নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবাক চোখে দেখি বিস্ময়কর বাংলাদেশ

নাসিরন আক্তার

লেখক হতে চাই না লিখতে চাই মানুষের জন্য,দেশের জন্য ।বাঁচতে চাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে।ব্লগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই আমার সকল ব্লগার ভাই-বোনদের মাঝে।কথা দিয়ে নয় দৃশ্যমান কিছু করে দেখাতে চাই ব্লগার ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে।

নাসিরন আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজ গুনে গুনী মহিমায় মহিয়সী(পর্ব-২)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০

কাজী আবেদ হোসেন এ.ডি.সি(রেভিনিউ) কিশোরগঞ্জ।পাঠক নামটা কি পরিচিত লাগছে?হ্যাঁ,পাঠক ইনি হলেন সেই বেক্তিত্ব যিনি আমার লেখণীর মুখপাত্র।যিনি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বেকার যুব সমাজকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করে সাবলম্বী জীবন উপহার দিয়েছেন।এই নিঃস্বার্থ মানুষ যুব সমাজকে সাবলম্বী করেই ক্ষান্ত হলেন না।তিনি পুনরায় ভাবতে শুরু করলেন দেশের তৃণমূল মানুষের কথা।প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়েও শত ব্যস্ততার মাঝে তিনি ভাবতে লাগলেন কিভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রের করালঘাত থেকে মুক্ত করে সুখী,সমৃদ্ধ আর শান্তিপূর্ণ জীবন উপহার দেয়া যায়।তিনি তার ভাবনাকে সুনিপুনভাবে কাজে লাগালেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে।মোহনগঞ্জের যুব সমাজকে তিনি যেভাবে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করেছিলেন অনুরূপভাবে তিনি তৃণমূল মানুষকেও দারিদ্র বিমোচন হতে অণুপ্রাণীত করতে লাগলেন।তৃণমূল মানুষেরা কাজী আবেদ হোসেনের কথায় মুগ্ধ হয়ে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে নিজেদের মধ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।তারা দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মৃক্ত হবে দারিদ্রমুক্ত সুন্দর জীবন গড়ে তুলবে।তাদের এই দীপ্ত অঙ্গীকার কাজী আবেদ হোসেনের ভাবনায় যোগ করে এক নতুন মাত্রা।প্রতিদিন এক কাপ চায়ের টাকা বাঁচিয়ে সঞ্চয়ী হবার মনোভাবের সাথে তিনি যুক্ত করলেন কিছু শর্ত যা শুধু তৃণমূল শ্রেণীই নয় পুরো দেশ আর জাতির জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।শর্তগুলো হলোঃ



(১)১০০ জন সদস্য নিয়ে একটি সমিতি হবে।

(২)প্রতিদিনের এক কাপ চায়ের টাকা বাঁচিয়ে মাসে ১০০ টাকা সঞ্চয় করার মনোভাব থাকতে হবে।

(৩)সদস্যগণ ২টির অধিক সন্তান গ্রহণ করতে পারবে না।

(৪)সদস্যগণ তাদের সন্তানদের বাল্য বিবাহে আবদ্ধ করতে পারবে না।

(৫)সদস্যগণের সন্তানদেরকে অবশ্যই বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে।

উপরে উল্লেখিত শর্ত মানলেই সদস্য হওয়া যাবে অন্যথায় নয়।কিন্তু অবাক কান্ড হলো তৃণমূল সকল মানুষই হাসি মুখে সকল শর্ত মানতে রাজী হলো কেননা তারা চায় দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি।কাজী আবেদ হোসেন সরকারের কোন প্রকার অর্থ ব্যয় না করেই একাজ করেন ।তার উদ্যেগে মোহনগঞ্জের তৃণমূল মানুষ ৭৫টি সমিতি গড়ে তোলেন আর এই সমিতিগুলো উত্তর উত্তর উন্নতি করছে।পুরো মোহনগঞ্জবাসী এখন দারিদ্র মুক্ত সুখী জীবন যাপন করছে।



কাজী আবেদ হোসেনের এই মহতী দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে আমরা সবাই যদি নিজ জেলার জন্য এই ধরণের উদ্যগ গ্রহণ করি তবে একদিন ৬৪ জেলা তথা পুরো বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের অর্থে নিজেরা সাবলম্বী হবে।আমাদেরকে আর বিদেশী সাহায্যে জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।আসুন আমরা সবাই সচেতন হই আর বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.