নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
সকলে ভাল থাকুন।
ইহাদের মন মগজ বন্ধক দেওয়া। শয়তানের কাছে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনিয়াছেন- শয়তানের সাথে ইহাদের দারুন দোস্তি। এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যায়, কবর পর্যন্ত ইহা স্থায়ী হইয়া থাকে! দুনিয়া উল্টাইয়া গেলেও যাইতে পারে কিন্তু, ইহাদের কখনও ভুলেও মসজিদের দিকে একবার যাইতে দেখিবেন না।
ফতোয়ার বেলায় ইহারা মহা ওস্তাদ। অজু গোসলহীন একেক জন যেন মুফতিয়ে আজম। নামের শ্রী দেখলে তো ভিরমী খাওয়ার উপক্রম। কীসব জিনিষ যে একেকটার নামের আগে পরে লাগাইয়া রাখে! মাঃ জিঃ আঃ, কুঃ ছেঃ আঃ, জমানার মুজাদ্দেদ, সালারে আলা, পীরানে পীর, আউলিয়ায়ে হক্কানী, ওলিয়ে কামেল, রাহনুমায়ে শরীয়ত, হযরতুল মিল্লাত, শাইখুল মাশায়েখ, অলিকুল শিরোমনি, খাজায়ে খাজেগান, দাস্তানে দস্তগীরসহ কত যে বিচিত্র শব্দাবলীর অপূর্ব সমাবেশ ইহারা ইহাদের নামের আগে পরে যুক্ত করিয়া থাকে! ইহাদের দর্শনলাভ মাত্রই আপনি উপলব্ধি করিতে সক্ষম হইবেন, ইহা নিরেট ভন্ড ব্যক্তি!
কুরআন হাদিস ঘাঁটিয়া দ্ব্যর্থবোধক কোন আয়াত কিংবা হাদিস খুঁজিয়া বাহির করিয়া সেইগুলোর ভুল এবং অপব্যাখ্যা করিয়া তাহা সমাজে ছড়াইয়া দিয়া ফিতনা-ফাসাদ-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা এবং এইসবের সমর্থনে নিজেদের পক্ষে মূর্খ-অজ্ঞ-অথর্বদের একটি দল গড়িয়া তোলা ইহাদের প্রাথমিক কাজ। পরবর্তীতে ইহারা ধর্মের নামে চালাকি আর চালবাজির আশ্রয় লইয়া এই 'নির্বোধ ভক্তদের' পকেট কাটিয়া, তাহাদের নিংড়াইয়া, তাহাদের রক্ত চুষিয়া খাইয়া তাহাদেরকে নি:স্ব ফকির বানাইয়া নিজেরা অট্টালিকা আর দালান-কোঠার মালিক বনিয়া যাওয়া ইহাদের দ্বিতীয় এবং আসল কাজ। 'পীর' হওয়ার কারনে ইহাদের নামাজ-রোজা লাগে না। রমজান মাসের দিন- দুপুরেও ইহারা ভক্ত-পোষ্য পরিবেষ্টিত গাঁজার কল্কি হাতে পরিদৃশ্যমান হন!। ইহাদের অনেকেরই সারা জীবনে এক দু'টি সিজদা করার সৌভাগ্য হইয়া ওঠে না! হায় হায়! তবে, ইহাদের দাবি মোতাবেক ইহারা খাঁটি মুসলমান! হায়রে মুসলমানিত্ব! ইহাই কি মুসলমানিত্ব? ইহা কি কোন মুসলমানের কাজ? ইহাকেই কি শয়তানের কাজ বলিতে হয় না?
ইহাদের কাউকে আপনি যদি নামাজ পড়ার জন্য আহবান করেন, ইহারা বলিয়া থাকেন- কোথায় নামাজ পড়িব? কার পেছনে নামাজ পড়িব? সেজদা দিব কোথায়? ইত্যাদি ইত্যাদি। আহ! কী সাংঘাতিক কথা! ভাবিতে পারেন? আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং যে জমিনে সিজদাহ করিলেন, উম্মতকে সিজদাহ করিতে বলিলেন, তামাম পৃথিবীটাকে যিনি স্বয়ং সিজদাহর উপযুক্ত ঘোষনা করিলেন, সেখানে ইহাদের সিজদাহর জন্য উপযুক্ত একখন্ড জায়গা খুঁজিয়া না পাওয়া কোন্ পর্যায়ের ধৃষ্টতা, চিন্তা করিতে পারেন? ইহাদের দৃষ্টিতে পৃথিবীর কাউকেই ইমামতির যোগ্য মনে হয় না! সর্ব্বনাশ! তাহা হইলে তো আসমান হইতে ফেরেশতা নামাইয়া আনিতে হইবে ইহাদের ইমামতির জন্য! আসলে তো ইহারা শয়তানের মুরিদ হেতু সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহকে সিজদাহ করিতে চাহেন না, কিন্তু সরাসরি মুখের উপর তাহা বলিতে না পারিয়া ঘুরাইয়া ফিরাইয়া বলার চেষ্টা আর কি!
