নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'অহিংসা পরম ধর্ম\', আহারে, কি সুন্দর মুখরোচক বানী!

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০



সাম্প্রতিক আরাকান মিয়ানমার নিয়ে অনেক লেখালিখি হয়েছে। গল্প-কবিতা-ফিচার কত যে লেখা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। বই পর্যন্ত প্রকাশ করেছেন অনেকে। সবাই লিখছেন। কিন্তু ফলাফল কি একটুও পাল্টেছে? অবস্থা কি সামান্য পরিমানও বদলেছে? হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়নের খড়গ কি তাদের মাথার উপর থেকে এক চুলও সরে গেছে? হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন! আমি নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা বলছি! আরাকানের বিপন্ন মানবতার কথা বলছি! বার্মিজ রক্তখেকোদের অত্যাচারের স্টীমরোলারে জর্জরিত নাস্তানাবুদ বিভীষিকাময় এক মৃত্যুকূপের কথা বলছি! রোহিঙ্গাদের নিয়ে লিখতে লিখতে লেখকরাও বোধ করি এখন ত্যক্ত-বিরক্ত-বিতশ্রদ্ধ। এদের নিয়ে লিখলে লাভ হয় কি কোনো? কেউ কি এদের নিয়ে লেখা কোনো ফিচার সংবাদ পড়েন? এদের রক্তের কি দাম আছে কোনো? এরা কি আসলে বাকি সভ্য বিশ্ববাসীর কাছে মনুষ্য প্রজাতির বলে স্বীকৃত?



আমরা আজ আধুনিক দাবি করি নিজেদের। বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ছড়াছড়িতে বিশ্ববাসী গৌরব বোধ করেন। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নয়ন আর উতকর্ষতায় পৃথিবী যখন এই গ্রহটিকে উন্নত শিক্ষিত সজাগ জাতি হিসেবে পরিচয় দেয়াকে গর্বের আর গৌরবের বিষয় মনে করছে, তখন অবাক বিস্ময় নিয়ে আমি পৃথীবির দিকে তাকিয়ে থাকি! কর্দমাক্ত এ গ্রহটির দিকে তাকিয়ে এর মানচিত্র বোঝার চেষ্টা করি! উঁচু নিচু অভাজন বিভাজন পরিমাপের প্রচেষ্টায় গলধঘর্ম হই! প্রিয় পৃথিবীর আবাস এই ছায়াপথের পানে তাকাই অবাক বিস্ময়ে! পৃথিবীর গতিপথ নিয়ে ভাবনায় ডুবে যাই! ভাবি, বিভিষিকাময় এ কোন সময় পার করছি আমরা? জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত সভ্য শিক্ষিত সুসংগঠিত এক জাতিগোষ্ঠি হিসেবে ঘোষনা করছি, তখনো চলছে মর্ত্যের পরতে পরতে আদিম বর্বরতা! আজো সীমান্তে সীমান্তে পাখির মত মরছে মানুষ! বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে হাজারো লাখো মানুষ! ইরাক-আফগান-পাকিস্তান-সিরিয়ায় লাশের নহর! লিবিয়ার মাটি খুড়ে শান্তি কেড়ে নেয়া হয় আটলান্টিকের ওপাড়ে! গোটা ফিলিস্তিন আজও শবমিছিলের শহর! শব মিছিলেও সেখানে গুলি ছুঁড়ে মারে আততায়ী ইসরাইল! মারে ইঙ্গ-মার্কিন জঙ্গিগনও! তবে, তাদের নামে জঙ্গি অপবাদ ওঠে না! জঙ্গি বলতে পৃথিবীতে একমাত্র একটি জাতিই চিহ্নিত! জঙ্গি মানেই মুসলিম! জঙ্গি মদদদাতা মানেই ইসলামী বিশ্ব! ওরা মারলে হয় 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা'! দেশে দেশে মুসলিম যখন বাঁচার আঁকুতিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরে, প্রতিরোধের অস্ত্র হাতে তুলে নেয়, তখন তাকে বলা হয় 'জঙ্গি'। তাকে বলা হয়, 'উগ্রবাদী'। ইহুদীদের বুলেট আর বুলড্রোজারের আঘাতে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া ফিলিস্তিনীদের বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে ইসরাইলী দখলদারদের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারা বালককে ধরে নেয়া হয়, জঙ্গি ততপরতার অপরাধের শাস্তি দেয়ার জন্য! বালিকা-কিশোরীদেরও নেয়া হয়! তবে, তাদের দিয়ে মেটানো হয় ইহুদী সেনাদের যৌনক্ষুধা! হায়রে মানবতা! হায়রে পৃথিবী! এ কোন্ পৃথিবীর চেহারা দেখছি আমরা আজ!



আজ আরাকানে ছিন্ন ভিন্ন হচ্ছে সভ্যতা! নীরিহ নিরপরাধ মানুষেরা সর্বস্ব হারিয়ে নি:স্ব হচ্ছে! তারা সব কিছু দিয়ে দিচ্ছে! দিতে বাধ্য হচ্ছে! ইজ্জত দিচ্ছে! আব্রু দিচ্ছে! এবং সবশেষে জীবনটাও! তাদের দিতে হচ্ছে! আমরা অসহায় নেত্রে তাকিয়ে থাকি! তাদের করুন পরিনতি দেখি! নির্মম মৃত্যু দেখি! একটি জাতির একটি সভ্যতার পতন দেখি! একটি এলাকার-একটি লোকালয়ের ধ্বংসাবশেষের করুন বিভতস দৃশ্যপানে তাকিয়ে থাকি! হায় হায় এ দেখার কি কোনো সমাপ্তি-পরিসমাপ্তি আছে!

গৌতম বুদ্ধকে ভালো মানুষ মনে করতাম। এখনও করি। 'অহিংসা পরম ধর্ম', এটা তো সম্ভবত: তাঁরই মুখ নি:সৃত বানী! আহারে, কি সুন্দর মুখরোচক বানী! কত শ্রুতিমধুর সাধু সজ্জনীয় বক্তব্য! আহহা! আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, আর তার অনুসারী মিয়ানমারের বৌদ্ধগন যে পরিমান 'হিংসা' প্রতি দিন, প্রতিনিয়ত জগতকে উপহার দিচ্ছে, ভদ্রলোক তা দর্শনে কেবল নিজের বাড়ি-ঘরই নয়, সম্ভবত: দুনিয়া ছেড়েই চলে যেতেন!

লতা-পাতা আর ঘাস-সবজি খাওয়া প্রানীদের নাকি মাথা ঠান্ডা থাকে! তারা নাকি অন্যের উপরে হামলে পড়ে না! কিন্তু এ কোন্ ঠান্ডা মাথার বুদ্ধ ভক্তদের দেখছে সভ্য পৃথিবী? মহান বুদ্ধের শিক্ষা কি এমনই? খুনখারাবি? রক্তপাত? হত্যাযজ্ঞ? জাতিগত নিধন? অগ্নি সংযোগে বাড়িঘর লোকালয় পুড়ে ছাই ভস্ম করা? শিশুদের হত্যায় মেতে ওঠা? যুবকদের মেরে ফেলা? নারী-কিশোরী-যুবতীদের ধর্ষনের মহড়া দেয়া? গ্রামের পর গ্রামে লুটতরাজ চালিয়ে যাওয়া?

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: শেষযুগে সকলের মুখোস খুলে পড়বে এটা তারই নমুনা। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের শাসকশ্রেনী, হিন্দু-খৃষ্টান-বুদ্ধ, ইহুদী, গনতন্ত্র-কমুনিষ্ট, নাস্তিকতা, মানববাদী, পরিবেশবাদী, নারীবাদী ইত্যাদি সকলের প্রতিপক্ষ একমাত্র ইসলাম।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



কঠিন সত্যটি সাহস করে বলে দিলেন!

হাদিসে রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এমন ভবিষ্যত বানী রয়েছে। সেই দিকে দ্রুত ধাবমান পৃথিবী। এটাই বর্তমান পৃথিবীর অনাকাঙ্খিত বাস্তবতা।

প্রথম কমেন্ট নিয়ে আগমনে অভিনন্দন। মোবারকবাদ। ভাল থাকার দোআ নিরন্তর।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: হৃদয় গ্রাহী পোস্ট, মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে গেলে ইহুদীরা সহ অন্যরা সমীহ করবে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

অনেক ভাল থাকার দোআ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

ক্স বলেছেন: বৌদ্ধরা কেউ বুদ্ধের নামে মানুষ মারেনা - এটা একটা কমিউনাল ক্ল্যাশ, এর মধ্যে ধর্মকে টেনে আনা নেহাত বোকামি। মিয়ানমারে শুধু মুসলিমরাই নয়, হিন্দুরাও অত্যাচারিত হচ্ছে। থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের কারেন গোত্রের প্রায় ৬/৭ লাখ শরণার্থী আছে - এদের ৯০% ই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য ভাল লাগলো। ঠিক আছে। আপনার কথা মেনে নিলাম। ধরলাম, তারা রোহিঙ্গাদের জবাই করার সময়ে বুদ্ধের নাম উচ্চারন করে না। তাতে কি? তাতে কি তাদের পরিচয় পাল্টে যায়? তাদের অহিংস নীতির আড়ালে মানবেতিহাসের নিকৃষ্ট রক্তখেকো মুখ কি ঢাকা পড়ে যায়? তারা যে মগ, দস্যু, খুনির জাতি, সেই পরিচয় কি ঢেকে রাখা সম্ভব হয়?

