নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু সংবাদ প্রচার করার জন্য মাইকিং করার বিধান

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭



সাধারনত: দেখা যায়, আমাদের দেশের কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কোনো মানুষ মারা গেলে পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহে ঘুরে ঘুরে মাইকে তার মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে দেয়া হয় এবং তার জানাযা নামাযে শরিক হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহবান করা হয়। কখনো কখনো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক আকারে বিরতিহীনভাবে এই মাইকিংয়ের কাজটি করতে দেখা যায়, যা কোনো কোনো সময় অনেকের নিকট রীতিমত বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়। শরীয়তের দৃষ্টিতে এ কাজটি কি বৈধ? আর বৈধ হলেও এর নিয়ম নীতি কি?

মৃত্যু সংবাদ প্রচারনার হাদিস নির্ভর সহি দলিল:
উলামায়ে কেরামের অধিকাংশ যে অভিমতটি গ্রহন করেছেন তা হচ্ছে- মায়্যিতের জানাযায় অধিক সংখ্যক মুসল্লীর উপস্থিতি শরীয়তে কাম্য হওয়ায় মুখে মুখে, বর্তমান আধুনিক মোবাইল মিডিয়াসহ মাইকিং করে মৃত্যু সংবাদ জানানো জায়িজ। দলিল হিসেবে তারা নিম্নোক্ত হাদিসগুলো পেশ করে থাকেন।

১. হাদিস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَا مِنْ مَيِّتٍ تُصَلِّي عَلَيْهِ أُمّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ مِائَةً، كُلّهُمْ يَشْفَعُونَ لَهُ، إِلاّ شُفِّعُوا فِيهِ.

'কোনো মায়্যিতের জানাযার নামায একশ জন মুসলমান পড়ল, যারা সকলে তার মাগফিরাতের জন্য শাফাআত করে, তবে তাদের এ শাফাআত অবশ্যই কবুল করা হবে।' -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৪৭

আর জানাযার নামাযে শরীক হওয়া সওয়াবের কাজ এবং জীবিতদের উপর মৃত মুসলমানের হক। এজন্যই কিছু হাদীস ও আছারে জানাযায় অংশগ্রহণের জন্য মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করার ব্যাপারে নির্দেশনা এসেছে।

২. সহীহ বুখারীতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে-

مَاتَ إِنْسَانٌ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَعُودُهُ، فَمَاتَ بِاللّيْلِ، فَدَفَنُوهُ لَيْلًا، فَلَمّا أَصْبَحَ أَخْبَرُوهُ، فَقَالَ: مَا مَنَعَكُمْ أَنْ تُعْلِمُونِي؟

এক ব্যক্তি রাতে ইন্তিকাল করলে সাহাবীগণ তাকে রাতেই দাফন করে দেন। সকালে সংবাদটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালে তিনি বলেন, কেন তোমরা আমাকে (তখন) জানালে না? -সহীহ বুখারী, হাদীস ১২৪৭

৩. এক হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে-

أَنّ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ نَعَى النّجَاشِيّ فِي اليَوْمِ الّذِي مَاتَ فِيهِ خَرَجَ إِلَى المُصَلّى، فَصَفّ بِهِمْ وَكَبّرَ أَرْبَعًا.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজাশী বাদশার ইন্তেকালের দিন তাঁর মৃত্যু-সংবাদ দিয়ে জানাযার স্থানে গেলেন, অতপর সাহাবায়ে কেরামকে কাতার বন্দি করে চার তাকবীরের সাথে জানাযা আদায় করলেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১২৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৫১

৪. সুনানে বায়হাকীর (৪/৪৭) এক বর্ণনায় এসেছে, রাফে ইবনে খাদীজ রা. আসরের পর ইন্তেকাল করলে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-কে তাঁর মৃত্যু-সংবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করা হল, তাঁর জানাযা কি এখন পড়া যেতে পারে? তিনি বলেন-

إِنّ مِثْلَ رَافِعٍ لَا يُخْرَجُ بِهِ حَتّى يُؤْذَنَ بِهِ مَنْ حَوْلنَا مِنَ الْقُرَى.

