নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
কাদিয়ান গ্রামে অভিশপ্ত মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর কবর।
কাদিয়ানী মতবাদ কী?
'কাদিয়ানী মতবাদ' বলতে মিথ্যা নবুওয়াত দাবীদার মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মতবাদকে বোঝানো হয়ে থাকে। আর 'কাদিয়ানী ফিরকা' বা 'কাদিয়ানী সম্প্রদায়' বলতে তার অনুসারীদেরকেই পরিচয় দেয়া হয়ে থাকে। তবে তারা নিজেদেরকে 'কাদিয়ানী ফিরকা' বা 'কাদিয়ানী সম্প্রদায়' নয় বরং 'আহমদিয়া মুসলিম জামাত' বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। 'আহমদী জামাত', 'মির্জায়ী', 'কাদিয়ানী' ইত্যাদি নামেও তারা পরিচিত।
যেখান থেকে কাদিয়ানীদের যাত্রা শুরু
মির্জা গোলাম আহমদ বর্তমান ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাসপুর জেলার অন্তর্গত কাদিয়ান নামক গ্রামের অধিবাসী। কাদিয়ান গ্রামের অধিবাসী বিধায় তাকে এবং তার অনুসারীদের সংক্ষেপে 'কাদিয়ানী' বলে পরিচয় দেয়া হয়।
মিথ্যাবাদী কাদিয়ানীর জন্ম বৃত্তান্ত
১৩ ফেব্রুয়ারী ১৮৩৫ ইং সালে মির্জা গোলাম আহমদ জন্মগ্রহন করেন। মির্জ গোলাম আহমদ ছিলেন মির্জা গোলাম মুর্তজার কনিষ্ঠ সন্তান। ৭৩ বছর বয়সে ১৯০৮ সালে মৃত্যুবরন করেন এই মিথ্যাবাদী কাদিয়ানী।
দখলদার বৃটিশদের দালালীই যাদের পারিবারিক ঐতিহ্য
এই পরিবারটি ছিল ততকালীন ইংরেজ সরকারের হিতাকাঙ্খী এবং ইংরেজ কল্যানে নিবেদিত প্রান। তার পিতা মির্জা গোলাম মুর্তজা ইংরেজ সরকারের একজন বিশেষ অনুরাগভাজন ও অনুগত কৃতজ্ঞ জমিদার ব্যক্তি ছিলেন।1 ইংরেজ সরকারের জন্য তিনি নিজেকে উতসর্গ করে দিয়েছিলেন।2 সিপাহী বিপ্লবের সময় তিনি ৫০ টি ঘোড়া ক্রয় করে পঞ্চাশ জন অশ্বারোহী সৈন্য দিয়ে বৃটিশ সরকারের সাহায্য করেছিলেন। অন্য একটি যুদ্ধে চৌদ্দজন অশ্বারোহী সৈন্য দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।3 তার জ্যেষ্ঠ ভাই মির্জা গোলাম কাদেরও বৃটিশ গভর্নমেন্ট এর খেদমতে আন্তরিকভাবে নিয়োজিত ছিলেন।4 বৃটিশ সরকারের পক্ষ হয়ে তিনি দেশ প্রেমিক আযাদী আন্দোলনের বীর সৈনিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন।5
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী প্রাইভেটভাবে মাধ্যমিক ক্লাশ পর্যন্ত উর্দূ, ফারসী, আরবি ও কিছু ইংরেজি পড়াশোনা করেন। কয়েকবার মোক্তারী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে ব্যর্থ হন।6 অবশেষে শিয়ালকোট আদালতে কেরানীর চাকরি আরম্ভ করেন।
ফুট নোট: ১. তার পিতা ইংরেজ সরকারের একজন অনুগত ও কৃতজ্ঞ জমিদার তথা দালাল ছিলেন। এ সম্পর্কে স্বয়ং গোলাম আহমদের স্বীকারোক্তি দেখুন: 'আমার পিতা মরহুম এ দেশের বিশিষ্ট জমিদারের মধ্যে গণ্য ছিলেন। গভর্নরের দরবারে গেলে তিনি কুর্সি পেতেন। তিনি বৃটিশ সরকারের প্রকৃত কৃতজ্ঞ ও হিতাকাংখী ছিলেন।' উদ্ধৃতি সূত্র- এযালাতুল আওহাম, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ৬৮।
২. এ সম্পর্কে স্বয়ং গোলাম আহমদের স্বীকারোক্তি: 'আমার ওয়ালেদ সাহেবের জীবনী হতে ঐসব খেদমত কিছুতেই পৃথক করা যায় না, যা তিনি আন্তরিকতার সাথে এই সরকারের কল্যানে আঞ্জাম দিয়েছিলেন। তিনি নিজ মর্যাদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বদা বৃটিশ সরকারের সেবাকার্যে নিয়োজিত ছিলেন। সরকারের বিভিন্ন অবস্থা ও প্রয়োজনের সময় তিনি এমন সততা ও অানুগত্য প্রদর্শন করেছেন যে, যতক্ষন কেউ কারো খাঁটি ও আন্তরিক হিতৈষী না হয়, ততক্ষন তেমন আনুগত্য প্রদর্শন করতে পারে না।' উদ্ধৃতি সূত্র- মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১।
৩. এ সম্পর্কে মির্জা গোলাম আহমদের স্বীকারোক্তি: '১৮৫৭ সালের হাঙ্গামায় যখন উচ্ছৃংখল জনতা এ অনুগ্রহদাতা বৃটিশ গভর্নমেন্টের মোকাবেলা করে দেশে হৈচৈ সৃষ্টি করে, তখন আমার পিতা মরহুম নিজের টাকা দিয়ে পঞ্চাশটি ঘোড়া ক্রয় করে পঞ্চাশ জন অশ্বারোহী সংগ্রহ করে গর্ভমেন্টের খেদমতে পেশ করেন। আরও একবার চৌদ্দ জন অশ্বারোহী দিয়ে সরকারের খেদমত করেন। এসব আন্তরিকতাপূর্ন খেদমতের কারনে তিনি গভর্নমেন্টের প্রিয়পাত্র বলে গন্য হতেন।' উদ্ধৃতি সূত্র- ক) এযালাতুল আওহাম, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১৬৮ এবং খ) মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১।
৪. এ সম্পর্কে মির্জা গোলাম আহমদের স্বীকারোক্তি: 'এ অধমের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা মির্জা গোলাম কাদের যতদিন জীবিত ছিলেন তিনিও পিতা মরহুমের পদাঙ্ক অনুসরন করে চলেছেন এবং বৃটিশ গভর্নমেন্টের আন্তরিক খেদমতে মনে-প্রানে নিয়োজিত থেকেছেন। অত:পর তিনিও মুসাফিরখানা হতে বিদায় গ্রহন করেন।' উদ্ধৃতি সূত্র- মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১।
৫. এ সম্পর্কে মির্জা গোলাম আহমদ বলেন: 'আমার পিতা আমার ভ্রাতাকে একমাত্র গভর্নমেন্টের খেদমতের জন্য কোন কোন যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। সর্বক্ষেত্রেই গভর্নমেন্টের মনতুষ্টি অর্জন করেছেন।' উদ্ধৃতি সূত্র- মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১।
৬. কাদিয়ানী ধর্মমত, মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী। প্রাগুক্ত ৫০-৫১ পৃষ্ঠা থেকে সংক্ষেপিত।
কাদিয়ানীদের কিছু আকীদা-বিশ্বাস:
১। ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের আগমন সম্পর্কিত মুসলমানদের ধারনা ভুল।
২। হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে এবং পুনরায় তাঁর আগমন সম্পর্কিত মুসলমানদের ধারনা ভুল।
৩। খতমে নবুওয়াত সম্পর্কিত মুসলমানদের ধারনা ভুল। তাদের মতে, শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরেও আরও নবী হতে পারে।
৪। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নবী, তার নিকট ওহী আসত। তার উপর ২০ পারার মত কুরআন নাযিল হয়েছিল।
৫। তাদের বিশ্বাস, খোদার পুত্র হতে পারে। নাউ'যুবিল্লাহ।
৬। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রকাশ ছিলেন।
৭। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী আল্লাহর প্রকাশ ছিলেন।
৮। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মুহাম্মদ এবং আহমদ।
৯। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী অনেক নবী বরং সমস্ত নবী রাসূল থেকে এমনকি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও শ্রেষ্ঠ। নাউ'যুবিল্লাহ। আস্তাগফিরুল্লাহ।
১০। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ছিলেন খোদার অবতার বা খোদা। নাউ'যুবিল্লাহ।
১১। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ছিলেন কৃষ্ণের অবতার।
১২। এছাড়াও তাদের আকীদা-বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে-
ক. মির্জা সাহেব ছিলেন ইবরাহীম আলাইহিসসালাম।
খ. পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাস।
গ. কাদিয়ানীগন নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গকে নবী মনে করেন: রামচন্দ্র, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, জরদশত, কনফুসিয়াস ও বাবা নানক।
১৩। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী খাতামুন্নাবী বা শেষ নবী। তারপরে আর কোন নবী আসবে না।
যে কারনে এই পোস্ট:
অনর্থক, অহেতুক, অযাচিত এবং অসঙ্গতভাবে খুঁচিয়ে, ঠেলে, উত্যক্ত করে, বিরক্তি সৃষ্টি করে যিনি কাদিয়ানী ধর্মমত নিয়ে কলম ধরতে নিরন্তর প্রেরনা যুগিয়ে যাচ্ছেন, আমার কাদিয়ানী আহমদী ভাই 'নাইমুর রহমান আকাশ' এর সৌজন্যে সামান্য এই নিবেদন। আল্লাহ পাক যদি সহায় হন, এবং তিনি যদি ইচ্ছে করেন, চলতি শীত মৌসুমে ইনশাআল্লাহ বাকি কয়েকটি পোস্টে এই বিষয়ক ফিতনা ফাসাদের স্বরুপ উম্মোচন করা হবে। যাতে করে সাধারন মুসলমানগন প্রকৃত সত্য জানতে পারেন এবং কাদিয়ানী আহমদী মিথ্যাবাদীদের ধোঁকা থেকে নিজেদের রক্ষা করে চলতে পারেন। প্রতিটি পোস্টে চেষ্টা থাকবে রেফারেন্স এবং দলিলভিত্তিক আলোচনা যাতে উপস্থাপন করা যায়।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলের ঈমান-আমল হেফাজত করুন। দুনিয়া-আখেরাত উভয় জাহানের কল্যান দান করুন। আমীন।
এই লেখাটি তৈরিতে একাধিক সোর্স থেকে সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা-
১। গুগল।
২। ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ, মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন।
৩। কিয়ামতের আলামত, আব্দুল্লাহ শাহেদ মাদানী।
৪। মিরাজ ও বিজ্ঞান, মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ.।
৫। কাদিয়ানী মতবাদ, ইহসান ইলাহী জহির, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
৬। কাদিয়ানী ধর্মমত, মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় কবি খায়রুল আহসান ভাই,
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা।
তাদের পুরো ধর্ম বিশ্বাসটাই অন্ধকারে আচ্ছন্ন। বাস্তবতার সামান্য অংশ মাত্র এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। তাতেই আপনি বুঝতে পেরেছেন, অবস্থা কত ভয়াবহ। ওদের কোন আকিদা-বিশ্বাসে কেউ বিশ্বাসী হলে তার মুসলমানিত্ব তো দূরের কথা, ঈমানই থাকে না।
আল্লাহ পাক মুসলিম জাতিকে এই মহা ফিতনা থেকে হেফাজত করুন।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নকিব ভাই, আমি জানি আপনি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। ধর্ম নিয়ে বা এই সংক্রান্ত বিষয়ে লিখতে হয়ত ভালোবাসেন। আমাদের মুসলিম কমিউনিটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে - আমরা শুধু ধর্ম চর্চা এবং এই সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো নিয়েই পড়ে আছি। আমাদের প্রয়োজন ইসলামের আলোকেই জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করা, মানবকল্যানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। এই সব কাদিয়ানী, শিয়া, সুন্নীর বিভাজন নিয়ে মানবজাতির উন্নতি হবে না।
ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা মানেই কি বিজ্ঞান বিমুখীতা অজ্ঞতা? নতুন প্রজন্মকে কে জানাবে সভ্যতার ক্রম বিকাশে মুসলিম মনীষীদের অবদান অবিস্মরণীয়। যুগ যুগ ধরে গবেষণা ও সৃষ্টিশীল কাজে তাদের একাগ্রতা প্রমাণিত। এই সব ফ্যাসাদ, বিভাজনে মুসলিম কমিউনিটির কোন মুক্তি নেই, উন্নতি নেই।
আমাদের আরো ধৈর্যশীল হওয়া প্রয়োজন।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কা_ভা ভাই,
আপনার আগমনে সত্যি আপ্লুত!
প্রথমেই বিনীতভাবে আমার লেখনীর দুর্বলতা এবং জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনার মন্তব্য দিকনির্দেশনামূলক, গভীর অর্থবোধক। আপনার উদার মানসিকতা পোষনের এই সৌন্দর্য্য দেখে আমিও মুগ্ধ!
