নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফজরের সালাতে উঠতে কষ্ট হচ্ছে? আসুন, জেনে নিই কার্যকরী কিছু কৌশল

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩



বিসমিল্লাহির রহমানির রহী-ম।

আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। ওয়াচ্ছলাতু ওয়াসসালামু আলা- সাইয়্যিদিল আমবিয়ায়ি ওয়াল মুরছালীন। ওয়া আলা- আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈ'-ন।

আমরা যারা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার চেষ্টা করি, আমাদের সবগুলো সালাত ঠিক থাকলেও ‘ফজরের সালাত’ নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকেই এ ব্যাপারে সমস্যায় পড়ে যাই। অনেক চেষ্টা করেও ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে পারি না। কীভাবে করা সম্ভব এ সমস্যার সমাধান? সাময়িক সুরাহা নয়, প্রিয় বন্ধু, আমরা উম্মতের এই বড় সমস্যাটির পার্মানেন্ট সমাধান কল্পে কিছু প্রস্তাবনা, কিছু পরিকল্পনা পেশ করতে চাই। আসুন, জেনে নেই এ ব্যাপারে কিছু কার্যকরী কৌশল।

সম্মানিত ভাই ও বোনেরা, এই যে আমরা বেঁচে আছি, বিশ্বাস করুন, এটা আল্লাহ পাকের দয়া ছাড়া কিছু নয়। তিনি দয়া করেন বলে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস এখনও চলমান। এই যে ঘুম, নিদ্রা আল্লাহ পাক আমাদের আরামের জন্য দিয়েছেন, এটা মহা এক নেআমত। পৃথিবীতে কত মানুষ আপনি পাবেন, যাদের চোখে এক ফোঁটা ঘুম নেই। ওষুধ পথ্য খেয়েও তাদের চোখের দু'টি পাতা এক করাতে পারেন না। ঘুমের বড়িও অকেজো হয়ে গেছে। তাদের কথাটাই ভাবুন একবার। আমার চোখের ঘুম যদি আল্লাহ পাক কেড়ে নিতেন! আমার অবস্থা কেমন হত!

এজন্য এই ঘুমটাও ইবাদাত হয়ে যাবে যদি কি না, সঠিক নিয়মে পরিমিত ঘুমিয়ে আমরা ঠিক ঠিক সময়ে জেগে উঠে ফজরের সালাতে শরিক হতে পারি। হাদিসে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি ইশা এবং ফজরের সালাত জামাআতে আদায় করল, সে যেন পুরো রাত ইবাদাতে অতিবাহিত করল'।

দু:খজনক! আজ, প্রায়শই আমার বন্ধুদের নিকট থেকে এমন কথা শুনতে হয়, 'আমাদের দুআ' আল্লাহ পাক কবুল করেন না'।

আমি বলি, 'আমাদের দুআ' কবুল করার ওয়াদা তো স্বয়ং আল্লাহ পাক করেই রেখেছেন। আর তিনি ওয়াদা কখনও খেলাপ করেন না। শর্ত, আমাদের তাঁর অনুগত হয়ে চলা'।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, একবার ভাবুন তো! ফজরের সালাত কাযা করা মুসলিম আপনি! আপনার কি জানা নেই, প্রতি রাতে আল্লাহ পাক স্বয়ং প্রথম আসমানে অবতীর্ন হন! রাত দ্বিপ্রহরের পরে ডাকতে থাকেন বান্দা-বান্দিদের! 'কে আছ দু'হাতে মুঠি মুঠি রহমতের বৃষ্টি বর্ষন করে আমাদের সিক্ত করার জন্য যখন ডাকতে থাকেন! হায় হায়, আমি তখন ঘুমিয়ে! ফজর অবদি আল্লাহ পাক ডেকে যান আমাদের! আদর দিয়ে, মমতা দিয়ে ডাকতে থাকেন তিনি! আল্লাহ পাকের ডাকে সাড়া না দিয়ে আমরা ঘুমিয়ে থাকি! এমনকি কাযা করে দিই ফজরের সালাতও! আবার বলি, আল্লাহ পাক আমাদের দুআ কবুল করেন না! দোষারোপ করি তাকে!

আমরা যখন প্রতিদিন সূরা আল-ফাতিহা তিলাওয়াত করি, দিনে কমপক্ষে ১৭ বার, আমরা এই আয়াতটিও তিলাওয়াত করিঃ

“আমরা একমাত্র তোমারি ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারি সাহায্য প্রার্থনা করি।” [সূরা আল-ফাতিহাঃ ০৫]

আমরা কি সত্যিই আল্লাহর ইবাদত করতে চাই? “অবশ্যই!” তাহলে আল্লাহর সাহায্যও চাই? “হুম!” আবার ফজরের সালাতের জন্যও জেগে উঠতে চাই? “জ্বী, ভাই!” কিন্তু তারপরও আমরা পারি না কেন? কারণ, আমাদের চাওয়ায় আন্তরিকতার অভাব।

