নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫০০ তম পোস্টে স্বাগত; পবিত্র কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের আসলে তেমন কোনো বিরোধ নেই; কিছু লোক বেহুদাই দু\'টোকে আলাদা করে টক্কর লাগাতে চায়......

২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৬

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

৫০০ তম পোস্টে স্বাগত; পবিত্র কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের আসলে তেমন কোনো বিরোধ নেই; কিছু লোক বেহুদাই দু'টোকে আলাদা করে টক্কর লাগাতে চায়......

মহাগ্রন্থ আল কুরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বলেছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা। সূরা ইয়াসীন এর দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে-

وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ

অর্থাৎ, শপথ বিজ্ঞানময় কুরআনের।

তো কুরআন যে বিজ্ঞানময় এক ঐশীগ্রন্থ আল কুরআনের অন্য অনেক আয়াত এর স্বপক্ষে প্রমান বহন করে। কিন্তু কিছু লোক 'কুরআন বিজ্ঞানময়' একথা শুনলেই চোখ বড় বড় করে তাকায়। এটা আবার কি করে হতে পারে? দেড় হাজার বছর আগে যেখানে মানুষ বিজ্ঞানের ছোঁয়া-সংস্পশেরও বাইরে ছিল, সভ্যতা যেখানে থমকে ছিল মধ্যযুগের মরচে ধরা শেকলে- সেখানে সেই সময়ের কিতাব আল কুরআন বিজ্ঞানময় হতে পারে, এটা কিভাবে সম্ভব?

বিশাল এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে খেতে মাথা খারাপ হওয়ার যোগার অনেকের। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, কুরআনের কিছু কিছু আয়াত সম্ভবত বিশেষভাবে তাদের জন্যই। সেসব আয়াত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, আল কুরআন সত্যি সত্যিই বিজ্ঞানময়। বিজ্ঞানের উৎকর্ষ যতই সাধিত হচ্ছে আল কুরআনের প্রতিটি বাণীর সত্যতা মানুষের সামনে ততই উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে। মানুষ এখন বিজ্ঞানমুখী। বিজ্ঞানের আশির্বাদে এখন মানুষ কুরআনে উপস্থাপিত প্রতিটি বিষয়ের সত্যতার প্রমান বাস্তবে প্রত্যক্ষ করে কুরআনকে গ্রহণ করে নিচ্ছে। কুরআনের কাছে ফিরে আসছে। সভ্যতার চকচকে মোড়কের আড়ালে ঘূণে ধরা পশ্চিমা বিশ্বে এই ফিরে আসার হার সবচেয়ে বেশি। এটা আনন্দের। এটা প্রশান্তির। সত্যের দিকে মানুষের এই প্রত্যাবর্তন ইনশাআল্লাহ বাড়তেই থাকবে। একসময় গোটা পৃথিবী ফিরে আসবে কুরআনের ছায়াতলে। পৃথিবীতে বয়ে যাবে শান্তির সুবাতাস।

জ্ঞানীগণ কুরআন এবং বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করেন না। তারা জ্ঞানের আকর কুরআনের কাছে বারবার ফিরে আসেন। পক্ষান্তরে বিতর্ককারীগণ কুরআন নাযিলের সময় যেমন বিতর্কে লিপ্ত ছিলেন এসময়েও তাদের একশ্রেণির কাজ থেমে নেই। তাদের জন্য শুভকামনা। আসুন, প্রায় ১৪৫০ বছর পূর্বে নাযিল হওয়া আল কুরআনে বর্ণিত কিছু বিষয়ে চোখ বুলিয়ে দেখি যে, বর্তমান বিজ্ঞান এসব ব্যাপারে কুরআনের বক্তব্যের বিপরীত কিছু বলছে কি না-

চাঁদের নিজস্ব আলো না থাকাঃ

বিজ্ঞান মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করেছে যে, চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। কিন্তু আল কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-

تَبَارَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاء بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَاجًا وَقَمَرًا مُّنِيرًا

কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও দীপ্তিময় চন্দ্র। -সূরা আল ফুরক্বান, আয়াত ৬১

চন্দ্র সূর্যের নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্ররিভ্রমনঃ

বিজ্ঞান মাত্র দু'শো বছর আগে আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে যে, চন্দ্র এবং সূর্য নির্দিষ্ট কক্ষপথে ভেসে চলে। কিন্তু কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। আল্লাহ তাআ'লা বলেন-

وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। -সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৩৩

وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ

সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। -সূরা ইয়া সীন, আয়াত ৩৮

وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ

চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়। -সূরা ইয়া সীন, আয়াত ৩৯

لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। -সূরা ইয়া সীন, আয়াত ৪০

মানুষের আইডেন্টিটি বা পরিচয় শনাক্তকরণে ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবহারঃ

মানুষের আইডেন্টিটি বা পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষে্ত্রে অন্যান্য পদ্ধতির পাশাপাশি ফিঙ্গার প্রিন্ট আজকের আধুনিক পৃথিবীতে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। ইদানিংকালে এই পদ্ধতিটি বিজ্ঞান আবিষ্কার করলেও আল কুরআনে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে যে, মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদাভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। প্রত্যেকের আঙ্গুলের ছাপ ইউনিক। একজনের আঙ্গুলের ছাপ অন্যজনের সাথে কখনও মিলবে না। আল কুরআনে বর্ণিত হয়েছে-

أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَلَّن نَجْمَعَ عِظَامَهُ

মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করব না? -সূরা কিয়ামাহ, আয়াত ৩

بَلَى قَادِرِينَ عَلَى أَن نُّسَوِّيَ بَنَانَهُ

পরন্ত আমি তার অংগুলিগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম। -সূরা কিয়ামাহ, আয়াত ৪

‘বিগ ব্যাং’ থিওরিঃ

ইতিপূর্বে ‘বিগ ব্যাং’ থিওরি ছিল না। কিংবা বলা উচিত, মানুষের জানার বাইরে ছিল। এটি আবিষ্কার হয় মাত্র বছর চল্লিশেক আগে। অথচ কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। ইরশাদ হয়েছে-

أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ

অবিশ্বাসীগণ কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? -সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৩০

পানিচক্রঃ

পানিচক্রের কথা বিজ্ঞান গবেষনার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি বেশি দিন হয়নি। কিন্তু আল কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। কুরআনুল কারিমে বর্ণিত হয়েছে-

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَسَلَكَهُ يَنَابِيعَ فِي الْأَرْضِ ثُمَّ يُخْرِجُ بِهِ زَرْعًا مُّخْتَلِفًا أَلْوَانُهُ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَجْعَلُهُ حُطَامًا إِنَّ فِي ذَلِكَ لَذِكْرَى لِأُوْلِي الْأَلْبَابِ

তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর সে পানি যমীনের ঝর্ণাসমূহে প্রবাহিত করেছেন, এরপর তদ্দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তোমরা তা পীতবর্ণ দেখতে পাও। এরপর আল্লাহ তাকে খড়-কুটায় পরিণত করে দেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। -সূরা যুমার, আয়াত ২১

লবণাক্ত ও মিষ্টি পানি একসাথে মিশ্রিত না হওয়াঃ

বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে যে, লবণাক্ত ও মিষ্টি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না। কিন্তু আল কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। ইরশাদ হয়েছে-

مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ

তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন। -সূরা আর রহমান, আয়াত ১৯

بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيَانِ

উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না। -সূরা আর রহমান, আয়াত ২০

হাদিসের আলোকে ডান কাতে শুয়ে নিদ্রার উপকারিতা চিকিৎসা বিজ্ঞানেও প্রমানিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান কাতে শুয়ে ঘুমাতেন। তিনি আমাদেরকে ডান কাতে শুয়ে ঘুমানোর নির্দেশও প্রদান করেছেন। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, মেডিকেল সায়েন্সের আধুনিক গবেষণা প্রমান করেছে যে, ডান কাতে শুয়ে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে। হাদিসের ভাষ্য দেখুন-

হযরত সায়ীদ ইবনে আবূ উবাইদা রা: বলেন, হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- 'তোমারা যখন শুয়ার জন্য বিছানায় যাবে তখন প্রথমে অযু করবে, যেমন নামাযের জন্য অযু কর। অতঃপর ডান কাতে শুয়ে পড়বে।' –বুখারী শরীক

পিপীলিকা দলবদ্ধভাবে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন পদ্ধতিঃ

বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে। পিপীলিকা দলবদ্ধভাবে সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত - কুরআন আমাদের এতদবিষয়ে ধারণা দিয়েছে বহুকাল পূর্বেই। বর্ণিত হয়েছে-

وَحُشِرَ لِسُلَيْمَانَ جُنُودُهُ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ وَالطَّيْرِ فَهُمْ يُوزَعُونَ

সুলায়মানের সামনে তার সেনাবাহিনীকে সমবেত করা হল। জ্বিন-মানুষ ও পক্ষীকুলকে, অতঃপর তাদেরকে বিভিন্ন ব্যূহে বিভক্ত করা
হল। -সূরা নামল, আয়াত ১৭

حَتَّى إِذَا أَتَوْا عَلَى وَادِي النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُودُهُ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ

যখন তারা পিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় সুলায়মান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবে। -সূরা নামল, আয়াত ১৮

মদ হারাম হওয়ার যৌক্তিকতাঃ

আল কুরআন মদ পানকে হারাম ঘোষনা করেছে ১৪০০ বছর পূর্বে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও এখন প্রমান করেছে যে, মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর। ইরশাদ হয়েছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক- যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। -সূরা আল মা-য়িদাহ, আয়াত ৯২

يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَآ أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلِ الْعَفْوَ كَذَلِكَ يُبيِّنُ اللّهُ لَكُمُ الآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ

তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। -সূরা আল বাক্কারাহ, আয়াত ২১৯

শুকরের মাংস লিভার এবং হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকরঃ

ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। ইসলাম যখন এটাকে হারাম ঘোষনা করে তখন পৃথিবীতে কোনো ল্যাবরেটরি ছিল না যেখানে পরিক্ষা করে জানা সম্ভব ছিল যে, শুকরের মাংস মানবদেহের জন্য উপকারী না কি ক্ষতিকর। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে আজ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, শুকরের মাংস লিভার এবং হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরও কিছু নির্দেশের সাথে শুকুরের মাংস খাওয়াকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ

ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢُ ﺍﻟْﻤَﻴْﺘَﺔَ ﻭَﺍﻟﺪَّﻡَ ﻭَﻟَﺤْﻢَ ﺍﻟْﺨِﻨْﺰِﻳﺮِ

তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত প্রাণী, রক্ত ও শুকরের মাংস। -সুরা বাক্কারাহ, আয়াত ১৭৩

ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻥْ ﻳَﻜُﻮﻥَ ﻣَﻴْﺘَﺔً ﺃَﻭْ ﺩَﻣًﺎ ﻣَﺴْﻔُﻮﺣًﺎ ﺃَﻭْ ﻟَﺤْﻢَ ﺧِﻨْﺰِﻳﺮٍ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺭِﺟْﺲٌ

অর্থঃ মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস অপবিত্র। -সুরা আল আনআম, আয়াত ১৪৫

রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদনঃ

রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদনের ব্যাপারে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কয়েক বছর আগে। কিন্তু পবিত্র কুরআন এই বিষয়ে বর্ণনা করেছে বহু পূর্বেই। ইরশাদ হয়েছে-

وَإِنَّ لَكُمْ فِي الْأَنْعَامِ لَعِبْرَةً نُّسقِيكُم مِّمَّا فِي بُطُونِهَا وَلَكُمْ فِيهَا مَنَافِعُ كَثِيرَةٌ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ

এবং তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু সমূহের মধ্যে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। আমি তোমাদেরকে তাদের উদরস্থিত বস্তু থেকে পান করাই
এবং তোমাদের জন্যে তাদের মধ্যে প্রচুর উপকারিতা আছে। তোমরা তাদের কতককে ভক্ষণ কর। -সূরা মুমিনূন, আয়াত ২১

মানুষের জন্মতত্ত্ব, ভ্রুনতত্ত্বঃ

মানুষের জন্মতত্ত্ব, ভ্রুনতত্ত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কিছু দিন আগে। কিন্তু আল কুরআন এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে ১৪০০ বছর আগে। বর্ণিত হয়েছে-

اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ

পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। -সূরা আলাক, আয়াত ১

خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ

সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। -সূরা আলাক, আয়াত ২

কুরআন বলছে, পুরুষই নির্ধারণ করে থাকে যে, আগন্তুক শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবেঃ

ভ্রুনতত্ত্ব নিয়ে গবেষনার ফলে বিজ্ঞান আজ জেনেছে, পুরুষই নির্ধারণ করে থাকে যে, আগন্তুক শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে। কপাল কুচকে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট হয়ে উঠতেই পারে। কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে- কুরআন এই কথা জানিয়েছে ১৪০০ বছর আগেই। দেখুন, আল্লাহ তাআ'লা কেমন স্পষ্টভাষী!

وَأَنَّهُ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى

এবং তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী। -সূরা আন নাজম, আয়াত ৪৫

مِن نُّطْفَةٍ إِذَا تُمْنَى

একবিন্দু বীর্য থেকে যখন স্খলিত করা হয়। -সূরা আন নাজম, আয়াত ৪৬

أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِّن مَّنِيٍّ يُمْنَى

সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না? -সূরা আল কিয়ামাহ, আয়াত ৩৭

ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّى

অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। -সূরা আল কিয়ামাহ, আয়াত ৩৮

فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى

অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী। -সূরা আল কিয়ামাহ, আয়াত ৩৯

মাতৃগর্ভে থাকাবস্থায় শিশু প্রথমে কানে শোনার যোগ্যতা লাভ করে পরে প্রাপ্ত হয় চোখে দেখার ক্ষমতাঃ

বিজ্ঞনের আজকের এই জয়যাত্রার কালে এসে আমরা বহু গবেষনার পরে জানতে পারি, একটি শিশু যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখন সে সবার আগে কানে শোনার যোগ্যতা লাভ করে তারপরে প্রাপ্ত হয় চোখে দেখার ক্ষমতা। ১৪০০ বছর আগের বিদ্যুৎহীন, আধুনিক যন্ত্রপাতিবিহীন এক পৃথিবীতে মাতৃজঠরে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তরগুলো নিয়ে কুরআন কত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম এবং বিস্তর আলোচনা করেছে, ভাবা যায়?মেডিকেল সায়েন্স গবেষনায় আজ এগুলো অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত!

মহান স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসে, শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। বর্ণিত হয়েছে-

ثُمَّ سَوَّاهُ وَنَفَخَ فِيهِ مِن رُّوحِهِ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ

অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন, তাতে রূহ সঞ্চার করেন এবং তোমাদেরকে দেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। -সূরা আসসাজদাহ, আয়াত ৯

ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ

অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি। -সূরা আল মুমিনূন, আয়াত ১৩

ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ

এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড
থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়। -সূরা আল মুমিনূন, আয়াত ১৪

إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَّبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِيعًا بَصِيرًا

আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব অতঃপর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। - সূরা ইনসান, আয়াত ২

পৃথিবীর আকার-আকৃতি নিয়ে কুরআনের বক্তব্যঃ

পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করতো, পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবতো, পৃথিবী চ্যাপ্টা, সমান্তরাল, নানান ভাবনা। কিন্তু কুরআন ১৪০০ বছর আগে জানিয়ে দিয়েছে, পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।

আদিমকাল থেকে মানুষ ধারণা করতো যে, পৃথিবীর আকার হচ্ছে চ্যাপ্টা ।

১৫৯৭ সালে "ফ্রান্সিস ড্রেক" প্রথম পৃথিবীর চারদিকে নৌ-ভ্রমন করে প্রমান করেছিলেন যে, পৃথিবী গোলাকার। আর আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণায় আমরা জানতে পেরেছি যে, পৃথিবী গোলাকার। সর্বশেষ গবেষণায় স্যাটেলাইট যুক্ত হওয়ায় এর মাধ্যমে আমরা আরো জানতে পেরেছি যে, পৃথিবী আসলে সুষম গোলাকার নয় অনেকটা উপবৃত্তাকার বা উটপাখির ডিমের মত। যদিও এ বিষয়গুলোও আবিষ্কৃত হয়েছে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে।

এ বিষয়ে আল-কুরআন কি বলে?

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন-

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي إِلَىٰ أَجَلٍ مُسَمًّى وَأَنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِير

তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন? -সূরা লুকমান, আয়াত ২৯

এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, রাত ধীরে ধীরে এবং ক্রমশ দিনে রূপান্তরিত হয়, অনুরূপভাবে দিনও ধীরে ধীরে রাতে রূপান্তরিত হয়। এ ঘটনা কেবল পৃথিবী গোলাকার হলেই ঘটতে পারে। পৃথিবী যদি চ্যাপ্টা বা সমতলভূমি হত, তাহলে রাত্রি থেকে দিনে এবং দিন থেকে রাত্রিতে একটা আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে যেত। অর্থাৎ সেকেন্ডের মধ্যে দিন হতো আবার সেকেন্ডের মধ্যেই কিছু বুঝে উঠার আগেই রাতের প্রবেশ ঘটতো।

خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ

তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। -সূরা আল যুমার, আয়াত ০৫

এখানে আরবী يُكَوِّرُ শব্দটির অর্থ হচ্ছে “আচ্ছাদিত বা মোড়ানো” বা ”একটি জিনিষ দ্বারা অপর একটি জিনিষকে জড়িয়ে বা মুড়িয়ে দেয়া, যেমন- পাগড়ী যেভাবে পরিধান করা হয়।

এই আয়াতটি আমাদের বলে দেয় যে পৃথিবী সমতল নয় কারন পৃথিবী সমতল হলে পৃথিবীতে আলো হঠাৎ করে উদিত হতো ও হঠাৎ করে নিভে যেত, আর পৃথিবীর আকৃতি কেবল গোলাকার হলেই উপরের আয়াতের ঘটনাটি ঘটা সম্ভব।

কুরআন কিন্তু প্রায় ১৪০০ শত বছর পূর্বে পৃথিবী যে গোলাকার সেই বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়।

রেফারেন্স : ০১

ক) Principles Of Geographic Information , Editor Ott Huisman and Rof A. de , Page no: 192-205.
খ) গুগলে শুধু Earth Geoid Model লিখে সার্চ দিলেই চলে আসবে ।

অপর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন :

وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا

আর আল্লাহ্ পৃথিবীকে উহার পর ডিম্বাকৃতি করে তৈরি করেছেন। -সূরা আন নাযিয়াত, আয়াত ৩০

এই আয়াতে পৃথিবীর আকার বুঝাতে যে শব্দটি ব্যবহার হয়েছে তা হলো دَحَاهَا ’দাহাহা’। তাফসীর গ্রন্থের পুরনো অনুবাদগুলিতে এই আয়াতের অর্থ করা হয়েছে 'এরপর তিনি পৃথিবীকে বিছিয়ে দিয়েছেন'। যেহেতু তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর আকার-আকৃতি সমন্ধে সে সময়কার মানুষদের তেমন কোন ধারণা ছিল না তাই তারা দাহাহা শব্দটিকে 'দাহবুন' এর সঙ্গে মিল রেখে অনুবাদ করেছেন যার অর্থ দাঁড়ায় প্রসারিত করা বা বিছিয়ে দেওয়া।

