নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনা শুরু দুদিন আগে বিকেল চারটায় আমি একটা কাজে উত্তরা চার নম্বর সেক্টরে যাই । আমি যে বাসায় যাবো ঠিক তার সামনে
একটা প্রাইভেট কার রাখা সে বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড প্রাইভেট কারের ড্রাইভারকে ভদ্র ভাবে বললো ভাই গাড়িটা এখানে রাখলে
আমার বাসায় কোনো গাড়ি আসলে ঢোকাতে সমস্যা হবে তাই আপনার গাড়িটা এখানে রাখা যাবেনা গাড়িটা ছড়াতে হবে ।
প্রাইভেটকারের ড্রাইভার চট করে রেগে উঠলেন,কেন রাখা যাবে না এটাতো আপনার বাড়ির যায়গা না এটা সরকারি রাজউকের যায়গা
তাছাড়াও গাড়িও রাজউকের। ড্রাইভার আর গার্ড দুইজন মিলে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক বিতর্কের পর গাড়ির মালিক ম্যাডাম আসলো,এসে
ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে ? ড্রাইভার বললো ম্যাডাম এই লোক বলছে এখানে এই গাড়িটা রাখা যাবেনা নাকি ।
এবার ম্যাডাম গার্ডের সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু এক পর্যায়ে ম্যাডাম বলে বসলো আপনি জানেন এটা কার গাড়ি ? এটা রাজউকের গাড়ি
আর এই রাস্তা ও রাজউকের আর আপনে বলছেন গাড়ি এখানে রাখা যাবেনা আপনার সাহস কম বড় নাতো ।
পরে গার্ড বললো ম্যাডাম আমার সাথে গরম দেখিয়ে কোনো লাভ নেই এটা আমার বাড়িওয়ালার কথা যে বাসার সামনে কোনো গাড়ি পার্কিং
করা যাবেনা সেটা যদি আমার বাড়ির কোনো গেস্টের হয় তাও পার্কিং করা যাবেনা।
পরে ম্যাডাম গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন।
কথা হলো গাড়িটাও রাজউকের রাস্তাও রাজউকের ঠিক আছে,তাই বলে অন্য জনের বাড়ির সামনে অন্যের সমস্যা করে আপনি আপনার
সুবিধা দেখতে পারেন না। আপনি যে রাজউকের বড়াই করলেন সে রাজউককে পাবলিক ট্যাক্স খাজনা দেয় আর পাবলিকের এই ট্যাক্স
এবং খাজনার টাকা থেকে আপনার রাজউক আপনাকে বেতন দেয়। তাই রাজউক রাজউক বলে বড়াই দেখানোর কিছু নাই।
ছবি গুগল থেকে অ্যাডিট করা।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪
রাসেল বলেছেন: ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে আমাদের সমাজ নিয়ে শংকিত অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে, এখন হাসি পায় । লেখাপড়া শিখে আমরা নিজেরা অমানুষ হয়েছি, স্বল্প শিক্ষিত মানুষদের অমানুষ বানাচ্ছি ।