![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্রাশ নাম্বার --<১৪৫০
অাজ অাসিফের ক্রাশ স্টোরিটা তাদের ইউনিভার্সিটির একটা ক্রাশ এন্ড কনফেশনস্ নামক পেইজে পোস্ট করা হল।
পোস্টটা ছিল এরকম...
ইসরাত জাহান,মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট,সেশন(২০১৩-১৪)।হাঁ ইসরাত তোমাকেই বলছি স্কুল লাইফে আমরা ২ জন-ই একই স্কুলেছিলাম।অাজ অাবার একই ইউনিভার্সিটিতে।অামাকে হয়তো তুমি চিনবে।কিন্তু তোমার সামনাসামনি হতে সাহস পাচ্ছি না বলে আড়ালেই তোমার কাছে বন্ধুত্বের অাবেদন করছি।স্কুলে লাইফে ক্রাশ তোমার উপরে কোন দিনই ছিল না কিন্তু ভার্সিটিতে এসে কি হল অামার কী জানি তোমাকে একবার দেখার পর থেকেই বারবারই তোমাকে দেখতে মন অামার অার বাধ মানে না।কিন্তু সেই একবারই ছিল শেষবার।এরপর মাঝে গত ৮ মাসে তোমাকে অার অামি দেখিনি।তাই এই পোস্টটা যদি তুমি দেখে থাক তাহলে একটা কমেন্ট করিও।আমি তোমাকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে দিব।আর সে যদি পোস্টটা না দেখে তাহলে তার পরিচিত কেউ থাকলে তাকে কমেন্ট করে ট্যাগ করে দিবেন কিংবা তা জানিয়ে দিবেন।
ইতি
সোশাল সায়ন্স ফ্যাকাল্টির কেউ একজন।
আসিফের ক্রাশ স্টোরিটা দীর্ঘ তিনদিন পর পেইজে পোস্ট করা হল বটে।হুম দীর্ঘ-ই বলতে হবে কারণ স্টোরিটা ইনবক্সে করে পাঠানোর পর থেকে প্রতিটা দিন যেন তার কাছে এক একটা যুগের মতন মনে হচ্ছিল। একসময় মনে হল বুঝি স্টোরিটা আর পোস্ট করা হবে না।কিন্তু না সেই সম্ভাবনাকে নিঃশেষ করে দিয়ে অবশেষে প্রকাশিত হল।গল্প উপন্যাস হলে সাধারণত দেখা যায় যে এ ধরণের রিকুয়েস্টে কাজ হয়।কিন্তু বাস্তবতা তো আর ততটা সহজ নয়।অথচ আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে বাস্তবেও অাসিফের আবেদনে কাজ হল।
পরদিন আসিফের ইনবক্সে একটা মেসেজ আসল।
---কী! তুমিই তো অামার উপর ক্রাশ স্টোরিটা লিখেছিলে তাই না?
---হুম কিন্তু তুমি আমাকে কী করে চিনলে?
---চিনেছি,কারণ তুমি অামাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকের কাছেই আমার সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলে...
---তাহলে তুমি তা আমাকে আগেই ইনবক্স করে জানাওনি কেন?
---কারণ আমি ভার্সিটিতে কম অাসতাম আর ডিপার্টমেন্টেও আমাকে তেমন কেউ চিনত না।পেইজে তোমার স্টোরিটা পোস্ট করার পর আমার এক ফ্রেন্ড অামাকে বলল।আর এরপর আগের ঘটনাগুলোও আমাকে অন্যরা বলেছে।
এভাবেই মেসেজিং করতে করতে ওইদিনের সারাটা রাত তারা পার করে দিল.....
©somewhere in net ltd.