ইহাদের পরিচয় জানিয়া রাখা উচিত নয় কি? নিজেদের ঈমান-আমলকে ক্ষতি হইতে বাঁচানোর তাগিদে, ইহাদের খপ্পর হইতে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখিয়া চলা প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তির উচিত নয় কি?
বি: দ্র:
প্রিয় বাংলাদেশ পীর আউলিয়ার দেশ। আল্লাহ পাকের অসংখ্য মকবুল বান্দা এ মাটিতে শুইয়া আছেন। এখনও এ পূন্য ভূমি হাজারো লাখো সত্যিকারের পীর-মাশায়েখ আলেম-ওলামার পদচারনায় মুখরিত। আলহামদুলিল্লাহ। সুতরাং, আমার এই কথা হক্কানী আলেম-ওলামা এবং পীর-মাশায়েখদের জন্য নয়। শুধুমাত্র ধোঁকাবাজ, ধর্মব্যবসায়ী মূর্খ গোমরাহ বেশরা ফকির শ্রেনির মুখোশ উম্মোচন করিতে চাহিয়াছি।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি হাসিতেছেন? আমার তো কলিজা ফাটিয়া যাইতেছে!
যে আল্লাহ দয়া করিয়া আমাদের সৃজন করিলেন, তাহাকে সিজদাহ দেওয়ায় এত কার্পন্য! একবার ভাবিয়া দেখুন তো! কতটা নিমক হারাম আমরা এই মানবজাতি!
ভাল থাকুন ভাই। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ইহারা ভক্ত-পোষ্য পরিবেষ্টিত গাঁজার কল্কি হাতে পরিদৃশ্যমান হন!। ইহাদের অনেকেরই সারা জীবনে এক দু'টি সিজদা করার সৌভাগ্য হইয়া ওঠে না'''
/////
আপনি কাদের দিকে ইংগিত করছেন মাজার পুজারি নাকি আলেমদের
দিকে?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সময় সংকীর্নতার কারনে পুরো পোস্ট না পড়িয়াও শুধুমাত্র বি: দ্র: অংশটুকু পড়িলেও মূল বিষয়টা অনুধাবন করিতে পারিবেন। আলেমদের দিকে ইংগিত কেন করব? তারা কি এর উপযুক্ত?
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এদের জন্য কেদেই বা লাভ কি? যেমন ধরেন- আল্লাহ দয়া করিয়া আমাদের সৃজন করিলেন। তারা পাল্টা প্রশ্ন করবে আমরা কি আল্লাহকে আমাদের সৃষ্টি করতে বলেছিলাম?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
ঠিকই বলিয়াছেন! কিন্তু, তারপরেও একটা টান কেমন করিয়া যেন আসিয়া যায়। প্রিয় নবীজীকে যে ভালবাসি! তাঁর প্রিয় উম্মত তো ইহারাও! প্রিয় রসূলের প্রিয় উম্মত গোমরাহ হইতে থাকিবে! প্রিয় রসূলের অন্তরে ব্যথা পাইলে তাহার দরদ যে আমাদেরও আহত করে!
