![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলিম জাতিটা যে একদিক থেকে বেঈমানের জাতি সেটা আর একবার প্রমাণ দিল, তুরষ্কের সেনাবাহিনীর একাংশ! আর ভিন্ন দিক থেকে মুসলিম জাতিটা যে বীরের জাতি তা প্রমাণ দিল, তুরষ্কের আপামর জনতা। শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টের একটি আহব্বান, কি করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে রাস্তায় নিয়ে আসতে পারে তা গতকালকের তুরষ্কের চিত্রকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। সেই সাথে তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান এর নেতৃত্বের প্রশংসা করতে হয়। এই সংকটের মাঝেও তিনি জনতার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জনতাকে পাশে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করেছেন। এ যেন গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর প্রতিচ্ছবি। ইতিহাস বলে, সালাউদ্দিন আইয়ুবীকেও এরকমই একটি পরিস্থিতির সম্মুক্ষিন হতে হয়েছিল। আর সালাউদ্দিন আইয়ুবীও একই ভাবে জনগনকে সাথে বিদ্রোহীদের দমন করেছিলেন।
তুরষ্ক সেনাবাহিনীর একাংশ ইস্তাম্বুল ডিভিশনের সদস্যরা বিদ্রোহ করে শহরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমেই তারা ব্যক্তি মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল সিএনএন তুর্কী দখল করে। সেখান থেকেেই তারা প্রচার করে, তুরষ্কে সেনা ক্যু সংঘঠিত হয়েছে। অপর দিকে তারা সেনাবাহিনী প্রধানকে জিম্মি করে রাখে। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে বিমান অবতরন করেন। সেখানেই তিনি সংবাদ সম্মেলন এবং স্কাইপ এর মাধ্যমে জনগনকে রাস্তায় নেমে আসতে বলেন। সেই সাথে তিনি নিজেও উপস্থিত থাকার ঘোষনা প্রদান করেন। এরপর যা ঘটল তাকে রূপকথাই বলা চলে। তুরষ্কের প্রতিটা রাস্তাঘাট দিয়ে জনতার স্রোত নেমে আসতে লাগল। আল্লাহু আকবার এবং প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দিতে দিতে ইস্তাম্বুল বিমান বন্দরে একত্রিত হতে থাকে। এসময় বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই সংঘর্ষে ১৭ পুলিশ সহ ৬০ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
একজন নেতা মানুষের কতটা আস্থা অর্জন করতে পারলে, মানুষ এতোটা বেপরোয়া হতে পারে! সাধারণ মানুষ বিদ্রোহী সেনাদের ট্যাংকের নিচে শুয়ে প্রতিহত করবার চেষ্টা করে। নেতার আনুগত্য করবার মত এমন বিরল দৃশ্য আর কোথাও পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না।
তুরষ্কের সাধারন জনতা সারারাত রাস্তায় পাহারা দিয়ে রেখেছিল। তারপর তারা এক সাথে রাস্তায় দাড়িয়ে ফজরের নামায আদায় করে।
যে জাতি সবকিছুর মাঝেও আল্লাহকে স্মরণ করতে ভুলে না, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে ভুলে না, সেই জাতিকে পরাজিত করাটা এতোটা সহজ নয়। উল্লেখ্য। ২০১৩ সালেও একই কায়দায় তুরষ্কে সেনা অভ্যুত্থান ঘটানোর জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিল বেঈমানরা! কিন্তু সেই প্রচেষ্টাও ভুলুন্ঠিত করে দেন, এরদোগান এবং তার সরকার।
তুরষ্কে সেনাঅভ্যুত্থান কিভাবে রুখে দিল তা দেখতে নিচের ভিডিওটি দেখুনঃ
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: বীর নেতা
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ক্যু করা ভয়ংকর অপরাধ জাতির বিপক্ষে, তবে প্রেসিডেন্ট তুরস্ককে ভুল পথে নিচ্ছে; শেষ সিভিল-ওয়ার শুরু হবে।
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আল্লাহুর নীজ হাতে দেয়া গজব ।
৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আল্লাহুর নীজ হাতে দেয়া গজব বেদ্বীনদের জন্য । তুরকি প্রেসিডেন্টের সফলতা কামনা করছি ।
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
দ্যা প্রোক্রাস্টিনেটর বলেছেন: যা হোক এখন দেখার বিষয়, এরদোগান কতদূর যেতে পারেন
সত্যের জয় কামনা করছি
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: (মুসলিম জাতি বেঈমানের জাতি) আপত্তিকার মন্তব্য। আপনি এই ভাবে একাংশের জন্য জাতি সম্পর্কে বলতে পারেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১০
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: বিভাজন ও বিভেদের বেড়াজালে বন্দী মুসলিম বিশ্ব। এরদোগানই এই সময়ের একজন বলিষ্ঠ মুস্লিম নেতা যিনি মুসলিম বিশ্বকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।