নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জান্নাতলাভের অনন্য কিছু আমল

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৭



সকাল সন্ধ্যার আমল:

আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণে পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন। এ কুরআনে রয়েছে ফজিলতপূর্ণ বিশেষ বিশেষ সুরা এবং আয়াত। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সুরা ও আয়াতগুলোর বিশেষ আমলও ঘোষণা করেছেন। তন্মধ্যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত অন্যতম।

১. হাদিসের বর্ণনায় সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ''নির্ঘাত আল্লাহ তাআলা সুরা বাক্বারাকে এমন দু'টি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন; যা আমাকে আরশের বিশেষ ধনভাণ্ডার থেকে দান করা হয়েছে। সুতরাং তোমরা তা শেখ এবং নিজেদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্তুতিকে শিক্ষা দাও।' (বাইহাকি)

সূরাহ বাকারার শেষ দু'টি আয়াত-

آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ وَقَالُواْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ


আয়াতদ্বয়ের বঙ্গানুবাদ:

'রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।'

'আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।'



আয়াত দু'টির ফজিলতে বর্নিত আরও কিছু হাদিস:

হজরত আবু মাসউদ আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি (সুরা বাকারার) এই আয়াত দু`টি পাঠ (মনে প্রাণে বিশ্বাস করে সে অনুযায়ী আমল) করে; তবে তা (দুনিয়া ও আখিরাতে) তার জন্য যথেষ্ট। (বুখারি ও মুসলিম)

হজরত নোমান ইবনে বশির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আসমান-জমিন সৃষ্টির দু’হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ তাআলা লিপিবদ্ধ করেছেন যে, সূরা বাকারার শেষ দু’আয়াত যে ঘরে তিন দিন পাঠ করা হবে; সে ঘরের কাছে শয়তান আসতে পারবে না।’ (বগবি, তাফসিরে মাজহারি)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যখন আমাকে সিদরাতুল মুনতাহায় (মেরাজের রজনীতে) নিয়ে যাওয়া হয়; তখন তিনটি জিনিস দান করা হয়।

প্রথমত: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ;
দ্বিতীয়ত: সুরা বাকারার শেষ আয়াতসমূহ;
তৃতীয়ত: এ উম্মতের যে সব লোক শিরক না করে তাদের কবিরা গোনাহ মাফ হওয়ার সুসংবাদ। (মুসলিম, তাফসিরে মাজহারি)



হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি বর্ণনা পাওয়া যায় যে, ‘দুটি আয়াত, যা পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার শেষে রয়েছে, এ আয়াতসমূহ (পরকালে মুক্তির জন্য) শাফায়াত করবে; এ আয়াত আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয়।

এ কারণে হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমাদের মতে যার সামান্যতম জ্ঞান আছে, ওই ব্যক্তি এ আয়াত দু'টি পাঠ করা ব্যতিত নিদ্রা যাবে না।'

সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াতের বাংলা উচ্চারন-

উচ্চারণ : আ-মানার রসু-লু বিমা- উংযিলা ইলাইহি মির রব্বিহি- ওয়াল মু’মিনু-ন। কুল্লুন আ-মানা বিল্লা-হি ওয়া মালা-ইকাতিহি- ওয়া কুতুবিহি- ওয়া রুসুলিহি-। লা- নুফাররিক্বু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহি-। ওয়া ক্বা-লু- সামি'না- ওয়া আত্বা'না- গুফরা-নাকা রাব্বানা- ওয়া ইলাইকাল মাছি-র।

লা- ইউকাল্লিফুল্লা-হু নাফসান ইল্লা- উসআ’হা- লাহা- মা- কাসাবাত ওয়া আলাইহা- মাকতাসাবাত, রাব্বানা- লা- তুআখিজনা- ইন্নাসিনা- আও আখত্বনা-, রাব্বানা- ওয়া লা- তাহমিল আলাইনা- ইছরাং কামা- হামালতাহু- আলাল্লাজি-না মিং ক্বাবলিনা-, রাব্বানা- ওয়া লা- তুহাম্মিলনা- মা- লা- ত্ব-ক্বাতা লানা- বিহি-, ওয়া’ফু আ’ন্না ওয়াগফিরলানা- ওয়ারহামনা-, আংতা মাওলা-না- ফাংছুরনা- আলাল ক্বাওমিল কা-ফিরি-ন। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৮৫-২৮৬)



মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে উল্লেখিত হয়েছে- সাহাবায়ে কেরাম একবার প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট বসা অবস্থায় ছিলেন। হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামও সেখানে উপস্থিত। এমন সময় আকস্মাৎ আসমান থেকে একটি ভয়ংকর আওয়াজ আসল।

হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম তখন ওপরের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেন, ‘আসমানের এমন একটি দরজা উন্মুক্ত হলো- যা ইতিপূর্বে আর উন্মুক্ত হয়নি।'

তখন সে দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে হাজির হলেন এবং বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি সন্তুষ্ট হোন। আপনাকে এমন দু'টি নূর প্রদান করা হয়েছে; যা ইতিপূর্বে কোনো নবিকে প্রদান করা হয়নি।'

তা হলো সুরা ফাতেহা এবং সুরা বাকারার শেষ আয়াতসমূহ; এর প্রত্যেকটি অক্ষরে আপনাকে নূর প্রদান করা হবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

২. আরেকটি আমল:

এক সাহাবি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সবিনয়ে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রসুল! আমাকে একটি সহজ আমল বলে দিন, যার ওপর আমল করে আমি জান্নাত লাভ করতে পারি। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ ফজর ও মাগরিবের নামাজান্তে সাতবার পড়বে-

'আল্লাহুম্মা আজরিনি মিনাননার।'

'হে আল্লাহ! আপনি আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন'।



৩. সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি 'আউযুবিল্লাহিসসামিইল আলিমি মিনাশসাইত্বানির রাজিম' তিনবার পড়ে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়বে, আল্লাহতায়ালা তাকে শহীদের ফজিলত দান করবেন, ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবে। ৭০ হাজার ফেরেশতা তার উচ্চ মর্যাদা লাভের জন্য দোয়া করবে।

সূরাহ হাশরের শেষ তিনটি আয়াত-

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

''তিনিই আল্লাহ তা’আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্নøশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা’ আলা তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।''

তিন শ্রেনির মানুষ বিনা হিসেবে জান্নাত লাভ করবে:

রসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তিন শ্রেণির লোক বিনা হিসাবে জান্নাত লাভ করবে। তারা হলেন-

১. মুসলমানদের সন্তান, যারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের কোনো সুওয়াল-জওয়াব নেই। তারা এমনিতেই জান্নাতে চলে যাবে। আমাদের সন্তান মৃত্যুবরণ করলে আমরা অস্থির হয়ে কান্নাকাটি করি। তবে স্বভাবত: সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতার কারণে যে কান্না আসে, তাতে আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়। কিন্তু এ পরিমাণ কষ্ট পাওয়া কিংবা এমন দুঃখ প্রকাশ করা নিষিদ্ধ, যাতে মনে হয় আল্লাহতায়ালা সন্তানের মৃত্যু প্রদান করে অন্যায় করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) এ ধরনের আক্ষেপ ও দুঃখ-বেদনা প্রকাশ করা হারাম। রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মুসলমানদের যেসব শিশু মৃত্যুবরণ করে, তারা হাশরের দিন আল্লাহতায়ালার সঙ্গে তর্ক করে বলবে:

'হে আল্লাহ! আমাদের পিতা-মাতা কোথায়?'

আল্লাহতায়ালা বলবেন, 'তারা তো তাদের কৃতকর্মের কারণে জাহান্নামে দগ্ধ হচ্ছে।'

এ শুনে শিশুরা বলবে, 'তাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে আমাদের কাছে এনে দিন!'