আশপাশের গ্রামসমূহে খবর না দিয়ে রাফের মত ব্যক্তির জানাযা পড়া যায় না।

এ জাতীয় হাদীস-আছারের আলোকে ফকীহগণ বলেন, জানাযার নামাযে অংশগ্রহণের জন্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের মৃত্যু-সংবাদ দেওয়া মুস্তাহাব। কিন্তু জানাযার উদ্দেশ্য ছাড়া মায়্যেতের গুণাবলী বর্ণনার উদ্দেশ্যে মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করা বা বিলাপ-আর্তনাদের সাথে মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করার ব্যাপারে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা., হযরত হুযায়ফা রা. প্রমুখ সাহাবীগণ নিজেদের মৃত্যু-সংবাদ এভাবে প্রচারিত হওয়ার ভয় করেই মৃত্যু-সংবাদ কাউকে না জানাতে বলেছেন। (দ্রষ্টব্য : জামে তিরমিযী, হাদীস ৯৮৪-৯৮৬)

যদিও ভিন্নমত পোষন করেন কিছু সংখ্যক লোক:
পক্ষান্তরে উপর্যুক্ত বিষয়টি নিয়ে কিছু সংখ্যক আলিম মাইকিং করে মৃত্যু সংবাদ অবহিতকরনের পক্ষে মত দেন না। তারা দলিল হিসেবে-

إِيّاكُمْ وَالنّعْيَ، فَإِنّ النّعْيَ مِنْ عَمَلِ الجَاهِلِيّةِ.

‘মৃত্যু-সংবাদ উচ্চস্বরে প্রচার থেকে বিরত থাক’- হাদীসটিসহ অনেক সাহাবী তাদের মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করেছেন মর্মের হাদীসগুলো দিয়ে মৃত্যু সংবাদ উচ্চস্বরে বা মাইকে প্রচার করতে নিষেধ করেন। মূলত: জামে তিরমিযীর বরাতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত উপরোক্ত হাদীস-

إِيّاكُمْ وَالنّعْيَ، فَإِنّ النّعْيَ مِنْ عَمَلِ الجَاهِلِيّةِ.

এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য হাদীস-আছার দ্বারা মৃত্যুর কারণে বিলাপ আর্তনাদ করা বা মৃতের গুণাবলী বর্ণনাসহ মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। হাদীস ব্যাখ্যাকারগণ এমনটাই বলেছেন। এতে জানাযা ও দাফনে শরীক হওয়ার জন্য মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করাকে নিষেধ করা হয়নি। নিম্নে তাঁদের কিছু ব্যাখ্যা ও উক্তি উপস্থাপন করা হল।

ইমাম নববী রাহ. বলেন-

وَفِيهِ اسْتِحْبَابُ الْإِعْلَامِ بِالْمَيِّتِ لَا عَلَى صُورَةِ نَعْيِ الْجَاهِلِيّةِ، بَلْ مُجَرّدِ إِعْلَامِ الصّلَاةِ عَلَيْهِ وَتَشْيِيعِهِ وَقَضَاءِ حَقِّهِ فِي ذَلِكَ، وَالّذِي جَاءَ مِنَ النّهْيِ عَنِ النّعْيِ لَيْسَ الْمُرَادُ بِهِ هَذَا، وَإِنَّمَا الْمُرَادُ نَعْيُ الْجَاهِلِيّةِ الْمُشْتَمِلُ عَلَى ذِكْرِ الْمَفَاخِرِ وَغَيْرِهَا.

অর্থাৎ, ইসলামপূর্ব জাহেলী যুগের মত না করে শুধু জানাযার নামাযের সংবাদ দেওয়ার জন্য মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করা মুস্তাহাব। কেননা হাদীসে জাহেলী যুগের মত মৃতের গুণগান গেয়ে মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করা হয়েছে। -আল মিনহাজ, শরহে নববী ৭/২১

হাফেজ ইবনে হাজার রাহ. বলেন, মৃত্যু-সংবাদ প্রচার নিষেধ নয়, নিষেধ তো হল জাহেলী যুগের কর্মকাণ্ড। -ফাতহুল বারী ৩/১৪০

