নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবতে ভীষণ রকম ভালোবাসি

সাহিনুর

আমার মনের আকাশে কেনো মেঘ আসে বারে বার ! সে মেঘ সাদা নই কালো রং মাখে বারে বার !

সাহিনুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'\'আমি অন্তরা বলছি \'(প্রথম পর্ব )

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২২



মা! ও মা , কোথায় তুমি ?
আমার কলেজের ফী এর টাকা টা দাও , আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে তো ।
উফ..এই মেয়ে আমার কানের পর্দা ফাঁটিয়ে দম নেবে দেখছি ।
এই শুনছো গো ..অন্তরার কলেজের ফী এর টাকা টা দিয়ে দাও না ! (কাকুতির স্বরে মা বাবাকে বললো)
বাবা চোখ দুটি বড় বড় করে মায়ের দিকে রাগান্নিত দৃষ্টিতে তাকালো ...কিসের টাকা ? আমি কোনো টাকা আর দিতে পারব না , এত পড়াশুনা করে কি ঘোরার ডিম হবে শুনি , ওকে নিয়ে আমার কোনো স্বপ্ন নেই , কত স্বপ্ন ছিল আমার! - তুমি একটা ছেলে সন্তান দেবে আমাকে , তা যখন পারনি তখন এই মেয়ের হয়ে আমার কাছে আর কিছু চেওনা । একটা ছেলে দেখে ওকে বিদায় করতে পারলে বাঁচি ।
( এই বলে বাবা গটগট করে আমার সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন )
ইনি সেই বাবা যে , আমি হয়েছিলাম বলে -আমার মায়ের সাথে এক মাস কথা বলেনি , আমাকে তো দেখার প্রয়োজনই মনে করেনি ,
ইনি তারই সন্তান যে ঠাকুমা আমাকে আর আমার মা কে ঘর থেকে বার হয়ে যেতে বলেছিল।আমার মায়ের অবিরত কাঁন্নার জলে হয়তো সরাতে পেরেছিলো আমার বাবার পাষান মনের একচিলতে ধুলো , তার কারণেই আমি আজ এত বড় ।
হটাৎ মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম , আমার মায়ের চোখ অশ্রুজলে ভর্তি , মায়ের চোখে চোখ দেওয়ার আর সাহস পেলাম না ।
এক ছুঁটে আমি আমার ঘরে চলে এলাম । আয়নার সামনে নিজেকে দাড় করিয়ে হাউমাও করে কেঁদে ছিলাম , নিজিকে অশ্রুজলে দেখেছিলাম,আমার দোষ কোথায় সেটা খ্যাপার মতো বার বার খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছিলাম । চোখের জল মুছে আয়নায় নিজেকে দেখেছিলাম আমার কালো দেহের রং , তখনি বুঝেছিলাম এ সমাজের চোখে কালো রং এর জং ।
সেই রাতে, আমার ঘরে এসে আমাকে জড়িয়ে কেঁদেছিল আমার মা , শাড়ির আঁচল এর গিট্ থেকে টাকা বার করে দিয়েছিল আমার কলেজের ফী এর জন্য , আর কাঁদো কন্টে বলেছিল- যদি কোনদিন পারিস, কোনো চাকরি নিয়ে নিজের দুচোখ যে দিখে যেতে চাই সেদিকে চলে যাস , আমি সব সময় তোর পাশে থাকব । সেই রাতে অনেক কষ্টের মাঝে ও মা কে বুকে জড়িয়ে এক সুখের সাগরে দিয়েছিলাম পাড়ি,আমার মন মায়ের গর্ভে গিয়েছিল ভরে। চোখ মুছতে মুছতে মা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ।

আমি ফাইনাল এয়ার এর ছাত্রী , বাংলায় অনার্স করছি বোলপুর কলেজ এ । কলেজ এর প্রথম থেকেই আমার রবিন কে খুব ভালো লাগতো ওর হেয়ার স্টাইল ,পোশাক-আশাক সব কিছুই যেন এক অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করত আমার মনের উপর । কিন্তু আমাদেরই ক্লাস এর সব চাইতে সুন্দরী , নাম হেনা ওর girlfriend ছিল , তাই যা হয় আর কি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে যেতাম আর মনে মনে দিতাম পাঁড়ি স্বপ্ন দেশে রাজ্পক্ষী চড়ে। আমার মন জুড়ে ছিল শুধু ওর প্রশংসায় ভরা ।
সেদিন রবিবার ছিল আমাদের বান্ধবী মিথালির বিয়ে , আমরা সবাই সেখানে খুব আড্ডা দিচ্ছিলাম , অনেক অনেক মজা হচ্ছিল তখনই দেখি রাজকীয় সাঁজে আমার রবিনের আবির্ভাব , ও সরি , আমার নয় হেনার । তা যেন এক মায়াজাদু, কিছুতেই চোখ ফিরাতেই পারছিলাম না । মাঝে মাঝে আড় চোখে দেখছিলাম ওকে , সেটা ও লক্ষ্য করেছিল । রাত তখন ১১ টা সবে খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ার জন্য প্যান্ডেল থেকে একটু দুরে এক গ্লাস জল নিয়ে গেলাম , আমার সাথে জুলি,পায়েল ওরাও ছিল , একটু বাদে দেখালাম হাত ধুয়ার জন্য রবিন ও এলো, তখনই হটাৎ করে লোডশেডিং ,সব কিছু যেন কালো রং এর চাদরে মুরে গিয়েছে চারিপাশ। কাওকে দেখতে পারছিনা এ কথা বলতে যাবো, তখনি কে যেন আমার মুখে হাত চেপে আমাকে আর একটু দুরে নিয়ে গেল , ছটফট করছি হাত সরানোর জন্য টিক তখনি কানে ফিসফিস করে কিছু কথা ভেসে এলো - আমি রবিন , চিৎকার করো না ........
ধন্যবাদ ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: লিখেছেন গল্প আর ডাকছেন কবিদের?
আমি নিজেকে একজন পরিপূর্ণ জগাখিচুরী লেখক মনে করি দেখে সাহস নিয়ে আসলাম কি লিখেছেন সেটা পড়ার জন্য!!!
কলিকাতার বানান গুলি আমাদের বানানের চেয়ে অন্যরকম মনে হলো।
গল্প মোটামুটি খারাপ না............
ধন্যবাদ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

