নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিলিস্তিন! হায়রে ফিলিস্তিন!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১০

ফিলিস্তিন!
হায়রে ফিলিস্তিন!!
হায়রে নাস্তানাবুদ ফিলিস্তিন!!!
হায়রে অধিকার বঞ্চিত ফিলিস্তিনের মুসলমান!
তোমাদের হৃদয় পোড়ার গন্ধে আমরাও অস্থির অধীর বেকারার হই!
তোমাদের বাস্তুচ্যূত করার সময় প্রতিবার আমরাও ভিটে মাটিহীন - বাস্তুহারা হয়ে যাই!
তোমাদের শরীরে বিদ্ধ হয়ে যাওয়া শত্রুর নিক্ষিপ্ত প্রতিটি স্পিলিন্টারের আঘাত
আমাদের এফোড় ওফোড় - জখম করে!
প্রতিবার আমরা অাহত হই! রক্তক্ষরন হয় আমাদের ভেতরেও!
তোমাদের শিশুদের নিষ্পাপ কঁচি দেহগুলো বুলেটের আঘাতে যখন ক্ষত বিক্ষত ছিন্ন ভিন্ন হয়
এবং তোমাদের ক্রোড়ে শোভা পায় নিথর নিস্তব্দ কঁচি সোনা মুখ
আমাদের- এই আমাদেরও তন্ত্রীগুলো বেমালূম ছিঁড়ে যায়-

আমাদেরও হৃদয়ের গহীন থেকে অস্ফুটে উচ্চারিত হয়-
তোমাদের মুক্তির শ্লোগান-
আমিতো মিছিল দেখি- লক্ষ কোটি মানুষের অযুত কন্ঠে গগন বিদারী শব্দে
মিছিলের পর মিছিল-
আল আকসার পবিত্র প্রাঙ্গনে-
পৃথিবীর নিপীড়িত শোষিত সব বনি আদমের বিশাল গনজমায়েত
লেজকাটা শিয়ালের দল - আধুনিক শান্তির সমৃদ্ধির নতুন বসুধা গড়ার পথের কাঁটা
দখলদার জারজ জাতির জারজ সন্তানদের পালিয়ে যাওয়া
প্রত্যক্ষ করা বড়ই উপভোগ্য লাগে আমার কাছে-

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২১

আবু ছােলহ বলেছেন:



ফিলিস্তিনীরা তাদের অধিকার ফিরে পাক!

নির্যাতিত ফিলিস্তিনের দুর্দশা মোচনে শক্তিশালী কবিতা।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



''ফিলিস্তিনীরা তাদের অধিকার ফিরে পাক!''

-সহমত পোষন করায় কৃতজ্ঞতা!

''নির্যাতিত ফিলিস্তিনের দুর্দশা মোচনে শক্তিশালী কবিতা।''

-প্রশংসায় ধন্যবাদ।

অনেক অনেক শুভ কামনা।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

পলাশমিঞা বলেছেন: ফিলিস্তিনীরা পাপ করেছিল এখন মোচ করছে।

আমাদেরকে সাবধান করা হয়েছিল, ওদের সাথে লেনদেন না করার জন্য। কিন্তু আমরাতো ওদের সাথেই লেনদেন করি।
ওরা কারা জানেন?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



এখানে আপনাকে পেয়ে অভিভূত! বিখ্যাতদের শুধু অভিনন্দন দেয়া যায় না! উষ্ণ অভিনন্দন!

এ সর্বনাশা পাপ-প্রায়শ্চিত্যের পরিসমাপ্তি কবে যে ঘটবে!
কবে যে প্রত্যক্ষ করতে পারব, মুক্ত ফিলিস্তিনের আকাশজুড়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে উঁকি দিচ্ছে রক্তিম একটি লাল সূর্য!


ওদের সাথে লেনদেন করব না? আমরাতো নামকাওয়াস্তে মুসলমান। ধর্মীয় পরিচয়টা প্রাকটিসবিহীন সাইনবোর্ড সর্বস্ব হতে চলেছে ক্রমশ:।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

শামীম সরদার নিশু বলেছেন:

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



নিশু,

তালিকার লোকদের আপনি কোথায় খুঁজে পাচ্ছেন না?

প্রায় সবাইকেই তো পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগামী কাল, ২/১৫/২০১৭ তারিখে নাতিনিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠক হবে, ভালোর দিকে যাবে হয়তো

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



এখানে এসে দেখে যাওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন গাজী ভাই!

নেতানিয়াহু ট্রাম্পের বৈঠক অধিকার বঞ্চিত ফিলিস্তিনের আদি অধিবাসীদের ন্যায্য দাবি ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গিকারের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হোক।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

শোভন কুমার বর্ধন বলেছেন: হু,ঠিক বলেছেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই, বর্ধন,

এখানে আপনাকে স্বাগত!

পাঠ ও মন্তব্যে আপ্লুত!

ভাল থাকবেন।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

মাঝিবাড়ি বলেছেন: জগতের মানবের তরে আমাদের অধিকারের মুষ্টি সর্বদাই উরধে!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



মাঝিবাড়ি,

এখানে আপনার আগমন শুভ হোক!

জগতবাসীর শান্তিকামনা, তাদের ন্যায্য অধিকার প্রত্যাশার প্রাঙ্গনে আপনার পদচারনা, আপনার বলিষ্ঠ কন্ঠ উচ্চকিত হোক। সব মানুষ, সকল প্রানী প্রশান্তির পরশে সিক্ত করুক তাদের পার্থিব জীবন। দু:খ, দুর্দশা আর কান্নার হোক চির অবসান।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

মাঝিবাড়ি বলেছেন: চলছি পথে ধুলোমাখা পায়ে
দূরের মাঠে সরিষা ফুলের গন্ধ নেব বলে!

চলুন..... সময় এখন সামনে যাওয়ার!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



অশেষ প্রেরনা প্রদানে বাকরুদ্ধ!

মানবতার জয়গান গেয়ে শোনানোর জন্য মালাইক, অবতার কিংবা অপার্থিব কেউ এসে আমাদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যাবে না। আমাদেরই সত্যের আলো প্রজ্জ্বলনের গুরু দায়িত্বটা ভাগাভাগি করে কাঁধে তুলে নিতে হবে।

স্বকীয়তা-নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে 'বিড়ালের মত' একশো বছর বেঁচে থাকার চেয়ে 'আদর্শ মানুষ' হয়ে সিংহের মত এক দিন বাঁচা আমাদের নিকট অধিকতর শ্রেয় হত যদি!

সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি পেয়ে উদ্বুদ্ধ হলাম। সকলের জন্য অনুপ্রেরনা হয়ে ধরা দিক আপনার অনবদ্য 'তিনটি লাইন'।

ভাল থাকবেন।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অবৈধ ভাবে ফিলিস্তানের মাটিতে ইসরায়েল গঠিত হয়েছিল!!!!!

ইসরায়েল আজ স্বাধীন পৃথিবীর মানচিত্রে ফিলিস্তান এখনো ঠাঁই পায়নি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

কবিতায় লাইক!

আমি যদিও বানানে তেমন ভালো না তবুও কয়েকটা টাইপো চোখে পড়েছে ( নিস্পাপ< নিষ্পাপ ; নিপিড়ীত<নিপীড়িত ; আধূনিক <আধুনিক) !

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



বিলিয়ার ভাই,

আপনার পদচারনায় ধন্য হলাম।

লাইক দেয়ায় আপ্লুত!

বানান নিয়ে সমস্যা থাকাটা স্বাভাবিক। এই লেখাটি আসলে সেরকমভাবে ভাল করে দেখা হয়ে ওঠে নি। ধরিয়ে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা!

ভাল থাকবেন।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: হায়রে অধিকার বঞ্চিত ফিলিস্তিনের মুসলমান!
তোমাদের হৃদয় পোড়ার গন্ধে আমরাও অস্থির অধীর বেকারার হই!

হৃদয়স্পর্শী একটি লাইন।
অধিকার বঞ্চিত ফিলিস্তিনীরা তাদের অধিকার ফিরে পাক, এটাই সর্বদা কামনা করি।

বিঃ দ্রঃ এই পোস্টে আগে একটি স্ক্রিনশট দেওয়া হয়েছিল।



এই তালিকায় আপনিও অাছেন সেই দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য আপনার পোষ্টে স্ক্রিনশনটি যোগ করেছিলাম।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় নিশু, আপনি ভালো করে তালিকাটি যদি আরেকবার দেখে নেন! আমার মনে হয়, এই তালিকায় আমি নেই। যাই হোক, আপনার অান্তরিকতায় মুগ্ধ!

ভাল থাকবেন।

১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

জেনুইন শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
সামুতে আমাকে নিয়ে ফাজলামি শুরু করসে কয়েকজন বদমাশ ইভটিজার, শাহাদাৎ হোসেইন (বেকুবের ছায়া), শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়.) নিক খুলে এরা সামুকে বিভ্রান্ত করছে। আমিই আসল শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া), যে কারণে জেনুইন শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) নিতে বাধ্য হলাম। নতুন নকিব ভাই আপনাকে শুকরান।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



"কাদম্বিনি মরিয়া প্রমান করিল সে মরে নাই"

আসল শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) প্রমান করিতে যাইয়াও কি এই আইডিধারী ব্যক্তিকেও তাহাই করিতে হয় কি না কে জানে!

উই অল আর কনফিউজড এবাউট দিস আই ডি! সো, ইফ ইউ হ্যাভ এনি এভিডেন্স, শো আস্। আদারওআইজ, উই বিলিভ অনলি শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ইজ অরিজিনাল এন্ড কারেক্ট। এন্ড আদার অল সেম আইডিজ আর ফেইক।

হ্যাপি ব্লগিং।

১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ফিলিস্তিনিদের কষ্ট সহ্য করা কঠিন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:


ফরিদ ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ। ফিলিস্তিনের অধিকার বঞ্চিত মানব গোষ্ঠীর অন্তহীন জীবন যন্ত্রনা আপনার অনুভূতিতে স্থান পাওয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা।

জানি, সচেতন মানুষ হিসেবে এ কষ্টের অনুভূতি হৃদয়ের গভীরে অবশ্যই লালন করেন। আমাদের সাথে শেয়ার করায় আমরাও উজ্জীবিত রিক্তদের অধিকার আদায়ের দাবিতে।

ভালো থাকবেন।

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল মর্মস্পর্শী লিখাটি । অনেক কথাই বলার আছে এ বিষয়ে ।
Criminal genocidal politics নামে কিছুদিন আগে একটি আর্টিকেল লিখেছিলাম একটি জর্নালের জন্য । বাংলায় অনুবাদ করে টাইপ করা একটু কস্টকর তাই প্রবন্ধটির Genocidal politics citing relevant cases/examples from Israeli actions সেকসনের কিছু অংশ তুলে দিলাম নীচে ।

Bashir and Goldberg ( 2014) in their ''Deliberating the Holocaust and the Nakba; disruptive empathy and bi -nationalism in Israel/Palestine''’ showed how bi-nationalism and destructive ethics works for committing destruction . The unethical settlement intention of Israeli Government give rise in genocidal politics of bi-nationalism in Israeli occupied Palestinian area. Likewise, while discussing ‘Ethnic Cleansing of Palestine, Ilan Pappe (2007) begins with much published and controversial study on Palestinian disposition ruination and violent death which is planned in the so called Red house in Tel Aviv.
In the ‘The Plight of the Palestinians: a Long History of Destruction’ where Cook ( 2010) compiled a collection of voices regarding genocide in Gaza. The accomplished voices establishes theoretical and graphic terms implied to slow, methodical genocide taking place in Palestine. These forceful language expressed the intentional atrocities taking place, the inhumane conditions inflicted on the people, and the silence that exists despite the crimes, which is nothing but a state-sponsored genocide against the Palestinians ( Ilan Pappe, 2007).

Lendman’s (2008) work on ‘Israel's Slow-Motion Genocide in Occupied Palestine’ showed how Palestinian are being regularly victimized through frequent attacks on the ground and from the air. Palestinians ethnically cleansed, arrested, tortured, and slaughtered at regular intervals . Having no rights on their own land for over many years and for being Muslims they are called terrorists, Jihadists, and fundamentalist and extremists. Victimized by a slow motion genocide, attempts are being taken to destroy them.

Tanya Reinhart interviewed by Jon Elmer, ZNet in September 2003 as appeared in A Slow, Steady Genocide Reinhart expressed views saying that “The most obvious way is the one that somehow no one happens to think about: the only way to end an occupation is to get out of the Occupied Territories....... Despite controlling the land, Israel hasn't actually managed to settle large areas of the West Bank. The majority of these settlers are willing to go back into Israel, with compensation for what they invested”.

In Israeli occupied Palestine, it appears there is steady genocide relying on almost all genocidal inventions. The progression of land transfer from Palestinians to Israelis provides steady genocidal evidence. In 1946 large land area were under Palestinian, in 1949 to 1967 About 80% of the Palestinian land were occupied by Israel during 1949 to 1067. In 2007 only less than 5% lands belongs to the Palestinian and in 2010 virtually nothing left for the Palestinian. Israel constructed a wall and started Jewish settlement on a hill top in the West Bank with a bit of the security wall in the foreground. Buildings are constructed far from the 1967 Boarder of Israel, The wall surrounds Palestinian homes and villages, leaving Palestinian families land and water sources on the other side, Accessible only to Israelis. Israelis and Palestinians living in the West Bank generally use different roads, In fact, modern roads are preserved only for Jewish people while older unusable roads are left for Muslims and Christians. Palestinian farmers frustratingly watch how their means of livelihood are used to make way for the wall being built through their groves .Palestinians are forbidden from carrying weapons while settlers regularly target Palestinian villages carrying modern weapons.

শুভেচ্ছা রইল

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় গবেষক আলী ভাই,
আপনাকে পেয়ে অনেক ভাল লাগছে।
সত্যি কথা বলতে কি, জ্ঞানী লোকদের ছোঁয়া পেলে অকাট মূর্খ হওয়া সত্বেও নিজেকে জ্ঞানী ভাবতে ইচ্ছে হয়! এমন হয় কেন, আলী ভাই?

লেখাটি আপনার কাছে মর্মস্পর্শী ঠেকেছে দেখে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা! আর, হ্যাঁ ভাই, যুগ যুগান্তের সঞ্চিত সাগর সমান ব্যথা-কষ্ট আর সীমাহীন রক্ত ঝড়ার ইতিহাস দু'চার লাইনে আর কীইবা ফুটিয়ে তোলা যায়! ওদের বঞ্চনার যেন শেষ নেই! নিরবধি নির্যাতন, নিষ্পেষন আর দুর্ভাগ্যকে বরন করে নেয়াই যেন আজকের ফিলিস্তিনীদের অঘোষিত নিয়তি! সভ্য বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে একটি জাতির নি:শেষ হওয়া দেখে যায়! একটি দেশের একটি জনপদের একটি সভ্যতার মৃত্যু প্রত্যক্ষ করে নির্বিকার।

কষ্ট করে আপনার চমকপ্রদ আর্টিকেল 'Criminal genocidal politics' এর 'Genocidal politics citing relevant cases/examples from Israeli actions' সেকশনের রিলেটেড কিছু অংশ এখানে তুলে এনে নিসন্দেহে পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করেছেন। অনিশেষ কৃতজ্ঞতা আবারও।

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: ফিলিস্তিনীরা তাদের অধিকার ফিরে পাক!

১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:


প্রিয় ছড়াকার প্রামানিক,
আপনার আগমন এখানে শুভ হোক। বসন্তের এই শেষ প্রহরে কোলাহল মুখর ধরিত্রীর যেসব জনপদে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ, অবিরাম বাসন্তী বাতাসকেও গন্ধহীন নিরস নিস্প্রভ নিরানন্দ করে রেখেছে, অধিকার বঞ্চিত ফিলিস্তিন তার মধ্যে অন্যতম। আজকের ফিলিস্তিন; কান্নার দাগ যার কখনও শুকোয় না। গোয়েবলসীয় স্টাইলে দস্যু ইহুদি হায়েনাদের নিরন্তর যুগ যুগান্তরের হত্যাযজ্ঞে যে পবিত্র ভূমি কলংকিত সেটি আর কিছু নয়, ফিলিস্তিন।

ফিলিস্তিন মানে দখলদার জারজদের দখলকৃত পূন্যভূমি!
ফিলিস্তিন মানে অন্যায় খুন খারাবি পাপের নগর বঞ্চিত মানবতা!
ফিলিস্তিন মানে অবাধ উচ্ছেদ মানবতার মৃত্যু উদ্বাস্তু মানুষের অসহায় বোবামুখ!
ফিলিস্তিন মানে হায়েনার রক্ত চোখ পৃথিবীর কলংক পাপিষ্ট ইহুদির অভয়ারন্য!
ফিলিস্তিন মানে ক্ষুধা তৃষ্ণা হাহাকার অন্তহীন ক্লেশ নিষ্পাপ শিশুর ঝলসে যাওয়া কচি মুখ!
ফিলিস্তিন মানে বনি আদমের রক্ত নেশায় বিভোর অস্ত্রবাজ পশ্চিমাদের দাঁত কেলিয়ে ক্রুড় হাসির যাত্রামঞ্চ!

বঞ্চিতদের পাশে আপনার শক্তিশালী অবস্থান অামাদের উজ্জীবিত করবে।

ভাল থাকবেন, প্রামানিক ভাই।

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

মু:আ:রহমান বলেছেন: কবিতায় লাইক!

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই মু:আ:রহমান,

কষ্ট করে পাঠ এবং মন্তব্যে আসায় প্রানঢালা অভিনন্দন।

কবিতায় লাইক প্রদানে উজ্জীবিত!

ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিল ক্লিন্টন একবার ফিলিস্তিন আর ইসরাইলকে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটা ইসরাইলকে একটা স্বাধীন সর্বভৌম দেশ মেনে নিলে ইসরাইল ফিলিস্তিনের ওপর আর কোনো আগ্রাসন করবে না এবং তার সার্বভৌমত্বের ওপর পূর্ন সমর্থন দেবে। ইসরাইল মেনে নিলেও আশ্চর্য্যজনক ভাবে ফিলিস্তিন এটা মেনে নেয়নি। তারা যেভাবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলছে সেটাই চালিয়ে যাবার জন্য গোঁ ধরে।

এতে বিল ক্লিন্টন অবাক হন। এর কিছুকাল পরেই বিল ক্লিন্টন তার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ করেন বলে সেই ডিলটি আর পুনরুজ্জীবিত রাখতে পারেননি।

ফিলিস্তিন আর ইসরাইলের অমানবিক যুদ্ধের সমঝোতে এখন আর কারো হাতে নেই। দু পক্ষই দু পক্ষকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত থামবে না। যদি আমরা ইয়েমেনের হুতীদের ওপর বর্তমানে যে নির্মমতার আগ্রাসন চলছে সেটা নিয়ে কথা বলছি না। অদ্ভুত হিপোক্রেসী

