![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
✌ আমি সাইকো । আমার থেকে দূরে থাকুন https://www.facebook.com/kolpobaz
খুব তাড়াহুড়া করে ভালবাসা অনেকটা জাগ দিয়ে ফল পাকানোর মত। খুব দ্রুত পাঁকে এবং খুব দ্রুত পঁচে যায়। প্রত্যেক ভালবাসার শুরুটা আমাদের শৈশবের মত। প্রথম সাঁতার শেখা, সাইকেল শেখা, কিংবা ফার্স্ট ডে এট স্কুলের মত উত্তেজনা আর রোমান্সে ভরপুর।
এরপর ভালবাসা হামাগুড়ি দিয়ে চলতে শুরু করে। প্রথম স্কুলের উত্তেজনাটা কমে তখন বইয়ের ওজন টের পাওয়া যায়। ঠিক এই জায়গাটায় এসেই অনেক অপ্বরিপক্ষ ভালবাসা মুখ থুবড়ে পড়ে। যে মানুষটার মেসেজ না পেলে প্রচন্ড অভিমান হত সেই মানুষটার মেসেজ আনসীন হয়ে থাকে দিনের পর দিন।
যে মানুষটা ফোন রেখেই খেতে যাওয়ার প্রমিস না করা পর্যন্ত ফোন রাখা হতনা, সে মানুষটা তখন আর খেয়েছে কি খায়নি জানতে ইচ্ছা করেনা।
যে আদরে আহ্লাদে মানুষটাকে সেরা রোমান্টিক মানুষ মনে হয়েছিল সেই আদর আহ্লাদ তখন বাড়াবাড়ি আর বিরক্তিকর মনে হবে।
এই জায়গাটায় এসে ভালবাসা তখন অজুহাত খোঁজে। মনে হয় এই মানুষটা ঠিক আমার না!
এই সময়টা কাটিয়ে ওঠার ধৈর্য আমাদের সবার থাকেনা কারন যে বাচ্চা কোলে থাকে সে বাচ্চা হাটা শেখে দেরিতে। হামাগুড়ি দিয়ে বসতে পারা শিশু আর কোমরে বালিশ রেখে বসা শিশুর মাঝে একটা তফাৎ আছে।
এই সময়টা ফেইস করতে যেটুকু ভালবাসা দরকার হয় তার রশদ যোগাতে হয় শুরুতে। বোঝাপড়ার প্রতিটা ধাপ পার করে এখানে আসতে হয়। বিছানা পত্র ভাগাভাগির আগে পছন্দ অপছন্দ গুলো মিলিয়ে নিতে হয়। যোগ বিয়োগ করে নিতে হয় সেক্রেফাইস বা কম্ফ্রমাইজ গুলিকে।
তাই সম্পর্কের শুরুর দিকে সময় দেয়া সব চেয়ে বেশি জরুরী। ভালবাসা জিইয়ে রেখে একট একটু করে বোঝা পড়াটা করে নেয়া উচিত। একটা সময় পর দেখবেন আর বোঝা পড়ার দরকার হবেনা। ভালবাসাটা তখন অভ্যাসে পরিনত হবে। অনেক কিছু খারাপ লাগার পরেও তবু মনে হবে মানুষটা আমার। খুব কঠিন কিন্তু না। শুধু হামাগুড়ি দেয়া শিশুটার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অপেক্ষা।
জানেন তো যত হাত পা ছোড়াছুড়ি সব সাঁতার শেখার আগে। একবার শিখে গেলে দেখবেন হাত পা না ছুড়েও ভেসে থাকা যায়। ভালবাসা কি জানতে ক্লিক করুন এই লেখায়
©somewhere in net ltd.