নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ক্ষুদ্র ব্লগার একজন আগাগোড়া স্বাধীনচেতা বাংলাদেশী। মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনপ্রকার আপোষ করে না। ধন্যবাদ

নাহিদ ২০১৯

নিজের সম্পর্কে লিখতে লজ্জা পাই,কারন নিজেকে নিয়ে বিশেষভাবে যে কি লিখবো তাই খুঁজে পাই ন।তবে হ্যাঁ আমি একজন মানুষ, রোবট নই এটুকু বলতে পারি।

নাহিদ ২০১৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

❝গ্লোরিয়াস রিভলিউশন অফ ১৬৮৮❞

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৮

১৬৮৫ সালের কথা, তৎকালীন বৃটেনের রাজা চার্লস দ্বিতীয় এর কোন সন্তান না থাকার কারণে তার সিংহাসন পেয়ে যান রাজার ছোট ভাই জেমস দ্বিতীয়। জেমস দ্বিতীয় ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিস্টান। তিনি সিংহাসনে বসেই ক্যাথলিকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি শুরু করেন। তিনি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং সেনাবাহিনীর বড় বড় পদে ক্যাথলিকদের নিয়োগ দেন। তিনি এমন কিছু আইন তৈরি করেন যাতে করে ক্যাথলিকরা বেশি স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা ভোগ করতে পারে।

এ সবকিছু দেখে বৃটেনের প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানরা বিচলিত হয়ে পড়ে। প্রোটেস্ট্যান্টরা ভাবতে শুরু করেন জেমস দ্বিতীয় ব্রিটেনকে একটি পুরোপুরি ক্যাথলিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে যাচ্ছেন। তাদের এ ধারণা আরও পাকাপোক্ত হয় যখন রাজা জেমস দ্বিতীয় তৎকালীন রাজ্য সংসদ রদের ঘোষণা দেন। তিনি সংসদে তার নিকটস্থ লোকদের নিয়োগ দিতে থাকেন যাতে করে সংসদেও রাজার সর্বোচ্চ ক্ষমতা বজায় থাকে।

কিন্তু এত কিছুর পরও প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানরা আশার আলো খুঁজে পান রাজার মেয়ে মেরির মধ্যে। রাজা জেমস দ্বিতীয় ক্যাথলিক হলেও মেরি ছিলেন প্রোটেস্ট্যান্ট। আর তখন অব্দি রাজার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় স্বভাবতই রাজার মৃত্যুর পর মেরি বৃটেনের রানী হতেন।
কিন্তু বিধিবাম রাজার দ্বিতীয় স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এবং রাজা ঘোষণা করেন তিনি তার এই সন্তানকে ক্যাথলিক হিসেবে বড় করবেন।

এ সবকিছু দেখে প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মগুরুরা রাজার নিকটস্থ কিছু কর্মকর্তাদের সাথে মিলে মেরির স্বামী উইলিয়াম অফ অরেঞ্জ কে ব্রিটেন আক্রমণের জন্য চিঠি পাঠালো। উইলিয়াম অফ অরেঞ্জ ছিলেন ডাচ সর্বাধিনায়ক। প্রতিবেশী ফ্রান্সের সাথে তার যুদ্ধ লেগেই থাকত তিনি ভাবলেন যদি তিনি বৃটেনের রাজা হয়ে যান তবে বৃটেনের সহায়তায় তিনি ফ্রান্স আক্রমণ করতে পারবেন।
অবশেষে ১৬৮৮ সনে উইলিয়াম অফ অরেঞ্জ ৩৫ হাজার সৈন্য নিয়ে ব্রিটেনে উপস্থিত হন। রাজা এক সবকিছু দেখে মৃত্যুভয়ে ফ্রান্স পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তার নিকটস্থ কর্মকর্তাদের নিকট বন্দি হন। কিন্তু মাসখানেক পর দ্বিতীয় চেষ্টায় তিনি ফ্রান্স পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ফ্রান্সের তৎকালীন রাজা ছিলেন জেমস দ্বিতীয় এর চাচাতো ভাই লুই চোদ্দ।

এদিকে উইলিয়াম অফ অরেঞ্জ বৃটেনের নতুন রাজা এবং স্ত্রী মেরি রানী নির্বাচিত হন। উইলিয়াম অফ অরেঞ্জ পুনরায় সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ডিক্লারেশন অফ রাইটস বিল পাস করার মাধ্যমে বৃটেনের রাজতন্ত্রের ইতিহাসই পরিবর্তন করে দেন। এই বিল পাস হওয়ার ফলে সংসদে জনগণের মতামতের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। রাজার সিদ্ধান্তে বাধা প্রদানের ক্ষমতা অর্পিত হয় সংসদের উপর। যার ফলে প্রথমবারের মতো ব্রিটেন একটি সাধারণ রাজতন্ত্র থেকে হয়ে ওঠে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।

এই বিলটি পরবর্তীতে বিল অফ রাইটস নামে পরিচিতি পায় এবং সময়ের সাথে সাথে বৃটেনের রাজার ক্ষমতা হ্রাস পেতে পেতে আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। ইতিহাসের পাতায় রক্তপাতহীন এ বিপ্লব ❝গ্লোরিয়াস রিভলিউশন অফ ১৬৮৮❞ নামে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৩

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: ওকে রাজীব ভাই

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা হয়েছে।
অল্প কথা গুছিয়ে লেখা হয়েছে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৫

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.