![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়ছি শাহজালাজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। লিখতে অনেক আলসেমি লাগে, ধৈর্যের অভাব, তবুও মাঝেমাঝে শখ জাগলে অপচেষ্টা করি কিছু লিখার।
আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি অগোছালো লেখার জন্য...
প্রথম কোন মুভি রিভিউ লেখার ব্যর্থ চেষ্টা.........
কিছু কপি পেস্টিং আছে...
.........কিঞ্চিৎ স্পয়লার এলার্ট......
পিঁপড়াবিদ্যা নিয়ে অনেকের অনেক লেখাই পেয়েছি...
বেশিরভাগই এড়িয়ে চলেছি...
আজ দেখলাম, দেখার পর কিছুক্ষণ ভাবলাম...
মানতে বাধ্য হচ্ছি,
"পিঁপড়াবিদ্যা আগাগোড়া মজায় ঠাসা এবং সম্ভবতঃ বেদনায়ও..."
মানছি এটা পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মত কোন চলচ্চিত্র নয়। ব্ল্যাক কমেডিতে যারা অভ্যস্ত নয় তাদের কাছে হয়ত অশ্লীল ই মনে হবে।
এটাও মানছি যে গল্পে আহামরি রকমের কিছু নেই, সাদামাটা।
একটু বিরক্তিও লাগতে পারে...
কিন্তু এই সাদামাটা গল্পের আড়ালে যে গভীরতা তা বুঝতে হলে আগে ভাবতে হবে। এটা গতানুগতিক কোন চলচ্চিত্র নয়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একটি মুন্সিয়ানার নাম । তার চলচ্চিত্র মানেই অন্যরকম কিছু । নিপুন হাতের ছোঁয়ায় একটি সাধারণ গল্পকেও অসাধারনভাবে উপস্থাপন করতে পারেন ।
মেটাফোর, সারকাজম, রিয়েলিটি সব মিলিয়ে অনবদ্য এক চলচ্চিত্র এটি। সবাজের অপ্রিয়, নিকৃষ্ট কিছু বাস্তবতা যেমন বেকারত্ব, লোভ,কৌতুহল,উচ্চাকাঙ্খা, মানুষের বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে এম এল এম কোম্পানিগুলোর ধান্দাবাজি, দারিদ্রতা কে জাদুঘরে পাঠানোর নাম করে ধুরন্ধর ব্যবসা, টাকার লোভ মানুষকে কতটা নিচে নামাতে পারে ইতাদি আবার পাপবোধের জন্ম, বিবেকের দংশন অনেক সাহসিকতার সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে “স্যাটায়ার” এর মধ্যমে।
এছাড়াও মধ্যবিত্ত মানুষের দোলাচল, স্বপ্ন ও ফ্যান্টাসি খুবই ভালোভাবে মূর্ত হয়েছে ছবিতে। আমাদের মধ্যবিত্ত মন চারপাশকে কীভাবে প্রত্যাশা করে, মিঠুর মধ্য দিয়ে দেখানো হয়েছে সে চিত্র। কাহিনির এক পর্যায়ে রিমাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করল মিঠু। ব্ল্যাকমেলের চূড়ান্ত পর্বে আবার অনুশোচনায়ও দগ্ধ হলো সে¦—আমাদের মধ্যবিত্ত মন তো এমনই!
বিনোদনে ভরপুর মুভিটিতে কিছু বিষয় রাখা হয়েছে সেল্ফ রিয়ালাইজেসনের জন্য।
এই ছবির শেষ দৃশ্যটাই পুরো গল্পটা ধারণ করেছে । শেষ হয়েও যেন শেষ হয়নি। কিছু প্রশ্ন থেকে যায় যার যার উত্তর দর্শকের নিজের রিয়েলাইজেশানের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন পরিচালক।
ব্ল্যাক কমেডি, স্যাটায়ার, রিয়েলিটি, ডার্ক সাইড অব সোসাইটি... সব মিলিয়ে খুবই সাহসী একটি চলচ্চিত্র...
পরিশেষে একটা সহজ বাস্তব বলি… ছবির গল্পের সাথে মিশে গিয়ে নিজেই একজন গল্পকার হয়ে যাবে এমন দর্শক খুবই কম এ দেশে। গতানুগতিক নির্গুমল বিনোদনের দর্রুশক হলে এই ছবি খেয়ে পেটে গুরুপাক হতে বাধ্য। চিন্তাধারা পাল্টিয়ে যদি একটু ভাবেন ছবিটা দেখার পর... আপনিও হয়ত বলে উঠবেন...
এ মাস্টারপিস ইনডিড...
২৩ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
আইমান নাকিব বলেছেন: যেদিন আরো কিছু ফারুকী, সুভাষ দত্ত, চাষী নজরুল, তারেক মাসুদ আসবেন, সেদিনই এগিয়ে যাবে এদেশের চলচ্চিত্র। ভাল সিনেমার জন্যে বড় বাজেটের দরকার নেই, চাই শুধু সুন্দর একটি গল্প, সাহস আর কিছু ভাল মানের অভিনেতা। দর্শক তৈরি হবেই। একদিন ইরানি চলচ্চিত্রের মতো বাংলা চলচ্চিত্র জায়গা করে নিবে বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে, যাবে অস্কারে। সেই দিনের প্রত্যাশায়।
২| ২৩ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গল্পের তেমন কোন আভাস না দিয়াও রিভিউ ভালোই লিখছেন। দেখব খুব তাড়াতাড়ি। +
২৩ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
আইমান নাকিব বলেছেন: ভাল না লাগলে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই.। অনেকেরই ভাল লাগেনি
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
অলীক মানবী বলেছেন: বাংলাদেশের চলচিত্রের উন্নতির জন্য আরো কিছু সাহসী ফারূকী চাই যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে যে একটা ভাল সিনেমা শুধু বিগ বাজেট , ফরেন লোকেশন, আইটেম সং আর নায়িকাকে পন্য হিসেবে ব্যবহার করলেই হয় না ! বাস্তববাদী সিনেমা আর সিনেমার ঝা চকচকে রঙ্গিন বাস্তবের মধ্যে বরাবরই একটা সংঘর্ষ থাকবেই , কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা পেড়িয়ে জয় হোক পিপড়াবিদ্যার মত নতুন দিগন্ত দেখানো সিনেমার ... ধন্যবাদ একটি সৎ রিভিউ এর জন্য