তখন আল্লাহপাক বলবেন, 'তাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া তো আমার আইনবিরোধী।'

শিশুরা বলবে, 'আইন বুঝি না, আমরা আমাদের পিতা-মাতাকে চাই।'

আল্লাহতায়ালা বলবেন, 'তাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।'

তখন শিশুরা বলবে, 'আমাদের পিতা-মাতা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান সম্ভব না হলে আমরাও তাদের সঙ্গে জাহান্নামে যাব।'

এ বলে তারা জাহান্নামের দিকে রওনা করবে। জাহান্নামের কাছে যখন তারা পৌঁছবে, তখন জাহান্নাম তাদের দেখে ভয়ে চিৎকার করে বলবে,

'হে আল্লাহ! এদের ফিরিয়ে নিন, অন্যথায় আমার অস্তিত্ব বিনষ্ট হয়ে যাবে।'

তখন আল্লাহতায়ালা তাদের পিতা-মাতাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাত দান করবেন।

২. নবী-রসুলগন মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতে চলে যাবেন। তাঁদের কোনো প্রকার হিসাব নেই। নবী-রসুলগন নিষ্পাপ হয়ে থাকেন, তাঁরা গুনাহ করেন না, করতে পারেন না। আমাদের দেশের একশ্রেণির লোক বলে বেড়ান যে, নবীরা নিষ্পাপ নন, এখানেই শেষ নয়। এ বিষয়ে তারা রীতিমতো দলিল-প্রমাণও পেশ করেন। তাদের দুঃসাহস দেখে আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। অথচ আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আকিদা হলো, সকল নবী-রসুল নিষ্পাপ। কেউ যদি বলে নবীরা ইচ্ছাকৃত গুনাহ করেন, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।

৩. সে সব মুজাহিদ, যাঁরা শরিয়তের বিধান অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও ইসলাম ধর্মকে পৃথিবীর বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য যুদ্ধ করে শাহাদাতবরণ করেন, তাঁরা বিনা হিসেবে জান্নাত লাভ করবেন।

আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে পথপ্রদর্শন করুন। বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে দুনিয়া আখিরাতের কল্যানের পথে ফিরে আসার তাওফি মুসলিম উম্মাহকে আরশের ধনভান্ডার থেকে দান করা ফজিলতপূর্ণ আয়াতদ্বয় সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের সব কল্যাণ দান করুন।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সুরা সাফফাত এর শেষ তিন আয়াত, সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত এবং সুরা মায়িদার ১১৮ নং আয়াতের কি এরকম কোন বিশেষত্ব রয়েছে? জানা থাকলে অনুগ্রহ করে জানাবেন।

নবী রাসুলদের নিষ্পাপ হওয়া আর গুনাহ না করা কি সমার্থক? ইউনুস (আ)কে কেন মাছের পেটে যেতে হয়েছিল? কারন মহান আল্লাহ উনার উপরে বিরক্ত হয়েছিলেন। একে আপনি কি বলবেন?

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আগের পোস্টে আপনার মন্তব্যের জবাব এখনও দেয়া হয়নি। খুবই সুন্দর প্রশ্ন আপনার। এগুলো জানার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে নবী-রাসূলগনের নিষ্পাপ হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিশ্বাস। এই বিশ্বাসটিকে বিচূর্ন করার জন্য, প্রকৃত মুমিন মুসলমানদের বিশ্বাসের ঘরে চুরি করার সুগভীর বাসনায় নানাবিধ ফন্দি-ফিকির আমাদের আশেপাশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। একটু ফ্রি হয়ে উত্তরে আসার ইচ্ছে রয়েছে ইনশা-আল্লাহ। সকাল বেলা আপনার সাক্ষাত আনন্দিত করলো। কৃতজ্ঞতা অশেষ।

অনেক ভাল থাকবেন।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



নবী হওয়ার আগেও নবীদের জীবন ছিল পূতপবিত্র

قَالُواْ يَا صَالِحُ قَدْ كُنتَ فِينَا مَرْجُوًّا قَبْلَ هَـذَا أَتَنْهَانَا أَن نَّعْبُدَ مَا يَعْبُدُ آبَاؤُنَا وَإِنَّنَا لَفِي شَكٍّ مِّمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ مُرِيبٍ

