![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
✌ আমি সাইকো । আমার থেকে দূরে থাকুন https://www.facebook.com/kolpobaz
সারাদিন প্রচন্ড গরম শেষে রাতে কিছুটা স্বস্তি নেমেছিল। পাগ্লুটা মাত্র অফিস থেকে ফিরে লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে নিয়েছে। বেশ কিছুক্ষন ঠান্ডা পানি ঢালায় ওর গা টা বেশ শীতল হয়ে আছে। ওদিকে প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে খাঠের এক কোনায় মুখ ভার করে বসে আছে চিনি বউ.......
এই পুতুলি কি হয়েছে তোমার?
তুমি আমার সাথে কথা বলবানা আমি রাগ করেছি বোঝনা?
আরেহ তাই তো পুতুলের দেখি গাল ফোলা!
কি হয়েছে চিনি বউ? শাশুড়ি বুঝি বকেছে?
নাহ। আমার শাশুড়ি তোমার থেকে ভাল আমাকে বকে না।
তাহলে গাল ফুলা ক্যান?
পুরো সামারটা শেষ হয়ে গেল! বলো আমরা কোথাও গিয়েছি বেড়াতে?
পাগলীর রাগের কারন বোঝা গেল। অফিসের ব্যাস্ততায় আসলে ও ওকে এবার কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়নি। কিছু একটা বলতে যাবে পাগ্লু... তার আগেই হুট করে কারেন্ট চলে গেল!
এই বউ আলো জ্বালোনা?
আমার আলো লাগবেনা লাগলে তুমি জ্বালাও।
কিছুক্ষন নিরবতার পর পাগ্লু মুচকি হেসে দিয়াশলাই জ্বালল। হাতে একটা মোম নিয়ে চিনির পেছনে এসে দাঁড়াল। মোমের আবছা আলোয় চিনির বউয়ের ফর্সা পিঠের কিছুটা অংশ দেখা যাচ্ছে।
পাগ্লু হাতের মোমটা রেখে পেছন থেকে চিনির কাঁধে হাত রাখল। চিনি বউয়ের রাগ তখনো কমেনি। ঝাঁঝালো স্বরে বলে উঠল খবরদার আমায় ছোবেনা তুমি। যদিও মুখে বললেও মনে মনে খুব করে চাইছে পাগ্লুটা আজ পিঁপড়ে হয়ে যাক। ওর পিঠে খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো দিয়ে সুড় সুড়ি কাটুক।
পিঁপড়েটা মনের কথা জানে। পিছে না ফিরেও চিনি বউ দিব্যি টের পাচ্ছে ওর পিঠের উপর পাগ্লুর নিশ্বাসের উষ্ণতা। পাগ্লু ওর পিঠের উপর একটা চুমু খেয়ে কানের লতির কাছে ঠোঁট জোড়া এনে ফিস ফিস করে বলতে শুরু করল। বল চিনি বউ আজ কোথায় হারাবি?
পাগ্লুর ঠোঁটের ছোয়া কানের লতি ছুতেই চিনি বউয়ের কেমন দম বন্ধ হতে লাগলো। প্রায় শোনা যায়না এমন ফিস ফিসে গলায় বলল....
চল আজ সমুদ্র দেখাবি.....
দেখাব। এখন চোখ বোজ। চিনি বউ চোখ বুঝল। পাগ্লু ওর মুখের সামনে মুখ এনে কপালের উপর পড়ে থাকা চুল গুলো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিল।
চিনি বউ চোখ বুঁজে আছে। হির হির করে কোত্থেকে এক গাদা বাতাস এসে ওর গলার উপর জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম গুলি শুকিয়ে দিয়ে গেল। চিনি বউ চোখ খুলল এবং ভিষন চমকে গেল....
সত্যি সত্যি ওর সামনে এক বিশাল সমুদ্র! বিশাল বিশাল ঢেউ গুলি ছুটে এসে ওর পায়ের কাছে আছড়ে পড়ছে। পাগ্লুটা তখনো ওর পেছনে দাঁড়ানো।
বাবু তুই কি যাদু জানিস?
হু জানি তো
এই সমুদ্রের নাম কি?
স্বপ্ন বিলাশ
পাগ্লুটাকে কি সুন্দর লাগছে! এলো মেলো চুল গুলি বাতাসে উড়ে সত্যি সত্যি পাগল পাগল লাগছে কিছুটা। ও খেয়াল করেলো এলো মেলো চুলে পাগ্লুটাকে বেশি দুষ্ট লাগে।
চিনি বউ আকাশের দিকে মুখ করে হাত দুটো ছড়িয়ে কয়েকটা পাঁক খেয়ে পাগ্লুর দিকে তাকালো। পাগ্লুর চোখে চাঁদের আলো চিক চিক করছে। ওর পড়নে ব্লু জিন্স হাটুর নিচ পর্যন্ত মোড়ানো। পড়নে সাদা টি শার্টের উপর ছাই কালারের একটা বুক খোলা শার্ট। আর চিনির পড়নে পাতলা জর্জেডের একটা কালো রংয়ের শাড়ি। খোলা আকাশে বিশাল এক খানা সাদা চাঁদ, নিচে সাদা বালু আর মাঝ খানে কালো শাড়িতে চিনি বউয়ের ফর্সা মুখ খানি যেন আরেক খানি চাঁদের মতই জ্বল জ্বল করছে।
চিনিকে এক ঝটকায় বুকের কাছে নিয়ে এল পাগ্লু। শক্ত হাতে ওর বাহু দুটি চেপে ধরে বুকের সাথে লেপ্টে ধরল। চিনি বউ ওর পায়ের উপর পা দুটি তুলে দিয়ে কিছুটা উঁচু হয়ে ওর চিবুকে একটা চুমু খেল। পাগ্লুর একটা হাত চিনির গাল ছুয়ে ঠোটের উপর নেমে এল। হটাৎ খুব কৌশলে পাগ্লুর আংুলে একটা কামড় বসিয়ে চিনি বউ দৌড়ে পালাল।
কয়েক গজ যেতে না যেতেই পেছনে ছুটে পাগ্লু ওকে ধরে ফেলল। এবার আর কোন সুযোগ না। সোজা ওকে পাজকোলা করে কোলে তুলে ভেজা বালুতে গিয়ে দাঁড়াল। সাগরের তীরে ওকে শুয়ে দিয়ে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে পাগ্লু। চিনি বউয়ের পা দুটো পানিতে ভেজা আর পিঠের নিচে শুকনা বালু। পাগ্লু গা থেকে শার্ট টা খুলে ছুড়ে ফেলেছে দূরে কোথাও। চিনি বউ শুয়ে আছে। পাগ্লু হাটু গেড়ে ওর পায়ের কাছে। হাতের উপর ভর করে পাগ্লু ঝুঁকে আসছে চিনির দিকে। চিনি বউ বুঝে গেছে এবার আর ছাড়া পাবেনা কামড় বসাবে পিঁপড়াটা। লজ্জায় ও চোখ দুটি বন্ধ করে ফেলে। ঠোটের উপর নিশ্বাস টের পায়.... পিঁপড়াটা ঝুকে আসছে ওর দিকে.........
স্বপ্নের হাটে কেউ বাস্তবের লেবু কপচাবেন না প্লিজ। এটা স্বপ্ন বাজের হাঁট। ইচ্ছা হলে স্বপ্ন কুঁড়াবেন না হলে নাই। সব স্বপ্ন পূরন হওয়া লাগেনা। স্বপ্ন দেখানোর মত একটা মানুষ থাকাই যথেষ্ট___
©somewhere in net ltd.