আপনার কি কখনও ঘুমুতে যাওয়ার মুহূর্তে এমন অনুভূতি হয়েছে যে, আপনি অবশ্যই ফজরের সালাতের জন্য উঠবেন কিংবা আগে থেকেই আপনি জানতেন, সেদিন বেশি ঘুমুবেন? নিচের দৃশ্যপট দু'টি কল্পনা করার চেষ্টা করুন। আমি মনে করি, আমরা প্রায় সকলেই এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি।

দৃশ্যপটঃ ১
আপনার হৃদয় ঈমানে পরিপূর্ণ, আপনি বিতির পড়েছেন, কিছুটা কুর’আন তিলাওয়াত-ও করেছেন এবং যদিও আপনার হাতে ফজর পর্যন্ত ঘুমানোর জন্য মাত্র দু’ ঘণ্টা সময় আছে, তারপরও জেগে উঠার ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত। কারণ, আপনি আপনার মন, হৃদয় ও দেহকে প্রস্তুত করে নিয়েছেন। এমনকি মাঝে মাঝে ওয়াক্ত পার হয়ে গিয়ে সালাত মিস করার ভয়ে মাঝ রাতেও ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন। যদি আপনি এ ধরনের কোন ঘটনার সম্মুখীন না হয়ে থাকেন, তবে এমন সময়ের কথা ভাবুন, যেদিন আপনাকে খুব ভোরে বাস কিংবা ট্রেন ধরতে হয়েছিল। আর ভাবুন, কীভাবে আপনার মন, হৃদয় ও দেহ সজাগ ছিল। হয়তো অনেক দেরিতে ঘুমিয়েও জেগে উঠেছিলেন বাস কিংবা ট্রেনের জন্য।

দৃশ্যপটঃ ২
আপনার জীবনে হয়তো এমন অনেক দিন আছে যেগুলোতে আপনি প্রকৃতপক্ষেই বেশি ঘুমুতে চান। যার জন্য আপনি আগে থেকেই ‘অতিরিক্ত ঘুমানোর’ পরিকল্পনা করেন। তারপরও আপনি জেগে উঠেছেন, আর তখনই শুরু হয়েছে ‘Snooze Alarm’ এর সাথে যুদ্ধ এবং আধুনিক শয়তানের কৌশল, “আর মাত্র পাঁচ মিনিট…”

এই দু'টি দৃশ্যপটের মধ্যে একটি দৃশ্যপট বর্ণনা করে ‘আপনি অবশ্যই ঘুম থেকে জেগে উঠবেন’ আপনার এ ধরনের গভীর মানসিকতার কথা, আর অন্য দৃশ্যপটটি বর্ণনা করে ‘আপনি ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না’ এ ধরনের মানসিকতার কথা। কারণ, আপনার অন্তর এটা চায় না, আর আপনিও শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠার চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত নন। নিচে আমরা কিছু কৌশলের কথা বর্ণনা করছি যেগুলো আপনাকে সব সময় দৃশ্যপটঃ ১ এর মত সফলতা অর্জনে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ্‌।

আধ্যাত্মিক কৌশল

১. আল্লাহকে চেনাঃ

এটা ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার চাবিকাঠি এবং এক নম্বর কৌশল। আপনি যদি জানেন আপনি কার ইবাদত করছেন, আর এ-ও জানেন যে, তিনি চান আপনি প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তাঁর ইবাদত করুন, তাহলে আপনি জেগে উঠবেনই! ‘আল্লাহ’ কে- এ ব্যাপারে আমাদের জ্ঞানের কমতিই আমাদেরকে দৃশ্যপট-২ এর দিকে ধাবিত করে। তাই আপনার প্রভুকে জানুন, আর এটাই আপনার চাবিকাঠি।

২. আন্তরিকতাঃ

ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার ব্যাপারে আন্তরিক হোন। নিজেকে শুধু এটুকু বলবেন না যে, ‘যদি আমি ফজরের ওয়াক্তে উঠতে পারি তবে ভালো হবে’, বরং আন্তরিকতার সাথে বলুন, ‘আমি ফজরের ওয়াক্তে জেগে উঠবোই ইনশা আল্লাহ!’

৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওযু করাঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারা ইবনে আযেব রা.-কে বলেছিলেন―
«إذا أخذت مضجعك فتوضأ وضوءك للصلاة». مسلم (৪৮৮৪)
যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাযের ওযুর মত ওযু করবে। [মুসলিম : ৪৮৮৪]

৪. বিতিরের সালাত ও দু’আঃ

বিতিরের সালাত আদায় না করে ঘুমাবেন না, আর বিতিরের সালাত আদায়ের সময় আল্লাহর কাছে অনুনয়-বিনয় করুন যাতে তিনি আপনাকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে সাহায্য করেন।

৫. সামান্য কুর’আন তিলাওয়াত করুনঃ

মহা গ্রন্থ আল-কুর’আনের মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি অবশ্যই আপনার মনোযোগকে ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার দিকে নিবন্ধিত করবে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমাতে যাওয়ার আগে সূরা আল-সাজদাহ ও সূরা আল-মূলক (৩২ ও ৬৭ নম্বর সূরা) তিলাওয়াত করার পরামর্শ দিতেন।

