![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যাই। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প ।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।
নিশি রাহাতের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে। এত বছরের সংসার জীবনে কোন দিন তাদের একটু ঝগড়া-ঝাঁটি পর্যন্ত হয়নি। অনেকে বলে মনোমালিন্য না হলে নাকি সম্পর্ক পূর্ণতা পাইনা। কিন্তু নিশির তা কখনোই মনে হয়না। সে অনেক ভালো বুঝতে পারে রাহাতকে। রাহাত ছেলেটা অন্যরকম। অন্য পাঁচ-দশটা ছেলে থেকে অন্তত ভিন্ন। নিশি একবার ইচ্ছা করেই রাহাতের উপর মন খারাপ করার চেষ্টা করলো। তার ইচ্ছা ছিল রাহাত ছেলেটাকে সে দেখবে,রাগলে তাকে কেমন দেখায়। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টা। রাহাত সরি বলে নিশির মান ভাঙাতে বসে গেলো। সেদিন নিশি রাহাতকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলো। সম্ভবত ভালোবাসার কান্না।
মাঝে মাঝে জীবনটাকে অনেক ছোট মনে হয় নিশির। ইস রাহাতের সাথে আগে কেন যে দেখা হয়নি!!! পুরো জীবনটাও যেন কম লাগে তার কাছে। পাশে ঘুমিয়ে থাকা রাহাতকে সে আসলেই ভালোবাসে নিজের থেকেও হয়তো বেশি।
ভোর হয়েছে অনেক আগেই। ফ্ল্যাটে ভোরের আলো তখনো পৌঁছায়নি। জানালা খুলতেই সোনালী রোদে ঘরটা মেখে গেলো। প্রত্যেকদিন জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই সব কিছু কেন জানি ভালো লাগে তার। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া ব্যস্ত মানুষ,ইলেকট্রিক পোলে বসে থাকা ধূসর-কালো কাকগুলো। জানালা গলিয়ে একগুচ্ছ আলো এসে রাহাতের মুখে ছড়িয়ে পড়লো। রাহাত পাশ ফিরিয়ে শুলো। নিশি জানালাটা বন্ধ করে দিলো। ইস!! ছেলেটা যে এত ঘুম কাতুরে!!!!!!!
-সমাপ্ত-
©somewhere in net ltd.