![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবুর খান "খান"বংশের ছেলে ।এবার সে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ছে ।তার দুঃখের কোন সীমা নাই ।ছবুরের দুঃখ দেখার মত একটা লোকও পাওয়া যাবে না তয় মেয়ে
পাওয়া যাইব (ল্যাও ঠ্যালা) ।সেই মেয়েটি হচ্ছে তার পাশের চৌধুরী বাড়ির চৌধুরী সাহেবের মেয়ে গোলজাতা বেগম (ল্যাও জাতা) ।
গোলজাতা বেগম ছবুর খানকে খুবই ভালবাসে আবার ছবুর খানও গোলজাতাকে (ল্যাও ঠ্যালা )করেন ।হঠাত্ একদিন ছবুর ও গোলজাতা বেগমের ভালোবাসার কথা চৌধুরী সাহেব জানতে পারল....(ল্যাও ধরা)।চৌধুরি সাহেব তার মেয়ে গোলজাতাকে ঘরে আটকে রাখল ।
এদিকে ছবুর খান গোলজাতার কষ্টের কথা শুনে ছুটে আসল চৌধুরী বাড়ি ।গিয়ে দেখল চৌধুরী বাড়ির দরজা বন্ধ ।ছবুর দরজাটা
উসটা দিয়ে ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকল(ল্যাও ভাঙ্গা) আর চিত্কার করে বলতে থাকল-
"গোলজাতা,তুমি কোথায়?কোথায়
তুমি.....কোথায়? ছবুরের ডাক শুনে গোলজাতা বেগম ঘরে থাকতে পারল না ।সে ছুটে এসে ছবুরকে
জড়িয়ে ধরল এবং বলল-"আমাকে তুমি এখান থেকে বের করে নিয়ে যাও ।আমি তোমায়
ছাড়া থাকতে পারব না ।"
একথা শুনে ছবুর বলল-"ঠিক আছে আমার গোলগুলি ।চল আমরা পালাই ।"
ঠিক পালানোর সময় চৌধুরি সাহেব
ছবুর ও গোলজারের পথ রোধ করে দাঁড়াল।আর ছবুরের বুকে তিনি বন্দুক তাক করলেন ।
চৌধুরি-"খামুশ-হারামজাদা,আমার
মেয়েকে নিয়ে তুই পালিয়ে যাচ্ছিস !তোকে আজ গুলি করে মারব ।
ছবুর-"আমি আপনার মেয়েকে ভালবাসি ।আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই ।"
চৌধুরী-"চুপ কর হারামজাদা!তোর কাছে আমার মেয়ে বিয়ে দেব না ।কারণ তুই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িস ।তাও বাংলায়!"
ছবুর-"জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ি বলে আমি বিয়ে করতে পারব না চৌধুরী সাহেব?"
চৌধুরী-"না পারবি না!তুই এখন দ্বিতীয় বর্ষে পড়িস ।ফাইনাল দিতে দিতে তুই বুইড়া হয়ে যাবি ।তাই বিয়ে দিব না ।"
ছবুর-"দিতে হবে আপনাকেই। এখনই!"
চৌধুরী -"না ।কোন কাজ ত করিস নে আবার আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাচ্ছিস ! তার থেকেও বড় অপরাধ তুই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িস!"
ছবুর-"গোলজাতাকে বিয়ে করেই ছাড়ব ।যদিও না আমার মরণ হয় ।"
চৌধুরী- (বন্দুক ছবুরের দিকে বন্দুক তাক করে) এই নে তোর মরার এতই সখ যখন! মর!"
গোলজাতা-"না বাবা না! ওকে গুলি করো না ! ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না!
এদিকে চৌধুরি সাহেব ছবুরকে গুলি করে দিলেন ।কিন্তু গুলি গিয়ে লাগল গুলজাতার বুকে।এ কি হল কান্ড!
(বুইড়া বয়সে চৌধুরী সাহেবের হাত সই নাই!)
প্রেমিকা গোলজাতা বেগমের মৃত্যু দেখে ছবুর খান চৌধুরী সাহেবের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে সে নিজের বুকে গুলি করল।এমন সময় চৌধুরী সাহেবের সামনে পড়ে
আছে ছবুর খান আর গোলজাতা বেগমের লাশ(ল্যাও মর্মান্তিক) ।সেই জায়গাতেই তাদের কবর দেওয়া হল ।সেখান থেকে সৃষ্টি
হল এক বিস্কুট গাছ । সেই বিস্কুট খেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা খালি আর ঘুমায়! বিয়ার কোন খবর নাই!!! (ল্যাও ঠ্যালা)
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
Nadim820 বলেছেন: আমি পড়ি না তবে ওদের দুঃখ বুঝি
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
আব্বাস বলেছেন: হা...হা...হা... আমিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মজা পাইলাম।