নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট্ট দ্বীপদেশ ব্রুনাই, একজন সাহসী হাসান আল বলখিয়াহ এবং তথাকথিত মানবাধিকারের প্রবক্তাদের আহাজারি

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯



ছোট্ট দ্বীপদেশ ব্রুনাই, একজন সাহসী হাসান আল বলখিয়াহ এবং তথাকথিত মানবাধিকারের প্রবক্তাদের আহাজারি

আজ কেন তাদের মুখে কথার এমন ফুটছে খৈ
এশিয়ার ছোট্ট দ্বীপদেশ ব্রুনাই। রাষ্ট্রীয় নাম ন্যাশন অব ব্রুনাই। দেশটির রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ান। সরকারি ভাষা মালয়, তবে ইংরেজি ভাষাও এখানে স্বীকৃত। মাত্র ৫,৭৬৫ বর্গ কিলোমিটারের ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্রের জনসংখ্যাও খুবই অল্প। মাত্র ৪১,০৫৭১৭ জন।

সম্প্রতি ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক কিছু আইন পাশ করা হয়েছে এই দেশটিতে। ০৩ এপ্রিল ২০১৯ এসব আইন কার্যকর করা হয়।
আইনগুলোর ভেতরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও সমকামিতার জন্য পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান রাখা হয়েছে। ধর্ষণ ও ডাকাতির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে এই আইনে। অবশ্য ২০০৪ সাল থেকে পার্লামেন্টারি ব্যবস্থায় পরিচালিত দেশটি ২০১৪ সাল থেকেই ইসলামী শরিয়াহ আইনের কিছু কিছু ধারা সরকারিভাবে কার্যকর করার চেষ্টা করে আসছিল। এই শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন নিয়েই কথা। শরিয়াহ আইন প্রণয়নের সংবাদে হাহাকার পড়ে গেছে তথাকথিত মানবাধিকারের প্রবক্তাদের ভেতরে। উতকন্ঠা, উদ্বেগে নড়েচড়ে উঠেছেন তারা। মার্কিন পপ তারকা থেকে শুরু করে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠনসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব- অনেকেরই আঁতে ঘা লাগিয়েছে এ আইন। তাদের মুখে এখন কথার খৈ ফুটছে। প্রতিবাদে সোচ্চার অনেকেই। আহ! কি মানবাধিকাররে, বাবা! 'মানবাধিকার গেল' বলে বলে মুখে ফেনা তুলছেন তারা। তাদেরকেই বলি, আরাকান যখন পুড়ছিলো, আপনারা তখন কোথায় ছিলেন বাপুগণ? আপনাদের অধিকাংশের মুখে তো তখন 'রা' টা পর্যন্ত দেখিনি! কপালে চিন্তার ভাঁজটুকু পর্যন্ত দেখা যায়নি হাজার হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরেও। আরাকানের ধর্ষিতা নারীদের বাঁচার আকুতি আর অবুঝ শিশুদের বুকফাটা আর্তনাদ আপনাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে না কেন? লক্ষ লক্ষ অত্যাচারিতের কান্নার আওয়াজে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠলেও আপনাদের বিবেক তখন কোথায় থাকে? তখন আপনাদের মানবাধিকার টুঁটে যায় না? একটিবারের জন্য দাগ কাটে না আপনাদের প্রেমিক হৃদয়ে? আপনারা তো একটি টু-শব্দ পর্যন্ত করেন না তখন! আপনাদের মানবাধিকার কোথায় থাকে তখন?