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন।
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯
তারেক ফাহিম বলেছেন:
বিশ্লেষণ ভালো লাগলো।
আল্লাহ্ অামাদের সঠিক বুঝ দান করুক......... আমিন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
পাঠ ও মন্তব্যে অভিনন্দন।
ইহাদের নানান বাহানায় দেখিতে পাইবেন। কখনও এই বাহানা তো আবার অন্যসময় আরেক বাহানা। কখনও দেখিবেন, বেতনভূক্ত ইমামের পিছনে নামাজ জায়েজ কী না তাহার ফতোয়া খুঁজিয়া বেড়ায় ইহারা। প্রকৃতপক্ষে ইহারা একটি বাহানা তালাশে লিপ্ত, যাহাতে তাহাদের আর নামাজ পড়িতে কেউ মসজিদে যাইতে বলিতেই না পারে।
গতকাল এরকম একটি পোস্টের সামু ব্লগে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়াছিল। দেখিয়াছেন হয়তো।
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০১
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনি তীরখানা সঠিক নিশানায় নিক্ষেপ করিয়াছেন। তবে বড়ই আফসোস, যাহাদের লক্ষ্য করিয়া ছুড়িলেন তাহারা দিনরাত গঞ্জিকার ধুম্রজালে এতটাই ফাঁসিয়া রহিয়াছে যে, তীরবিদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা ইহারা মোটেই অনুভব করিতে পারিতেছে না।
মাঝেমধ্যে এইরূপ তীরন্দাজী করিবেন বলিয়া আশা পোষণ করিতে পারি, নাকি?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় সম্রাট,
অভিনন্দন সুন্দর মন্তব্যে।
তীর নিক্ষেপ করার চিন্তা করিতাম না। একটি ঘটনায় গতকল্য আমাকে ইহা করিতে বাধ্য করিয়াছে। গঞ্জিকাসেবী (দু:খিত, তিনি আত্মস্বীকৃত) জনৈক সাধু(!) ব্যক্তি বেতনভূক্ত ইমামের পিছনে নামাজ হওয়া না হওয়া নিয়ে প্যাঁচ লাগানোর কারনে মূলত: এই পোস্টখানা দিতে হইল।
তাহাদের মুখোশ উম্মোচন করিতেই হইবে। প্রজন্মকে বিপদগামিতা হইতে রক্ষা করিতে ভন্ডদের চিনাইয়া দেওয়া আমাদেরই দায়িত্ব।
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মিথ্য কথারও একটা ভিত্তি থাকে কিন্তু ফকিরদের কাছে তাও নেই। এরা আসলে মানুষকে পথ ভ্রষ্ট করে চলেছে।।
আসুন এই ফকিরি বা বাউল সমন্ধে জেনে নেওয়া যাক ।।
বাউল গবেষক এবং লালন একাডেমী প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডক্টর আনোয়ারুল করিমের “বাংলাদেশের বাউল- সমাজ, সাহিত্য ও সংগীত” নামের বই দুটো খুবই পরিচিত।এখন সবার এটা বড় দলিল হওয়া উচিৎ!
তিনি লিখেছেন, ফিলিস্তিনে বা'আল নামক প্রজনন দেবতা থেকে বাউল নাম এসেছে ।
কালী কৃষ্ণ গড খোদা/কোন নামে নাহি বাধা
মন কালী কৃষ্ণ গড খোদা বলো রে।”
(বাউলতত্ত্ব পৃঃ ৫৩-৫৪)।
বাউল সাধনায় গুরু শ্রেষ্ঠকে ‘সাঁই’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাধনসঙ্গিনীকেও গুরু নামে অভিহিত করা হয়। মূলত সাধনসঙ্গিনীর সক্রিয় সাহায্য ব্যতীত সাধনায় সিদ্ধী লাভ করা যায় না। তাই তাকে ‘চেতন গুরু’ বলা হয়। বাউলরা বিশ্বাস করে গুরুর কোন মৃত্যু নেই। তিনি কেবল দেহরক্ষা করতে পারেন। তিনি চিরঞ্জীবী। বাউলরা মন্দিরে কিংবা মসজিদে যায়না। জুম্মার নামায, ঈদ এবং রোযাও পালন করেনা। তারা তাদের সঙ্গিনীকে জায়নামাজ নামে অভিহিত করে। বাউলরা মৃতদেহকে পোড়ায়না। এদের জানাজাও হয়না। হিন্দু মুসলমান নামের সব বাউলদের মধ্যেই এই রীতি। এরা সামাজিক বিবাহ বন্ধনকেও অস্বীকার করে। নারী-পুরুষের একত্রে অবাধ মেলামেশা এবং বসবাসকে দর্শন হিসেবে অনুসরণ করে।
(বা.বা পৃঃ ১৫-১৭)
বহুগামিতাকে বিজ্ঞান কি বলে ?
দেহ হল পরম সম্পদ দেহে আছে সৃষ্টিকর্তা আছে !! এই মতবাদ কতটুকু গ্রহনযোগ্য ??
বাউলদের সাদা কাপড় পরা একাধিক দাসী থকে.......
এরা আলো নিভিয়ে সারা রাইত হই হই করে.......
