নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাজমুল

নাজমুল ইসলাম মকবুল

নাজমুল ইসলাম মকবুল

জীবন একটা.......................

নাজমুল ইসলাম মকবুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহমুদুর রহমানের দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান : ইচ্ছেমতো সংবিধানের পরিবর্তন রাষ্ট্রদ্রোহিতা : আমার দেশ সম্পাদকের কারাভোগ বিচারবহির্ভূত : এম কে আনোয়ার

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:০৫



দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কারাবন্দি মাহমুদুর রহমানের লেখা দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, মাহমুদুর রহমানকে ভালোবাসলে তার বই পড়ুন। তারা বলেন, আদালতের রায়ের নামে ইচ্ছেমতো সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এর চেয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি ও অসততা দেশে আর হয়নি। এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, অযৌক্তিক দণ্ড দিয়ে সাংবিধানিক অধিকার থেকে মাহমুদুর রহমানকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাকে দেয়া দণ্ড মূলত আইনবহির্ভূত। তিনি বিচারবহির্ভূত কারাভোগ করছেন। এই দণ্ড দেয়ার ক্ষমতা আদালতের নেই।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কারাবন্দি মাহমুদুর রহমানের লেখা ‘১/১১ থেকে ডিজিটাল’ ও ‘নবরূপে বাকশাল’ বই দুটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাসি প্রকাশনী বই দুটি প্রকাশ করেছে। গতকাল থেকেই একুশের বইমেলায় হাসি প্রকাশনীর বি-৪ ও ৫ নম্বর স্টলে বই দুটির বিক্রি শুরু হয়েছে।

প্রখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিঞা, কবি ফরহাদ মজহার, মৌচাকে ঢিল সম্পাদক শফিক রেহমান ও বই দুটির প্রকাশক হেলাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি আবদুল হাই শিকদার ও কবি হাসান হাফিজ। স্বাগত বক্তৃতা করেন আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি অলিউল্লাহ নোমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, মাহমুদুর রহমান মুক্তি পরিষদের সদস্যসচিব প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, দৈনিক আমার দেশ-এর নগর সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি হাসান মামুন, এনার্জি সল্যুশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজুর রহমান কবির প্রমুখ।

পুনর্মুদ্রণে ইচ্ছেমতো সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করা হয়েছে অভিযোগ করে এম কে আনোয়ার বলেন, পঞ্চম সংশোধনীতে ৪১টি অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়েছিল। আদালত এ সংক্রান্ত রায়ে ১০টি অনুচ্ছেদে হাত দিয়েছে। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশনা ছাড়াই পুনর্মুদ্রিত সংবিধানে অন্তত ৫০টি অনুচ্ছেদে সংশোধনী আনা হয়েছে। তিনি বলেন, পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারপতিদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছিল। নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এ নিয়ে তারা কোনো রায় দিতে পারেন না। ২৫ অনুচ্ছেদে মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলা ছিল, তাও তারা উঠিয়ে দিয়েছেন। এভাবে সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এর চেয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি ও অসততা আর হয়নি। এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তিনি বলেন, এরপরও কিভাবে বিচারপতিরা সংবিধান সংরক্ষণ করবেন, তারা কোন সংবিধান রক্ষা করেন, তা দেশবাসী দেখার অপেক্ষায়।

এম কে আনোয়ার বলেন, মাহমুদুর রহমান কারাগারে আছেন। কেন আছেন? তাকে আইনগতভাবে কারাদণ্ড দেয়া হয়নি। সাংবিধানিক অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাকে দেয়া দণ্ড মূলত আইন বহির্ভূত। তিনি বিচার বহির্ভূত কারাভোগ করছেন। এই দণ্ড দেয়ার ক্ষমতা আদালতের নেই। দুই হাজার টাকার স্থলে এক লাখ টাকা এবং ছয় মাসের দণ্ড দেয়া পৃথিবীর ইতিহাসে আর হয়নি। একই মামলায় তিন ধরনের বিচার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান বিবেকের বন্দি। আমরা যেমন বলি—ফেলানী নয়, কাঁটাতারে ঝুলছে বাংলাদেশ। তেমনি মাহমুদুর রহমান নয়, দেশের সব বিবেকবান মানুষ কারাগারে আছেন। তিনি এক ইঞ্চিও মাথানত করেননি। এতে দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে আছে।

এম কে আনোয়ার বলেন, এ সরকার ধীরে ধীরে বাকশালের দিকে ছুটছে। ’৭৫-এর আদলেই অগ্রসর হচ্ছে। প্রথম টার্গেটে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করা হলো। দু’জন বিচারপতিকে সুপারসিড করে বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, কারাদণ্ড শেষ হলেও মাহমুদুর রহমান মুক্তি পাননি। অন্যায়ভাবে একজনকে শাস্তি দিয়ে হজম করতে পারলে পরবর্তীতে আরও অনেকের ওপর ভোগান্তি নেমে আসবে। এ দুর্ভাগ্য বরণ করতে হবে আরও অনেককে। এদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসও এখন মানসিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, কলমের মাধ্যমে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আমরা জানি। দেশবাসী তাকে চেনে। আশা করি, শিগগিরই তিনি মুক্ত হয়ে আসবেন। কলাম লেখার মাধ্যমে তিনি দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে আবারও কথা বলবেন।