৬. ঘুমাতে যাওয়ার আগে আল্লাহকে স্মরণ করুনঃ

এটা আমার বর্ণনাকৃত প্রথম পয়েন্টেরই অংশ। আর এখানেই আপনি আপনার সকল অনুনয়-বিনয় আল্লাহর কাছে জানাবেন। প্রথম প্রথম দু’আগুলো পড়ার জন্য আপনি ছাপিয়ে নিতে পারেন কিংবা দু’আর বই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এক বা দু’ সপ্তাহের মধ্যেই দু’আগুলো আপনার মুখস্থ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। আর ঠিক ঘুমিয়ে পড়ার আগেই সেগুলো নিয়মিত পড়বেন।

৭. ফজরের সালাত আদায়কারীদের জন্য ঘোষণাকৃত পুরস্কারগুলোর কথা স্মরণ করুনঃ

মুনাফিকের হাত থেকে বেঁচে থাকা, শেষ বিচারের দিন আলোকিত হওয়া, সারাদিন আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকা, জীবন থেকে অলসতা কেটে যাওয়া, কর্মঠ হওয়া- এই পুরস্কারগুলোর কথা স্মরণ করুন, ইনশা আল্লাহ আপনি জেগে উঠতে পারবেন।

এছাড়া অন্যান্য যে সব কৌশল আপনাকে ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠতে সাহায্য করবে, সেগুলো হলঃ

জাগিয়ে দেয়ার জন্য বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের বলাঃ

পরিবারের অন্যান্য সদস্য কিংবা বন্ধুদের বলুন আপনাকে জাগিয়ে দিতে। আর পরস্পরকে সাহায্য করুন। যদি আপনি আগে জেগে উঠেন তবে স্বার্থপর না হয়ে অন্যদেরও জাগিয়ে তুলুন।

দেড় (১.৫) ঘন্টা ঘুমানোর নিয়মঃ

একটি গোপন কৌশল জানিয়ে দিচ্ছি, ঘুম বিজ্ঞানে একটি তত্ত্ব আছে যাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মানুষ তার ঘুমের একটি পূর্ণ চক্র সম্পন্ন করে দেড় ঘন্টায়। কাজেই আপনি যদি দেড় (১.৫ ঘন্টা) এর গুণীতকে (যেমনঃ ১.৫ ঘন্টা, ৩ ঘন্টা কিংবা ৪.৫ ঘন্টা ইত্যাদি) জেগে উঠতে পারেন, তবে আপনি থাকবেন সতেজ ও পুনরিজ্জ্বীবিত। তা নাহলে আপনার মাঝে আলসেমি থেকে যাবে। তাই ফজরের সালাত যদি ভোর পাঁচটায় হয়, আর আপনি বারোটা বাজে ঘুমান, তবে অবশ্যই আপনার এলার্ম সাড়ে চারটায় দিন। কারণ, এতে আপনি সাড়ে চার ঘন্টা ঘুমাতে পারবেন (অবশ্য ঘুম আসতে আপনার যদি সময়ের প্রয়োজন হয় তবে তা যোগ-বিয়গ করে নিবেন)।

দুপুরে সামান্য ভাত ঘুম দিনঃ

আরেকটি কৌশল, যা নেয়া হয়েছে সুন্নাহ ও অনেকের পরামর্শ থেকে, আর তা হল দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর সামান্য ভাত ঘুম দেয়া। মাত্র আধ ঘন্টার ঘুমই আপনাকে করে তুলবে উজ্জীবিত। সময় সুযোগ থাকলে এই কৌশলটির প্রয়োগ করা যেতে পারে।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আজকের ঘুমন্ত মুসলিম জাতির অধ:পতনের, পিছিয়ে পড়ার, অন্যান্য জাতির হাতে নিগৃহীত, নিষ্পেষিত হওয়ার অন্যতম কারন, এই জাতি আল্লাহ পাকের অবাধ্যতায় লিপ্ত। মালিকের আদেশ নিষেধ অমান্য করার ফলে আল্লাহ পাক এই জাতির প্রতি তার করুনাবর্ষনে শিথিলতা দেখাবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাঁর হুকুম অমান্য করার ক্ষেত্রে প্রথম এবং প্রধান একটি মনে হয়, ফজরের সালাতে এ জাতির অধিকাংশের অনুপস্থিতি। মহল্লা ভরা মানুষ, অথচ, ফজরের সালাতে মসজিদ খা খা করে! এ কি হল আজ আমাদের! এ কোন্ ব্যধিতে আক্রান্ত মুসলিম মিল্লাত! রাত বারোটা না বাজলে আজকের মুসলিমদের চোখের পাতা একত্র হয় না! হায় হায়, সকাল আটটা না বাজলে তাদের নিদ্রার অবসান হয় না! আহ! আফসোস! এমন নিচু মানের মুসলিম হলাম আমরা!