আর প্রেম ভাজাটা কি.... কিস্তারিত ঐ বই পড়লে পাবেন।
“বাড়ির পাশে আরশি নগর/সেথা এক পড়শী বসত করে,
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে”
এই গানটিকে আমাদের সমাজে খুবই উচ্চমার্গের আধ্যাতিক গান মনে করা হলেও, এটি মূলত একটি নিছক যৌনাচারমূলক গান, যাতে আরশিনগর, পড়শী শব্দগুলো প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তাদের বিকৃত জীবনাচারকে গোপন রাখার উদ্দেশ্যে।
(বা.বা পৃঃ ৩৬৮-৩৬৯)
বাউল সাধনায় পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন প্রচলিত। এগুলো মুসলিম ধর্মে নেই.......
লালন কখনো মুসলিম ছিল না ;তার আকিদা সুর্ম্পণ কুফরি আকীদা । এটা সত্য যে, এই ফকিরা মিথ্যা যুক্তি দিয়ে মানুষকে পথ ভ্রষ্ট করে।।
এই নিয়ে ব্লগের সাই মশাইয়ের সাথে একদিন আলোচনা করেছিন কিন্তু খালি ভুল-ভাল উত্তর দেয়।। শেষে বলে, গুরু না ধরে এর সঠিক উত্তর কেউ দিবে না ।।
ধন্যবাদ নকিব ভাই।।
৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
বাউল সাধনায় পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন প্রচলিত। এগুলো মুসলিম ধর্মে নেই.......
লালন কখনো মুসলিম ছিল না ;তার আকিদা সুর্ম্পণ কুফরি আকীদা । এটা সত্য যে, এই ফকিরা মিথ্যা যুক্তি দিয়ে মানুষকে পথ ভ্রষ্ট করে।।
-অভিনন্দন প্রিয় কবি শাহরিয়ার ভাই,
ইহাদের বিশ্বাস, চরিত্র আর অবস্থা সম্মন্ধে আপনার মূল্যবান মন্তব্য অনেকের চিন্তা-চেতনা পাল্টাইয়া দিতে সহায়ক হইবে বলিয়া মনে করি।
সর্ব অঙ্গে ক্ষত,
ও্ষুধ দেব কত?
ইহাদের অবস্থাও সেইরকমই।
ভাল থাকুন।
৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯
কালীদাস বলেছেন: মনে হয় বুঝতে পেরেছি, কোন পোস্টের কাউন্টার পোস্ট এটা। মেইন পোস্টে ঢুকিনি, কাজেই কোন কমেন্ট করতে চাচ্ছিনা। অন্য একটা জিনিষ মনে হল পোস্টের ছবিগুলো দেখে, মাজার রিলেটেড একটা খুবই নিম্নমানের মুসলিম সোসাইটি আছে, এহেন মাজার নেই যেখানে এদের কবর লক্ষ্য করে সেজদা দিতে দেখবেন না। আল্লাহ এদের প্রতি দয়াশীল হোন এবং এদের সঠিক পথ দেখান সেই কামনা করি।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
আমারও ধারনা, আপনি সঠিক বুঝিয়াছেন।
মূলত: মাজার রিলেটেড যে খুবই নিম্নমানের মুসলিম সোসাইটির কথা বলিয়াছেন, ইহারাও তাহাদের সাথে মিলিয়া মিশিয়া একাকার।
ইহাদের দেখে হৃদয় ব্যথিত হয়। বলিতে ইচ্ছা হয়-
মাজার কেন্দ্রিক ঢোল তবলা, গানের আসর,
নারী পুরুষ একইসাথে কী জমজমাট বাসর!
গাঁজার টানে উর্ধ্বাকাশে উত্থিত হয় ধোঁয়ার পেখম,
হায়রে মানুষ! হায়রে তোমার মহান প্রভূ ইশ্বরে প্রেম!
আল্লাহ পাক আপনার দোআ কবুল করুন।
১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: নতুন নকিবের ভাষা শুনে মনে হচ্ছে না তিনি হজ্জ্ব করে এসেছেন। নিজের জ্ঞাতীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লেগেছেন। আহা কি চমৎকার ভাষা!!!
হুজুরদের পেটের ভাত জোটানো সব মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব বলে মনে হচ্ছে। নকিব সাহেব নিজেও যে বাজারী হুজুর, সবাই হাদিয়া না দিলে তিনি হজ্জ্ব করতেন কীভাবে???
