লেখাটা আপনি বুজতে পেরেছেন ?" আপনার এই প্রশ্নটাই বুঝি নাই , আপনার লেখা বুঝব না কেন ?

@এ আর ১৫ , " হিটলারদের আদর্শ ছিল নাজি বাদ বা ফ্যাসি বাদ তাদের কর্মকে ফ্যাসিবাদী কর্ম বলে । আর এনাদের টাও ফ্যাসিবাদ ইসলামের নামে। মুল ইসলামকে কোথায় দোষারোপ করা হয়েছে @ প্রভাস প্রদৌত ?" আপনার সঙ্গায়ন এর সামাজিক ভিত্তি নেই , আপনি যেকোন পশ্চিমা দেশে যান , ওখানে ইসলাম মানেই জঙ্গিবাদ , মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী জঙ্গি , এর কি ব্যখ্যা দিবেন ????????

ধরুন আপনার নাম "এ আর ১৫" নামে এক সন্ত্রাসী গ্রুপ সন্ত্রাসী করছে , তখন কিন্তু সবাই আপনাকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিনবে , আপনি যতই ভাল হন না কেন , এখন আপনি কই অন্য কোন অপরাধীর অপরাধ নিজের কাধে মাথা পেতে নিবেন শুধুমাত্র আপনার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে , এই জন্য ?????????? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁবোধক হয় তাহলে আপনার মান্সিক চিক্তসা প্র্যজন , কারন পাগল ছাড়া কোন ব্যক্তিই নিজের নামে অপপ্রচার পছন্দ করে নাহ ।

আর আপনার উত্তর যদি না বোধক হয় তবে জঙ্গিদের কর্মকাণ্ডের সাথে ইসলামের নাম জড়াবেন নাহ ।

১০| ২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

এ আর ১৫ বলেছেন: প্রভাষ প্রদৌত .. যদি কামাল নামে কোন লোক ডাকাতি করে তা হোলে দুনিয়ার সব কামাল নামের মানুষ ডাকাত হয়ে যাবে !!!! ইসলামিক জংগী বলতে জংগীবাদী মুসলমানদের বুঝায় সেকুলারিস্ট বা মোডারেট মুসলমানদের বুঝায় না । ইহুদীদের মধ্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জেওনিস্ট বাকি ৮৫ % সেকুলারিস্ট বা নাস্তিক ( যারা তাদের ধর্ম গ্রন্থ তোরা কে মনে করে গাজাখুরি গল্প) । তাহোলে জেওনিস্টদের কর্ম কান্ডকে কি কারনে ইহুদীবাদী সন্ত্রাস বা ইহুদী জংগীবাদ বলেন ?? ইহুদী ধর্মে কি জংগীপনার নির্দেশ আছে ? যদি না থাকে তাহোলে ইহুদী জংগীবাদ কেন বলেন ? যাদের কমন সেন্সের অভাব তারা মনে করে ইসলামী জংগীবাদ মানে সকল মুসলমান ই জংগী। ইসলামী জংগী বলতে তালেবানি রাজাকারী আদর্শে অনুসারিদের বুঝায় মোডারেট বা সেকুলারিস্ট মুসলমানদের নয়। দুনিয়ার কোথাও মোডারেট বা সেকুলারিস্ট মুসলমানদের জংগী বলা হয় না । তালেবান পন্থিরা যা করে তা ইসলাম ধর্মে বা কোরানে নির্দেশ নাই সুতরাং তাহাদের কে ইসলামিক জংগী বলা যাবে না । তাহোলে আওয়ামী লীগের গঠন তন্ত্রে বা নীতিতে বা আদর্শে সন্ত্রস, চাদা বাজী, দু:নীতি করার নির্দেশ নাই সুতরাং তাহাদের আওয়ামী সন্ত্রাসী , চাদা বাজ বা দু:নীতি বাজ বলা যাবে না করান আওয়ামী লীগের নীতিতে আদর্শে ও গুলোর কোন নির্দেশ নাই। যদি বলা হয় তাহোলে যারা আওয়ামী লীগকে সাপর্ট করে তারা সবাই ঐ বিশেষনে বিশেষিত হয়ে যাবে । একই নীতি বিএনপি ক্ষেত্রেও কারন তাদের নীতি আদর্শে সন্ত্রাস চাদাবাজি দু:নীতি করার নির্দেশ নাই । আওয়ামী সন্ত্রাসি বা বিএনপি সন্ত্রাসি অথবা চাদাবাজ দ:নীতি বাজ বলতে ঐ দলের সবাইকে বুঝায় না ----- শুধু মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষকে বুঝায়। ইসলামী জংগী বলতে মুসলমান আওয়ামী লীগার বা বিএনপির লোকজনকে বুঝায় না বুঝায় জামাত হেফাজতের লোকজনকে । দুনিয়ায় কেউ মোডারেট বা সেকুলারিস্ট মুসলমান দের ইসলমিক জংগী বলে বুঝায় না। আমরা মুসলমানরা কিন্তু জেওনিস্টদের অপকর্মকে ইহুদিবাদী জংগীপনা বলি অথচ ৮৫% ইহুদী মোডারেট বা সেকুলারিস্ট বা নাস্তিক ।