কিন্তু দাহা শব্দের অর্থ ‘উটের ডিম’। এক্ষেত্রে বলতে হবে, আরবী একটা শব্দের অনেকগুলো অর্থ থাকে। যেমন বাংলা 'বস' বলতে বুঝায় “প্রভু বা মালিক, আবার 'আসন' বা 'আসন গ্রহন করা' বুঝাতেও এটি ব্যবহৃত হয়। আবার English শব্দ 'Live' এর দুইটা অর্থ সবাই জানি একটা অর্থ “বাস করা অন্যটির অর্থ সরাসরি সম্প্রচার করা’’ এক্ষেত্রে বলতে হবে শব্দের অর্থ পরিবর্তন হয় অবস্থান বুঝে।

নিম্নে دَحَاهَا দাহাহা’র দুইটি সাধিত শব্দ দেওয়া হলো-

আল-উদহিয়্যু (ا لادحي) = উটপাখির ডিম ০২।

রেফারেন্স ০২ :

دَحَاهَا ’দাহাহা’ এর প্রতিশব্দ “ লিংক ’’

আল-উদহুয়্যাতু (الادحوت) = উটপাখির ডিমের স্থান ।

বর্তমানে বেশীরভাগ লেখক এখন دَحَاهَا ’দাহাহা’ শব্দের অনুবাদ হিসেবে ডিম্বাকৃতি শব্দ ব্যবহার করছেন ০৩।

রেফারেন্স ০৩ :
ক) By Syed Vickar Ahamed And more, He has extended the earth (far and wide also in the shape of an egg (79:30).
খ) By Dr. Kamal Omar And the earth, after this stage, He gave it an oval form (79:30).

আসলে পৃথিবীর ঘূ্র্ণায়ন ও অভিকর্ষের প্রভাবে এটি সুষম গোলক নয়। সম্প্রতি স্যাটেলাইট হতে প্রাপ্ত ছবি ও বিভিন্ন জটিল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা সুনিশ্চিত হওয়া গেছে যে, আমাদের এ পৃথিবী অনেকটা উট পাখির ডিমের ন্যায়। কারন, মেরু অঞ্চলীয় ব্যাসার্ধের চেয়ে নিরক্ষীয় অঞ্চলের ব্যাসার্ধ একটু বেশী হওয়ায় এটি বর্তুল আকৃতি বা ডিম্ব আকৃতি দেখায়। এইভাবে আল কুরআনে ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীর আকৃতির বর্ণনা সঠিকভাবে দেয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে। পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণের ব্যাসের তুলনায় নিরক্ষীয় ব্যাসের আপেক্ষিক পার্থক্য এটিকে একটি বর্তুল আকৃতি কিংবা ডিম্ব আকৃতি দান করেছে। আরও পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি গঠনে এই আকৃতিটি কিছুটা বিকৃত হয়েছে, যাকে বলা হয় 'Geoid' যা একটি নাশপাতির অনুরূপ। পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাসার্ধ্য হল ৬৩৭৮ কিলোমিটার, যেখানে তার মেরু অঞ্চলীয় ব্যাসার্ধ্য হল ৬৩৫৬ কিলোমিটার।

এই আয়াত থেকে একথাও বুঝা যায়, আদিকালে পৃথিবী এই আকৃতির ছিল না। পরবর্তীতেই এই আকৃতি প্রাপ্ত হয়। মহাকাশ বিজ্ঞানে পৃথিবীর বর্তমান আকার সম্পর্কে দুটি মতবাদ রয়েছে। প্রথম মতানুসারে, পৃথিবী ছিল সূর্য থেকে ছিটকে পড়া একটি টুকরো। দ্বিতীয় মতানুসারে, সূর্য ও পৃথিবী উভয়টিই একটি নীহারিকা থেকে গঠিত হয়েছে। উভয় মতই স্বীকার করে, প্রথম যখন পৃথিবী সৃষ্টি হয় তখন তার বর্তমান আকার ছিল না। পরবর্তী সময়েই এটি ডিম্বাকার লাভ করেছে। এই আয়াতটি উভয় মতের সঙ্গে পরিপূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

রাত-দিনের হ্রাস-বৃদ্ধিঃ

পৃথিবীতে রাত-দিনের হ্রাস-বৃদ্ধির রহস্য সম্মন্ধে কুরআন কি বলে? এ বিষয়টি মানুষ জেনেছে খুব বেশি হলে এখন থেকে মাত্র দু'শো বছর আগে। কিন্তু কুরআন এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে! অবাক হলেন! অবাক হলেও এটাই বাস্তবতা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন-

رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ

তিনি দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের মালিক। -সূরা আর রহমান, আয়াত ১৭

فَلَا أُقْسِمُ بِرَبِّ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ إِنَّا لَقَادِرُونَ

আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের পালনকর্তার, নিশ্চয়ই আমি সক্ষম! -সূরা আল মাআ'রিজ, আয়াত ৪০

رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ

তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের। -সূরা আস সফফাত, আয়াত ০৫

দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচল কি?

বছরের প্রত্যেক দিনই সূর্য আকাশে ভিন্ন ভিন্ন কোণ (angle) তৈরি করে উদিত ও অস্তমিত হয়। গ্রীষ্ম ও শীতে সূর্যের উদয়াচল ও অস্তাচলের কোণে (angle) সবচেয়ে বেশি পার্থক্য দেখা যায়। আয়াতে এই দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। বছর জুড়ে সূর্যের গতিপথ কেমন হয় তা নিচের ফিগারে দেখে নিতে পারেন।

উপরের চিত্রে লাল বৃত্ত দিয়ে কোণ (angle) নির্দেশ করা হচ্ছে। সবার বাইরের বৃত্তে ডিগ্রীতে কোণের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। আর নীল রেখাগুলো হচ্ছে সূর্যের সারাদিনের গতিপথ। নীল দাগগুলোর উপর লম্বা লম্বা ছোট কিছু দাগ রয়েছে। এগুলো দিনের বিভিন্ন ঘণ্টা নির্দেশ করে। বছরের ৬টি দিনে সূর্যের গতিপথ দেখানো হয়েছে। সবার নিচেরটি জুন ২১ এর, আরে সবার উপরেরটি ডিসেম্বর ২১ এর। আর এই পর্যবেক্ষণটি রটারডাম নামক স্থান থেকে গৃহীত। খেয়াল করুন:



জুনের ২১ তারিখ সেখানে ভোর ৪টায় সূর্য উত্তর থেকে ৫০ ডিগ্রী কোণ করে, অর্থাৎ ঠিক পূর্ব থেকে উত্তরে ৪০ ডিগ্রী কোণ থেকে উদিত হয়েছে।

ডিসেম্বরের ২১ তারিখ সেখানে সূর্য উদিত হয়েছে সকাল সোয়া ৮টায়। এবার সূর্য উদিত হয়েছে ঠিক পূর্ব থেকে দক্ষিণে ৪০ ডিগ্রী কোন করে। অর্থাৎ ৬ মাসে সূর্যের উদয়স্থল বা উদয়াচলের পার্থক্য হচ্ছে ৮০ ডিগ্রী।

একইভাবে অস্তাচলের ক্ষেত্রে জুন ২১ ও ডিসেম্বরের ২১ এ ৮০ ডিগ্রী পার্থক্য আছে।

এটাই কুরআনে উল্লিখিত দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের ব্যাখ্যা। উদয়াচল ও অস্তাচল প্রতিদিনই ভিন্ন হয়। কিন্তু গ্রীষ্ম ও শীতে এর পরিবর্তন ভাল করে বোঝা যায়। তাই দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহজে উপলব্ধির জন্য আয়াতে এই দুই ঋতুর দিকেই ইঙ্গিত রয়েছে।

প্রিয় ভাই ব্লগার নতুন -কে এই ক্ষুদ্র লেখাটি উৎসর্গ করছি।

দীর্ঘ সময় নিয়ে পোস্ট পাঠ করে সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

আলহামদুলিল্লাহ, এই আইডিতে এটা ৫০০ তম পোস্ট। সামহোয়্যার ইন ব্লগের প্রতি অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। এই ব্লগের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা, এর পরিচালনার সাথে যুক্ত কা_ভা ভাইসহ প্রত্যেকের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং কল্যানের দুআ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা কুশলে রাখুন সকলকে। সকল সৃষ্টি জগতকে। তাকে চেনার তাওফিক দিন আমাদের। তাকে ভালোবাসারও।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৪

এভো বলেছেন: আপনি কি আমাকে এই ব্যপারে ব্যাখা দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন. .