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



উদাসী স্বপ্ন,
অনেক ধন্যবাদ, পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার মতের সাথে আমি পুরোপুরি একমত না হলেও আপনার মতের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে বলছি, দয়া করে একটু পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। মধ্য প্রাচ্যের বিঁষফোড়া অবৈধ ইসরাইল রাস্ট্রটির আবির্ভাব আর জন্মেতিহাস সঠিকভাবে পর্যবেক্ষন করলে এবং কিছুক্ষনের জন্য হলেও নিজেকে বিধ্বস্ত জেরুজালেমের একজন ভেবে নিলে আশা করি, আপনিও 'আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চলমান সংগ্রাম চালিয়ে যাবার জন্য গোঁ ধরে' থাকতেন।


তবে, একটি জিনিষ কি মনে হয় জানেন, কথায় রয়েছে না, পিয়াজ রসুনের গোড়া এক। ক্লিন্টন বলেন আর বুশ বলেন আর নেতানিয়াহুর কথাই ধরেন, বিশ্বময় সকল ইহুদি খৃষ্টান এই একটি ইস্যুতে মিলেমিশে একাকার।

যদি আমরা ইয়েমেনের হুতীদের ওপর বর্তমানে যে নির্মমতার আগ্রাসন চলছে সেটা নিয়ে কথা বলছি না। অদ্ভুত হিপোক্রেসী।

-হিপোক্রেসী কোথায় পান? কথা বলুন। নির্যাতন নিপীড়ন আর সব ধরনের নির্মমতার বিলুপ্তির লক্ষ্যে বিশ্বময় আওয়াজ তুলুন। আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল নির্যাতিত মানুষের মুক্তির পক্ষে ছিলাম, আছি এবং আজীবন থাকব।

ভাল থাকবেন।

১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


২/১৫/২০১৭ তারিখে নাতিনিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠক ফিলিস্তানীদের বিপক্ষে গিয়েছে, নাতিনিয়াহু বলেছে, পুরো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী সিকিউরিটি ফোর্স থাকার প্রয়োজন; অর্থাৎ, ২ দেশ সমাধান থেকে সরে যাওয়ার প্রস্তাব।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রানঢালা অভিনন্দন, প্রিয় চাঁদগাজী ভাই।

ইটের পরিবর্তে পাটকেল ব্যবহার না হওয়া পর্যন্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গিবাদী ইয়াহুদিরা মানবিকতায় ফিরে আসবে বলে মনে হয় না। তবু স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রত্যক্ষ করার প্রত্যাশায় আমাদের অন্তহীন চেয়ে থাকার প্রহর আমরা গুনে যাব! গুনেই যাব!!

ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনি কি প্রথম পাতায় লেখার অনুমতি পেয়েছেন???

২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



বিলিয়ার ভাই,
ধন্যবাদ অধমকে মনে রাখায়। না ভাই, এখনও পাই নি। কবে পাব জানি না। আশায় বুক বেঁধে বসে আছি। দেখি কোন দিন ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে কি না।

ভাল থাকবেন।

১৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনাকেতো মনে রাখতেই হবে!!! হা হা হা


মডুদের ফিডব্যাকে মেইল করুন!

ফল পেতে পারেন!:)

২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



'আপনাকে তো মনে রাখতেই হবে!!!'

হায়, হায় একি বললেন! আল্লাহ আপনার উপর রহমতের অবারিত বারিধারা বর্ষন করুন। অশেষ কৃতজ্ঞতা।

দেখি, আপনার পরামর্শ ফলো করার চেষ্টা থাকবে।

ভাল থাকবেন, ভাই।

১৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কোন রকম নোটিশ পাইনি বলে আপনার সুন্দর প্রতি উত্তরটা সময়মত দেখতে পারিনি ।
অাল্লাহ মহাবিজ্ঞ ও শর্বশক্তিমান , অতীতে বহু অত্যাচারিত জাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে পৃথিবীর বুক হতে শুধু তাদের বারাবারির কারণে ।নির্যাতিত প্যলিষ্টাইনীদের দু:খ দুর্দশা নিশ্চয়ই আল্লাহ দুর করে দিবেন , এ দোয়াই করি ।

রাবেয়া রহিমের ব্লগে আল্লামা ফরিদ উদ্দিন আত্তার রহ. এর অনবদ্য কাব্য গ্রন্থ 'মানতিকুত তইয়ার' নিয়ে আপনার
The Conference of the Birds এর বিষয়ে ধন্যবাদ জানাতে এসে আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেখতে পেলাম ।

আজ সারাদিন ধরে The Conference of the Birds নামিয়ে নিয়ে পড়লাম । মুল্যবান এই লিংকটি দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



কসম আল্লাহর, আলী ভাই, আপনার কমেন্ট পড়তে পড়তে ঝাঁপসা হয়ে আসা চোখ দু'টো কেন জানি আজ আর বাধ মানতে চায় না! আপনি দুআ করেছেন, আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, নির্যাতিত প্যলিষ্টাইনীদের দু:খ দুর্দশা নিশ্চয়ই আল্লাহ দুর করে দিবেন! আহ! আল্লাহ, আপনি আলী ভাইর প্রানের গহীনের এ উচ্চারন আপনার দরবারে আলীশানে মাকবুল মানজুর করুন।

আহ্! আয় আল্লাহ!!
হে জমিন আসমানের মালিক!!!
আপনি ছাড়া অসহায় নির্যাতিতের কে আছে?
আপনার অবারিত করুনাধারা ব্যতিরেকে আর কোথায় ঠাঁই আছে?
আপনার অন্তহীন দয়া মায়া প্রেম ছাড়া কি দিয়ে পোড়া মন শান্তনা পেতে পারে?

'মানতিকুত তইয়ার' পড়েছেন জেনে সীমাহীন আনন্দ পেলাম। আরও খুশি লাগছে, সারাটি দিন বইটি পাঠে ব্যয় করেছেন জেনে। অন্যরকম ভালোলাগার মত একটি বই।

আচ্ছা, আলী ভাই,
আপনি তো লেখা পাগল মানুষ। আমার পূর্বের একটি পোস্টে দেয়া “লাহোর থেকে বুখারা” বইটি কি কখনও পড়েছিলেন? যদিও এটি ভ্রমন কাহিনী, তবু বলব, অনেক শক্তিশালী ভিত্তির ওপরে, অনেক অলৌকিকতার সজীবতায় মা'রিফাতের ভিন্ন স্বকীয়তায় উদ্ভাসিত অনন্য একটি গ্রন্থ এটি। এই লিঙ্ক থেকে সময় করে কখনও যদি দেখে নিতে পারেন-
লাহোর থেকে বুখারা

২০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমি বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় অতঃপর হৃদয়,
আপনার আগমন এখানে শুভ হোক। আপনার হৃদয়ের মনিকোঠা থেকে উতসারিত অান্তরিক আবেগ-না বলা কথাগুলো দোআ আর আশির্বাদ হয়ে ঝড়ে পড়ুক বঞ্চিত নির্যাতিত উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনীদের মুক্তির পক্ষে। আর আল্লাহর দরবারে তা কবূল হোক অতি দ্রুত। আমীন।

ভাল থাকবেন।

২১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: প্রথম পাতায় লেখার অনুমতি পেয়েছেন??

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সামু অভিভাবকদের পক্ষ থেকে গ্রীন সিগনাল রয়েছে। তার মানে, পোস্ট করলেই প্রথম পাতায় যাবে। এখনও টেস্ট করি নি।

ও আচ্ছা, বুঝতে পারছিলাম না, ভাষাহীন আপনার মন্তব্যের কী জবাব দিতে পারি। মাইন্ড করেন নি তো?

২২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আরে না মাইন্ড করব কেন!!!!! লিখে ফেলুন নতুন পোস্ট পড়ার অপেক্ষায়।

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, অাবার এসে মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।

জ্বি, ভাই, নতুন পোস্ট লেখার ইচ্ছে রয়েছে। ব্যস্ততা একটু কমলে ইনশাআল্লাহ।

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

২৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আপনার দেয়া লিংকটা ফলো করে লাহোর থেকে বুখারা বইটি পাঠ করলাম । এ বইটি আমি আমার পরিচিতদের কাছে ইমেইলে ফরোয়ার্ড করে দিয়েছি ।
আজকে চিকিৎসক জাকের নায়েকের উপর একটি পোষ্টে আপনার দেয়া লিংক ফলো করে পাওয়া বইটি অনেকক্ষন লাগিয়ে পাঠ করেছি অনেক কিছু জানা গেল যা জাকের নায়েককে নিয়ে আমার নীজের ভাবনার সাথেই মিলে যায় ।

আমি একজন অতি অজ্ঞ লোক, ইসলামী বিষয়ে আমার জ্ঞান বলতে কিছুই নেই । দেশ ও বিদেশের প্রক্ষাত দ্বীনি আলেমগনের বয়ান ও তাদের রচিত পুস্তকাদি পাঠে যতটুকু জানতে পেরেছি ও আমার পিতা, মাতা, দাদা ,দাদীদের কাছ হতে যতটুকু জানতে পেরেছি এর মাঝেই আমার জানা সীমিত । তবে আমাদের সৃস্টি কর্তা আল্লাহ , তাঁর প্রেরিত রাসুল ও অলি আওলিয়াদের সম্পর্কে জানা ও বুঝার জন্য আল্লার কাছে সবসময় সাহায্য কামনা করি । তাই তিনি এই পাপী বান্দাকে সব সময় সাহায্য করেও থাকেন , যখন যে বিষয়টি জানতে চাই তখন সে বিষয়ের উপর কোন হাক্কানী দ্বীনি আলেম এর সাক্ষাত কিংবা প্রসঙ্গীক পুস্তকাদির সন্ধান অাল্লাহ মিলিয়ে দেন । তখন মনে পরে যায়, অাল্লাহ পবিত্র কোরানের সুরা আর- রাহমানে বার বার বলেছেন " তার পরেও তোমরা অস্বীকার করবে কোন কোন নিয়ামত " । তাঁর দ্বীনি শিক্ষা লাভের সঠিক সুত্র বা তথ্য ভান্ডারের সন্ধান পাওয়াকেও আমি একটি মুল্যবান নিয়ামত বলে মনে করি ।