ভাই, দু:খিত! বুদ্ধের শিক্ষা যাদের ভেতরে নেই, তাদের উচিত তাঁর পরিচয়ে নিজেদের পরিচয় দেয়া থেকেও বিরত থাকা। এমন নির্মম খুনীরা কোন্ মুখে বলে, 'অহিংসা পরম ধর্ম'?

ভাল থাকুন।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: অহিংসা পরম ধর্ম', আহারে, কি সুন্দর মুখরোচক বানী! ------
--- ও মায়ার্মার শাসকরা বুঝি বুদ্ধ ধর্মের নামে অপকর্ম করছে , আই এস আই , তালেবানদের মত যাদের মুখে কি সুন্দর মুখরোচর বাণী --- ইসলাম শান্তির ধর্ম , ইসলাম শান্তির ধর্ম !!!!!
--
যে সমস্ত লোক জাতীগত বিদ্বেষকে ধর্মীয় বিদ্বেষ বলে চালায় তারা চরম ভন্ড শ্রেণীর মানুষ. আরাকানে কমু নামে একটা সম্প্রদায় আছে যাদের সবাই মুসলমান , তারা কেন নির্মমতার শিকার নহে , মগ মার্মা জাতীর ভিতর মুসলমানরা কেন আক্রমণের শিকার হয় না । রহিঙ্গা হিন্দুরা কেন আক্রমনের শিকার হয় ।
বার্মা সরকার ধর্মের নামে কোন অত্যাচার করছে না যে --- এই ধরনের হেডিং হবে ---- অহিংসা পরম ধর্ম', আহারে, কি সুন্দর মুখরোচক বানী! আপনার যেমন --- ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে -- সব অপকর্ম চালাতে পারেন , বার্মা সরকার কিন্তু মুখে এই ধরনের কোন ধর্মীয় বাণী উচ্চারন করে অত্যাচার চালাচ্ছে না !!!!

আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি মার্কা মানুষ গুলো বুঝি এই রকমের ভন্ড হয় । সব কিছুরে ধর্মীয় লেবাস দিতে চায় , যত্তসব !!!!

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মনে হয় মিয়ানমারের খুনীদের থেকে নগদ কিছু জুটেছে! কড়িটড়ি! দানাপানি!

ভাল করে বুঝে নিন হে মিয়ানমার সৈনিক! ইতরামির জায়গা এটা নয়! খুনীদের দোসরদের রক্তখেকো কোনো মুখ দেখার ইচ্ছে আমাদের নেই! সময়ও নেই!

তা, আপনি তো আবার ..ছা ভাড়া দেন! মিয়ানমারের খুনিদের কাছে গেলেন কবে? তা মালপানি জুটলো কেমন? ওখানের দায়িত্ব শেষ হয়ে গেলে এই পোস্টে অন্তত: আপনার দরকার নেই! আপাতত: অন্য কোথাও গিয়ে মারিয়ে আসতে পারেন!

বোগাস, রাবিশ কোথাকার!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

এ আর ১৫ বলেছেন: থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের কারেন গোত্রের প্রায় ৬/৭ লাখ শরণার্থী আছে - এদের ৯০% ই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

এর জবাব কি ??? রহিঙ্গারা যদি বেশির ভাগ মুসলমান না হোত তাহোলে , এনারা কোন প্রতিক্রীয়াই প্রকাশ কোরত না । এটা কি ধর্মীয় নিপিড়ন না জাতীগত নিপিড়ন ????

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



এর জবাব আপনি দেন মহামহোপাধ্যায় মহোদয়!

তবে আমাদের ধারনা, রোহিঙ্গারা যদি বেশির ভাগ মুসলমান না হোত তাহোলে, আপনার মত কূপমন্ডুক, উগ্রবাদী ব্যতিত আর কেউ নিরব নিশ্চুপ থাকতো না। খুনিদের দোসরের রক্তখেকো মুখ আদৌ দেখতে ইচ্ছে হয় না!

আরাকানে প্রতি দিন জবাই হচ্ছে মানবতা, আর কিছু অথর্ব রয়েছে, যারা দু'হাতে জোড় তালি বাজিয়ে নষ্ট উল্লাসে মেতে ওঠে!

নষ্ট কোথাকার!

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: ধর্ম অনেক ভাল কথা বলে গিয়েছে, মানুষ শুনেছে। বুঝতে গেলে মনে হয় পৃথিবী তার আপন গতিতে চললেও বিজ্ঞান এখনও মানব চর্চার কেন্দ্র কি সেটা বুঝতে পারেনি তাই বিজ্ঞান পদার্থ নির্ভর মানুষ কে নীতি শেখাতে পারেনি আজও।ভালো নীতি। ----তারা নিজেরাই নীতি বানায় আর সময়ে সময়ে আবার নিজেরাই ভাঙ্গে সেটা। তাই আমার মনে হয় শরীর চর্চার মত বিষয় গুলি ইদানিং মানব সমাজে বিভিন্ন প্রাসঙ্গের অবতারনা করতে খুব তৎপর। এগুলো অনেক প্রাসঙ্গিক।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