বিজ্ঞান বলে ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে বিগ ব্যাঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্ঠি হয়েছিল , এর ৮.৭ বিলিয়ন বৎসর পরে সূর্যের সৃষ্ঠি হয় এবং ৯ বিলিয়ন বৎসর পর পৃথিবীর সৃষ্ঠি হয় -- কিন্তু কোরান অনুযায়ী আল্লাহতালা সবার আগে পৃথিবী তারপর আকাশ মন্ডলি নক্ষত্ররাজি সৃষ্ঠি করেছেন , যদি তাই হয় তাহোলে পৃথিবীর জন্ম ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে হওয়ার কথা ।

এই বিষয়ে নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারি নি , কাইন্ডলি একটু সাহায্য করবেন


আল্লাহ পৃথিবী, গাছপালা প্রাণিজগত আগে সৃষ্টি করেছেন, এরপরে সপ্ত আকাশ বা মহাকাশ।

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২

তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
কুরআন ২ঃ২৯

২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

একচুয়ালি কুরআনের সাথে বিজ্ঞানকে গুলিয়ে একাকার করার সুযোগ নেই। আর সকল বিষয়ে কুরআন এবং বিজ্ঞানে একই বক্তব্য থাকতে হবে- এমনটা ভাবারও কোনো যুক্তি নেই। মনে রাখতে হবে, বিজ্ঞান মানে বিশেষ জ্ঞান। এটা মানুষের অর্জিত/ লব্ধ জ্ঞানের ফলাফল। পক্ষান্তরে কুরআন সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত অমোঘ ঐশী বাণী, যা নির্ভুল এবং অপরিবর্তনীয়।

একটি মানুষের গবেষনালব্ধ জ্ঞানের ফলাফল আরেকটি বিশ্বজাহানের মালিকের প্রেরিত নির্ভুল বাণী। দু'টিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে তর্কে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত কি? মানুষের জ্ঞানের রাজ্য দিনকে দিন বড় হচ্ছে। মানুষ নিত্য নতুন বিষয়াদি জয় করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে আর অদ্ভুতভাবে কুরআনের সত্য বাণীগুলো বাস্তবে প্রতিফলিত হয়ে চোখের সামনে চলে আসছে। এতে সমস্যা কোথায়?

বিজ্ঞান নিত্য পরিবর্তনশীল। বিজ্ঞান আজ যেটাকে সঠিক বলে, দেখা গেছে পরবর্তীতে আরেকজন আরও অধিকতর গবেষনা দ্বারা আরও যুক্তিযুক্ত থিউরি/ সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবেন। তখন দীর্ঘ দিন যাবত বিশ্বাস করে আসা প্রথমোক্ত থিউরি/ সিদ্ধান্তটি অটোমেটিক্যালি বাতিল হয়ে যাবে। এমন ঘটনা গত কয়েক শতাব্দির ইতিহাসে অনেকগুলো ঘটেছে।

সুতরাং, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান বলে, বিজ্ঞান এবং কুরআন একটিকে অপরটির প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাবারও প্রয়োজন নেই। তর্কেরও প্রয়োজন নেই।

আপনার বিষয়টি তর্কের জন্য নয়, কুরআন হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা যায় কি না, ইনশা-আল্লাহ দেখবো।

মন্তব্যে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং কল্যাণের দুআ। অনেক ভালো থাকবেন।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪১

এভো বলেছেন: _
Verse (79:30) - English Translation
Word by Word
Quran Dictionary
English Translation
Syntactic Treebank
Ontology of Concepts

__
Welcome to the Quranic Arabic Corpus, an annotated linguistic resource for the Holy Quran. This page shows seven parallel translations in English for the 30th verse of chapter 79 (sūrat l-nāziʿāt). Click on the Arabic text to below to see word by word details of the verse's morphology.


Chapter (79) sūrat l-nāziʿāt (Those who Pull Out)

Verse (79:30)
Go
Chapter (79) sūrat l-nāziʿāt (Those who Pull Out)


Sahih International: And after that He spread the earth.

Pickthall: And after that He spread the earth,

Yusuf Ali: And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse);

Shakir: And the earth, He expanded it after that.

Muhammad Sarwar: After this, He spread out the earth,

Mohsin Khan: And after that He spread the earth;

Arberry: and the earth-after that He spread it out,

এখানে কেউ দাহাহ অর্থ উঠপাখির ডিম লিখেন নি ।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০১

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ভালই লেখেছেন ভাল লাগল-----------------

২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ।

লেখা ভালো লেগেছে জেনে প্রীত। অনেক অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

রবিন.হুড বলেছেন: কোরআনের আলোকে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও মোবারকবাদ।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন প্রিয় রবিন.হুড (নিপীড়িত মানুষের বন্ধু)।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুরা আল আসরের অর্থসহ বাংলা অনুবাদ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবেন । কারণ তাবলীগ জামাতের পন্থী আলেমের আলোচনা আর জামাত পন্থী আলেমদের আলোচনা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



ইনশা-আল্লাহ প্রিয় ভাইয়ের অনুরোধ রক্ষা করার চেষ্টা থাকবে।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন, প্রার্থনা।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিঃসন্দেহে সুন্দর পোস্ট।

সম্ভবত সুরা আর রাহমানের ১৭ নং আয়াতে দিন রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধির ব্যাপারে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। ১৭. তিনিই দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের রব।
এছাড়া সুরা আল মাআরিজ এর ৪০ নং আয়াতেও মাশ্রিক ও মাগ্রিবের কথা আছে। '"আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের পালনকর্তার, নিশ্চয়ই আমি সক্ষম!" ( সুরা মা আরিজ আয়াত ৪০)

এছাড়া সুরা বাকারার ১১৫ নং আয়াত, সুরা আস সাফফাতের ৫ নং আয়াতে মাশরিক ও মাগরিবের ব্যাপারে বলা হয়েছে।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে যুক্ত করে দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ। অশেষ শুকরিয়া জানবেন। পোস্টের পেছনে আরও সময় দেয়া প্রয়োজন ছিল। আমি সেটা পারিনি। পোস্ট রিলেটেড আরও কোনো আয়াত পাওয়া গেলে আশা করি জানাবেন।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে আপনাকে সার্বিক কল্যানের ভেতরে রাখুন।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: তথ্যবহুল এবং প্রয়োজনীয় পোস্ট।

আল্লাহ আমদের সকলকে সকল বিতর্কের বাইরে থেকে আল কোরআনের আলোকে জীবন ধারন করার তওফিক দান করুন।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আপনার আগমনে প্রীত।

আল্লাহ তাআ'লা কল্যাণ দান করুন আপনাকে।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: বিরোধ না থাকাই ভালো।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম নিয়ে মানুষ যতবারই লিখেন, লেখক প্রতিবারই ধর্মের কিছু একটা বদলায়ে ফেলেন।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় চাঁদগাজী ভাই,

চমৎকার বলেছেন! তবে সত্য কথা হচ্ছে, আপনার কাছে ধর্মের কিছু একটা বদলানোর মত মনে হলেও সত্যিকারার্থে ধর্মের কেউ কিছুই বদলাতে পারে না। ধরুন, কুরআনের কোনো আয়াত কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। বাড়াতে পারবে না, কমাতেও পারবে না। আপনি সম্ভবত যেটা বলতে চেয়েছেন, ভাষাগত প্রকাশ একেকজনের একেকরকম হতে পারে। প্রকাশের ভঙ্গি পাল্টে যেতে পারে। এটা স্বাভাবিকভাবেই হতে পারে। যাক, আপনি মনে হচ্ছে, রয়েসয়ে মন্তব্য করার চেষ্টা করছেন ইদানিং। শুকরিয়া।

আর আপনার শরীর ভালো তো? আপনি ভালো আছেন নিশ্চয়ই। করোনার ধকল কাটিয়ে সুস্বাস্থ্যে দীর্ঘজীবি হোন, প্রার্থনা থাকলো।

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

লোনার বলেছেন: রাশাদ খলিফাকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার না করাই ভালো - তিনি নিজেকে রাসূল দাবী করে মৃত্যুবরণ করেছেন!

২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, শুকরিয়া প্রিয়। মনে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

ফেনা বলেছেন: সুন্দর এবং গুরুত্তপূর্ণ পোষ্ট।
অনেক ভালবাসা রইল।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ছবি পাল্টেছেন কবে? অপূর্ব লাগছে আপনাকে।

শুকরিয়া জানবেন। কল্যাণের দুআ সবসময়।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: অনেক কিছু জানা ছিল না প্রিয় ভাই আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানলাম। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা।

কেমন আছেন, প্রিয় ভাই? নিয়মিত ব্লগে সময় দিতে পারি না বলে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক লেখা পাঠ থেকেও বঞ্চিত হতে হচ্ছে। দুআ চাই। ভালো থাকবেন, প্রার্থনা সবসময়।

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৭

নতুন বলেছেন: প্রিয় ভাই ব্লগার নতুন -কে এই ক্ষুদ্র লেখাটি উৎসর্গ করছি।

B:-)

ধন্যবাদ আমাকে মনে করার জন্য।

এই রকমের আলোচনাতে সবাই একটা কথা ভুলে যায় যেটা হলো মানুষ চিন্তা করেচলেছে অনেক আগে থেকে। অনেক কিছুই আপনি বলেছেন যে কোরানেই বলেছে ১৪০০ বছর আগে । কিন্তু একটু যদি খুজে দেখেন যেই বিষয়গুলি মানুষ আরো আগেই জানতো।

চন্দ্র সূর্যের নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্ররিভ্রমনঃবিজ্ঞান মাত্র দু'শো বছর আগে আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে যে, চন্দ্র এবং সূর্য নির্দিষ্ট কক্ষপথে ভেসে চলে। কিন্তু কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

মানুষ চাদ সূর্য নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভাবছে।

History of observations and measurements https://en.wikipedia.org/wiki/Orbit_of_the_Moon

The apparent trajectory of the Moon in the sky seen from Earth each night is like a wide ellipse, although the path depends on the time of the year and latitude.
About 1000 BC, the Babylonians were the first human civilization known to have kept a consistent record of lunar observations. Clay tablets from that period, which have been found over the territory of present-day Iraq, are inscribed with cuneiform writing recording the times and dates of moonrises and moonsets, the stars that the Moon passed close by, and the time differences between rising and setting of both the Sun and the Moon around the time of the full moon. Babylonian astronomy discovered the three main periods of the Moon's motion and used data analysis to build lunar calendars that extended well into the future.[10] This use of detailed, systematic observations to make predictions based on experimental data may be classified as the first scientific study in human history. However, the Babylonians seem to have lacked any geometrical or physical interpretation of their data, and they could not predict future lunar eclipses (although "warnings" were issued before likely eclipse times).