আফসোস থেকে জেগে ওঠার আশা! বেঁচে থাকার প্রত্যাশা! হতাশার কোনও স্থান নেই ইসলামে! আসুন, বর্নিত কৌশলগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি, ইনশা আল্লাহ আমরা সফল হবই। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে ফজরের সালাতে শরিক হওয়ার তাওফিক দান করুন। তাঁর রহমতের ছায়াতলে আশ্রয়দানে ধন্য করুন। আমীন।

পোস্টটি তৈরি করতে সহযোগিতা নেয়ায় যেসব ওয়েবসাইটের প্রতি কৃতজ্ঞতা-

১. Click This Link
২. http://productivemuslim.com/
৩. http://www.quraneralo.com

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১০

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে সময় মত সব নামাজ পড়ার তাওফিক দিন -আমিন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার নেক দোআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। আপনি পরিপূর্ন সুস্থতা লাভ করুন।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আরো সহজ উপায় আছে ! ৪ (পরিমান গোডাউনের সাইজ অনুযায়ী কম-বেশি হইতে পারে !) গ্লাস পানি খাইয়া শুইয়া পরিবেন ! কাহারো ডাকিতে হইবে না ! বিছানা ভাসানোর ভয়ে শরীরই আপনারে ঠেইলা গুইতাইয়া উঠাইয়া দিবে ! :D B-) :D :P

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। আপনার অনবদ্য মন্তব্যে অভিনন্দন। ভাল থাকুন।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়লে ভালো হয়ে যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু বাইরের জগত বড় কঠিন। বড় নিষ্ঠুর। তখন আর ভালো থাকা যায় না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি অবশ্যই সত্যানুসন্ধানী। ইনশাআল্লাহ সুসময় আপনার দ্বারে অপেক্ষমান।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

ক্স বলেছেন: @রাজীব নুর, ভালো হয়ে যাওয়া বলতে যদি আপনি দ্বীনদাঁর/নামাজী হওয়া বুঝে থাকেন, তবে ভুল বুঝেছেন। অনেক খারাপ মানুষ দুনিয়াতে আছে, সময়মত নামাজ না পড়তে পারলে তাদের কাছে 'অস্থির' লাগে (দ্রষ্টব্যঃ হুমায়ূন আহমেদের নাটক "চৈত্র দিনের গান";) আপনার ব্লগ পড়ে যা মনে হয়, আপনি নামাজ কালাম না পড়েই বেশ ভালো আছেন। তাহলে আর দরকার কি?
- দিনে পাচবার প্রায় ১ঘন্টা সময় নষ্ট করে নামাজ পড়া? এই সময় ব্লগে দিন, মানুষের উপকারে লাগুন। তাহলেও আল্লাহ খুশি হবেন।
- যাদের নামাজ পড়ার অভ্যাস নেই, তাদের জন্য হুট করে নামাজ শুরু করার অভ্যাস করা নরক যন্ত্রণার চেয়েও ভয়াবহ। আমার নামাজ শুরু ৬ বছর বয়েসে। ঐ ভয়ানক অভ্যাস চালু করার জন্য আমার মা আঠার মত পিছে লেগে থাকত।
- নামায পড়ে আসলে জাগতিক কোন উপকার নেই, যদিও অনেকে অনেক কিছু বলে। আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাই বলে বসের অনেক মাথাব্যাথা। কিন্তু ধর্মীয় ব্যাপার বলে বেশি কিছু বলতেও পারেনা।
- নতুন নকীব কোনকিছুতেই খুশি হবেনা। যদি ওনার কথায় নামাজ পড়া শুরু করেন, তাহলে বলবে ভাই কোরআন পড়েন, অন্তর আলোকিত হবে, কোরআন পড়া শুরু করলে বলবে তাহাজ্জুদের নামাজ, নফল নামাজ পড়েন, তাইলে আল্লাহ্‌র সাথে সম্পর্ক তৈরি হবে....... ব্লা ব্লা। তাই ওনার লেখা ভাল লাগলে পড়ুন অথবা লাইক দিন, বা ইচ্ছে করে টাইপ কমেন্ট জুড়ে দিন। কিন্তু খবরদার, ওনার ফাঁদে পা দেবেন না। একবার ফাঁদে পড়েছেন তো গেছেন। আপনাকে পাক্কা মাওলানা বানিয়ে তবে ছাড়বেন।

পরিশেষে, ভাল থাকবেন - এই আশা করছি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যে অভিনন্দন।

অনেক শুভকামনা।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৫

কালীদাস বলেছেন: এটা অভ্যাসের ব্যাপার আসলে। ভোরে উঠতে পারাটা আরকি!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, তাই।

