![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
بسم الله الرحمن الرحيم
মাথা নুইয়ে দিলেন মোহাম্মদ আলি জনোবি। যাজক তার মাথার কালো চুলে ‘পবিত্র’ পানি ঢেলে দিলেন। যাজক গটফ্রাইড মার্টেন্স এ ইরানি শরণার্থীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি শয়তান আর তার দুষ্কর্ম থেকে দূরে থাকবে? তুমি কি ইসলাম থেকে দূরে থাকবে?’ ‘জি’ মনেপ্রাণে জবাব দিলেন জনোবি। এরপর মার্টেন্স তার আশীর্বাদের হাত বুলালেন এবং ‘পিতা, পুত্র এবং পবিত্র ভূতের নামে’ তাকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করলেন। জনোবির নাম এখন মার্টিন- তিনি আর মুসলিম নেই, খ্রিস্টান হয়েছেন।
ইরানি শহর সিরাজের কাঠমিস্ত্রি জনোবি পাঁচ মাস আগে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে জার্মানিতে এসেছেন। বার্লিনের উপকণ্ঠের একটি ইভানজেলিক্যাল ট্রিনিটি চার্চে যে শত শত শরণার্থী প্রত্যাশীকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা দেয়া হয়েছে জনোবি তাদেরই একজন। এদের বেশিরভাগ ইরানি ও আফগান শরণার্থী। জনোবির মতো অনেকেই বলছেন, তারা সত্যি সত্যিই খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এখন তাদের শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়া সহজ হবে এবং তারা দাবি করতে পারবেন যে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণের দাবি দেশে ফেরত পাঠানো হলে তারা নিপীড়নের শিকার হবেন। মার্টেন্স শিকার করেন যে অনেকে জার্মানিতে থাকার জন্য ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তবে তার দাবি খ্রিস্টান ধর্মের শিক্ষায় তাদের জীবন বদলে যায়।
এ কারণে ধর্মান্তরিতদের ৯০ ভাগই আবার গির্জায় ফিরে আসে। ‘আমি ভালো করেই জানি যে কিছুটা শরণার্থী মর্যাদার আশায় লোকজন এখানে আসেন। আমি তাদের যোগদানের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি কারণ আমি জানি যে এখানে এলে প্রত্যেকেই বদলে যাবেন।’
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল গত সপ্তাহে বলেছেন যে ‘ইসলাম জার্মানির অংশ’। কিন্তু আফগানিস্তান এবং ইরানের মতো দেশে কোনো মুসলিম খ্রিস্টান হলে তার মৃত্যুদণ্ড কিংবা কারাদণ্ড হতে পারে। এ কারণে খ্রিস্টান হলে কোনো শরণার্থীকে আফগানিস্তান কিংবা ইরানে হয়তো ফেরত পাঠাবে না জার্মানি। তবে শরণার্থী সুবিধা পাওয়ার জন্য খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা নেয়ার কথা কেউই প্রকাশ্যে স্বীকার করছে না। কারণ এতে আবার জার্মানিতে শরণার্থী মর্যাদা পেতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি নিজ দেশে পরিবারের হেনস্থা হওয়ার ভয়ে অনেকে পরিবর্তিত নাম প্রকাশেও রাজি নয়।
অনেকেই বলছেন, তারা বিশ্বাসের কারণে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছেন। তবে একজন ইরানি নারী বলেছেন, শরণার্থী সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশিরভাগ লোক গির্জায় যাচ্ছে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন। এপি।
অস্ট্রিয়া পৌঁছেছে ৪ হাজার অভিবাসী
হাঙ্গেরিতে আটকে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের একাংশ অস্ট্রিয়া পৌঁছেছে। প্রথম দফার বাসগুলো শনিবার সকালে অস্ট্রিয়া ও জার্মানির উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রথম দফায় ৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী পৌঁছে গেছে অস্ট্রিয়ায়। দেশ দুটি অভিবাসীদের তাদের দেশে ঢোকার আকস্মিক অনুমতি দেয়ার পর তারা সেখানে রওনা দেন। এর আগে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকাতে হাঙ্গেরির জার্মান ও অস্ট্রিয়াগামী ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরে হাঙ্গেরির সরকারের সঙ্গে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বৈঠক করে অভিবাসন প্রত্যাশী ভাগাভাগি করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
অভিবাসী গ্রহণে রাজি অস্ট্রিয়া-জার্মানি
অস্ট্রিয়া ও জার্মানি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাঙ্গেরি সীমান্তে আসা হাজার হাজার অভিবাসীদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। শনিবার ভোরে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ওয়ার্নার ফেইম্যান একথা জানান। তিনি অস্ট্রিয়ার বার্তা সংস্থা এপিএকে জানান, জার্মান চ্যান্সেলর অঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে ‘পরামর্শ’ করে যে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হাঙ্গেরি সীমান্তে বর্তমানে যে জরুরি পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।’ যুগান্তর এএফপি ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
টিএম.নীরব বলেছেন: খ্রিস্টানরা ১৬ কলা পুড়ন করলো, ওরাই ইরাকে, ইরানে, আফগানিস্তানে, প্রথম আগুন লাগিয়েছে, তার পরে আল কায়দা, তালেবান, আইএস জন্ম নিয়েছে, এখন সুদু দেকবার পালা, কেমন করে মুসলিমদের বাঁশদেয়,
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: