![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভৌতিক স্থান:
কবরস্থানের পাশে এক হোটেল যেটা চিটাগংয়ে অবস্থিত (হোটেলের বিশেষ এক রুম হন্টেড, অন্য সবকিছু স্বাভাবিক)
ঘটনার বর্ণনাকারী:
সাকিব চৌধুরী (ক্রিপটিক ফেইট ব্যান্ড)
যে প্রোগ্রামে বলেছিলেন :
ভূত এফ এম (রেডিও ফূর্তি)
ঘটনা ঘটেছিল :
অর্থহীন ব্যান্ডের সুমনের সাথে। (যিনি বেজবাবা নামে সুপরিচিত)
বেজবাবা যা এক্সপেরিয়েন্স করেছিলেন :
সুমন ভাই আর ওনার এক জুনিয়র ফ্রেন্ডকে ব্যক্তিগত কাজে একবার চট্টগ্রামে যেতে হয়। চট্টগ্রামে গেলেই উনি সাধারণত কবরস্থানের পাশে এক হোটেলে উঠতেন। সেবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, চিটাগংয়ে যাওয়ার পর চেক ইন করলেন ওই হোটেলটাতেই।
সারাদিন ব্যক্তিগত কাজ সেরে, আড্ডা-টাড্ডা মেরে রাত ১০ টার দিকে তারা হোটেলটাতে ফিরে আসে। স্বভাবতই খুব ক্লান্ত থাকায় দুজনেই ঘুমাতে চলে গিয়েছিলেন।
যে রুমে ওনারা থাকছিলেন, সেটা ছিল ডাবল বেডের ছোট্ট একটা রুম। রুমের দরজার কাছের বিছানাতে ঘুমাচ্ছিলেন বেজবাবার জুনিয়র সেই ফ্রেন্ড। বেজবাবার বিছানাটা ছিল দরজার থেকে কিছুটা দূরে।
সময় তখন আনুমানিক রাত ১১ টা। কাশির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সুমন ভায়ের। আওয়াজ শুনে সুমন ভাই প্রথমে ভেবেছিলেন তার জুনিয়র ফ্রেন্ডটার মনে হয় ঠান্ডা লেগেছে, তাই কাশাকাশি করছে।
উনি মাথাটা ঘুরায়ে ফ্রেন্ডের দিকে তাকালে দেখতে পান যে, উনি গভীর ঘুমে নাক ডাকছে। ফ্রেন্ডের মধ্যে ঠান্ডা লাগার কোন লক্ষনই নেই।
কিছুটা কনফিউযড হয়ে বেজবাবা আবার ঘুমাতে চলে যান।
পাঁচ মিনিট পর আবার কাশির শব্দে ওনার ঘুম ভেঙে যায়। বেজবাবা দ্রুত ফ্রেন্ডের দিকে তাকান। তাকায়ে দেখেন যে, আগের মতোই নাক ডেকে আরামে ঘুমাচ্ছে।
উনি পুরা বিভ্রান্ত হয়ে, ফ্রেন্ডটাকে ঘুম থেকে জাগায়ে তুলেন। ফ্রেন্ডটাও থতমত খেয়ে উঠে বেজবাবাকে জিজ্ঞেস করে: কি হইছে , ভাই। কোন সমস্যা নাকি ?
বেজবাবা জানতে চায়: তোমার ঠান্ডা লাগছে নাকি? কাশির শব্দে ঘুম ভেঙে গেল।
প্রশ্ন শুনে ছেলেটা বললো: না, আমিতো একদম ঠিক আছি।
পরে বেজবাবা ব্যপারটা আর বাড়তে না দিয়ে, ফ্রেন্ডটাকে ঘুমায়ে যেতে বলল। উনি নিজেও ঘুমাতে চলে গেলেন।
ত্রিশ মিনিট পর বেজবাবার আবার ঘুম ভেঙে যায়। এবারের কারণ আর সেই কাশির শব্দ নয়। দরজার লক কেউ একজন খুলার চেষ্টা করছে। দরজাতে খচখচ আওয়াজ। আওয়াজ শুনে বেজবাবা দরজার দিকে যান। বাইরে তাকিয়ে দেখেন যে, করিডোরে কেউই নেই।
আবার বিছানাতে ফিরে আসেন। ওনার ফ্রেন্ডটা তখনও বেঘোড়ে ঘুমাচ্ছিল। এতসব ঘটনার কিছুই টের পায়নি।
বেজবাবা যেহেতু প্যারানরমাল ব্যপারে অভিজ্ঞ, সে কারণে উনি কিছুটা সতর্ক হয়ে গেলেন । বিছানায় শুয়ে ঘুমের ভান করতে লাগলেন। কিছুক্ষন পর আবার দরজার লক ঘুরানোর আওয়াজ। উনি এবার ক্ষিপ্র গতিতে বিছানা থেকে উঠে গেলেন। বন্ধুর বিছানার উপর দিয়ে লাফ দিয়ে দরজার কাছে দৌড়ে চলে গেলেন । দরজা এক হ্যাচকাতে খুলে ফেললেন।
বাইরে তাকাতেই দেখলেন ছায়ার মত কিছু একটা চোখের পলকে মিলিয়ে গেল। অবস্থা বেগতিক দেখে ফ্রেন্ডকে ঘুম থেকে জাগায়ে দেন বেজবাবা। ঘুমাতে যাওয়ার মন মানসিকতা একেবারেই উবে যায়। খুব ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেন দুজনে।
বাসায় আসার পর সুমন ভাই খাবার টেবিলে তার বাবার কাছে ঘটনাটা শেয়ার করেন। ঘটনা শুনে উনার বাবা বললেন: তুমি কি অমুক নাম্বার রুমে উঠেছিলে নাকি ? সুমন ভাই বললো: হ্যা। উনার আব্বা বললেন: আমিও ওই রুমে থাকার সময় একই ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম। রুমটাতে নিশ্চিত ঝামেলা আছে।
এরপর থেকে চিটাগংয়ে গেলে বেজবাবা আর কখনই ওই রুমে উঠেননি।
সাকিব চৌধুরী ঘটনাটা বলার সময়, হোটেলের নামটা চেপে গিয়েছিলেন। শুধু বলেছিলেন : কবরস্থানের পাশের এক হোটেল যেটা চিটাগংয়ের অনেকেই চিনে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৩
নাফি ইমতি বলেছেন: আমিও গুগল ম্যাপ ঘেঁটে কবরস্থানের পাশের এক হোটেল চিহ্নিত করেছি । যেহেতু বর্ণনাকারী নামটা চেপে গিয়েছেন, সেই কারণে সিউর হতে পারলাম না।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: কিছুই তো বুঝতে পারলাম না।
০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৮
নাফি ইমতি বলেছেন: হন্টেড রুম। আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল। দরজায় শব্দ। দ্রুত উঠে খুলে দেখতে পেলেন ছায়ার মতো কিছু একটা। চোখের পলকে হারিয়ে গেল।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৪২
অধীতি বলেছেন: ভুতুরে ব্যাপারগুলোতে অন্যরকম রোমান্স আছে। বেজবাবা সাহসী, অন্যকেউ হলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে চিল্লাপাল্লা শুরু করে দিত।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হোটেলটা সম্ভবত বেশ পরিচিত। সম্ভবত অনুমান করতে পেড়েছি।