অনেক ভাল থাকবেন ভাই।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান একটি পোষ্ট ।
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
মসজিদে নামাজের পরে সকলকে লেখাটির
একটি কপি বিলি করার ইচ্ছে করছিল ।
মনে হচ্ছিল এটাতে আনেকের উপকার হবে ।
সকলেই অনলাইনে দেখার সামর্থ রাখেনা ।
তাই সম্ভব হলে এ ইচ্ছা পুরণের উপায়টা
বলে দিল খুশী হব ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টটি ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত। প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা। লেখাটির কপি মসজিদে বিলি করার আপনার সদিচ্ছা দেখে আপ্লুত হলাম! হৃদয় উজাড় করা দুআ আপনার জন্য। মানুষের কল্যান কামনার ভেতরেই তো তৃপ্তি পরিতৃপ্তি প্রশান্তি। এটা হচ্ছে সবচে' বড় একটি কল্যানের পথে মানুষদের এগিয়ে দেয়ার সুপ্ত বাসনা। আল্লাহ পাক এর জন্য উত্তম বিনিময় আপনাকে দান করুন। আমাদেরও অংশীদার করুন সাওয়াবের।

পোস্ট যেহেতু কপি করা যায় না। পুরো পোস্টটি একটি মন্তব্য অথবা প্রতিমন্তব্যে দিয়ে দিতে পারি। আপনি ইচ্ছে করলে সেখান থেকে কপি করে নিতে পারেন। অথবা আপনি যদি আপনার কোনো মেইল আইডি আমাকে দেন, সেখানেও পাঠিয়ে দিতে পারি। কোন্ পদ্ধতিতে গেলে আপনার সুবিধা হবে, দয়া করে জানালে আমি সেভাবে ব্যবস্থা নেব ইনশা-আল্লাহ।

অনেক ভাল থাকুন।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর উত্তরের জন্য ।
লেখাটিকে আরো একটু এডিট করে দু পৃষ্ঠার মধ্যে এনে ( যেন এক শিটের দুই পিঠএ প্রিন্ট করা যায় ) মন্তব্যের ঘরে দিলে সেখান থেকে কপি করে নিয়ে প্রিন্ট করে বিলি করা যাবে। এটাই আমাদের জন্য সহজ হবে । আমাদের মসজিদেও প্রিন্ট করার নিজস্ব ব্যবস্থা আছে ।

দোয়া ও শুভেচ্ছা রইল ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনার কথামত লেখাটিকে দু'পেইজে প্রিন্ট করা যায় সেই সাইজের করে দেয়া হল। জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা।

ফজরের সালাতে উঠতে কষ্ট হচ্ছে? আসুন, জেনে নিই কার্যকরী কিছু কৌশল

বিসমিল্লাহির রহমানির রহী-ম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। ওয়াচ্ছলাতু ওয়াসসালামু আলা- সাইয়্যিদিল আমবিয়ায়ি ওয়াল মুরছালীন। ওয়া আলা- আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈ'-ন।

আমরা যারা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার চেষ্টা করি, আমাদের সবগুলো সালাত ঠিক থাকলেও ‘ফজরের সালাত’ নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকেই এ ব্যাপারে সমস্যায় পড়ে যাই। অনেক চেষ্টা করেও ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে পারি না। কীভাবে করা সম্ভব এ সমস্যার সমাধান? সাময়িক সুরাহা নয়, প্রিয় বন্ধু, আমরা উম্মতের এই বড় সমস্যাটির পার্মানেন্ট সমাধান কল্পে কিছু প্রস্তাবনা, কিছু পরিকল্পনা পেশ করতে চাই। আসুন, জেনে নেই এ ব্যাপারে কিছু কার্যকরী কৌশল।

সম্মানিত ভাই ও বোনেরা, এই যে আমরা বেঁচে আছি, বিশ্বাস করুন, এটা আল্লাহ পাকের দয়া ছাড়া কিছু নয়। তিনি দয়া করেন বলে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস এখনও চলমান। এই যে ঘুম, নিদ্রা আল্লাহ পাক আমাদের আরামের জন্য দিয়েছেন, এটা মহা এক নেআমত। পৃথিবীতে কত মানুষ আপনি পাবেন, যাদের চোখে এক ফোঁটা ঘুম নেই। ওষুধ পথ্য খেয়েও তাদের চোখের দু'টি পাতা এক করাতে পারেন না। ঘুমের বড়িও অকেজো হয়ে গেছে। তাদের কথাটাই ভাবুন একবার। আমার চোখের ঘুম যদি আল্লাহ পাক কেড়ে নিতেন! আমার অবস্থা কেমন হত!