আপনাদের এই মায়াকান্নার আসল হেতু কি?
আমরা দেখি, বিশ্ব দেখে, এ আকাশ বাতাস দেখে, গোটা বিশ্ব চরাচর দেখে যায়- ইসরাইলের উপর্যুপরি বোমার আঘাতে ফিলিস্তিনের অবুঝ শিশুদের যখন বুক ঝাঁঝরা করে দেয়া হয় আপনারা তখন কথা বলেন না। নিরব-নিশ্চুপ-বোবামুখ। কুলুপ এঁটে থাকেন মুখে। আপনাদের তখন হদিসও পাওয়া যায় না। আপনাদের বিবৃতিতে পত্রিকার পাতাগুলো ভরে উঠতে দেখা যায় না তখন। কোথায় লুকিয়ে থাকেন আপনারা তখন? ফিলিস্তিনের অবুঝ শিশুদের করুন কান্না আপনাদের হৃদয় স্পর্শ করে না কেন? তখন আপনাদের মানবাধিকারের বুলি কোথায় হারিয়ে যায়? মোল্লা ওমর অার বিন লাদেন ধরার নাটক ফেঁদে আফগানিস্তানে যখন টনকে টন বোমা ফেলে জনপদের পর জনপদ ধূলোয় মিশিয়ে দেয়া হয়, পশু-প্রাণী আর আদম সন্তানের পিষে ফেলা খন্ডিত দেহাবশেষ যখন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, পার্থক্য করার উপায় পর্যন্ত যখন থাকে না, মানবতা যখন হায়েনার পদতলে পিষ্ট হয়, মানবতার মুখে যখন লেপ্টে দেয়া হয় অমোচনীয় কলঙ্কচিহ্ন, যখন মানবতার মূলে কুঠারাঘাত করা হয় আপনারা তখন কোথাকার কোন্ গুহায় গিয়ে আত্মগোপন করে থাকেন? তখন তো আপনাদের কোনো বিবৃতি চোখে পড়ে না! সাদ্দামের ভূয়া অস্ত্রভান্ডার আবিষ্কারের বাহানায় গোটা ইরাককে যখন বোমার পরে বোমা নিক্ষেপ করে ধ্বসিয়ে দেয়া হয়, মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হয়, আপনাদের কানে তখন কোথাকার কোন্ আজিব যন্ত্র লাগিয়ে রাখেন যে, বোমার আঘাতে আহত-নিহত লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষের কান্না-আহাজারি-চিতকার কোনোকিছুই আপনাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ পর্যন্ত করতে পারে না!

আজ অবাক বিস্ময়ে পৃথিবী আপনাদের কথিত মানবাধিকারের সাফাই প্রত্যক্ষ করছে। সেই আপনারাই এসেছেন মানবাধিকারের বুলি কপচাতে- যখন একটি দেশ শরিয়াহ আইন চালু করে তাদের দেশ থেকে অপরাধের মূলোতপাটন করতে চায়- ঠিক এমন সময়ে আপনারা এসেছেন তাদের অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে! আহাজারি করে অপরাধীদের পক্ষে ওকালতি করতে!



আচ্ছা, অপরাধ এবং অপরাধীর পক্ষে আপনাদের এই আহাজারি কেন? এর সম্ভাব্য কারণগুলো হতে পারে-
১. একটি দেশের অপরাধমূলক কার্যসম্পাদন শুন্যের কোটায় নেমে যাক, তা হয়তো আপনারা চান না! অথবা,
২. অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড রাখাটা আপনাদের দরদী(!) হৃদয়ের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে! কিংবা আরেকটি কারণ হতে পারে-
৩. পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদন্ড কেন কার্যকর করা হবে? আপনাদের ভাষায়- এটা নিতান্তই নির্মম। আরও একধাপ এগিয়ে আপনাদের ভেতরে একশ্রেণির লোক এসব বিধানকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা আখ্যায়িত করে ব্যাপক প্রশান্তি লাভ করে থাকেন। অথবা, আরেকটি কারণ হতে পারে-
৪. ইসলাম বিদ্বেষ। হ্যাঁ, অব্যাহত ইসলাম বিদ্বেষ। বাইরে চাকচিক্য। মানবাধিকারের রঙিন চেহারা। ভেতরে তরতাজা ইসলাম বিদ্বেষ। এমনটা হলে আশ্চর্য হওয়ার কি থাকতে পারে? ইসলাম ধর্মের প্রতি আপনাদের মত সুশীলগনই তো বেশি রুষ্ট। দেশ-কাল, জাত-পাত ছাপিয়ে এই সমস্যাটি স্বয়ং ইসলাম ধর্মের প্রচারক আখেরী নবী সাইয়্যিদুল মুরছালীন রহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়েও মক্কার আবু জাহেল আর মদিনার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই প্রমুখ ব্যক্তির মাধ্যমে সেই সমাজে চালু ছিল। অন্য আরেকটি কারণও এমন হতে পারে-
৫. ইসলামী আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোনো দেশের কর্তৃপক্ষ যদি তাদের দেশের অপরাধপ্রবনতা জিরোর কোটায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়ে যান, তাহলে তো সেটা মেনে নেয়া হবে আরও বেশি কষ্টকর! কারণ, যে ইসলামী অাইনকে আপনারা 'বর্বর', 'মধ্যযুগীয়' আর 'অমানবিক' ইত্যাদি বলে বলে নিজেদের রুটি রুজির পথ খোলা রাখেন, সেই ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করেই যদি কোনো দেশ অপরাধ দমনে সফলতালাভ করে বসে তাহলে অবস্থাটা কেমন হয়ে যায় না! এটা তো তখন আপনাদের মুখে স্পষ্ট চপেটাঘাত তুল্য। তখন আপনাদের ইসলাম, ইসলামী আইন কানূন নিয়ে দূরভিসন্ধি আর গলাবাজির এই ব্যবসা আর থাকে কোথায়?