সাহিনুর বলেছেন: হাহাহ্হাহ। ভাইয়া লিখেছি গল্প আর ডাকছি কবিকে তার কারণ এই যে , আমি মনে করি কবি আর লেখক সবাই তো মিলেমিশে এক মানুষ যে ভাবতে ভালবাসে,যে কল্পনা করতে ভালবাসে,,আর আমি বিশেষত কবিতা লিখি ,আর এটাই আমার প্রথম লেখা ভাইয়া তাই সবাই কে ডেকেছি।
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া কেমন হয়েছে সেটা জানানোর জন্য ।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।তবে আরও একটু সাজিয়ে গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করুন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

সাহিনুর বলেছেন: আমিও এটাই ভাবছিলাম ভাইয়া যে হয়তো টিকথাক সাজাতে পারিনি। পরের পর্বে আমি এদিকে খেয়াল রাখবো । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯

সাহিনুর বলেছেন: ভাইয়া হুম টা কি রেগে লিখলেন । কেন লেখলেন টা না বুঝলেও লিখেছেন এটাই অনেক আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লিখতে থাকুন। ডাকতে হবে না। পাঠক এমনিতে পড়ে যাবে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

সাহিনুর বলেছেন: সুজন ভাইয়া আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য । ভালো থাকবেন ।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রচুর লিখুন।
সমস্যা নেই।
আপনার হবে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৯

সাহিনুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি লিখব আরো বেশি করে ।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুরুটা পড়লাম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

সাহিনুর বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ মনিরা আপু ...আশা করি পরের পর্ব গুলো পরে জানাবেন যা যে আর কত লিখলে আমাদের সমাজের এমন মানুষ গুলো পরবর্তন হবে ।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৬

মা.হাসান বলেছেন: ভালো লেগেছে। কাহিনী ভুলে যাবার আগেই ২য় পর্ব দিলে ভালো হয়। মানব্বিদ্যা কি বুঝলাম না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩১

সাহিনুর বলেছেন: টিক আছে ভাইয়া। আমি যতোটা পারবো ততোটা তারাতারি লিখে প্রকাশ করবো । anthropology হবে ওটা ভাইয়া, আমাকে ওখানে টিক করতে হবে । আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫১

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্যাখ্যার জন্য। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যানথ্রোপোলোজি কে নৃবিজ্ঞান বলে। মানব বিদ্যা সে তুলনায় অনেক ভালো, আঁতলামিটা নেই। তবে বাংলাদেশে ডিগ্রিটা এম এ, এম এস সি না।
শান্তিনিকেতনে যে কবার গিয়েছি, ছাত্রর চেয়ে টুরিস্ট বেশি দেখেছি। ওখানে ছাত্ররা আড্ডাবাজি কোথায় করে? নাকি করে না?
ভালো থাকুন। লিখতে থাকুন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১২

সাহিনুর বলেছেন: ভাইয়া এখানে ও anthropology মানে নৃবিজ্ঞানই বলে আবার মানববিদ্দ্যা ও বলে । আমাদের এখানেও এম.এ এবং এম.এস.সি দুটি ডিগ্রী ই দিয়ে থাকে ভাইয়া যারা বি.এস করে তাদের কেই শুধু এম.এস.সি ডিগ্রী দেওয়া হয় ।
বাপরে ভাইয়া এখনে আড্ডা দেওয়ার অসংখ্য জায়গা আছে ,,রাতান্পাল্লি,স্যাম্বাতি,ফার্স্ট গেট , মেলার মাঠ আরো অনেক অনেক জায়গা আছে যেখানে সাকল থেকে সন্ধ্যা ফুল দমে আড্ডা চলে ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ভালো থাকবেন , আর যদি পারেন মার্চ এর ২০ তারিক এ আসবেন । বসন্ত উৎসব খুবই সুন্দর করে পালন করা হয় এখানে যেটি পুরো পৃথিবী বিখ্যাত ।

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:১১

চিত্রাভ বলেছেন: লিখতে লিখতে লেখা শেখা হয়ে যায়-- তবে যা লিখছি তা কয়েকবার পড়া উচিত -- লেখাকে ও লেখককে জানতে -- আরও ভাল হবে তাতে ভাবনা ও লেখা দুই ।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

সাহিনুর বলেছেন: আপনার এই মূল্যবান মতবাদ আমি আমার চির সঙ্গী করবো ইনসাল্লাহ। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.