অনেক ভাল থাকুন।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার লেখায় অনেক ভুল ধারণা থাকে; রোহিংগাদের কথা বলতে গিয়ে সায়েন্সের অসারতার কথা বলেছেন; আসলে, রোহিংগারা যদি প্রথম থেকেই শিক্ষিত হতো, সায়েন্স জানতো, ওরাই বার্মা চালাতো; ওরা অশিক্ষিত হওয়ায় বিপদে পড়েও টের পায়নি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি তো বুঝতে চেষ্টা না করেই পাটকেল একখানা ছুঁড়ে দিলেন, 'আপনার লেখায় অনেক ভুল ধারনা থাকে'। বলি, রোহিংগা জনগোষ্ঠী অশিক্ষিত বলে মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠীও কি তাই? সভ্য দাবীদার বাকি পৃথিবীও কি অন্ধকারাচ্ছন্ন মধ্যযুগে বসবাস করছে?

দুনিয়াজুড়ে যারা মুসলিম দেশ দেখে দেখে তেল স্বর্ন ইত্যাদি লুটের মহরায় মত্ত হয়ে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নির্বিশেষে লাখো মানুষের রক্তে নিজেদের পাপিষ্ট হাত রঞ্জিত করেছে, শত শত বোমা ফেলে ইরাক, লিবিয়া, আফগানের পাহাড়ি-পাথুরে মাটি ঝাঁঝরা-বিদীর্ন করেছে; আজ কোথায় সেই ইঙ্গ-মার্কিন দখলদার তস্কররা? তারা কেন আজ নির্বিকার? তাদের মুখে রা নেই কেন? নিকটতম প্রতিবেশি হিসেবে যাদের ছিল অনেক দায়িত্ব সেই মৌলবাদী উগ্র মোদি নিরব কেন? এরা সম্মিলিতভাবে এসে গনহত্যার দায়ে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মিয়ানমারের গলা টিপে দেয় না কেন?

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: নতুন নকিব :
সুন্দর হয়েছে লেখা | মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার কাল্কুলেটিভ টার্গেট কিলিং | এর বাইরে এটাকে ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ এখন নেই |

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



একদম পারফেক্ট বলেছেন। এককথায় বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানবেন।

ভাল থাকুন।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি বাকী যা বলেছেন তা নিয়ে আলোচনা চললেও মহান গৌতম বুদ্ধের উপর আরোপিত অভিযোগটি প্রত্যাহার করুন।

নয়তো আপনার প্রিয় নভীর উপর্ও এরকম বা এরচে জঘণ্য অভিযোগ আসবে।
যদিও উনারা কেউই তার জন্য দায়ী নয়!
ভন্ড অনুসারী, বা মূর্খ অনুসারী বা স্বার্থান্ধ অনুসারীর ভুলের দায় কোনভাবেই ঐ মহৎ আত্মার নয়।

এআর১৫ এর সাথে সহমত :)

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



মহান গৌতম বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলেছি। তাকে কোথাও অভিযুক্ত করা হয়েছে বলেও মনে হয় না। আপনি দয়া করে আরেকটু মনসংযোগ ঘটালে আমার সংশোধনী আনতে সহজ হত।

ভন্ড অনুসারী, বা মূর্খ অনুসারী বা স্বার্থান্ধ অনুসারীর ভুলের দায় কোনভাবেই ঐ মহৎ আত্মার নয়। একথায় আমাদেরও দ্বিমত নেই। আমি শুধু 'মহান গৌতম বুদ্ধ যদি তার অনুসারীদের আজকের খুন-খারাবি প্রত্যক্ষ করতেন, লজ্জায়-অপমানে কতটা ক্ষুব্ধ তিনি হতেন' -সে কথাটিই বলতে চেয়েছি।

ক্ষমা করবেন! আপনার মন্তব্য দেখার পূর্বেই তার মন্তব্য দু'টির জবাব দিয়ে দিয়েছি। না হয় ভিন্ন কিছু ভাবতাম। এআর১৫ বেশিরভাগ সময় পাগলের প্রলাপ বকেন। প্রমান দেখুন, তার প্রথম মন্তব্যটিতে তিনি বলেছেন- আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি মার্কা মানুষ গুলো বুঝি এই রকমের ভন্ড হয় । সব কিছুরে ধর্মীয় লেবাস দিতে চায় , যত্তসব !!!!

