![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যাই। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প ।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।
হুমায়ুন কবিরের জন্ম ১৯০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি । তিনি একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও দার্শনিক। তাঁর জন্ম অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুরের, বর্তমান বাংলাদেশের কোমরপুর গ্রামে।
নদী ও নারী হুমায়ূন কবিরের জনপ্রিয় উপন্যাস। পদ্মা পাড়ের মানুষের জীবন যেমন পদ্মার ফুঁসে ওঠা বা নীরবে বয়ে চলার উপর নির্ভর করে ঠিক তেমনি নদী ও নারী উপন্যাসের গল্প পদ্মার সাথে তাল মিলিয়ে বয়ে চলেছে।
চরের মানুষের জীবন মূর্ত হয়ে উঠেছে এ গল্পে। তাদের মধ্যকার হিংসা-বিদ্বেষ, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ সাবলীলভাবে ধরা পড়েছে চরিত্রগুলোতে। একদিকে বেঁচে থাকার তাগিদ অন্যদিকে সংস্কার বা বিশ্বাস। একদিকে প্রেম অন্য দিকে বিদ্বেষ। বন্ধুত্বের গভীরতা যেমন মানব হৃদয়কে কাঁদিয়ে তোলে তেমনি দুই শত্রুর লড়াই হৃদয়কে করে তোলে বিষাদময়। এভাবেই ঘটনাবহুল হয়েছে উপন্যাসের গল্প।
খুব সাধারণ আর ঝরঝরে একটা গল্প তাই পাঠক মাত্রই তার কাছে সহজপাঠ্য হবে। তবে গল্পে এমন কিছু আছে যা আপনাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে।
নজু মিয়া আর আসগর বন্ধু ছিলো একসময়। কি কারণে আর কিভাবে তাদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরে তা জানা যায় গল্পের শেষে। পদ্মার তোরে ভেসে যায় নজু মিয়া থাকে শুধু তার সন্তান মালেক। গল্পের প্রবাহে এই মালেকই একসময় আসগরের সংসারে লালিত পালিত হওয়া শুরু করে। গল্প নতুন করে মোড় নেয় এখান থেকেই। মালেককে জড়িয়ে ধরে নুরুর মায়ের হুহু করে কেদে ওঠার কারণে পাঠক কিঞ্চিৎ বিস্মিত হবেন, তবে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে শেষ পর্যন্ত।
এছাড়াও হুমায়ূন কবিরের কিছু রচনাঃ
ইমানুয়েল কান্ট (১৯৩৬)
শরৎ সাহিত্যের মূলতত্ত্ব (১৯৪২)
বাংলার কাব্য (১৯৪৫) (সমালোচনা গ্রন্থ)
মার্ক্সবাদ (১৯৫১)
মীর্জা আবু তালিব খান (১৯৬১)
Poetry, Monads and Society (1941)
Muslim Politics in Bengal (1943)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৪৫)
ধন্যবাদ
-সমাপ্ত-
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।