মানুষের আইডেন্টিটি বা পরিচয় শনাক্তকরণে ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবহারঃমানুষের আইডেন্টিটি বা পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষে্ত্রে অন্যান্য পদ্ধতির পাশাপাশি ফিঙ্গার প্রিন্ট আজকের আধুনিক পৃথিবীতে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। ইদানিংকালে এই পদ্ধতিটি বিজ্ঞান আবিষ্কার করলেও আল কুরআনে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে যে, মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদাভাবে সনাক্ত করা সম্ভব।

খৃস্টপূব` ২০০ বছর আগেই ব্যাবিলনে আঙ্গুলের ছাপ চুক্তিতে ব্যবহার করতো। চাইনিজরাও অনেক আগেই ব্যবহার করেছে।

History
Antiquity and the medieval period Click This Link
Fingerprints have been found on ancient clay tablets[30], seals, and pottery[31][32]. They have also been found on the walls of Egyptian tombs and on Minoan, Greek, and Chinese[33] In ancient China officials authenticated government documents with their fingerprints. In about 200 BC fingerprints were used to sign written contracts in Babylon.[34] Fingerprints from 3D-scans of cuneiform tablets are extracted using the GigaMesh Software Framework.[35]

শুকরের মাংস লিভার এবং হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকরঃইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। ইসলাম যখন এটাকে হারাম ঘোষনা করে তখন পৃথিবীতে কোনো ল্যাবরেটরি ছিল না যেখানে পরিক্ষা করে জানা সম্ভব ছিল যে, শুকরের মাংস মানবদেহের জন্য উপকারী না কি ক্ষতিকর। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে আজ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, শুকরের মাংস লিভার এবং হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

প্রতিবছর বিশ্বে ৪০০ -৫০০ মিলিওন টন মাংশ খায় মানুষ
২০১৮ তে ৩৩৮.৫৮ মিলিওন টন মাংস খেয়েছে তার মাঝে শুকরের মাংস ১২০ মিলিওন টন ।
৭১.৬১ মিলিওন টন গরু মহিষ
১২০.৮৮ মিলিওন টন শুকর

এতো মানুষ যেহেতু বেচে আছে তাই এটা অত খারাপ না। এটা র্ধমে নিষেধ তাই সবাই খারাপ মনে করে।

আর লাল মাংস বলতেই হার্টএর জন্য খারাপ :)


ভাই উপরের অনেক বিষয় সম্পকে মানুষ আগে চিন্তা ভাবনা করতো। একটু নেটে খুজলেই পাবেন যে এই সব বিষয়ে প্রাচীন রোমান, গ্রীক, ভারতীয় অনেকেই চিন্তা ভাবনা করতো ।

বিজ্ঞানের শুরু ১৪০০ বছর আগেনা। আরো অনেক আগে।
১২৭.৭১ মিলিওন টন মুরগীর

২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আমাকে মনে করার জন্য।

-আপনাকে মনে রাখি সবসময়ই। আপনার নামের (ব্লগ নেইম) সাথে কিন্তু আমার নামের মিল রয়েছে। সে কারণেও তো আপনি আমার কাছের মানুষ। তারপরে আপনি যে সুন্দর কৌশল করে প্রতিপক্ষকে 'সফট এটাকে' পারদর্শী সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। কঠিন কথা না বলে, কাউকে আঘাত না করেও যে কোনো বিষয়ের প্রতিবাদ করার কৌশলটা আপনার কাছ থেকে অনেকেই রপ্ত করতে পারে।

প্রিয় ভাই,
আপনার এই মন্তব্যের পয়েন্ট বাই পয়েন্ট ধরে যথাযথ উত্তর দেয়ার মত সময় এই মুহূর্তে হচ্ছে না বলে দুঃখিত। পরে সময় পেলে ইনশাআল্লাহ আবার উত্তরে আসার ইচ্ছে থাকলো।

অনেক ভালো থাকবেন, দুআ সবসময়।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রতিবছর বিশ্বে ৪০০ -৫০০ মিলিওন টন মাংশ খায় মানুষ
২০১৮ তে ৩৩৮.৫৮ মিলিওন টন মাংস খেয়েছে তার মাঝে শুকরের মাংস ১২০ মিলিওন টন ।
৭১.৬১ মিলিওন টন গরু মহিষ
১২০.৮৮ মিলিওন টন শুকর


-এই তথ্যের সূত্রটা পেলে ভালো হতো। পারলে একটু দিয়েন। শুকরের মাংস মানুষ এত পরিমান খায়!!!!

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম। মন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানা যায়।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সঠিক বলেছেন। মন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানা যায়। আপনি শুধু রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে ঢাকার পথ-প্রান্তরের খোঁজখবর আমাদের জানিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন না, আপনাকে ব্লগের মনযোগী পাঠকও বলতে হয়।

ভালো থাকুন সবসময়।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সত্যিকার ধর্ম এখন আর পৃথীবিতে নেই।এখন হয়েগেছে বিজ্ঞানময় ধর্ম।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যিকারার্থে ধর্ম কিন্তু সবসময়ই বিজ্ঞানময়। তবে বিজ্ঞানের উন্নয়নে মানুষের সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসায় ধর্মীয় বিষয়াদি পালন করা এখন আরও সহজ হয়েছে। আগে আমাদের দেশ থেকে হজে যেতে আসতে কয়েক মাস লাগতো। এখন সেটা কমে কয়েক ঘন্টায় চলে এসেছে।

মন্তব্যে আসায় আন্তরিক অভিনন্দন। ভালো থাকুন, প্রার্থনা সবসময়।

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৫

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক, ফিঙ্গার প্রিন্টের বিষয়ে যেসব আয়াতের উল্লেখ করলেন, সেই আয়াতসমূহ কিভাবে ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে সম্পর্কযুক্ত?

২৭ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ফিঙ্গার প্রিন্টের বিষয়ে সূরা আল কিয়ামাহ এর ৪ নং আয়াতটি প্রনিধানযোগ্য। আয়াতটির বিষয়বস্তু বা মর্মকথা বুঝতে হলে তার পেছনের আয়াতটি লক্ষ্য করতে হবে। তার পূর্বের আয়াতে বলা হয়েছে-

أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَلَّن نَجْمَعَ عِظَامَهُ

'মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করব না?'

এই আয়াতে আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিন সকল মানুষকে যে পুনরায় জীবিত করবেন, পুনরুত্থানের ক্ষমতা তাঁর যে অবশ্যই রয়েছে সেকথাই প্রশ্নাকারে ব্যক্ত করেছেন। এই কথাটি বলার পরেই সৃষ্টি জগতের বিস্ময়কর সৃষ্টি মানবজাতিকে তিনি যে পুনর্জীবন দানে পূর্ণ সক্ষম তা আরও ভালোভাবে বুঝানোর জন্য পরের ৪র্থ আয়াতে বলেছেন যে, অস্থিসমূহ একত্রিত করা তো সহজ, সেটা আমি করবো, কিন্তু তার চেয়ে কঠিন যে কাজ, অর্থাৎ আঙ্গুলের অতি সূক্ষ্ম বুনন সেগুলোও আমি অবিকল পুনর্গঠনে সক্ষম। লক্ষ্য করুন পরের আয়াতে বলা হয়েছে-

بَلَى قَادِرِينَ عَلَى أَن نُّسَوِّيَ بَنَانَهُ

পরন্ত আমি তার অংগুলিগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।

মানুষের আঙ্গুলের ছাপে সীমাহীন তথ্য লুকানো আছে। এতে জীবন-মৃত্যুসহ অনেক কিছুই লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আঙ্গুলের ছাপ এবং হস্তরেখার সব রহস্য উন্মোচন হলে মানবজীবনের অনেক কিছু বুঝতে সহজ হবে। এমনকি চিকিৎসাসহ মানুষের জীবনযাপনও পাল্টে যেতে পারে। আঙ্গুলের ছাপ দেখে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণও হতে পারে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং সহজতর। অন্তত আমার এমনই মনে হয়।

বিজ্ঞানীরা আঙ্গুলের ছাপ ও হস্তরেখার রহস্য উন্মোচনে গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। কিছু উন্মোচিত হয়েছেও। তবে তা যৎসামান্য। সত্য বলতে কী, ষোড়শ শতকে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ফিঙ্গারপ্রিন্টের রহস্য নিয়ে আজও গবেষণা থেমে নেই।

১৬৮৪ সালে সর্বপ্রথম ইংলিশ ফিজিসিয়ান, উদ্ভিদবিজ্ঞানী এবং অনুবিক্ষণ যন্ত্রবিদ নিহোমিয়া গ্রিউ (১৬৪৭-১৭১২) বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকীতে হাতের তালু ও আঙ্গুলের ছাপরহস্যের সংযোগসূত্রের ধারণা উত্থাপন করেন। অতঃপর ১৬৮৫ সালে ডাচ ফিজিসিয়ান গোভার্ড বিডলো (১৬৪৯-১৭১৩) এবং ইটালিয়ান বিজ্ঞানী মারসিলো বিডলো (১৬২৮-১৬৯৪) এনাটমির ওপর বই প্রকাশ করে ফিঙ্গারপ্রিন্টের ইউনিক গঠনের আলোচনা উত্থাপন করেন। ১৬৮৪ সালের পূর্বে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কে আর কোনও বিজ্ঞানীর আলোকপাতের কথা পাওয়া যায় না। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়। ১৮০০ সালের পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট আবারও জোরালোভাবে বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই বিজ্ঞানীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: ১৮৭৫ সালে জেন জিন্সেন, খুলনার সৈয়দ মুহাম্মাদ কাজী আজিজুল হক। ব্রিটিশ কর্মকর্তা এওয়ার্ড হেনরি। এই হেনরি আজিজুল হকের আবিষ্কার চুরি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