ও বরাবরই ক্যাচালপ্রিয়। মন্তব্যগুলোও বিরক্তিকর। মন্তব্য দেখলেই বুঝা যায়, মাথার কিছু সমস্যা রয়েছে। ভাল ট্রিটমেন্ট দরকার তার। তার কয়েকটি কাজের কথা ভুলতে পারছি না।

১। তিনি কুরআনে কারীমের অপব্যাখ্যা করেন।

২। তিনি অনেক সাহাবীর কঠোর সমালোচনা করেছেন। এমন কি হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লাকেও ছাড়েন নি।

৩। তিনি মূর্তি নির্মানের পক্ষে কোরআনের তাফসীর তৈরি করেন।

৪। তিনি 'নারী নেতৃত্ব জায়েজ' ফতোয়াদাতা।

এছাড়া বিতর্কিত প্রত্যেক বিষয়ে তার উদ্ভট, বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী মতামত থাকবে। এটা যেন থাকতেই হবে।

ভাল থাকুন ভাই।

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এই যে মিথ্যাচারী ভন্ড মুর্খ --- আসল কথার জবাব না দিয়ে ত্যানা পেচানো শুরু করেছেন কেন ??? ,,,,,
আপনার মনে হয় মিয়ানমারের খুনীদের থেকে নগদ কিছু জুটেছে! কড়িটড়ি! দানাপানি!----


বার্মার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনাদের ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অপকর্মের প্রতিবাদ করেছি মাত্র । এই অপকর্ম চালানোর জন্যতো আপনারা বহু টাকা পয়সা পান ওহাবীদের কাছে থেকে । যদি টাকা পয়সা না পান তাহোলে জাতীগত নিপিড়নকে ধর্মীয় নিপিড়ন হিসাবে মিথ্যা প্রচার কেন করছেন ????

ভাল করে বুঝে নিন হে মিয়ানমার সৈনিক! ইতরামির জায়গা এটা নয়! খুনীদের দোসরদের রক্তখেকো কোনো মুখ দেখার ইচ্ছে আমাদের নেই! সময়ও নেই!
আমার কোন কথায় কি প্রমাণ পেয়েছে তাই ? একটু দেখান দেখি ... আপনি জাতী বিদ্বেষকে ধর্মীয় বিদ্বেষ রুপে প্রমাণ করতে চেয়েছেন -- সেটার যথাযত জবাব দিয়েছি । এই জবাব দেওয়াটা বুঝি আপনার কাছে মনে হচ্ছে আমি বার্মার অপকর্মকারীদের সমর্থক । আপনে নিজে তো আই এস তালেবানদের অপকর্মের দোসর তানা হলে কি কারনে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর পায়তারা করছেন ??
তবে আমাদের ধারনা, রোহিঙ্গারা যদি বেশির ভাগ মুসলমান না হোত তাহোলে, আপনার মত কূপমন্ডুক, উগ্রবাদী ব্যতিত আর কেউ নিরব নিশ্চুপ থাকতো না। খুনিদের দোসরের রক্তখেকো মুখ আদৌ দেখতে ইচ্ছে হয় না!

কবে আমরা চুপ , আমার একে ধর্মীয় বিদ্বেষ বলে চিৎকার করছি না বরং আপনারদের মত তালেবানরা মুসলমান মুসলমান বলে চিৎকার করে তাদের বিপদে ফেলেছেন --- কোন মুসলিম দেশ কোন দিন সাহায্য করবে না কিন্তু মুসলমান মুসলমান বলে চিৎকার করার জন্য, পশ্চিমারা যারা সাহায্য করে তারা আর এগিয়ে আসছে না । আপনাগো মুখ বন্ধ করে রহিঙ্গাদের জন্য পশ্চিমাদের সাহায্য পাওয়ার রাস্তা আমরা তৈরী করতে চাই ।

আসল কথার জবাব দেন না কেন ?? --- কেন কমু মুসলিম সম্প্রদায় নিপিড়নের শিকার হয় না কেন মগ মার্মা মুসলমানরা নিপিড়নের শিকার হয় না এবং কেন কারেন বৌদ্ধরা নিপিড়নের শিকার হয় ???

বার্মার সরকারের জাতীগত নিপিড়নকে ধর্মীয় নিপিড়ন বলে চিৎকার করে বৌদ্ধদের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ তৈরীকারিদের মুখে মানবতার কথা মানায় না ।

১। তিনি কুরআনে কারীমের অপব্যাখ্যা করেন।

সেটা আপনে না করেন । একটা উদাহরন দেন দেখি কোরানের আয়াত রেফার করে । কোরানে আয়াতের যত রকমের অপব্যাখা আছে সেটা করে -- দুনিয়ার যত আকাম কুকাম আছে সেটাতো আপনারা যুগ যুগ ধরে করে আসছেন !!!

