নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাজমুল

নাজমুল ইসলাম মকবুল

নাজমুল ইসলাম মকবুল

জীবন একটা.......................

নাজমুল ইসলাম মকবুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফতাব চৌধুরীর প্রকৃতি ও জীবন

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

আফতাব চৌধুরীর প্রকৃতি ও জীবন

নাজমুল ইসলাম মকবুল



ধাধা লাগিয়ে দিলেন টেলিফোনে। জানালেন চমক আছে। জীবনের সেরা অর্জন। পাঠিয়ে দিয়েছি কুরিয়ারে। কালই পেয়ে যাবেন। বুঝতে বাকী রইলনা যে, একডজন বইয়ের জনকের বইয়ের সংখ্যা এবার ডজন পেরিয়েছে নিশ্চয়। জানতে চাইলাম বইয়ের নামটা কী। চিরায়ত ভঙ্গিমায় হেসে হেসে বললেন নাম বললেতো আর চমক থাকবেনা। হাতে পেলেই দেখতে পাবেন। সত্যিই হাতে পাবার পর শুধু চমকিত হইনি পুলকিতও হয়েছি। কারন হররোজ শিয়রে রাখার মতো এ ধরনের চমৎকার একটি গ্রন্থ খুজছিলাম দীর্ঘদিন যাবত। কেন জানি যাচ্ছিল তাই খরা। এবার আমার হাতে দিল সেই চমক আজ ধরা। মিশে আছে পাতায় পাতায় চোখধাঁধাঁনো জাঁদু। বইটি সবার কাজে লাগবে যতই থাকুন সাধু। সত্যিই যেন পেয়ে গেলাম ব্যক্তিগত থেকে পারিবারিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন স্থায়ী প্রেসক্রিপশন।

সেই প্রেসক্রিপশনের ডাক্তার হলেন, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নে চির-সংগ্রামী, চির যৌবনা সুপুরুষ ‘বৃক্ষপ্রেমিক’ আফতাব চৌধুরী। হাল আমলে তাঁর কলম থেকে গবেষনাধর্মী চমৎকার লেখার ঝর্নাধারা প্রবাহিত হতে শুরু করায় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকের খ্যাতিও। ব্যক্তিগত জীবনে জাতীয় আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে পুরস্কারও পেয়েছেন প্রচুর। সিলেট লেখক ফোরাম’র অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০১২ তে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক সেরা লেখকের সম্মাননা দিতে পারায় গর্বিত আমরাও।

প্রতিনিয়তই যার কোন না কোন লেখা জাতিয় স্থানিয় দেশি বিদেশি পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে পাঠকের মনের খোরাক যুগিয়ে যাচ্ছে এমন ব্যস্ততম লেখকের এ পর্যন্ত ১। ইদানিং, ২। সত্যের মুখোমুখী, ৩। আলোর সন্ধানে, ৪। ইতিকথা, ৫। জীবন ও জগৎ, ৬। কৌতুক, ৭। নির্বাচিত কলাম, ৮। নজরুল প্রতিভার নানা দিগন্ত, ৯। প্রত্যাশার দিগন্তে কালো মেঘ, ১০। হাসতে নেই মানা, ১১। আলো-যৌথ সম্পাদনা, ১২। একের ভিতর একুশ নামক এক ডজন মুল্যবান গ্রন্থ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে তাঁরই জীবনের সেরা অর্জন তেরতম গ্রন্থ প্রকৃতি ও জীবন।

প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে যার মিশে আছে অস্থি মজ্জা, চিরতারুন্যের ঝলকানি যার আপাদমস্তকে চলনে বলনে প্রতিভাধর এ মহান ব্যক্তিত্ব আফতাব চৌধুরী সম্পর্কে দেশ বিদেশের শ্রেষ্ঠ গুণীজনেরা অনেক লিখেছেন, অনেক মন্তব্য করেছেন যা আলোকপাত করতে হলে বিশাল পুস্তক রচনা ছাড়া উপায় নেই।

তাঁর এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসমুহের মধ্যে সেরা প্রেসক্রিপশন হচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন। বইটির যেমন নজরকাড়া রং তেমন রূপও। ডাক্তার রোগীর জন্য প্রেসক্রিপশনে দাওয়াইয়ের নাম লিখে ক্ষেত্রবিশেষে কিছু দাওয়াই এক্কেবারে স্থায়ীভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে আলাদা করে লিখে দেন চলবে। এই চলবের মতো প্রত্যেকের জীবন সঙ্গী হওয়ার এক্কেবারে উপযুক্ত এ দাওয়াই হচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন। বইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করলে সুফল পাবেন সকলে।

