নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবতে ভীষণ রকম ভালোবাসি

সাহিনুর

আমার মনের আকাশে কেনো মেঘ আসে বারে বার ! সে মেঘ সাদা নই কালো রং মাখে বারে বার !

সাহিনুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্দেহ হলেই গ্রেফতার

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

সন্দেহ হলেই গ্রেফতার
“ বলি তোদেরকে কি রোজ ক্ষ্যাপা কুত্তায় কামড়ায়?"


১৯৯৬ সালের ২১ মে দিল্লির লাজপত বাজারে এক ভয়ানক বিস্ফোরণ হয়, ১৩ জনের মৃত্যু হয় এবং ৩৯ জন আহত হয় .
লতিফ আহমেদ, মহাম্মদ আলী বাট এবং মির্জা নিসার হুসেন এদের সবাইকে এই বিস্ফোরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, এরা প্রত্যেকেই ভারতের কাশ্মীরের বাসিন্দা .
মির্জার বয়স ছিল তখন সতেরো বছর,তাকে নেপাল থেকে গ্রেফতার করা হয়,
এরা গ্রেফতার হওয়ার পরে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া সত্বেও প্রথমে জয়পুর এবং পরে তিহার জেলে আটকে রাখা হয়,আবার নতুন করে বিচার হবে বলে ।
সেই নতুন করে বিচার হতে হতে কখন যে ২৪ টি বছর পার হয়ে গেছে হইতো বা আমাদের শ্রদ্ধীয় বিচারপতিরা সেটা বুঝতেই পারিনি.
২৪ বছর পর গতকাল তাদের ঘুম ভাঙ্গলো তাদের মুখে হইতো শুনা যাবে এখন “এইযা আমরা তো নিরপরাধ মানুষ গুলোকে আটকে রেখেছি ২৪ বছর ধরে ,এখনো ওদের কে ছাড়া হয় নি এটা ওদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে, ওদেরকে ছেড়ে দাও”
যখন জেলে বন্দী ছিল লতিফ তখন তার বাবা তাকে দেখতে যাই, ফিরার পথে লতিফের বাবার মৃত্যু হয়,বাবার মরা মুখটুকু দেখার সৌভাগ্য হয়নি তার ।
যখন জেলে বন্দী ছিল মহাম্মদ, তখন চারিদিকের চাপ দুশ্চিন্তা হইতো বা আর সইতে পারিনি মহাম্মদ আলীর বাবা-মা, তাইতো তারা ছেলের সাথে শেষ দেখা না করেই চলে গেছে না ফেরার দেশে.
আজ ২৪ বছর পর তারা আর একবার নির্দোষ প্রমানিত হয়ে অবশেষ মুক্তি পেয়েছে জঙ্গির পরিচয় থেকে, বদ্ধ জেল থেকে আর বিস্ফোরণে মৃত্যু পরিজনের অভিশাপ থেকে ,,২৪ বছর লেগে গেলো প্রমান হতে..কি নিষ্টুর কি নির্মন এ নিয়ম,.
অথচ যারা দোষী তাদের কোনো শাস্তি হলো না , তাদেরকে খুঁজে বার করতেই পারলো না ...।

যখন টিভি টে দেখতাম কাশ্মিরীরা পুলিস এর উপর পাথর ছুড়ছে তখন রাগে মাথা গরম হয়ে যেত,মনে মনে বিরবির করে বলতাম সালা সব কটাকে গুলি করে মারা উচিত।
আজ যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো আমার উপর,,কেন যেন বার বার মনে হচ্ছে অনেক পাপ করেছি এতো দিন,তাদের কস্ট বোঝার চেষ্টা করিনি..., তারা কেন ছুড়ছে পাথর তা জানার চেষ্টা করিনি ....,
আজ বুঝলাম তারা কেন পাথর ছোড়ে,,,,ভারতের আইন বাব্যস্থার উপর তাদের কোনো বিশ্বাস নেই ,, আছে শুধু বেদনা-ঘৃনা আর একরাশ ভয় ।
ধর্মনিরপেক্ষ দেশ আমাদের ভারতবর্ষ ,,,,
মাঝে মাঝে চিত্কার করে বলতে ইচ্ছে করে তবে কেন?
তবে কেন ?এক শ্রেনীর মানুষকে বার বার প্রমান করতে হবে- সে নির্দোষ !
বার বার প্রমান করতে হবে তার দেশপ্রেম ,,!
তাকে কেন বার বার সন্দেহ করা হবে ,,,কেন তাকে বার বার জঙ্গি বানানো হবে ?
যাদের একবার নির্দোষ প্রমান করার পরও আবার পুনরায় বিচার হয় এ ক্যামন লীলা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ তোমার ?

এইসবের কোন তুয়াক্কা না করে আমাদের দেশের মাথা মোটা স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাল লোকসভায় এক নতুন বিল পাশ করালেন ....“সন্দেহ হলেই তাকে সেনাবাহনী গ্রেফতার করতে পারবে”,,,,
আগে এই আইন ছিল না ,
তাও যে কত নির্দোষ মানুষ হয়েছে বলি শুধু সন্দেহ হয়েছে বলে
কোথাও যেন শুনেছিলাম -- “অপরাধী বার বার ছাড়া পেলেও যেন একজন নিরপরাধ ব্যক্তি কখনো শাস্তি না পাই”
এ ভবের দুনিয়ায় আজ ঠিক তার উল্টোটা হয় ,..,
"বাহ রে বাহ !
তোদের মত মানুষের সত্যিই হলো আজ জয়
তোরা থাকলে মানবতার চিরসঙ্গী হবে পরাজয়....... "

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ভাসমান বরফের উপরের অংশ দেখছেন; প্রতিটি কাশ্নীরিকে পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তানী জংগীদের পাপের বোঝা টানতে হচ্ছে: পাকিস্তানীরা কাশ্মীরে অপরাধ করে, মুল্য দেন কাশ্মীরী পরিবারেরা। যদি কাশ্মীরিরা পাকিস্তান জংগীদের সংশ্লিষ্ট কাটাতে পারতেন, তাদের জীবন এতটুকু কষ্টকর হতো না।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৪

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আবার আমরা ফিরব কবে?

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মহাকালের পাতায় পাতায় এমন অসংখ্য ঘটনা আড়ালেই হারিয়ে যায়!

আমরা অল্প কিছূ জেনেই মুষড়ে পড়ি!
আর যাদের উপর দিয়ে সে ঝড় বয়ে যায়, কেবল তারাই বোঝে তার যাতনা!

ইনসাফ প্রতিষ্ঠা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ন যে কোন শাসন ব্যবস্থায়।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ ভারতবর্ষ তা ঠিক আছে কিন্তু সব মানুষ তো আর ধর্ম নিরপেক্ষ নয়।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন্তব্যের জবাব দানের চেষ্টা করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.