বিভিন্ন পোষ্টের লিখায় মুল্যবান প্রাসঙ্গীক কয়েকটি পুস্তকের সন্ধান দেয়ার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

বাতিল জাকের নায়েক মুলত কিছুইনা, তাঁকে সামনে তুলে ধরে তাঁর মুখ দিয়ে , তাকে প্রচার যন্ত্রের সহায়তা দিয়ে (টেলিভিশন) মিডিয়াতে প্রচার প্রোপাগান্ডা চালিয়ে , তাঁর আলোচনা সভায় ( বেশীর ভাগই স্টুডিউ কনফারেন্স , যেখানে প্রশ্ন ও উত্তরগুলি আড়াল থেকে জোড়ে দেয়া সস্ভব ) ভাড়া করা লোকজনের সমাগম ঘটিয়ে, পুর্ব নির্ধারিত সাজানো ( প্রশ্ন পত্র ফাসের মত ) প্রশ্র উত্তর পর্ব দিয়ে অনলাইন /ভার্চুয়াল জগতের দর্শকদেরকে ধোকা দেয়া , কিছু সংখ্যক বিধর্মীর ইসলাম গ্রহনের ফেব্রিগেটেট পরিসংখান দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ,এসকলই একটি মহল বিশেষের কার্যকলাপ । তাই এখন সময় এসেছে বাতিল জাকের নায়েক নয়, যারা তাকে সৃস্টি করেছে তাদের সঠিক পরিচয় ইসলামী বিশ্বে সকলের কাছে তুলে ধরা । যারা জাকের নায়েককে এতদিন তাদের গোপন উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যবহার করেছে তারা এত দিনে বুঝে গেছে জাকের নায়েকের প্রয়োজনীয়তা তাদের কাছে ফুরিয়ে গেছে , পাবলিক তাকে চিনে ফেলেছে । তাই এখন তারা অন্য কোন নতুন নায়েক তৈরীর ধান্ধায় আছে নিশ্চয়ই , তারা বুঝে গেছে এই ডাক্তর জাকের ফ্লপ মেরেছে । এখন তারা নতুন কাকে নিয়ে আসে সেদিকেই দৃস্টি রাখতে হবে । যে ভুলের কারনে জাকের নায়েক বস্তুটাকে ইসলামী বিশ্বে একজন ইসলামী চিন্তাবিদ হিসাবে মাকাল ফলের মত একটি ভাবমুর্তী দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিল সেরকম ভুল যেন আর না হয় সে দিকে সকল প্রকুত ইসলামী চিন্তাবিদ ও হাক্কানী আলেম সমাজকে সচেতন হতে হবে , যেন গোড়াতেই চক্রান্তকারীদের হীন চেষ্টা সমুলে ব্যর্থ হয় ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আলী ভাই,
বিস্তারিত জবাবে আপ্লুত!

হৃদয় উজার করা ভালবাসা নিবেন। ভাই, নিজেকে অনেক আনন্দিত মনে হচ্ছে, আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে 'লাহোর থেকে বুখারা' বইটি পড়েছেন জেনে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, অধমের কথা রাখায়। আচ্ছা, কেমন লেগেছে বইটি? আপনার মূল্যায়নটা যদি সংক্ষিপ্তাকারে জানাতেন!

বইটি আপনার পরিচিতদের কাছে ইমেইলে ফরোয়ার্ড করে দিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। ভাই, সত্যিকারার্থে ছোট্ট হলেও এটাকেও আমার কাছে দ্বীনের একটি দাওয়াত, একটুখানি খেদমত মনে হয়। এই ডিজিটাল যুগের অতি আধূনিক মানুষদের কাছে অনেক বিষয় যেখানে যুক্তির প্যাঁচে আটকে যায়, লৌকিকতার নিথর নিগরে আটকে গিয়ে, দৃষ্টি সীমার বাইরের বিশাল বিশ্ব জগতের প্রতিভূ পরওয়ারদিগারে আলমের সীমাহীন ক্ষমতা আর অবারিত দয়া, সাহায্য, অনুকম্পায় বিশ্বাস যেখানে হোচট খায়, এই বইটি আমার কাছে মনে হয়, নতুন করে তাদের বিশ্বাস-অনুভূতি-ভাবনায় ইসলামের কালজয়ী সত্যের পক্ষে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা এনে দিতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।

আর জাকির নায়েককে নিয়ে আমাদের বক্তব্য তো পরিস্কার, আমরা মূল থেকে বিচ্ছিন্নতা পছন্দ করি না। এ জনপদে লক্ষ অলি আউলিয়ায়ে কেরামের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী পদচারনাকে আমরা কখনও ভুলে যেতে পারি না। 'সোহাগ আহসানের' সেই 'একজন ডাক্তার কিভাবে মাদ্রাসায় না পড়ে আলেম হয়.?' পোস্টটিতে 'ধ্রুবক আলো' কে উদ্দেশ্য করে আমার আরেকটি কমেন্ট ছিল। তার কিছু অংশ সামান্য সংশোধিত আকারে এখানে তুলে দিচ্ছি-

"টিভি রেডিও আর ইন্টারনেটে ভর করে এখানে ইসলাম আসে নি। তরবারি তলোয়ারে ভর করেও ইসলামের বাঁধভাঙা স্রোত এ জনপদে প্রবেশ করে নি। শাহজালাল রহ. শাহ মাখদূম রহ. শাহ সুলতান মাহীশাওয়ার বলখি রহ. শাহ পরান রহ. খানজাহান আলী বাগদাদী রহ. মুঈনুদ্দিন আজমেরী চিশতী রহ. সহ হাজারো লক্ষ আউলিয়াদের প্রানের ছোঁয়ায় ধন্য এ মাটিতে ইসলামের বীজ বপন হয়েছিল তাদের অনুপম আদর্শ, উজ্জ্বল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অকল্পনীয় ত্যাগ আর ইসলামের মহান আলোকিত পথ প্রক্রিয়ায় দাওয়াতের মাধ্যমে। তাঁদের এবং তাঁদের উত্তরসূরী আলেম ওলামাদের পরিত্যাগ করে নতুন সালাফি মতবাদ এ অঞ্চলের ধর্মপ্রানদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়ার মিশন সফলতার মুখ দেখেনি, তাতে এক শ্রেনি দু:খ প্রকাশ করলেও আমাদের আল্লাহ পাকের শোকর করতেই হয়। তিনিই হেফাজত করার মালিক।"

'বিখ্যাত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববরেণ্য উলামা মাশায়েখের দৃষ্টিতে ডাঃ জাকির নায়েকের হাকিকত' নামক সংকলনটি সবার কাছে পৌঁছে দেয়া দরকার। যাতে চক্ষুষ্মানদের কাছে টিভি মিডিয়া বিষয়ক ইসলাম প্রচারের নতুন বিষয়গুলো দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে যায়। সম্মানিত পাঠকদের জন্য এখানেও লিঙ্কটি যুক্ত করে দিলাম-

বিখ্যাত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববরেণ্য উলামা মাশায়েখের দৃষ্টিতে ডাঃ জাকির নায়েকের হাকিকত

"আমি একজন অতি অজ্ঞ লোক, ইসলামী বিষয়ে আমার জ্ঞান বলতে কিছুই নেই । দেশ ও বিদেশের প্রক্ষাত দ্বীনি আলেমগনের বয়ান ও তাদের রচিত পুস্তকাদি পাঠে যতটুকু জানতে পেরেছি ও আমার পিতা, মাতা, দাদা ,দাদীদের কাছ হতে যতটুকু জানতে পেরেছি এর মাঝেই আমার জানা সীমিত । তবে আমাদের সৃস্টি কর্তা আল্লাহ , তাঁর প্রেরিত রাসুল ও অলি আওলিয়াদের সম্পর্কে জানা ও বুঝার জন্য আল্লার কাছে সবসময় সাহায্য কামনা করি । তাই তিনি এই পাপী বান্দাকে সব সময় সাহায্য করেও থাকেন , যখন যে বিষয়টি জানতে চাই তখন সে বিষয়ের উপর কোন হাক্কানী দ্বীনি আলেম এর সাক্ষাত কিংবা প্রসঙ্গীক পুস্তকাদির সন্ধান অাল্লাহ মিলিয়ে দেন। তখন মনে পরে যায়, অাল্লাহ পবিত্র কোরানের সুরা আর- রাহমানে বার বার বলেছেন " তার পরেও তোমরা অস্বীকার করবে কোন কোন নিয়ামত "। তাঁর দ্বীনি শিক্ষা লাভের সঠিক সুত্র বা তথ্য ভান্ডারের সন্ধান পাওয়াকেও আমি একটি মুল্যবান নিয়ামত বলে মনে করি।"

আসলে কি আলী ভাই,
আপনার মন্তব্যগুলো বার বার পড়ি। আপনি অনেক বিনয়ী। অকপটে নিজের বাস্তবতা তুলে ধরাটা অনেক বড় মনের পরিচায়ক, নি:সন্দেহে। আল্লাহ পাক আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন।

যিনি যত জানেন, তিনি তত বিনয়ী হন। হাদিসে এসেছে- 'মান তাওয়াদআ লিল্লাহি, রফাআহুল্লাহ'। অর্থাৎ, অাল্লাহর জন্য যিনি নিজেকে বিনয়ী, ক্ষুদ্র হিসেবে উপস্থাপন করেন, আল্লাহ পাক তার মর্যাদা (মানুষের মাঝে) উপরে তুলে দেন।