বইটিতে আ¤্রপালী আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু, আনারস, পেয়ারা, বেল, নারিকেল, কলা, পেঁপে, কমলা, বাতাবি লেবু, লেবু, কামরাঙ্গা, জলপাই, বিলিম্বি, সাতকরা, তরমুজ, শসা, শিম, বরবটি, মিষ্টি আলু, চিচিঙ্গা, লাউ, চাল কুমড়া, ভেন্ডি, ফুলকপি, ব্রোকোলি, করলা, ঝিঙ্গা, লঙ্কা, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, কচু, জীবনের জন্য হাসি, সাঁতার: নানা রোগের ঔষধ, চা: শরীর, মনকে চাঙ্গা করে, দিনে ২ বার দাঁত ব্রাশে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, হাঁটার বিকল্প নেই, হাত ধোয়া জরুরি, পানি পানে সুস্থ থাকুন, সুস্থ থাকার উপায়, চর্বি বাড়ছে, সজাগ থাকুন, মন ভালো তো হৃদযন্ত্র ভালো, ধুমপানে ডায়াবেটিস, ক্যানসার: কিছু কথা, ত্বকের শুষ্কতায় বাঁধাকপি, তুলসিপাতা গুণে ও মানে সমৃদ্ধ, ঘুতকুমারীর গুণাগুণ, স্বাস্থ্য রক্ষায় গাজর, টমেটোর যত গুণ, পালং শাকের পুষ্টগুণ, সজনে পাতার গুণ, বেগনের নানা গুণ, স্বাস্থ্য রক্ষায় রসুন, দইয়ের পুষ্ঠিগুণ, মেজাজ চাঙ্গা করে পুদিনা, জন্ডিসে আখের রস, ক্যানসার প্রতিরোধে ত্রিফলা, মাছ ও মাছের তেল, লবঙ্গের উপকারিতা, আমলকীর গুণাগুণ, মেথির আছে অনেক গুণ, মাশরুম: ভেষজ, পুষ্টিগুণে ভরপুর, হরিতকী খেলে কাশি কমে, রোগ প্রতিরোধে বাদাম, হার্ট এটাক রোধে বেদানার রস, তেজপাতা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ব্যথা রোধে দারুচিনি, জায়ফল নানা গুণে সমৃদ্ধ, আপেলের নানা গুণ, ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর, মধু: প্রকৃতির মহৌষধ, সবেদার গুণাগুণ নামক পচাত্তরটি শিরোনাম উপশিরোনামে সহজ সরল ভাষায় রঙিন আলোকচিত্রসহ উপস্থাপন করেছেন চমৎকারভাবে।

সমাপণীতে লেখক পরিচিতি ও গুণিজনের মন্তব্য সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেছেন লন্ডন থেকে এনামুল হক চৌধুরী।

লেখাগুলো লেখকের কঠোর পরিশ্রমের ফসল তা বুঝতে কারো বেগ পাবার কথা নয়। গবেষনা ও দিকনির্দেশনাধর্মী জীবনমান উন্নয়নে অতি প্রয়োজনীয় পথ্য হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করি। লেখকের সিমাহীন শ্রম ও গবেষনা ছাড়া এসব মুল্যবান মনি মুক্তা দেশ ও জাতিকে উপহার দেয়া সম্ভব নয়।

পরিবেশ তারকা আফতাব চৌধুরীর এ গবেষনা গ্রন্থটির গর্বিত প্রকাশক হামনা খানম চৌধুরী, স্বত্ব মাহবুব, মারুফ, মাসুদ। প্রকাশকাল ফেব্র“য়ারী ২০১৪। নান্দনিক প্রচ্ছদ এঁকেছেন মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান, বইটি উৎসর্গেও আছে চমক, চোখধাধানো চার রঙা ঝকঝকে শক্ত মলাটে বাঁধাই, ভেতরে সম্পূর্ণ গ্লসি পেপারে রঙিন ছবিসহ ছাঁপা ১৬০ পৃষ্টার গ্রন্থটির মুল্য রাখা হয়েছে দুইশত পঞ্চাশ টাকা, সাত মার্কিন ডলার, পাঁচ পাউন্ড যা বইয়ের মান অনুযায়ী পাঠকদের নাগালের বাইরে বলা যাবেনা। বইয়ের ফ্ল্যাপ এ রয়েছে লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচয়। ভুমিকা লিখেছেন জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, কৃষি রেডিও, ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। গ্রন্থটির মাধ্যমে সমাজ রাষ্ট্র তথা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভান্ডারে লেখক আফতাব চৌধুরী অমর ও অক্ষয় হয়ে থাকবেন আজীবন। স্ফিত হতে পারে পুরস্কারের ঝুলিও। মানবতাবাদী ও পরিবেশবিদ লেখক আফতাব চৌধুরীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনার পাশাপাশি গ্রন্থটির বহুল প্রচার কামনা করছি।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.