নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার রক্তাক্ত ফিলিস্তিন! আবার মুসলমানদের রক্তে হোলি খেলা!! মুসলিম, ফরিয়াদের হাত তোলো মহিয়ানের দরবারে!!!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯


মুসলমানদের প্রথম কিবলাহ মসজিদ ই বাইতুল মুকাদ্দাস।

জেরুজালেম মুসলমানদের সম্পদ:
হাজারও ঐতিহাসিক স্মৃতির ধারক বাহক মধ্যপ্রাচ্যের পূন্যভূমি জেরুজালেম আবার রক্তাক্ত! আমাদের প্রিয় প্রথম কিবলাহ আজ আবার রক্তাক্ত! প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের মিরাজ গমনের প্রাক্কালে এই ঐতিহাসিক পবিত্র স্থানে তিনি দু'রাকাত নামাজ পড়েছিলেন। তাঁর পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত, সত্তুরের অধিক নবী-রাসূলের পূন্য স্মৃতি ধন্য জেরুজালেম আজ ক্ষতবিক্ষত! এককালের আশ্রয়প্রার্থী ইহুদিরা অস্ত্র হাতে আজ মাস্তানের ভূমিকায়। নিরস্ত্র মুসলিমরা মুখে মুখে শ্লোগান তুলছে, বিক্ষোভ করছে! তারা পাথর ছুঁড়ে মারছে সশস্ত্র শত্রুদের! বিনিময়ে খুনি ইহুদিরা গুলি অার বোমার আঘাতে ঝাঁঝড়া করছে মুসলমানদের বুক, কেড়ে নিচ্ছে তরতাজা প্রান, খালি করছে অগনন মায়ের বুক, এতিম-অনাথ-আশ্রয়হীনে পরিনত করছে মুসলিম শিশুদের! বোমার আঘাতে, বুলড্রোজারের গর্জনে, পয়মাল-ধুলিস্যাত-নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছে মুসলিম জনপদগুলো! নারী-শিশু-যুবা-বৃদ্ধা সকলেই আজ এই সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি! গোটা ফিলিস্তিন আজ রক্তাক্ত রনক্ষেত্র! বাতাসে লাশের গন্ধ! বারুদের আগুন জ্বালিয়ে ছারখার করে দিচ্ছে জেরুজালেমের বাড়ি-ঘর-মাটি! গোটা ফিলিস্তিন আজ সন্ত্রাসের অভয়ারন্য! গোটা ফিলিস্তিন আজ রক্তাক্ত, জখম, যন্ত্রনাকাতর! বিশ্বের সবচে' বড় এবং ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কুখ্যাত ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষনা করেছেন! ট্রাম্প রক্ত চান! তার অনেক রক্ত প্রয়োজন! ইহুদিদের মাধ্যমে তিনি রক্তের টেন্ডার দিয়েছেন! তার মুসলিম রক্ত চাই! তাজা মুসলিম রক্ত ট্রাম্পের অনেক পছন্দ! ট্রাম্প ট্রাম্পই! তার পছন্দের মূল্য রয়েছে! তার চাহিদামত রক্ত দিচ্ছে ফিলিস্তিনের জনগন!