২। তিনি অনেক সাহাবীর কঠোর সমালোচনা করেছেন। এমন কি হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লাকেও ছাড়েন নি।
আমি তার সম্পর্কে রেফারেন্স দিয়েছি অথেনটিক সোর্স থেকে , কোন সাহাবীর সমালোচনা করেছি প্রমাণ করেন এবং যদি কিছু বলে থাকি সেটা রেফারেন্স সহকারে , কোন রেফারেন্স ছাড়া নহে ।

৩। তিনি মূর্তি নির্মানের পক্ষে কোরআনের তাফসীর তৈরি করেন।

কবে মুর্তি পুজার পক্ষে তফসির করেছি সেটার একটু রেগারেন্স দেন দেখি । মুর্তি কেন যে কোন জীনিসকে পুজা করা ইসলামে হারাম । কবে কোথায় মুর্তি পুজা করা ইসলাম সম্মত বলেছি সেটার প্রমাণ দেখান এবং এর আগে আমি কয়েকবার আপনাকে চ্যালেন্জ করেছি কিন্তু কখনো প্রমাণ করার সৎ সাহস দেখান নি ।

৪। তিনি 'নারী নেতৃত্ব জায়েজ' ফতোয়াদাতা।

এই মন্তব্য দিয়ে নিজেকে আই এস তালেবানি প্রমাণ করলেন <<<< নারী নেত্বত্ব যদি হারাম হয় তাহোলে রসুল (সা: ) কেন বিবি খাদিজা (রা: ) নেতৃত্বে চাকুরী করেছিলেন । যে লোকের দেওয়া হাদিসের উপর ভিত্তি করে নারী নেতৃত্বকে হারাম ফতুয়া দেওয়া হয়েছে , সেই লোক একজন প্রমাণীত মিথ্যাবাদি । এই হাদিসখানি মিথ্যা প্রমাণ হওয়ার পর ও যারা নারী নেতৃত্বকে হারাম দাবি করে তারা নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করতে পারে না ।

===============================================================================
নীচের ৩ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে যে ত্যানা পেচাতে শুরু করেছেন সেটা বন্দ্ধ করে জবাব দিন ---
আপনার দাবি বার্মার সরকার ধর্মের নামে নিপিড়ন চালাচ্ছে --- তাহোলে নীচের প্রশ্নের জবাব দিন

১) থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের কারেন গোত্রের প্রায় ৬/৭ লাখ শরণার্থী আছে - এদের ৯০% ই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী-----
-- জবাব দিন-- তারা বৌদ্ধ হয়েও কি কারনে নিপিড়নের শিকার ???
২) আরাকানের কমু সম্প্রদায় যাদের বেশির ভাগ মুসলমান .. তারা কেন নিপিড়নের শিকার নহে --

--- জবাব দিন
৩) বার্মায় মগ , মার্মা সম্প্রদায়ের ভিতর মুসলমানরা কেন নিপিড়নের শিকার নহে ----

-- জবাব দিন

৪) রহিঙ্গা হিন্দুরা কেন নিপিড়নের শিকার ???

--- জবাব দিন .

আল্লাহ মানি কোরান মানি না , কিন্তু হাদিস মানি মার্কা লোকেরা শুধু ত্যানা পেচাতে জানে এবং মিথ্যাচারিতা করে এবং আমি ভালো করে জানি কোন দিন ওনারা এ সবের জবাব দিবেনা ত্যান পেচানো ছাড়া .. আসল কথার জবাব না দিয়ে বার্মার খুনিদের দোসর , তাদের কাছে থেকে পয়সা পাই ইত্যাদি ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাষা ব্যবহারের শ্রী দেখলেই আপনার মন্তব্য পড়ার ইচ্ছে হয় না। উত্তর দেয়া তো দূর কি বাত! যমেরও অরুচি! স্টাইল কি! সম্বোধনের ভঙ্গি কি! বাপরে- এই যে মিথ্যাচারী ভন্ড মুর্খ --- আসল কথার জবাব না দিয়ে ত্যানা পেচানো শুরু করেছেন কেন ??? ,,,,,

যাক, আপনিই হয়তো সঠিক পথে আছেন! হেদায়েতের রাস্তায়! আল্লাহ পাকের নিকট আমাদের হেদায়েতের জন্য একটু যদি দোআ করতেন!

গালিগালাজ শেখার জন্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে কোথাও? ভাল দক্ষতা দেখছি, মা-শাআল্লাহ!

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

কালীদাস বলেছেন: মায়ানমারের কেসটা কি আদৌ ধর্মের জন্য হচ্ছে? মেজরিটি মুসলিম, কিন্তু মুসলিম কিনা সেটা তো ওদের আর্মি খুঁজছে না, ওরা স্পেসিফিকালি রোহিঙ্গা খুঁজছে। আপনি অনেক অন্য ধর্মের লোকও দেখতে পারবেন রিফিউজি ক্যাম্পগুলোতে গেলে।

