নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাকিব১

নাকিব১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মানুষ হিসেবে ২৮ অক্টোবরে আমি লজ্জা পাই। আপনি কি লজ্জা পান?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২০

বর্তমান প্রজন্মকে বলা হয় হয় গুগল প্রজন্ম। তাদের নিত্য সময়কার সঙ্গি এই গুগল। তাই গুগলকে অনেকে গুগল মামা বলেও সম্বোধন করে থাকে। এই গুগল মামার সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়ে আমরা যেমন বিভিন্নভাবে উপকৃত হই। সেই গুগল মামার কাছেই আমরা আবার কখনো লজ্জিত হয়ে থাকি। নাহ! গুগল মামার নিজে থেকে লজ্জা দেবার ক্ষমতা নেই। আমরা যেসব কর্ম করে থাকি সেই কর্মগুলোকে সংরক্ষণ করে একটা সময় গুগল মামা সেগুলোকে সার্চ ইঞ্জিনে শো করে আমাদেরকে অনুশোচনায় নিয়ে যায় কিংবা লজ্জাবোধের অতিব তল সীমায় নিয়ে ফেলে।

গুগলে অক্টোবর মাস নিয়ে সার্চ করতে গিয়ে ২৮ অক্টোবর লিখে সার্চ দিলাম। সার্চ দেবার পর মনে মনে আফসোস করতে লাগলাম, সার্চ না দেয়াটাই হয়তো ভাল ছিল। তা হলে আমরা যে জাতি হিসেবে কতটা নির্মম এবং নিষ্ঠুর সেই চিত্রটা নতুন করে ভেসে উঠতো না।


আরো দেখুন,






দেখুন কতটা ভয়ানক এবং নৃশংস সেই দৃশ্যগুলো। আপনি হয়তো বলবেন, এগুলো তো সব জামায়াত-শিবির। কিন্তু আমি বলব মানুষ। তারা আমারই মত রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। তাদের উপর এই পৈশাচিকতা দেখে একজন মানুষ হিসেবে আমিও শিঁউরে উঠি। আপনারাই তো বলেন, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। তাহলে আজ কেন এই দ্বিমুখীতা। আমি জানি সামুর মডু মহায়দয়গণ খুব সম্ভবত এই ব্লগটি স্থায়ী হতে দিবেন না। চোখে পড়া মাত্রই এটাকে ট্রাশ বোর্ডে স্থানান্তর করে দিবেন।

আমার কাছে সবচেয়ে দুঃখ লাগে, আমাদের মানবিকবোধটাও আজ দলীয় কেন্দ্রীক হয়েছে। আমাদের মমতাবাধটাও আজ দলকানার ন্যায় অন্ধ হয়ে গেছে। আমরা এতোটাই অন্ধ যে, প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় লাশের উপর নৃত্য করা দেখেও আমাদের মনে ঘৃণা জন্মে না। কারণ, ওরা নাকি জামায়াত শিবির! তাহলে কি জামায়াত শিবিরের মানবাধিকার নেই? নাকি তাদের মানবাধিকার থাকতে নেই।

তারা জামায়াত শিবির বলেই রাস্তায় লগি বৈঠার চাপড়ে মাইর খেতে খেতে মরতে হবে। আমি খুব জোর দিয়ে বলতে পারি, সরকারের যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে গুগল থেকেই এই ছবিগুলোকে হাওয়া করে দিত। গুগল মামাতে এই নির্মম সত্যের ছবিগুলো শোভা পেত না। কিন্তু সরকারের সক্ষমতা এখনো ওতোদূর পৌছায় নি। তৃতীয় বিশ্বের দেশ কিনা! তবে যে হারে প্রধানমন্ত্রী এবং তার বিজ্ঞানী পুত্র আইটি সেক্টরে উন্নতি করতেছেন সেইহারে গুগলের উপর সরকারের প্রভাব সৃষ্টি করতে খুব বেশি সময় লাগার কথা না!

ছবিগুলো ভাল করে দেখুন! একটি ছবিতে বাপ্পাদিত্য বসুকে দেখা যাচ্ছে। যে কিনা লাশ মাড়িয়ে দৌড়ে পার হচ্ছে। এই বাপ্পাদিত্য বসুরাই আমাদেরকে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখান। সাম্যের বুলি শোনান। আর্নেষ্ট চে গুয়েভারার মত অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিপ্লবী হবার স্বপ্ন দেখান। কিন্তু সেই বাপ্পাদিত্যই কিনা সবলের পক্ষ নিয়ে দুর্বলদের লাশের উপর নৃত্য করলেন। যে লাশের প্রতিবাদ করবার সামান্যও ক্ষমতা নেই সেই লাশের উপরও নিজের মনের খায়েশ মেটালেন। হায় সমাজতন্ত্র! হায় সাম্যবাদ! সবই তোমার পকেটের ফাকা বুলি!