আমরা আসলে প্রত্যেকেই এক একজন শিক্ষার্থী। রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য হাদিস রয়েছে শিক্ষায় উৎসাহ প্রদানে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হাদিস- 'দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষন কর'। আর এ বিষয়ে যেহেতু কথা উঠেছে, আমি আপনার সুহৃদ হিসেবে মনে করি নিজেকে, যদি দয়া করে আপনি ফিরিয়ে না দেন। এবং এই হৃদ্যতার টানেই আপনার প্রতি করজোড়ে মিনতি রাখবো, আপনি আমার কয়েকটি পরামর্শ দয়া পূর্বক যদি বিবেচনায় রাখেন, অনেক কৃতজ্ঞতা থাকবে।

এক. সুস্থ অসুস্থ সর্বাবস্থায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কন্টিনিউ করুন।

দুই. যদি সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত আপনার জানা না থাকে, দ্রুততম সময়ে আধূনিক নূরানী পদ্ধতিতে পারদর্শী কোন ভাল আলেম কিংবা ক্কারী সাহেবের কাছে প্রতি দিন অবসরে কিছু সময় দিয়ে এটা পূর্ন করে নিবেন। আর জানা থেকে থাকলে আলহামদুলিল্লাহ। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও প্রতি দিন রুটিনমাফিক যাতে কিছু সহীহ তিলাওয়াত করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, নামাজসহ অন্যান্য সকল ইবাদত সহীহ এবং গ্রহনযোগ্য হওয়ার জন্য দোআ দরুদ এবং তিলাওয়াত সহীহভাবে পড়তে জানা অপরিহার্য।

তিন. দুনিয়ার জীবন সীমিত। সংক্ষিপ্ত এ জীবনের পরিসমাপ্তির পরে আসল অন্তহীন পরকালীন জীবনের শুরু। সেই আসল জীবনের ঠিকানা হিসেবে যাতে আমাদের জন্য এই পৃথিবী থেকেই জান্নাতকে নির্ধারন করে নিতে পারি সেজন্য প্রয়োজন ভাল আমল। আর ভাল আমল ক্ষেত্র বিশেষে একার পক্ষে করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষই ব্যর্থ হয়। কারন, দুনিয়াটাই ধোঁকা প্রতাড়নার ঘর। শয়তান এবং মন্দ মানুষের সংস্পর্শে মানুষ বিপথগামীতার পথে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়। এই পথ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ পাক আমাদের প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন- 'তোমরা সৎ মানুষের সঙ্গী হও'।

তো, যাতে ভালো আমলকে আমাদের নিত্য সঙ্গী বানাতে পারি- এই একটি মাত্র লক্ষ্যকে সামনে রেখে আপনার যাকে ভাল মনে হয়, সত্যিকারের আল্লাহ প্রেমিক (এ জামানায় আছে কি না, অনেকে সন্দেহ পোষন করে থাকেন। তাদের বিনয়ের সাথে বলতে চাই, অবশ্যই আছে। এবং এই যে আছে বলছি, এটার প্রমান কুরআন দ্বারা আমরা দিতে পারব, ইনশাআল্লাহ।) কোন মুহাক্কিক আলেমে দ্বীনের সাথে সম্পর্ক জুড়ে রাখুন এবং তার পরামর্শমত আমল করতে থাকুন। তবে, দুনিয়ালোভী, অর্থলোভী, ফায়দালোভী চাটুকারদের থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। বর্তমানে এই শ্রেনির প্রাধান্য সর্বত্র।

আল্লাহ পাক আমাদের কল্যানের পথে পরিচালিত করুন।

তাঁর অন্তহীন রহমত, মাগফিরাত এবং দয়ার চাদরে আমাদের ঢেকে রাখুন। আমীন।

২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পরামর্শমাখা প্রতি উত্তরের জন্য ।

আপনার অনুরোধের প্রেক্ষিতে জানাচ্ছি যে দীর্ঘদিন ধর্মবিমুখ সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার করতলে থাকা ও পরে স্বাধীন হয়ে যাওয়া কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মুসলিম রাস্ট্রে "লাহোর থেকে বোখারা " ভ্রমন কাহিনীটি পাঠ বেশ উপভোগ্য লাগল ও অনেক মুল্যবান তথ্য জানা গেল । ভ্রমনকাহিনীটির রচয়িতা ও পর্যটক পকিস্তানের বরেন্য একজন অধ্যাকিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও অনেক মুল্যবান কথা জানা গেল । মুল লিখক ভ্রমন কাহিনীটিতে সেখানকার ইতিহাস , ঐতিহ্য, পরিবর্তন , পরিত্রান প্রভৃতি বিষয় অতি দুরদৃষ্টির সঙ্গে অবলোকন ও বিশ্লেষন পুর্বক অপুর্ব সমন্বয় সাধন করে আমাদের সন্মুখে তুলে ধরেছেন । গ্রন্থটিতে লেখক উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিস্থান , তাতারিস্তান , রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিভিন্ন জনপদে যা দেখেছেন ও উপলব্দি করেছেন সেগুলির যে বিবরণ দিয়েছেন তা হৃদয়ে ছুঁয়ে যায় । সে সমস্ত দেশের ঐতিহাসিক মসজিদ, মাদ্রাসা , মাজার, বিভিন্ন মানুষের সাথে মিলা মিশা ও ভাবের আদান প্রদান হয়েছে তা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে এই মুল্যবান ভ্রমন কাহিনীতে ।

ঐতিহাসিক ভ্রমন কাহিনীটিতে গভীর অন্তরদৃষ্টিমুলক পর্যবেক্ষন ও বিশ্লেষনের জন্য এর লিখক হযরত মাওলানা পীর যুলফিকার আহমদ নশকবন্দী মা.আ, এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই । উর্দুতে লিখা ‘’লাহোর ছে তা খাকে বুখারা ঔয়া সমরকন্দ’’ গ্রন্থটির এমন সুন্দর সাবলিল ও প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদের জন্য এর অনুবাদক শাহ অব্দুল হালীম হোসাইনীকেও জানাই অন্তরের অন্ত:স্থল হতে শ্রদ্ধা ও মোবারকবাদ , আল্লাহ তাঁদেরকে আরো মহান করুন ।

পুস্তকটির প্রতিটি অধ্যায় ও শাখার বিবরণ খুবই মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ ।

এই ছোট মন্তব্যের ঘরে এই বিশাল পুস্তকটি সম্পর্কে কিছু বলার ক্ষমতা আমার মত এমন একজন অতি সাধারণ পাঠকের পক্ষে ক্ষুদ্র জ্ঞানে তুলে ধরা একেবারেই অসম্ভব।

তবে এই মুল্যবান ভ্রমনকাহিনীটির সকল বিষয় তুলে ধরতে না পারলেও ‘’লাহোর ছে তা খাকে বুখারা ঔয়া সমরকন্দ’’ নামক মুল গ্রণ্থটিতে থাকা ইসক ও মারেফাতের বিভিন্ন উর্দু, ফারসি কবিতা এবং এখানে সেগুলির সুন্দর বংঙ্গানুবাদ আমার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে এবং আমাকে বেশ ভাবাপ্লুত করেছে ।

বইটির প্রথম অধ্যায়ে থাকা ‘’দুই হিরকের দর্শন লাভ’’ (পৃষ্ঠা ৪৪ ) পর্বে উল্লেখিত শের গুলি আমার হৃদয়ে গভীর ভাবে প্রোথিত হয়েছে যার দুএকটি এখানে উল্লেখ না করলেই নয় । একটি যথা-
‘’ হাক্কানী লোকের কপালের নূর , জ্ঞানীদের সামনে কতক্ষন পর্যন্ত গোপন থাকতে পারে ?
এখানে শের পাঠকারীকে লিখক হিরক হিসাবে সাব্যস্ত করে বলেছেন এদের সাথে থাকার কারণে তিনি কেযামতের দিনে নাজাতের আশা রাখেন , এই কথা কটি দ্বারা একজন হাক্কানি লোকের সংস্পর্শে থাকা সম্পর্কে কত উচ্চ ধারণা দেয়া হয়েছে তা ভাবতে গেলেও অনেক ভাল লাগে । আরো ভাল লাগল যখন পাঠ করলাম এই মুল্যবান কথা কয়টি -
“ আমি শুনেছি যে, ভয় ও আশা তথা কিয়ামতের দিন বদকারদেরকে নেককারদের সাথে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন , সুবহানাল্লাহ , কত সুন্দর মুল্যবান কথা জানা গেল ভ্রমন কাহিনীটি হতে ।

এই কথাটিরই আবার প্রতিফলন দেখলাম আমার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে আপনার কথামালায় , যেখানে বলা হয়েছে -
শয়তান এবং মন্দ মানুষের সংস্পর্শে মানুষ বিপথগামীতার পথে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়। এই পথ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ পাক আমাদের প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন- 'তোমরা সৎ মানুষের সঙ্গী হও'।
কোন মুহাক্কিক আলেমে দ্বীনের সাথে সম্পর্ক জুড়ে রাখুন এবং তার পরামর্শমত আমল করতে থাকুন।


যাহোক, এই ভ্রমনকাহিনীর বর্ণনার মত এমন একজন হিরক, পীরে কামেল হযরত মাস্তান শাহ এর দরবারে ( তাঁর মাজার পাকিস্তানে অবস্থিত) অনেক বছর আগে শুনেছিলাম এমন একটি শান বা শের যার কিছু কথা এখনো মনে আছে-

শাহ মস্তান, আলী শান দরবার তেরা মায়খানা
মোস্তফাই নূরে ম্যায়খা ইয়ে হ্যায় খাশ কারখানা।