রাতের আলো ঝলমলে মসজিদুল আকসা।

মুসলিম তুমি জাগো!
ও মুসলিম! তুমি কি শুনতে পাও না? ফিলিস্তিন কাঁদছে! ফিলিস্তিনের আকাশ-বাতাসে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি করে ফিরছে ফিলিস্তিনীদের গুলিবিদ্ধ ঝাঝড়া দেহগুলো! মধ্যপ্রাচ্যের পাথুরে জমিনের লালচে রক্তাক্ত মাটি আজ আরও লাল! পূন্যভূমি ফিলিস্তিনের দু'চোখ বেয়ে আজ আর পানি পড়ে না! পানি শেষ হয়ে গেছে! এখন তাকিয়ে দেখ! ফিলিস্তিন দু'চোখ ভরে এখন অশ্রু ঝড়ায়! তোমাদের পানে তাকিয়ে ফিলিস্তিন কাঁদে! তোমরাও হয়তো কেঁদে চলেছ ফিলিস্তিনের কান্না দেখে! মহান মনিবের দরবারে! তোমাদের চোখও হয়তো ঝাপসা-ভেঁজা! তোমাদের অন্তরও হয়তো ছেঁড়া পালের মত ছিন্ন ভিন্ন! তোমাদের হৃদয়ও হয়তো ভেঙে টুকরো টুকরো! তোমরাও হয়তো অশ্রু ঝড়াও! তোমরাও হয়তো দু:খগাঁথা গেয়ে চলেছ! হ্যাঁ, তোমরা কাঁদো, অভাগা মুসলিম জাতি! কান্নাই তোমাদের হাতিয়ার! কান্নাই তোমাদের প্রতিরোধের অস্ত্র! মালিকের দরবারে কেঁদে কেটে মামলা দায়ের করতে থাকো! অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারিতদের আদালতে মামলা! চলতে থাকুক! মামলার পরিমান বৃদ্ধি পেতে থাক! মহিয়ানের দরবারে! তাঁর খাস আদালতে! তিনি মামলার শুনানী করবেন! তিনি তোমাদের মামলার নিষ্পত্তিও দেবেন! অসহায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনীদের পক্ষে রায়ও দিবেন! অবৈধ দখলদারদের উতখাতও করবেন! মুসলিম, তোমার এ কান্না নিষ্ফল হবে না! তোমাদের এ কান্না বৃথা যাবে না! তোমাদের এ রোদন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে না! তোমরা শুধু একটু জাগতে শেখো! তোমরা কাঁদতে শেখো! তোমরা ফরিয়াদ জানাতে শেখো! তোমরা রোদন করতে শেখো! তোমরা মালিক মহিয়ানের কাছে হাত পাততে শেখো! তাঁর কাছে চাইতে শেখো! তাঁর দয়ায় ভরসা করতে শেখো! তাঁর অফুরান শক্তিতে বিশ্বাস করতে শেখো! তাঁর অসীম কুদরতে আস্থা রাখতে শেখো! তাঁর কুদরতি পায়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়তে শেখো! মুসলিম, তোমার শক্তি তুমি জান না! তোমার ক্ষমতা তুমি জান না! তোমার সাহস তুমি দেখ নি! তোমার আস্পর্ধা তোমার অজ্ঞাত! তুমি জান না, বাঘ তোমার কথা শোনে! কুমির তোমার হুকুম মানে! বাতাস তোমার অনুগত! পানি তোমার বাধ্য! শত্রু তোমার বশ্যতা স্বীকার করতে তোমার পায়ে মাথা ঠুকে মরতে বাধ্য! তুমি শুধু আল্লাহর হও! মান লাহুল মাওলা ফালাহুল কুল! যার রব, তার সব! মুসলিম, তুমি শুধু তাঁর হও! তোমার বিশ্বাসকে তাঁর জন্য খাঁটি কর! তোমার ঈমানকে মজবুত কর! তোমার চেতনাকে তাঁর জন্য নিবেদন কর! তোমার সাধনা-আরাধনা-অধ্যাবসায়কে তাঁর জন্য মওজুদ কর! মুসলিম, তোমার চোখের সামনে ঝুলানো পার্থিব মোহের রঙিন পর্দা সরিয়ে দাও! তুমি তাকাও! অন্তর্দৃষ্টি মেলে দাও তোমার! দিগন্তজোড়া তোমার মালিকের রাজত্ব! তোমার মালিক মহান! তিনি ক্ষুদ্র নন! তিনি অপারগ নন! তিনি অভাবী নন! তিনি অনন্ত! তিনি অসীম! তিনি অভাবমুক্ত! অভাবনীয় তাঁর মহত্ত্ব! অকল্পনীয় তাঁর আজমত! অচিন্ত্যনীয় তাঁর পূর্নতা! তিনি পারেন! তিনি সব পারেন! ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানবতাকে মুক্তি দিতে তিনি পারেন! তিনি সব পারেন! তিনি কী না পারেন! প্রয়োজন তাঁর কাছে শুধু চাওয়া! তাঁর দরবারে ফরিয়াদ জানানো! তাঁর নিকট সোপর্দ-আত্মসমার্পিত হওয়া! তাঁর প্রতি বিশ্বাসে-ভক্তিতে প্রজ্ঞার পরিচয় দেয়া! তাঁর দাসরূপে তাঁকে মান্য করা! তাঁর দয়ার পানে তাকিয়ে থাকা! তিনি অসীম দয়ালু! দয়া করাই তাঁর স্বভাব! তিনি দয়া করবেনই!