মানব কল্যানে ইসলামের আলোকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার প্রয়োজন যে কত বেশি, আজকের ভোগবিলাসে মত্ত মুসলিম উম্মাহ তা উপলব্ধি না করলেও অন্য জাতির ভাইয়েরা ঠিকই পুরোপুরি তা অনুভব-অনুধাবন করেন। এবং সে অনুসারে তার বাস্তবায়নও করে থাকেন তারা। অলসতা, জড়তা, ভিরুতা, কাপুরুষতা, স্বার্থপরতার আঁধারে হাবুডুবু খাচ্ছি শুধু আমরা।
কা_ভা ভাই,
আমরা মুসলিম। মুসলিম হিসেবে আমাদের কিছু বিশ্বাস লালন করতে হয়। মনে-প্রানে, অন্তরের গহীনের সে বিশ্বাসের ওপর ভর করে বেঁচে থাকে আমাদের ঈমান। কারও বিশ্বাস যদি নড়বড়ে হয়ে যায় যে, আখেরাত আছে কি নেই, এটা তো কোন দিন দেখি নি, তাহলে তার ঈমান নড়বড়ে হয়ে গেল। আমাদের বিশ্বাসের ঘরে চুরি ডাকাতি সংঘটনের লক্ষ্যে আমাদের স্বজাতির কিছু লোক যেমন রয়েছেন, বিজাতীয়দের কেউ কেউও সমান সক্রিয়। আজকের বিশ্ব মুসলিমের সামনে এই যে, কাদিয়ানী ফিতনা, এর বীজ বপন করেছিল সেকালের দখলদার ভারতের ক্ষমতার মসনদে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা ধুরন্দর বৃটিশ রাজ। তারাই ছায়া দিয়ে মায়া দিয়ে, অর্থ দিয়ে বিত্ত দিয়ে, প্রশাসনিক নিরাপত্তা আর অভয়-সাহস দিয়ে এই জাতির ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য সবচে' স্পর্শকাতর ধর্মীয় ইস্যুতে গুটি চালিয়েছে। মূলত: এ ছিল তাদের নিকৃষ্ট 'ভাগ কর, শাসন কর' নীতির একটি বহিপ্রকাশ মাত্র। তারা ভালভাবে বুঝেশুনে মুসলিমদের বিশ্বাসের মূলে হাত দিয়েছে। আঘাত দিয়েছে বিশ্বাসের অস্থিমূলে। মুসলিমদের ভেতর থেকেই তারা বেছে নিলেন এদেশীয় একটি গাদ্দার শ্রেনিকে। তাদের ভূয়া নবুয়ত দিয়ে ধন্য করলেন। আর এই বর্নচোরা বৃটিশ দালালদের কাজ হচ্ছে, নিজেদের কদর্যতা গোপন রেখে কখনও 'আহমদিয়া মুসলিম' কিংবা কখনও 'কাদিয়ানী মুসলিম' ইত্যাদি পরিচয়ে মুসলমান জাতির সরলপ্রান লোকদের ধোঁকা দিয়ে তাদের ঈমান হরন করে নেয়া। সঙ্গত কারনে এই বিষধর কালসাপ সম্পর্কে জাতিকে সজাগ করার দায়িত্ব আমার, আপনার প্রত্যেকের। এদের মুখোশ উম্মোচন করা সচেতন প্রত্যেকের নৈতিক এবং ঈমানী দায়িত্ব।
অন্যান্য অনেক মুসলিম প্রধান দেশ এই গোষ্ঠীকে অনেক পূর্ব থেকেই অমুসলিম ঘোষনা করলেও অজ্ঞাত কারনে আমাদের দেশে এরা এখনও বর্নচোরা।
একটি চরম সত্য কথা বলি, যেহেতু খতমে নবুয়তসহ অনেক ইস্যুতে তাদের বিশ্বাস মুসলিমদের সাথে সাংঘর্ষিক সুতরাং, তারা যদি তাদের ধর্মীয় পরিচয়ে আলাদা হয়ে যায়, তারা যদি ধোঁকা দেয়ার মানসিকতা থেকে সরে আসে, তারা যদি নিজেদের 'মুসলিম' বলা থেকে বিরত থাকে, সকল ল্যাটা চুকে যায়, আমাদের কোন আপত্তি অবশিষ্ট থাকে না। যেমনটা নেই হিন্দু, খৃষ্টান কিং অন্যান্য ধর্মের লোকদের প্রতি।
এই পোস্ট হয়তো দেয়া হত না। এটা দেয়ার পেছনে 'নাঈমুর রহমান আকাশ' নামের ব্লগার ব্যক্তির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এই ব্লগের বিভিন্ন পোস্টে তার দেয়া উস্কানী, বিশ্বব্যাপী শত শত কোটি মুসলিমদের উপহাসের বিষয় মনে করা, তাদের কাফের ইত্যাদি বলার ধৃষ্টতা এ পোস্ট প্রকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
ভাল থাকবেন ভাই।
আবারও কথা হবে।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কাদিয়ানীদের সম্পর্কে আরো অনেক আগে থেকেই জানি। তাদের এই ধোকা থেকে মুসলিম জাতি বেঁচে থাকুক।
যারা জানেননা তারা এই পোস্ট পড়ে সচেতন হন
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, ভাই সরকার সাহেব।
এই একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এদের ব্যাপারে কলম ধরেছি। অন্যথায় এই ময়লায় হাত দেয়ার ইচ্ছে ছিল না।
আপনার জন্যও শুভকামনা অশেষ।
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আপনি আদৌ হজ্জ্ব করেছেন? মনে হয় না। এতো চমৎকার বানানো বানানো মিথ্যা বললেন!
আপনার কথাগুলো সবই যে আংশিক মিথ্যার সাথে সত্যকে মিশিয়ে প্রচার তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আমার ব্লগে গেলে বহু মানুষ সত্যতা অনুধুবন করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ।
আর আপনার কিছু জবাব এখানেই দেয়া হলো।
আপনি কখনো পড়বেন না জানি। কারণ যে জঘণ্য ধর্মব্যবসায়ীদের দালাল আপনি, তারা সত্যের চেয়ে ধান্দা বেশী পছন্দ করেন।
কারও জানার ইচ্ছা থাকলে এই লেখাটি পড়ুন।
www.somewhereinblog.net/blog/naimur2017/30202564
এই লেখায় আপনার মিথ্যার সব মুখোশ উন্মোচিত হবে।
লানাতুল্লাহি আলাল কাযিবীন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধরুন, হজ্ব করেছি, অথবা করি নি। এটা করা বা না করা নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করার অধিকার কে দিয়েছে?
আপনিতো আসলে সরল মানুষ। সরল বিশ্বাসে গড়লদের পাল্লায় কোনভাবে হয়তো ভীড়ে গেছেন। ভাই, দুনিয়ার দু'দিনের স্বার্থ ফুরিয়ে যাবে। আসল যে পরকালের অন্তহীন জীবন সেই জীবনের জন্য আরেকবার দেখুন, ভাবুন, জানুন, এবং জানতে থাকুন। অন্ধভক্তি ছেড়ে শুধু চোখ কান খোলা রেখে যাচাই করুন। আল্লাহর কসম করে বলছি, সত্য আপনার সামনে উদ্ভাসিত হবেই।
নব্বইয়ের দশকে যখন ঢাবিতে অধ্যয়নরত ছিলাম তখন কোন এক দিন হল থেকে বেরিয়ে বখশীবাজারের আহমদিয়া আস্তানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের শয়তানি প্রথম নজরে পরে। এরপর থেকে তাদের সম্মন্ধে স্টাডি করা শুরু করি। এই বিভ্রান্ত গোষ্ঠীটি সম্পর্কে দেশি বিদেশী অনেক স্কলারের অসংখ্য লেখা, মূল্যবান মতামত, সিদ্ধান্ত আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। সুতরাং, ধর্মব্যবসায়ী, দালাল ইত্যাদি অবান্তর কথাবার্তা বলে বাবা লাভ নেই। খোলস খসে পড়েছে। তাওবা করে আসুন আল্লাহর পথে ফিরে আসুন।
আপনার এবং আপনার দলের সকলের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ পাকের কাছে বিনীত অন্তরে দোআ করি।
৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: পোস্ট লিখে কাজ হবে না। ইহুদী -কাফির দের আবিস্কার করা ব্লগ -ইন্টারনেট মুমিনদের জন্য হারাম। জিহাদ -মিহাদ করে দেখতে পারেন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
দাদা, কথা খারাপ বলেন নি।
তা, আপনার জিহাদ -মিহাদ কেমন চলছে?
৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
কাউয়ার জাত বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই, আপনার মন্তব্যের সাথে আংশিক সহমত পোষণ করছি। মানব সভ্যতার প্রতি প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য রয়েছে। এ কারণে বিভাজনকে উপেক্ষা করে ঐক্যের বাণী নিয়ে এগিয়ে চলা মুসলিমদের কর্তব্য। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মননিবেশ করা কর্তব্য। আবার মৃত্যুপরবর্তী অনন্তকালীন যে জীবনে সে বিশ্বাস করে, সে জীবনের পুঁজি সংগ্রহ করাও তার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি আপনি যদি ইবলিশের অস্তিত্ব স্বীকার করেন তবে অবশ্যই দেখতে পাবেন যে, সে মানুষকে বিভ্রান্ত করার ক্ষেত্রে তার বিশ্বাসের মধ্যে আবর্জনা ঢুকিয়ে দেয়াকেই লক্ষ্যবস্তু বানায়।
আপনি কি অবাক হন না যে, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে প্রগতিশীলতার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কতগুলো মাজার রয়েছে? এই ঢাকা শহরে দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী, রাজারবাগীর মত কত ভণ্ডপীরদের আস্তানা রয়েছে? ভিভিআইপি থেকে শুরু করে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পর্যন্ত এসব জায়গায় যাওয়া আসা করে এক পর্যায়ে অন্ধভক্তে পরিণত হচ্ছে। এক ভণ্ডপীর এখন টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে লোকদের তার দরবারে আহবান জানাচ্ছে। সুতরাং সঠিক বিশ্বাসের লেখার প্রয়োজনীয়তাকে কি অস্বীকার করা যায়?
যদিও অপ্রয়োজনে এদের আলোচনাকে সামনে নিয়ে আসা অনুচিত যখন মানুষই এদেরকে পাত্তা দিচ্ছে না। আর অহেতুক এদের সাথে কুতর্কে জড়ানোটাও আমি ভুল মনে করি। তবে মানুষকে সতর্ক করতে যুক্তিভিত্তিক ও তথ্যবহুল কিছু লেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার ক্ষুরধার অসাধারন মন্তব্যগুলোতে বরাবরই মুগ্ধ হই।
কা_ভা ভাইকে যৌক্তিক সুন্দর দিয়েছেন।
এ কারণে বিভাজনকে উপেক্ষা করে ঐক্যের বাণী নিয়ে এগিয়ে চলা মুসলিমদের কর্তব্য। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মননিবেশ করা কর্তব্য। আবার মৃত্যুপরবর্তী অনন্তকালীন যে জীবনে সে বিশ্বাস করে, সে জীবনের পুঁজি সংগ্রহ করাও তার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।
-এটাই হচ্ছে একজন পরিপূর্ন মুসলিম ব্যক্তির মূল দর্শন। এই বিশ্বাস থেকে বিচ্যূতিই আমাদের অধ:পতনের কারন।
যদিও অপ্রয়োজনে এদের আলোচনাকে সামনে নিয়ে আসা অনুচিত যখন মানুষই এদেরকে পাত্তা দিচ্ছে না। আর অহেতুক এদের সাথে কুতর্কে জড়ানোটাও আমি ভুল মনে করি। তবে মানুষকে সতর্ক করতে যুক্তিভিত্তিক ও তথ্যবহুল কিছু লেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি।
-এদের সীমালঙ্ঘন কোন পর্যায়ে গিয়েছে, একটি মাত্র ব্যক্তি নাঈমুর রহমান আকাশের এই পোস্টের মন্তব্যগুলোয় শুধু চোখ বুলিয়ে দেখুন। সাধারন সভ্যতা, শিষ্টাচার ইত্যাকার কোন কিছুর অস্তিত্ব কি এদের ভেতরে অবশিষ্ট রেখেছে তারা?
৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১
প্রামানিক বলেছেন: অনেক আগে কাদিয়ানী সম্পর্কে একটি বইতে পড়েছিলাম, নিজেকে নবী দাবী করা এই কাদিয়ানীর মৃতু্য হয়েছে পায়খানার ভিতর। যতটুকু জানি কোন নবী বা রাসুলের মৃতু্য এত নিকৃষ্ট জায়গায় হয় নাই, কিন্তু এই কাদিয়ানীর হয়েছে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ছড়াকার, টয়লেটে পরে মৃত্যুর ঘটনা সঠিক। আল্লাহর কাছে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করার এক সপ্তাহের ভেতরে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ইনি মল মূত্রের ভেতরে পরে গিয়ে লজ্জাজনকভাবে মৃত্যুবরন করেন।
৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালোবাসা ! ইসলামের অপব্যাখ্যা সম্বলিত স্বতু সাঁই এর পোস্টে আপনার আপত্তিমূলক কোনো মন্তব্য পাইলাম না, মন্তব্য পাইলাম কাদিয়ানীদের সঠিক পরিচয় সম্বলিত পোস্টে !!! বাহ্ !
স্বীকার করিতে হইবে ইসলামের অনেক সেক্ট আছে, মতবিরোধ আছে ; তবে কোন ধর্ম, কোন গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব নাই , বিরোধ নাই? সকলের মধ্যেই আছে ! পার্থক্য হইলো তাহারা বৃহত্তর স্বার্থে এক হইতে পারিয়াছে, আমরা পারি নাই , ! আমাদের ধর্মীয় বেত্তারা সকলেই একমত হইয়াছেন, কাদিয়ানীরা মুসলিম নহে। কিন্তু তাহারা মুসলিম সাজিয়া সরলপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করিয়া নিজ দলে ভেড়ানোর অপচেষ্টা করিতেছে। তাহারা মুসলমান ভিন্ন অন্য নাম নিয়া ধর্ম প্রচার করিলে সমস্যা নাই। ধোঁকাবাজি কেন ?
ধর্মীয় আলোচনা আপনার দৃষ্টিতে যদি অপাঙেক্তয় মনে হয় , তাহা হইলে ধর্ম বিরোধী বিশেষ করিয়া ইসলামের অপব্যাখ্যা ও বিদ্বেষী পোস্টগুলো সামুতে ঝোলে কেন ? এক যাত্রায় দুই ফল হইবে কেন ?
চাঁদগাজী কাকুর পরামর্শ মানিয়া ব্লগে ধর্ম ও ধর্ম বিরোধী সব পোস্ট নিষিদ্ধ করিতে পারেন কিনা দেখেন !
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
শক্তিমান মন্তব্যে ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই।
স্বীকার করিতে হইবে ইসলামের অনেক সেক্ট আছে, মতবিরোধ আছে ; তবে কোন ধর্ম, কোন গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব নাই , বিরোধ নাই? সকলের মধ্যেই আছে ! পার্থক্য হইলো তাহারা বৃহত্তর স্বার্থে এক হইতে পারিয়াছে, আমরা পারি নাই , !
-পুরোপুরি সহমত।
আমাদের ধর্মীয় বেত্তারা সকলেই একমত হইয়াছেন, কাদিয়ানীরা মুসলিম নহে। কিন্তু তাহারা মুসলিম সাজিয়া সরলপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করিয়া নিজ দলে ভেড়ানোর অপচেষ্টা করিতেছে। তাহারা মুসলমান ভিন্ন অন্য নাম নিয়া ধর্ম প্রচার করিলে সমস্যা নাই। ধোঁকাবাজি কেন ?
-এই সহজ সমীকরনটি না বোঝার কিছু নেই। দুনিয়ার সব জটিল জটিল জিনিষ মাথায় ঢুকলে অনায়াসে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের এই 'পরের মাথায় নূন রেখে বরই খাওয়া'র ব্যাপারটিও বুঝে আসার কথা। মুসলমানদের নাম ভাঙ্গিয়ে আর কত কাল বৃটিশ আশির্বাদপুষ্ট এই দুর্বৃত্তরা বিশ্বময় লুটে পুটে যাবে? মুসলমানদের মৌলিক আকিদা খতমে নবুয়তসহ অসংখ্য বিশ্বাস এবং বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এই সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে সরকারীভাবে আইন করে অমুসলিম ঘোষনা ও এই চক্রান্তকারী মিথ্যাবাদী সম্প্রদায়ের সর্বপ্রকার অপতৎপরতা নিষিদ্ধ ঘোষনা করার দাবী জানাচ্ছি।
৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
করুণাধারা বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল। বাংলাদেশের কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠীর মালিক কাদিয়ানী। এদের উত্থান কি করে হল? শুনেছি আগা খানিরা নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের সাহায্য করে। কাদিয়ানীদেরও কি তাই?
