![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুসুমকান্দি গ্রাম ।বেশ সুন্দর একটি গ্রাম ।এই গ্রামে বার বছর বয়সের কিশোর চপল ।খুব দুরন্ত ছেলে ।গ্রামে তার একটা বিশেষ খ্যাতি রয়েছে-"যে কাউকে তার অন্ডকোষে বিশাল রকমের চিমটি কাটা!" এই দুষ্টু ছেলের চিমটি যার অন্ডকোষে পড়েছে,সেই বুঝেছে অন্ডকোষে চিমটির কত জ্বালা!
এই দুষ্ট কাজের জন্য সে বহুবার গ্রামের মুরুব্বিদের হাতে মার খেয়েছে ।
একবার দুষ্টু চপলের দাদা ঘরে শুয়ে আছে ।বয়স্ক হওয়ার কারণে শরীরের কাপড় ঠিক নেই । সেদিন হয়ত বেশ গরম ছিল কি-না কে জানে ।তার পরনের লুঙ্গি হাঁটু থেকে উঠে এসেছে কোমরে ।তাই তার বৃদ্ধ নাদুসনুদুস অন্ডকোষ খানা বিছানায় ছড়ানো অবস্থায় দেখা গিয়েছিল ।কথায় আছে না-"যেখানে রাত হয় সেখাতে ভূতের হয় ।আর-কি?ওইটাই হল!দুষ্টু চপল সেখানেই রহস্যজনক ভাবে আবিষ্কার হল ।সে আস্তে আস্তে করে তার বৃদ্ধ দাদার কাছে গেল ।তার ডান হাতখানা কাঁকড়ার মত এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে অন্ডকোষের দিকে।আর কাঁকড়া মার্কা হাত দিয়ে বসিয়ে দিল কুটুস করে চিমটি ।বেশ শক্তপোক্ত চিমটি ।আর শোনা গেল একটা বিশাল রকমের চিত্কার ।সারা বাড়ির মানুষ একসাথে জড়ো হল ।কি ভাবছেন?চপল সাহেব বাড়ি আছেন? মোটেও না ।তিনি তখন কয়েক মিনিটে বাড়ি হতে দৌড়ে কমপক্ষে দশ মাইল অতিক্রম করেছে ।
আর একদিন গ্রামের কিছু বাচ্চারা পুকুরে গোসল করছিল ।সেই সময় চপল পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ।বাচ্চাদের দেখে তার মাথায় আটল কুবুদ্ধি মতলব ।সে আস্তে আস্তে তার হাফপেন্টটা খোলে পুকুরের একপাশ দিয়ে নামল আর পানিতে এক ডুব দিয়ে ভেসে উঠল গিয়ে বাচ্চাদের কাছে ।আর তখনি এক বাচ্চার অন্ডকোষে বসিয়ে দিল এক চিমটি! আবারও সেই চিত্কার ।কি আর করা-চপল সাহেব এবার পনের মাইল অতিক্রম করেছেন!
বেশ গরম পড়েছে ।কুসুমকান্দি গ্রামের চাষীরা বেশ কর্মব্যস্ততায় দিন পার করছে ।আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি ।
গ্রামের চেয়ারম্যান গোফরান শাহ ।
বয়স চল্লিশউর্ধ্ব ।অতি গরমের কারণে তিনি তার বাড়ির সামনে বাঁশের মাচায় দক্ষিণ দিকে পা এলিয়ে চিত্ করে শুয়ে ঘুমিয়ে আছেন ।দক্ষিণের বাতাস তার লুঙ্গি খানা পা থেকে কোমরে এনে দিয়েছে ।এই তো দেখা যাচ্ছে গ্রামের বিখ্যাত অন্ডকোষ! এখন শুধু একজন বিখ্যাত লোকের প্রয়োজন । সেই সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল গ্রামের বিখ্যার অন্ডকোষ চিমটি বিশেষজ্ঞ দুষ্টু চপল ।চেয়ারম্যানের এই অবস্থা দেখার পর সে মুক্তিযোদ্ধের গেরিলা কায়দায় আটপায়া বাঁশের মাচার নিচে ঢুকল ।চপল দেখতে পেল বিশাল রকমের অন্ডকোষ খানা বাঁশের ফালির ফাঁক দিয়েই বেশ খানিকটাই বের হয়ে আছে আর সেই বিখ্যাত অন্ডকোষ থেকে বের হচ্ছে দুর্ভেদ্য একটা গন্ধ!
চপল দেরি না করে বাম হাতে তার নাকটা চেপে ধরে ,কাঁকড়া মার্কা ডান হাত দিয়ে বসিয়ে দিল একটা কুটুস করে চিমটি ।চিমটিটা এমনই জোরে ছিল যে,চপলের হাতে অন্ডকোষের চামড়ার ছাল চলে এসেছে ! আবার সেই চিত্কার ।
এবার চপল কয় মাইল দৌড়ে পালিয়েছে তা আমার জনা নেই!
সারা গ্রামগঞ্জে ছড়িয়েপড়ল,কুসুমকান্দি গ্রামের চেয়ারম্যানের অন্ডকোষে চিমটি কেটেছে একট বার বছরে কিশোর!
চেয়ারম্যান সাহেবের কি-আর মান ইজ্জত আছে? একেবারেই নাই ।তাই এবার তিনি চৌকিদার দিয়ে ধরে আনল দুষ্টু চপলকে বিচারের জন্যে ।
শালিস বসেছে চপলের বিচারের জন্যে ।গ্রামের সবাই উপস্থিত ।চপলকে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে ।কিন্তু চপলের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই ।সে মিটমিট করে হাসছে আর চেয়ারম্যানের দিকে তাকিয়ে আছে ।
শালিসে সব রকমের বিচার-বিশ্লেষণ শেষে চেয়ারম্যান রায় দিল-"গ্রামের সব পিচ্ছি ছেলেদের ডেকে আনা হবে ।এবং সবাই ওর অন্ডকোষে একটা একটা করে চিমটি কাটবে ।আর এইটা ওর শাস্তি!"
কিছুক্ষণের মধ্যে সব ছেলে পিচ্ছিদের ডাকা হল ।তাদের নির্দেশ দেওয়া হল চপলের অন্ডকোষে চিমটি কাটতে ।সবাই একে একে চপলের অন্ডকোষে চিমটি কাটতে থাকল ।এদিকে চপল ভয়ে চোখ বন্ধ করে রাখল আর ভাবতে থাকল-"যত যন্ত্রণা পাচ্ছি নিজের অন্ডকোষে তার থেকে বেশি যন্ত্রণা ছিল চেয়ারম্যানের অন্ডকোষের গন্ধ শুকতে!"
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
Nadim820 বলেছেন:
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৯
Nadim820 বলেছেন: হি হি হি হি
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: বোগাস।