ফটকের কাছ থেকে তোলা আকসা মসজিদের ছবি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

কালীদাস বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে একমত। আমি অন্য কিছু বলতে চাই।

আপনার লেখাটায় অনেক আবেগ এসেছে। স্বাভাবিক। কিন্তু একটা জিনিষ ভেবে দেখুন; মুসলিম জাতি কতটা ঐক্যবদ্ধ? জানি অনেকেই বলবে, আমেরিকানরা এটা চায় বলেই চলছে। খুব ভাল লজিক না। আমেরিকানরা পারছে কেন আমাদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে? মিডলইস্টার্ণরা সারা দুনিয়ার মুসলিমদের লীডার, এদের শিক্ষা-দীক্ষা কতটা উপযুক্ত বর্তমার বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে? ডিপ্লোমেটিক প্রতিবাদ করতে হয় কিভাবে এটা অনেকেই জানে না। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা মানেই বারে গিয়ে আকন্ঠ মদ গেলা বা বেগানা আওরাতের সাথে নাচানাচি না এটা আমাদের বুঝতে হবে সবার আগে।

আরাফাতকে অনেকেই পছন্দ করত না। মিডলইস্টার্ণরাও করত না। এখন দেখেন অবস্হা। আরাফাত নিজে যোদ্ধা হলেও শেষপর্যন্ত ডিপ্লোমেসির গুরুত্ব বুঝতেন; আরাফাতের মৃত্যুর পর নেহায়াত পাড়ার মাস্তান টাইপের লোকজন এখন লিডে। এভাবে চলে? আর সবার উপরে আরব বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক অবিশ্বাস।

আমি আরেকটা জিনিষ নিয়ে ভয়ে আছি। মসজিদুল আকসার উপরে ক্যাথলিকরা এখনও কিছু দাবি করছে না। ঐটা করলে জিনিষটা ভয়ংকর চেহারা নেবে। কমলাচুলের গাধাটা অজস্র বিশৃংখলার মধ্যে চলতে থাকা শৃংখলাটুকু নষ্ট করার স্পার্ক দিয়েছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার লেখাটায় অনেক আবেগ এসেছে। স্বাভাবিক। কিন্তু একটা জিনিষ ভেবে দেখুন; মুসলিম জাতি কতটা ঐক্যবদ্ধ? জানি অনেকেই বলবে, আমেরিকানরা এটা চায় বলেই চলছে। খুব ভাল লজিক না। আমেরিকানরা পারছে কেন আমাদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে? মিডলইস্টার্ণরা সারা দুনিয়ার মুসলিমদের লীডার, এদের শিক্ষা-দীক্ষা কতটা উপযুক্ত বর্তমার বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে? ডিপ্লোমেটিক প্রতিবাদ করতে হয় কিভাবে এটা অনেকেই জানে না। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা মানেই বারে গিয়ে আকন্ঠ মদ গেলা বা বেগানা আওরাতের সাথে নাচানাচি না এটা আমাদের বুঝতে হবে সবার আগে।

আরাফাতকে অনেকেই পছন্দ করত না। মিডলইস্টার্ণরাও করত না। এখন দেখেন অবস্হা। আরাফাত নিজে যোদ্ধা হলেও শেষপর্যন্ত ডিপ্লোমেসির গুরুত্ব বুঝতেন; আরাফাতের মৃত্যুর পর নেহায়াত পাড়ার মাস্তান টাইপের লোকজন এখন লিডে। এভাবে চলে? আর সবার উপরে আরব বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক অবিশ্বাস।

আমি আরেকটা জিনিষ নিয়ে ভয়ে আছি। মসজিদুল আকসার উপরে ক্যাথলিকরা এখনও কিছু দাবি করছে না। ঐটা করলে জিনিষটা ভয়ংকর চেহারা নেবে। কমলাচুলের গাধাটা অজস্র বিশৃংখলার মধ্যে চলতে থাকা শৃংখলাটুকু নষ্ট করার স্পার্ক দিয়েছে।