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার নামটা দেখলেই মনের গহীনে প্রশান্তির একটি শীতল ধারা বয়ে যায়। আপনি ভাল আছেন নিশ্চয়ই।
এদের উত্থান সম্পর্কে জানতে দ্বিতীয় কিস্তি দেখতে পারেন। আজই প্রকাশ হল। লিঙ্কটা নিচে দিচ্ছি-
http://www.somewhereinblog.net/blog/NatunNakib/30220569
আগাখানিরা তো যাই হোক, একটা পর্যায় আছে তাদের। এদের কোন সীমা পরিসীমা নেই।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
দু:খিত, উপরের লিঙ্কটি কাজ করছিল না।
কাদিয়ানী আহমদীদের ধোঁকা থেকে বাঁচতে হলে তাদের অসারতা অনুধাবন অপরিহার্য্য পর্ব-০২
১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
টারজান০০০০৭: আমাকে তো ভাই আল্লাহ তাঁর বিধান বা সৃষ্টি বাচানোর দায়িত্ব দেয় নাই। আমাকে দিসে তাঁর বিধান মানার দায়িত্ব। আমি সেটা মেনে চলি। ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব বোধকরি আল্লাহপাক নিজেই করেন। সেখানে আমার মত পুটি ছানার কোন ভুমিকা নাই।
পৃথিবীর সব মত আপনার আমার পক্ষে যাবে না, দর্শনও যাবে না। সেটার প্রতিবাদ বা আলোচনা হতে হবে যৌক্তিক, গালাগালি পূর্ন নয়। যে ব্লগারের কথা বললেন, উনার সাথে আমার তর্ক হয়েছে। উনার পোস্টে আমার কমেন্ট আছে। উনার সব পোস্টে আমি কমেন্ট করার মত উপযুক্তিতা খুঁজে পাই না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
কা_ভা ভাই,
নিজে বাস্তব জীবনে ইসলামের বিধি-বিধান মানার সাথে সাথে কারও ভুল বা অন্যায় যতটুকু শক্তিতে কুলোয় প্রতিহত করার দায়িত্বও আমাদের প্রতি আল্লাহ পাক প্রদত্ত। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন এবং নির্ভরযোগ্য হাদীসের আলোকে সংক্ষিপ্ত কথা এটুকুই।
আপনার সতর্ক দৃষ্টির জন্য কৃতজ্ঞতা।
১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
উচ্ছল বলেছেন: বিশ্বের আলেমদের গবেষণা মতে কাদিয়ানীরা অমুসলিম। কথা শেষ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
কথা সত্য। তবে কথা শেষ হয় না যে! এরা যে নিরন্তর জ্বালিয়েই যাচ্ছে। সমস্যাটা তো এখানেই।
১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: যাদের সত্য উদঘাটনের ইচ্ছা আছে তারা শুধু এসব ধর্মব্যবসায়ী বাজারী হুজুরদের কথা শুনবেন কেন? আমাদের মসজিদ আছে। সেখানে যেতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। আমাদের বিই না পড়ে আমাদের ব্যপারে এমন লোকদের কাছে খোঁজ নেন কেন যারা নিজ স্বার্থে শাপলাচত্বর, ব্লগার হত্যা, জঙ্গিবাদজাতীয় জঘণ্য কার্যকলাপে লিপ্ত? যাদের ব্যবসার মূল পুঁজি হলো সাধারণ মানুষের অন্ধবিশ্বাস?
এই পোস্ট যারা পড়ছেন তার নিজে কয়জন আমার ব্লগটায় চোখ বুলিয়েছেন? কয়জন প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন?
যাদের সত্য উদঘাটনের ইচ্ছা আছে তারা শুধু এসব ধর্মব্যবসায়ী বাজারী হুজুরদের কথা শুনবেন কেন? আমাদের মসজিদ আছে। সেখানে যেতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। আমাদের বিই না পড়ে আমাদের ব্যপারে এমন লোকদের কাছে খোঁজ নেন কেন যারা নিজ স্বার্থে শাপলাচত্বর, ব্লগার হত্যা, জঙ্গিবাদজাতীয় জঘণ্য কার্যকলাপে লিপ্ত? যাদের ব্যবসার মূল পুঁজি হলো সাধারণ মানুষের অন্ধবিশ্বাস?
এই পোস্ট যারা পড়ছেন তার নিজে কয়জন আমার ব্লগটায় চোখ বুলিয়েছেন? কয়জন প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন?
এই অনুষ্ঠানটি ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। সত্যসন্ধানীরা অনুষ্ঠান চলাকালে সরাসরি ফোন করে নিজেদের প্রশ্ন উপস্থাপন করতে পারেন।
আর আমি এই নোংরা মিথ্যাবাদীর পোস্টের জবাবে খালি এটুকুই বলবো, তার প্রতিটি কথা মিথ্যা ও অপব্যাখ্যা। লেখক তার দলের লোকেদের, ধর্মব্যবসায়ী মোল্লাদের স্বার্থ রক্ষার্থে ঘৃণ্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
আমার ব্লগের লেখাসমূহ যদি কেউ পড়েন, তার কাছে বহু সত্য পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
গোলাম আহমদ কাদিয়ানী যে মিথ্যাবাদী বৃটিশ নিয়োগপ্রাপ্ত ভন্ড নবী- এই কথার প্রমান একটি দু'টি নয় অসংখ্য অগনিত আমাদের কাছে রয়েছে। সারা পৃথিবী এই মিথ্যাবাদী দাজ্জাল কাজ্জাবকে কাফের হিসেবে জানে। এর কবল থেকে আল্লাহ পাক মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করুন।
নাকে নাকে কান্না শোনার ইচ্ছে নেই। মিথ্যাবাদীর ঘৃন্য জাল ছিন্ন করে সত্যের দিকে ফিরে আসুন। আল্লাহর রহমত আপনার জন্য অবারিত হবে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
এইসব ফিতনার বিজ্ঞাপন এইখানে দিয়ে লাভ হবে না। এগুলো ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করবে মানুষ।
১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
উচ্ছল বলেছেন: নাঈমুর রহমান আকাশ ভাইকে বলছি- আপনাদের আকীদা বা বিশ্বাস নিয়ে আপনারা থাকতে পারেন। যদিও আমাদের মতে আপনারা বিভ্রান্ত। ইসা আ. কে মানার ক্ষেত্রে একজন খ্রীষ্টান এবং মুসলিমের পার্থক্য রয়েছে। আপনাদের সাথেও আমাদের বিশ্বাসের পার্থক্য রয়েছে। যারা সন্ত্রাস করে তাদের থেকে আমরা খোঁজ নিচ্ছি এটা আপনার ভুল ধারনা এবং আমাদের প্রতি অপবাদ। আমরা অন্ধবিশ্বাসী নই বরং আপনারাই কুরআন হাদীস থেকে দূরে সরে নিজেদের একঘরে করে ফেলেছেন।
এই পোস্ট মিথ্যা ও অপব্যাখা বলার চাইতে নবী স., খতমে নবুওয়াত ও ইসা মসিহ সম্পর্কে আপনাদের মিথ্যা ও উদ্ভট মস্তিস্ক প্রসুত আবর্জনাগুলো পরিষ্কার করে সত্যের আলোয় আলোকিত হন। ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তির ব্যবসা বন্ধ করে নিজেদের নতুন ধর্মের সংস্কার সাধনে ব্যস্ত হন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এই পোস্ট মিথ্যা ও অপব্যাখা বলার চাইতে নবী স., খতমে নবুওয়াত ও ইসা মসিহ সম্পর্কে আপনাদের মিথ্যা ও উদ্ভট মস্তিস্ক প্রসুত আবর্জনাগুলো পরিষ্কার করে সত্যের আলোয় আলোকিত হন। ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তির ব্যবসা বন্ধ করে নিজেদের নতুন ধর্মের সংস্কার সাধনে ব্যস্ত হন।
-ভাল বলেছেন। মোবারকবাদ।
১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টটা স্টিকি করা যেতে পারে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
কারন কী?
১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: @_উচ্ছল
এখন বলতে গেলে অনেক কথা বাড়ে। আপনাদের সাথে এই মিথ্যাবাদী প্রতারকের পোস্টে আমার বাহাস করার কোনও রুচি নেই। আমি এখন যদি বলি জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী দল, সেটাতেও প্রতিবাদ করার মতো বহু বঙ্গসন্তান আছেন।
হ্যাঁ ভাই, আপনারা একেবারেই অন্ধবিশ্বাসী নন। একজন মানুষ সশরীরে আকাশে উঠে গিয়ে জীবিত আছেন ২০০০ বছর ধরে, তিনি শেষযুগে বিনা প্যারাসুটে আকাশ থেকে অবতরণ করবেন, ল্যান্ডিং স্পটটাও আপনারা জানেন। তাকে নামাবেন একজন জিহাদী নেতা, তিনি আবার বনে বনে শুকর নিধন করবেন, অমুসলীমদের মুসলমান বানাবেন নইলে কল্লা কাটবেন। ভালোই শেষযুগ আপনাদের। জিহাদ বলতে সশস্ত্র সংগ্রাম বোঝা ছাড়া আর কিছু বোঝেন?
আবার জ্বীন বলে একটা অতিপ্রাকৃত জাতি আছে, যারা যখন তখন মানুষকে আছর করতে পারে। মোল্লারা কোরআন পড়ে সেই জ্বীন তাড়ান। কোটি কোটি কুসংস্কার আছে আপনাদের। না, সেগুলো আপনাদের ঈমান, আল্লাহ রক্ষা করুন আমাকে।
আপনারা যে বিশ্বাসই করুন আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যখন এসব কুসংস্কারকে ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে গিলিয়ে খাতয়াতে চান সেটাতে সমস্যা থাকা স্বাভাবিক। আর যখন আপনারা আমাদের ব্যপারে খোঁজখবর করতে ও্য়াজী ব্যবসাদারদের কাছে ধর্ণা দেন সেটা আপনাদের ব্যপার। কিন্তু চোখের সামনে মিথ্যাচার দেখলে বিরক্ত লাগে বৈকি।
পারলে মাদ্রাসাপাশ হুজুরের ওপরে নির্ভর না হয়ে নিজের মস্তিষ্ক খাটান। লাভ বৈ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।
অবশ্য আপনি যদি ধারণা করেন এই হুজুরই আপনার ইসলাম, তবে আর কিছু বলার নেই। যেভাবে ইচ্ছে চলুন। সময় জবাব দেবে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
নাকে নাকে কান্না বাদ দিন। বন্ধক দেয়া মাথা পারলে আরেকবার মুক্ত করুন। মুক্ত চোখে, মুক্ত মাথায় মহান মালিক আল্লাহ পাককে পাওয়ার জন্য সত্য অনুসন্ধানে ব্যপৃত হোন। বাতিল অবশ্যই ধরা পরে যাবে। সত্যটাও চিনে নিতে পারবেন।
আমরা তাই চাই।
১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নকিব ভাই, আপনার সাথে আমি দ্বিমত পোষন করছি না। আমি এই পোস্টে মন্তব্য করেছি এই ভেবে যে, আমরা যেন সবাই আরো সহনশীল হতে পারি। সহনশীলতা ইসলামের একটি সৌন্দর্য। কিন্তু ইদানিং ভ্রান্ত আর কট্টর ধারনার জন্য তা বিসর্জন হবার পথে।
আমার জ্ঞান অতি ক্ষুদ্র। এই সকল বিষয়ে আমার জ্ঞান অতি সামান্য। একজন মুসলিম হিসেবে আমাকে কিছু নিয়ম মানতেই হবে। আমার জানা মতে আমাদের নবীজি (সাঃ) জীবিত থাকা অবস্থায় মুসলিমদের মধ্যে এত গ্রুপ ছিলো না। শিয়া সুন্নির ব্যাপারটাও এসেছে নবীজি (সাঃ) ইন্তেকালের পর। তাই আমি ধরে নিই, উনার পরে যে সকল চেঞ্জ এসেছে, এই সবই মানব সৃষ্ট। মানবসৃষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। যদি এই বেসিকে যেতে পারি, তাহলে সকল ঝামেলা শেষ হয়ে যায় বলে আমি বিশ্বাস করি।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আমাদের সহনশীলতা অবশ্যই বৃদ্ধি পাওয়া দরকার। সেটা ঠিক আছে। তবে, সত্য ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরা না হলে যে তারা বিপথগামী হতে পারে! ইতিমধ্যে হয়েও গেছে কেউ কেউ। আমি শঙ্কিত বোধ করেই এই পোস্ট দিয়েছি। জানি না, এই পোস্ট কার কতটুকু কাজে আসবে, তবু মনে আশা রেখেই এটা করেছি।
শিয়া সুন্নীর দ্বন্ধ একটা সীমার ভেতরে মনে করি। তারা তো কেউ নিজেদের ভেতরে নবুয়ত দাবী করেন নি। কিন্তু এই মিথ্যাবাদী নবী দাবীকারী ব্যক্তিতো সর্বনিকৃষ্ট পাপিষ্ট হিসেবে স্বীকৃত। এর খপ্পরে পরে মানুষ যাতে ঈমানহারা না হন সে জন্যই এই লেখা।
ধন্যবাদ।
১৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
জাহিদ হাসান বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: তাদের যে আকীদা-বিশ্বাসের কথা এখানে উল্লেখ করেছেন, তার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করলেও তো কেউ মুসলমান থাকতে পারেনা বলে মনে করি।
একমত। যা বলার খায়রুল আহসানই বলে দিয়েছেন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
নতুন বলেছেন: @নাঈমুর রহমান আকাশ
হ্যাঁ ভাই, আপনারা একেবারেই অন্ধবিশ্বাসী নন। একজন মানুষ সশরীরে আকাশে উঠে গিয়ে জীবিত আছেন ২০০০ বছর ধরে, তিনি শেষযুগে বিনা প্যারাসুটে আকাশ থেকে অবতরণ করবেন, ল্যান্ডিং স্পটটাও আপনারা জানেন। তাকে নামাবেন একজন জিহাদী নেতা, তিনি আবার বনে বনে শুকর নিধন করবেন, অমুসলীমদের মুসলমান বানাবেন নইলে কল্লা কাটবেন। ভালোই শেষযুগ আপনাদের।
অবশ্যই খুবই যৌক্তিক কথা বলেছেন.... শুধুই অন্ধবিশ্বাসীরাই এই রকমের ধারনা রাখতে পারে...
কিন্তু <<<
আহ্মদীয়া জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহ্মদ (আঃ) দাবী করেছেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ইমাম মাহ্দী ও মসীহ্ মাওউদ হিসেবে প্রেরণ করেছেন।
কিন্তু একজন দাবী করলো যে আল্লাহ তাকে ইমাম মাহদী হিসেবে প্ররন করেছেন সেটা বিশ্বাস করাও তো একই অন্ধবিশ্বাসের কাজ...
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ওদের ধর্মের আগাগোড়া সবটাই মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। একটি মিথ্যাকে সত্য বানাতে হাজারটা বাহানা খুঁজেও পার পায় না। পরের বেলায় যুক্তি দেয়, নিজের বেলায় যুক্তি লাগে না।
অন্যে করলে অন্ধবিশ্বাস, নিজে করলে ধর্মবিশ্বাস।
হায় হায়! বিভ্রান্তির অন্ধকারে নিমজ্জিত দালাল সম্প্রদায়ের অবস্থা দেখুন!
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যে।
১৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
নতুন বলেছেন: @@নাঈমুর রহমান আকাশ
ঘ. হযরত মির্যা সাহেব (আঃ) ঘোষণা করেছেন,
‘কে আছে যে আমার জীবনীতে কোন দোষ-ত্রুটি বের করতে পারে’? (তাযকেরাতুশ শাহাদাতায়ন)
যে ব্যক্তি তার কাজিনের সাথে বিয়ে টিকিয়ে রাখতে পারেনা । যার নিজের সন্তান তার প্রচারিত ধমে বিশ্বাসী না....
যে তার প্রথম পক্ষের সন্তানকে সম্পত্তি থেকে বন্চিত করতে পারে... যে তার সন্তানের জানাজায় উপস্থিত হয় না।
কিভাবে সত্যই আল্লাহ প্রদত্ব ক্ষমতার অধিকারি হতে পারে...