বিনীত জিজ্ঞাসা
আপনাদের প্রশ্ন- কেন তারা অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড চালু করলো? কেন তারা বিয়ে বহির্ভূত নারী-পুরুষের অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক, ধর্ষন এবং সমকামিতার শাস্তি পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করলো?

বিনীতভাবে প্রশ্ন করে আপনাদের মতামত জেনে নিতে ইচ্ছে হয়, আপনারা কি চাচ্ছেন? আপনারা কি চাচ্ছেন, ধর্ষন চলতে থাকুক! অবৈধ সম্পর্ক অব্যহত থাকুক! সমকামিতা চলতেই থাকুক! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, অপরাধ সংঘটনে আপনারা খুশি তাহলে? আর না হলে, এগুলোর মূলোতপাটনে আপনাদের এত আপত্তি কেন? এত উথলে ওঠা দরদ কেন? এত মায়াকান্না কেন? অপরাধীকে বাঁচাতে চান? কেন বাঁচাতে চান? না কি অপরাধ জিইয়ে রাখতে চান? কেন চান? কোনটা আপনাদের আসল মতলব?

পেছনে ফিরে দেখা এক ঝলক ব্রুনেই
১৯৬৩ সালে মালয়েশিয়ান ফেডারেশন গঠিত হওয়ার প্রাক্কালে মালয় অঞ্চলে একমাত্র ব্রুনাই এই ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে ব্রিটেনের অধিভুক্ত হয়ে থাকাকেই পছন্দ করে। দেশটির স্বাধীনতা আসে আরো পরে। ব্রিটেনের নিকট থেকে স্বাধীনতালাভ করে ১ জানুয়ারি ১৯৮৪ সালে। আর জাতিসংঘে যোগ দেয় স্বাধীনতালাভের পরপরই। একই বছর, অর্থাত, ১৯৮৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ এ ভূখণ্ড বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র। এদেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ৫০,৪৪০ ডলার। বাদশাহ শাসিত এই দেশটির প্রধান সুলতান হাসান আল বলখিয়াহ বিপুল ধনসম্পদের মালিক। দেশটির জনগণ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপুল ভর্তুকি পান। জনগণকে কোনো কর দিতে হয় না। সম্প্রতি তেল-গ্যাসের বাইরেও অর্থনীতির অন্য ক্ষেত্রগুলোতে সফল হওয়ার চেষ্টা করছে ব্রুনাই। মনোযোগী হচ্ছে পর্যটনের দিকেও। দিনকে দিন বেড়ে চলেছে তাদের পর্যটনকেন্দ্রিক আয়।