৩১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

টিএম.নীরব বলেছেন: বাংলাদেশের আলেম সমাজ যখন ইসলামের আসল আর্দশের কথা বলে তখন কিছু দল/ বা মানুষ বলে এই হুজুর রাজাকার বা ইসলাম জঙ্গীবাদ । আয়ামীলীগ যখন জয় বাংলা বলে মিছিল করে তখন কি জঙ্গীবাদ হয়না, বিএনপি যখন বাংলাদেশ জিনধাবাদ বলে মিছিল করে তখন কি জঙ্গীবাদ হয়না, আর যখন কোন ইসলামিক দল নারায়ান তাকবির আল্লাহু আকবার বলে মিছিল করে তখন তাদের ইসলামি জঙ্গী বলা হয় কেন? আপনি বুজেও না বুজার ভান করছেন

১১| ২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: সবই আল্লাহ'র ইচ্ছা, তাঁর হুকুম ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয় না।

১২| ২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

ব্রিক্সশাওন বলেছেন: এ আর ১৫ ইসলাম ধর্মে কোন জঙ্গীবাদ নেই। জঙ্গীবাদ আপনাদের মতো মিডিয়ার সৃষ্টি, এই যে পৃথিবীব্যাপী ইহুদি আমেরিকা, ইংল্যান্ড জাপান ১ম, ২য় বিশ্বযুদ্ধ করে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মেরে ফেললো তা নিয়ে অাপনারা লাফান না কেন??
ইরাক, সিরিয়া,আফগানিস্থান, প্যালেষ্টাইন সব জায়গায় আমেরিকা তেলের জন্য সম্পদের জন্য মুসলমানদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে আর তার প্রতিরোধ মুসলমানরা করছে এটা জঙ্গীবাদ না বরং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় যুদ্ধ। বাংলাদেশে যেমন ৭১ এ মুক্তিযু্দ্ধ করে স্বাধীন করেছে এদেশের মানুষ। বাংঙ্গালী পরাস্ত হলে অাপনার মতো মিডিয়ারও বলতো বাঙ্গালী জঙ্গীবাদ।

১৩| ২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: "তাহলে বিসয়টা এমন ভাবে মেডিয়াতে বলা হয় জার সাথে ইসলামীয় জঙ্গীবাদ বলা হয় কেন? তাকে সুদু জঙ্গী বলা হক, তাতে আমার মাথা বেতা নাই,"

............... হে হে হে হে হে ..................... কচি খোকা!! আহা!!

ওরা যখন খুন করে, হত্যা করে তখন ইসলামের নামেই করে, এজন্য ইসলামীজঙ্গী বলা হয়।
............ হে হে হে ে............. লেখক এটুকুও বোঝেন না..................

যাহোক............ সবই আল্লাহ'র ইচ্ছা, তাঁর হুকুম ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয় না।

১৪| ২৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: জাতি_ধর্ম_বর্ণ ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়। যেখানে অন্যায়ভাবে মুসলমানদের উপর যুদ্ধ করে বার্মা, ফিলিস্থিন, কাস্মির, বা ইরাক, আফগানিস্থান লাখ লাখ মুসলমানদের মেরে ফেলছে সেখানে কউ যদি আত্নরক্ষার তাগিদে ইহুদি, নাসারা মারে তাকে সমর্থন করা যায়। সবই আল্লাহর ইচ্ছা কচি খোকা।

১৫| ২৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: @জিয়া উদ্দিন আহমেদ............... আপনি বিনা কারনে আমাকে ব্লক করেছেন, তবু আপনার সাথে কথা বলছি, দয়া করে আমাকে আনব্লক করে আমার সাথে বা আমার কোন বিষয় নিয়ে কথা বলুন।

আর বলি, গত কয়েক বছরে মুসলমানরই মুসলমানদের বেশি হত্যা করেছে, সেটার হিসাব একবার করেন।
পাকিস্তানের দিকে একটু তাকান, মধ্যপ্রাচ্যে তাকান। এসব......... সবই আল্লাহ'র ইচ্ছা, তাঁর হুকুম ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয় না।

যত সমস্যা এই ইসলাম নিয়ে। এই সমস্যার শেষ নেই??
অন্য ধর্ম বা অন্য ধর্মের লোকদের তো কোন সমস্যা দেখিনা। তারা তো বহাল তবিয়াতে আছে।
ওহো......... বলবেন ওগুলো কি আর ধর্ম!!

যাহোক............ সবই আল্লাহ'র ইচ্ছা, তাঁর হুকুম ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.