নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
তাওবা মানুষকে নিষ্পাপ বানিয়ে দেয়। মানুষ যখন তাওবা করেন, আল্লাহ পাক তাকে ক্ষমা করে দেন। তাঁর রহমতের দরিয়ায় জোশ আসে। তিনি তাঁর প্রেরিত অনুতপ্ত খলিফাকে মাফ করে দেন।
আল্লাহ পাক তো বান্দার প্রতি মায়ের চেয়েও লক্ষ-কোটি গুন বেশি মায়া রাখেন। আমাদের পাপরাশির কোনো মূল্য বা প্রভাবই নেই মহান আল্লাহর ক্ষমা এবং দয়ার সামনে। হাদিসেও একথা এসেছে, আল্লাহ পাক সবচে' বেশি খুশি হন বান্দা যখন তাওবা করেন। বান্দার তাওবা দর্শনে আল্লাহ পাক কতটা খুশি হন?
'ইজা- তা-বাল আবদু লাহুল ক্কনা-দী-লু ফিচ্ছামা-য়ি'।
'বান্দা যখন তাওবা করে, আসমানে সাজ সাজ রব পড়ে যায়।' আসমানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়। সম্পদশালীগন যেমন নাকি বিয়ে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে জ্বালিয়ে থাকেন। আর ফিরিশতাকে ঘোষনা করতে বলা হয়-
'ইসত্বালাহাল আবদু ইলা- মাওলা-হু'।
'হে আসমানবাসীগন, শোনো, আজ এক বান্দা তার মালিকের সাথে, তার প্রভূর সাথে সন্ধি করে নিয়েছে।'
সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহি বিহামদিহী-! সুবহানাল্লাহিল আজী-ম!
আহ! কত দয়ালু আমার মালিক! কত বড় ক্ষমাশীল তিনি!
তাঁর কাছে হাত বাড়ালেই তিনি দিয়ে দেন! তাঁর দিকে ফিরে আসলেই তিনি আশ্রয় দেন! তাঁর ডাকে সারা দিলেই তিনি কোলে তুলে নেন!
ধুয়ে মুছে সাফ করে দেন সমস্ত গোনাহ! সকল পাপরাশি! আহ! তাঁর সাথে সম্পর্ক না গড়া কত বড় অন্যায়!
তিনি মায়ার নজরে দরদী কন্ঠে বান্দাকে ডেকে ডেকে বলেন-
'ইয়া ইবনা আদাম, লাও বালাগাত জুনূবুকা ই'না-নাচ্ছামায়ি ছুম্মাস্তাগফারতানী- গফারতু লাকা ওয়ালা- উবা- লী।'
'হে আদম সন্তান, যদি তোমার পাপরাশি জমিনকে পূর্ন করে আসমানের কিনার ছুঁয়ে যায়, আর ঐ অব্স্থায় তুমি বলো- 'হে আল্লাহ, আপনি আমাকে মাফ করে দিন' - সাথে সাথে তোমাকে এমনভাবে আমি মাফ করে দেব, যেন তুমি কোনো পাপই করোনি।'
এমনই দয়ালু, এমনই ক্ষমাশীল আমার মহান মালিক! মহিয়ান প্রভূ! ক্ষমা করাই তাঁর অভ্যাস! তিনি তো চান বান্দার বিনয়ী চেহারাটা একটু দেখেন! তিনি তো চান, বান্দা ফিরে আসুক তাঁর দিকে! ফরিয়াদের কাঁপা হাত তুলে দিক তাঁর আলীশান দরবারে!
হাদিসে এসেছে, 'প্রত্যেক বনী আদম অপরাধী। এর ভেতরে তারাই উত্তম যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।'
আহ! কেমন দয়ালু আর ক্ষমাশীল আমার দয়ালু প্রভূ! হাদিসে এসেছে। আল্লাহ পাক বান্দাকে ডেকে ডেকে বলেন-
'ইন্ তাক্কাররাবা ইলাইয়্যা শিবরান,'
'হে আমার বান্দা, তুমি যদি আমার দিকে এসো এক বিঘাত',
'তাক্কাররাবতু ইলাইহি জিরা'-আন',
'আমি তোমার দিকে এগিয়ে যাবো এক হাত',
'অইন্ তাক্কাররাবা ইলাইয়্যা জিরা'-আন',
'তুমি যদি আমার দিকে এসো এক গজ',
'তাক্কাররাবতু ইলাইহি বা'-আন',
'আমি তোমার দিকে এগিয়ে যাবো দুই হাত',
'অইন্ আতা-নী ইয়ামশী-',
'তুমি যদি আমার দিকে আসো হেটে',
'আতাইতুহু হারওয়ালাহ'।
'আমি তোমার দিকে দৌড়ে যাবো'।
আল্লাহু আকবার!
কত বড় কারিম, রহীম, রহমান, দয়ালু আল্লাহ তাআলা। বান্দা সামান্য মনস্থির করে তাঁর দিকে অগ্রসর হওয়ার উদ্যোগ নিবেন, আর তাঁর রহমত দৌড়ে এসে বান্দাকে জড়িয়ে নিবে আপাদমস্তক! আল্লাহু আকবার! তিনি মহান! সত্যি তিনি মহান!
এমন দয়াশীল পরম দয়ালু মালিককে কি ভুলে থাকা যায়, প্রিয় বন্ধূ! এমন উদার দাতা, এমন মহান প্রভূকে ফেলে কাকে নিয়ে থাকা যায়! এ হৃদয়ে তাঁকে ছাড়া কাকে আর রাখা যায়! এ হৃদয়ে তাঁরই থাকার স্থান!