পোস্ট জটিল, তবে সমাধান সহজ। পুরো মসজিদ ব্যবস্থাপনারই আমূল পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু সেটা কীভাবে করতে পারবে এটা কমার্শিয়াল হুজুরদের মাথায় কখনো ঢুকবে তো না-ই। বরং ব্যবসায় যে বাধা দিবে তার কপালে নাস্তিক-কাফের ফতোয়া জুটবে।
-নতুন নকিব হজ্জ্ব করিয়াছেন কি করেন নাই তাহা নির্নয়ের ভার কোন তামাকখোর কাদিয়ানী ফাদিয়ানীর উম্মতকে দেওয়া হয় নাই। ভাবিয়া বসিয়া থাকিও না, নতুন নকিব হাজ্বী হইয়া আসিয়া এখন আর আগের মত চিতবাত করিবেন না। সুতরাং, ইহাই সুবর্ন সুযোগ তাহাকে জব্দ করার।
ধর্মচোর কাদিয়ানী, মানবতাহীন ইসরাইলি আর নৃশংস মগদের ছা- পোনা মিয়ানমার সেনাসহ বিশ্বের বর্নচোরা প্রত্যেকের মুখোশ উম্মোচন অব্যহতভাবে আমরা করিয়া যাইব। করিয়া্ই যাইব, ইনশাআল্লাহ।
অন্যের পোস্টে আসিয়া আরেকজনের ব্যাপারে ফালতু কথা বলিতে বিবেক বাধা দেয় না? আরে ধুর!! কাহাকে কী বলি, বিবেক থাকিলেতো! যাহাদের বিবেকই বন্ধক দেওয়া। বৃটিশ প্রভূদের কাছে। তাহাদের আবার বাধা!
বি: দ্র: সাধুর সেই পোস্টে উপরোল্লেখিত উদ্ভট ব্যক্তির ফালতু মন্তব্যের উত্তরটি এখানে দেওয়া হইল।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
'দাসত্ব' নামের একজন প্রখ্যাত ব্লগারের ঠিকানা-
http://www.somewhereinblog.net/blog/Sami_Aero007
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯
নতুন বলেছেন: ভাই মাজার/পীর/ফকিরের অনুসারীরা ভন্ডামী করবে এটা খুবই সাভাবিক।
নামাজ যদি আপনি নিজে পড়তে জানেন তবে মসজিদে ইমামতি করতে সমস্যা কোথায়? সে নিজেই করতে পারে।
বত`মানে কতজন মানুষ পাবেন ৫ ওয়াক্ত নামাজের জামাতে??
১০-১৫ জন ? শুক্রবারে মসজিদে জায়গা হয় না....কিন্তু হিন্দুর বাড়ীতে হামলার জন্য হাজার মানুষ মিছিল করে ঘরে আগুন দিয়ে আসে।
সমাজে ভন্ডের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই নতুন,
খুব সুন্দর করিয়া বলিলেন- ভাই মাজার/পীর/ফকিরের অনুসারীরা ভন্ডামী করবে এটা খুবই সাভাবিক।
অভিনন্দন আপনাকে।
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮
জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:
এই টাইপের তৌহিদী জনতার চেয়ে পীর-ফকিরের মুরিদেরা অনেক ভালো।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
এই কাজের কাজী যাহারা তাহারা কখনও তৌহিদী জনতা নহেন। ইহাদের মানুষ ভাবিতেও কষ্ট হয়। ধার্মিক তো পরের কথা।
তবে, এই কাজ তৌহিদী জনতা করিয়াছে তাহা কি আপনি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন? অনেকে তো বলেন, ইহা নতুন ঘর-টাকা কড়ি পাইবার আশায় উহাদের নিজেদের ঘটানো।
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: স্বতু সাইয়ের পোস্টের রিয়েকশন সম্ভবত এটি। স্বতু সাইয়ের পোস্ট পড়ে আমারও ভীষন বিরক্তিকর লেগেছিল। ধর্ম মানে না, আবার সেটার চর্চা করতে যাওয়া কেন? কি আর বলব, আল্লাহ এদের সঠিক পথ দেখান।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সঠিক বলিয়াছেন। ধর্ম নিজেতো মানেই না, উপরন্তু গোঁজামিলের ফতোয়া খুঁজে অন্যদের ভিতরে ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়াইয়া দেওয়াই ইহাদের মিশন।
আল্লাহ পাক ইহাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।
অভিনন্দন, পাঠ এবং সুন্দর মন্তব্যে।
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সমাজে ফ্যাৎনা ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের থেকে দূরে থাকা, প্রয়োজনে প্রতিহত করা সকল ধর্ম নির্বিশেষে সকলের কর্তব্য।
আল্লাহ বিপথগামীদেরকে হেদায়েত করুন!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
একদম সঠিক বলেছেন। এদের প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিশ্চিত বিপথগামী করে ছাড়বে। এটাকে সচেতনতার সাথে আমাদের সকলের দায়িত্ব মনে করা উচিত।
আপনার নেক দোআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। আমীন।
ভাল থাকুন।
১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট। বর্তমান ফেসবুক, ইউটিউবের যুগে তেনাদের ফাঁদে পড়ে বেকুব মুসলমানদের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। সাধারণ মুসলমানদের জন্য এদের এড়িয়ে চলে নিজের জ্ঞান, বিবেক খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ করা হলো। কিছুদিন আগে এক বদমাইশ পীর বলে, নামাজ রোজার মত পীরের কথা মানাও ফরজ। নামাজ রোজার কাজা আছে কিন্তু পীরের কথা না মানার কাজা নাই। নাউজুবিল্লাহ...