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, ইতিহাস তুলে ধরায়। জাতিকে সচেতন করার জন্য এই দালাল সম্প্রদায়ের মুখোশ উম্মোচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
২০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: @_নতুন
উপরে একটি অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেয়া আছে। আপনি আজই এই অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেতে পারেন।
আমি বুঝতে পারছি আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে অনেক।
আমি নিজে এতো সময় দিতে সক্ষম নই। কিন্তু আপনি যেসব প্রশ্ন করতে চান তার উত্তর আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন। অন্তর দিয়ে জানার চেষ্টা করলে আল্লাহ আপনার সাহায্য করবেন নিম্চিত।
এখানে অহেতুক প্রশ্ন না করে আজকের অনুষ্ঠানে ফোন করে জেনে নিন। নইলে আমাদের মসজিদে আসুন। আলোচনা করা যাবে।
আর যদি আপনি যেসব আপত্তি উথ্থাপন করলেন, একই আপত্তি অমুসলিমরা মহানবী (সা.) কে নিযে করে, ইহুদীরা বিবি মরিয়ম (আ.)-কে (ঈসা আ. এর মাতা) নিয়ে করে। এগুলো প্রেরিত মানুষকে অস্বীকার করার প্রাচীণ অজুহাত। একটু মিলিযে দেখবেন। উত্তর পেয়ে যাবেন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
বিজ্ঞাপন দেয়ার জায়গা নয় এটা।
বিনীতভাবে আহবান করছি, সত্য পথে ফিরে আসুন। 'মোহাম্মদী ইসলাম', 'কাদিয়ানী ইসলাম', 'আহমদিয়া ইসলাম', 'আহমদিয়া মুসলিম' ইত্যাকার বিশেষায়িত 'ইসলাম' কিংবা 'মুসলিম' মানেই ভ্যাজালযুক্ত জিনিষ। 'ইসলাম' এবং 'মুসলিম' এর আগে পরে কিছু নেই, ছিল না এবং থাকবে না।
বুঝুন, জানুন, তারপরে মানুন।
২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭
কসমিক রোহান বলেছেন: কাদীয়ানীরা মুসলিম নয়, ভিন্ন ধর্মের সম্প্রদায় -এটাই চূড়ান্ত বাস্তব।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
রাইট। আমরা এটাই চাই। এই কথার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই। তাহলেই ফিতনার পরিসমাপ্তি ঘটে যায়। তারা ভিন্ন সম্প্রদায়।
ধন্যবাদ। জাজাকুমুল্লাহ।
২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
মানিজার বলেছেন: এইসকল কাদিয়ানী ফাদিয়ানী করে করে শুওরের বাচ্চারা দুনিয়াটাকে আঁধার করে ফেললো ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আসুন, দয়া করে আমরা শালীনতার ভেতরে থেকে কথা বলার চেষ্টা করি।
২৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮
আলোর বার্তা বলেছেন: পোস্টদাতা হযরত নতুন নকিব, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
মির্যা গোলাম আহমদ সাহেবের খানদান(বংশ) সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করায় ধন্যবাদ।
সেইসাথে দুঃখপ্রকাশ করছি আপনার সেইসকল অজ্ঞতার জন্য যেসব আপনি করেছেন "কাদিয়ানিদের আকিদা" অংশে। হয়তো সেগুলো আপনি না জেনে, না বুঝেই করেছেন। আমার অনুরোধ রইলো আপনার নিকট যে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি সাহেবের বইপুস্তক দুচারটা পড়ে দেখবেন। আজকাল হুজুগেই সবাই কথা বলে। কান নিয়েছে চিলে শুনে চিলের বর্ণনা দিতে থাকে, কানের বর্ণনা দিতে থাকে। কিন্তু চিলে অাদৌ কানখানা নিয়েছে সেদিকে কারোর নজর নেই এমনকি নজর দেওয়ার প্রয়োজনবোধও করেনা।
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি সাহেবের বাংলায় অনুদিত বইসমূহ পাবেন এই লিংকে- অাহমদীয়া বাংলা লাইব্রেরি
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ওয়া আলাইকুম।
বাহ! সুন্দর তো! নাম রেখেছেন 'আলোর বার্তা'! তবে, ভাই দু:খিত! বয়ে তো বেড়াচ্ছেন দেখছি 'আধারের বার্তা'!
বেশি লম্বা কথা নয়, অনুরোধ রাখছি। সংক্ষিপ্ত এই কথাটুকু চিন্তা করুন- 'মোহাম্মদী ইসলাম', 'কাদিয়ানী ইসলাম', 'আহমদিয়া ইসলাম', 'আহমদিয়া মুসলিম' ইত্যাকার বিশেষায়িত 'ইসলাম' কিংবা 'মুসলিম' মানেই ভ্যাজালযুক্ত জিনিষ। 'ইসলাম' এবং 'মুসলিম' এর আগে পরে কিছু নেই, ছিল না এবং থাকবে না।
না বুঝে কোন কিছুই এই পোস্টে লেখা হয় নি। আপনাদের বিষয়ে বিনা দলিলেও কোন কিছু সংযুক্ত করা হয় নি। লক্ষ্য করে দেখতে পারেন, প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রামান্য সূত্র লেখায় যুক্ত করা হয়েছে।
আপনাদের অধিকাংশ বই পুস্তক নাড়াচাড়া করে দেখেছি। ভাই, আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে বিনীতভাবে নিজের জ্ঞানের ক্ষুদ্রতা ও দুর্বলতা স্বীকার করে, কোন গর্ব অহংকারের আশ্রয় না নিয়ে বলছি- গোলাম আহমদ কাদিয়ানী প্রনীত বই পুস্তকগুলো কোন সুস্থ মাথার স্বাভাবিক মানুষের জন্য নয়। তিনি নিজে ছিলেন, অসুস্থ মস্তিষ্কের আজীবন বৃটিশ দালাল। তার লেখাগুলোও আগাগোড়া ফালতু কথনে পরিপূর্ন। পাঠ অযোগ্য। রুচিহীন। নিকৃষ্ট মানের। স্বপ্ন টপ্ন আবোল তাবোল কথা। পাগলের প্রলাপ ছাড়া এগুলোকে আর কিছু মনে করার কোন কারন দেখি না। আল্লাহ মাফ করুন।
সর্বোপরি, আপনার কথা বার্তায় শালীনতার ছাপ পরিলক্ষিত হল। ভাল। আল্লাহ পাক আপনাকে, আমাকে সর্বোপরি আমাদের সকলকে সঠিক দ্বীন বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দিন।
২৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইদানীং আমার মনে বার বার একটি স্বপ্ন ভেসে আসে। সেই স্বপ্নটা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, গত তিন দিন আগের রাত্রে ঘুমিয়ে ছিলাম। গভীর ঘুম। গুমের মধ্যে একজন ব্যক্তিকে স্বপ্ন দেখলাম, ব্যক্তিটিকে খুবই বিষন্ন দেখাচ্ছিল। তিনি একটি ডাষ্টবিনের পাশে বসে আছে, চারদিকে মাছি ভনভভন করে উড়ছে। কিছু চুঁছো চিকাকে দেখলাম ময়লার ফাঁক দিয়ে দৌড়াতে। লোকটিকে দেখে মনে হলো সভ্যতা বিচ্ছিন্ন কোন জংলা মানব দীর্ঘদিন অনাহারে থেকে রোগে, শোকে ভুগে এই মাত্র শহরে পা রেখেছে। কিছু কিছুক্ষণ পর পর ময়লা আকাশে উড়িয়ে জোড়ে নিশ্বাস নিচ্ছে। জট বাধা দাঁড়ি এবং চুলেতে কিছু ময়লা স্পষ্ট লেগে আছে। তার আশেপাশে কতগুলো কাউয়া আর কুকুর ঘুরঘুর করছে , যেন তারা এই ধরণের মানুষ এই শহরে প্রথম দেখেছে।
আমি কিছুটা অবাক ও কৌতূহল হয়ে তাকে প্রশ্ন করলাম:
কে?
-আমি গোলাম
-কোন গোলাম?
-বৃটিশদের গোলাম, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী।
আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। কাদিয়ানী এখানে কেন? কিছুক্ষণ পরে বিস্ময়ে জিঙ্গেস করলাম,
- তুমি? তুমিই কাদিয়ানী?
-হ্যা।
এখনে এলে কেমন করে?
- সবই আমার কৃতকর্মের ফল।
-মানে?
-মানে আর কি; আমি আযাজীল, আদি শয়তান বা শয়তান জাতির পিতা। যুগে যুগে আমি অনেক ধর্মদ্রোহী পথভ্রষ্টা সৃষ্টি করিছি। তার মধ্যে আমার একজন খাঁস শিষ্য হলো গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। তয় পোলাটার একটা গুন আমারর খুব ভালো লাগত, সেটা হলো এদেশের শান্তিকামী এবং মুক্তিকামী মানুষদের ধমিয়ে রাখতে বৃটিশদের হাতের পুতুল হয়েছিল। মানে রাজাকার। সবাই তাকে পথভ্রষ্টা জানলেও আমি তাকে রাজাকার হিসেবে জানি। তার উপর খুশি হয়ে আমি তাকে 'শয়তানিয়াত' প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছি। তার শয়তানিতে অনেক লোক ইসলামী আকিদা ছেড়ে আমার দলে যোগ দিয়েছে। তাই তার প্রতি আলাদা মহব্বত করে এই বেশ ধরেছি। নাজি পোলাটা নরকে কতই না কষ্টে আছে। দেখার খুব সাধ জাগছে। তাই কল্পনায় তার বেশ ধরে এখন মতিঝিলের বাবে দেওয়ানবাগে যাইতেছি। পথে ডাস্টবিনে সু-ঘ্রান পেয়ে এখানে একটু থামলাম। যাক এখন কথা বলার সময় নেই, বাগী সাব আমার আশায় রইছেন, নতুন ফরমান পাওয়ার আশায়।
এই কথা বলে, আযাজিল পরিচয়দানকারী ব্যক্তি হন হন করে হেঁটে যাচ্ছে। আমি তার কথা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়লাম। তারপর মসজিদ থেকে ফজরের আযানে আমার ঘুম ভাঙ্গল।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
সত্যের ছায়া,
আপনি পারেনও।
এই কথা বলে, আযাজিল পরিচয়দানকারী ব্যক্তি হন হন করে হেঁটে যাচ্ছে। আমি তার কথা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়লাম। তারপর মসজিদ থেকে ফজরের আযানে আমার ঘুম ভাঙ্গল।
-আপনার লেখা পড়ে মাঝে মাঝেই চিন্তায় পরে যাই। মন্তব্যগুলো অধিকাংশ ধারালো হয়ে থাকে।
সুন্দর গল্প ফেঁদেছেন। তুলোধূনো যাকে বলে।
ধন্যবাদ।
২৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
কলাবাগান১ বলেছেন: "এই সব কাদিয়ানী, শিয়া, সুন্নীর বিভাজন নিয়ে মানবজাতির উন্নতি হবে না।"
মনে করেছিলাম যারা কবিতা লিখে তাদের মনটা অনেক উদার হয় কিন্তূ এক নম্বরে যে কমেন্ট টা দেখলাম তাতে দেখলাম যে উনার মনের অন্ধকার কবিতার আলোর থেকে বেশী বড় হয়েই দেখা দিচ্ছে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
তাদের বিশ্বাস আকিদা যেহেতু মুসলিমদের থেকে সম্পূর্ন আলাদা। তো, কাদিয়ানীরা নিজেদের 'মুসলিম' বলা থেকে বিরত থাকলেই ল্যাটা চুকে যায়। এই সিম্পল ফ্যাক্টটায় অন্তত: একমত হোন না!
না কি এতেও আপনার উদারতা হারিয়ে যাবে?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
কবি হতে হলে কি ধর্ম কর্ম বিসর্জন দিতেই হয়?
২৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
কাউয়ার জাত বলেছেন: ধর্মীয় পোস্ট দেখলে যার গা-জ্বলে সে অনেক উদার!
আসেন সবাই আমরা তার হাতে হাত রেখে উদারতার সবক নিই।
তবে সাবধান! এই উদারতা কিন্তু আওয়ামীলীগের বিরোধিতার ক্ষেত্রে কোনক্রমেই সহ্য করা হবে না।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ক্ষমা করবেন, ওনাকে এটা বলার কারন ছিল, তিনি তার প্রথম মন্তব্যে ধৈর্য্য এবং সহনশীলতার কথা বলেছিলেন। ইসলামের প্রকৃত উন্নতি ও কল্যানের পথে অন্তরায় হিসেবে এগুলোর অভাবকে দায়ী করেছেন। তার দৃষ্টিতে, তিনি হয়তো ছোটখাট বিচ্যুতি ভুলে মুসলিম বৃহত্তর কল্যানকে প্রাধান্য দিতে চেয়েছেন।
কাদিয়ানী ফিতনাকে তিনি হয়তো অতটা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন নি! শিয়া সুন্নী সমস্যার মত এটিকেও হয়তো সাধারন কোন সমস্যা হিসেবে ট্রিট করেছেন এবং সেই আলোকেই মন্তব্য করেছেন! আমি তার মনের ভাব বুঝতে পেরেছি। তিনি ধর্মপ্রান ব্যক্তি।
আসলে অধিকাংশ মুসলিম দেশে কাদিয়ানীরা যে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অমুসলিম ঘোষিত, তারা যে সবচে' ভয়ঙ্কর ঈমান চোর এই মহাসত্য আমাদের ভেতরে অনেকেরই সঠিকভাবে, অবিকল জানা নেই। এই পোস্ট যদি একজনকেও সচেতন করে তুলতে পারে, তাহলেই শ্রম স্বার্থক মনে করব। আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন।
২৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালোবাসা। আল্লাহতায়ালা অবশ্যই ইসলামের রক্ষক। তাই বলিয়া ইসলামের অপব্যাখ্যা , অবমাননা দেখিয়া উহা আল্লাহর উপর ছাড়িয়া দেওয়ার সুযোগ নাই, ইসলাম উহা বলে নাই , আপনার জানা ভুল আছে। রিজিকের মালিক আল্লাহ বলিয়া কেহ চাকুরী, ব্যাবসা করা বাদ দেয় না , আল্লাহতায়ালা উহা বলেনও নাই। আল্লাহর রাসূল স. এর হাদিসে আছে , তোমাদের সামনে যদি কোনো অন্যায় হয় , তাহা হইলে হাত দ্বারা বাধা দেওয়ার শক্তি থাকিলে বাধা দিবে, যদি হাত দ্বারা বাধা দেওয়ার শক্তি না থাকে তাহা হইলে মুখ দ্বারা বাধা দিবে, যদি তাও না থাকে তাহা হইলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করিবে। ইহার নিচে আর কোনো স্তর নাই (মোটামুটি অর্থ )।
ইসলামের অপব্যাখ্যা , অবমাননার চেয়ে বড় অন্যায় আর কি আছে ? আমার হাত দ্বারা বাধা দেওয়ার শক্তি নাই , ব্লগার হিসেবে মুখে প্রতিবাদ করার যে শক্তি আছে তাহাই প্রয়োগ করিয়াছি।
আমার প্রতিবাদমূলক মন্তব্য যদি ব্যাক্তি অবমাননা হয় , , ব্যাক্তিগত আক্রমন হিসেবে গণ্য হয়, একজনমাত্র ব্যাক্তির মনে আঘাত দেওয়ার কারণে মন্তব্য মুছিয়া ফেলার উপযোগী হয়, তাহা হইলে ইসলামের অপব্যাখ্যামূলক পোস্ট কি অবমাননাকর নয় ? শত শত ব্লগার , পাঠকের মনে কি আঘাত দিতেছে না ? তাহা কি মুছিয়া ফেলার উপযোগী হয় নাই ? তাহা হইলে এই পোস্ট সামুতে ঝোলে কিভাবে ?