আসুন না, মালিকের সাথে আমাদের সম্পর্কটাকে একটু নবায়ন করে নিই! তাওবা ইসতিগফার পড়ে অনুশোচনায় দগ্ধ হই! অতিতে কৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা চাই! চোখের দু'ফোটা তপ্ত অশ্রু ফেলে তাঁর দরবারে কাঙ্গালের বেশে ফরিয়াদি হই! হৃদয়ের তন্ত্রী ছেঁড়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি! আল্লাহ পাকের কুদরতি পায়ে লুটিয়ে পড়ে ক্ষমা ভিক্ষা চাই তাঁর শাহী দরবারে!
তিনি অবশ্যই আমাদের ক্ষমা করে দিবেন! তাঁর ক্ষমার বদৌলতে আবার লাভ করি- নিষ্পাপ নতুন জীবন! এবং তা আজকেই, ইনশাআল্লাহ!
১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। আপনার কি মনে হয়?
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তওবা করার সুযোগ দিন।
১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
অাপনার প্রার্থনা আল্লাহ পাক কবুল করুন।
কেমন আছেন, সোহেল ভাই?
অনেক ভাল থাকুন।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
ন্যায়দন্ড বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি একপেশে চিন্তাবিদ।
১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
হতেও পারি হয়তো। কিন্তু, লক্ষনটা বুঝলেন কিভাবে?
আপনাকে ধন্যবাদ জানাবো এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো, আমার ভুল ধরিয়ে দিলে।
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
ন্যায়দন্ড বলেছেন: কারণ মহান আল্লাহর উপর আপনার বিশ্বাস নেই। যা বলেন এবং করেন তা নিজের ইচ্ছা মতো করেন এবং বলেন।
এই দুনিয়ার যা ঘটে তা সব আল্লাহর ইশারায় হয়, তা বিশ্বাস করেন?
১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
কিভাবে বুঝলেন, মহান আল্লাহর উপর আমার বিশ্বাস নেই?
আল্লাহ পাকের ইশারা ছাড়া কিছুই হয় না, কিন্তু আল্লাহ পাক আপনাকে যা করতে বলেছেন, তা কি করবেন? না কি হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকে ভাবতে থাকবেন, যা কিছু হবে তা তো আল্লাহর ইচ্ছায়ই হয়।
ভেবেছিলাম, গুরুতর কোনো ভুল হয়ে গেছে বুঝি। যা বললেন, এগুলো প্রাইমারি লেবেলের কথাবার্তা। জ্ঞানের পরিধি সম্প্রসারন না করলে নামকাওয়াস্তে বিচারকের ভাত নেই। ন্যায় কোনটা, আর অন্যায় কোনটা, সেটাই বুঝা দরকার আগে। এখানেই প্যাঁচে পড়ে অনেকের দেখেছি, জীবন সাঙ্গ হয়ে যায়।
ভাল থাকুন।
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
ন্যায়দন্ড বলেছেন: দেখলেন তো, প্রাইমারিতেই আপনি ভুল করলেন।
যে প্রাইমারিতেই ভুল করে, তার সবটাই ভুল।
তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। ক্ষমা চান।
" হে খোদা তুমি এদের জ্ঞান দান করো, এদের ক্ষমা করো"
২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা তো চাইতেই হবে।
তবে, প্রাইমারিতে ভুল বোধ হয় আমি করিনি। আপনার দন্ডটি ন্যায়ের, না কি অন্যায়ের? আপনি তো একচোখা। না বুঝেই দন্ডদাতা সেজে বসে আছেন। আপনার বুঝ-জ্ঞানে ম্যাচিউরিটি আসার এখনও অনেক বাকি।
প্রথমেই আপনি এসেছেন ফালতু প্রশ্ন নিয়ে। আপনার হিসেবে ভুল আছে। হিসাব ঠিক করুন। সব ঠিক হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
ন্যায়দন্ড বলেছেন: পৃথিবীতে আপনার প্রিয় বস্ত কি এবং কেন?
এখানেই উত্তর পাবেন, আপনার সব ভুলের।
২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
এটা প্রত্যেকের জন্য প্রযোজ্য। নিজেকে জানার ক্ষেত্রে আপনিও নিজের আত্মাকে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ।
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে পাপ করবো আর তওবা করে যাবে? ঝামেলা শেষ?
মৃত্যুর পর শাস্তি হবে না?
২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এর মানে, বুঝে শুনে পাপ করেই যাব- তা নয়। বরং, না বুঝে, ধোঁকায় পড়ে অথবা নিতান্ত অপারগতায় কোনো অন্যায় হয়ে গেলে তার জন্য আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আশা করা যায়, তিনি সকাতর প্রার্থনা মঞ্জুর করবেন।
ভাল থাকুন।
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
আলোর পথে বিডি বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১ সময়ের কসম
২ নিশ্চয় সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্ততায় নিপতিত।
৩ তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ
দিয়েছে।
আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
"প্রত্যেক আদম সন্তানই পাপ করে, পাপীদের মধ্যে তারাই সর্বোত্তম যারা তওবা করে।"
রাজীব নুর , ভাই তওবা করলেই ক্ষমা পাবেন , নিশ্চয়তা নাই। অতএব পাপ থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকতে হবে । জাজাক আল্লাহ খাইরান ।
২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন। জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা- খাইরাল জাজা'।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
ন্যায়দন্ড বলেছেন: আপনি কি কখনো তওবা করেছেন?