নতুন আইনে আরও যা রয়েছে
নতুন আইনের দণ্ডবিধিতে চুরির অপরাধে অঙ্গচ্ছেদের (হাত-পা কেটে নেওয়া) বিধানের পাশাপাশি ধর্ষণ ও ডাকাতির সাজা মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। আইনগুলোর আরেকটিতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি বা অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন সে দেশে বসবাসকারী মুসলিম বা অমুসলিম উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে কিছু কিছু শরিয়াহ আইন বলবৎ থাকলেও পূর্ব অথবা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্রুনেইতেই প্রথম এটা।

এগিয়ে যাও সাহসী বালখিয়াহ
পত্রিকার খবরে প্রকাশ, সুলতান হাসান-আল বলখিয়াহ এই শরিয়াহ আইনের বাস্তবায়নে বেশ খুশি। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ব্রুনাই সর্বদা আল্লাহর কাছে অনুগত থাকবে। এছাড়া আমার দেশ শরীয়াহ আইনে চলবে। তিনি তার দেশে এই আইন প্রণয়নে যুক্ত সকলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন। এই আইনেরও তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গত ০৪ এপ্রিল ২০১৯ পবিত্র শবে মিরাজ উপলক্ষে রাজধানীর বন্দর সেরি বেগওয়ান থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি দেশটিতে ইসলামিক অনুশাসন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। আমরাও বলি, বলখিয়াহ, তুমি এগিয়ে যাও। পৃথিবীর কোনো অপশক্তির রক্তচক্ষুই যেন তোমার চলার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে। দূরন্ত পথিক, তুমি এগিয়ে যাও দূরন্ত গতিতে, দুর্নিবার। তুমি যদি আল্লাহ তাআ'লার অনুগত থাকো, তোমার প্রতি আল্লাহ তাআ'লার রহমতের বারিধারা বর্ষন হতেই থাকবে। ইনশাআল্লাহ, কেউ ঠেকাতে পারবে না তোমার অগ্রযাত্রা।



ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষকে অকারণ ভয়ে রেখে, রাজতন্ত্র চালু রাখার জন্য ওরা অনেকভাবে প্রবন্চনা করে। ইসলামী শরিয়াহ শুধু গরীবদের জন্য চালু রাখে কিছু জাতি, নিজেরা যা ইচ্ছে তাই করে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখতে কেউ কেউ শরিয়াহ আইনের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে- এটা ঠিক। কিন্তু যারা শরিয়াহ আইনের নাম শুনেই কান্নাকাটি শুরু করেন, তাদের কি বলবেন?

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: সমকামিতা ছাড়া আর দুইটা ঠিক আছে। সমকামি যে কেউ মন চাইলেই হইতে পারে না, এইটা যে একটা জেনেটিক ব্যাপার স্যাপার একটু জ্ঞান রাখলেই জানতে পারবেন। এছাড়া বাকি আইনগুলা ফাইন। এক দেশ নিয়া দ্বিতীয় কোন দেশ অর্ডার দিতে গেলেই মেজাজ খারাপ হয়। কাজেই ব্রুনাই থাকুক তাদের মতন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এবং সাহসী মন্তব্যে।

তবে সমকামিতার ব্যাপারে আপনার কথার প্রেক্ষিতে সামান্য অনুভূতি শেআর না করে পারছি না। কথা হচ্ছে, ইসলাম ধর্ম মানলে মানতে হবে পুরোটাই। আংশিক মেনে নিয়ে কিছু অংশকে বাদ দেয়ার সুযোগ এখানে আদৌ নেই। সমকামিতা ইসলাম ধর্মে যেহেতু হারাম এবং সুস্পষ্ট কবিরাহ গোনাহ তথা সুসাব্যস্ত মহাপাপ। সুতরাং ইসলাম ধর্মের এই স্পষ্ট বিধানের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষন করে সমকামিতাকে 'জেনেটিক' বা অন্য কোনো ব্যাখ্যায় জায়েজ করার অবকাশ আর কারও থেকে থাকলেও অন্তত: আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসীদের আছে কি না- সে প্রশ্ন আপনার মত বিজ্ঞজনের উপরেই ছেড়ে দেয়া সঙ্গত মনে করছি।

অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এসব মানবতা-টানবতা সব বোগাস। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে এসব উত্থিত হয়। এদের কাছে তাই মানবতার সংজ্ঞা একেক সময়ে একেক রকমের। এগুলো নিয়ে মাথা ঘামানোই আমার কাছে সময়ের অপচয়ের নামান্তর।

আর এসবের উদাহরনের জন্য বিভিন্ন দেশে যাওয়ার দরকার কি? এদের দালালরা তো আমাদের দেশেই আছে.....প্রচুর পরিমানে! ;)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



অসাধারণ আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্যে অভিনন্দন আপনাকে। আসলেই ঠিক বলেছেন- মানবতার নামে এর সবই যে ভুয়া তা প্রমানিত সত্য।

আমাদের দেশেও এদের শিষ্য শাগরেদগন সক্রিয়। তাদের জন্য শুভকামনা।

ভালো থাকবেন সবসময়।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: একাধিক স্ত্রীকে সিংহাশনের পাশে বসিয়ে রাজত্ব করা ব্রুনাই এর লম্পট সুলতান লাম্পট্য বজায় রাখার জন্য জারী করেছে শরিয়াহ, সুশাশনের জন্য নয়। ১৪০০ বছর আগে নবীজির আইন সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে ছিল সর্বত্তোম যা আজকের যুগে অচল।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



ঢাবিয়ান বলেছেন: একাধিক স্ত্রীকে সিংহাশনের পাশে বসিয়ে রাজত্ব করা ব্রুনাই এর লম্পট সুলতান লাম্পট্য বজায় রাখার জন্য জারী করেছে শরিয়াহ, সুশাশনের জন্য নয়।

আপনার সামর্থ্য থেকে থাকলে আপনিও একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। আর সুলতান বালখিয়াহ তার পাশে যদি (আপনার বক্তব্যানুসারে) নিজের বিবাহিত স্ত্রীকেই রেখে থাকেন, সেটাকে লাম্পট্য বলবেন কিভাবে? লাম্পট্য তো বলা হয় অবৈধভাবে যথেচ্ছ কামনা বাসনা পূরণ করাকে।

১৪০০ বছর আগে নবীজির আইন সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে ছিল সর্বত্তোম যা আজকের যুগে অচল।

অতি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। অনেক বিষয়েই আমার জ্ঞান অতি নগন্য। প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টায় আছি। তবে যতটুকু জেনেছি, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো কুরআনের আইন দিয়েই প্রশাসন চালাতেন। আপনি তো বিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। আপনার নিকট তাই সবিনয়ে জানতে চাই, এই যুগে এসে তাহলে কি কুরআন এখন অচল?

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নতুন বলেছেন: ভাই সমকামীতার জন্য কাউকে হত্যা করা বব`র....

আপনি চাইলে যেমন একজন পুরুষের সাথে কিছু করার ভাবনা মাথায় আনতে পারবেন না.... তেমনি একজন সমাকামী ও বিপরীত লিঙ্গের সাথে কিছু করার ভাবনায় উত্তেজনা বোধ করেনা।
্‌
তাই একজন সমকামী কে দোষ দিয়ে লাভ নাই... এটা তার মাথার ভেতরের থেকে আসে... তার কিছুই করার নাই... যেমনটা মানুষ বা হাতি হয়ে থাকে....

তার সৃস্টিকতা যদি তাকে ঐ ভাবেই সৃস্টিকরে থাকে তবে কেন তাকে হত্যার আইন করলেন?

আর সমকামীরা সমাজে কি সমস্যা সৃস্টি করছে? বাইরের যেইসব দেশে সমকামিতা সমস্যা মনে করেনা... তাদের সমাজে কি কি সমস্যা সৃস্টি করছে?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার সুচিন্তিত এবং সুন্দর করে উপস্থাপিত মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা। যদিও সহমত পোষন করার সুযোগ নেই। কেন নেই- আশা করছি আপনার মত সচেতন কাউকে তা ব্যাখ্যা করে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। তারপরও প্রয়োজন মনে করলে এই পোস্টের ২ নং প্রত্যুত্তরটি একটিবার দেখে নিতে পারেন।

তার সৃস্টিকতা যদি তাকে ঐ ভাবেই সৃস্টিকরে থাকে তবে কেন তাকে হত্যার আইন করলেন?