পিনে ওয়ালো পিয়ে জাম, ওয়াহেদাতিয়া তৌহিদাম
মাহবিয়াতকা কুই জাম, পিকে হুয়া দেওয়ানা।

আরজুলেকে জোআওএ আপনা মুরাদ সুপাও-এ
বেমুরাদ না কুই যাও-এ দরবার তেরা শাহানা।

লজ্জত ম্যায়কা ছাবেরী, খোশবু উছমে আজমেরী
রঙ উনকা হায়দরী , এ সরাবে মদিনা।

খোদাকা নুর উনকা আন্দর, শাহী খুনভী হো আন্দর
মারফত কা হো ভান্ডার পাঞ্জাতনকা এ গানা।

মাশরিক মাগরিব ম্যায় মশহুর, দরবার যাহা চমকতা নূর
নূরছে তুম হো ভরপুর, ম্যায়হু তেরা পরওয়ানা।

শাহ মস্তান আলী শান দরবার তেরা মায়খানা
মোস্তফাই নূরে ম্যায়খা ইয়ে হ্যায় খাশ কারখানা।।

পুস্তকটিতে পাঠ করা আরেকটি বিষয়ও খুব ভাল লেগেছে । তাহল উজবেকিস্তানের একটি লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত কোরান মজিদের হাতের লিখা পান্ডুলিপি । গাছের পাতায় কোরান মজিদের এক একটি রুকু লিপিবদ্ধ থাকার মুল্যবান ঐতিহাসিক তথ্যটি বিশেষ গুরুত্তের দাবী রাখে । এখানে উল্লেখ্য যে, গত আগষ্ট ২০১৫ সনে যুক্ত রাজ্যের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির একজন পি এইচ ডি গবেষক হাতে লিখা কোরান মজিদের দুটি পৃষ্ঠা খুঁজে পান ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরীতে । রেডিও কার্বন পরিক্ষায় জানা যায় কোরান মজিদের ঐ পৃষ্ঠা দুটি ৫৬৮ হতে ৬৪৫ খৃস্টাব্দ কালে হাতে লিখা হয়েছে । ধারণা করা হচ্ছে পৃষ্ঠা দুটি is part of the Mingana Collection of Middle Eastern manuscripts। নীচে দেখানো পরিত্র কোরান মজিদের এ পৃষ্ঠা দুটি এখন Birmingham Museum and Art Gallery তে সংরক্ষিত আছে ।

গাছের পাতায় লিখা নবি করিম সাল্লাহু আলাইহেস সাল্লামের যুগে হাতে লিখা কোরান মজিদের দুস্প্রাপ্য পৃষ্টাগুলিকে রেডিও কার্বন টেস্ট করা হলে জানা যেতো সেগুলি কখন লিখা হয়েছে, সেগুলির ইমেজ বা ছবি দেখা গেলে অনেক ভাল লাগত ।
তাই উজবেকিস্তানের সেই লাইব্রেরী কতৃপক্ষ বা সরকারকে অনুরোধ করে গাছের পাতায় লিখা কোরান মজিদের পৃষ্ঠাগুলির ইমেজ অন লাইনে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা গেলে আমাদের অনেকেরই সেগুলি দেখার সৌভাগ্য হত বলে মনে করি ।

অনেক ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্যের ঘরে দেয়া আপনার সু পরামর্শের জন্য । দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তৌফিক দেন পরামর্শগুলি সুচারুভাবে প্রতিপালন করতে পারি ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল । আল্লাহ সহায় হোন ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় আলী ভাই,
আপনার বিজ্ঞচিত মন্তব্যে প্রত্যুত্তরে আসতে সময় নিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারি না।

আল্লাহ পাক আপনার জ্ঞানকে আরও বৃদ্ধি করুন। তিনি তার সৃষ্টির সেবায় আপনার মেধা মননকে কবুল করুন।

ইনশাআল্লাহ অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথা হবে।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:




জ্বি, মান্যবর আলী ভাই, ধন্যবাদ আপনাকেও। সুদীর্ঘ মূল্যবান মন্তব্যে আপ্লুত!

‘’লাহোর ছে তা খাকে বুখারা ঔয়া সমরকন্দ’’ গ্রন্থটির অনুবাদ "লাহোর থেকে বোখারা " পাঠের পরে আপনার পক্ষ থেকে এমন দারুন মূল্যায়নই আশা করেছিলাম। বিশেষ করে সমসাময়িক পরিবর্তনশীল বিশ্ব ইতিহাস সম্মন্ধে সচেতন ও সজাগ হিসেবে আপনার বিশ্লেষন ভিন্ন মাত্রা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। যেমন, আপনার উদ্ধৃতি-

#দীর্ঘদিন ধর্মবিমুখ সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার করতলে থাকা ও পরে স্বাধীন হয়ে যাওয়া কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মুসলিম রাস্ট্রে "লাহোর থেকে বোখারা " ভ্রমন কাহিনীটি পাঠ বেশ উপভোগ্য লাগল ও অনেক মুল্যবান তথ্য জানা গেল । ভ্রমনকাহিনীটির রচয়িতা ও পর্যটক পকিস্তানের বরেন্য একজন আধ্যাত্বিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও অনেক মুল্যবান কথা জানা গেল । মুল লিখক ভ্রমন কাহিনীটিতে সেখানকার ইতিহাস , ঐতিহ্য, পরিবর্তন , পরিত্রান প্রভৃতি বিষয় অতি দুরদৃষ্টির সঙ্গে অবলোকন ও বিশ্লেষন পুর্বক অপুর্ব সমন্বয় সাধন করে আমাদের সন্মুখে তুলে ধরেছেন । গ্রন্থটিতে লেখক উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিস্থান , তাতারিস্তান , রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিভিন্ন জনপদে যা দেখেছেন ও উপলব্দি করেছেন সেগুলির যে বিবরণ দিয়েছেন তা হৃদয়ে ছুঁয়ে যায় । সে সমস্ত দেশের ঐতিহাসিক মসজিদ, মাদ্রাসা , মাজার, বিভিন্ন মানুষের সাথে মিলা মিশা ও ভাবের আদান প্রদান হয়েছে তা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে এই মুল্যবান ভ্রমন কাহিনীতে ।#

আমার কাছে এই গ্রন্থটি পাঠের পরে সবচে' মজার যে বিষয়টি অনুভবে এসেছে তা হচ্ছে- একজন সত্যিকার আল্লাহওয়ালা ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ পাকের অবারিত রহমত কিভাবে বর্ষন হতে পারে তা প্রত্যক্ষ করা। বইটি পাঠের সময় বার বার আমার কেন জানি মনে হয়েছে- সম্মানিত লেখক হযরত মাওলানা পীর যুলফিকার আহমদ নশকবন্দী মা.আ, এর সাথে সাথে আমিও পুরো উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিস্থান , তাতারিস্তান , রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিভিন্ন ঐতিহাসিক জনপদ ঘুরে আসছি। এ এক অন্যরকম অনুভূতি।

আলী ভাই, আপনি সম্মানিত লেখক হযরত মাওলানা পীর যুলফিকার আহমদ নশকবন্দী মা.আ, এবং অভাবনীয় দক্ষতায় সুনিপূন হাতে সুন্দর সাবলিল ও প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদের জন্য এর অনুবাদক শাহ অব্দুল হালীম হোসাইনী সাহেবের জন্য সালাম এবং মোবারকবাদ জানিয়েছেন, তাদের জন্য প্রান খুলে দোআ করেছেন। আমাদের অন্তরেও তাদের এই শ্রমের ঘামের বিনিময়ে আল্লাহ পাকের কাছে তাদের কবুলিয়াতের দোআ সতত উতসারিত। আল্লাহ পাক আপনার দোআ তাদের জন্য এবং আমাদের সকলের জন্য কবুল করুন।

আপনার মূল্যবান তীক্ষ্ণ দৃষ্টির ধারালো পর্যবেক্ষন আনন্দিত করে-

#ঐতিহাসিক ভ্রমন কাহিনীটিতে গভীর অন্তরদৃষ্টিমুলক পর্যবেক্ষন ও বিশ্লেষনের জন্য এর লিখক হযরত মাওলানা পীর যুলফিকার আহমদ নশকবন্দী মা.আ, এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই । উর্দুতে লিখা ‘’লাহোর ছে তা খাকে বুখারা ঔয়া সমরকন্দ’’ গ্রন্থটির এমন সুন্দর সাবলিল ও প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদের জন্য এর অনুবাদক শাহ অব্দুল হালীম হোসাইনীকেও জানাই অন্তরের অন্ত:স্থল হতে শ্রদ্ধা ও মোবারকবাদ , আল্লাহ তাঁদেরকে আরো মহান করুন ।

পুস্তকটির প্রতিটি অধ্যায় ও শাখার বিবরণ খুবই মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ । #

পীরে কামেল হযরত মাস্তান শাহ এর দরবারে অনেক বছর আগে শোনা শেরটি উল্লেখ করায় বিশেষ ভাল লাগল।

আপনার এই গুরুত্বপূর্ন তথ্যটি প্রদানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি-

#এখানে উল্লেখ্য যে, গত আগষ্ট ২০১৫ সনে যুক্ত রাজ্যের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির একজন পি এইচ ডি গবেষক হাতে লিখা কোরান মজিদের দুটি পৃষ্ঠা খুঁজে পান ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরীতে । রেডিও কার্বন পরিক্ষায় জানা যায় কোরান মজিদের ঐ পৃষ্ঠা দুটি ৫৬৮ হতে ৬৪৫ খৃস্টাব্দ কালে হাতে লিখা হয়েছে । ধারণা করা হচ্ছে পৃষ্ঠা দুটি is part of the Mingana Collection of Middle Eastern manuscripts। নীচে দেখানো পরিত্র কোরান মজিদের এ পৃষ্ঠা দুটি এখন Birmingham Museum and Art Gallery তে সংরক্ষিত আছে ।#