৬২. তারা বলল, ‘হে সালেহ! এর আগে তুমি ছিলে আমাদের আশাস্থল। আমাদের পিতৃপুরুষরা যাদের উপাসনা করত, তুমি কি তাদের উপাসনা করতে আমাদের নিষেধ করছ? কিন্তু যার প্রতি তুমি আমাদের আহ্বান জানাচ্ছ, সে ব্যাপারে আমাদের বিভ্রান্তিকর সন্দেহ রয়েছে।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ৬২)

তাফসির : আগের আয়াতে হজরত সালেহ আলাইহিস সালাম -এর দাওয়াতের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। আলোচ্য আয়াতে তাঁর দাওয়াতের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। সালেহ আলাইহিস সালাম -এর দাওয়াতের জবাবে সামুদ জাতি তাঁকে বলেছিল, তুমি কি আমাদের বাপ-দাদাদের ধর্ম পরিত্যাগ করতে বলছ? এটা কিভাবে সম্ভব? তোমাকে তো আমরা খুব শ্রদ্ধা করতাম, সম্মান করতাম। তুমি তো ছিলে খুবই সম্ভাবনাময় ছেলে। তোমাকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা ছিল। কিন্তু তোমার এসব কথায় আমরা তোমার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমরা সত্যি বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছি। তারা সালেহ আলাইহিস সালাম -এর যুক্তিসম্মত কথা বিবেচনায় না নিয়ে পিতৃপুরুষের ধর্মবিশ্বাস আঁকড়ে থাকে।

এ আয়াত থেকে জানা যায়, নবী হওয়ার আগেও সালেহ আলাইহিস সালাম -এর জীবন ছিল পূতঃপবিত্র। তিনি যদি সামুদ জাতির কুসংস্কার প্রশ্রয় দিতেন, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতেন, তাহলে তারা তাঁকে তাদের নেতা নির্বাচিত করত। সে আশাই তারা করেছিল। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁকে নবী হিসেবে মনোনীত করেছেন। শুধু সালেহ আলাইহিস সালাম নন, সব নবী-রাসুলের জীবন ছিল পাপের দাগমুক্ত। নবী হওয়ার পরও যেমন তাঁরা পাপকাজে জড়িত হননি, নবী হওয়ার আগেও তাঁদের জীবন ছিল পূতঃপবিত্র। আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণের পর গোটা পৃথিবীতে তখন তাঁর চেয়ে কোনো ভালো মানুষ ছিল না। তত্কালীন আরবের লোকেরা তাঁকে আল আমিন (বিশ্বস্ত) ও আসসাদিক (সত্যবাদী) আখ্যা দিয়েছিল।

যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। সব নবী-রাসুল নিষ্পাপ ছিলেন। কোনো নবীকে গুনাহগার বা কোনো কাজে আল্লাহর অবাধ্য মনে করলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে। কাজী আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন : নবীগণ মাসুম ও নিষ্পাপ হওয়ার বিষয়ে গোটা মুসলিম উম্মাহয় ঐকমত্য রয়েছে। আল্লাহ পাক যাদের নবী-রাসুলরূপে প্রেরণ করেছেন, রুহের জগতেই তাঁদের আত্মাকে পরিশোধিত করেছেন। জন্মলগ্ন থেকেই আল্লাহ তাঁদের মানবীয় সব দোষত্রুটি থেকে হেফাজত করেছেন। তাঁরা যখন নবুয়তের দায়িত্ব গ্রহণের বয়সে উপনীত হন তখন আল্লাহ তাঁদের নবুয়তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের জ্ঞান ও সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা দান করেছেন। নবী হওয়ার আগে ও পরে আল্লাহ তাআলা তাঁদের মানবীয় সব দুর্বলতার ঊর্ধ্বে রেখেছেন। যাবতীয় পাপপঙ্কিলতা থেকে পবিত্র রেখেছেন। এর অর্থ এই নয় যে, তাঁদের মধ্যে কোনো পাপ করার শক্তি-সামর্থ্য আদৌ ছিল না। বরং তাদের মধ্যে পাপ করার পূর্ণ শক্তি-সামর্থ্য ও মানবীয় সব বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ পাক নিজ কুদরতে তাঁদের হেফাজত করেছেন।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আলেমদের সর্বসম্মত অভিমত হলো, নবী-রাসুলরা সব পাপ ও দোষত্রুটির ঊর্ধ্বে ছিলেন। এ বিষয়ে আল্লামা কুরতুবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর তাফসিরে বর্ণনা করেছেন যে হানাফি, শাফেয়ী এবং হাম্বলি মাজহাবের সব আলেম এ ব্যাপারে একমত যে নবী-রাসুলগন কবিরা (বড়) ও সগিরা (ছোট) সব গুনাহ থেকে পবিত্র ছিলেন। তাঁদের মাধ্যমে কোনো পাপ সংঘটিত হয়নি।