ইজরায়েলের ব্যাপারটাও বলি একটু। আরাফাত যতদিন ছিল সবাই তার সম্মানে হলেও শান্তি চুক্তি মেনে চলত। আরাফাত মারা যাওয়ার পর সেগুলো নেতা হয়েছে এদের বেশিরভাগের যোগ্যতা ঢাকার পাড়ার ইন্টারফেল বখাটেদের কাছাকাছি ( আরও কম হবে)। ব্যপারটা সিম্পল। ইন্ডিয়া আমাদের দিকে গুলি করলে আমাদের যেমন লাগে, ইজরায়েলিদের দিকে কেউ গুলি করলে ইজরায়েলিদেরও সেরকম লাগে। পার্থক্য হল; আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির জন্য আমরা মরে ব্যাঙের মত পড়ে থাকি, কিন্তু ইজরায়েলিরা সরাসরি একশনে চলে যায়। সার্বভৌমত্ব; কেউই চায় না যে ক্ষুন্ন হোক।

নবীজি ইসলাম কায়েম করার পরও কখনই অন্য ধর্মের প্রতি বিষোষগার করেননি, কাউকে ছোট করে দেখেননি; অন্য ধর্মের সবার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা কখনও কম ছিল না। এই জমানার উল্লুকগুলো পারলে ব্লেড নিয়ে বের হয়ে সারা দুনিয়ার সবাইকে খতনা করিয়ে মুসলিম বানিয়ে রেখে আসে (আইএস)।

ফাইনালি, রোহিঙ্গাদের রক্তের দাম আছে কিনা!! একজন মুসলিম হিসাবে আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটা প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার আছে, প্রাণ হরণ কেবলমাত্র সৃষ্টিকর্তার হাতে থাকবে। রোহিঙ্গাদের প্রাণের সমস্যা এখন পার্মানেন্ট সমাধান দরকার, কারণ বাংলাদেশ কিছু না করেও সাফার করছে কয়েক যুগ ধরে।



ধর্ম নিয়ে রশি টানাটানি পোস্টে কখনই কমেন্ট করতে ইচ্ছা করে না। আপনার রিপ্লাই কেমন হয় অপজিট লজিকের কারও সাথে সেটা দেখতে ঢুকেছিলাম। নীরবেই প্রস্হান করছি ডিটেইলস না বলে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



মায়ানমারের ব্যাপারটা ধর্মের কারনে নয় তো এটাকে আর কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? স্পেসিফিক একটি এলাকায় একই সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বসবাস। অন্য ধর্মের লোকের সংখ্যা অনুমান করি ৫% হবে কি না সন্দেহ। তো, তাদের নির্মমভাবে ধ্বংস করে দেয়ার এই নিষ্ঠুর প্রক্রিয়াকে জাতিগত নিধন বলবেন না তো এটাকে আর কোন্ অভিধায় অভিহিত করা যায়? হ্যা, রিফিউজি ক্যাম্পগুলোতে অন্য ধর্মের লোক থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। অন্য ধর্মের কিছু মানুষ তো সেখানে ছিলেন। পাইকারীভাবে নিধনযজ্ঞের কারনে তারাও রেহাই পাননি। তারাও চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

আচ্ছা, আপনি কি মনে করেন, আরাকানের মানুষগুলো যদি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হতেন, তাদের এই পরিনতি বরন করতে হত?

ইজরায়েলের ব্যাপারটাও বলি একটু। আরাফাত যতদিন ছিল সবাই তার সম্মানে হলেও শান্তি চুক্তি মেনে চলত। আরাফাত মারা যাওয়ার পর সেগুলো নেতা হয়েছে এদের বেশিরভাগের যোগ্যতা ঢাকার পাড়ার ইন্টারফেল বখাটেদের কাছাকাছি ( আরও কম হবে)। ব্যপারটা সিম্পল। ইন্ডিয়া আমাদের দিকে গুলি করলে আমাদের যেমন লাগে, ইজরায়েলিদের দিকে কেউ গুলি করলে ইজরায়েলিদেরও সেরকম লাগে। পার্থক্য হল; আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির জন্য আমরা মরে ব্যাঙের মত পড়ে থাকি, কিন্তু ইজরায়েলিরা সরাসরি একশনে চলে যায়। সার্বভৌমত্ব; কেউই চায় না যে ক্ষুন্ন হোক।

নবীজি ইসলাম কায়েম করার পরও কখনই অন্য ধর্মের প্রতি বিষোষগার করেননি, কাউকে ছোট করে দেখেননি; অন্য ধর্মের সবার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা কখনও কম ছিল না। এই জমানার উল্লুকগুলো পারলে ব্লেড নিয়ে বের হয়ে সারা দুনিয়ার সবাইকে খতনা করিয়ে মুসলিম বানিয়ে রেখে আসে (আইএস)।

ফাইনালি, রোহিঙ্গাদের রক্তের দাম আছে কিনা!! একজন মুসলিম হিসাবে আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটা প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার আছে, প্রাণ হরণ কেবলমাত্র সৃষ্টিকর্তার হাতে থাকবে। রোহিঙ্গাদের প্রাণের সমস্যা এখন পার্মানেন্ট সমাধান দরকার, কারণ বাংলাদেশ কিছু না করেও সাফার করছে কয়েক যুগ ধরে।


