নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাদিয়ানী আহমদীদের ধোঁকা থেকে বাঁচতে হলে তাদের অসারতা অনুধাবন অপরিহার্য্য পর্ব-০২

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬


কাদিয়ান গ্রামে অভিশপ্ত মিথ্যা নবুয়তের দাবীদার গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর কবর।

কাদিয়ানী মতবাদের প্রেক্ষাপট:
ইংরেজগন উপমহাদেশের ক্ষমতা দখলের পর এ জনপদের আজাদীকামী স্বাধীনতাপ্রিয় জনতার উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিচালিত হয়। সর্বশেষ দিল্লীর শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ এর আমলে ১৮৫৭ সালে আজাদী আন্দোলন সংঘটিত হয়। ইংরেজগন এই আন্দোলনের নাম দিয়েছিল সিপাহী বিপ্লব। শেষ পর্যন্ত কতিপয় বিশ্বাসঘাতক হিন্দু মুসলিমের চরম বিশ্বাসঘাতকতার ফলে এই বিপ্লব পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। সিপাহী জনতার সেই পরাজয়ের পর ইংরেজগন উপলব্ধি করে যে, এ যুদ্ধে যদিও হিন্দু মুসলিম উভয় জাতিই অংশগ্রহন করেছে, তথাপি বিপ্লবের মূল নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলিমগন। তারা এ সত্যটিও অনুধাবন করতে পেরেছিল যে, তারা এ দেশ মুসলমানদের হাত থেকে যেহেতু কেড়ে নিয়েছে, সুতরাং সংগত কারনেই মুসলমানরা ইংরেজদের অধীনতা আনুগত্য মেনে নিতে পারে না। মুসলমানদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে না পারলে পুনরায় সুযোগ পেলেই আবার তারা বিদ্রোহ করবে। তারা মুসলমানদের চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার মানসে তাদের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাতে থাকে। হাজার হাজার আলেমকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেয়। মুসলমানদের থেকে নবাবী-জমিদারী কেড়ে নিয়ে প্রতিবেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্টন করতে থাকে। কিন্তু শত কূট কৌশল আর নির্যাতন নিপীড়নের ষোলকলা পূর্ন করেও জিহাদের স্পৃহাতাড়িত মুসলিম জাতির অন্তর থেকে দেশমাতৃকার আজাদীর স্বপ্ন আর জিহাদের জজবা কোনভাবেই দূরীভূত করা সম্ভব হল না। হাজী শরীয়তুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন, হাজী নেসার আলী তীতুমীরের বাঁশের কেল্লার সশস্ত্র বিপ্লব প্রভৃতি ঘটনাবলী ইংরেজ জাতিকে বিচলিত করে তুলেছিল। তারা ভাবল, এত কিছু করার পরও মুসলমানরা বারবার কেন বিদ্রোহ করছে? এ বিষয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য ১৮৬৯ সালে উইলিয়াম হান্টারের নেতৃত্বে একটি কমিশন বা প্রতিনিধি দল ভারতে প্রেরন করা হল। এ কমিশন প্রায় এক বছর যাবত ভারতবর্ষে অবস্থান করে পর্যবেক্ষন পূর্বক বৃটিশ গভর্নমেন্টের কাছে এ ব্যাপারে যে রিপোর্ট পেশ করেছিল, তাতে বলা হয়েছিল- 'ভারতীয় মুসলমানরা কঠোরভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে। মুসলমানদের ধর্মীয় নির্দেশ রয়েছে, বিজাতীয়দের শাসন মানতে নেই। তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনেই বিজাতীয়দের শাসনের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ রয়েছে। তাদের ধর্মীয় নেতারা ফতওয়া জারি করেছে, ভারত বর্ষ দারুল হারব (শত্রু দেশ) এ পরিনত হয়েছে। এ অবস্থায় মুসলমানদের উপর জিহাদ ফরয হয়ে পরেছে। জিহাদের প্রেরনায় মুসলমানরা উম্মাদের মত আত্মাহুতি দিতে পারে।' উদ্ধৃতি সূত্র- কাদিয়ানী ধর্মমত, মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী, পৃষ্ঠা ৫০-৫১।

উক্ত রিপোর্টে যে কয়েকটি বিষয়ের সুপারিশ করা হয়েছিল তার মধ্যে বিশেষ কিছু দফা প্রনিধানযোগ্য:

১. দারিদ্র্যপীড়িত সর্বহারা মুসলমানদের একটি শ্রেনিকে উপঢৌকন ও উপাধি বিতরনের মাধ্যমে বৃটিশের অনুগত করে তুলতে হবে। তারা ভারতবর্ষকে 'দারুল আমান' (শান্তির দেশ) বলে ফতওয়া দিয়ে বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ অপ্রয়োজনীয় বলে বর্ননা করবে। তারা প্রচার করবে, যে দেশে ধর্মীয় বিধি-বিধান পালন করতে রাষ্ট্রের পক্ষ হতে কোন বাধা নেই, সে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরয হতে পারে না।

২. এ দেশের মুসলিম অধিবাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ পীর-মুরীদীর ভক্ত। বর্তমানে মুসলমানদের মধ্য হতে আমাদের আস্থাভাজন এমন একজন পন্ডিত ব্যক্তিকে নবীরূপে দাঁড় করাতে হবে, যে বংশ পরাম্পরায় আস্থাভাজন বলে প্রমানিত হয়। দারিদ্র্যপীড়িত ধর্ম জ্ঞানহীন মুসলমানদের মধ্যে তার নবুওয়াত চালিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের সরকার কর্তৃক তাকে সর্ব প্রকার সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার নিশ্চয়তা দিতে হবে। অত:পর তথাকথিত নবী এক সময় ঘোষনা দিবে, 'আমার নিকট এই মর্মে ওহী এসেছে যে, ভারতবর্ষে বৃটিশ সরকার আল্লাহর রহমত স্বরূপ এবং ওহীর দ্বারা আল্লাহ তাআ'লা এখন থেকে জিহাদ হারাম করে দিয়েছেন।' এভাবে মুসলমানদের অন্তর থেকে জিহাদের প্রেরনা ও উম্মাদনা দূরীভূত করা সম্ভব হবে। অন্যথায় ভারতে আমাদের শাসন দীর্ঘায়িত করা সম্ভব হবে না।

৩. সুপারিশমালার মধ্যে আরও ছিল- প্রথমে সে নিজেকে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় বই-পুস্তক রচনা করবে। এ কাজে তাকে গড়ে তোলার জন্য আমাদের ওরিয়েন্টালিস্টরা তাকে উপাদান সংগ্রহ করে দিবে। আমাদের গোয়েন্দা ও প্রচার বিভাগ তার রচিত পুস্তকাদি প্রকাশ ও প্রচার কাজে তাকে সহযোগিতা করবে। এরপর তার প্রতি ভক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সে নিজেকে মোজাদ্দেদ বলে দাবি করবে। এ দাবি মুসলমানদের গলাধ:করন করানোর পর পর্যায়ক্রমে সে নিজেকে মাহদী বলে দাবি করবে। অত:পর সে মুসলিম উম্মাহর 'মসীহে মাওউদ' হওয়ার দাবি করবে। এক সময় ধীরে ধীরে সে নিজেকে নবী মুহাম্মদ )সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ছায়া (জিল্লী, বুরূজী ও উম্মতী নবী) বলে দাবি করবে। (তথ্যসূত্র: কাদিয়ানী ধর্মমত, মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী, পৃষ্ঠা ৫১-৫৫ থেকে সংক্ষেপিত। গ্রন্থ রচয়িতা বলেন- আমাদের এ বক্তব্যের কিয়দাংশ 'উইলিয়াম হান্টার' রচিত 'দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস' হতে গৃহীত। এছাড়া ১৮৭০ সালে উক্ত কমিশন ও ভারতে কর্মরত পাদ্রীগনসহ সেকালের বৃটিশ সরকারের কর্মকর্তাদের লন্ডনে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সের মুদ্রিত রিপোর্ট 'দি এ্যারাইভ্যাল অব দি বৃটিশ এম্পায়ার ইন ইন্ডিয়া', 'মির্জা কী কাহিনী খোদ মির্জা কী জবানী' এবং 'মির্জায়ী তাহরীক কা পাছ মানজার' হতে উদ্ধৃত)।

প্রতিনিধি দলের সুপারিশের প্রেক্ষিতে তৎকালীন বৃটিশ সরকারের কর্মকর্তাগন মুসলমানদের মধ্য থেকে একজন নবী দাঁড় করানোর প্রস্তাবটি ইতিবাচক হিসেবে নেয়া হয় এবং ভারতে বৃটিশ সরকারের বংশ পরম্পরা দালালদের থেকে একজন নবী দাঁড় করানোর প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। প্রস্তাব ও পরিকল্পনা মোতাবেক মির্জা গোলাম আহমদকে নবী হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য তারা মনোনীত করে। তাই মির্জা গোলাম আহমদ হল ইংরেজদেরই দাঁড় করানো নবী। তথ্যসূত্র: মির্জা গোলাম আহমদ যে ইংরেজদেরই দাঁড় করানো নবী তা মির্জা গোলাম আহমদের ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ সনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের উদ্দেশ্যে লিখিত তার পত্রের নিম্নোক্ত বক্তব্য থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়: 'পঞ্চাশ বছরের অভিজ্ঞতায় সরকার আমার পরিবারকে একটি অনুগত ও ভক্ত পরিবাররূপে সনাক্ত করেছেন এবং বৃটিশ গভর্নমেন্টের মাননীয় অফিসারবৃন্দ সর্বদা দৃঢ় মনোভাবসহ বিভিন্ন চিঠিপত্রে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, 'নিজের লাগানো এ চারা গাছটি' -এর ব্যাপারে সুচিন্তিত, সতর্ক ও সুনজরের মনোভাব পোষন করুন এবং অধীনস্ত অফিসারদেরকে বলে দিন তারাও যেন এ পরিবারের স্বীকৃত আনুগত্য ও আন্তরিকতার প্রতি লক্ষ্য রেখে আমাকে ও আমার দলকে কৃপা ও মেহেরবানীর দৃষ্টিতে দেখেন'। রেফারেন্স বই ১. কাদিয়ানী মাযহাব কা ইলমী মুহাসিবাহ (নতুন সংস্করন) প্রোফেসর মুহাম্মদ ইলিয়াছ বরনী রহ. পৃষ্ঠা ৭০২। ২. তাবলীগে রিসালাত, জিলদে হাফতম, পৃষ্ঠা ১৯-২০।

পরিকল্পনা মোতাবেক গোলাম আহমদ কাদিয়ানী এক সময় নিজেকে মোজাদ্দিদ (ধর্মের সংস্কারক) বলে দাবী করে বসলেন। এরপর তিনি নিজেকে ইমাম মাহদী বলে দাবী করলেন। অর্থাৎ, হাদীসে যে ইমাম মাহদীর আগমনের সুসংবাদ রয়েছে, তিনি নিজেকে দাবী করে বরলেন যে, আমিই সেই ইমাম মাহদী। অত:পর এক সময় তিনি প্রচার করতে আরম্ভ করলেন যে, মুসলমানগন যে বিশ্বাসরাখে ঈসা আলাইহিসসালাম স্বশরীরে উর্দ্ধাকাশে উত্তোলিত হয়েছেন- এটা বানোয়াট ও মিথ্যা। আসলে মরিয়মের পুত্র ঈসা নবী আকাশে উত্তোলিত হন নি। বরং তিনি তার পরিনত বয়সে কাশ্মীরে এসে স্বাভাবিক মৃত্যুবরন করেছেন। শেষ যুগে এ উম্মত হতে ঈসা মসীহ নামে একজন মহাপুরুষের আগমনের যে কথা হাদীসে বর্নিত হয়েছে, আমিই সেই প্রতিশ্রুত মসীহ। তারপর এক সময় তিনি দাবী করলেন যে, আমি 'মোহাদ্দাছ' অর্থাৎ, তার ভাষায়- 'আল্লাহ তাআ'লার সাথে ওহীর মাধ্যমে আমার কথোপকথন হয়'। তথ্যসূত্র: এযালাতুল আওহাম, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ৩২০।

বিংশ শতাব্দির শুরুতে (১৯০১ সালে) তিনি স্পষ্টভাবে আসল কথায় চলে আসলেন এবং দাবী করলেন যে, 'আমি শরীয়তের অধিকারী পূর্ন নবী'। এরপর থেকে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এ দাবীর উপর অটল ছিলেন। বরং মাঝে-মধ্যে অন্য সকল নবী রাসূল হতে শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবীও করেছেন। এমনকি স্বয়ং আখেরী নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবী করেছেন। (এই শেষের স্টেপ/ প্যারার তথ্যসূত্র এবং রেফারেন্স পূর্বাপর আলোচনায় সংযুক্ত।)

নবুওয়াতের ঘোষনা দেয়ার পরপরই তিনি পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ইতিপূর্বে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদকে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষনাও করেছেন।*১ ইংরেজদের আনুগত্য করার এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধাচরন না করার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টায় নিজের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন।*২ ইংরেজ সরকারের পক্ষে পুস্তক পুস্তিকা রচনা করে এবং বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে প্রচার করেছেন। *৩ এবং পর্যায়ক্রমে তিনি অনেক কিছু দাবী করেছেন এবং মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ ও অনৈক্য সৃষ্টির জন্য অনেক নতুন নতুন আকীদা বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছেন। তার এসব দাবীর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারী জঘন্য দাবী হল, মুসলমানদের সর্বসম্মত এবং সুস্পষ্ট আকীদার বিরুদ্ধে নিজেকে তিনি নবী বলে দাবী করেছেন।

১৯০৮ সালে আহলে হাদীসের বিখ্যাত আলেম মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতশরীর সাথে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী চ্যালেঞ্জ করে মুবাহালায় অবতীর্ন হন।*৪ মুবাহালা অনুষ্ঠিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে মির্জা কাদিয়ানী লাহোর শহরে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মল-মূত্রের মধ্যে পরে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে মৃত্যুবরন করেন।*৫

===========================================================================
*১. এ সম্পর্কে স্বয়ং মির্জা কাদিয়ানীর বর্ননা নিম্নরূপ: 'অদ্য হতে ধর্মের জন্য যুদ্ধ হারাম করা হল। এরপর যে ব্যক্তি ধর্মের জন্য তরবারি উঠাবে এবং গাজী নাম ধারন করে কাফেরদের হত্যা করবে, সে খোদা ও রাসূলের নাফরমান বলে গন্য হবে'। (এস্তেহার চান্দা মানারাতুল মসীহ, পৃ: বে, তে যমীমা খোতবায়ে এলহামিয়া)।

তিনি আরও বলেন: 'আমি এ উদ্দেশ্যে বহু সংখ্যক পুস্তক আরবি, ফারসী ও উর্দু ভাষায় রচনা করেছি যে, অনুগ্রহদাতা গভর্নমেন্টের (বৃটিশের) বিরুদ্ধে জিহাদ কিছুতেই দুরস্ত নেই। বরং খাঁটি মনে আনুগত্য স্বীকার করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। একই উদ্দেশ্যে আমি বহু অর্থ ব্যয়ে সে সমস্ত পুস্তক প্রকাশ করে মুসলিম দেশসমূহে পৌঁছিয়েছি। আমি জানি, এসব পুস্তকের বিস্তর প্রভাব ঐসব দেশে পরেছে। (তাবলীগ, ষষ্ঠ খন্ড, পৃ: ৬৫) তিনি আরও বলেন: 'জিহাদ নিষিদ্ধকরন ও ইংরেজ সরকারের আনুগত্য সম্পর্কে আমি এত বেশি পুস্তক রচনা করেছি ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছি যে, ঐগুলো একত্রিত করলে পঞ্চাশটি আলমারী ভর্তি হতে পারে।' তথ্যসূত্র: তিরিয়াকুল কুলূব, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-২৭।

*২. এ সম্পর্কে গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর ভাষ্য: 'আমি অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় বলছি- অনুগ্রহদাতার অমঙ্গল কামনা করা হারামী ও বদকার মানুষের কাজ। সেমতে আমার মাযহাব আমি বারবার প্রকাশ করেছি যে, ইসলাম দু'ভাগে বিভক্ত- একটি খোদার আনুগত্য করা, অপরটি ঐ সাম্রাজ্যের আনুগত্য করা, যে সাম্রাজ্য শান্তি স্থাপন করেছে এবং অত্যাচারীর কবল হতে নিজের ছায়ায় আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। সকলের জানা উচিত, বৃটিশ সরকারই এরূপ সাম্রাজ্য।' তথ্যসূত্র: গোরনামাস্ত কি তাওয়াজ্জুহ, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩।

*৩. এ সম্পর্কে স্বয়ং মির্জা কাদিয়ানীর বর্ননা নিম্নরূপ: 'ইংরেজ সরকারের পক্ষে আমি যেসব খেদমত করেছি তা এই যে, আমি প্রায় পঞ্চাশ হাজার পুস্তক-পুস্তিকা এবং বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে এদেশে ও অন্যান্য মুসলমান দেশে প্রচার করেছি। এ সমস্ত পুস্তক পুস্তিকার আলোচ্য বিষয় ছিল এই যে, ইংরেজ সরকার আমাদের অনুগ্রহদাতা। সুতরাং, এ সরকারের খাঁটি আনুগত্য করা, মনে প্রানে এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং দোআ করা প্রত্যেকটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য মনে করা উচিত। এসব পুস্তক উর্দূ, ফারসী, আরবি ইত্যাদি ভাষায় রচনা করে সমস্ত মুসলিম দেশ এমনকি মক্কা ও মদিনার ন্যায় পবিত্র শহরগুলোতেও সুন্দরভাবে প্রচার করে দিয়েছি। রোমের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল, সিরিয়া, মিসর, কাবুল এবং আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরেও সাধ্যমত প্রচার করেছি। ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ জিহাদের নাপাক ধারনা ত্যাগ করেছে। যা মূর্খ মোল্লাদের শিক্ষায় তাদের অন্তরে বদ্ধমূল ছি। এ মহত খেদমত আঞ্জাম দিতে পারায় আমি গর্বিত। বৃটিশ ইন্ডিয়ার কোন মুসলমানই আমার খেদমতের নজির দেখাতে সক্ষম হবে না। সূত্র: সিতারা ই কাইসুরিয়্যাহ, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৬, মাতবায়ে দিয়াউল ইসলাম কাদিয়ান, ১৮৯৯।

*৪. 'মুবাহালা' ইসলামী শরীয়াতের একটি পরিভাষা। এ প্রসঙ্গ পবিত্র কুরআনেও আলোচিত হয়েছে। শরীয়াতের পরিভাষায় হক্ক ও বাতিল, সত্য ও মিথ্যার দ্বন্ধ অবসানে, সত্যের জয় এবং অসত্যের নিপাতের উদ্দেশ্যে আল্লাহর দরবারে চরম বিনয় ও মিনতি সহকারে উভয় পক্ষের প্রার্থনাকে 'মুবাহালা' বলা হয়।

*৫. মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার দাজ্জালের যে দৃষ্টান্তমূলক পরিনতির প্রয়োজন ছিল শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এই অভিশপ্তদের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

নতুন বলেছেন: মাহাদী জিনিসটাই যেখানে কাল্পনিক.... সেখানে একজন নিজেকে মাহাদী দাবী করলো আর তার এতো অনুসারী?

দেওয়ানবাগীও তো নিজে আল্লাহার সাথে কথা হয় বলে দাবী করে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যের ছায়ার উত্তরটা প্রনিধানযোগ্য- দেওয়ানবাগী যদি সত্যি হয় তবে কাদিয়ানী মিথ্যা। আর কাদিয়ানীর কথা যদি সত্যি হয় তবে দেওয়ানবাগী মিথ্যা।
কিন্তু পবিত্র কুরান যদি সত্যি হয় তাহলে উপ্রের দুই জন মিথ্যা।


ধন্যবাদ।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেওয়ানবাগী দেশি Product আর কাদিয়ানী ইন্ডিয়ান (বৃটিশদের কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি) Product।
এখন, দেওয়ানবাগী যদি সত্যি হয় তবে কাদিয়ানী মিথ্যা। আর কাদিয়ানীর কথা যদি সত্যি হয় তবে দেওয়ানবাগী মিথ্যা।
কিন্তু পবিত্র কুরান যদি সত্যি হয় তাহলে উপ্রের দুই জন মিথ্যা।

এখন, আপনার সিদ্ধান্ত নিন, কুরানের কথা মানবেন নাকি উপ্রের দুই দালালের (বাগী+গোলাম) কথা মানবেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এগুলোর প্রত্যেকটিই ধর্মের লেবাসে দালাল এবং নিসন্দেহে মহাচোর। আপনার ব্যাখ্যাটা দারুন লেগেছে।

ভাল থাকবেন।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ২নং ম ন্তব্যে, আর কাদিয়ানী ইন্ডিয়ান (বৃটিশদের কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি) Product। - বলতে অল ইন্ডিয়া বা অবিভক্ত ভারত কে বুঝিয়েছি।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, বুঝতে পেরেছি।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

নতুন বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন ভাই আমি এটাই বলতে চাইছি। যে এই রকমের অনেকেই বলে যে সৃস্টকত` তার সাথে কথা বলেছে এবং তারও হাজার হাজার অনুসারী আছে। তাতেই তাদের দাবী সত্য হয়ে যায় না।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দাবী সত্য হয়ে যায় না, কিন্তু এদের দাবীর পক্ষে যখন সাম্রাজ্যবাদী বৃহত শক্তির গোপন হাত কলকাঠি নাড়ে তখন অজ্ঞদের একটি দল এদের পেছনে ছুটতে থাকে। অর্থ কড়ি নাম যশ খ্যাতির লোভ ইত্যাদি কারনে এই নীচ শ্রেনির লোকেরা ভন্ডদের পিছু নেয়।

ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: @নতুন,
'ইসলাম' শব্দটি খাস।
ইসলামের আগেও কিছু নাই পরেও কিছু নাই। যদি কেউ 'ইসলাম' শব্দের আগে কিংবা পরে নতুন কোন শব্দ যোগ করে যেমন আহমাদিয়া ইসলাম, মোহাম্মদ ইসলাম ইত্যাদি কোন ধর্মের কথা বলে তাহলে সেটি নিশ্চিত প্রকৃত (হযরত মোহাম্মদ (সা:) প্রচারিত) ইসলাম নয়।

ইসলাম শব্দের আগে পরে যোগ করা কোন ইসলাম মানেই দালালী ইসলাম।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



'ইসলাম' শব্দটি খাস।
ইসলামের আগেও কিছু নাই পরেও কিছু নাই। যদি কেউ 'ইসলাম' শব্দের আগে কিংবা পরে নতুন কোন শব্দ যোগ করে যেমন আহমাদিয়া ইসলাম, মোহাম্মদ ইসলাম ইত্যাদি কোন ধর্মের কথা বলে তাহলে সেটি নিশ্চিত প্রকৃত (হযরত মোহাম্মদ (সা:) প্রচারিত) ইসলাম নয়।

ইসলাম শব্দের আগে পরে যোগ করা কোন ইসলাম মানেই দালালী ইসলাম।


-ব্যাখ্যা ভাল লাগল।

শুভকামনা।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলাম এমন একটা ধর্ম যার সুরু থেকেই কোন্দল ও বিভক্তি ছিল।
রসুল (স) শেষদিকে কোন্দল তীব্র হয়েউঠেছিল। ওনার মৃত্যুর পর জানাজা দেয়া পর্যন্ত সম্ভব হয়নাই কোন্দলের কারনে।
এরপর সিয়া,সুন্নি,কাদিয়ানী হাক্কানি ইত্যাদি ইসলাম বিভক্ত হয়েযায় শতাধিক।
সাধারন পাড়ার মসজিদে সবাই সুন্নি হওয়ার পরও স্পষ্ট কোন্দল দেখা যায়। সেই ইমাম ইমামতি করলে তার পেছনে অনেকেই নামাজ পড়তে চায় না।

কাদিয়ানীরা যেইসব দোষে দুষি মোউদুদিবাদিরা তারচেয়ে বহুগুন বেশী দুষি বলাযায়। কিন্তু তারা দলে ভারি বলে কেউ কিছু বলে না।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



কালবৈশাখী,
ভাল আছেন? আপনার ধর্ম কোনটা? সেদিন তো বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত না পড়লেও জুমুআ পড়েন। তাহলে আবার এইসব বিভ্রান্তিকর কথা কেন? রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পরে কোন্দলের কারনে তাঁর জানাজা হয় নি আপনার এই জানার ভেতরে ভুল রয়েছে। সঠিক বিষয় হচ্ছে, আল্লাহর রসূলের জানাজা সামনে নিয়ে কেউ ইমামতি করবেন, সাহাবীগন এটাকে আদব বা শিষ্টাচার পরিপন্থী মনে করেছেন। জীবিত অবস্থায় আল্লাহর রসূলের সামনে দাঁড়িয়ে কেউ কোন দিন ইমামতি করেন নি। ইন্তেকালের পরেও এই কাজটি ঐভাবে জামাতবদ্ধ হয়ে করাটাকে তারা সমিচীন মনে করেননি। নবীজীর প্রতি এটা তার মহান সাহাবাদের অপরিসীম শ্রদ্ধা, ভক্তি এবং প্রগাঢ় ভালবাসার বহিপ্রকাশ বলতে পারেন।

ইসলাম এমন একটা ধর্ম যার সুরু থেকেই কোন্দল ও বিভক্তি ছিল।

-একটিমাত্র ধর্মের নাম বলুনতো যে ধর্ম ছোটখাট দল উপদল, ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি মুক্ত?

আপনার দৃষ্টিতে যেহেতু কাদিয়ানীরা মওদুদিদের চেয়ে ভাল। তাহলে আপনি কোন দলের সাপোর্টার? কাদিয়ানী না মওদুদি?

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি কোন দলের সাপোর্টার? কাদিয়ানী না মওদুদি?
আপনার ধর্ম কোনটা?

এধরনের অদ্ভুত প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তো জবাব দেয়া মুসকিল।
আমি মুসলিম, আমাদের বাংলাদেশে আগে আমি যেভাবে নামাজ কালাম পড়তাম আমার বাপদাদারা যেভাবে পিরের মুরিদ নাহয়েও ধর্মপালন করত, আমিও সেভাবেই করি।