পবিত্র কুরআনে আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে এবং ১৬০০ সালের প্রায় এক হাজার বছর আগে ফিঙ্গারপ্রিন্টের কথা বলা হয়েছে।

পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের আঙ্গুলের ছাপ সম্পূর্ণ ভিন্ন। পৃথিবীর সৃষ্টির প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত কোনও দুইজনের আঙ্গুলের ছাপ একই রকম হবে না। আঙ্গুলের ছাপের রেখার গঠন হয় মাতৃগর্ভের প্রথম তিন মাসে। আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারণা অনুযায়ী এ আঙ্গুলের ছাপেই মানুষের সকল বৈশিষ্ট্য লিপিবদ্ধ করা থাকে। আঙ্গুলের ছাপকে জিনের সংরক্ষিত তথ্যের মনিটর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জিনের বিকল্প কাজ শুধু এই আঙ্গুলের ছাপ দিয়েই করা সম্ভব।

বর্তমান কালে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হলো আঙ্গুলের ছাপ। এছাড়া ব্যাংক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটিসহ স্মার্টফোনের সুরক্ষার জন্য আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ রহস্যময় আঙ্গুলের ছাপের গঠনশৈলীর সক্রিয়তার ইঙ্গিত আল্লাহ কুরআনে দিয়েছেন। অবিশ্বাসীগণ যখন পুনরুত্থানের বিষয়ে কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত দেশে সন্দেহ পোষণ করে হাসাহাসি করতো।

وَقَالُواْ أَئِذَا كُنَّا عِظَامًا وَرُفَاتًا أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ خَلْقًا جَدِيدًا

তারা বলেঃ যখন আমরা অস্থিতে পরিণত ও চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাব, তখনও কি নতুন করে সৃজিত হয়ে উত্থিত হব? -সূরা আল ইসরা, আয়াত ৪৯

ذَلِكَ جَزَآؤُهُم بِأَنَّهُمْ كَفَرُواْ بِآيَاتِنَا وَقَالُواْ أَئِذَا كُنَّا عِظَامًا وَرُفَاتًا أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ خَلْقًا جَدِيدًا

এটাই তাদের শাস্তি। কারণ, তারা আমার নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করেছে এবং বলেছেঃ আমরা যখন অস্থিতে পরিণত ও চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যাব, তখনও কি আমরা নতুনভাবে সৃজিত হয়ে উত্থিত হব? -সূরা আল ইসরা, আয়াত ৯৮

قَالُوا أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ

তারা বলেঃ যখন আমরা মরে যাব এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব? -সূরা আল মুমিনূন, আয়াত ৮২

وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ

সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে? -সূরা ইয়া সিন, আয়াত ৭৮

আল্লাহ যখন কুরআনে বারবার বিচারদিবস ও পুনরুত্থানের কথা বলেছেন তখন অবিশ্বাসীরা এই বলে হাসাহাসি করতো যে, পচাগলা হাড়গুলো কীভাবে একত্রিত করা হবে? একজনের অস্থির সঙ্গে অন্যজনের অস্থি বদল হবে না? আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন প্রত্যুত্তরে বলেছেন,

أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَلَّن نَجْمَعَ عِظَامَهُ بَلَى قَادِرِينَ عَلَى أَن نُّسَوِّيَ بَنَانَهُ

“মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারবো না? বরং আমি তার অঙ্গুলিগুলোর ডগা পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।” -সূরা আল কিয়ামাহ, আয়াত ৩-৪

এখানে আল্লাহ তাআ'লা ফিঙ্গারপ্রিন্টের সক্রিয়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আল্লাহ তাআ'লা শুধু মানুষের অস্থিতে গোশত পরিয়েই উত্থিত করাবেন না বরং এমন নিখুঁতভাবে মানুষকে জীবিত করাবেন যাতে পার্থিব জীবদ্দশায় তার আঙ্গুলের সূক্ষ্মরেখা পর্যন্ত পুনরায় অবিকল সুবিন্যস্ত হয়। এখানে অবিশ্বাসীদের অভিযোগেরও উত্তর দেয়া হয়েছে। অবিশ্বাসীরা প্রশ্ন তুলে বলতে থাকে, গলাপচা অস্থি বা একজনের হাড়ের সঙ্গে অন্যজনের হাড় মিশ্রিত হবে না?

আধুনিক বিজ্ঞানের পর্যায়ক্রমিক আবিষ্কার এখন ফিঙ্গারপ্রিন্টকে ডাটাব্যাংক নামে অভিহিত করতে বাধ্য হয়েছে। জিনের মধ্যে সন্নিবেশিত শুধু শারীরিক বৈশিষ্ট্যই নয়, প্রায় সকল বৈশিষ্ট্য এমনকি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত আঙ্গুলের ছাপে সুবিন্যস্ত করা থাকে। তাই আল্লাহ তাআ'লা এখানে অবিশ্বাসীদের জবাব প্রদান এবং জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছেন যে, শুধুমাত্র আঙ্গুলের ডগার প্রিন্ট দিয়ে যদি একটি মানুষের সমুদয় বৈশিষ্ট্য নিরুপণ করা সম্ভব হয়, তাহলে প্রত্যেক মানুষকে তার নিজের অস্থি থেকে পুনর্বিন্যস্ত করা যাবে না কেন?

আশা করি, আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

প্রশ্ন রেখে যাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩১

এভো বলেছেন: আমি নাস্তিকদের কাছে থেকে নীচের বিষয়ে প্রশ্নের সন্মুখিন হয়েছি কিন্তু কোন উত্তর দিতে পারিনি, আপনি কি একটু সাহায্য করবেন।
আমরা সকলে জানি পুরুষের বীর্য উৎপন্ন হয় অন্ডকোষ হতে এবং পুরুষের অন্ডকোষ কেটে ফেললে সে খোজা হয়ে যায় একই ভাবে অন্ড কোষ কেটে ফেলে ছাগল এবং মোরগকে খাসী করা হয়। এবার দেখুন কোরানে কি বলা হয়েছে

সুরা আত-তারিক (৮৬--- ৫,৬ এবং ৭)
৫)
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
Now let man but think from what he is created!
৬)
خُلِقَ مِن مَّاء دَافِقٍ
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
He is created from a drop emitted-
৭)
يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে

বীর্য কোথা থেকে নির্গত হয়?

২৭ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



নাস্তিকগণও মানুষ। তারা আমার আপনার ভাই বা আত্মীয়। তাদের ভালোবাসতে হবে। আল্লাহ পাক যেহেতু তাদের ভালোবেসে খাওয়ান পড়ান, সবকিছু দেন, আমি তাদের কেন ভালোবাসবো না? তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করলে আমার ভাগে কোনো কিছু কমতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি? সুতরাং, তর্ক না করে তাদের প্রতি সদয় হোন। ভালোবাসা দিয়ে তাদের কাছে টেনে নিন। কাউকে দূরে সরিয়ে দেয়া আমাদের কাজ কখনোই নয়।

আপনার প্রশ্নটির কোনো উত্তর পেলে জানাবো ইনশাআল্লাহ।

ভালো থাকুন, প্রার্থনা সবসময়।

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:২৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মাত্র তিন বছরের কিছু অধিক সময়ে আপনি পাচশত-তম পোস্ট লিখেছেন! অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আমি এই ব্লগে আছি ১৪ বছরের বেশী সময় ধরে, আজই ৩৫০-তম পোস্ট লিখলাম! মানতে হবে আপনার ধৈর্য্য এবং ডেডিকেশনকে। সাধুবাদ জানাই আপনাকে।

আপনার লিখার বিষয়বস্তুটা আমার বেশ ভালো লাগলো। যদিও আপনি যা লিখেছেন তার বেশীরভাগ বিষয়বস্তুর সাথে আমি পরিচিত, তদুপরি আপনার লিখার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানবেন। আগামীতে আরো লিখা প্রত্যাশা করছি। শুভ কামনা থাকছে। ভালো আর সুস্থ থাকুন।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অসাধারণ আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্যে প্রীত। আপনার পোস্ট কম হলেও ব্লগের প্রথম দিককার ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরিয়ে এতটা সময় সামুতে টিকে আছেন সেটা অনেক বড় ব্যাপার। অনেকে হারিয়ে গেছেন। আসলে ব্যালান্সড থেকে সামনে এগিয়ে চলা কঠিন এক কাজ। আপনি সেই কাজটি সুন্দরভাবে করতে পেরেছেন বলেই সকলের ভালোবাসা নিয়ে এখানে কাটিয়ে দিয়েছেন এক যুগেরও বেশি সময়। আপনি সৌভাগ্যবান নিসন্দেহে। তাই কৃতজ্ঞতার সাথে আন্তরিক মোবারকবাদ আপনাকেও।

টিকে থাকুন এই মায়াময় প্লাটফর্মে দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘ সময়, দুআ সবসময়।

১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৮

জোবাইর বলেছেন:
"পবিত্র কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের আসলে তেমন কোনো বিরোধ নেই; কিছু লোক বেহুদাই দু'টোকে আলাদা করে টক্কর লাগাতে চায়.." – পোস্টের শিরোনাম। পোস্টের বিষয়বস্তু - এর পক্ষে কোরআন ও হাদীসের রেফারেন্স।


পোস্টের প্রথম মন্তব্যের (এভো) উত্তরে আপনি লিখেছেন, "একচুয়ালি কুরআনের সাথে বিজ্ঞানকে গুলিয়ে একাকার করার সুযোগ নেই। আর সকল বিষয়ে কুরআন এবং বিজ্ঞানে একই বক্তব্য থাকতে হবে- এমনটা ভাবারও কোনো যুক্তি নেই।" পক্ষান্তরে কিছু বিষয়ে পবিত্র কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের বিরোধ আছে সেটাইতো স্বীকার করলেন।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



