![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংসদ ভবন এলাকা! দেশের অন্যতম সংরক্ষিত এলাকা। সংসদ ভবনের সুরক্ষাতে সম্প্রতি, ভবনকে গ্রীলের মাঝে আবদ্ধ করা হয়েছে! না! আমি সংসদ ভবনের খেরোপাতা নিয়ে বসিনি। একজন তরুন হিসেবে বর্তমান তারুন্যের ভয়াবহতাকে জনসম্মুখে প্রকাশের আশা নিয়ে বসেছি। জানি, একটা ব্লগ কখনো সমাজ বদলে দিবে না। কিন্তু অন্ত্যত একজন মানুষতো বদলাবে। আর সেই একজন মানুষও সমাজেরই অংশ। সমাজের একজন মানুষকেও যদি এই লেখার মাধ্যমে সচেতন করতে পারি তাহলে আমার লেখা এবং পরিশ্রম দু’টিই সার্থক! এবার আসি মূল বিষয়ে।
কেস ষ্টাডি নং১ঃ আপনারা অনেকেই সংসদ ভবনে ঘুরতে কিংবা দেখতে গিয়েছেন। কেউবা সেখানে আড্ডাও দিয়েছেন। সন্ধ্যার পর সংসদ ভবনে তিন ধরনের আড্ডা বসে। প্রথম আড্ডাটা হচ্ছে, কিছু তরুন গিটার এবং পানির বোতলকে ঢোল বানিয়ে গানের আসর বসায়। সেই আড্ডাটা সত্যিই উপভোগ্য। দ্বিতীয় আড্ডা, সংসদ ৩ নাম্বার গেট সংলগ্ন অংশে আড্ডা জমায় তথাকথিত প্রেমিক প্রেমিকারা। আগেকার দিনে যেখানে বৈধ স্বামীই জনসম্মুখে তার স্ত্রীর হাত ধরতে লজ্জা পেত এখন সেখানে কথিত প্রেমিক প্রেমিকারা জনসম্মুখে কিস করতে লজ্জা পায় না। আমার বন্ধুগোছের একজন প্রেমিককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সবার সামনে তোদের এইসব করতে লজ্জ করে না? সে জবাবে কি বলেছিল জানেন, তোদের দেখতে লজ্জা করলে দেখিস না! চোখ বন্ধ করে রাস্তায় হাটিস! কয়েকদিন আগে সেখানে আড্ডা দিচ্ছি! আচমকা বৃষ্টি শুরু হল। আমি বা আমাদের আবার রোমান্টিকতা মাঝে মাঝে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে! সেই ভর সন্ধ্যায় আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজলাম। বৃষ্টির সময় কপোত কপোতিরা গাছের নিচে আশ্রয় নিল। কিন্তু সেই গাছের নিচেই তারা আদিম খেলায় মেতে উঠল! এ যেন প্রাচীণ সভ্যতাকেও হার মানায়। ভাববেন না, এরা কোন নিঁচু কোয়ালিটির তরুন তরুনী! এরা প্রায় প্রত্যেকেই দেশের কোন না কোন প্রাইভেট অথবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্টুডেন্ট। তাদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডও অনেক ভালো! কিন্তু মন মানে না কোন বাধা! মন চায় সব উজাড় করে দিতে!
সংসদ ভবনের ১ নাম্বার গেট সংলগ্ন এলাকাটা কিছুটা অন্ধকার! আর এই অন্ধকারে গোদ্দেরের আশায় দাঁড়িয়ে থাকে অন্ধকার যুগের নারীরা। যারা নিজের দেহ বিক্রি করে ক্ষুধার জ্বালা মেটায়। একটু খেয়াল করে দেখুন তো, আপনি কাকে নিকৃষ্ট বলবেন? যে ছেলে বা মেয়েটি বাবার টাকায় প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ছে আবার মনের চাহিদার জন্য পার্কে এসে আদিম খেলা খেলছে নাকি যে মেয়েটা পেটের ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে নিজের দেহটাকে বিক্রি করছে! যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ে না! তার মনের কি চাহিদা সেই খোঁজও হয়তো কেউ কোন দিন করেনি! আপনি কাকে নিকৃষ্ট বলবেন? একজন ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষিতাকে নাকি পেটের দায়ে রাস্তায় দাঁড়ানো পতিতাকে?