ইবনুল আরাবী রাহ. বলেন, মৃত্যু-সংবাদ প্রচার সংক্রান্ত হাদীসগুলোর সারকথা হল-

১. আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও নেককারদের মৃত্যু-সংবাদ দেওয়া সুন্নাত।

২. মৃতের প্রভাব-প্রতিপত্তি উল্লেখ করে মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করা মাকরূহ।

৩. বিলাপ, আর্তনাদের সাথে প্রচার করা হারাম। -ফাতহুল বারী ৩/১৪০

আরো দ্রষ্টব্য : আরেযাতুল আহওয়াযী, ইবনুল আরাবী কৃত ৪/২০৬

ইমাম মুহাম্মাদ রাহ. বলেন, জানাযার কথা প্রচার করতে সমস্যা নেই। -আল জামেউস সগীর পৃ. ৭৯

ইবরাহীম হালাবী রাহ. বলেন, বিশুদ্ধ মত হল, মৃতব্যক্তির গর্ব-গৌরবের উল্লেখ ছাড়া সাধারণভাবে অলিতে-গলিতে মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করা দোষণীয় নয়। কেননা (نعي الجاهلية) জাহেলী যুগের প্রচার তো হল, বিলাপ-আর্তনাদের সাথে মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করা। -শরহুল মুনয়া, পৃষ্ঠা ৬০৩

মোটকথা, জামে তিরমিযীর উক্ত হাদীসে সাধারণভাবে মৃত্যু-সংবাদ ঘোষণা করতে নিষেধ করা হয়নি।

সুতরাং সাধারণভাবে মৃত্যু-সংবাদ পৌঁছাতে কোনো সমস্যা নেই। আর তা মৌখিকভাবে যেমন করা যায়, তদ্রূপ বর্তমানে মাইকের মাধ্যমে আরো সহজেই পৌঁছানো যায়।

তবে বিনীত সতর্কতা কাম্য যে বিষয়টিতে:
উল্লেখ্য যে, জানাযা কখন হবে এটি কোনো এলাকায় একবার জানিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট। কিন্তু কোথাও কোথাও দেখা যায় দীর্ঘ সময় নিয়ে মাইকে একই ঘোষণা বহুবার করা হয়ে থাকে। এমনটি করা ঠিক নয়। কেননা এতে অন্যদের কষ্ট হতে পারে।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখের দাবি রাখে, এমনও দেখা গেছে, মসজিদে জামাআতে ফরজ নামাজ চলছে, আর ঠিক মসজিদের সামনের রাস্তা দিয়ে উচ্চ স্বরে মৃত্যু সংবাদ প্রচার সংক্রান্ত মাইকিং চালানো হচ্ছে, এমনটা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। মাইকিং তো করা হয় মৃত ব্যক্তির জানাযায় যাতে বেশি মানুষ অংশগ্রহন করে তার মাগফিরাতের জন্য দুআয় শরিক হতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে। সুতরাং, এই মহত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যদি নামাজী মুসল্লীদের ফরজ নামাজেই বিঘ্ন ঘটানো হয়, তাদের ইবাদতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়, তা কোনো অবস্থায়ই কাঙ্খিত হতে পারে না। বরং, এমনটি করা হলে উল্টো মৃত ব্যক্তির রূহের উপর সওয়াব পৌঁছানোর বিপরীতে মুসল্লীদের অসন্তুষ্টি ও বদ দোয়ার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে, যা নিতান্তই অকল্পনীয়। সংগত কারনে, আমার আপনার সকলের বিষয়টিতে সচেতনতার পরিচয় দিয়ে আত্মীয় স্বজনদেরও সতর্কতার সাথে কারো মৃত্যু সংবাদ প্রচারের দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করা একান্ত কর্তব্য।

আল্লাহ পাক আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। সঠিকভাবে আমল করার তাওফিক দিন।

ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলে না বুঝলে যা হয়।

সুন্দর বিষয়। সুন্দর উপস্থাপন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। না বুঝার কারনেই সমস্যাগুলো বাড়তে থাকে।

আপনার আগমনে পোস্টটি স্বার্থকতালাভ করলো।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

অবনি মণি বলেছেন: আমিন!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাক আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। সঠিকভাবে আমল করার তাওফিক দিন।

আমিন কি এই কথার উপরে বলেছেন? তাহলে ঠিক আছে। আপনার সাথে সহমত।

মন্তব্যে আসায় অভিনন্দন। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

হাবিব বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন......