দেওয়ানবাগি, রাজারবাগি, চরমনাই, আটরশি-জাকেরমঞ্জিল, ওহাবি, সালাফি, কাদিয়ানি, মৌদুদি, জাকিরনায়েক এরা সবাই মতলবি, বহিরাগত , এরা কেউ পির, কেউ বুজুর্গ, কেউ নবী, কেউ দরবেশ, কেউ স্কলার ইত্যাদি নামে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দাংগা হাঙ্গামা, বিভ্রান্তি, খুনোখুনি ছড়িয়ে দিচ্ছে।
কাদিয়ানীরা মওদুদিদের চেয়ে ভাল হওয়ার কোন কারন নেই। কাদিয়ানী মওদুদি সবাই নিকৃষ্ট ও বহিরাগত। মৌদুদিবাদিরা ভিন্ন দৃষ্টিকোনে বাংলাদেশের শত্রু। স্বাধীনতা যুদ্ধে শত্রুপক্ষে যোগ দিয়ে গনহত্যায় স্বশরীরে অংশগ্রহন করে। এরজন্য বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয়।
তবে কাদিয়ানিরা সম্ভবত সংখায় কম, প্রচার নেই বললেই চলে। বাংলাদেশে এত ঘুরলাম এত যাগায় কাজ করেছি আজপর্যন্ত একটা কাদিয়ানির দেখা পাইনাই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত! প্রিয় কালবৈশাখী, এ ধরনের প্রশ্ন হয়তো করতাম না, মাঝে মধ্যে এবং প্রায়শই ইসলাম এবং হুজূর, আলেম ওলামা ইত্যাদি বিষয়ে আপনার কঠোর মনোভাব এবং কাঠখোট্টা টাইপের রসকসহীন সমালোচনা দেখে বিভ্রান্ত হই। জানি না, এটাও হয়তো আপনি ইসলাম এবং মুসলমানদের কল্যানের চিন্তা থেকেই করে যাচ্ছেন কি না। তবে, ইসলাম ধর্মের কল্যান চিন্তা সত্যি যদি কারও ভেতরে থেকে থাকে, তাহলে তার পক্ষে এই ধরনের অপপ্রচারের আশ্রয় নেয়া কিভাবে শোভা পেতে পারে, সেটা একটা প্রশ্ন!

শুধু আপনার ৬ নং কমেন্টের এই অংশটুকুই দেখুন- ইসলাম এমন একটা ধর্ম যার সুরু থেকেই কোন্দল ও বিভক্তি ছিল।
রসুল (স) শেষদিকে কোন্দল তীব্র হয়েউঠেছিল। ওনার মৃত্যুর পর জানাজা দেয়া পর্যন্ত সম্ভব হয়নাই কোন্দলের কারনে।


ইসলাম যার ধর্ম, সে কিভাবে, কোন যুক্তিতে 'ইসলাম এমন একটা ধর্ম যার সুরু থেকেই কোন্দল ও বিভক্তি ছিল' -এর মত এরকম একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন ঢালাও উক্তি করতে পারে? ইসলামে কোন্দল বিভ্রান্তি আদৌ ছিল না, তা আমরাও বলছি না। কিন্তু আপনি যেভাবে ইসলামকে নির্দিষ্ট করে কোন্দলের ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তা নিতান্ত দু:খজনক! আপনি বলুন, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা কি সুস্থ চিন্তার পরিচয় বহন করে? আর এগুলোকে কোনভাবে কি ইসলাম ধর্মের কল্যানকামিতা বলা যায়? না স্পষ্ট বিরুদ্ধাচরনের পর্যায়ে পরে? কোন্দল কি পৃথিবীর আর কোন ধর্মে ছিল না?

শেষেরটুকুতে আপনার দেয়া তথ্যটিও সঠিক নয়। আল্লাহর রসূলের জানাজা জামাতবদ্ধ হয়ে করাটাকে সাহাবীগন সমিচীন মনে করেননি আদবের কারনে। অথচ আপনি মহান সাহাবীদের চরিত্রে কালিমা লেপন করে দিলেন, তারা কোন্দলের কারনে এমনটা করেছিলেন।

দয়া করে বলবেন কি? এগুলো কি অজ্ঞতার কারনে? না কি সঠিক ইতিহাস না জানার কারনে? না কি ভিন্ন কোন কিছু রয়েছে এর পেছনে?

আল্লাহ পাক আপনার উপর রহম করুন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় কালবৈশাখী,
কঠোর সমালোচনাযুক্ত আপনার শক্তিমান মন্তব্যগুলো উপভোগ্য হয়ে ওঠে মাঝে মাঝে। যেমন এই মন্তব্যটিতে কিছু সত্য দারুনভাবে উঠে এসেছে। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অনেকেই আমাদের দেশে ফায়দা লুটে যাচ্ছে।

মিথ্যাবাদী কাদিয়ানীরা যে নিকৃষ্ট এই সরল স্বীকারোক্তি করায় আপনাকে অভিনন্দন।

মূলত: কাদিয়ানীরা যে ইসলামের কেউ নন, এই সত্যটিও আমাদের প্রত্যেকের কানে পৌঁছে দিতে হবে।

আর কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে তো থাকেই না, আপনি তাদের দেখা পাবেন কিভাবে? এরা থাকে সম্ভবত: জঙ্গলে, অন্ধরে, কোন্দলে, কন্দরে। নগরে বন্দরে গঞ্জে গ্রামে এদের ঠাঁই নেই। সাধারন মানুষ থেকে সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন এই মিথ্যাবাদী গোষ্ঠী আড়ালে আবডালে থেকেই মিথ্যার বেশাতি করে যাচ্ছে। আল্লাহ পাক এই মিথ্যাবাদীদের হেদায়েত দান করুন।

ধন্যবাদ, ভাই।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী
ক্যাদানিগো মন্দ কয়ে
যেই হে তুমি থামলে;
আকাশ তোমার ভাঙ্গবে দাঁড়া
থেকো সখা সামলে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



কাদিয়ানীর পায় না দেখা,
রয় কি এরা জঙ্গলে?
লিপ্ত এরা ঝগড়া ফাসাদে,
মানবতার অমঙ্গলে!