এছাড়া আপনার-

#গাছের পাতায় লিখা নবি করিম সাল্লাহু আলাইহেস সাল্লামের যুগে হাতে লিখা কোরান মজিদের দুস্প্রাপ্য পৃষ্টাগুলিকে রেডিও কার্বন টেস্ট করা হলে জানা যেতো সেগুলি কখন লিখা হয়েছে, সেগুলির ইমেজ বা ছবি দেখা গেলে অনেক ভাল লাগত ।
তাই উজবেকিস্তানের সেই লাইব্রেরী কতৃপক্ষ বা সরকারকে অনুরোধ করে গাছের পাতায় লিখা কোরান মজিদের পৃষ্ঠাগুলির ইমেজ অন লাইনে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা গেলে আমাদের অনেকেরই সেগুলি দেখার সৌভাগ্য হত বলে মনে করি ।#

-আশাবাদের সাথে আমরাও সহমত পোষন করছি।

প্রানঢালা অভিনন্দন, পুনরায় এসে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে চমকপ্রদ দীর্ঘ মন্তব্যটি রেখে যাওয়ায়। ২৯ নং মন্তব্যে জনাব আহমেদ জী এস যথার্থই বলেছেন-

#পোস্টে সহব্লগার "ডঃ এম এ আলী'র মন্তব্যগুলো নিঃসন্দেহে পোস্টটিকে জোরালো করেছে ।#

আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন। আমাদের পূন্যের পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।

২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ফিলিস্তিনিদের দুর্দিনে/ দুরাবস্থায় আমরা মর্মাহত হব এটাই স্বাভাভিক। একজন বাংলাদেশি ফিলিস্তিনীদের বাস্তব আমলগত পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশে ফিরে এসে একদিন আমাকে বললেন ভাই তাদের নোংরা চালচলন যদি দেখতেন তাহলে আপনার তাদেরকে দোয়া করতে ইচ্ছে হতোনা। ( আল্লাহ বলেছেন বান্দা যা কিছু প্রাপ্ত হয় সেটা তার নিজের অর্জন। ) সর্ব প্রথম দোয়া করি তাদের হেদায়েতের জন্য।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই,
আন্তরিক অভিনন্দন। আপনি সঠিক কথা বলেছেন। আর আপনাকে যে বাংলাদেশী ফিলিস্তিনীদের বাস্তব আমলগত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন, তিনিও হয়তো মিথ্যেও বলেন নি।

আসলে সারা পৃথিবী ব্যাপি চোখ মেলে তাকালে, এমন দুর্ভাগ্যজনকই বাস্তবতাই তো দেখা যায়!

সর্বত্র আমলহীন, আদর্শহারা, দিকভ্রান্ত সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের পরাজিত মুখ!

তো, ফিলিস্তিন আলাদা হবে সে আশা করি কিভাবে???

তদুপরি, তাদের মধ্যেও আমল আখলাকে সত্যিকারের সুন্নাতের পাবন্দ এমন কিছু লোক অবশ্যই রয়েছেন, যাদের দেখলে আপনার প্রান জুড়িয়ে যাবে। এই লোকগুলো সংখ্যায় অল্প হলেও তাদের জন্যই প্রানের টানে মন ছুটে যায় দূর মধ্যপ্রাচ্যের দখলকৃত এ ছোট্ট ভূখন্ডটিতে।

আপনার মূল্যায়ন প্রশংসনীয়।

ভাল থাকবেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাকের কাছে তাদের জন্য করা হেদায়েতের দোআ তাদের এবং আমাদের সকলের জন্য তিনি কবুল করুন। আমীন।

ভাল থাকবেন।

২৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আমাদের নকিব ভাইয়ের জন্মের সময়ে পাছায় ছাপ্পা মারা ছিলো যে তিনি মুসলমান। ঈমান কাকে বলে তিনি খুবই ভালো জানেন। তিনি গালাগালি, মিথ্যাচার, নোংরা ভাষা ও গলাবাজীর জোরে জান্নাতে যাবেন, আর কিছুই লাগবে না। নামাজ না পড়লেও, কুরআনের অনুযায়ী আমল না করলেও, রাসূলুল্লাহ (সা) এর সুন্নতের পরোয়া না করলেও তিনিই সাচ্চা মুসলিম। তিনি জান্নাতে নিজের জায়গা পাকা করেছেন।
আপনারা সবাই নকিব ভাইয়ের মত হন।
ধর্ম ঠিক নেই, ইসলামের জন্য দরদে মুখে ফেনা! আহা মুসলমান!

২৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: একজন আহমদী মুসলিম কে বলছি,
আমাদের নকিব ভাইয়ের জন্মের সময়ে পাছায় ছাপ্পা মারা ছিলো যে তিনি মুসলমান। ঈমান কাকে বলে তিনি খুবই ভালো জানেন। তিনি গালাগালি, মিথ্যাচার, নোংরা ভাষা ও গলাবাজীর জোরে জান্নাতে যাবেন, আর কিছুই লাগবে না। নামাজ না পড়লেও, কুরআনের অনুযায়ী আমল না করলেও, রাসূলুল্লাহ (সা) এর সুন্নতের পরোয়া না করলেও তিনিই সাচ্চা মুসলিম।

আপনার উপরোক্ত দাবির সত্যতা আছে কি?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই,
কার কাছে কি জিজ্ঞেস করছেন!

তাদের হেদায়েতের দায়িত্ব আল্লাহ পাকের হাতে ছেড়ে দিন।

এদের জন্মই ছিল মুসলমানদের মধ্যে ফিরকাবাজি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে। সুতরাং এই দলটি যত দিন থাকবে, এই কাদিয়ানীদের বীজ যত দিন স্থায়ী হবে, আপনি ধরে রাখুন, তারাও গুরুর অর্পিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে হিংসা বিদ্ধেষ আর মুসলমানদের মধ্যে ফ্যাসাদ বিভ্রান্তির অপকৌশল প্রয়োগ হয়তো করেই যাবে।

আল্লাহ পাক তাদের হেদায়েত দান করুন।

আল্লাহ পাক আমাদের হেদায়েত দান করুন। আমিন।

ভাল থাকবেন।

২৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা অপরাধগুলো হয় প্রমাণবিহীন, যেমন আমাদের নকিব ভাই। আমার ধর্ম নিয়ে তিনি এতো নোংরা কথা বলেন যা শুনলে বাজারের পতিতারও লজ্জা হয়, আবার এখানে ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন করে কান্না! আহা! জীবনে যেসব লোককে দেখেননি, তাদের জন্য দরদে ঊথাল-পাথাল! ওই লোকগুলোকে আমি দেখেছি সামনাসামনি, এতো উচ্ছৃঙ্খল আর অধার্মিক যে মনে হয় এদের এটাই উচিত বিচার, মাহমুদ আব্বাসের স্ত্রী ছিলো একজন ইহুদী, সে আবার ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতা। আর তিনি এখানে তাদের নিয়ে বিলাপ করছেন, আমার ধর্ম নিয়ে জ্ঞান হাঁটুর একহাত নীচে, তবুও আমাদের নিয়ে নোংরা কথা বলতে বুক কাঁপেনা। জানেনও না আমাদের কথা কি, অথচ দিব্যি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে তাল দিয়ে যাচ্ছেন।
আর আপনি এলেন এই অশিক্ষিতের পক্ষে কথা বলতে। যার প্রকৃত বিশ্ব নিয়ে কোনও ধারণা নেই, নেই ইসলামের ব্যপারে কোনও ধারণা, আছে শুধু কিছু কথা বলার অভ্যাস।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ডেন্টিস্ট সাইফ এর 'কামাল আতাতুর্ক কে ছিলেন ইহুদী? ফ্রী-মেসন ?-শেকড়ের সন্ধানে' পোস্টটিতে নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আপনি যাকে গালিগালাজ আর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন, তিনি মহানবী মুহাম্মদ (সা) এর প্রতিশ্রুত মসীহ। আল্লাহর মনোনীত বান্দা। আপনার কাছে আপনার জঘন্য নোংরা অপবাদের কোনও প্রমাণ নেই। আপনার সব মিথ্যার জবাব আমার ব্লগে দিয়ে দিয়েছি আমি। আরও আসছে। কিন্তু আপনি সব ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করেছেন। আপনি যদি আল্লাহর গজবে ভয় পান তবে আপনার সাবধান হওয়া উচিৎ। অবশ্য আপনার মোল্লারা আপনার আল্লাহর ওপরে ভয়ের সব কারণ সরিয়ে দিয়েছেন।
দেখতে থাকুন আল্লাহ কাকে জয়ী করেন। সত্য অবশ্যই জিতবে।


যেহেতু আমার এই পোস্টটিতে ইতিপূর্বে 'ইহসান আকসার মাহমুদ' এবং 'একজন আহমদি মুসলিম' ছদ্মনামে দু'জন বিভ্রান্ত ব্যক্তির সাথে এই বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে আরও কিছু কথাবার্তা হয়েছে। তাই বিষয় সংশ্লিষ্টতার কারনে 'নাঈমুর রহমান আকাশ' এর মন্তব্যের জবাবটি এখানে প্রদান করাকেই শ্রেয় মনে করছি।

বলি, ওরে জাতকানা রাতকানার গোষ্ঠী! তোমাদের গাদ্দার ধর্মত্যাগী ভন্ড নবীর পা চাটা বাদ দিয়ে কিছুক্ষনের জন্য, কয়েক মুহূর্তের জন্য মুক্ত পৃথিবীর দিকে তাকাও। বুক ভরে নির্ভেজাল অক্সিজেন নাও। মাথাটা ঠান্ডা কর। চোখ খুলে ভাল করে তাকাও। তাকিয়ে থাক। পৃথিবী দেখ। দেখ, কালো্-ধলোর ফারাক তোমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে ধরা দেয় কি না! নানান রঙের পার্থক্য আর বৈচিত্রগুলো তোমাদের বিভ্রান্ত চোখে ধরা পরে কি না!! কালো-ধলোর পার্থক্য আর রঙের বৈচিত্রতার অনাবিল প্রকাশ যদি তোমাদের চোখে ধরা পরে, তাহলে 'ভন্ড' কোনটা আর 'সঠিক' কোনটা সেটাও তো ধরা পরার কথা! সেটা ধরা পরছে না কেন? অর্থের মোহে পরেছ তোমরা? তোমাদের বৃটিশ আব্বারা রাশি রাশি কড়ি দেয়? আদর দেয়? সোহাগ দেয়? আনুকূল্য অনুকম্পা দেয়? ইসলাম ধ্বংসের প্রেরনা দেয়? আগের মত? তোমাদের আব্বা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে যেমন দিত? সেই মহা ধুরন্ধরটার মত এখনও বখশিশ পাও তোমরাও? জায়গীর পাও? জমিদারী শান শওকত? নিরাপত্তা সবকিছু পেয়ে যাচ্ছ? অব্যহত? অপরিমেয়?