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন বললাম আপনার প্রার্থনায়।

অনেক ভালো থাকবেন প্রার্থনা।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমাদের বোধোদয় হোক....

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, তাই চাই। সহমত।

মন্তব্যে আসায় অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা অশেষ।

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: মানুষকে প্রকৃত শিক্ষিত না করতে পারলে এই অসামঞ্জস্যগুলো থেকেই যাবে। মানুষের কর্মে ও কথায় ঠিক রাখা বাঞ্চনীয়। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষ এক চোখ দিয়ে দেখে! তখনই হয় সমস্যা।

সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেন।

শুভকামনা রইল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি গুনীজন। প্রত্যেক ভালো কাজে আপনাকে পাশে পেয়ে আনন্দিত হই। মূলত: কিছু লোকের কান্ডজ্ঞানহীন কাজের কুফল সমাজের সবার ওপরে এসে পড়ে। মৃত্যু সংক্রান্ত খবর প্রচারের বিষয়টিতে অবশ্যই সতর্কতা এবং সংযম জরুরী। তা না হলে হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কাই থেকে যায়।

অভিনন্দন। ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪

পবিত্র হোসাইন বলেছেন:





আল্লাহ বলেন -
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা কাফের হয়েছে এবং নিজেদের ভাই বন্ধুরা যখন কোনো অভিযানে বের হয় কিংবা জিহাদে যায়, তখন তাদের সম্পর্কে বলে, তারা যদি আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে মরতোও না আহতও হতো না। যাতে তারা এ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মনে অনুতাপ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ আল্লাহই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। তোমাদের সমস্ত কাজই, তোমরা যা কিছুই কর না কেন, আল্লাহ সবকিছুই দেখেন।’ [সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৫৬]

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্যে অভিবাদন। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো পোষ্ট।
এই বিষয়টি আমার অজানা ছিল।
ধন্যবাদ নকিব ভাই।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টটি পাঠ করায় ধন্যবাদ আপনাকেও। অনেক ভালো থাকুন।

৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম!
অফিস শেষে সময় করে পড়বো নকিব ভাই ;)

আশাকরি লেখাটা অন্য লেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



বিষয়টি নিয়ে অহেতুক তালগোল পাকিয়ে ফেলেন কিছু লোক। অথচ সকলের মঙ্গল কামনাই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। মৃত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনার উদ্দেশ্যেই মূলত: মাইকিং বা ই'লান করা হয়ে থাকে, যাতে বেশি বেশি মানুষ তার জানাযায় উপস্থিত হতে পারেন। কিন্তু প্রায়শই মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হতে দেখা যায়, অসতর্কতা, অজ্ঞতা এবং আমলহীনতার কারনে। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত।

পোস্ট প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা। আসলে অনর্থক একই বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রচারনা, এমনকি নামাজ আদায়রত মুসল্লীদের আশপাশে উচ্চ আওয়াজে ব্যাপকাকারে মাইকিং পীড়াদায়ক হয়ে দাড়ায় রীতিমত।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, যিনি বা যারা এই মাইকিংয়ের কাজগুলো করে থাকেন, তিনি বা তারা কি বেনামাজী? তারা কেন নামাজের সময়, আজানের সময়ও প্রচার মাইকটা বন্ধ রাখেন না?

অনেক ভালো থাকুন।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

জিমলীয়া বলেছেন: এলাকার গন্যমান্য,বড়লোক,বড় সুদ-ঘুষ খোর ও পরের হক মারনে ওলাদের মারা গলে প্রচার বেশী হয়।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



বিষয়টি অনেকটা এমনই।

মন্তব্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

ইসলাম ইন লাইফ বলেছেন: ​জাযাকআল্লাহু খাইরান। আল্লাহ আমাদের বোঝার ও তদনুযায়ী কাজ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন। জাযাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাযা। খাইরাল খাওয়াতীম। খাইরাল আওয়াখির। ওয়া খাইরাল হায়াতি ওয়া বা'দাল মামাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.