আর ইউনুস আলাইহিসসালাম এর মাছের পেটে যাওয়ার যে ব্যাপারটি বলেছেন, এটা আল্লাহ পাকের বিরক্তির কারন নয়, বরং এটি নবী ইউনুস আলাইহিস সালাম এর জন্য আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে কঠিন একটি পরিক্ষা ছিল। এরকম কঠিন থেকে কঠিনতর পরিক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রত্যেক নবী-রাসূলকে। আমাদের প্রিয় নবীজীকে তায়েফে কঠিন বাস্তবতার মুখে পড়তে হয়েছিল। পাথরের আঘাতে তার শরীর মোবারক রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। তায়েফের মাটি সাক্ষী। কেন এমনটি হল? সাইয়্যিদুল মুরসালীন সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি কি আল্লাহ পাক বিরক্ত হয়েছিলেন? নাউজুবিল্লাহ। এমনিভাবে উহুদের ঘটনা, হুদাইবিয়ার দিনের ঘটনা, খন্দকের সময়কার ঘটনাবলীসহ নবীজীর জীবনের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যা ছিল তাঁর জন্য চরম প্রতিকূলতায় আকীর্ন। অন্যান্য নবী-রাসূলগনও মোকাবেলা করেছেন হাজারো প্রতিকূলতা। এগুলো ছিল পরিক্ষা। পার্থিব নিয়মে আমরা দেখি, যিনি যত উপরের শ্রেনিতে উঠতে আগ্রহী হবেন, তাকে তত বেশি পরিক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। মহান প্রতিপালকের অমোঘ এই নিয়মের সাথে আমাদের সাধারন নিয়মের সাযুজ্য বলা যেতে পারে একে।

আবারও আপনার প্রশ্নের বাকি উত্তরে আসার ইচ্ছে থাকলো। অনেক ভাল থাকবেন।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।
সকালবেলা আপনার পোষ্ট পরে দিন শুরু করলাম।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মা-শাআল্লাহ! অধমের পোস্ট দিয়ে দিবসের সূচনা! যাক, আলহামদুলিল্লাহ, আজ সারাটা দিন আপনার সুন্দর কাটুক।

শুভকামনা।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: মাশা-আল্লাহ ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া। কৃতজ্ঞতা, পাঠ এবং মন্তব্যে।

অনেক ভাল থাকবেন।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

সামিয়া আক্তার শেহা বলেছেন: শুভ সকাল।
সকালবেলা আপনার পোষ্ট পড়ে ভাল লাগল।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ। জাজাকুমুল্লাহ।

আপনার আগমনে সকালটা আরও সুন্দর হলো। অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: জান্নাতের প্রতি লোভ -লালসা কমাতে হবে। জান্নাতে গিয়ে আদতে করবেন টা কি ? ইহজন্মের অবদমিত যৌন বাসনা জান্নাতে ৭২ হুরী সম্ভোগের মাধ্যমে পূর্ণ করবেন ? আপনার স্ত্রী কি মনে করবেন?