আর সমকামীরা সমাজে কি সমস্যা সৃস্টি করছে? বাইরের যেইসব দেশে সমকামিতা সমস্যা মনে করেনা... তাদের সমাজে কি কি সমস্যা সৃস্টি করছে?


আপনার এসব প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে দেয়ার মত সময় হাতে নেই। পরবর্তীতে সম্ভব হলে অাবার প্রতিমন্তব্যে আসার ইচ্ছে।

ভালো থাকবেন ভাই।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

নতুন বলেছেন: আরেকটা বিষয় উনার ভাই সম্পকে একটু খোজ নিন.... সুলতার তার জনগনের জন্য শরিয়া আইন দেখাচ্ছেন.... কিন্তু উনার ভাইয়ের প্রতি উনার বিচার কি????

https://www.thesun.co.uk/news/8788754/sultan-brunei-playboy-brother-jefri/

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



দোষে গুণেই মানুষ। সুলতানও তার ব্যতিক্রম না হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে, বিচারের দন্ড সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।

ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

বলেছেন: ভালো লাগলো

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা সবসময়।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মাহিরাহি বলেছেন: পোপ ফ্রান্সিস সিরিয়া, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তানে শিশুদের মৃত্যুর জন্য ইউরোপ ও আমেরিকাকে দোষারোপ করেছেন, বলছেন ধনী পশ্চিমা দেশগুলি যুদ্ধ অঞ্চলগুলিতে অস্ত্র বিক্রি করে দ্বন্দ্ব উসকে দিয়েছে।

ফ্রান্সিস বলেন, বিশ্বজুড়ে এতবেশি যুদ্ধের কারণ হল "ধনী ইউরোপ এবং আমেরিকা অস্ত্র বিক্রি করা যা কিনা শিশু এবং মানুষ হত্যার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ অস্ত্র বিক্রি না করলে আফগানিস্তান, ইয়েমেন এবং সিরিয়া মত দেশে যুদ্ধ হত না।

তিনি বলেন, বিদেশীরা ইতালিতে সবচেয়ে বেশি অপরাধের উৎস নয় কারণ "আমাদের মধ্যেও প্রচুর অপরাধী আছে।


অভিবাসীরা আমাদের ধনসম্পদ এনেছে কারণ ইউরোপবাসী অভিবাসীদের দ্বারা তৈরি হয়েছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মাহিরাহি বলেছেন: পোপ ফ্রান্সিস সিরিয়া, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তানে শিশুদের মৃত্যুর জন্য ইউরোপ ও আমেরিকাকে দোষারোপ করেছেন, বলছেন ধনী পশ্চিমা দেশগুলি যুদ্ধ অঞ্চলগুলিতে অস্ত্র বিক্রি করে দ্বন্দ্ব উসকে দিয়েছে।

মাঝে মাঝে এরকম দু'একটি বিবৃতি দেখলে তো ভালো লাগে। তবু ধন্যবাদ তাকে, তিনি অন্তত: অত্যাচারিতদের পক্ষে কথা বলেছেন।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ফেনীতে মাদ্রাসাছাত্রীকে এসিডে হত্যাচেষ্টা ও ডেমরায় শিশু হত্যায় অভিযুক্ত দুই আলেমের বিচার চাইবে কি ইসলামী সংগঠনগুলো? এসব সংগঠন তো নানা ইস্যুতে ঢাকার পল্টন কাঁপিয়ে তোলে। এখন তারা কি করে জাতি দেখতে চায়।

বাংলাদেশ ধর্ষকদের অভয়াশ্রম
এখানে এদের বিচার হয় না!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



অন্যায়কে অন্যায় হিসেবেই দেখা উচিত। অন্যায় কাজ সংঘটনকারীকেও। আলেম অন্যায় করলেও তাকে ছাড় দেয়ার কিছু নেই। আমার মতে, এরকম ইস্যুতে পল্টন না কাঁপালেও অন্তত: সোচ্চার হওয়া উচিত সকলের।

বিচারের বানী যেন নিভৃতে কেঁদে না যায়।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার আপনার পোষ্ট থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে ধর্ম নিয়ে পোষ্ট দিতে শিখেছি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। তাহলে কি এখন আমার অবসরে যাওয়ার সময় কাছে চলে এসেছে, ধরে নিতে পারি?