-আপনার মূল্যবান অনুধাবনে কৃতজ্ঞতা। আসলে, ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যতটা পরিচিত ছিলেন, ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ বিশ্ব সভায় যেভাবে অকপট উপস্থাপন করতে পেরেছিলেন, সে বিচারে তার মত দক্ষ-যোগ্য পরবর্তীতে কাউকে দেখা যায় নি। আসলে পাওয়া যাবে কিভাবে? যিনিই মাথা তুলে দাঁড়াতে আসেন, ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্বের হাল ধরতে আসেন তাকেই টার্গেট করা হয়। তাকেই খুন করার নেশায় মেতে ওঠে জঙ্গি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। যার ফলে যোগ্য নেতা যেমন তৈরি হচ্ছে না, তেমনিভাবে যোগ্যদের এ পৃথিবীর আলো দেখার পূর্বেই টার্গেট কিলিং এর মাধ্যমে আঁধারের জগতে সরিয়ে দেয়া হয়। উদাহরন স্বরূপ, শাইখ আহমাদ ইয়াসিন রহমাতুল্লাহ আলাইহি একজন উঁচু মানের আল্লাহ ওয়ালা আলেম এবং গনমানুষের পছন্দের অত্যন্ত প্রিয় নেতা ছিলেন। ফিলিস্তিনী মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের প্রতিষ্ঠাতাদের তিনি ছিলেন অন্যতম। বর্ষীয়ান এই আলেমে দ্বীনকে খুন করার পরিকল্পনা করে অভিশপ্ত ইহুদিরা। এবং এক দিন ফজর নামাজে যাতায়াতের সময় এই মহান ব্যক্তিত্বকে লক্ষ্য করে অত্যন্ত কাছ থেকে বিমান হতে বোমা বর্ষন করে তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিন্ন ভিন্ন করে তাকে শহীদ করে দেয়া হয়। এভাবে ফিলিস্তিনের যাকেই ওরা প্রতিভাধারী মনে করে, ইহুদি স্বার্থের বিরুদ্ধে হুমকি মনে করে তাকেই টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে ওদের পথ পরিষ্কার করার ঘৃন্য নীতি অবলম্বন করে চলেছে।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের করার কিছু নেই। ফিলিস্তিনিরা নেতা ঠিক করতে পারেনি। তারা আরব দের সাথে রাখতে পারেনি...

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

এই ব্যর্থতা ফিলিস্তিনীদের! এই ব্যর্থতা আরবদের! এ্ই ব্যর্থতা গোটা মুসলিম উম্মাহর!

প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় দয়া করে পূর্বোক্ত কালিদাস ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবটি যদি দেখে নেন!

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম | জেরুজালেম নিয়ে মুসলিমদের আবেগটা আপনার লেখায় আছে | সেই আবেগটা থাকা সব মুসলিমেরই দরকার | আসলে আমার মনে হয় মুসলিমরা আরো অনেক বেশি পড়াশোনা জানলেও (মানে জ্ঞানে বিজ্ঞানে উন্নত থাকলেও) এই অবস্থা হতোই |কারণ জু আর খ্রিস্টানদের একটা গ্রূপ জেরুজালেম নিয়ে এই মার্ কাট কাট অবস্থাটা করতোই | দুটোই থিয়োলোজিকাল কারণে | জুরা বিশ্বাস করে এটা তাদের বসবাসের জন্যই নির্ধারিত স্থান |তাই তারা যেভাবেই হোক এর মালিকানা দাবি করবে | আর খ্রিস্টানদের মধ্যে একটা গ্রূপ কে এখন বলা হচ্ছে "ক্রিশ্চান জায়োনিস্ট" গ্রূপ | এই "ক্রিশ্চান জায়োনিস্ট" গ্রূপতা যে জুদের ভালোবেসে এখন সমর্থন দিচ্ছে তা না | এই গ্রূপটা চায় জেরুজালেমকে মুসলিমদের হাত থেকে নিয়ে যেভাবেই হোক জুদের হাতে দিতে | কারণ এরা বিশ্বাস করে তার পরেই হজরত ঈসা আসবেন এবং তার শত্রুদের (জুদেরও ) ধ্বংস করবেন | এদের সাথে যেহেতু এখনকার পৃথিবীর সবচেয়ে টেকনোলোজিকালি এডভান্সড দেশগুলো আছে তাই এখন এরাই সুবিধাজনক জায়গায় | জেরুজালেম প্রশ্নে মুসলিমদের এই অবস্থা শুধু ডিপ্লোম্যাটিক ফেইলিয়রের বা অনৈক্যের কারণেই হয় নি বলেই আমি মনে করি | ভালো লাগলো আপনার লেখা | ধন্যবাদ নিন |

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনি অনেক পরিশ্রমী। বিশেষ করে ব্লগে আপনার সুচিন্তিত প্রতিটি পোস্ট এবং কমেন্ট অনন্যতায় ধন্য। আমরা লক্ষ্য করি। উপভোগ করি। আনন্দিত হই। আপনি দীর্ঘজীবি হোন। আরও বেশি বেশি ভাল কিছু জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হোন- দোআ করি।

আসলে প্রিয় প্রথম কিবলাহ আর ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষগুলোকে নিয়ে মনের ভেতরে জমে থাকা কিছু আবেগ, কিছু ব্যথা, কিছু আঘাত এলোমেলোভাবে উঠে এসেছে লাইন ক'টিতে।

ভাল থাকবেন।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ।

বাবু ভাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন তো? অনেক দিন কথা হয় না।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও ধন্যবাদ।

ভাবীসহ পরিবারের সকলকে নিয়ে কুশলে আছেন নিশ্চয়ই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.