এতগুলো মানুষের প্রতিবাদের মূল্য নাই , মূল্য আছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে বিচি প্রদর্শনের অধিকারের ?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আল্লাহতায়ালা অবশ্যই ইসলামের রক্ষক। তাই বলিয়া ইসলামের অপব্যাখ্যা , অবমাননা দেখিয়া উহা আল্লাহর উপর ছাড়িয়া দেওয়ার সুযোগ নাই, ইসলাম উহা বলে নাই , আপনার জানা ভুল আছে। রিজিকের মালিক আল্লাহ বলিয়া কেহ চাকুরী, ব্যাবসা করা বাদ দেয় না , আল্লাহতায়ালা উহা বলেনও নাই। আল্লাহর রাসূল স. এর হাদিসে আছে , তোমাদের সামনে যদি কোনো অন্যায় হয় , তাহা হইলে হাত দ্বারা বাধা দেওয়ার শক্তি থাকিলে বাধা দিবে, যদি হাত দ্বারা বাধা দেওয়ার শক্তি না থাকে তাহা হইলে মুখ দ্বারা বাধা দিবে, যদি তাও না থাকে তাহা হইলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করিবে। ইহার নিচে আর কোনো স্তর নাই (মোটামুটি অর্থ )।
ইসলামের অপব্যাখ্যা , অবমাননার চেয়ে বড় অন্যায় আর কি আছে ? আমার হাত দ্বারা বাধা দেওয়ার শক্তি নাই , ব্লগার হিসেবে মুখে প্রতিবাদ করার যে শক্তি আছে তাহাই প্রয়োগ করিয়াছি।
আমার প্রতিবাদমূলক মন্তব্য যদি ব্যাক্তি অবমাননা হয় , , ব্যাক্তিগত আক্রমন হিসেবে গণ্য হয়, একজনমাত্র ব্যাক্তির মনে আঘাত দেওয়ার কারণে মন্তব্য মুছিয়া ফেলার উপযোগী হয়, তাহা হইলে ইসলামের অপব্যাখ্যামূলক পোস্ট কি অবমাননাকর নয় ? শত শত ব্লগার , পাঠকের মনে কি আঘাত দিতেছে না ? তাহা কি মুছিয়া ফেলার উপযোগী হয় নাই ? তাহা হইলে এই পোস্ট সামুতে ঝোলে কিভাবে ?
-আপনার শক্তিমান মন্তব্যগুলো বারবার পড়ি। অসাধারন হয় অধিকাংশ মন্তব্য আপনার। এটাও সুন্দর। ভাল থাকুন।
২৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:
যাদের সত্য জানার ইচ্ছে আছে, এই নাম্বারে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে যোগাযোগ করুন এবং প্রশ্ন করুন।
১৭৯৯৯০০০২৫
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
বিজ্ঞাপন দেয়ার জায়গা নয় এটা।
বিনীতভাবে আহবান করছি, সত্য পথে ফিরে আসুন। 'মোহাম্মদী ইসলাম', 'কাদিয়ানী ইসলাম', 'আহমদিয়া ইসলাম', 'আহমদিয়া মুসলিম' ইত্যাকার বিশেষায়িত 'ইসলাম' কিংবা 'মুসলিম' মানেই ভ্যাজালযুক্ত জিনিষ। 'ইসলাম' এবং 'মুসলিম' এর আগে পরে কিছু নেই, ছিল না এবং থাকবে না।
বুঝুন, জানুন, তারপরে মানুন।
২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:
যাদের সত্য জানার ইচ্ছে আছে, এই নাম্বারে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে যোগাযোগ করুন এবং প্রশ্ন করুন।
০১৭৯৯৯০০০২৫
০১৭৯৯৯০০০২৫
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
বিজ্ঞাপন দেয়ার জায়গা নয় এটা।
বিনীতভাবে আহবান করছি, সত্য পথে ফিরে আসুন। 'মোহাম্মদী ইসলাম', 'কাদিয়ানী ইসলাম', 'আহমদিয়া ইসলাম', 'আহমদিয়া মুসলিম' ইত্যাকার বিশেষায়িত 'ইসলাম' কিংবা 'মুসলিম' মানেই ভ্যাজালযুক্ত জিনিষ। 'ইসলাম' এবং 'মুসলিম' এর আগে পরে কিছু নেই, ছিল না এবং থাকবে না।
বুঝুন, জানুন, তারপরে মানুন।
৩০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২
আবু তালেব শেখ বলেছেন: যে তথ্য গুলো দিলেন তাতে কাদিয়ানি সম্পুর্ন ভন্ড দলের সর্দার। একজন মুমিন কখনো এই আকিদায় বিশ্বাস করবে না।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। সকলের কাছে এই চক্রের মুখোশ খুলে দেয়া প্রয়োজন কি না বলুন!
৩১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কাদিয়ানীদের ব্যপারে জানতাম কিন্তু এতো বিস্তারিত জানতাম না। এরা ভন্ডদল, আর কত যে দল আছে, তাও চেনা মুশকিল.....। আমাদের ধর্মে 73টি দলের আবির্ভাব হবে; । তার মধ্যে একটি দল জান্নাতি হবে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
কবি ভাই,
পরবর্তী পর্ব দেখলে আরও মজা পাবেন মনে হচ্ছে। প্রকাশ পেয়েছে। লিঙ্ক-
কাদিয়ানী আহমদীদের ধোঁকা থেকে বাঁচতে হলে তাদের অসারতা অনুধাবন অপরিহার্য্য পর্ব-০২
৩২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
নতুন বলেছেন: আমি নিজে এতো সময় দিতে সক্ষম নই। কিন্তু আপনি যেসব প্রশ্ন করতে চান তার উত্তর আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন। অন্তর দিয়ে জানার চেষ্টা করলে আল্লাহ আপনার সাহায্য করবেন নিম্চিত।
এখানে অহেতুক প্রশ্ন না করে আজকের অনুষ্ঠানে ফোন করে জেনে নিন। নইলে আমাদের মসজিদে আসুন। আলোচনা করা যাবে।
ভাই ব্লগ অহেতুক প্রশ্ন করার স্হান না... এখানেই ইন্টারেক্টিভ আলোচনার জায়গা... আর এখানে আপনার মসজিদের চেয়ে ভালো আলোচনার স্হান...
কেউ আপনার মসজিদে গিয়ে আলোচনা করলে তিনি অবশ্যই সব তথ্য সাথে নিয়ে যাবেনা।
কিন্তু এখানে আলোচনায় সবাই অংশগ্রহন করলে আলোচনা ৩৬০ ডিগ্রী হবে...
আরেকটা জিনিস যদি আ্ল্লাহ মীজা` সাহেবের সাথে কথা বলতে পারে... তবে তিনি কেন যীষুকে আসমানে নিতে পারে না?
দুইটাই তো একই রকমের বিষয়.... একটা আজগুবি জিনিস যদি মেনে নেন... তবে আরেকটা মেনেনিতে সমস্যা কোথায়?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
এদের সাথে পারবেন বলে মনে হয় না। মিথ্যের উপর দাঁড়িয়ে এরা। যুক্তি মুক্তির ধার না ধরাদের সাথে কথা বলবেন কেমনে? আপনি বলবেন একটা, সে বলবে অন্যটা। এভাবে হয় না। তাদের সাথে তর্কও নয়, যুক্তিও নয়। তাদের প্রতি অনুরোধ, তারা নিজেদের পরিচয়ে 'মুসলিম' শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত হোক।
ধন্যবাদ।
৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি ক্ষমতায় থাকলে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতাম। তাদের মসজিদকে উপাসনালয় লিখতে বলতাম। তারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মতই তাদের ধর্ম পালন করুক সমস্যা নেই। পাক্কা মুসলমান বলে দাবীদার শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া এটার সাহস করে না। খালেদা জিয়া একবার কাদিয়ানীদের বই নিষিদ্ধ করেছিলেন, তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কে মুসলিম, কে অমুসলিম সেটা আল্লাহ বিচার করবে। এলা বুঝেন...
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
তারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মতই তাদের ধর্ম পালন করুক সমস্যা নেই।
ঠিক, এই কথাটিই বলতে চাইছি।
ধন্যবাদ অশেষ।
৩৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কাদিয়ানিরা অমুসলিম এ ব্যাপারে মুসলিমজাহানের কোন দ্বিমত নেই। তারা নিজেদের ইচ্ছেমত নিজ ধর্মের সবকিছু পালন করুক কোন আপত্তি নেই। শুধু নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি না করুক, সব ল্যাঠা চুকে যাবে। মুসলমান বলে দাবি না করলে কারও কোন মাথাব্যথা থাকবে না।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
কাদিয়ানিরা অমুসলিম এ ব্যাপারে মুসলিমজাহানের কোন দ্বিমত নেই। তারা নিজেদের ইচ্ছেমত নিজ ধর্মের সবকিছু পালন করুক কোন আপত্তি নেই। শুধু নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি না করুক, সব ল্যাঠা চুকে যাবে। মুসলমান বলে দাবি না করলে কারও কোন মাথাব্যথা থাকবে না।
-মূল পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। এই একটি চাওয়াই আমাদের। আমাদের ধর্মীয় স্বকীয়তায় তাদের অযাচিত উৎপাত বন্ধ হোক। তারা তাদের ধর্ম পালন করুন। কিন্তু আলাদা নামে। যেহেতু তাদের বোধ-বিশ্বাসের অনেক কিছুই আলাদা। মুসলিম বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক।
ধন্যবাদ।
৩৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০০
আমানউল্লাহ রাইহান বলেছেন: কাদিয়ানিরা কাফির হওয়ার জন্য এএতো দলিদলিল লাগে না। একটাই যথেষ্ট যে, তারা কুরআনে বর্ণিত ঈসা আ, এর আআসমানে উঠিয়ে নেওয়ার আয়াতকে অস্বীকার করে। ব্যাস। এক আয়াত অস্বীকার করলেই কাফির। আর যারা ইসলামের মূলে কুঠারাঘাতকারীদের মুখোশ উন্মোচন করলে উদারতার বয়ান ঝারেন তারা মূলতঃ ভিন্ন ভাষায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ওদের পক্ষে কথা বলেন। আর আল্লাহ দ্বীনের হেফাজত আসমান থেকে নেমে এসে করেন না। বরং পৃথিবীতে তার খলিফাগণই এই দায়িত্ব পালন করেন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
দলিল যে লাগে না, তা আপনি হয়তো জানেন। কিন্তু অনেকেরই তাদের আসল চেহারা দেখেন নি। তাদের ভেতরের কদর্য্যতা যে কত ভয়াবহ, ধর্মের নামে ইসলামী বোধ-বিশ্বাসের গলায় ছুরি চালিয়ে, মুসলমানদের ঈমান আকিদা ধ্বংস করার যে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত, তার ছিটেফোটা প্রকাশ করে সাধারন মানুষদের সচেতন করে তোলাই এই পোস্টের লক্ষ্য।
এতে কারও কষ্ট লাগলে আমরা দু:খিত! ভয়াবহ ফিতনা কবলিত জাতির ঈমান-আমলের সুরক্ষায় আমাদের নিরবতার সুযোগ নেই।
ধন্যবাদ।
৩৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৩
প্রবাসী দেশী বলেছেন: কাউয়ার জাত : যদিও অপ্রয়োজনে এদের আলোচনাকে সামনে নিয়ে আসা অনুচিত যখন মানুষই এদেরকে পাত্তা দিচ্ছে না। আর অহেতুক এদের সাথে কুতর্কে জড়ানোটাও আমি ভুল মনে করি। তবে মানুষকে সতর্ক করতে যুক্তিভিত্তিক ও তথ্যবহুল কিছু লেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি।
-:সহমত ::
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। বহু দিনের পর্যবেক্ষন শেষে একান্ত নিরুপায় হয়েই এই পোস্টের আশ্রয় নেয়া। নিতান্ত না ঠেকলে এই আলোচনায় যেতাম না।
সহমতে কৃতজ্ঞতা।
৩৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩২
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: প্রথমত, যারা ঈসা (আ) কে আকাশে নেবার ব্যপারে কোরআনের আয়াতের উল্লেখ করছেন, তাদের জন্য বলি। যদি আপনারা উল্লিখিত আয়াতে 'আকাশ' বা 'সশরীরে' জাতীয় শব্দের আরবী সমার্থ দেখাতে পারেন তবে বুঝবো আপনারা সত্যবাদী। আপনারা 'আসমান' শব্দটিও দেখান পারলে। ঈসা (আ)-কে আল্লাহর দিকে ওঠানো হয়েছিলো বলতে যদি আপনারা বলেন আল্লাহ আকাশে, তবে বুঝতে হবে আপনারা বিশ্বাস করেন আল্লাহ আকৃতিবিশিষ্ট এবং তিনি মাটিতে নেই।
@নতুন,
আপনি যদি মনে করেন এখানে আমি সব প্রমাণ পেশ করলে লাভ হবে তো আমার আর কিছু বলার নেই। ৩৬০ ডিগ্রি আলোচনা বলতে কি বোঝেন? এখানে তো সেইসব হেফাজতি শাপলা চত্বরি হুজুরদেরও সাগরেদরা আছেন যাদের প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান শূন্যের কোঠায়। এবং নোংরা মিথ্যাবাদীদের নেতা তো স্বয়ং পোস্টের লেখক। এটা ৩৬০ ডিগ্রিতে থেমে নেই, চতুৃর্থ মাত্রার আলোচনা যেটাতে যুক্তিবাদীদের চেয়ে ধর্মান্ধ পাগলরাই বেশী আস্ফালন করছে। আমি এখানে সুস্থ আলোচনা করবো কীভাবে?
এখানে দেখছি একগাদা খোদার ওপরে খোদকারি করা হুজুর আছেন, যারা মুসলমান হওয়ার সার্টিফিকেট পেটেন্ট করতে চান।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
খোদার ওপর খোদকারির ওস্তাদ কি আপনাদের পরলোকগত সেই নেতাজি নন? নবুয়তি পাওয়ার মিথ্যে গল্প ফেঁদে কে মানুষদের ধোঁকা দিয়েছিল? আল্লাহ পাক কাদিয়ানের কাউকে নবুয়ত দেন নি, তারপরেও মহান আল্লাহর প্রতি মিথ্যে আরোপ করে 'খোদার ওপর খোদকারি' কে করেছিল?
বিনীতভাবে আহবান করছি, সত্য পথে ফিরে আসুন। 'মোহাম্মদী ইসলাম', 'কাদিয়ানী ইসলাম', 'আহমদিয়া ইসলাম', 'আহমদিয়া মুসলিম' ইত্যাকার বিশেষায়িত 'ইসলাম' কিংবা 'মুসলিম' মানেই ভ্যাজালযুক্ত জিনিষ। 'ইসলাম' এবং 'মুসলিম' এর আগে পরে কিছু নেই, ছিল না এবং থাকবে না।
দয়া করে বুঝুন, জানুন এবং তারপরে মানুন।
৩৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: নকিব ভাই, সবার উত্তর দিতে দিতে মনে হয় ক্লান্ত হয়ে যাবেন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেকটা তাই। তারপরেও এখানে যারা পক্ষে-বিপক্ষে কমেন্ট করেছেন, সকলেই আমার নিকট সম্মানিত এবং প্রত্যেকের মন্তব্যের জবাব দেয়া অবশ্যই দায়িত্ব মনে করি।
ভাল থাকুন, প্রিয় ট্যালেন্ট।
৩৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: মির্যা কাদিয়ানির ‘স্বপ্নদোষ’ হওয়াতে ভক্তবৃন্দের মাঝে তুলকালাম!!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
মনে করেছিলাম, মজা করছেন! আসলে লিঙ্কে গিয়ে তো দেখি আশ্চর্য ব্যাপার! মিথ্যের মুখোশ উম্মোচনে সুন্দর আলোচনা!
