![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ যদি হিজাব পরতে চায়, পরুক। আমি তাকে বাধা দেওয়ার কে? এমনিতে মাথায় একটা স্কার্ফ মানুষ তো ফ্যাশন করার জন্যেও পরে। ষাটের এবং সত্তরের দশকের হলিউডের নায়িকাদের কথা মনে আছে? ফ্রেঞ্চ আর ইতালিয়ান নায়িকারাও ছিল। ওদের অনেকেই সেসময় দেখা যেত মাথায় একটা স্কার্ফ পরতে। আমাদের এখানেও পরতে দেখেছি অনেককে। ফ্যাশন হয় আবার বাতাস রোদ ইত্যাদি থেকে কেশ রক্ষা করাও হয়। অসুবিধা কি?
বোম্বাইয়া সিনেমার নায়িকা ছিলেন সাধনাকে মনে আছে? কপাল ঢাকা চুলের একটা স্বতন্ত্র স্টাইল ছিল তাঁর। এমনিতেই একটু পশ্চিমা ধরনের স্টাইল ছিল তাঁর চেহারাসহ সবকিছুতেই। রহস্য রোমাঞ্চ ধরনের সিনেমার খ্যাতিমান নায়িকা ছিলেন। তাঁকেও দেখেছি একটা স্কার্ফ পরে মাঝে মাঝে অবতীর্ণ হতেন। ভালোই তো লাগতো।
আবার কেউ যদি এটাকে মডেস্টি বা শালীনতার অংশ মনে করে পরেন তাতেও আমি অসুবিধা দেখি না। আমাদের এখানে মহিলারা তো ঘোমটা দেয়ই। ভাসুর টাসুরের সামনে দেওয়া আগে নিয়ম ছিল, এখন সেরকম নিয়ম কে মানে জানিনা, কিন্তু এমনিই শালীনতা মনে করে অনেকেই ঘোমটা পরেন। পরুক। আমার তাতে অসুবিধা কি?
হিজাব বা ঘোমটা বা অন্য কোন হেডগিয়ার যা খুশী আপনি পরেন। আপনার ইচ্ছা। আপনি চাইলে ঐযে লোহার চেস্টিটি বেল্ট ছিল আগে, সেই জিনিসও পরতে পারেন বা সেরকম অন্য কোন গিয়ার উদ্ভাবন করেও পরতে পারেন। আমার তাতে কি? পরতে থাকেন।
অসুবিধা হচ্ছে যখন পুরুষরা মেয়েদের উপর সেটা জোর করে আরোপ করতে যাবেন। ভাই, নারী ঘোমটা পরবে নাকি চেস্টিটি বেল্ট পরবে সেটা নারীকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেন। নারী আপনার মতোই আরেকজন মানুষ, আপনার গোয়ালের গাই গরুটির মত আপনার মালিকানাধীন মানবেতর কোন প্রাণী না।
আর আপনি যদি 'মহিলা তেঁতুলের মত' ধারনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাইলে জেনে নিন আপনি অসুস্থ্য। কেননা নিতান্ত অসুস্থ্য না হলে নারী দেখামাত্রই কোন পুরুষের কামভাব জাগ্রত হয়না। চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
না, নারী পুরুষের প্রতি পারস্পরিক আকর্ষণ (বা ক্ষেত্র বিশেষে পুরুষের প্রতি পুরুষের বা নারীর প্রতি নারীর) এটা প্রাকৃতিক ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে নারী দেখলেই মাত্র একজন পুরুষের কাম জাগ্রত হবে কি করে। কাম ব্যাপারটা তো আপনার দুই পায়ের মাঝখানে নারে ভাই, এটা দুই কানের মাঝখানে। নারীর চুল হাত পা বা শরীরের অন্য অঙ্গ দেখামাত্র যদি আপনার কেবল ঐ একটা অনুভূতিই হয় তাইলে সমস্যা নারীর শরীরেও না আপনার শরীরেও না, সমস্যা আপনার মাথায়।
আর এই সমস্যাটা কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোন মাইক্রোঅরগানিজম থেকে হয়না। আপনার এই ব্যাধি হয়েছে ভিন্ন ভাইরাস থেকে। নারীকে হিজাব পরিয়ে এই ব্যাধি থেকে আপনার মুক্তি হবেনা। আপনার জন্য চিকিৎসা হচ্ছে সেই ভয়ংকর ভাইরাস থেকে দুরে থাকা। সে তো আপনি থাকবেন না।
দেখেন নাই, সেদিন জার্মানির এক মসজিদের মৌলানা সাব কি ফতওয়া দিয়েছেন? আরব রিফিউজি পুরুষরা যে ইউরোপে মেয়েদের উপর যে অত্যাচার শুরু করেছে তাঁর জন্যে নাকি ইউরোপের মেয়েরাই দায়ী। ওদের পোশাক আসাক চাল চলনই নাকি ওদের উপর অত্যাচারের কারণ।
ইউরোপের মেয়েদের পোশাক আশাক চাল চলন তো আর পাল্টাতে পারবেন না। বরং এক কাজ করেন। আপনারা নিজেরাই এক ধরনের চেস্টিটি বেল্ট বানিয়ে নেন নিজেদের জন্যে। লোহার একটা শিকলের এক মাথায় আপনার অঙ্গটি বাধা থাকবে আর আরেক মাথায় থাকবে একটা ছাগলের খুটার মত দণ্ড। অঙ্গটি শিকলে বেঁধে সেটাকে শক্ত করে টেনে খুটাটা আপনার ইয়েতে পুতে রাখেন। তাইলে হয়তো আপনারা খানিকটা সভ্য মানুষের মত আচরণ করবেন।
Collected from আরিফুর রহমান.
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১০
নিশাচর । বলেছেন: সভ্য মানুষের মত আচরণ করবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
র্ূখঞণ বলেছেন: go to hell you nastic