মুক্তি রয়েছে কেবল মিথ্যাবাদীদের ছেড়ে আল্লাহর পথে আসার ভেতরেই
বলি, থাকো আল্লাহর জমিনে! গ্রহন করছ তার দেয়া অক্সিজেন! খেয়ে বেঁচে আছ তাঁর জমিনের শষ্য ফল ফলাদি, আর গোলামী করছ বৃটিশদের!!! প্রভূ মেনে চলেছ তাদেরকে!!!! কেনরে বাবা!!!! 'আলাইছাল্ল-হু কা-ফিন বিআবদিহী?' -'আল্লাহ কি তার বান্দার জন্য যথেষ্ট নন?' আল্লাহ কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নন?

বলি, জাহান্নাম থেকে যদি বাঁচতে চাও, ভন্ড নবীর মওউদগিরি, মসীহগিরির মিথ্যা রাস্তা ছেড়ে দাও!

বিশ্বাস না করলেও কিছু করার নেই। সত্যি বলছি, রাস্তার পাশের নর্দমার কীটও পরম প্রভূ আল্লাহকে ডাকে। নিকৃষ্ট ইতর প্রানী কুকুর গাধারাও মহান আল্লাহকে স্মরন করে। কিন্তু, মুনাফিক গাদ্দার ধর্মত্যাগী বৃটিশদের বানানো নবী সারা জীবনতো ডেকে গেছেন বৃটিশ বাবাদের!!!! তিনি আবার মসীহ মওউদ আর মাহদী হন কি করে????????????? এইসব আবোল তাবোল এঁটোদের নষ্টামীতে মেতে উঠে আবার কথায় কথায় আল্লাহকে পেতে চাওয়ার দাবি!!!!!!! বিজয় দেখার দিবা স্বপ্ন!!!!!!!!! বিনোদন বটে!!!!!!!!! হাসতেও কষ্ট লাগে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

গর্দভদের কেমনে বুঝাই,
দ্বীন ধর্ম ত্যাগকারী এই কাদিয়ানী নষ্ট লোকটিকে যদি বলা হয় 'প্রতিশ্রুত মসীহ', তাহলে বৃটিশ প্রভূদের পা-চাটা গোলাম বলা হবে কাকে? আর তাছাড়া আল্লাহ পাকের কি জনবলের অভাব লেগেছিল যে ওর মত গন্ড মূর্খ অপদার্থকে 'মসীহ', 'মাহদী' বানাতে হবে? ওর তো জীবনের পুরো ভাগই কেটেছে দখলদার বৃটিশদের পক্ষে চামচাগিরি করে ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরোধিতায় লিপ্ত থেকে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! বলি, এই ব্যাটাদের গোষ্ঠী জ্ঞাতি সব লন্ডনে কেন??????????? এদের আল্লাহ কি ইউরোপে থাকেন????????????????

আমি ওর কিছু বই পত্রে চোখ বুলিয়েছিলাম। তার ভন্ডামী ধরার জন্য নয়। তিনি যে ভন্ড তাতো জানিই। শুধু তার ভাষা ও সাহিত্যজ্ঞান পরিমাপ করার জন্য। হোচট খেয়েছি মারাত্মকভাবে! এমন অখাদ্য, অরুচিকর এবং বাতিকগ্রস্ত বাজে জিনিষ আমার নজরে বোধ করি ইতোপূর্বে পরে নি! উদ্ভট, মাথা নষ্ট বিকারগ্রস্তের অসামাঞ্জস্যপূর্ন বেহুদা প্রলাপ মনে হয়েছে ওগুলোকে!!!!!!!!

আর প্রমান?
হ্যা, প্রমান তো থাকতেই হবে। তিনি যে মিথ্যাবাদি তার প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে। অসংখ্য। এই যেমন ধরা যায়, পায়খানায় পড়ে ডুবে গিয়ে মল মূত্র খেয়ে ফুলে ফেঁপে ঢাউস আকৃতির পেট নিয়ে পার্থিব লীলা সাঙ্গ হওয়া তার নজিরবিহীন ভন্ডামীর বিপরীতে আল্লাহ প্রদত্ত প্রথম এবং দৃশ্যমান শাস্তি।

আবারও বলছি, আমরা তার নষ্টামো ও ভ্রান্তির অসংখ্য প্রমান দিতে পারব। তার ভুলে ভরা রচনায় তিনি হাজার বার ধরাশায়ী হয়েছেন। হবেন। কিয়ামত পর্যন্ত হতে থাকবেন। সুতরাং সত্য হারিয়ে যাওয়ার নয়। তার নবুয়ত দাবি মিথ্যা। মসীহ দাবি মিথ্যা। মাহদী খেতাব মিথ্যা। অহি প্রাপ্তি ভিত্তিহীন। তিনি মিথ্যাবাদী নিসন্দেহে। তার মিথ্যাবাদিতায় সন্দেহ পোষনকারীগনও গোমরাহ, মিথ্যাবাদী এবং বিভ্রান্তিতে লিপ্ত।

সুতরাং, আল্লাহ পাকের কাছে ফরিয়াদ করছি, আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন। এই নব্য ঈমানচোরদের হাত থেকে পৃথিবীবাসী মুসলিমদেরকে তাদের ঈমান আমল হেফাজতের তাওফিক দান করুন।

তার শাস্তি দাবি করছি
আর সরলমনা কিছু মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে তার দলে ভিরিয়ে নিয়ে তাদের দিয়ে দুনিয়ায় ফিতনা ফাসাদ জারি করে রেখে যাওয়ার মত গর্হিত, ন্যাক্কাজনক এবং অমার্জনীয় অপরাধের শাস্তি হিসেবে এই হতভাগা মুরতাদের জন্য প্রান খুলে দোআ করছি, আয় আল্লাহ!!! আপনি এই দুরাচার পাষন্ডকে শাস্তি দিন। যথোপযুক্তভাবে পাকড়াও করুন তাকে। অগ্নিতে নিক্ষেপ করুন। সত্তুর গজ শিকলে বাঁধুন আপনার গোলামী ছেড়ে দিয়ে বৃটিশ প্রভূদের পা চাটা এই দুর্ভাগা গোলামকে। অত:পর তাকে নিক্ষেপ করুন জাহান্নামে। এবং জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে মুনাফিকদের কাতারে আগুনের শিকলে জড়িয়ে রাখুন হতভাগাকে। বৃটিশ ব্যবস্থাপনায় নবী দাবিদার ফিতনাবাজকে জাহান্নামের সকল 'সুবিধা'(!) দান করুন। আমীন।

২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,




একটি প্রত্যাশার কথা লিখেছেন দৃঢ়তার সাথে । এ প্রত্যাশা আমাদের সকলেরই ।
পোস্টে সহব্লগার "ডঃ এম এ আলী'র মন্তব্যগুলো নিঃসন্দেহে পোস্টটিকে জোরালো করেছে ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জী এস, প্রিয়বরেষু,

আপনার এখানে আগমনে আপ্লুত! বরেন্য ব্যক্তিদের পাশে পেলে সত্যি নিজেকে অনেক বেশি আনন্দিত লাগে। আল্লাহ পাক আপনার ইহকাল পরকাল উজ্জ্বল-আলোকিত করুন।

নির্যাতিত মুক্তিকামী ফিলিস্তিনীদের পাশে দাড়ানোয় আবারও কৃতজ্ঞতা!

আর হ্যা, সত্যি বলেছেন, পোস্টে সহব্লগার "ডঃ এম এ আলী'র মন্তব্যগুলো নিঃসন্দেহে পোস্টটিকে জোরালো করেছে ।

ভাল থাকবেন অহর্নিশ।

৩০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পিতামাতার কোলে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুর লাশ দেখে জীবনে বহুবার আঁৎকে উঠেছি, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আপনার এ কবিতা পড়ে সে দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসছে।
আপনার প্রত্যাশাগুলো পূরণ হোক!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন প্রিয়? ইদানিং এখানে কিছুটা ভাটা পড়ে গেছে। ব্যক্তিগত পারিবারিক কাজ-কর্মে ব্যস্ততার জন্য এটা হচ্ছে।

পুরনো এই লেখায় আপনার উপস্থিতিতে মুগ্ধতা! আপনার দোআ আল্লাহ পাক কবুল-মঞ্জুর-গ্রান্ট করুন।

অনেক ভাল থাকুন। অনেক সুন্দর থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.