নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষানবিশকাল চলছে......

আফরোজ ন্যান্সি

ঈশ্বরী

আফরোজ ন্যান্সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্য জগৎ এ ভালো থাকুক অরিত্রীরা

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

আমার জীবনে ভালো শিক্ষক যে পাইনি তা না কিন্তু আজ আমি লিখতেই বসেছি খারাপ অভিজ্ঞতা তাই ভালোদের কথা আজ উহ্যই থাকুক...
একজন শিক্ষক যে তার স্টুডেন্ট কে ক্লাশে কতটা বাজেভাবে ইনসাল্ট করতে পারে তা আমি জেনেছি কলেজে ওঠার পর... তিনি আমাদের কলেজের সায়েন্স আর্টস কমার্স নির্বিশেষে সব স্টুডেন্টদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়... যতদিন না আমি ভরা ক্লাশে তার ইনসাল্টের শিকার হয়েছি ততদিন অব্দি তিনি আমারও পছন্দের স্যার ছিলেন... ক্লাশমেট এক ছেলে নোংরা বিহেভ করেছিলো বলে ওকে থাপ্পর মেরেছিলাম আমি আর এই ঘটনার পরেরদিন স্যার আমাকে ক্লাশে সবার মধ্যে দাড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো ওকে মেরেছি ক্যানো? ও কি আমাকে বাজে মন্তব্য করেছে? যদি করে থাকে সেটা যেন আমি ক্লাশের সবার সামনে বলে শুনাই! ও কি আমাকে বাজে ভাবে টাচ করেছে? যদি করে থাকে তাহলে কোথায় টাচ করেছে? এবং সর্বোপরি আমার মতো একটা উগ্র, উশৃঙ্খল মেয়েকে টিজ করা খুব বড় কোনো অপরাধ নয়.. এবং আমি ক্যানো মেয়ে হয়ে একটা ছেলেকে থাপ্পর মারলাম এই দায়ে সেদিন ক্লাশভর্তি ছেলে মেয়ের মধ্যে ছয়/সাত/আটটা বেতের বাড়ি মেরে শাষিয়ে ছিলেন যেন ভবিষ্যতে আর কখনো ছেলেদের সাথে মারামারি করার স্পর্ধা না দেখাই.. স্যারের কাছ থেকে এরপর প্রায় প্রতিদিন ক্লাশে নতুন নতুন অপমান অপেক্ষা করতো আমার জন্য... কোনোদিন হয়তো সে বলতো "কিরে বরিশাইল্যা পড়া পড়ে আসছিস?" আবার কোনোদিন হয়তো সামনের চুল কাটা ছিলো বলে শুনতে হতো, "ক্যাটরিনা হইতে চাস নাকি তুই? তুই আসলে বালটিনা হইতে পারবি হা হা হা"... কী বীভৎস ছিলো কলেজের সেইসব দিনগুলি!!!!
ভার্সিটিতে এসে একইভাবে দু'জন ম্যামের খপ্পরে পড়লাম... কোনোদিন কুর্তি কিংবা ফতুয়া পরে ক্লাশে গেলে ম্যাম অবধারিতভাবে দাড় করিয়ে জিজ্ঞেস করতো "এই মেয়ে তোমার ওড়না কই".... একদিন টিচার্স রুমে ডেকে নিয়ে বিনা কারনে অপমান করলো.... আরেকদিন পরীক্ষার সময় দুই ম্যাম ই গার্ড পরলো.... কপাল খারাপ ওইদিন ই আমি ফতুয়া পরা ছিলাম আর আমার সিট ও পরেছিলো একদম সামনের সারিতে... পরীক্ষা দেওয়ার পুরোটা সময় ধরে তারা দু'জন এমন সব আজেবাজে কথা বলছিলো যে আমি কাঁদছিলাম আর পরীক্ষা দিচ্ছিলাম.... একজন বলছিলো "আরেহ এসব মেয়েরা ক্লাশ ফোর/ফাইভেই ভার্জিনিটি হারায়া বসে থাকে আরেকজন তাতে সায় দিয়ে আরো নোংরা নোংরা মন্তব্য করছিলো" সেদিন কি যে পরীক্ষা দিয়েছিলাম মনে নেই তবে এরপর থেকে আর কোনোদিন ফতুয়া পরে ভার্সিটিতেই যাইনি.... আসলে যাওয়ার সাহস পাইনি... বাজে মন্তব্য কে ই বা শুনতে চায় তাও আবার শিক্ষকের কাছ থেকে....

অরিত্রীরা মরে গিয়ে আসলে আমাদেরকে সত্যি কথাগুলি মুখ ফুটে বলতে শিখিয়ে যায়...... যে কথাগুলো কোনোদিন বলিনি...... নিজের মধ্যে নিজে এক হীনমন্যতা পোষণ করেছি যেসব ঘটনায়... অরিত্রীরা মরে গিয়ে আমাদের মনে সাহস যোগায় সেসব লেখার...... যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক অরিত্রীরা...