"সে সব মুজাহিদ, যাঁরা শরিয়তের বিধান অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও ইসলাম ধর্মকে পৃথিবীর বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য যুদ্ধ করে শাহাদাতবরণ করেন, তাঁরা বিনা হিসেবে জান্নাত লাভ করবেন।"

একটা গল্প বলি শুনুন : এক সুইসাইড বম্বারএর পেটে বাঁধা বম্ব ঠিকমতো ফাটলো না। সে কোন ভাবে বেঁচে গেল। .দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর তার জ্ঞান ফিরে এলো। দেখলো এক সুসজ্জিত কামরায় সে শুয়ে আছে এবং এক অতি সুন্দরী নার্স সেবা -শুশ্রুষা করছে। সে অত্যন্ত ব্যথিত মনে বিষন্ন কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলো ---একি , তুমি একলা কেন ? বাকী একাত্তুরটা কই ??

যাইহোক , এইসব জান্নাতীয় লোভ -লালসা-সম্ভোগ ইত্যাদি কল্পিত চিন্তা -ভাবনা থেকে মুক্ত হওয়ার "তাওফিক" প্রাপ্ত হন ! দোয়া রইলো !!!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



অভ্যেস বশত: আপনার কমেন্টেও লাইকই দিলাম। আর আপনার মত সজ্জন ব্যক্তির দোআ আমাদের চলার পথের পাথেয় মনে করি।

আমাদের কিছু অবদমিত থাকলেও থাকতে পারে। থাকাটাই বরং স্বাভাবিক। পক্ষান্তরে যারা ঘরে-বাইরে, দিনে-রাতে, বৈধ-অবৈধ সব একাকার করে জীবনকে ভোগ আর উপভোগেরই বিষয় হিসেবে নিয়ে থাকেন, তাদের সাথে বাকিদের তুলনা কিভাবে করবেন?

একদলা বিষ যেন উগড়ে দিয়ে গেলেন মন্তব্যে এসে। জান্নাতে আপনি না গেলে না যান। আপনাকে তো কেউ জোর জবরদস্তিও করছে না সেখানে যেতে। কিন্তু অন্যের যাত্রায় বাধা হওয়াটা কি ঠিক?

যাক, মোটেই কষ্ট নিলাম না। আপনার জন্য বরাবরের মতই অশেষ কল্যানের প্রার্থনা আবারও।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ নতুন নকিব - জনাব, আপনারা পরলোকের জান্নাত লাভের আশায় ইহলোকের পার্থিব জীবনের সাফল্য হারিয়ে ফেলেছেন। আজ 2018 সালের পৃথিবীর সবদিকে যদি তাকান , তবে দেখবেন সর্বক্ষেত্রে সাফল্য অমুসলিমদের। শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের, শ্রেষ্ঠ হাসপাতালগুলি তাদের, প্রযুক্তি -উন্নয়ন তাদের, বিশ্ব অর্থনীতি তাদের নিয়ন্ত্রণে, সামরিক শক্তি,যুদ্ধের অস্ত্রাদি তাদের, তথ্যপ্রযুক্তি তাদের , মহাকাশ গবেষণা ও বিজয় তাদের, বৈজ্ঞানিক সাফল্য তাদের,উন্নত আইন শৃঙ্খলা ও মানবিক উন্নত রাষ্ট্রগুলিও তাদের । তার বিপরীতে মুসলিমদের এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন আর একটু ...... ভাবুন। জান্নাতের লোভ দেখিয়ে, বায়াত্তর হুরীর গল্প শুনিয়ে মুসলিমদের আর কত ঘুম পাড়িয়ে রাখবেন ???