কেস ষ্টাডি নংঃ২
এতোদিন লিটনের ফ্ল্যাট বলে একটা কথা ছিল! সাম্প্রতিক সময়ে লিটনের বাস বলেও একটি নতুন নাম প্রনোয়ন করতে হবে মনে হচ্ছে! গত কয়েকদিন আগে, বাসে করে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছি। আমার বাম পাশের দু’টি মিটে এক দম্পত্তি বসেছে। বাস কিছুদূর যাওয়ার পর তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আরও কাছাকাছি হয়ে বসল! সুযোগ মত একে অপরকে কিস করতে লাগল! বাকিটুকু আরও কি হতে পারে আন্দাজ করে নিন! আর লেখা সম্ভব নয়। দিনে দুপুরে বাসের মধ্যে এহেন নির্লজ্জ কর্ম এর আগে কখনো দেখিনি! এই আধুনিক ‘সভ্যতার যুগ’ নামটি পাল্টিয়ে এটা ‘যৌন সভ্যতার যুগ’ বলে নামকরন করাকেই যুক্তিসঙ্গত মনে করি।
কেস ষ্টাডি নংঃ৩
শহরের অদূরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন পার্কগুলোর মধ্যে তামান্না পার্ক অন্যতম। খেয়াল করলে দেখবেন তামান্না পার্কের পাশেই পানির উপরে কিছু হোটেল বা রেস্তোরা তৈরী হয়ে হয়েছে। সেখানে পানির উপরে চাটাই দিয়ে ঢেকে কেবিন তৈরী করা হয়েছে। সেখানে পা বিছিয়ে বসলে, বাহির থেকে আর কাউকে দেখা যায় না। আর সেইসব কেবিন শুধুমাত্র কপোত কপোতির জন্য। তাহলে বুঝুন সেখানে কোন মহৎ কর্মটি সম্পাদন হয়ে থাকে! একজন পরিচিতজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম,এখানে যারা আসে তারা অধিকাংশরাই ভার্সিটি পড়ুয়া! হায়রে আমার শিক্ষাব্যবস্থা! যে শিক্ষা আমাদের নৈতিকতাকে বানের জ্বলে ভাসিয়ে দিচ্ছে সেই শিক্ষা দিয়ে আমরা একটি সভ্য জাতি কিভাবে আশা করতে পারি।
উপরের যে ঘটনাগুলো লিখলাম, তা যতসামান্যমাত্র! এরকম ভরি ভরি উদাহারণ আপনাদের কাছেও আছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রেম মানেই যেন যৌনতা। এর বাহিরে আর কিচ্ছু নেই। অথচ আজ থেকে দশ বছর আগেও বিবাহবহির্ভূত দৈহিক সম্পর্ক কল্পনাও করা যেত না। তবে কি আমরা আধুনিকতার নামে নির্লজ্জ এবং ব্যাহেয়া হয়ে যাচ্ছি! আধুনিক শিক্ষার নামে অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে আর সোনার বাংলাদেশ বলার সুযোগ নেই। এখন বলতে হয়, যৌনতার দেশ, বাংলা দেশ।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
নাকিব১ বলেছেন: সেটা যদি কুকুরের মত হয় তা নিশ্চয়ই আপনাকে আনন্দিত করবে না???
২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় পার্লামেন্ট জাতিকে কিছুই দিতে পারেনি, একটু সেক্সের সুখ দিলে, সেটা নেয়া দরকার।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১
নাকিব১ বলেছেন: হাহাহাহাহাহা...........................................।
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
ইকরাম উল হক বলেছেন: যারা এসব করে তাদের বেশিরভাগরেই জন্মের ঠিক নেই। ইতিহাস ঘেটে দেখুন তাদের বাবা মারা এরকম ছিল (বা এখনও এসব করে) আর লিখে রাখুন তাদের সন্তানরাও এমন হবে।
এখন কথা হচ্ছে এগুলো বন্ধ করবে কে?