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

নয়া পাঠক বলেছেন: অরিত্রিরা যেখানে গিয়েছে, সেখানে হয়ত ভালই থাকবে, তা নির্ভর করবে তার কৃতকর্মের উপর। কিন্তু তাদের তো এখন সেখানে যাওয়ার কথা নয়। কেন তারা সেখানে যায়, তার পিছে আসলে প্রকৃত কারণ কি? সেটা খুজে বের করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া উচিত। তাহলেই আর এমন করে অবেলায় অরিত্রিদের এভাবে হারিয়ে যেতে হবে না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: ঠিক তাই

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

কানিজ রিনা বলেছেন: নারী তোমার উপর যতই অন্যায় হোক
ঘুরে ফিরে তোমার কাঁধেই অন্যায়ের দায়
চাপবে কারন তুমি নারী। যে দেশে শিশু
ধর্ষনের দায় চাপায় নারীরা পর্দা করেনা
বলে ধর্ষন হয়। সে দেশে নারীর স্বাধীনতা
আদায় কাচকলা। ধন্যবাদ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: এই অবস্থা বদলাবার দায়িত্ব আমাদের কাঁধেই

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আবেগময় পোষ্ট।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: ঘটনাগুলো আমার জীবনের অভিজ্ঞতা। ভিত্তিহীন আবেগ নয় ।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অরিত্রীরা মরে গিয়ে আসলে আমাদেরকে
সত্যি কথাগুলি মুখ ফুটে বলতে শিখিয়ে যায়...... যে
কথাগুলো কোনোদিন বলিনি...... নিজের মধ্যে
নিজে এক হীনমন্যতা পোষণ করেছি যেসব
ঘটনায়... অরিত্রীরা মরে গিয়ে আমাদের মনে
সাহস যোগায় সেসব লেখার...... যেখানেই থাকুক
ভালো থাকুক অরিত্রীরা...

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০

আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: সত্যিই তাই

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমরাও এদেশে জন্মেছি, স্কুলে গেছি, কলেজে গেছি, ভার্সিটিতে পড়েছি। খুব বেশী যে আগের কথা তাতো নয়। তবে এটা জোড় দিয়ে বলতে পারি সে সময়টা এরকম ছিল না। এখন যা শুনতে পাচ্ছি তা রীতিমত আতংককর। সেই সময়ে হিজাবের প্রচলন চিল না। নারীরা শালীন বাঙ্গালী পোশাক পড়ে চলাফেরা করত। কখনও নারীদের চেহারা /শরীর/পোষাক নিয়ে ভদ্রলোকদের কটুক্তি করতে শুনি নাই রাস্তাঘাটের বখাটেদের কথা বাদ দিলে।এখনতো দেখছি ভদ্রলোকদের স্থান সব বখাটেরা দখল করে নিয়েছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: আমি যে সময়কার কথা লিখেছি তা ২০১০ এবং ১১ সালের

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আবেগ তো আছে।
আবেগ না থাকলে তো সমস্যা।

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বয়ঃসন্ধিকাল ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন জগৎ। প্রত্যেক মানুষকেই এ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। এ সময় ছেলেমেয়েদের মন মেজাজ খুব ওঠানামা করে। এই ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে তো পরক্ষণেই আবার খুব খারাপ লাগছে। এক্ষুণি কোনো সিদ্ধান্ত নিলো তো পরক্ষণেই তার পরিবর্তন। মনে হয়তো দারুণ খুশি, কিন্তু একটু পরেই ঘন বিষাদ। এ সময় শরীরের নিঃসৃত যৌন হরমনগুলো ছেলেমেয়েদের মন মেজাজের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। তাদের নিজেদের রাজা-রাণী ভাবতে ভালো লাগে। তাদের আচার-আচরণে অনেক অভিভাবক বিব্রতবোধ করেন। কাউকে না মানার মনোভাব তাদের মধ্যে প্রচ-ভাবে জেগে ওঠে। এ সময় বাবা-মা কিংবা অন্য অভিভাবকদের সাথে তাদের বনিবনা হয় না। একটা দুর্বিনীত ভাব সবসময় উত্তেজিত করে রাখে। নেতিবাচক চিন্তা-চেতনা তাদের প্রভাবিত করে। পারিবারিক পরিবেশ, স্কুল-কলেজের পরিবেশ, বন্ধুবান্ধবের সাহচর্য এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক উপাদান যেমন টেলিভিশন, সিনেমা, নাটক তাদের মনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। তাদের মনে এক প্রকার লোভলালসা বাসা বাঁধে। তারা অনেক কিছু পেতে চায়। ভোগ করতে চায়। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে চায়। প্রেমের নেশা এ সময়ের অন্যতম নেশা। জীবন বিলিয়ে দিয়েও তারা প্রেমের সফলতা বাস্তবায়ন করতে চায়। কারো কারো মধ্যে যৌন উচ্ছৃঙ্খলা ব্যাপক আকার ধারণ করে। অনেকেই আবার এ বয়সেই যৌন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনটাকে বিষিয়ে তোলে। এ বিশৃঙ্খলার পরিণাম হচ্ছে বিষাদগ্রস্ততা। ফলে অনেকের মধ্যে নিজেদের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষতি করার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মাদক আসক্তি ছড়িয়ে পড়ে তাদের জীবনে। তারা নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগতে থাকে। তাদের মধ্যে নিদ্রাহীনতা বাসা বাঁধে। ক্ষুধামন্দা থাকে। মাথা যন্ত্রণায় ছটফট করে। আত্মহত্যার প্রবণতা জাগে। নিজেকে সবার কাছ থেকে গুটিয়ে রাখে। নিকটজনদের সাথে হিং¯্র আচরণ করে। স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরীক্ষায় ফেল করে। এভাবেই একটি সম্ভাবনাময় জীবনের অপমৃত্যু ঘটে থাকে।

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.