![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯৩ সাল! বাবরি মসজিদ ভাংচুরকে কেন্দ্র করে ভারতে ভয়াবহ দাঙ্গা বেঁধে গেছে। ইতিমধ্যে বহু মুসলিম শিশু নারীসহ কয়েক হাজার নিহত হবার সংবাদ পাওয়া গেছে। শোনা যাচ্ছে মুসলিম নারীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। ভারতের এই গোলযোগময় পরিস্থিতি টিভিতে বসে আমরা দেখছিলাম। এমন সময় নেত্রী আমাকে ডাক দিলেন। নেত্রী বললেন, রেন্টু ভারতে দাঙ্গা বেঁধেছে। খবর পেয়েছো? আমি বললাম, জি এই মাত্র টিভিতে দেখলাম। নেত্রী বললেন, শুধু দেখলেই তো হবে না ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নেতা কর্মীদের খবর দাও। সরকারকে চাপে ফেলার এই সুযোগ কোনভাবেই মিস করা যাবে না।
নেত্রীর নির্দেশনুসারে আমি নেতা কর্মীদের খবর দিলাম। নেত্রীর নির্দেশ শুনিয়ে দিলাম। সবাইকে টুপি পাঞ্জাবী পরে কেরোসিনের টিন নিয়ে নেমে পড়ুন। হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাড়িতে রাতের আধারে আগুন দিন। আগুন নিশ্চিত করতে কেরোসিন ঢেলে দিতে হবে। সেই সাথে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে মন্দিরগুলোতে হামলা চালাতে হবে। তারপর কয়েকদিন থেকে বাংলাদেশে চলল পাইকারীহারে সংখ্যালঘু নির্যাতন। কয়েকহাজার সংখ্যালঘুর বাড়ি ধব্বংস করা হল সেই সাথে হত্যার স্বীকার হল আরো কয়েকহাজার হিন্দু সংখ্যালঘু। নেত্রীর প্ল্যাননুযায়ী কাজ সম্পন্ন হল। এইবার পরবর্তি পদক্ষেপনুসারে নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হল, সংখ্যালঘুদের পাশে দাড়াও! তাদের কাছে সাহায্যকারী রূপে পাশে দাড়াও। [ সূত্রঃ মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ বই এর আদলে লেখা]
বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলেও আওয়ামিলীগ বইটি নিয়ে মন্তব্য করতে পিছপা হয় নি। অনেকেই বলেছিলেন, বইটি বিদ্বেষপূর্ণ। বইটি যে বিদ্বেষপূর্ণ নয় অথবা সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামিলীগের পরিকল্পিত কর্মকান্ডকে কল্পনাপ্রসূত নয় তা বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকারে আমলে এসেও তা দারুন ভাবে উপলবদ্ধি করা যাচ্ছে। শুধুই উপলবদ্ধি নয় এইবার সবকিছু দৃশ্যমান হয়ে গেছে। যদি চোখ থাকে তবে সত্যিটা দেখতে পারবেন। আর যদি চোখটাকে দলকানার আদলে অন্ধ করে রাখেন তখন আমাকে রাজাকার গালি শুনতে হবে। কারণ সত্য বললেই আজকাল সবাই রাজাকার হয়ে যায়।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় নাসিরনগরে চলমান সংঘাত কোনদিকে যাচ্ছে তা ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। কিন্তু ঘটনার মোড় যে ঘুরে ফিরে জামায়াত-শিবিরে দিকে ধাবমান হচ্ছে তা কিন্তু বেশ ভালভাবেই অনুধাবন করা যাচ্ছে। নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হওয়ার পরপরই কেন যে জামায়াত-শিবিরের নাম এলো না তা ঠিক বোধগম্য হল না! কারণ রামুর বৌদ্ধ মন্দির কিংবা পাবনার সাঁধিয়ায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হওয়ার ঘন্টা না পেরুতেই টিভি চ্যানেলগুলোর ব্রেকিং নিউজের স্ক্রলে দেখা যেত, সেই ঘটনার জন্য দায়ী জামায়াত শিবির! মাহবুবুর রহমান হানিফ এই ঘটনার জন্য জামায়াত শিবিরকে দায়ী করলেও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলছেন ভিন্ন কথা।
হানিফ সাহেব একদিকে বললেন, নাসিরনগরে জামায়াত শিবির তান্ডব চালিয়েছে। অন্যদিকে নাসিরনগরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামিলীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হল। এই বহিঃষ্কার আদেশের মাধ্যমে, হানিফের নিজের বক্তব্যটাই স্ববিরোধী হয়ে গেল না? স্ববিরোধী হলেও, সমস্যা নেই। কারণ বাঙ্গালী এমনই এক ফালতু আবেগী জাতি যে, নিজের দল ‘গু’ খেলেও তারা গন্ধ পায় না! নিজের দল ডাষ্টবিনের ময়লাতে গড়াগড়ি দিলেও তারা সেটিকেও যথার্থ স্থান বলে মনে করেন। এখানেও হয়তো তেমনি কিছু গাধা বলদ এবং চোখ থাকিতেও অন্ধ লীগ সাপোর্টার আছেন। যারা কিনা দেখেছেন, শাহবাগে মাহবুবুল আলম হানিফকে স্বয়ং হিন্দুরাই কিভাবে অপমান করেছে! তার রাজনীতি সুলভ আচরনে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে তার গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ করেছে হিন্দু ঐক্য পরিষদের কর্মীরা। তারা এর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামিলীগের সংখ্যালঘুদের র্ব্তমান চালবাজি স্বয়ং হিন্দুরাই ধরে ফেলেছে। অন্যান্য আর সব ঘটনাগুলোর মত এই নাসিরনগরের ঘটনাকে জামায়াত শিবিরের উপর চাপিয়ে দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। আজ হিন্দুরাও আওয়ামিলীগের মিথ্যা প্রপাগান্ডাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেছে।
রাজনীতি থেকে এইবার মানুষ হবার কথা বলি। নাসিরনগরে যারা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তারাও মানুষ আমরাও মানুষ। যেহেতু আমি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। সেই সাথে একজন প্রাকটিসিং মুসলিম হবার চেষ্ঠায় সর্বদা নিজেকে নিয়ে সংগ্রাম করছি। সেহেতু ইসলামের প্রকৃত আদর্শের শিক্ষা থেকেই বলছি, ইসলাম এই ধরনের কোন হামলা ভাংচুর এবং লুট তারাজের সমর্থন করে না। ইসলাম একটি মানবিক ধর্ম। সেখানে হিংস্রতা কিংবা বর্বরতার স্থান নেই। রাসূল (সঃ) নিজেই বলেছেন, তোমরা অন্য ধর্মকে অবজ্ঞা করো না। তাদেরকে তাদের যথার্থ সম্মান দেখাবা। সেখানেই একজন মুসলিম হয়ে কি করে রাসূল (সঃ) এর নির্দেশকে অস্বীকার করে হামলা চালাবে? যারা হামলা চালিয়েছে তারা প্রকৃত অর্থে মুসলিম চিন্তা ধারা থেকে হামলা চালায় নি এই কথা চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারি। যারা সমাবেশের আয়োজন করে সাধারণ মানুষকে উস্কানি দিয়ে এই নেক্কারজনক কাজ টি করেছে তারা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চিন্তা থেকেই এই কাজটি করেছেন। তাই একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে দাবি থাকবে, হামরাকারীদের অতিস্বত্বর গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন।
সেই সাথে যেসব কুলাঙ্গারের জন্য এই পরিস্থিতির তৈরী হয়েছে তাদেরকেও বিচারের সম্মুক্ষিন করুন। একটা বিষয় বেশ মজা লাগল, যার ফেসবুক পোষ্টের কারণে নাসিরনগরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার পরিবার বলছে সে এই কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা নাকি ফটোশপই বুঝে না। কিন্তু অন্যদিকে আবার তারা বলছে, তাদের আইডি হ্যাক করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যে ফটোশপই বুঝে না সে আবার আইডি হ্যাকিং বুঝে? হায় তাজ্জ্যব! জীবনে আরো কতকিছুই না দেখতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হানিফ সাহেব একদিকে বললেন, নাসিরনগরে জামায়াত শিবির তান্ডব চালিয়েছে। অন্যদিকে নাসিরনগরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামিলীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হল। এই বহিঃষ্কার আদেশের মাধ্যমে, হানিফের নিজের বক্তব্যটাই স্ববিরোধী হয়ে গেল না? স্ববিরোধী হলেও, সমস্যা নেই। কারণ বাঙ্গালী এমনই এক ফালতু আবেগী জাতি যে, নিজের দল ‘গু’ খেলেও তারা গন্ধ পায় না! নিজের দল ডাষ্টবিনের ময়লাতে গড়াগড়ি দিলেও তারা সেটিকেও যথার্থ স্থান বলে মনে করেন। এখানেও হয়তো তেমনি কিছু গাধা বলদ এবং চোখ থাকিতেও অন্ধ লীগ সাপোর্টার আছেন। যারা কিনা দেখেছেন, শাহবাগে মাহবুবুল আলম হানিফকে স্বয়ং হিন্দুরাই কিভাবে অপমান করেছে! তার রাজনীতি সুলভ আচরনে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে তার গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ করেছে হিন্দু ঐক্য পরিষদের কর্মীরা। তারা এর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামিলীগের সংখ্যালঘুদের র্ব্তমান চালবাজি স্বয়ং হিন্দুরাই ধরে ফেলেছে। অন্যান্য আর সব ঘটনাগুলোর মত এই নাসিরনগরের ঘটনাকে জামায়াত শিবিরের উপর চাপিয়ে দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। আজ হিন্দুরাও আওয়ামিলীগের মিথ্যা প্রপাগান্ডাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেছে
তাতে কি কিছু বদলাবে? শাস্ত্রে বলে ইল্লত যায়না ধূইলে খাসলম যায়না মরলে!!!!!!