নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত:
পবিত্র মাহে রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো অনেক বড় সাওয়াবের কাজ। আল্লাহ পাক এই আমলটির দ্বারা আমাদের পূন্যের পাল্লাকে ভারী করার সুযোগ রেখেছেন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেছেন, ''এই মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদাকে ইফতার করাবে, ফলস্বরূপ তার গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে ও জাহান্নাম হতে তাকে নিষ্কৃতি দান করা হবে। আর তাকে উক্ত রোজাদারের সমান সওয়াব দেয়া হবে। কিন্তু সেজন্য আসল রোজাদারের সওয়াব কিছুমাত্র কম করা হবে না।''
তিনি আরো বলেন, ''যে লোক রোজাদারকে একটা খেজুর, দুধ বা এক ঢোক সাদা পানি দ্বারাও ইফতার করাবে, সে লোককেও আল্লাহপাক এই সওয়াব দান করবেন। আর যে লোক একজন রোজাদারকে পূর্ণমাত্রায় পরিতৃপ্ত করবে, আল্লাহপাক তাকে আমার হাউজ হতে এমন পানীয় দান করবেন, যার ফলে জান্নাতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত সে কখনো পিপাসার্ত হবে না।'' বাইহাকী, শোয়াবুল ঈমান।
রমজানের জরুরী কিছু মাসআলা:
রোজা অবস্থায় চোখে ঔষধ বা ড্রপ ব্যবহার: চোখে ড্রপ, ঔষধ, সুরমা বা মলম ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় উপলব্ধি হয়। কারণ, চোখে ঔষধ ইত্যাদি দিলে রোজা না ভাঙ্গার বিষয়টি হাদিছ ও ফিকহ শাস্ত্রের মূলনীতি দ্বারা প্রমাণিত। (যাদীদ ফিক্বহি মাসায়েল, পৃ. ১৮৩)
মুখে ঔষধ ব্যবহার করা: মুখের অভ্যন্তরে কোনো ঔষধ ব্যবহার করে তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তা যত স্বল্প পরিমাণই হোক না কেন। অতএব, কেউ যদি রমজানে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু গিলে ফেলে, তাহলে তার উপর উক্ত রোজার কাযা-কাফ্ফারা উভয়টিই ওয়াজিব হবে। (ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান)
রোজা অবস্থায় অক্সিজেন ব্যবহার: নাকে অক্সিজেন নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। যেহেতু শরীরের ভিতর বাহির থেকে কোন কিছু প্রবেশ করার যে চার নালি রয়েছে নাক তন্মধ্যে অন্যতম। (ফতোয়ায়ে রশিদিয়া, খ-১, পৃ. ২৫৩)
মহিলাদের ঋতুস্রাব অবস্থায় রোজা: মহিলাদের হায়েয (ঋতুস্রাব) এবং নেফাস অবস্থায় রোজা ছেড়ে দিতে হবে। আর যদি রমজান মাসের মধ্যে তারা পাকপবিত্র হয়ে যায়, তাহলে অবশিষ্ট রোজাগুলো তাদেরকে রাখতে হবে এবং রমজানের পর ছুটে যাওয়া রোজাগুলোর কাযা করে নিতে হবে। (বাহরুর রায়েক)
রোজা অবস্থায় ঔষধ সেবন করে ঋতুস্রাব বন্ধ রাখা: মহিলাদের ঋতু আসা একটি স্বভাবজাত বিষয়। সৃষ্টিগতভাবে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় শরিয়ত কর্তৃক তাদেরকে অপারগ গণ্য করে তাদের থেকে নামাজ-রোযা ইত্যাদির দায়িত্ব উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। সনাতন ও আধুনিক চিকিৎসার দৃষ্টিতেও নিয়মিত ঋতুস্রাব মহিলাদের সুস্থতার প্রমাণ বহন করে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকা চাই। তারপরেও যদি কোন মহিলা ঔষধ সেবনের মাধ্যমে ঋতুস্রাব বন্ধ করে রোজা আদায় করার অবকাশ রয়েছে। কেউ এভাবে রোজা রাখলে তার রোজা শুদ্ধ বলে গন্য হবে।
রোজা রেখে রক্ত দেওয়া ও নেওয়া: শরীরে রক্ত নিলে বা নিজ শরীর থেকে কাউকে রক্ত দান করলে কোনো অবস্থাতেই রোজা নষ্ট হবে না। কারণ, রক্ত দেওয়ার কারণে কোন বস্তু দেহের অভ্যন্তরে ঢুকেনা, তাই তাতে রোজা নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর রক্ত নিলে যেহেতু রক্ত শরীরের অন্যান্য ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে প্রবেশ করা হয়ে থাকে। সুতরাং রোজাবস্থায় কারো শরীরে রক্ত দান করলে বা নিজে রক্ত গ্রহণ করলে রোজা নষ্ট হবে না। (ফাতওয়ায়ে শামী)
রোজা অবস্থায় স্যালাইন ব্যবহার: স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, স্যালাইন নেয়া হয় রগে। আর রগ রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কোন ছিদ্র ও রাস্তা নয়। তবে রোজার দুর্বলতা দূর করার উদ্দেশ্যে স্যালাইন নেওয়া মাকরূহ। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৩/২৮৮)
রোজা অবস্থায় ইনসুলিন ব্যবহার: রোজা অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগী ইনসুলিন নিলে রোজা নষ্ট হবে না। কারণ ইনসুলিন রোজা ভাঙ্গার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য কোন খালি স্থানেও পৌঁছে না। (ফতোয়ায়ে শামী)
রোজা অবস্থায় ইনজেকশন নেয়ার হুকুম: ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হবে না। চাই তা গোস্তে নেওয়া হোক বা রগে। কারণ ইনজেকশনের সাহায্যে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশকৃত ঔষধ গোস্ত বা রগের মাধ্যমেই প্রবেশ করানো হয়ে থাকে, যা অস্বাভাবিক প্রবেশ পথ, তাই ইহা রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ নয়। (বাহরুর রায়েক)
নাকে ঔষধ বা ড্রপ ব্যবহার: নাকে ড্রপ, ঔষধ বা পানি ইত্যাদি দিয়ে ভিতরে টেনে নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ, নাক রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা। নাকে ড্রপ ইত্যাদি নিলে তা গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। (ফতোয়ায়ে শামি, খ-২, পৃ. ২০০)
ছবি: অন্তর্জাল।
১৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
এটা একটা সমস্যা বটে! ভবনের উপরের দিককার তলাগুলোতে বসবাসের এটি একটি নিন্দনীয় দিক। আমার কাছে এটি রীতিমত কষ্টদায়ক। আপনার মত এই একই সমস্যা আমিও কমবেশি অনুভব করছি বিগত প্রায় ২ বছর যাবত। তবে এমতাব্স্থায়ও রোজাদারদের ইফতার করানোর ব্যবস্থা ভিন্নভাবে করে সাওয়াব অর্জনের আশা করা যায়। যেমন-
১। দাওয়াত করে আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিতজনদের ইফতার করানোর সুযোগটা এখানেও বিদ্যমান।
২। মসজিদে মুসল্লিদের, ইয়াতিমখানা মাদরাসায় ইয়াতিম ছাত্রদের ইফতার দিয়ে দেয়া যায়। এছাড়া আরও বিভিন্ন উপায় থাকতে পারে।
আশা করি, এগুলোতেও বর্ণিত সাওয়াবলাভ সম্ভব। আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন।
২| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: উপকারি পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন।
১৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা। মন্তব্যে আপনার আগমন শুভ হোক। অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন। বরাবরই আপনাকে পেয়েছি জ্ঞানের পথের অবিচল পথিক হিসেবে।
আগাম ঈদ শুভেচ্ছা থাকলো। ভালো থাকুন পরিবারের সকলকে নিয়ে।
৩| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: রোজা অবস্থায় অক্সিজেন আমরা প্রতিনিয়তই নিচ্ছি। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাচবো না।এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তবে।কৃত্রিম অক্সিজেনে কি ক্ষতি হয়?
২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
কারও যদি স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। তিনি কৃত্রিম অক্সিজেন গ্রহন করতে পারবেন। এ কারণে তার রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: থাকি ছয় তালায়, ইচ্ছা করলেও কাউকে ইফতার করাতে পারি না। কোনো ভিক্ষুক ছয় তালায় উঠতে চায় না।