ধন্যবাদ।
৪০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
নতুন বলেছেন: নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: প্রথমত, যারা ঈসা (আ) কে আকাশে নেবার ব্যপারে কোরআনের আয়াতের উল্লেখ করছেন, তাদের জন্য বলি। যদি আপনারা উল্লিখিত আয়াতে 'আকাশ' বা 'সশরীরে' জাতীয় শব্দের আরবী সমার্থ দেখাতে পারেন তবে বুঝবো আপনারা সত্যবাদী।
আকাশ ভাই... লাভ হবে কিনা জানি না। কিন্তু আলোচনা করলে তাতে অনেক নতুন কিছুই বেরিয়ে আশে।
আর যদি আকাশ শব্দটা কোরানে নেই বলে ঈসা আ: এর আকাশে উঠিয়ে নেওয়াতে আপনার আপত্তি থাকে...
তবে একজন বললেই কিভাবে বিশ্বাস করেন যে তিনি আল্লাহের সাথে কথা বলেছেন?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
তাদের যুক্তি আটলান্টিকের পানির মত বহমান। হ-য-ব-র-ল।
ধন্যবাদ।
৪১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
সবগুলো মন্তব্যের উত্তর ইনশাআল্লাহ দিব। অন্য দিকের ব্যস্ততা থাকায় পর্যায়ক্রমে দিতে হবে। পরের পর্বটি হাতে থাকায় সেটি পোস্ট করে দিলাম।
মন্তব্যে অংশগ্রহনকারী প্রত্যেককে মোবারকবাদ। সকলের জন্য শুভকামনা।
৪২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: হে যাহারা ইমান আনিয়াছ ! যখন তোমাদিগকে জুমুআর দিনে নামাযের জন্য আহ্বান করা হয় তখন আল্লাহ্র স্মরণের জন্য দ্রুত আস এবং ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর। ইহা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।
(আল্ জুমুআ: ১০)
জুমুআর খুতবার সারমর্ম
নিখিল বিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ২৪শে নভেম্বর, ২০১৭ইং রোজ শুক্রবার লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদ থেকে “হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর সত্যতা”- সম্পর্কে জুমুআর খুতবা প্রদান করেন।
তাশাহুদ, তাঊয, তাসমিয়া এবং সূরা ফাতিহা পাঠের পর,
হুযূর আনোয়ার (আই.) বলেন, গত খুতবায় আমি হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর বরাতে বলেছিলাম, মানুষ যদি বিদ্বেষ এবং সবরকম একগুঁয়েমি থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ্ তা’লার কাছে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর সত্যতা সম্পর্কে জানার জন্য দোয়া করে, তবে ৪০ দিন পার হওয়ার পূর্বেই আল্লাহ্ তা’লা তাকে পথপ্রদর্শন করবেন। কিন্তু এজন্য হৃদয় পরিষ্কার হওয়া ও সর্বপ্রকার বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হওয়া আবশ্যক। নতুবা যারা হৃদয়ে ঘৃণা বা ক্রোধ রাখে কিংবা যাদের হৃদয় পরিষ্কার নয়, তাদের সম্পর্কে তিনি (আ.) বলেছেন যে, তারা তো একথাই বলবে আল্লাহ্ তাদেরকে স্বপ্নে পথপ্রদর্শন করেন নি বা তাঁর বিরুদ্ধে বলেছেন। যারা স্বচ্ছ্ব হৃদয়ে দোয়া করেছে তারা অবশ্যই পথনির্দেশনা পেয়েছে। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর যুগেও এমনটি ঘটেছে। একবার তাঁর (আ.)-এর এক বৈঠকে লাহোর থেকে আসা একটি চিঠির উল্লেখ করা হয় যার লেখক এটি বলেন, তিনি স্বপ্নে জানতে পারেন, মির্যা সাহেব সত্য। এই ব্যক্তি এক ফকিরের মুরীদ ছিলেন; যখন ফকিরের কাছে এটি বলেন তখন সেই ফকিরও বলেন, মির্যা সাহেবের এত দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমাগত উন্নতি করতে থাকা খোদা তা’লার সমর্থনের লক্ষ্মণ। সেখানে থাকা আরেক ফকির বলেন, দাঁড়াও, আমিও আল্লাহ্র কাছে জিজ্ঞেস করব। পরদিন সেই ফকির বলেন, আল্লাহ্ বলেছেন-মির্যা হলেন মওলা। মসীহ্ মওউদ (আ.) এটি উল্লেখ করে বলেন, অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে- আল্লাহ্ চাইছেন যেন মানুষ স্বপ্ন ইত্যাদির মাধ্যমেও হেদায়েত লাভ করে। আল্লাহ্র ফেরেশতারা সর্বত্র আকাশে পঙ্গপালের মত ছেয়ে আছেন এবং মানুষের হৃদয়ে এই কথা সঞ্চার করছেন- ‘মেনে নাও, মেনে নাও’। তিনি (আ.) আরেক ব্যক্তির উল্লেখ করেন যে, তাঁর (আ.) বিরুদ্ধে জবাবমূলক বই লিখতে মনস্থ করেছিল, কিন্তু স্বপ্নে দেখে যে মহানবী (সা.) এসে তাকে বলছেন, ‘তুমি তো তার বিরুদ্ধে লিখতে চাচ্ছ, কিন্তু মির্যা সাহেব সত্যবাদী।’ হুযুর (আই.) বলেন, আল্লাহ্ এভাবে ভাল লোকদের পথপ্রদর্শন করেন। সেই ব্যক্তি বিরুদ্ধবাদী ছিল, কিন্তু তার কোন পুণ্য হয়তো আল্লাহ্র পছন্দ হয়েছিল, তাই তাকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য স্বপ্নে নির্দেশনা দান করেন।
হুযুর (আই.) বলেন, এই ধারা যা মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর যুগে শুরু হয়েছিল তা আজও চলমান রয়েছে। পুণ্য স্বভাবের ব্যক্তিরা ইমাম মাহদীর আগমন সম্পর্কে জানেনও না, কিন্তু আল্লাহ্ স্বপ্নে নির্দেশনা দান করেন যে ইমাম মাহদী এসে গেছেন। আবার কেউ কেউ তাঁর (আ.) দাবী সম্পর্কে জানার পর যখন আল্লাহ্র কাছে পথনির্দেশনা যাচনা করেন তখন তাদেরকে আল্লাহ্ পথপ্রদর্শন করেন। এরকম একটি ঘটনা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি থেকে সেখানকার মোবাল্লেগ সাহেব লিখে পাঠিয়েছেন। মোস্তফা দিয়ালু নামের এক ভদ্রলোক একদিন স্বপ্নে দেখেন যে, তিনি জান্নাতে খুব সুন্দর একটি ঘরে বসে আছেন, ঘরের একদিকে খুব সুন্দর পাগড়ি পরা শ্বেত-শুভ্র এক বুযুর্গের ছবি ছিল। কয়েকদিন পর তিনি তার এক বন্ধুর ঘরে গিয়ে সেই ব্যক্তির ছবি দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারেন- ইনি ইমাম মাহদী। পরে তিনি বন্ধুর সাথে গিয়ে জামাতের সাধারণ সভায় অংশ নেন ও সভার পরে তার আহমদীয়াত গ্রহণের ঘোষণা দেন, তবে সেদিন বয়আত না করে পরদিন নিজের সব ভাই-বোনদের সাথে নিয়ে একসাথে বয়আত করবেন বলে জানান। সেদিন বাড়িতে গিয়ে সেহরির সময় সব ভাই-বোনদের এ বিষয়ে বললে তারা ভাল-মন্দ বলতে শুরু করে এবং তাকে বয়আত করা থেকে নিরস্ত করতে চায়। দিয়ালু সাহেব নিশ্চিত করেন যে তিনি অবশ্যই বয়আত করবেন। ফজর পড়ে শোবার পর তিনি স্বপ্নে দেখেন, মসীহ্ মওউদ (আ.) এসে তাকে সূরা হিজরের ৩০/৩৫ আয়াত পড়তে বলছেন। ঘুম থেকে উঠে তিনি মিশন হাউজে গিয়ে সবকিছু বললে পরে মোবাল্লেগ সাহেব তাকে সেই আয়াতগুলো খুলে দেখান যে, সেখানে ফেরেশতাদের আদম (আ.)-কে মানার ও ইবলিসের না মানার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। অর্থাৎ দিয়ালু সাহেবের বয়আত করা ফেরেশতাদের অনুরূপ কাজ হয়েছে।
ইয়েমেনের এক ভদ্রমহিলা জামিলা সাহেবা নিজের ঘটনা লিখেন, তিনি যখন সৌদি আরবে ছিলেন তখন কাদেরিয়া তরিকার সূফী মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। তাদের কার্যবিধি অনুসারে একশ’ বার করে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি ও সূরা ইখলাস এবং এক হাজার বার করে দরূদ ও ইস্তেগফার পড়ার পর একদিন রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন, আকাশ থেকে চাঁদের মত বড় এক তারা মাটিতে নেমে চলাফেরা করছে ও এরপর তার বাড়িতেও এসেছে। কয়েকদিন পর আরেকটি স্বপ্নে দেখেন, আগের তারার চেয়ে কিছুটা ছোট পাঁচটি তারা মাটিতে নেমে এসে এক সারিতে চলছে। অর্থাৎ প্রথম তারা মসীহ্ মওউদ (আ.) ও পরের তারাগুলো তাঁর (আ.) খলীফাগণ। পরবর্তীতে তিনি এমটিএর সন্ধান পান, এতে ইস্তেখারার নির্দেশনা শুনে সেই অনুযায়ী ইস্তেখারা করেন ও প্রথম রাতেই স্বপ্নে নির্দেশনা পেয়ে যান এবং বয়আত করেন। হুযুর (আই.) ইয়েমেনের সাম্প্রতিক করুণাবস্থার উল্লেখ করেন যে সৌদি আরব তাদেরকে সমুদ্র ও আকাশপথে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে, যার ফলে তারা বহির্বিশ্ব থেকে কোনরকম সাহায্য পাচ্ছে না। হুযুর (আই.) দোয়ার আবেদন করেন যেন আল্লাহ্ তাদের উপর করুণা করেন, তাদের এই কষ্টকর অবস্থা দূর হয় ও তারা স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে।
মিসরের এক বন্ধু মাহমুদ সাহেব লিখেন যে তিনি নয় বছর বয়স থেকে স্বপ্নে কোন একটি আওয়াজ শুনতে পেতেন যার অর্থ তিনি বুঝতেন না। ২০১০-এ এসে যখন তিনি এমটিএ-তে আলহিওয়ারুল মুবাশির অনুষ্ঠান দেখেন তার পরে তিনি বুঝতে পারেন যে এতদিন স্বপ্নে তিনি এই আওয়াজই শুনতে পেতেন। মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর লেখনী ও কবিতাসমূহ তার হৃদয় ছুঁয়ে যেত। একদিন তিনি এমটিএ দেখার সময় মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর ছবির দিকে তাকিয়ে আল্লাহ্র কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আপনি নিজেই বলুন আপনার দাবী সত্য না মিথ্যা। এরপর তিনি কাজে চলে যান। সন্ধ্যায় ফিরে যখনই তিনি টিভি ছাড়েন তখন মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর একটি উদ্ধৃতি পড়া হচ্ছিল যাতে তিনি আরবীতে কসম খেয়ে দাবী করেছেন যে, তিনি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আগত। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন যে আল্লাহ্ এভাবে তাকে জবাব পাইয়ে দিয়েছেন, অতঃপর তিনি বয়আত করেন।
হুযুর (আই.) এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করেন। এসব ঘটনার কোন কোনটি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ যেমন মালি, আইভরি কোস্ট ইত্যাদি দেশের, কোনটি সিরিয়া, জর্ডান, মিসর ইত্যাদি আরব দেশের, কোনটি বা ফ্রান্স, কানাডাসহ ইউরোপ ও আমেরিকার পশ্চিমা দেশের। মোটকথা বিশ্বের এমন কোন প্রান্ত বাকি নেই যেখানে পুণ্য প্রকৃতির লোকেরা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সরাসরি পথনির্দেশনা লাভ করছে না। এটি যেমন একদিকে মসীহ্ মওউদ ও ইমাম মাহদী হিসেবে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর সত্যতার তাজা নিদর্শন, অন্যদিকে এরকম অজস্র ঘটনা সংঘটিত হওয়া নির্দেশ করছে যে এটিই প্রকৃতপক্ষে প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও ইমাম মাহদীর যুগ। হুযুর (আই.) বলেন, আমি গুটিকয়েক মাত্র ঘটনা উল্লেখ করলাম, এরকম অজস্র ঘটনা রয়েছে ও ঘটছে। হুযুর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা এসব নবাগতদের ঈমান ও দৃঢ়তায় উন্নতি দান করুন, তাদের নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততায় বৃদ্ধি করুন, আর আমরা যারা পুরনো আহমদী- আমাদের প্রত্যেককে নিষ্ঠা ও বিশ্বাসে উন্নতি দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন। সুম্মা আমীন।
প্রাপ্তিসূত্র: ahmadiyyabangla.org/jumuarkhutba/index.htm
ইউটিউব ভিডিও: Click This Link
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
বিজ্ঞাপন দেয়ার জায়গা নয় এটা।
বিনীতভাবে আহবান করছি, সত্য পথে ফিরে আসুন। 'মোহাম্মদী ইসলাম', 'কাদিয়ানী ইসলাম', 'আহমদিয়া ইসলাম', 'আহমদিয়া মুসলিম' ইত্যাকার বিশেষায়িত 'ইসলাম' কিংবা 'মুসলিম' মানেই ভ্যাজালযুক্ত জিনিষ। 'ইসলাম' এবং 'মুসলিম' এর আগে পরে কিছু নেই, ছিল না এবং থাকবে না।
দয়া করে বুঝুন, জানুন এবং তারপরে মানুন।
৪৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: হে যাহারা ইমান আনিয়াছ ! যখন তোমাদিগকে জুমুআর দিনে নামাযের জন্য আহ্বান করা হয় তখন আল্লাহ্র স্মরণের জন্য দ্রুত আস এবং ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর। ইহা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।
(আল্ জুমুআ: ১০)
জুমুআর খুতবার সারমর্ম
নিখিল বিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ১০ই নভেম্বর, ২০১৭ইং রোজ শুক্রবার লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদ থেকে “সততা ও ন্যায়বিচার”- সম্পর্কে জুমুআর খুতবা প্রদান করেন।
তাশাহুদ, তাঊয, তাসমিয়া এবং সূরা ফাতিহা পাঠের পর, সূরা নিসার ১৩৬নং, সূরা মায়েদার ৯নং এবং সূরা আরাফের ১৮২নং আয়াত তেলাওয়াত করেন।
