|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
আমাদের সামনে দু’কাপ কফি ঠান্ডা হতে থাকে অনেকক্ষণ ধরে। লাস্ট এক ঘন্টায় একটাও কথা বলিনি আমরা। আমার অবশ্য কিছু বলার কথাও না। বলবে অভীক। সম্পর্কের ইতি টানার আগে আমাকে নাকি কিছু কথা বলার আছে। গতকাল রাতেই অভীক আমাকে জানালো সে আর এই  সম্পর্ক রাখতে চাইছে না। আজ দুপুরে হঠাৎ ফোন করে বললো, শেষবারের মতো দেখা করতে চায়, অনেক কথা বলার আছে ওর। আমি বাধ্য মেয়ের মতো এসে ওর মুখোমুখি বসে আছি কিন্তু ও কিছুই বলছে না ।
আরো অনেকক্ষন পরে অভীক ইতস্তত করে যা বললো তার সারমর্ম হলো, সে অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে আর তাই আমার সঙ্গে বিচ্ছেদ চায়। এ কথা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আমি জানি, অনেকদিন থেকে ওর অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। এই সত্যিটা আমি মেনে নিয়েছি। কারণ অভীককে ছেড়ে থাকার কথা আমি ভাবতে পারি না। ওকে দুই/এক দিন না দেখলেই চারিদিকে আমি ধুধু অন্ধকার দেখি। সেই অভীক আজ চলে যাবে। এরপর আর কোনোদিন আমি ওকে দেখতে পাবোনা, মন খারাপ হলে চুপটি করে ওর বুকে নাক ডুবিয়ে রাখতে পারবনা...... 
চোখটা জ্বালা করতে থাকে ... আমি আর ভাবতে পারছি না। কিন্তু অভীকের সামনে আমি কাঁদতে চাইনা। কান্না লুকাতে আমি জানলা দিয়ে বাইরে তাকালাম। অভীক আরো অনেক কিছু বললো। সেসবের কিছুই আমি শুনতে পেলাম না। জানলার ওপাশে একটা মাঝারি রকম রাধাচূড়া গাছের পাতার ফাঁকে দুইটা শালিক পাখি কুটুরকুটুর করে প্রেম করছে। অভীকের কথা শোনার চাইতে ওই পাখিদের প্রেম দেখতে আমার বেশী ভালো লাগছে। কতদিন অভীক আমায় বলতো, “চলো পাখি হয়ে যাই। আমি হবো বড় পাখি আর তুমি বাচ্চা পাখি। আমার বড় ডানা দিয়ে পুরো পৃথিবীর কাছ থেকে লুকিয়ে রাখবো তোমায়।” 
সেই অভীক! কাল থেকে অন্য কাউকে পাখি হবার গল্প শোনাবে। আমি একবারও না তাকিয়ে বুঝতে পারি, অভীক চলে যাচ্ছে। যাওয়ার আগে অপষ্ট করে ও কি কিছু বলে গেলো? ও কি সরি বললো শেষবারের মতোন ? 
আমার ইচ্ছা করতে থাকে ছুটে গিয়ে অভীককে আটকাই... বলি, “প্লিজ অভীক, এভাবে যেয়ো না” আমার ইচ্ছা করে চিৎকার করে বলি, “অভীক তুমি কি সরি বললা? এভাবে কি সরি বলার কথা ছিলো তোমার? কিংবা আমার?” 
কিন্তু আমি এসবের কিছুই করি না। ছুটে যাই না... চিৎকার করি না... ওকে আটকে রাখার কোনো চেষ্টাই আমি করি না... অভীক চলে যায় নির্বিঘ্নে । আমি মনে হয় অনন্তকাল ধরে বসে বসে শালিক দুইটার প্রেম দেখতে থাকি। 
পৃথিবীতে সন্ধ্যা নামতে থাকে। অভীক, অন্ধকারে আমার ভীষণ ভয়! তুমি কি করে এই অন্ধকার সন্ধ্যার মুখে আমায় একলা রেখে চলে যেতে পারলা! 
না আমি আর অভীককে ভাবতে চাইনা। শালিকদুটোকেও অন্ধকারে আর দেখা যাচ্ছে না। ওরা নিশ্চয়ই পাতার ফাঁকে জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে পরেছে এতক্ষণে... ওদের পৃথিবী এতোই ছোট!
 ১১ টি
    	১১ টি    	 +১/-০
    	+১/-০২|  ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:০৯
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ২:০৯
আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
৩|  ১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:১৪
১১ ই জুন, ২০১৮  সকাল ১১:১৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন শুভ ব্লগিং
  ২৪ শে জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৩৯
২৪ শে জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৩৯
আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: ধন্যবাদ
৪|  ১৪ ই জুন, ২০১৮  রাত ১০:১২
১৪ ই জুন, ২০১৮  রাত ১০:১২
মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো। জীবন কিন্তু থেমে থাকবে না! আপু।
সময় পেলে ব্লগটি ঘুরে আসবেন।
  ২৪ শে জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৩৯
২৪ শে জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৩৯
আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: জীবন তো থেমে থাকেই না কিন্তু আপনি আসলে কোন জীবন কে মিন করলেন আমি বুঝতে পারিনি
৫|  ১১ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১০:৩৪
১১ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১০:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।
৬|  ১১ ই আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২৩
১১ ই আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২৩
জোহা প্রকাশন বলেছেন: গল্পটি পরিচিত মনে হচ্ছে এবং একই সাথে শিরোনামও । আগে কি কোথাও পোস্ট করেছিলেন
  ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮  দুপুর ১:০০
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮  দুপুর ১:০০
আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: প্রথম আলোর ক্রোড়পত্র ছুটির দিনে প্রকাশিত হয়েছিলো
৭|  ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ২:৩৮
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ২:৩৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: 
ভাল লিখেছেন! লেখাটা পড়ে হারিয়ে গেলাম অজানায়....
  ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮  দুপুর ১:০০
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮  দুপুর ১:০০
আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১:৫৯
১০ ই জুন, ২০১৮  দুপুর ১:৫৯
লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল আপু।