পক্ষান্তরে কিছু বিষয়ে পবিত্র কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের বিরোধ আছে সেটাইতো স্বীকার করলেন।

-সেটাই। আপনি ধরেছেন। আসলে আমি তো পোস্ট শিরোনামেও 'তেমন' কথাটা রেখেছি এজন্যই। একেবারেই বিরোধ না থাকলে তো 'তেমন' বলার প্রয়োজন ছিল না। আশা করি, আপনি ক্লিয়ার এখন।

মন্তব্যে আসার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২০| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:০০

সোহানী বলেছেন: ৫০০ পোস্টে শুভকামনা।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার জন্য্ও অনেক অনেক শুভকামনা এবং কল্যানের দুআ। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক ভালো থাকবেন, প্রার্থনা সবসময়।

২১| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একটি মানুষের গবেষনালব্ধ জ্ঞানের ফলাফল আরেকটি বিশ্বজাহানের মালিকের প্রেরিত নির্ভুল বাণী। দু'টিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে তর্কে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত কি?
একদিকে বলছেন কোরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্ত্র আরেক দিকে বলছেন দুটিকে মুখোমুখি দাঁড় করানো ঠিক না। কোরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্ত্র বলার পরেই তো বিজ্ঞানের সাথে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন।
আর আপনি যে বৈজ্ঞানিক উদারন দিয়েছেন কোরআন থেকে এগুলো আগে থেকেই জানতো মানুষ। আপনার থেকে আরো ম্যাচিউর পোস্ট আশাকরি। :(

২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



একদিকে বলছেন কোরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্ত্র আরেক দিকে বলছেন দুটিকে মুখোমুখি দাঁড় করানো ঠিক না। কোরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্ত্র বলার পরেই তো বিজ্ঞানের সাথে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। আর আপনি যে বৈজ্ঞানিক উদারন দিয়েছেন কোরআন থেকে এগুলো আগে থেকেই জানতো মানুষ। আপনার থেকে আরো ম্যাচিউর পোস্ট আশাকরি। :(

-মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রয়োজন কি? কুরআনে বলা কথাগুলো একে একে বিজ্ঞান যেখানে দিনকে দিন প্রমান করে দেখাচ্ছে তখন তো বিরোধ এমনিতেই মিটে যায়।

আপনাদের মত গুণীদের শুভকামনা সাথে থাকলে আরো ম্যাচিউর পোস্ট দিতে একসময় সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই। কল্যানের দুআ সবসময়।

২২| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশাল পারফরমেন্স। ৫০০তম পোষ্টের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। :)

আপনার কাছে একটা প্রশ্ন আছে। আপনি তো আবার সহজে রিপ্লাই করেন না। এখন বলবো.......নাকি পরে বলবো!

২৭ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি প্রিয়, এখন বলতে পারেন। আপনি এই পোস্টে এসেছেন দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল। স্বাগত, শুভকামনা।

আপনি তো আবার সহজে রিপ্লাই করেন না।

-সত্য কথাটা বলার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ না দিলে কার্পণ্য হবে।

২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে মুরগীর পরে শুকরের মাংসই বেশি খায় মানুষ। তারপরে গরু এবং তারপরে ছাগল

শুকরের মাংসে যদি এতোই সমস্যা হইতো তবে এতো জনপ্রিয় হতো না।

এলকোহলে সমস্যা আছে তাই জ্ঞানীরা এবং বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু এলকোহল পানকে ক্ষতিকর মনে করে। তারা অল্প সল্প পান করে কিন্তু এটাযে খারাপ সেটাতে সবাই একমত।

শুকরের মাংসে উপরে তথ্য অনেক ওয়েবসাইটেই পাবেন।

https://ourworldindata.org/meat-production

https://www.mekkographics.com/meat-consumption-by-country-and-type/

https://www.wattagnet.com/Per-capita-meat-consumption-worldwide-by-type-2013-15-vs-2025

২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



পুনর্মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাই। এই জিনিষ নিয়ে আপনার কোন অভিজ্ঞতা! যদি শেয়ার করার মত মনে করেন!

২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''আমাদের নবী'' বলাই যথেষ্ট না, আমার মনে হয়, আমাদের নবী (সাঃ) বলাটা সঠিক।
ব্লগার মা.হাসানের পোষ্টে এটা ছিল আমার মন্তব্য। উনার উত্তর ছিল,


আসলে আমাদের কোনটা অনুসরন করা উচিত, রেফারেন্সসহ বললে ভালো হয়। আমারও জানার আগ্রহ আছে।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



নবীজীর উপর দরূদ পাঠ : মর্যাদা বৃদ্ধি করে গোনাহ মাফ করে

নবীজীর উপর দরূদ পাঠ- এটি উম্মতের উপর নবীজীর সাধারণ হক। যাঁর মাধ্যমে হেদায়েতের আলো পেলাম, যাঁর মাধ্যমে সকল অন্ধকার থেকে মুক্তি পেলাম তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা তো সাধারণ দাবি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হক্ব আদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে দরুদ পাঠ।

আল্লাহ তাআলা মুমিনদের নির্দেশ দিয়েছেন- তাঁর উপর দরূদ পাঠ করতে। এমনকি একদল ফিরিশতা নিযুক্ত আছে, উম্মতের দরূদ নবীজী পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য। দুআর আগে-পড়ে দরূদ পাঠ করলে সে দুআ কবুল হয়। তাছাড়া অধিক দরূদ পাঠ আখেরাতে নবীজীর সান্নিধ্য পাওয়ার একটি বড় মাধ্যম। জুমার দিন অধিকহারে দরূদ পাঠের ব্যাপারে হাদীসে উৎসাহিত করা হয়েছে।

এক হাদীসে এসেছে, এক সাহাবী দুআর মধ্যে বেশি বেশি দরূদ পাঠ সম্পর্কে নবীজীকে জিজ্ঞাসা করলেন; আমার দুআর কতটুকু অংশ দরূদ পাঠ করব? একপর্যায়ে সাহাবী বললেন, আমি আমার পুরো দুআতেই দরূদ পাঠ করব। তখন নবীজী বললেন-

إِذًا تُكْفَى هَمّكَ، وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ.

তাহলে তো তোমার চিন্তা-পেরেশানী দূর হবে এবং গোনাহ মাফ হবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৪৫৭

দরুদ ও সালাম এক প্রকার দুআ:

দরুদ এবং সালাম মূলতঃ এক প্রকার দুআ। আল্লাহ পাকের নিকট নবীজীর জন্য আমরা এ দুআ করে থাকি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা শান্তি ও রহমত বর্ষন করুন তার উপর।

যদি না থাকতো তাঁর সীমাহীন ত্যাগ ও কুরবানি:

বস্তুত আমাদের উপর আল্লাহ তাআলার পরে নবীজীর অনুগ্রহ সবচে বড়। তিনি হাজারো বিপদ-মুসিবত অতিক্রম করে আমাদের পর্যন্ত দ্বীন পৌঁছিয়েছেন। যদি তিনি সীমাহীন ত্যাগ ও কোরবানী স্বীকার না করতেন, তাহলে আমাদের নিকট দ্বীন পৌছতো না। আমরা কুফর শিরকের অন্ধকারেই নিমজ্জিত থেকে যেতাম, জাহান্নামের ইন্ধন হয়ে যেতাম।

আমরা ঈমান পেয়েছি তার মাধ্যমে:

ঈমান হলো সবচে বড় নেয়ামত। আর আমরা তা পেয়েছি নবীজীর উসিলায়। নবীজীকে এর উপযুক্ত কোনো বদলা আমরা দিতে পারবো না। আমাদের পক্ষে এটুকুই সম্ভব যে, পরম ভক্তি ও ভালোবাসায় অবগাহন করে আমরা বলবো, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হে আল্লাহ! নবীজীর উপর বিশেষ রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন। নবীজীর সম্মান ও মযার্দা বুলন্দ করে দিন। এই ধরনের দুআকে দরুদ ও সালাম বলে। কোরআন শরীফে আল্লাহ পাক বড় সুন্দররূপে ইরশাদ করেন,

إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর উপর দরুদ পাঠ করে থাকেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করো। -সূরা আহযাব, আয়াত ৫৬

দেখা যাচ্ছে, খোদ আল্লাহ রব্বুল আলামীন দরুদের মাধ্যমে নবীজীর প্রতি সম্মান ও শফকত প্রদর্শন করছেন। অনুরূপভাবে ফেরেশতারাও নবীজীর শানে দরুদ পাঠে মগ্ন আছেন। সুতরাং তোমরাও নবীজীর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠাতে থাকো। দরুদ ও সালাম আল্লাহ পাকের খুবই প্রিয়। আর ফেরেশতারাও দরুদ পাঠে মাতোয়ারা। এরপরও কি কোনো মুসলমান নিয়মিত দরুদ না পড়ে থাকতে পারে?

দরুদ শরীফের ফজীলত:

নবীজী ইরশাদ কবেন,

مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ، وَحُطَّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيئَاتٍ، وَرُفِعَتْ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ

যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ পাক তার উপর দশটি রহমত অবতীর্ণ করেন। তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেন। তাকে মর্যদা দশ স্তর বুলন্দ করেদেন। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ১২৯৭

এক হাদীসে ইরশাদ করেন,

إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِي السَّلَامَ

পৃথিবীতে ভ্রাম্যমাণ কিছু ফেরেশতা রয়েছে। যেখানে যে উম্মত আমার নামে দরুদ ও সালাম পাঠ করে, এই ফেরেশতারা সেখান থেকে আমার নিকট তা নিয়ে আসে। সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ১২৮২

সুবহানাল্লাহ! কত বড় সৌভাগ্য! আমাদের সালাত ও সালাম নবীজীর দরবারে পৌঁছে যায় এবং এই উসিলায় তাঁর দরবারে আমাদের কথা আলোচনা হয়! একটি হাদীসে এসেছে,

أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ القِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلاَةً.