কার দায়িত্ব এসব বন্ধ করার? যিনি এসব বন্ধ করতে পারেন তিনি কি এ ব্যাপার গুলা জানেনা?
২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
নাকিব১ বলেছেন: হয়তো তারা জেনেও চোখ বন্ধ করে আছে!
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫
শরীফ ভূঁইয়া বলেছেন: আপনার লেখাটি আমার যথেষ্ট ভালো লেগেছে। আধুনিক সমাজের মনস্তান্তিক পরিবর্তনে এ ধরনের লেখা বাস্তবিক প্রশংসনীয়।
২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
নাকিব১ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
বিবেক ও সত্য বলেছেন: লেখক বলেছেন-সেটা যদি কুকুরের মত হয় তা নিশ্চয়ই আপনাকে আনন্দিত করবে না??? -আপনার এ কথার সাথে দ্বিমত। কুকুরের সাথে কোন কিছুর সাদৃশ হলেই তা খারাপ নয়। কুকুরের দয়া-মায়া আছে, কুকুর মালিকের প্রতি দায়িত্বশীল। আশা করি আপনারও এ সকল গুনাবলি আছে। এখন যদি বলি আপনি কুকুরের মত এসব গুনাবলী কেন রেখেছেন?
প্রকৃত কথা কোনটি খারাপ আর কোনটি ভাল বা কোনটি মানুষের জন্য ক্ষতিকর আর কোনটি উপকারী সেটাই প্রধান বিবেচ্য। যৌনতা আপনার কাছে অস্বাভাবিক লাগে, এটা আপনার মন ও অভ্যাসের ব্যাপার। বাস্তবে এটা খারাপ নয়।
যৌনতা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি প্রবৃত্তি, বিব্রত হওয়ার কিছু নেই।
৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: মনে হয় যৌনতাটা একটু খোলামেলা হওয়াতে ওই সংক্রান্ত অপরা্ধ একটু কমেছে। তাহলে সংসদ ভবনে ওসব চলুক না, ক্ষতি কি?
৭| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:২২
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: বিবেক ভাই ঠিকই বলেছেন। কুকুরের মধ্যে এমন অনেক গুনাবলি আছে যা মানুষের মধ্যে নেই।হা কুকুর নোংরা খাবার খায় ঠিকই,এজন্যই কুকুর তৈরি করা।বিড়াল মাছের কাটা খাবে,হায়েনা হাড় খাবে।প্রাচীন যুগে মানুষও কাচা মাংস খেত গাছের পাতাটাতা খেত।এজন্য কুকুরকে খারাপ বলা ঠিক না আমার মতে।
৮| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৮
বিজন রয় বলেছেন: আপনি এসব পারেন না বলেই আপনার কাছে সমস্যা।
৯| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: হে আল্লাহ !
তুমি গোটা পৃথিবীর ছেলে মেয়েদেরকে বিবাহপূর্ব প্রেম-ভালোবাসা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দাও।
১০| ২৫ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬
সম্রাট৯০ বলেছেন: অগনিত ভালোবাসা এবং একক ভালোবাসা দুই সমান, একদিনের ভালোবাসা হাজার দিনের ভালোবাসা দুই সমান, ভালোবাসা ভালোবাসাই,কোন মানুষ তার ভালোবাসার মানুষের হাত ধরতে পারবেনা এটা হতে পারেনা। মন কাঁদা ভালোবাসার মানুষকে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরতে পারা দেয়া উচিৎ। সেক্সুয়াল চুমু ব্যতিত অন্য সব চুমু খেতে দেয়া উচিৎ।
একটু জড়িয়ে ধরা একটা চুমু খাওয়ার অজুহাতেই ছেলে মেয়েকে লিটনের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়, সব চলে যায় লিটনের ফ্ল্যাট থেকে যায়, লিটনের ফ্ল্যাটকে ভাঙ্গতে হলে প্রকাশ্য হাত ধরা এবং প্রয়োজনে সাবলীল জড়িয়ে ধরা হতে পারে, খুব আবেগ ঘন পরিবেশে একটা চুমু প্রিয়ার কপালে কি জাহান্নাম ডেকে আনবে?