এজন্য এই ঘুমটাও ইবাদাত হয়ে যাবে যদি কি না, সঠিক নিয়মে পরিমিত ঘুমিয়ে আমরা ঠিক ঠিক সময়ে জেগে উঠে ফজরের সালাতে শরিক হতে পারি। হাদিসে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি ইশা এবং ফজরের সালাত জামাআতে আদায় করল, সে যেন পুরো রাত ইবাদাতে অতিবাহিত করল'।

দু:খজনক! আজ, প্রায়শই আমার বন্ধুদের নিকট থেকে এমন কথা শুনতে হয়, 'আমাদের দুআ' আল্লাহ পাক কবুল করেন না'।

আমি বলি, 'আমাদের দুআ' কবুল করার ওয়াদা তো স্বয়ং আল্লাহ পাক করেই রেখেছেন। আর তিনি ওয়াদা কখনও খেলাপ করেন না। শর্ত, আমাদের তাঁর অনুগত হয়ে চলা'।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, একবার ভাবুন তো! ফজরের সালাত কাযা করা মুসলিম আপনি! আপনার কি জানা নেই, প্রতি রাতে আল্লাহ পাক স্বয়ং প্রথম আসমানে অবতীর্ন হন! রাত দ্বিপ্রহরের পরে ডাকতে থাকেন বান্দা-বান্দিদের! 'কে আছ দু'হাতে মুঠি মুঠি রহমতের বৃষ্টি বর্ষন করে আমাদের সিক্ত করার জন্য যখন ডাকতে থাকেন! হায় হায়, আমি তখন ঘুমিয়ে! ফজর অবদি আল্লাহ পাক ডেকে যান আমাদের! আদর দিয়ে, মমতা দিয়ে ডাকতে থাকেন তিনি! আল্লাহ পাকের ডাকে সাড়া না দিয়ে আমরা ঘুমিয়ে থাকি! এমনকি কাযা করে দিই ফজরের সালাতও! আবার বলি, আল্লাহ পাক আমাদের দুআ কবুল করেন না! দোষারোপ করি তাকে!

আমরা যখন প্রতিদিন সূরা আল-ফাতিহা তিলাওয়াত করি, দিনে কমপক্ষে ১৭ বার, আমরা এই আয়াতটিও তিলাওয়াত করিঃ

“আমরা একমাত্র তোমারি ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারি সাহায্য প্রার্থনা করি।” [সূরা আল-ফাতিহাঃ ০৫]

আমরা কি সত্যিই আল্লাহর ইবাদত করতে চাই? “অবশ্যই!” তাহলে আল্লাহর সাহায্যও চাই? “হুম!” আবার ফজরের সালাতের জন্যও জেগে উঠতে চাই? “জ্বী, ভাই!” কিন্তু তারপরও আমরা পারি না কেন? কারণ, আমাদের চাওয়ায় আন্তরিকতার অভাব।

আপনার কি কখনও ঘুমুতে যাওয়ার মুহূর্তে এমন অনুভূতি হয়েছে যে, আপনি অবশ্যই ফজরের সালাতের জন্য উঠবেন কিংবা আগে থেকেই আপনি জানতেন, সেদিন বেশি ঘুমুবেন? নিচের দৃশ্যপট দু'টি কল্পনা করার চেষ্টা করুন। আমি মনে করি, আমরা প্রায় সকলেই এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি।

দৃশ্যপটঃ ১
আপনার হৃদয় ঈমানে পরিপূর্ণ, আপনি বিতির পড়েছেন, কিছুটা কুর’আন তিলাওয়াত-ও করেছেন এবং যদিও আপনার হাতে ফজর পর্যন্ত ঘুমানোর জন্য মাত্র দু’ ঘণ্টা সময় আছে, তারপরও জেগে উঠার ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত। কারণ, আপনি আপনার মন, হৃদয় ও দেহকে প্রস্তুত করে নিয়েছেন। এমনকি মাঝে মাঝে ওয়াক্ত পার হয়ে গিয়ে সালাত মিস করার ভয়ে মাঝ রাতেও ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন। যদি আপনি এ ধরনের কোন ঘটনার সম্মুখীন না হয়ে থাকেন, তবে এমন সময়ের কথা ভাবুন, যেদিন আপনাকে খুব ভোরে বাস কিংবা ট্রেন ধরতে হয়েছিল। আর ভাবুন, কীভাবে আপনার মন, হৃদয় ও দেহ সজাগ ছিল। হয়তো অনেক দেরিতে ঘুমিয়েও জেগে উঠেছিলেন বাস কিংবা ট্রেনের জন্য।

দৃশ্যপটঃ ২
আপনার জীবনে হয়তো এমন অনেক দিন আছে যেগুলোতে আপনি প্রকৃতপক্ষেই বেশি ঘুমুতে চান। যার জন্য আপনি আগে থেকেই ‘অতিরিক্ত ঘুমানোর’ পরিকল্পনা করেন। তারপরও আপনি জেগে উঠেছেন, আর তখনই শুরু হয়েছে ‘Snooze Alarm’ এর সাথে যুদ্ধ এবং আধুনিক শয়তানের কৌশল, “আর মাত্র পাঁচ মিনিট…”

এই দু'টি দৃশ্যপটের মধ্যে একটি দৃশ্যপট বর্ণনা করে ‘আপনি অবশ্যই ঘুম থেকে জেগে উঠবেন’ আপনার এ ধরনের গভীর মানসিকতার কথা, আর অন্য দৃশ্যপটটি বর্ণনা করে ‘আপনি ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না’ এ ধরনের মানসিকতার কথা। কারণ, আপনার অন্তর এটা চায় না, আর আপনিও শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠার চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত নন। নিচে আমরা কিছু কৌশলের কথা বর্ণনা করছি যেগুলো আপনাকে সব সময় দৃশ্যপটঃ ১ এর মত সফলতা অর্জনে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ্‌।