হুযূর আনোয়ার (আই.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যেভাবে এবং যে পর্যায়ের নির্দেশ মুসলমানদেরকে দিয়েছেন, অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে সেরকম পাওয়া যায় না। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল বর্তমানে সর্বস্তরে অধিকাংশ মুসলমান, যাদের মধ্যে মুসলমান নেতৃবৃন্দ এবং আলেমরাও অন্তর্ভুক্ত, ন্যায়বিচারের দাবী পূরণ করে না। একইভাবে ঘরোয়া পর্যায়েও সাধারণ মুসলমানদের মাঝে নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয়াদিতে ন্যায়বিচারের সেই মান দেখা যায় না যার নির্দেশ আল্লাহ্ দিয়েছেন বা যা একজন মুমিনের কাছ থেকে আশা করা যায়। ঘরোয়া বিষয়াদি নিয়ে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বা অন্যের অধিকার খর্ব করার জন্যও মামলা ইত্যাদিতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়, আবার কখনো বিচারকও ব্যক্তিগত স্বার্থে অন্যায় রায় প্রদান করেন। মোটকথা ব্যবস্থাপনার মাঝেও অন্যায় ঢুকে গেছে, আর এর ফলে সমাজেও অন্যায় ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় পর্যায়েও শাসকগণ ন্যায়ের দাবী পূর্ণ করে না, এক দেশ আরেক দেশের সাথে ন্যায় আচরণ করে না, আলেমরা ধর্মকে ব্যক্তিস্বার্থ আদায়ের মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে। এসব কিছু সত্ত্বেও মুসলমানরা দাবী করে- আমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি আর ইসলামই পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যার সর্বোত্তম সমাধান প্রদান করে। হুযুর (আই.) বলেন, নিঃসন্দেহে মুসলমানরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, যদি তারা আল্লাহ্র নির্দেশ মান্য করে ও কুরআনের শিক্ষামালাকে অনুসরণ করে; ইসলামই পৃথিবীর সমস্যাবলীর সমাধান করবে, যদি ইসলামের শিক্ষানুসারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
হুযুর (আই.) সূরা নিসার ১৩৬নং আয়াতের অনুবাদ তুলে ধরেন-“হে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে দৃঢ়ভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী হও, এমনকি তা তোমাদের নিজেদের বা পিতামাতার এবং নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে গেলেও; সে ধনী হোক বা দরিদ্র হোক, আল্লাহ্ই উভয়ের সর্বোত্তম অভিভাবক। অতএব তোমরা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করো না যাতে তোমরা ন্যায়বিচার করতে সক্ষম হও। আর তোমরা যদি পেঁচিয়ে কথা বল অথবা সত্যকে এড়িয়ে যাও, তাহলে স্মরণ রেখো, তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ নিশ্চয় পুরোপুরি অবহিত।” হুযুর (আই.) বলেন, এটি হল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মানদন্ড- তা ঘরোয়া বিষয়েই হোক বা সামাজিক পর্যায়ে হোক- অবস্থা যা-ই হোক, সর্বদা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। মুমিনদের জন্য নির্দেশ হল তাদের সাক্ষ্য হতে হবে আল্লাহ্র খাতিরে এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য, আর এটি তখন সম্ভব যখন আল্লাহ্র সত্ত্বায় দৃঢ় ও পরিপূর্ণ বিশ্বাস থাকবে। আর সেই বিশ্বাস যে রয়েছে তা তখন বোঝা যাবে যখন দেখা যাবে মানুষ তার নিজের বা স্ত্রী-সন্তানদের বা মা-বাবা কিংবা নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত থাকবে।
হুযুর (আই.) বলেন, আজকাল অধিকাংশ সমস্যার কারণ এটিই যে ন্যায়নিষ্ঠা ও সততা সেই মানে উন্নীত নয় যা আল্লাহ্ চেয়েছেন। দুঃখের বিষয় হল আজকাল আমাদের মাঝেও কতক ব্যক্তি পার্থিবতার টানে ও প্রভাবে এমন কথা বলে বা এমন সাক্ষ্য দিয়ে বসে, যা প্রকৃত ঘটনা থেকে ভিন্ন। দাম্পত্যকলহ সংক্রান্ত বিষয়ে বা আর্থিক লেন-দেন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হয়। বাহ্যত ধার্মিক ও জামাতের সেবায় অগ্রসর কোন ব্যক্তিও এমন কাজ করে বসেন যা দেখে অন্যরা আশ্চর্য হয়ে যায়। হুযুর (আই.) বলেন, সর্বদা স্মরণ রাখা উচিত- আল্লাহ্ তা’লা বলেছেন, তোমরা যা গোপন কর তা-ও আল্লাহ্ খুব ভালভাবে জানেন। চালাকি দিয়ে এই পৃথিবীতে যদি পার পেয়েও যাও, পরকালে অবশ্যই ধরা পড়বে। হুযুর (আই.) মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর যৌবনের সময়কার একটি ঘটনা তুলে ধরেন, তিনি (আ.) তাঁর পিতার কোন একটি মামলায় উকিলের নির্দেশ উপেক্ষা করে আদালতে সত্য সাক্ষ্য প্রদান করেন, যা তাঁর পিতার বিরুদ্ধে যায় এবং মামলায় পরাজয় হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা হল, তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাঁর চেহারায় এমন আনন্দের ছাপ ছিল যা দেখে মনে হচ্ছিল যেন তিনি মামলায় জিতেছেন। এই আদর্শকে সামনে রেখে আমাদের নিজেদের অবস্থা যাচাই করতে হবে। কুরআনের এই নীতিমালা না মানলে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হবে। আল্লাহ্ তা’লার অপার করুণা যে তিনি আমাদেরকে যুগের ইমামকে মানার সৌভাগ্য দান করেছেন, পরস্পর ভাই-ভাই হওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আর আমরা তুচ্ছ জাগতিক স্বার্থের জন্য বা নিজেদের আমিত্বের কারণে, কিংবা অন্যের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষের কারণে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠি, আর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আল্লাহর ভয়ও মন থেকে হারিয়ে যায়। অথচ এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের দায়িত্ব হল বিষয়টি আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়া।
হুযুর (আই.) বলেন, সমাজে ন্যায়বিচার ও সততা প্রতিষ্ঠার পর মুমিনদেরকে আল্লাহ্ তা’লা এই নির্দেশও দিয়েছেন যে ব্যক্তিগত, সামাজিক বা জাতীয় স্বার্থেরও ঊর্ধ্বে গিয়ে উন্নত মানের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা কর, এমনকি শত্রু জাতির সাথেও এর আদর্শ প্রতিষ্ঠা কর। হুযুর (আই.) সূরা মায়েদার ৯নং আয়াতের অনুবাদ তুলে ধরেন- “হে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ন্যায়ের পক্ষে সাক্ষী হিসেবে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হও। আর কোন জাতির শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কখনো অবিচার করতে প্ররোচিত না করে। তোমরা সদা ন্যায়বিচার করো, এটি তাকওয়ার সবচেয়ে নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ পুরোপুরি অবহিত।” হুযুর (আই.) বলেন, কখনো কখনো ধর্মীয় বিরোধের কারণে অন্য ধর্মের লোকেরা অন্যায় করে থাকে, কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য এটি নয় যে অন্যদের মত সে-ও সুযোগমত প্রতিশোধ নিবে আর ন্যায়ের দাবী পূরণ করবে না। একজন প্রকৃত মুমিনের কাজ হল আল্লাহ্র নির্দেশকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করা ও তাতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। একজন মুমিনের প্রতিটি কাজ আল্লাহ্র সন্তুষ্টির খাতিরে হওয়া উচিত। আজকাল পাশ্চাত্যে মুসলমানদের যে দুর্নাম করা হয় তা হল- এরা তো নিজেদের প্রতিই এরকম অন্যায় আচরণ করে, আমাদের সাথে না জানি কেমন করবে? আর বিভিন্ন মুসলিম জঙ্গীগোষ্ঠীও ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় পশ্চিমাদের উপর আক্রমণ করে আসছে। অথচ তাদের উচিত ছিল ইসলামের অতুলনীয় ও অনুপম শিক্ষা, এর সৌন্দর্যের ব্যবহারিক রূপ নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করে দেখান। অন্য মুসলমানরা যেহেতু তাদের কাজের মাধ্যমে ইসলামের দুর্নামই করে চলেছে, এমতাবস্থায় আমাদের উপর দায়িত্ব বর্তায় আমরা যেন নিজেদের ব্যবহারিক নমুনা দিয়ে ইসলামের অতুলনীয় ও অনুপম শিক্ষাকে তুলে ধরি, তবেই তা পৃথিবীর হেদায়েতের কারণ হবে। সূরা আরাফের ১৮২নং আয়াতে এই বিষয়টিই বর্ণিত হয়েছে, যার অনুবাদ হল-“আর আমাদের সৃষ্টির মাঝে এমন এক দল আছে যারা লোকদেরকে সত্যের মাধ্যমে পথনির্দেশনা দান করে এবং এরই মাধ্যমে সুবিচার করে।” হেদায়েত বা সঠিক পথের দিশা তারাই মানুষকে দিতে পারে, যারা নিজেরা সত্য ও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। মানুষ নিজেই যদি ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত না থাকে, তবে অন্যকে কিভাবে ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত করবে? তাই আমরা যদি মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর হাতে বয়আতের অঙ্গীকারকে পূর্ণ করতে চাই, তাঁর মিশনকে পূর্ণ করতে চাই, ইসলামের বাণীকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে চাই, তবলীগের দায়িত্ব পালন করতে চাই-তাহলে ইসলামের শিক্ষানুসারে যাবতীয় উন্নত চরিত্র আত্মস্থ করতে হবে। যদি আমাদের সাক্ষ্য, আমাদের কর্মকান্ড ইসলামের শিক্ষামত না হয়, তাহলে আমাদের তবলীগও বৃথা। সেক্ষেত্রে অন্যরা আমাদের উল্টো বলে বসবে-আগে নিজেরা ঠিক হও, নিজেরা এসব কথা মান, পরে আমাদেরকে বলতে এসো। অতএব এটি অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব যা প্রত্যেক আহমদীর উপর অর্পিত হয়েছে-নিজের কর্ম দ্বারা তবলীগের পথ খোলা। আর যারা আমাদের কাজ দেখে ইসলাম চিনবে, তারা ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার না করে পারবে না। হুযুর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ করুন আমরা যেন তাঁর নির্দেশমত নিজেদের জীবন সাজাতে পারি, মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর হাতে বয়আতের দায়িত্ব পালনকারী হই, অন্যদের জন্য হেদায়েত ও ন্যায়নিষ্ঠার আদর্শ হতে পারি। আমীন। খুতবার শেষদিকে হুযুর (আই.) একটি গায়েবানা জানাযার ঘোষণা করেন। মোকাররম ফযল মুহাম্মদ খান সাহেবের পুত্র মোকাররম হাসান মুহাম্মদ খান আরেফ সাহেব, যিনি সুদীর্ঘকাল নায়েব উকিলুত তবশির, রাবওয়া হিসেবে সেবা করেছেন, গত ৩ নভেম্বর ৯৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। হুযুর (আই.) মরহুমের বিস্তৃত ধর্মসেবার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন ও তার পদমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য দোয়া করেন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
বিজ্ঞাপন দেয়ার জায়গা নয় এটা।
বিনীতভাবে আহবান করছি, সত্য পথে ফিরে আসুন। 'মোহাম্মদী ইসলাম', 'কাদিয়ানী ইসলাম', 'আহমদিয়া ইসলাম', 'আহমদিয়া মুসলিম' ইত্যাকার বিশেষায়িত 'ইসলাম' কিংবা 'মুসলিম' মানেই ভ্যাজালযুক্ত জিনিষ। 'ইসলাম' এবং 'মুসলিম' এর আগে পরে কিছু নেই, ছিল না এবং থাকবে না।
দয়া করে বুঝুন, জানুন এবং তারপরে মানুন।
৪৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
নতুন বলেছেন: এই ব্যক্তি এক ফকিরের মুরীদ ছিলেন; যখন ফকিরের কাছে এটি বলেন তখন সেই ফকিরও বলেন, মির্যা সাহেবের এত দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমাগত উন্নতি করতে থাকা খোদা তা’লার সমর্থনের লক্ষ্মণ। সেখানে থাকা আরেক ফকির বলেন, দাঁড়াও, আমিও আল্লাহ্র কাছে জিজ্ঞেস করব। পরদিন সেই ফকির বলেন, আল্লাহ্ বলেছেন-মির্যা হলেন মওলা।
তাদের কার্যবিধি অনুসারে একশ’ বার করে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি ও সূরা ইখলাস এবং এক হাজার বার করে দরূদ ও ইস্তেগফার পড়ার পর একদিন রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন, আকাশ থেকে চাঁদের মত বড় এক তারা মাটিতে নেমে চলাফেরা করছে ও এরপর তার বাড়িতেও এসেছে। কয়েকদিন পর আরেকটি স্বপ্নে দেখেন, আগের তারার চেয়ে কিছুটা ছোট পাঁচটি তারা মাটিতে নেমে এসে এক সারিতে চলছে। অর্থাৎ প্রথম তারা মসীহ্ মওউদ (আ.) ও পরের তারাগুলো তাঁর (আ.) খলীফাগণ। পরবর্তীতে তিনি এমটিএর সন্ধান পান, এতে ইস্তেখারার নির্দেশনা শুনে সেই অনুযায়ী ইস্তেখারা করেন ও প্রথম রাতেই স্বপ্নে নির্দেশনা পেয়ে যান এবং বয়আত করেন।
মিসরের এক বন্ধু মাহমুদ সাহেব লিখেন যে তিনি নয় বছর বয়স থেকে স্বপ্নে কোন একটি আওয়াজ শুনতে পেতেন যার অর্থ তিনি বুঝতেন না। ২০১০-এ এসে যখন তিনি এমটিএ-তে আলহিওয়ারুল মুবাশির অনুষ্ঠান দেখেন তার পরে তিনি বুঝতে পারেন যে এতদিন স্বপ্নে তিনি এই আওয়াজই শুনতে পেতেন।
হুযুর (আই.) এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করেন। এসব ঘটনার কোন কোনটি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ যেমন মালি, আইভরি কোস্ট ইত্যাদি দেশের, কোনটি সিরিয়া, জর্ডান, মিসর ইত্যাদি আরব দেশের, কোনটি বা ফ্রান্স, কানাডাসহ ইউরোপ ও আমেরিকার পশ্চিমা দেশের। মোটকথা বিশ্বের এমন কোন প্রান্ত বাকি নেই যেখানে পুণ্য প্রকৃতির লোকেরা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সরাসরি পথনির্দেশনা লাভ করছে না। এটি যেমন একদিকে মসীহ্ মওউদ ও ইমাম মাহদী হিসেবে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর সত্যতার তাজা নিদর্শন,
সুধুই অলৌকিকতা!!!!!!!!!!!!!!!
দুনিয়াতে ১+১=২ হয় তার বাইরে কিছুই হয় না।
আপনি যে ব্লগিং করছেন এটার প্রতিটা স্টেপ যৌক্তিক কোন অলৌকিকতা নেই।
কিন্তু আপনাদের সব কিছুতেই দেখছি স্বপ্ন আর অলৌকিকতায় ভরা.!