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য হাসির খোড়াক যোগালো।

মন্তব্যের আংশিক বিষয় যদিও সত্য, কিন্তু আপনার জানার ভেতরে সম্ভবত: কোনো ঘাপলা আছে। মুসলমানদের পার্থিব জীবনের প্রয়োজন রয়েছে একথা ঠিক। তবে সেটার সীমারেখা রয়েছে। আল কুরআনে পার্থিব এই জীবনকে খেল তামাশা এবং ধোঁকার ঘর ইত্যাদি বলা হয়েছে। সত্যিকার মুসলিম মাত্রেরই এই বিশ্বাস হৃদয়ে থাকার কথা।

পাশাপাশি ইসলাম পার্থিব উন্নয়নকে নিষেধও করেনি। সুতরাং, আপনি যেটা দেখছেন, সেটা হয়তো কিছুটা ঠিক। আবার বিস্তারিত বলতে গেলে আপনার দেখার ভেতরেও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। হাসপাতাল, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, সামরিক শক্তি সবই তাদের হাতে এর ব্যাখ্যায় গেলে আপনি হাত জোড় করে কাচুমাচু করবেন। আঙুল মটকাবেন হয়তো। তেল কাদের হাতে? স্বর্ন কাদের আয়ত্বে? এমনিকরে শিক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে কিংবা আবিষ্কারে মুসলমানদের কোনো অবদানই আপনাদের চোখে পড়ে না? আপনাদের চোখে তা পড়তে হলে চশমা পাল্টাতে হবে যে! এই চশমায় সবকিছু দেখা হয়তোবা কিছুটা কঠিনই বৈকি!

আমরা এই পোস্টের কোথায় কোন্ লাইনে জান্নাতের লোভ দেখিয়ে কিংবা হুরীর গল্প শুনিয়ে মুসলমানদের উন্নতিতে নিরুতসাহিত করেছি?

জান্নাতের আলোচনা দেখলেই আপনাদের মাথায় খালি হুর দৌড়াদৌড়ি করে কেন ভাইজান? রহস্যটা বুঝি না, হুরের কথা তো এই পোস্টে একবারও আসেনি। তারপরেও হুরের পেছনে লাগলেন কেন? জান্নাতের আলোচনা কুরআন এবং হাদিসে এসেছে। আমরা কুরআন এবং হাদিস বিশ্বাস করি বলেই এই আলোচনা করে থাকি। আপনার ভাল না লাগলে আপনি বিরত থাকুন। কিন্তু জান্নাত নিয়ে আলোচনা হলে তাতে এমনভাবে হামলে পড়েন কেন?

যা হোক, আপনার প্রতি শুভকামনা। আপনি ভাল থাকুন।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ নতুন নকিব- জান্নাতের কথা আসলে হুরের কথা কেন আসে ? কারণ কোরআন-হাদিসে জান্নাতের বর্ণনা সাথে সাথে আয়তলোচনা হুরী ও মদের নহরের বর্ননা চলে আসে। হুরীদের রুপ যৌবন,উন্নত স্তনের আকার,সংগম আনন্দ নিয়ে প্রচূর হাদিস আছে। আপনি চাইলে সহীহ হাদিসগুলি উল্লেখ করতে পারি । খুব মজার রগরগে বর্ণনা । হুরীর সাথে আবার গেলমান-ও আছে । আহ্ ! মুমিনদের আকৃষ্ট করার জন্য কত লোভনীয় প্রলোভন !

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মুমিনদের আকৃষ্ট করার জন্য কত লোভনীয় প্রলোভন !

আপনারও কি লোভ লাগে?

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আমি কোথায় বিষ উগড়ালাম জনাব ? হ্যাঁ , আমি মাঝে মাঝে করুণা উগড়াই। কাফের ,বিধর্মী ,কাদিয়ানী আহমেদী দের প্রতি ঘৃণা উগড়ানোর কাজ আপনি আগে করেছেন নাকি ? অবশ্য ,করে থাকলেই বা কি? এগুলো অবশ্যই ঈমানী দায়িত্ব । যাইহোক ,ঈমানী দায়িত্ব পালন করে হেদায়াত প্রাপ্তির তাওফিক প্রাপ্ত হোন , দোআ টু দি পাওয়ার ওয়ান রইলো ! আর জান্নাতে আপনি অবশ্যই যাবেন ,কার ঘাড়ে কটা মাথা ,আপনাকে বাধা দেয় !! দোআ টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি রইলো! এখন বলেন এটা কে কি বিষ ওগরানো বলে ?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য পড়ে প্রত্যুত্তর করতে ইচ্ছে হয় না। ক্ষমা করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.