আধ্যাত্মিক কৌশল

১. আল্লাহকে চেনাঃ

এটা ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার চাবিকাঠি এবং এক নম্বর কৌশল। আপনি যদি জানেন আপনি কার ইবাদত করছেন, আর এ-ও জানেন যে, তিনি চান আপনি প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তাঁর ইবাদত করুন, তাহলে আপনি জেগে উঠবেনই! ‘আল্লাহ’ কে- এ ব্যাপারে আমাদের জ্ঞানের কমতিই আমাদেরকে দৃশ্যপট-২ এর দিকে ধাবিত করে। তাই আপনার প্রভুকে জানুন, আর এটাই আপনার চাবিকাঠি।

২. আন্তরিকতাঃ

ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার ব্যাপারে আন্তরিক হোন। নিজেকে শুধু এটুকু বলবেন না যে, ‘যদি আমি ফজরের ওয়াক্তে উঠতে পারি তবে ভালো হবে’, বরং আন্তরিকতার সাথে বলুন, ‘আমি ফজরের ওয়াক্তে জেগে উঠবোই ইনশা আল্লাহ!’

৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওযু করাঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারা ইবনে আযেব রা.-কে বলেছিলেন―
«إذا أخذت مضجعك فتوضأ وضوءك للصلاة». مسلم (৪৮৮৪)
যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাযের ওযুর মত ওযু করবে। [মুসলিম : ৪৮৮৪]

৪. বিতিরের সালাত ও দু’আঃ

বিতিরের সালাত আদায় না করে ঘুমাবেন না, আর বিতিরের সালাত আদায়ের সময় আল্লাহর কাছে অনুনয়-বিনয় করুন যাতে তিনি আপনাকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে সাহায্য করেন।

৫. সামান্য কুর’আন তিলাওয়াত করুনঃ

মহা গ্রন্থ আল-কুর’আনের মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি অবশ্যই আপনার মনোযোগকে ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার দিকে নিবন্ধিত করবে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমাতে যাওয়ার আগে সূরা আল-সাজদাহ ও সূরা আল-মূলক (৩২ ও ৬৭ নম্বর সূরা) তিলাওয়াত করার পরামর্শ দিতেন।

৬. ঘুমাতে যাওয়ার আগে আল্লাহকে স্মরণ করুনঃ

এটা আমার বর্ণনাকৃত প্রথম পয়েন্টেরই অংশ। আর এখানেই আপনি আপনার সকল অনুনয়-বিনয় আল্লাহর কাছে জানাবেন। প্রথম প্রথম দু’আগুলো পড়ার জন্য আপনি ছাপিয়ে নিতে পারেন কিংবা দু’আর বই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এক বা দু’ সপ্তাহের মধ্যেই দু’আগুলো আপনার মুখস্থ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। আর ঠিক ঘুমিয়ে পড়ার আগেই সেগুলো নিয়মিত পড়বেন।

৭. ফজরের সালাত আদায়কারীদের জন্য ঘোষণাকৃত পুরস্কারগুলোর কথা স্মরণ করুনঃ

মুনাফিকের হাত থেকে বেঁচে থাকা, শেষ বিচারের দিন আলোকিত হওয়া, সারাদিন আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকা, জীবন থেকে অলসতা কেটে যাওয়া, কর্মঠ হওয়া- এই পুরস্কারগুলোর কথা স্মরণ করুন, ইনশা আল্লাহ আপনি জেগে উঠতে পারবেন।

এছাড়া অন্যান্য যে সব কৌশল আপনাকে ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠতে সাহায্য করবে, সেগুলো হলঃ

জাগিয়ে দেয়ার জন্য বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের বলাঃ

পরিবারের অন্যান্য সদস্য কিংবা বন্ধুদের বলুন আপনাকে জাগিয়ে দিতে। আর পরস্পরকে সাহায্য করুন। যদি আপনি আগে জেগে উঠেন তবে স্বার্থপর না হয়ে অন্যদেরও জাগিয়ে তুলুন।

দেড় (১.৫) ঘন্টা ঘুমানোর নিয়মঃ

একটি গোপন কৌশল জানিয়ে দিচ্ছি, ঘুম বিজ্ঞানে একটি তত্ত্ব আছে যাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মানুষ তার ঘুমের একটি পূর্ণ চক্র সম্পন্ন করে দেড় ঘন্টায়। কাজেই আপনি যদি দেড় (১.৫ ঘন্টা) এর গুণীতকে (যেমনঃ ১.৫ ঘন্টা, ৩ ঘন্টা কিংবা ৪.৫ ঘন্টা ইত্যাদি) জেগে উঠতে পারেন, তবে আপনি থাকবেন সতেজ ও পুনরিজ্জ্বীবিত। তা নাহলে আপনার মাঝে আলসেমি থেকে যাবে। তাই ফজরের সালাত যদি ভোর পাঁচটায় হয়, আর আপনি বারোটা বাজে ঘুমান, তবে অবশ্যই আপনার এলার্ম সাড়ে চারটায় দিন। কারণ, এতে আপনি সাড়ে চার ঘন্টা ঘুমাতে পারবেন (অবশ্য ঘুম আসতে আপনার যদি সময়ের প্রয়োজন হয় তবে তা যোগ-বিয়গ করে নিবেন)।