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

নাসির ইয়ামান বলেছেন: ৯)ও ১০) রাজীব নূর

এরকম সাহসিকতাপূর্ণ আইন প্রণয়ন ও অব্যাহত বাস্তবায়ন দেখে অন্যান্য মুসলিম শাষকদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ! বিপদ তো আসবেই,কিন্তু সত্যের উপর অবিচল থাকাই হলো প্রকৃত 'মুসলিমগিরি'

"আর যে তাক্বওয়া অবলম্বন করে,আল্লাহ তার পথ তৈয়ার করে দেন" (আল কোরান)

শোকরিয়া; ওরা মুখের ফুৎকার দিয়ে 'আল্লাহর লাইট' নিভিয়ে দিতে চায়,আর আল্লাহ 'আলোকে' পূর্ণতা দানকারী,,যদিও "জাতিসংঘরা" চায় না!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

বাংলার মেলা বলেছেন: সুলতান নিজে যে ব্যাভিচার এতদিন করে এসেছেন, তার বিচার কে করবে? সৌদি আরবের শেখরা সারা দুনিয়া জুড়ে লাম্পট্য করে বেড়ায়, তাদের বেলায় কেন শরীয়া আইন খাটেনা?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



শরিয়াহ আইনের বাইরে তিনিও নন। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন, সে অপরাধের বিচারও একই আইনে হওয়া উচিত বলে মনে করি। সউদি শেখদের ভেতরে যারা ধরাকে সরা জ্ঞানে যাচ্ছে তাই অনাচারে লিপ্ত, আইনের আওতায় আনা দরকার তাদেরকেও।

মন্তব্যে আসায় অশেষ ধন্যবাদ ভাই বাংলার মেলা।

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

কলাবাগান১ বলেছেন: Click This Link
ব্রুনাই রাজার হেরেমের আমেরিকান পতিতা...
Brunei harem

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



তিনি অপরাধ করে থাকলে তারও এই আইনে বিচার হওয়া উচিত। ইসলামে হেরেমের কোনো স্থান নেই। গড্ডালিকাপ্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়ারও সুযোগ নেই। বিশ্বের এক দিকে মানুষ না খেয়ে কাষ্ঠ হচ্ছে, অনাহার-অর্ধাহারে মানব শিশু কঙ্কালে পরিনত হচ্ছে; আরেক প্রান্তে স্বর্ননির্মিত লাক্সারিয়াস কার আর বিলাসবহুল বিমানে আয়েশি ভ্রমন চলছে। দুনিয়াটাকে হেরেমে পরিনত করছে একদল সর্বভূক বনি আদম। এই বৈষম্যের অবসান হওয়া উচিত।

আসল বিচারের দিন আল্লাহ পাকের আদালতে এদের জবাব থাকবে না।

ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ভালো থাকবেন।

১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৩৩

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
দোষে গুণেই মানুষ। সুলতানও তার ব্যতিক্রম না হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে, বিচারের দন্ড সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।
ধন্যবাদ।

এই রকমের মানুষ ধম` নিজের সাথে` ব্যবহার করে.... জনগনকে দমিয়ে রাখতে ব্যবহার করে.... যেমন এই আইন করাতে অনেকেই তার প্রতি সন্মান জানিয়েছে.... কিন্তু তিনি কেমন মানুষ সেটা অনেকেই জানে....

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



তার ব্যক্তি জীবন নিয়ে আমার অত বেশি জানা নেই। অপরাধ কোনোক্রমেই কারও নিকট থেকেই কাম্য নয়। তাতে তিনি সুলতান হোন আর নিতান্ত সাধারণ প্রজা হোন।

পুন:মন্তব্যে অভিনন্দন। ভালো থাকবেন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.