নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি আমার দেশকে..আমার ভাষাকে

নাজমুল_হাসান_সোহাগ

আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যাই। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প ।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।

নাজমুল_হাসান_সোহাগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা যখন বাণিজ্য আর রাজস্বের উৎস!!!

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

শিক্ষা গ্রহণ আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই শিক্ষার অধিকার হরণ কি আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে!!

যে কোন দেশের উন্নতির পাথেয় সে দেশের তরুণ সমাজ। পরিসংখ্যান বলে আমরা এমন একটা সময়ের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করছি যখন আমাদের দেশে তরুণরা সংখ্যায় অনেক বেশি। আমরা যদি আমাদের তরুণদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারি তবে আমাদের উন্নতির পথ কি সহজ হবেনা?? নাকি অন্যকোন পথ আছে!!

আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তারা জানি কত অসহায়ের মতন আমাদের শিক্ষা জীবন পার করতে হয়। কতটা সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত আমরা। সুযোগ সুবিধা বলতে এখানে অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়ার কথা বলা হচ্ছেনা। যেটুকু না হলে নয় সেটুকুর কথাই বলছি। যারা প্রযুক্তি বিষয়ে পড়ালেখা করে তারা অনেক ভালো করে জানে সেশোনাল তথা ল্যাব তাদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিতে কতটা জরুরী। কিন্তু দক্ষতা বৃদ্ধি তো দূরের কথা সেশোনাল ক্লাসে ষাটজন মিলে বিকল/অর্ধসচল মান্ধারতা আমলের কোন যন্ত্রের দিকে উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে থাকি তারপর বই থেকে কার্যপদ্ধতি মুখস্ত করে রিপোর্ট প্যাডে মুখস্ত বসিয়ে দেয়া ছাড়া উপায় দেখিনা। নেই আধুনিক যন্ত্র। এতো শুধু বললাম একটা সমস্যার কথা। এরকম হাজারো সমস্যা নিয়ে এখনো যে আমরা কিভাবে ভার্সিটি থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে বেরিয়ে আসি সে এক বিস্ময়।

যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাদেরকে একটা কথা প্রায়ই শুনতে হয়, “তোরা কি ভার্সিটিতে পড়িস, তোদের তো কোন ক্যাম্পাসই নেই!!” যদিও এই কথাটা কোন ছাত্রকেই শোনার কথা না। কারণ, ঐ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ বা নিজের খরচ নিজে দিয়েই একজন ছাত্র প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হচ্ছে তবুও তার জন্য থাকছেনা নিজস্ব কোন ক্যাম্পাস। নিচে দোকানঘর উপরে ভার্সিটি!!! এর দ্বায়ভার কার?? নিশ্চয় ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশন বা সরকারের। কিন্তু, এ ব্যাপারে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। এমনিতে নিজের খরচে পড়েও শিক্ষা গ্রহণের যথেষ্ট সুযোগ নেই উপরন্তু টিউশন ফি বাড়িয়ে দেয়া কতটুকু যৌক্তিক!

এই মুহূর্তে আমাদের সরকারের উচিৎ অন্য যে কোন খাত থেকে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানো। সেই কবে যুদ্ধ হবে সে আশায় অস্ত্র আর গোলা বারুদের মজুদ বাড়ানোর থেকে মস্তিস্ককে আরও দক্ষ করে তুলুন। মস্তিস্ক থেকে বিধ্বংসী অস্ত্র বা গোলা এখনো আবিস্কার হয়নি। কিন্তু আমরা উল্টো পথে হাঁটছি। সরকার তার আয়ের উৎস হিসেবে ছাত্রদের টিউশন ফি বেছে নিচ্ছে। এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্রান্তি অবস্থা তারপর এমন সিদ্ধান্ত কি আদৌ আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান বা শিক্ষার প্রসারে সাহায্য করবে!!

জানি দেশ চালাতে সরকারের অর্থের প্রয়োজন হয়। আর এই অর্থের প্রধান উৎস জনগণ কর্তৃক প্রদত্ত রাজস্ব। শত শত কোটি টাকার মালিক ব্যবসায়ীরা যখন কালো টাকা পকেটে পুরে বীরদর্পে টাকার পাহাড় গড়ে তোলে তখন তাদেরকে পুলিশে না দিয়ে সরকার তাদেরকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেন!! বড় রশিক বাবু আপনারা। যে এবার কালো টাকা সাদা করলো, সে কি পরের বার তার আয়ের রাজস্ব দিবে নাকি কালো টাকা সাদা করার সুযোগের অপেক্ষায় থাকবে?? জানি সরকারের সুবিধাটা কোথায়। নির্বাচনের সময় নেতা নেত্রীদের টাকার যোগান তো এই ব্যবসায়ীরাই করে থাকেন। তাদের কাছে রাজস্ব বা টাকা চাই কিভাবে!!! শরমের ব্যাপার।

শিক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগ চাই, রাজস্ব আরোপ নয়।

সমাপ্ত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.