আতাউস সামাদ বলেন, মাহমুদুর রহমানকে দণ্ড দেয়ার পর গণমাধ্যমকে আরও সোচ্চার হওয়া দরকার ছিল। তবে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় বেশ ক’টি নিবন্ধ ছেপে অন্যায় দণ্ডের সমালোচনা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের বেঞ্চ তাকে শাস্তি দেয়ায় এর বিরুদ্ধে কোথাও আপিলের সুযোগ নেই। রিভিউ পিটিশনের সুযোগ রয়েছে। তবে রিভিউ করতে গেলে বিচারপতিরা বললেন, “তোমাদের কাছে মামলার রায়ের কপি নেই।” তিনি বলেন, আপিল বিভাগ মামলার রায় না লিখে চালাকি করেছেন। এ পরিস্থিতিতে আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। পুলিশের লাঠিপেটার ভয়কে পাত্তা না দিয়ে রাস্তায় গিয়ে মিছিল করতে হবে। তিনি বলেন, আইন ও বিচার বিভাগ নিয়ে এ জাতি সঙ্গটে আছে। একজন লোকের ইচ্ছায় যদি মাহমুদুর রহমান কারাভোগ করেন তাহলে জাতিতো মহাবিপদে আছে। ওই ব্যক্তির ইচ্ছায় জনগণের যে কাউকে এমন ভোগান্তির মুখোমুখি করা হতে পারে।

শফিক রেহমান বলেন, এক-এগারো সরকারের দুষ্ট-উদ্যোগের বিরুদ্ধে যে ক’জন ব্যক্তি সোচ্চার ছিলেন মাহমুদুর রহমান তাদের অন্যতম। তিনি সততার সঙ্গে যে কোনো কঠিনকে মেনে নিয়ে জাতির বিবেকে পরিণত হয়েছেন। কারারুদ্ধ হলেও তিনি টলে যাননি। সেখানে আইন বিষয়ে শিক্ষার্জন করছেন। মুক্ত হয়ে মাহমুদুর রহমান আদালতে গিয়ে যদি বেআইনি বিচারের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন, আর সেখানে যদি কারো বিরুদ্ধে রায় হয়ে যায়, তখন বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে কি? জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, উড়ে এসে জুড়ে বসে প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সুপারসিড করে প্রধান বিচারপতি হয়ে এমন চেষ্টা দেশের মানুষ সফল হতে দেবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে।

কবি ফরহাদ মজহার বলেন, অবারিত এখতিয়ার নিয়ে আদালত মাহমুদুর রহমানকে যে সাজা দিয়েছেন, তা ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। রায় না লিখেই তিনজন বিচারপতি অবসরে গেছেন। একজন রায় লিখবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। একজন সম্পাদক, দেশের একজন নাগরিকের এমন পরিস্থিতি হলে আদালতের ওপর মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার ভার থাকলো কিভাবে?

‘মাহমুদুর রহমান কোনো দল বা গোষ্ঠীর নন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি জাতীয় স্বার্থ নিয়ে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করেছেন। মাহমুদুর রহমান বিএনপি পক্ষের লেখক নন। বুদ্ধিবাদী একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি লিখে চলেছেন। একটি জাতীয় স্বার্থের জায়গায় দাঁড়িয়ে ‘জাতির বিভক্তি’কে কমিয়ে আনতে চেষ্টা করেছেন তিনি। তার জাতীয়তাবাদী শক্তির ব্যাখ্যাটা ভিন্ন। মাহমুদুর রহমানকে যারা ভালোবাসেন তারা তার বই পড়বেন। কেবল তাঁবেদার সংখ্যালঘু শ্রেণী ছাড়া সবাই তাকে পছন্দ করেন। মাহমুদুর রহমানকে দলীয় জায়গায় না ভেবে তার চিন্তার দার্শনিক ভিত্তি খুঁজে দেখতে হবে। ফরহাদ মজহার বলেন, আমরা আগামী ১৯ মার্চ মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত দেখতে চাই। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই দাবি উঠে আসতে হবে।

প্রকাশক হেলাল উদ্দিন যে কোনো ইতিবাচক ইস্যুতে বই প্রকাশ করতে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

সুত্র: আমার দেশ ২৩-০২-২০১১

Click This Link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১১

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: হাঃহাঃ

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৯

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: :|| :|| :|| :| :|

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০৯

মাহমুদ মান্না বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.