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
অভিনন্দন জানবেন।
কিছুদিন আগে এক বদমাইশ পীর বলে, নামাজ রোজার মত পীরের কথা মানাও ফরজ। নামাজ রোজার কাজা আছে কিন্তু পীরের কথা না মানার কাজা নাই। নাউজুবিল্লাহ...
-জঘন্যসব বিদআত শিরক আর নাফরমানীতে লিপ্ত জাহেল অজ্ঞ এসব মূর্খরা। নিজেরা বিভ্রান্ত, অন্যদেরও বিভ্রান্ত করে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় সদা সচেষ্ট এই হতভাগারা।
ভাল থাকুন।
১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সর্ব অঙ্গে ক্ষত,
ও্ষুধ দেব কত?
কিছু পাবলিক আছে ব্রেণ ওয়াশ করা থাকে,
তারা ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে সুইসাইড করতে প্রস্তুুস্ত।
এদেরকে এখন কিভাবে ঠেকাবেন ?
তাই, যারা সচেতন আছেন, তারা এই সকল ভন্ড পীর-ফকিরদের ভন্ডমীর গোমার ফাঁস করে,
সবাই সচেতন করতে হবে।
ধন্যবাদ ভাই।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কবি শাহরিয়ার কবীর ভাই,
ধন্যবাদ।
কিছু পাবলিক আছে ব্রেণ ওয়াশ করা থাকে,
তারা ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে সুইসাইড করতে প্রস্তুুস্ত।
এদেরকে এখন কিভাবে ঠেকাবেন ?
তাই, যারা সচেতন আছেন, তারা এই সকল ভন্ড পীর-ফকিরদের ভন্ডমীর গোমার ফাঁস করে,
সবাইকে সচেতন করতে হবে।
-ঠিকই বলেছেন। সহমত। আমাদের নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। অপরকে, সমাজকে সচেতন করতে হবে।
১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১১
কাউয়ার জাত বলেছেন: পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সমাজের প্রতি মোড়ে মোড়ে এখন মানুষরূপী শয়তানেরা আস্তানা গেড়ে বসেছে। অনুসারীও জুটে যাচ্ছে ওদের। আমরা স্যাটায়ার করি। কিন্তু মানুষদেরকে সঠিক পথে ডাকার যে কর্তব্য আমাদের ওপর রয়েছে। তার কিছুই আমরা করছি না। (আমি নিজেকেই দোষারোপ করছি)।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সমাজের প্রতি মোড়ে মোড়ে এখন মানুষরূপী শয়তানেরা আস্তানা গেড়ে বসেছে। অনুসারীও জুটে যাচ্ছে ওদের। আমরা স্যাটায়ার করি। কিন্তু মানুষদেরকে সঠিক পথে ডাকার যে কর্তব্য আমাদের ওপর রয়েছে। তার কিছুই আমরা করছি না। (আমি নিজেকেই দোষারোপ করছি)।
-দারুন বলেছেন প্রিয় ভাই। আমাদের প্রত্যেকের ওপর এর দায় কিছু না কিছ্র বর্তায়। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে হেদায়েত নসীব করুন। তাঁর হুকুম আহকাম মেনে চলার তাওফিক দান করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আসমান হইতে ফেরেশতা নামাইয়া আনিতে হইবে ইমামতির জন্য!
হে হে হে, দারুণ বলেছেন।