নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবাক চোখে দেখি বিস্ময়কর বাংলাদেশ

নাসিরন আক্তার

লেখক হতে চাই না লিখতে চাই মানুষের জন্য,দেশের জন্য ।বাঁচতে চাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে।ব্লগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই আমার সকল ব্লগার ভাই-বোনদের মাঝে।কথা দিয়ে নয় দৃশ্যমান কিছু করে দেখাতে চাই ব্লগার ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে।

নাসিরন আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজ গুনে গুনী মহিমায় মহিয়সী(পর্ব-৭)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪

”শিয়ালজানি খাল”যতবার জননী হবে তিনি হবেন ততবার তার পিতা “।এই দৃঢ় সংকল্পকে সঙ্গী করে তিনি এগিয়ে চললেন সামনের দিকে অভাবনীয় কৌশল আর সম্ভাবনাকে নব সাফল্যে সাফল্য মন্ডিত করতে।চিত্তে জমে থাকা দেশের প্রতি অনাবিল ভালবাসার টানে সারা দিনের কর্মব্যস্ত সময়কে সুষ্ঠভাবে বিদায় দিয়ে অবসাদে ভরা দেহ বিছানায় না এলিয়ে নিজ পরিচয় গোপন করে নির্জন নিভৃতে ছুটে গেলেন “শিয়ালজানির”পাড়ে। দেখতে পেলেন ৯০ ফুট চওড়া উৎস মুখ থেকে দীর্ঘ ৬কি.মি. পর্যন্ত আছে শুধু অবৈধ স্থাপনা।খালটি হারিয়েছে তার নাব্যতা।খালটির নাব্যতাকে জলানঞ্জলী দিয়ে খালের উৎসমুখ থেকে দীর্ঘ ৬কি.মি. পর্যন্ত গড়ে উঠেছে স্বার্থপর মানুষদের কাঠ চেরাই কল,সিনেমা হল,দোকানপাট ,চাতাল, ঘর -বাড়ি,রেস্তোঁরা,বহুতল ভবন ছাড়া খালের অনেক জায়গায় ভরাটের দৃশ্য।এসব দৃশ্য দেখে কাজী আবেদ হোসেনের মনে নেমে এল বিষাদের ছায়া।তিনি জানতেন শহরের ভেতর জমির মূল্য আকাশচুম্বী।শহরে বাস করার স্বাধ কার না আছে?আর সেই স্বাধ থেকে সাধ্যমত খাল ভরাট করে গড়ে উঠেছে ঘর-বাড়ি।এই ঘর-বাড়ি দেখে তার মনে হল-"শহরের ধারে খালের ভেতর তাদের বসতি আছে যেন কয়েক যুগ ধরে।বাড়ছে শহর বহরে -গতরে দুলছে সর্বনাশে”। অন্যদিকে শহরের যত বর্জ্র,আবর্জনা খালটি গিলছে অনীহা ভরে অনিয়মে।তিনি ভাবলেন যেভাবেই হোক এই অনিয়ম দূর করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খালটিকে তার পূর্বের রূপে মোহনগঞ্জবাসীর কাছে উপস্থাপন করতে হবে।কর্মময় জীবনের সাথে যুক্ত হলো কাজী আবেদ হোসেনের নতুন চ্যালেঞ্জ “শিয়ালজানি খাল”পুনরুদ্ধার।এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে তিনি আবারো ছুটে গেলেন খালের কাছে ।গভীর মমত্ববোধের সাথে খালটিকে নিখুঁতভাবে অবলোকণ করলেন।দেখলেন অবৈধ যত স্থাপণা ছিল সবগুলোর সামনের দিক ছিল শহরমুখী আর পেছনটা ছিল খালের ভেতরে।শুধু অবৈধ স্থাপনা ই নয় পুরো শহরের যত ময়লা ,কষাইখানার যত আবর্জনা সব ফেলা হত এই খালে।প্রকৃতির দান এত সুন্দর একটা খালের সাথে এত বড় অন্যায় আর অবিচার তিনি যেন কিছুতেই মানতে পারছিলেন না।এভাবে নির্জনে বেশ কিছুদিন আপন মনে খালের সাথে তিনি তার হৃদয়ের কথা বলতে লাগলেন আর খালটির কাছ থেকে তার দুঃখের মর্মকথা জানতে লাগলেন ।কাজী আবেদ হোসেনের সাথে শিয়ালজানি খালের যেন এক গভীর মিতালী হয়ে গেল। তিনি খালটিকে এই বলে আস্বস্ত করলেন”,থাকতে চরণ ,মরণে আমার নেই কোন ভয়।আঘাতের পর আসুক যতই আঘাত “শিয়ালজানি “ তোমায় আমি করবই জয়।







(চলবে))



বিঃদ্রঃতথ্যসূত্র লেখার শেষ পর্বে প্রকাশিত হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.