কি করি কে সকাল বেলা,
লাগলো দেখে ভালো।
সারাটা দিন কাটুক তাহার,
ছড়িয়ে দিয়ে আলো।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

উচ্ছল বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম- রাসুল স. -এর পরে যদি কেউ নবুওয়াতের দাবী করে তবে সে মিথ্যাবাদী। এক্ষেত্রে নতুন নবুওয়াতের দাবিদারের যুক্তি শুনতে চাওয়ারও কোন দরকার পরে না।
আপনি কাদিয়ানীদের স্বরুপ তুলে ধরছেন তার জন্য মোবারকবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



যেখানেই পড়ে থাকুন, আপনি সঠিক তথ্যটিই জেনেছেন। কুরআনের স্পষ্ট ভাষ্য 'খাতামুন্নাবিয়্যীন' উল্লেখ থাকার পরেও নতুন নবুওয়াতের দাবিদারের নিকট যুক্তি শুনতে চাওয়া মানে তাকে প্রাথমিকভাবে একটি পক্ষ স্বীকার করে নেয়া। এটিও নিসন্দেহে কুফরি।

সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন। কৃতজ্ঞতা অনেক।

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কাদিয়ানী আহমদী,দেওয়ানপাপী,গাঁজা বাবা,দিনদিন আরো যে কত বাবার দেখা মিলবে!! আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এই অভিশপ্তদের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ জানবেন ভাই।



(নকিব ভাই,পারলে এর পরে একটু তাবলিগদের নিয়ে কিছু লিখবেন! আমরা জানি,ইসলামের রুকন পাঁচটি। যথাঃ১.কালেমা ২.নামাজ ৩.রোজা ৪.হজ্জ ৫.যাকাত। কিন্তু তাবলিগের ছয় উসুল, বলা হয়, এটা আসলে কি? পারলে তাবলিগদের ইতিহাস একটু সঠিক রেফারেন্স দিয়ে বুঝিয়ে দিবেন)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই ভাই,
কাদিয়ানী আহমদী,দেওয়ানপাপী,গাঁজা বাবা,দিনদিন আরো যে কত বাবার দেখা মিলবে!!

মহান আল্লাহ আপনার দোআ কবুল করুন।
তাবলিগের ছয় উসূল নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে থাকলো। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ইমাম শাফি এর একটা কথা আছে। "It does not befit the lion to answer the dogs."

নকিব ভাই, যাদের সাথে তর্কে আছেন তাদের জন্য এই উক্তিটি একদম যুতসই। B-))

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই,
বেআদবদের সাথে চিন্তা করেছি, আর তর্কে যাব না। কিন্তু, ঘিলুহীন মস্তিষ্ক বিকৃত অথর্বরা গায়ে পরে খোঁচাতে আসে। কাদিয়ানীদের নিয়ে পোস্ট দেয়ার পর থেকেই আমার উপর অভিশাপ, হুমকি, ধমকি ইত্যাদির বর্ষন শুরু হয়েছে। দোআ করবেন, যেন একমাত্র আমার মালিক মহান আল্লাহর উপরেই বিপদে আপদে, সুখে শান্তিতে সর্বাবস্থায় ভরসা করতে পারি। তাঁর কাছেই সাহায্য চাইতে পারি।

কৃতজ্ঞতা অনেক অনেক।
ভাল থাকবেন।

১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

করুণাধারা বলেছেন: প্রতিমন্তব্য নং ৯:

আপনি বলছেন জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন, ওরফে নাইমুর রহমান আকাশ, ওরফে আলোর বার্তা- আপনি কি নিশ্চিত তিনটাই একজনের নিক?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি শতভাগ নিশ্চিত নই। তবে, এদের ভাব ভঙ্গিমা, কাজের ধরন, একটি নিকের পক্ষে অন্যটির গতিবিধি লক্ষ্য করলে ধারনা করা কঠিন নয়- এগুলো একই ব্যক্তির মাল্টি নিক।

ধন্যবাদ জানবেন ভাই।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: শাহাদাৎ হুসাইন ভাই চমৎকার বলেছেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক। তার বলার ধরনই অন্যরকম। অনেক মজার। বিশেষ করে ভন্ডদের মুখোশ উম্মোচনে।

ভাল থাকবেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.