![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক গোলাম রাব্বিকে নির্যাতনের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারের নানা অপকর্ম বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাধারণত দিনের বেলায় ডিউটি করতেন না। রাতে ডিউটি করতেই বেশি পছন্দ করতেন। রাতে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা কামানোই ছিল তার নেশা। শুধু তাই নয়, কলাবাগান থানায় দায়িত্ব পালনের সময়ও এসআই মাসুদের বিরদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় কনস্টেবল পদে চাকরি নেন মাসুদ। চাকরির বয়স আট বছর পূর্ণ হলে পরীক্ষা দিয়ে এএসআই পদে প্রমোশন পান তিনি। এরপর তিনি ২০১৩ সালের দিকে এসআই পদে প্রমোশন হয় তার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোহাম্মদপুর থানার এক এসআই জানান, টাকা কামাইয়ের জন্য তিনি সবসময় রাতের বেলা ডিউটি নিতেন। সারাদিন ঘুমাতেন। সন্ধ্যা বেলায় থানায় আসতেন। থানায় অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে টাকা কামাইয়ের গল্প শেয়ার করতেন।
তিনি জানান, মোহাম্মদপুর থানায় আসার পর থেকেই টাকার পাগল হয়ে যান। মানুষকে ধরে গাড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে টাকা আদায় করতেন। কাউকে সহজে পরোয়া করতেন না। জুনিয়র পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সবসময় খারাপ আচরণ করতেন।
মোহাম্মদপুর থানার এক কনস্টেবল জানান, এক বছর আগে তিনি মোহাম্মদপুর থানায় যোগদান করেন। এর আগে ধানমণ্ডি ও কলাবাগান থানায়ও তিনি এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানেও এসআই মাসুদ শিকদার এরকমই বেপরোয়াভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কলাবাগান থানায়ও মাসুদের অপকর্ম
এসআই মাসুদ কলাবাগান ও ধানমন্ডি থানায় থাকার সময় গ্রাম থেকে পড়তে আসা অনেক ছাত্রকে ধরে মামলা ও রিমান্ডের নাম করে নিরীহ লোকদের কাছে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে চঞ্চল নামে এক ছেলেকে ধরে কলাবাগান থানায় নিয়ে মারধর করেন তিনি। পরে তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ছেলেকে শিবির হিসেবে চালিয়ে দেয়া হবে বলে চঞ্চলের বাবা-মাকে ভয় দেখানো হয়। পরে টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান ভুক্তভোগী ওই পরিবার।
নিজ গ্রামেও বিতর্কিত মাসুদ
পুলিশের এ কর্মকর্তা নিজ গ্রামেও বিতর্কিত নানা কর্মে। ‘পর্যটন লীগ’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোক্তা বলেও প্রচার রয়েছে এলাকায়। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোয়াইতপুরে এসআই মাসুদ পরিচিত আবদুল্লাহ নামে। পুলিশে কনস্টেবল থেকে এসআই হওয়ায় গ্রামের বাড়িতেও তার দাপট বেড়েছে, টিনশেড পৈতৃক বাড়ি রেখে স্থানীয় বাজারে করেছেন প্রাচীরঘেরা পাকা বাড়ি।
এলাকাবাসী জানায়,মাসুদ শিকদার এএসআই হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া জীবন শুরু করেন। পুলিশে চাকরি নেয়ার পরপরই পাশের গ্রামের আনসারের মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। মাসুদের শ্বশুর আনসার আলী নিজেও একজন ডাকাত হিসেবে পরিচিত। আর যে সময় বিয়ে করেন তখন মাসুদের পরিবারে অসচ্ছলতা ছিল। পুলিশের চাকরিটাই তার ঘরে ম্যাজিক হয়ে দেখা দেয়। যেন আলাউদ্দিনের বাতি পেয়ে যায় রাতারাতি।
অভিযোগ রয়েছে, মাসুদ শিকদার যখন বাড়িতে যেতেন তখন এলাকার যুবক ছেলেরা তাকে ঘিরে হইহুল্লোড় করত। আনন্দ করার জন্য পিকনিকের আয়োজন থেকে শুরু করে সব ধরনের আয়োজন করা হতো। মাদকের আড্ডাও জমে উঠত। এ কারণে এলাকার যুবক ছেলেরা এসআই মাসুদ বলে স্লোগান দিতো। টাকার প্রভাবের কারণে এলাকার লোকজনের কাছে পুলিশের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন মাসুদ।
মাসুদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই
শিগগিরই এসআই মাসুদ শিকদারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর জোনের পুলিশের সহকারি কমিশনার মো. হাফিজ আল ফারুক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সঙ্গে মুঠোফোনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, যে কোনো তদন্ত নিয়ে তাড়াহুড়ো করা ঠিক নয়। ধীরে সুস্থে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে তা সঠিক হবে।
তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ আল ফারুক বলেন, তদন্ত চলছে। এরপর তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
জানতে চাইলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গোলাম রাব্বিকে নির্যাতনের অভিযোগে মাসুদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
অপরাধ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এসআই মাসুদ শিকদার বলেছেন,নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আমার কিছুই হবে না।
কেন এত অহংকার. কার জন্য.......
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২১
মহা সমন্বয় বলেছেন: এস,আই নাম শুনলেই আমার মেজাজটা চড়া হয়.. পুলিশ বিভাগে যত অপকর্মের মুলে হচ্ছে এই এস,আই রা
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "যে লাউ; সেই কদু"
কোন লাভ নাই। এক মাসুদ লোকান্তরে লক্ষ মাসুদ পুলিশ বাহিনীতে। পুলিশের টপ টু বোটম সবাই করাপটেড। এই পুলিশ বাহিনীকে ভাল করা সম্ভব যদি এক মাস বা বছরের মধ্যে কয়েক হাজার পুলিশ অভিযুক্ত অফিসারকে চাকুরিচুত্য করা সম্ভব। বাইনারী নাম্বারে যেমন মাত্র ২ টি সংখ্যা শূন্য ও ১। অপরাধে জড়িত হলে পুলিশ সদস্য শাস্তি হওয়া উচিত চাকুরী চ্যুতি অথবা কর্মরত। মাঝা মাঝি কিছু নাই। তবেই সম্ভব পুলিশ বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
প্রশ্ন হলও তা কি সম্ভব?
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২
দূরত্ব বলেছেন: এখনো অনেক ভাল পুলিশ আছে, তবে যারা খারাপ তাদের বিচার হওয়া উচিত। তবে পুলিশ থেকে ১০০% পেতে হলে পুলিশকে সরকারের নয় আলাদা ওরগানাইজেশন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তুু তা সম্ভব নয়
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: মহা সমন্বয় বলেছেন: এস,আই নাম শুনলেই আমার মেজাজটা চড়া হয়.. পুলিশ বিভাগে যত অপকর্মের মুলে হচ্ছে এই এস,আই রা (
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: পুলিশে যদিও কিছু কিছু ভালো আছে কিন্তু খারাপ যে আছে সেটা মনে হয় পুলিশের আইজি মানতে পারেন নাহ। তাইতো কিছু হলেও তিনি স্বীকার করতে চাননা ......... আর এক পুলিশ দিয়ে আরেক পুলিশের তদন্ত?? কতটুকু নিরপেক্ষতা রক্ষা হবে কে জানে??
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫১
আনু মোল্লাহ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দু:খজনক!
আশঅকরি নিরপেক্ষ সুস্ঠু তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। আবার ভয় হয় বড় বড় কত্তরা যখন সাফাই গায়!
দেখা যাক কি হয়!