দুপুরে সামান্য ভাত ঘুম দিনঃ

আরেকটি কৌশল, যা নেয়া হয়েছে সুন্নাহ ও অনেকের পরামর্শ থেকে, আর তা হল দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর সামান্য ভাত ঘুম দেয়া। মাত্র আধ ঘন্টার ঘুমই আপনাকে করে তুলবে উজ্জীবিত।

আজকের ঘুমন্ত মুসলিম জাতির অধ:পতনের, পিছিয়ে পড়ার, অন্যান্য জাতির হাতে নিগৃহীত, নিষ্পেষিত হওয়ার অন্যতম কারন, এই জাতি আল্লাহ পাকের অবাধ্যতায় লিপ্ত। মালিকের আদেশ নিষেধ অমান্য করার ফলে আল্লাহ পাক এই জাতির প্রতি তার করুনাবর্ষনে শিথিলতা দেখাবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাঁর হুকুম অমান্য করার ক্ষেত্রে প্রথম এবং প্রধান একটি মনে হয়, ফজরের সালাতে এ জাতির অধিকাংশের অনুপস্থিতি। মহল্লা ভরা মানুষ, অথচ, ফজরের সালাতে মসজিদ খা খা করে! এ কি হল আজ আমাদের! এ কোন্ ব্যধিতে আক্রান্ত মুসলিম মিল্লাত! রাত বারোটা না বাজলে আজকের মুসলিমদের চোখের পাতা একত্র হয় না! হায় হায়, সকাল আটটা না বাজলে তাদের নিদ্রার অবসান হয় না! আহ! আফসোস! এমন নিচু মানের মুসলিম হলাম আমরা!

আফসোস থেকে জেগে ওঠার আশা! বেঁচে থাকার প্রত্যাশা! হতাশার কোনও স্থান নেই ইসলামে! আসুন, বর্নিত কৌশলগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি, ইনশা আল্লাহ আমরা সফল হবই। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে ফজরের সালাতে শরিক হওয়ার তাওফিক দান করুন। তাঁর রহমতের ছায়াতলে আশ্রয়দানে ধন্য করুন। আমীন।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । দেড় ঘণ্টার ব্যাপারটি জানলাম। চাকরির জন্য দুপুরে ঘুমানো হবে না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। ভাগ্যবান কিছু সংখ্যক বাদে অনেকেরই দুপুরের ঘুম হয়ে ওঠে না।

তবু কারও কারও হয়তো কাজে লেগে যেতে পারে। আপনার উপস্থিতি প্রেরনাদায়ক। অনেক ভাল থাকবেন।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , বিষয়টি এখন খুবই সহজ হয়ে গেছে ।
অনেক সময়ই ঘুম থেকে সহজে জেগে উঠতে না পারায়
কাজা নামাজ পড়তে হয় । আশা করি পদ্ধতিটি
আমাদের অনেকের জন্যই উপকারী হবে ।
দোয়া করি আল্লাহ আপনার অনেক
মঙ্গল করুন ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রচেষ্টায় কৃতজ্ঞতা।

আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করছি এজন্য যে, তিনি দয়া করে আপনার অন্তরে স্পর্শকাতর এ বিষয়টির উপলব্ধি জাগিয়ে দিয়েছেন এবং নামাজী মুসল্লীদের ঘুম থেকে জেগে ফজরের জামাআতে শরীক হওয়ার সুবিধা বিবেচনায় রেখে তাদের কল্যানে কষ্ট করে তা কাজে লাগানোর অনুভূতি তিনি দিয়ে দিয়েছেন। এটা তৃপ্তির, আনন্দের। আপনার মাসজিদের অনেকের জন্য হয়তো আপনার প্রচেষ্টা উপকারে আসবে। প্রত্যেকের কল্যানের একাংশ আপনিও প্রাপ্ত হবেন ইনশা-আল্লাহ।

জাজাকুমুল্লাহু তাআ'-লা খাইর।

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: প্রথম কয়েকদিন এলার্ম দিন। এরপরে শরীর নিজেই তা ধারন করে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সঠিক বলেছেন। মানুষ তো অভ্যাসেরই অনুঘটক। 'দাস' বলাটা বিবেক বিরুদ্ধ। তাই সেটা বললাম না। তদস্থলে 'অনুঘটক' বললাম। আমার মনে হয়, 'অনুঘটক' শব্দটিই বেশি যুঁতসই এখানে। কোন্ কালে কোন্ পন্ডিত যে বাংলাভাষায় এসব প্রবচনের প্রচলন ঘটিয়েছিলেন!

কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.