দেশের পীরের মুরিদরা এই রকমের কাহিনি বলে যাতে মুরিদির বাড়ে ব্যবসা ভালো হয়।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
ভন্ড পীর যারা মানুষের টাকা পয়সা লুটের ব্যবসায় ধর্মকে ব্যবহার করে, তাদের যদি পুকুর বলেন, তাহলে এদের বোধ করি সাগর বললেও মানানসই হবে না। মিডিয়া মোঘল এরা। এদের পেছনে রয়েছে রাঘব বোয়ালরা।
ধন্যবাদ।
৪৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
মানিজার বলেছেন: কাডীয়ানী এসস হুলের বাইচ্চা শুনঃ
দুনিয়ায় এখন ১০০০ সাল চলে না । এইটা ২০১৭ সাল । ২১০০ শতাব্দী । এইখানে এইসকল গাঞ্জা খাওয়া বাটপারী গল_প চলে না ।
এইসকল তুই গাউ গেরামে গিয়া ক । দেখিস তুরে কিভাবে গুয়ের টাংগিতে মানুষ চুবায় । ব্লগে এইসব চলে না, ব্লগের মানুষ ১০০০ সালে বাস করে না । এরা ২১শতাব্দীর বাসিন্দা ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রতিপক্ষ কিংবা দ্বিমত পোষনকারীদের প্রতিও আমরা যথাযথ সম্মান রেখে কথা বলবো। এটা শিষ্টাচার ও শালীনতার অধিক নিকটবর্তী।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৪৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ৪২ এবং ৪৩ নম্বর কমেন্টের উত্তর ২৪ নং কমেন্টে দেয়া আছে।
আল্লাহরর কি হুকুমত, লন্ডনে কাদিয়ানী জামাতে গত জুমায় স্বপ্ন বিষয়ক যে গাল -গল্প বয়ান হবে সেটা আমার মাধ্যমে তার পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে। যদি ভিডিওতে স্বপ্ন বিষয়ক তাদের প্রদত্ত খুতবা সত্য বলে প্রচারিত হয়, তাহলে আমার বর্ণিত ২৪ নং কমেন্টের স্বপ্নের বর্ণনা কেন প্রচারিত হবেনা? যদি তারা (কাদিয়ানীরা) স্বপ্ন কে তাদের দলিল হিসেবে উল্লেখ করে তাহলে কাদিয়ানী বিরোধীরা যেন আমার স্বপ্ন কে পালটা দলিল হিসেবে পেশ করে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, সত্যের ছায়া।
আপনার স্বপ্ন মারাত্মক! কাদিয়ানীগন বোধ হয় এই জাতীয় স্বপ্নে ভীতি অনুভব করে! তারা এই স্বপ্ন জীবনে দেখতে চাবে না।
দলিল হিসেবে আপনার স্বপ্ন ভাল উপাদান।
৪৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪
কলাবাগান১ বলেছেন: প্রামানিক ভাই কবিতা লিখেন ধর্মের সার্বজনীনতা নিয়ে আর বেশ বাহবা ও পান আর এখানে দেখি ধর্মীয় বিদ্বেষ মুলূক মন্তব্য...কেঊ টয়লেটে পড়ে মৃত্যু বরন করলে তার ধর্মের দোষ????
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ওর আবার ধর্ম? মিথ্যা নবুয়ত দাবীদারের আবার ধর্ম দেখলেন কোথায়? আজীবন যিনি বৃটিশ বন্দনায় মগ্ন থাকলেন, তিনি আল্লাহর বন্দনা করার অবসর পেলেন কখন? তার মৃত্যু টয়লেটে ডুবে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা বুঝি, কোন নবী রসূল, এমনকি কোন সম্মানিত লোকের দুনিয়া থেকে এমন দুর্দশাগ্রস্ত এবং লজ্জাজনক প্রস্থান কল্পনা করা যায় না। এটাকে তার সারাজীবনের অপকর্মের প্রাথমিক পরিনতি ভেবে মানুষ উল্লাস প্রকাশ করলেই বা বলার কী আছে????
এ ঘটনা তো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ জানেন। কয়জনের মুখ চেপে রাখা যাবে?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রামানিক ভাই ধর্মের সার্বজনীনতা নিয়ে লিখেন। তবে, ধর্মের নামে যারা আদৌ ধর্মের কেউ নন, মিথ্যে নবী দাবীকারী এমন ভন্ডদের ধর্মের লোক বলে মনে করেন না বলেই ধারনা করি।
৪৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: ভাই, আপনি ইমাম মাহদির নামের পরে আলাইহিস সালাম ব্যবহার করেছেন কেন?দলিল-প্রমাণ দিন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
কোথায়?
৪৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
কাউয়ার জাত বলেছেন: নকিব ভাই, আপনি কাকে বুঝেছেন?
আমার ২৬ নং কমেন্টের উদ্দেশ্য ছিল এই ব্লগের বিশিষ্ট ছাইন্টিস্ট ব্যানানা গার্ডেন১
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
দু:খিত! আমি বুঝতে পারি নি। না বুঝেই উত্তর দিয়েছি। কা_ভা ভাই এবং আপনি দু'জনের কাছেই ক্ষমা চাচ্ছি।
৫০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১১
কানিজ রিনা বলেছেন: হে আল্লাহ্ এসব কি পড়ছি আর দেখছি,
কাদিয়ানীদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।
তারা আলাদা নবুওত পেয়েছে নাওজুবিল্লাহ্
যা পেয়েছে দেওয়ানবাগী। আল্লাহ্ আমাদের
এদের কুমন্ত্রনা থেকে রক্ষা করুন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আয় আল্লাহ! আমাদেরকে এদের কুমন্ত্রনা থেকে রক্ষা করুন।
-আপনার দোআ' আল্লাহ পাক কবুল করুন। আমীন।
৫১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: কাদিয়ানীদের কিছু আকিদা-বিশ্বাস শিরোনামের প্রথম পয়েন্টে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ও আচ্ছা, দেখেছি। এটাতে তো কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। কারন, আলমাহদী শব্দের অর্থ হল, 'পথ প্রদর্শিত ব্যক্তি'। কিয়ামতের প্রাক্কালে হযরত ঈসা আলাইহিসসালামের অবতরন ও দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের পূর্ব মুহূর্তে মুসলিম জাতির নেতৃত্বের জন্য যে সংস্কারক মনীষীর আবির্ভাবের কথা আছে তাঁকেই বুঝানো হয়েছে। মুহাক্কিক আলিমগনের মতে কিয়ামতের প্রাক্কালে ইমাম মাহদীর আবির্ভাব সত্য। বহু সহীহ হাদীস দ্বারা একথা প্রমানিত।
ইমাম মাহদীর নামের পরে আলাইহিসসালাম বলাতে দোষের কিছু দেখছি না।
তবু সংশয় থেকে হয়তো দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকবেন।
৫২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
দু:খিত! এইসব বিজ্ঞাপন আমরা দেখি না।
৫৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আকাশ থেকে কোনও নবী আসবেন না। এটা আমাদের চ্যালেন্ঞ্জ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
কাদিয়ান ফাদিয়ান ইত্যাদি বস্তি থেকে আসবে?
৫৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: “অনেকে বলেন আল্লাহ্ সর্বত্র আছেন আবার আরশে আছেন, আমরা কোনটিতে আছেন বলে বিশ্বাস করবো?"
“মুহাম্মদ (সা) সর্বশেষ নবী আর কোন নবী আসবে না, ইমাম মাহদীকে আপনারা কিভাবে নবী মানছেন?”
“আপনাদের ইমাম মাহদী সত্য নয় সকল আলেমদের অভিমত, তিনি যদি সত্যি হতেন তাহলে টয়লেটে পড়ে মারা গেলেন কেন?”
“আহমদীদের ভালো কিন্তু গয়ের আহমদীদের মসজিদে নামাজ পড়তে সমস্যা কি?”
“আহমদীয়া মুসলিম জামাতের মসজিদে মহিলারা নামাজ পড়তে পারে এটির ইসলামিক ভিত্তি কি?”
”মির্যা গোলাম আহমদ সাহেবের নামে কি আহমদীয়া জামাতের নাম করা হয়েছে?”
”বর্তমান বিশ্বে ইসলামের বিরুদ্ধে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র দায়ী কে?”
“যদি একই উৎস থেকে যদি নবী রাসূল অবতাররা এসে থাকেন তাহলে এত মতপার্থক্য কেন?”
“আপনারা বলছেন ঈসা (আ) মারা গেছেন, যেই কবরটি দেখাচ্ছেন সেটিই কি ঈসার কবর?”
“স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে যেক্ষেত্রে মহানবী (সা.) খাতামান নবীঈন আর যেক্ষেত্রে ইসলাম ধর্ম শেষ ধর্ম সেক্ষেত্রে ইমাম মাহদী বা যুগ ইমামের আগমনের প্রয়োজনীয়তা কী?”
‘তুমি বল! তোমার প্রতিপালক-প্রভুর পক্ষ থেকে পূর্ণ সত্য সমাগত, অতএব কেউ চাইলে ঈমান আনতে পারে আবার কেউ চাইলে অস্বীকারও করতে পারে।’
(সুরা আল্ কাহ্ফ:৩০)
ঐশী প্রতিশ্রুতি ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শুভসংবাদ অনুযায়ী শেষ যুগে আবির্ভূত মহাপুরুষের আগমন বার্তা এবং তাঁর সত্যতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যেই 'সত্যের সন্ধানে'র আয়োজন। আজ ধর্ম জগতে চরম অস্থিরতা ও হানাহানি বিরাজমান, এত্থেকে উত্তোরণ আর এই জগতকে শান্তিময় ও স্বর্গধামে পরিণত করার জন্য এই প্রতিশ্রুত পুরুষের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া আবশ্যক। তাঁকে মানার গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন, 'ইমাম মাহদীর আগমন বার্তা শুনলে বরফের পাহাড়ের ওপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তোমরা তাঁর কাছে যেও এবং তাঁর হাতে বয়আত করো আর আমার সালাম পৌঁছে দিও।' খোদার নৈকট্য ও প্রিয়বান্দা হবার জন্য তাঁর নির্দেশ পালন আবশ্যক। এই চিরন্তন সত্যের প্রতি সবাইকে উদ্বাত্ত আহ্বান জানানোই এই অনুষ্ঠানে মূল লক্ষ্য। মুক্তমন নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি দেখলে সত্য আপনার সামনে দিবালোকের মত সুস্পষ্ট হয়ে যাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আল্লাহ্ সবাইকে হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তৌফিক দিন। আমীন।
সত্যের সন্ধানে (Shotter Shondhane) - ৩০শে নভেম্বর, ২০১৭ইং-এ সম্প্রচারিত - ১৮১তম অনুষ্ঠান
সত্যের সন্ধানে (Shotter Shondhane) - ১লা ডিসেম্বর, ২০১৭ইং-এ সম্প্রচারিত - ১৮২তম অনুষ্ঠান
সত্যের সন্ধানে (Shotter Shondhane) - ২রা ডিসেম্বর, ২০১৭ইং-এ সম্প্রচারিত - ১৮৩তম অনুষ্ঠান
সত্যের সন্ধানে (Shotter Shondhane) - ৩রা ডিসেম্বর, ২০১৭ইং-এ সম্প্রচারিত - ১৮৪তম অনুষ্ঠান
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এ্সব কি মানুষকে সত্যের সন্ধান দিবে, না জাহান্নামের কিনারে পৌঁছে দিবে?
সামু ব্লগটা যেন ইদানিং কাদিয়ানী কুফুরি মতবাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশের মুক্ত প্লাটফর্ম!!! ফ্রি পেয়ে বসেছেন!!!!!!
সাগরে ডুবন্ত ব্যক্তি খড়-কুটো ভাসমান হাতের কাছে যা পায় তাই যেমন ধরে বাঁচতে চেষ্টা করে, এদের অবস্থাও তাই। কখনও উদ্ভট যুক্তি, তো কখনও ফালতু ভিডিও, কখনও গালিগালাজ তো কখনও লা'নত অভিশাপ, নানান কিছু ধরে বাঁচতে চায় মিথ্যাবাদিরা। মিথ্যে খাওয়াতে চায় মানুষকে!! মিথ্যে গেলাতে চায় মুসলমানদের!! চুরি করতে চায় মুসলমানদের ঈমান আকিদা!! হরন করতে চায় তাদের বোধ-বিশ্বাস!!!
কিন্তু, আজকের যুগের মুসলমানগন পিছিয়ে নেই। আপনাদের ষড়যন্ত্র বুঝে। আপনাদের মিথ্যাবাদী নবীকে চেনে। আপনাদের মিথ্যাবাদী নবীর নবুওয়াতদানকারী বৃটিশ বাবুদেরও চেনে। সুতরাং, এইসব বাল ছাল বিজ্ঞাপন দিয়ে কানা কড়ি লাভ হবে না। নষ্টদের এইসব বাসি জিনিষ আমরা দেখি না। দেখি না। দেখি না। ইনশাআল্লাহ দেখব না কোন দিন।
৫৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আকাশ থেকে কোনও নবী আসবেন না। এটা আমাদের চ্যালেন্ঞ্জ।
না আসলে নাই। এসবের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষ সালাত পড়েনা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আকাশ থেকে কোনও নবী আসবেন না। এটা আমাদের চ্যালেন্ঞ্জ।
-তিনি সম্ভবত: বুঝাতে চেয়েছেন, 'আকাশ থেকে নবী যেহেতু আসবেন না, তাই কেবল কাদিয়ান কুদিয়ান ইত্যাদি অঞ্চলে নবীর আবির্ভাব ঘটলেও ঘটতে পারে!!!'
ধন্যবাদ।
৫৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রিয় নকিব ভাই,আগে শুনেছি পৃথিবীতে অনেক ভন্ড নবী এসেছিল ভবিষ্যতেও হয়তো আসবে।তাদের আবার অনুসারিও হবে।
কিন্তু এদের সম্মন্ধে এত বিশদ জানিনা।
আপনি ভাল করেছেন এই সব ভন্ডদের নিয়ে পোষ্ট দিয়ে।
এই সব ভন্ডের দল পুরো পৃথিবীর মানুষের জন্য হুমকি সরুপ।
আল্লাহ আমাদের সকল মিথ্যা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা পাঠ এবং মন্তব্যে।
ভন্ড নবীর আগমন বিষয়ে আপনার মত আমাদেরও অবগতি ছিল। সাধারনত: সবারই এরকম একটা আবছা ধারনা রয়েছে। কিন্তু যে গহীন-গাঢ়-ঘোর-কৃষ্ণ অন্ধকার কাদিয়ানী সম্প্রদায় লালন করেন, সম্পূর্ন মিথ্যার উপরেই যে তাদের উত্থান, মুসলমানদের বৃহত্তর ঐক্য বিনষ্টেই যে তাদের উৎপত্তি - এই সত্য জানেন কতজন?
অনুসন্ধানী অন্তর নিয়ে মিথ্যের মুখোশ সরালেই কেবল তাদের এইরকম ভয়ঙ্কর কুৎসিত চেহারা দেখা সম্ভব! কাউকে না কাউকে তো এই সত্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে।
আপনি ভাল করেছেন এই সব ভন্ডদের নিয়ে পোষ্ট দিয়ে।
এই সব ভন্ডের দল পুরো পৃথিবীর মানুষের জন্য হুমকি সরুপ।
আল্লাহ আমাদের সকল মিথ্যা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
আপনার সাধুবাদ আশাব্যঞ্জক। আপনার দোআ'য় আমাদেরও একাত্মতা। আল্লাহ আমাদের সকল মিথ্যা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাদের যে আকীদা-বিশ্বাসের কথা এখানে উল্লেখ করেছেন, তার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করলেও তো কেউ মুসলমান থাকতে পারেনা বলে মনে করি।