১১| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে শিক্ষা আমাদের নৈতিকতাকে বানের জ্বলে ভাসিয়ে দিচ্ছে সেই শিক্ষা দিয়ে আমরা একটি সভ্য জাতি কিভাবে আশা করতে পারি।
ভাবনার রকমেফরতো এখােনই ফাটফাটি রকম.. পার্কে বৃষ্টিতে ভিজে বা অন্ধকারে তা কতটা বদলাতে পারে ভেবে নিন!
শালীনতা, ভব্যতা আর উদগ্রতার মাঝে ব্যবধানটা খুব মোটা দাগেরই!
১২| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
সালমান খান সিই বলেছেন: যৌনতা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এত ছিঃ ছিঃ করার কিছু নাই।
১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮
প্রীতম বলেছেন: কয়েক বছর আগে কথা। বউকে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলাম কাজে। কাজ সারতে রাত হয়ে যাওয়াতে চিন্তা করলাম এতো রাতে কারো বাসায় না গিয়ে মধ্যবিত্তদের একটা হোটেলে উঠে রাতটা কথা বলে আর গান শুনে পার করে পর দিন বাড়ি ফিলব।
কিন্তু বিধি বাম। ৩ টি হোটেলে ট্রাই করে ক্ষ্যান্ত দিলাম। তারা নাকি হোটেরের সুনাম অক্ষুন্ন রাখায় বদ্ধপরিকর। কোন প্রকার অবৈধ ভাড়া দিতে চাননা। অগত্যা রাতের লঞ্চে করে বাড়ি ফেরা। হায়রে আমার সোনার বাংলার সোনার মানুষের সোনার ভাবনা।
সোনার কথা বলতে গিয়ে সোনার গায়ের কথা মনে পড়ে গেলো। বাংলাদেশের জন্য একটা প্রসিদ্ধ জায়গা সোনারগা। সেখানে বউ ছেলে মেয়ে বন্ধু বান্ধব নিয়ে বেড়াতে যায় অনেকেই। বউ বাচ্চা নিয়ে হাটছি। আমার ছেলেটা তখন মাত্র কথা শিখেছে। পুকুর পাড়ে এক জায়গায় আঙগুল তাক করে আমার ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করছে- ”বাব্বু, ওকানে ওতারা কু করে?”
আমি ছেলের চোখে হাত দিয়ে বাউকে নিয়ে কোন রকমে সামনে এগুলাম। কিছুদুর যাবার পর আনসার না পুলিশ হাত উচিয়ে বাধা দিল। বল্ল ওদিকে যাওয়া যাবেনা। ওদিকে জংগল। চলে এলাম। পরে জানতে পেরেছিলাম ঐ জংগলে নাকি জোড়ায় জোড়ায় বাঘ থাকে। তাও আবার আধুনিক বাঘ না আদিম যুগের নেংটা বাঘ। আর পুলিশগুলো ওদের বেতনভুক্ত পাহাড়াদার।
বড় ঘেন্না ধরে যায় মাঝে মাঝে। মানুষের ঘরে জন্ম নিয়ে আমরা অমানুষ হবার প্রেকটিস করছি আর আইনের ধারক আর বাহক হয়ে কেউ কেউ দেশটাকে তথা সমাজটাকে রসাতলে নিচ্ছি।
১৪| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৪
আলগা কপাল বলেছেন: @সালমান খান
যৌনতা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার তাহলে পাবলিক প্লেসে পাবলিকের সামনে করে কেন? ব্যক্তিগত ভাবে করাটাই ভাল নয় কি?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩
আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: যৌনতা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি প্রবৃত্তি, বিব্রত হওয়ার কিছু নেই।