![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যাই। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প ।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।
ছোট্ট কিন্তু বিরাট গুরুত্বপূর্ণ একটা গল্প। ঘটনা স্থান রাজশাহী পদ্মার পাড়.....
কিউট একটা মেয়ে বৃষ্টি। চুপচাপ বসে আছে রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে। তার বয়ফ্রেন্ড কুদ্দুসের অপেক্ষায়। কুদ্দুস বিরাট জ্যামে আটকা পড়েছে। তালাইমারি থেকে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বিখ্যাত সে জ্যাম। লেগেই থাকে হরদম। কুদ্দুসকে বিমর্ষ দেখাচ্ছে। বৃষ্টিকে নিয়ে সে যতটুকু না টেনশনে থাকে তার থেকে বেশি টেনশনে মফিজকে নিয়ে। মফিজ শুধু চান্সে থাকে। কখন বৃষ্টিকে ইভ টিজিং করা যায়। কিন্তু কুদ্দুস থাকায় এখন পর্যন্ত সে সুযোগ পেয়ে উঠেনি মফিজ। কুদ্দুস মনে মনে বলে, ‘শ্লার কি জ্যাম রে ভাই!!! জ্যামে আমার মাথা গরম। আইজ যদি মফিজ কিছু করে। মফিজ্জারে খাইয়ালামু!!!’
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। পদ্মার পশ্চিম কোণে সূর্য ঝুপ করে ডুব দিবে কিছুক্ষণের ভিতর। সূর্য ডুবছে আর বৃষ্টির মন খারাপ হচ্ছে। অন্ধকার হলেই কেমন জানি ভয় করে বৃষ্টির। মফিজ ছেলেটা তাকে প্রায়ই ডিস্টার্ব করার চেষ্টা করে কিন্তু আজ পর্যন্ত পারেনি। পারেনি বয়ফ্রেন্ড কুদ্দুসের জন্য।
সূর্য ডুবলো পশ্চিমে। মফিজের উদয় হলো পূর্ব দিকে। সে ধীর পায়ে এগোতে থাকে বেঞ্চিতে গুটিশুটি মেরে বসে থাকা বৃষ্টির দিকে। এক হীন আনন্দে উদ্বেলিত হতে থাকে তার হৃদয়। সে সউল্লাসে চিৎকার করে ওঠে ‘আজ পেয়েছি তোকে বৃষ্টি সুন্দরী। কোথায় পালাবি। হা হা হা............’
সূর্য ডুবেছে আগেই। লাইটের অভাব তাই পরবর্তী দৃশ্য লেখক সাহেব দেখতে পাননি । তবে বৃষ্টি সুন্দরী যে ইভ টিজিং’এর শিকার হয়েছেন তা রাজশাহীর অলি-গলিতে সবাই জানে।
বৃষ্টি সুন্দরীকে ইভটিজিং’র ফলাফলঃ
বৃষ্টি সুন্দরী সেই যে রাজশাহী ছেড়ে গেলেন আর কোনদিন ফিরে এলেন না। কুদ্দুসরা তো শুকিয়ে কাঠ। পদ্মার পানিও শুকিয়ে শেষ। কিন্তু বৃষ্টি আর আসেনা। রাজশাহীর মানুষ বৃষ্টি নামক শব্দখানা ভুলতে বসেছে। তাদের বিশ্বাস কিছুদিন পর বরেন্দ্র জাদুঘরে বৃষ্টি সংরক্ষণ করা হবে। কচিকাচাদেরকে জাদুঘরে নিয়ে ক্লোরোফর্মের বোতলে রাখা বৃষ্টিকে দেখিয়ে বলা হবে ‘বাবু দেখো। বহুকাল আগে এই বৃষ্টি রাজশাহীতে থাকতো!!!!’
এখন রাজশাহীর সব থেকে জনপ্রিয় গান...... “বৃষ্টি একবার চলে গিয়েছিলো নীরবে...আবারও আসিবে ফিরে.....এই পদ্মার পাড়ে...”
-সমাপ্ত-
২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪০
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন:
২| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪১
পংবাড়ী বলেছেন: আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যায়। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প "
"সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যায়। ", ফার্স্ট পারসন থার্ড পারসনে পরিণত হয়ে গেছে; কি লিখবেন আপনি?
২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৪
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য। ভুলটা শুধরে নিতে চেষ্টা করলাম। কি লিখবো এটা না হয় আমাকেই চিন্তা করতে দিন কেমন। শুভ কামনা রইলো।
৩| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
তাসজিদ বলেছেন: মর্মার্থ বুঝতে অক্ষম, ভ্রাতা
২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১১
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: বুঝাইতে না পারার জন্য সত্যিই দুঃখিত। আপনার মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট করলাম।
রাজশাহীর গরমের কথা নিশ্চয় জানা আছে। বৃষ্টি হয়না বললেই চলে। তো বৃষ্টি না হওয়া নিয়ে একটু মজা করে লিখতে গিয়েছিলাম আরকি।
শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি।
৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৭
মদন বলেছেন: তালাইমারি থেকে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বিখ্যাত সে জ্যাম।
গল্প মজার হয়েছে
২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: ধন্যবাদ.........শুভ কামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
পংবাড়ী বলেছেন: ধরে নেন, ভালো হয়নি