-ভাল বলেছেন। সহমত।

অপজিট লজিকের কারও সাথে আমার রিপ্লাই খুব একটা সুবিধার হয় না, তা আমিও বুঝি। বিশেষ করে বিরক্তি সৃষ্টিকারী স্পেসিফিক কিছু চরিত্র (হাতে গোনা, দু'তিনটি) রয়েছে ব্লগে, তাদের ব্যাপারে ধৈর্য্য রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

অনেক কথা বলে ফেললাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এই পোস্টে আপনার আগমন এবং বিশ্লেষনমূলক সুন্দর বিস্তারিত মন্তব্যে আনন্দিত হলাম। অনেক ভাল থাকুন।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যারা ধর্মের নামে জঙ্গী হচ্ছে, তাদের ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাচ্ছিলাম। অবশ্যই অনেক স্থানে মুসলিমরা নিপীড়িত হচ্ছেন, কিন্তু যারা অপব্যাখ্যা করে ধর্মের নাম খারাপ করছেন তাদের ব্যাপারে যদি কিছু বলেন, তাহলে শিখতে পারতাম।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



অশেষ ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় জাদিদ ভাই। আপনার আগমনে অনেক খুশি হলাম। জঙ্গিবাদ আজকের পৃথিবীর অন্যতম চিহ্নিত সমস্যা। শুধু ইসলাম ধর্মের লোক নন, অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ধর্মের ভেতরেও এই সমস্যা বিদ্যমান। বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার কল্যানে কিছু সংবাদ আমরা জানতে পারি, কিছু থেকে যায় অন্তরালেই।

ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। মহাগ্রন্থ আল কুরআন এবং মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য হাদিস তার প্রমান। কুরআনে কারিমের একটি মাত্র আয়াত গোটা বিশ্ববাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইসলাম জঙ্গিবাদের প্রতি কতটা কঠোর। জলদগম্ভীর ভাষায় আল্লাহ পাকের অমীয়বানী ঘোষিত হয়েছে-

مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا

'যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।'

যেখানে কুরআনুল কারিমের দ্ব্যর্থহীন ঘোষনা- 'একজন মাত্র মানুষকে হত্যা করা গোটা পৃথিবীর সকল মানব সমাজকে হত্যা করার শামিল এবং একটি মাত্র জীবন রক্ষা করা যেন গোটা মানবমন্ডলীর প্রান বাঁচানো' সেখানে একজন ঈমানদার ব্যক্তির পক্ষে কাউকে হত্যা করা তো দূরের কথা, কারও সামান্য অনিষ্ট কামনা করাও শোভনীয় নয়।

ইসলাম মানে শান্তি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানবতাকে পূর্নাঙ্গ রূপদানের জন্য এ ধরায় মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমন। তাঁর অমিয় বানী- 'বুয়ি'সতু লি উতাম্মিমা মাকারিমাল আখলাক্ক', 'সচ্চরিত্রে পূর্নতাদানের জন্যই আমার আগমন।' ইসলাম সাম্য, মৈত্রি, ভালবাসা, হৃদ্যতা, আন্তরিকতা, সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, সদ্ভাব, সহানুভূতি, প্রেম, প্রীতি এবং ভালবাসার ধর্ম। এগুলো যাদের ভেতরে অনুপস্থিত, লেবাসে ধার্মিক তারা যতই সাজুন না কেন, সত্যিকারার্থে ইসলামের কেউ নন তারা।

ধর্মের অপব্যাখ্যা করে যারা সাধারন মানুষদের জঙ্গিবাদের মত বিভীষিকাময় বিপদের দিকে ঠেলে দেয়, তারা নিসন্দেহে মানবতার কলঙ্ক। কুরআন হাদিসের ভাষ্যানুসারে তাদের জগতের নিকৃষ্টতম প্রানী জ্ঞান করা অনুচিত হবে না। তাদের জান্নাতের আশা তো নিছক প্রতারনা এবং নি:সন্দেহে এটা সুদূরপরাহত। কারন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বানী করেছেন,

'যদি কোনো ব্যক্তি মুসলিম রাস্ট্রের মধ্যে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিক বা মুসলিম দেশে অবস্থানকারী অমুসলিম দেশের কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের সুগন্ধও লাভ করতে পারবে না, যদিও জান্নাতের সুগন্ধ ৪০ বছরের দূরত্ব থেকে লাভ করা যায়।'

এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আমার বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রয়েছে। সকলের সচেতনতার জন্যই সেটা ভাবি। দোআ চাই, যাতে কুরআন হাদিসের আলোকে এবিষয়ে লিখতে আল্লাহ পাক তাওফিক দান করেন।

অনেক ভাল থাকবেন।

১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: সবার আগে শিক্ষা চাই। রুচিশীল মানুষ চাই। বিবেকবান মানুষ চাই।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল বলেছেন। শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.