২৮ অক্টোবর ঘুরে ফিরে আসে যায়! কিন্তু সেই দিনকার নিহতেদের মায়েদের আত্নচিৎকার থামে না। তাদের হাহাকারে বাতাস আজও ভারি হয়ে আছে! তাদের মলিন হৃদয়ের রক্তক্ষরনে তাদের উঠানে জ্যোৎস্ন্যা আলো বিলাতেও লজ্জা পায়। একজন মানুষ হিসাবে আমিও লজ্জা পাই। আপনি কি লজ্জা পান?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: সব কিছু নষ্টদের দখলে

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: জামায়াত শিবির হচ্ছে সেই জিনিস, যা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মার খেয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় থাকা প্রতিটি দল জামায়াতকে নানাভাবে হেনস্তা করে এসেছে। আওয়ামী লীগ সেদিক থেকে অনেক সুবিধাজনক অবস্থাতেই ছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিভক্তির বিপক্ষে থাকার কারণে ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের রাগ জামায়াতের প্রতি একটুো কমেনি - বরং সময়ের সাথে সাথে তা বাড়ছে। এই হিংসা আর বিদ্বেষে তাদের দালালি করে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।

এই বিদ্বেষের একটা চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হল ২৮শে অক্টোবর ( আরেকটা হল শাহবাগের তথাকথিত 'আন্দোলন';)। এভাবে বিভিন্ন সময়ে তারা জামায়াত শিবিরের উপর তীব্র ঘৃণা নিয়ে বর্বর আক্রমণ করা সত্ত্বেও জামায়াত কখনোই প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধের বশবর্তী হয়নি। কারণ এক্ষেত্রে তাদের অনুসরণীয় আদর্শ হচ্ছে সীরাতে রাসুল (সঃ)।

জামায়াত কখনও প্রতিশোধের নীতি গ্রহণ না করায় নাস্তিকেরা তাদেরকে 'ছাগু' ট্যাগ দেয়। কেননা, তারা যদি প্রতি আক্রমণ করত, তাহলে নাস্তিকদের 'ডিভাইড এন্ড রূল' প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সুবিধা হত। এই ফাঁদে আওয়ামী লীগ বার বার পা দিলেও জামায়াত খুব সতর্ক অবস্থানে আছে।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



জামাত, শিবির সভ্যতার আবর্জনা

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

কালীদাস বলেছেন: হ, মানুষের ডেফিনিশন নতুন কইরা শিখতে হইব জামাতি জারজের কাছে। লীগের কুত্তাগুলা জীবনে একবারই মনে হয় ভাল কাম করছিল। বালের পোস্ট।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাসে বোধহয় এই একটা বর্বরতাই ছিলো! পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে যে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হলো; ওগুলো বর্বরতা ছিলো না!

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনারও লজ্জা পাওয়া উচিত।
ছাগুরাও কম পিটায় নি।
ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়েছিল, যারা দৌড়াতে যেয়ে পরেগিয়েছিল তারাই পিটুনির শিকার হয়েছিল। ছাগুরা ২জন পিটিয়ে মেরেছিল। আর ৮জন ছাগু মারা পরেছিল।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১১

জাগরিত নিদ্রা বলেছেন: কেন জামায়াত শিবির,জামায়ত শিবির বার বার বলছেন? স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুযায়ী এদের ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করার কথা ছিল কি এই দেশে?

/তাহলে কি জামায়াত শিবিরের মানবাধিকার নেই? নাকি তাদের মানবাধিকার থাকতে নেই।/-- না নেই। মানবতার চরম অপরাধ তারাই করেছে। মানবাধিকার শব্দটাকে অনেক আগেই তারা গলা টিপে মেরে ফেলেছে।


৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
জামাত শিবির হল পুরা জাতির শত্রু আবার ইসলামেরও শত্রু তারা ইসলামকে ব্যবহার করে মানুষের ইমেশন নিয়ে খেলা করেছে সামান্য কিছু ভাল কাজ করে তারা প্রমান করতে চেয়েছে জামাত ইসলাম হল ইসলামিক দল কিন্তু তারা প্রকৃত ইসলাম থেকে দুরে।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: পাকিস্তানে জামায়াত ছিল সবচেয়ে মাইনরিটি দল। পূর্ব বাংলাতে মুসলিম লীগের ১০ ভাগ সমর্থন ছিল। সেদিকে জামায়াতের সমর্থন ছিল ৩ ভাগেরও কম। আর সব অন্যায় জামায়াতের হয়ে গেল!! মানবাধিকার সবার জন্য। খানকির পোলারা মানবাধিকার এর সংজ্ঞা পড়ে ব্লগে এসে চেচাইস। আওয়ামীলীগ কেন স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনা!! কারণ আওয়ামীলীগ একটা জারজ সংগঠন। জামায়াতকে আওয়ামী জারজরা নিকৃষ্ট রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। ফটো দেখস নাই শুয়োরের বাচ্চারা শেখ সেলিম গো আযমের পা ছুঁয়ে ছালাম করছে! খানকির পোলারা বলবি ফটোশপ করা!! যুগপত্ ভাবে জামায়াতের সাথে আওয়ামীলীগ বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করে নাই!! কুত্তার বাচ্চারা পাশার দান একদিন উল্টে যাবে। তখন ছাগুরা তোদের মারবে। তখন আমি বাহবা দিবনা। তখনো আমি মানবাধিকার এর কথায় বলব। আমাকে ট্যাগ দেওয়ার আগে আমার ব্লগ ঘুরে আসিস। আমি ধর্মে নয় প্রকৃত মানবাধিকারে বিশ্বাসী.. খানকির পোলারা আমার ব্লগ পড়ে মন্তব্য করিস। আমি যুক্তিবাদী ধর্মে অবিশ্বাসী প্রকৃত মানবতাদী মানুষ।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: জামাত শিবির নাম শুনলেই যাদের চুলকানি বেড়ে যায়, জামাত শিবিরের নাম আসলেই যাদের মানবতার সঙ্গা পাল্টে যায়, তারা আর যাই হোক মানুষ না, দো-পেয়ে শুয়োরের বাচ্চা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.