যে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে, কেয়ামতের দিন আমার সবচে নিকটে থাকবে সে। -সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ৪৮৪

অন্য হাদীসে এসেছে,

البَخِيلُ الَّذِي مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ

ঐ ব্যক্তি বড় কৃপণ, যার সামনে আমার আলোচনা ওঠে, অথচ সে আমার উপর দরুদ পাঠ করে না। -সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫৪৬

আরেক হাদীসে এসেছে,

رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ

তার মুখে ছাই পড়ুক, যে আমার নাম আসার পরও আমার জন্য দুআ করে না। -সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫৪৫

মোটকথা, দরুদ পাঠ করা আমাদের উপর নবীজীর অনেক বড় হক। উপরন্তু এটা আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্যের বিয়য় এবং আল্লাহ পাকের রহমত ও বরকত লাভের উসিলা। আল্লাহ পাক সকলকে বেশি বেশি দরুদ ও সালাম পাঠ করার তাওফীক দান করুন আমীন।

দরুদ-এর শব্দ:

এক সাহাবী নবীজীর নিকট জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আলল্লাহর রাসুল! আমরা কিভাবে দরুদ পাঠ করবো? তখন নবীজী তাকে ‘দরুদে ইবরাহীমী’ শিক্ষা দিলেন, নামাযে এই দরুদখানি আমরা পাঠ করে থাকি। হাদীস শরীফে অনুরূপ আরেকটি দরুদের কথা এসেছে,

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَأَزْوَاجِهِ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، وَذُرِّيَّتِهِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ. هذا إسناد ضعيف

হে আল্লাহ! আমাদের উম্মী নবী, তাঁর স্ত্রী পরিজন ও বংশধরগণের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের উপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চই আপনি বড় প্রশংসিত এবং সম্মানিত। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৮২

যখন আমরা নবীজীর নাম নিবো অথবা অন্যের মুখ থেকে তাঁর নাম শুনবো, তখন গুরুত্বের সাথে, মুহাব্বতের সঙ্গে ‘সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ অথবা ‘আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম’ বলবো।

দরুদ ও সালামের ওজিফা:

আল্লাহওয়ালারা তো দৈনিক কয়েক হাজারবার দরুদ পাঠ করে থাকেন। সাধারণত এ পরিমাণ হিম্মত আমাদের হয় না। আমরা যদি সকাল-সন্ধ্যা একশবার করে দরুদ পাঠ করি, তবে এটুকুই ইনশাআল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে এবং এর বরকতে নবীজীর কী পরিমাণ স্নেহ-মমতা আমরা লাভ করবো, এ-দুনিয়াতে তা অনুমান করাও সম্ভব নয়। একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু খুবই গুরুত্ববহ দরূদ নিম্নরূপ,

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَآلِهِ

হে আল্লাহ! নবী মুহাম্মদ ও তাঁর পরিবারের প্রতি আপনি রহম করুন।

২৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

নতুন বলেছেন: পানিচক্রঃপানিচক্রের কথা বিজ্ঞান গবেষনার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি বেশি দিন হয়নি। কিন্তু আল কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। কুরআনুল কারিমে বর্ণিত হয়েছে-أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَسَلَكَهُ يَنَابِيعَ فِي الْأَرْضِ ثُمَّ يُخْرِجُ بِهِ زَرْعًا مُّخْتَلِفًا أَلْوَانُهُ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَجْعَلُهُ حُطَامًا إِنَّ فِي ذَلِكَ لَذِكْرَى لِأُوْلِي الْأَلْبَابِতুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর সে পানি যমীনের ঝর্ণাসমূহে প্রবাহিত করেছেন, এরপর তদ্দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তোমরা তা পীতবর্ণ দেখতে পাও। এরপর আল্লাহ তাকে খড়-কুটায় পরিণত করে দেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। -সূরা যুমার, আয়াত ২১

উপরে যেই তথ্য আছে সেটাকি সাধারন মানুষ তাদের চারিপাশে দেখতে পায় না? তারা বৃস্টি হতে দেখে, পানি জমতে দেখে, পাহাড় থেকে ঝর্ণার মতন প্রবাহিত হতে দেখে, পানি দিলে ফসল হয়। ফসল খড় কুটায় পরিনত হয়।

বত`মানে বিজ্ঞান পনিচক্রের আরো বিস্তারিত ব্যক্ষা দিয়েছে, প্রতিটি প্রকৃয়া কিভাবে কাজ করে তার সম্পকে অনেক বেশি তথ্য দিয়েছে যেটা কোন কিতাবই কখনোই বলেনাই।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মানুষ তো দেখতে পায় ঠিকই। অনেক কিছুই দেখে তারা। কিন্তু কোনো কিছু দেখা আর তার অস্তিত্বের গভীরে প্রবেশ করে তার জন্ম, জীবন আর বিস্তৃতি নিরুপন করা কি সবার পক্ষে সম্ভব? অনেক বিষয়ই এমন রয়েছে যা মানুষ দেখে আসছে শত শত বছর ধরে কিন্তু তার রহস্যের কুলকিনারা করতে পারেনি আজও।

বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার সময় পেলে আবার কথা বলবো ইনশাআল্লাহ।

ভালো থাকুন সবসময়।

২৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নকীবভাই, দরুদ পাঠের গুরুত্ব বিস্তারিত বলার জন্য ধন্যবাদ। এটা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা নিয়ে কোন দ্বিমত নাই। এতোটা বিস্তারিত না জানলেও যতোটুকু আমি জানি, সেটাই দরুদ পাঠের জন্য যথেষ্ট। আপনার প্রতি-মন্তব্য থেকে যেটা জানলাম, সেটা বোনাস। আমার বা হাসানভাইয়ের মূল আলোচ্য বিষয় কিন্তু এটা না।

আমার মন্তব্যে হাসানভাইয়ের প্রতি-মন্তব্য সম্ভবতঃ ছোট্ট অক্ষরের কারনে আপনার নজর এড়িয়ে গিয়েছে। :)

কথা বলার সময়ে উনার নাম বা প্রসঙ্গ যখনই আসবে, দরুদ পাঠ করতে হবে। কথা হচ্ছে, লেখার সময়ে কি হবে? আমাদের কথোপকথন কিন্তু সেটাই। দরুদ লিখতে হবে? সম্ভব হলে সেটার রেফারেন্স দিবেন। ২৪ নং আরেকবার সময় করে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



কথা বলার সময়ে উনার নাম বা প্রসঙ্গ যখনই আসবে, দরুদ পাঠ করতে হবে। কথা হচ্ছে, লেখার সময়ে কি হবে? আমাদের কথোপকথন কিন্তু সেটাই। দরুদ লিখতে হবে? সম্ভব হলে সেটার রেফারেন্স দিবেন। ২৪ নং আরেকবার সময় করে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

-দরুদ শরিফের বিধান হচ্ছে, জীবনে অন্তত একবার নবীজি 'সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করা ফরজ। সাধারণভাবে নবীজির নাম ‘মুহাম্মদ’ শুনলে দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। নামাজের মধ্যে প্রসিদ্ধ দরুদ অর্থাৎ, দরুদে ইবরাহিম পাঠ করা সুন্নত। একই মজলিশে একাধিকবার তাঁর বরকতপূর্ণ নাম শুনলে প্রতিবার দরুদ শরিফ পাঠ করা মুস্তাহাব। সবসময় দরুদ শরিফের আমল করা প্রভূত সাওয়াবের কাজ এবং নফল ইবাদত হিসেবে গণ্য। আমরা নবীজির নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত বিকল্প বা সর্বনামের ক্ষেত্রেও দরুদ শরিফ পড়ে থাকি; এটি আফজল বা উত্তম।

লেখার সময়ও কথা বলার উপরোক্ত নিয়মই প্রযোজ্য।

অনেকে সংক্ষেপে (সাঃ) লিখে থাকেন। এ ব্যপারে তাফসীরে জালালাইন প্রণেতা আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম দরুদ শরীফের সংক্ষিপ্ত রূপের প্রচলন করে সে যুগের ঈমানদার বাদশা সে ব্যক্তির হাত কাটার নির্দেশ দেন এবং তার হাত কেটে ফেলা হয়। তাই নবীর নাম লেখার পর পুরোপুরি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম লেখা প্রত্যেক উম্মতের জন্য বরকতের কারণ হবে ইনশাআল্লাহ। সংক্ষেপে (সাঃ) অথবা (ছঃ) লেখা আদবের খেলাফ বলে প্রতীয়মান হয়। সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়ার আলামত এবং এর ফলে আমাদের প্রিয় নবী অসন্তুষ্টও হতে পারেন।

কোন কোন উলামায়ে কেরাম নবীজির নামের পরে সংক্ষেপে (স) কিংবা (ছ) ইত্যাদি লিখতে নিষেধ করেন। আসলে সত্যি কথা বলতে, হাদিসের কিতাবগুলোতে লক্ষ লক্ষ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আর প্রায় প্রতিটি হাদিসে নবীজির নামও উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে হাদিসের কোনো কিতাবে সংক্ষেপে (স) কিংবা (ছ) লেখা হয়েছে- এমনটা পাওয়া যায় না। এটা ভক্তি এবং মুহাব্বতের বিষয়। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যার যত বেশি শ্রদ্ধা, ভক্তি এবং মুহাব্বত তিনি তত বেশি সতর্কতার সাথে দরূদ এবং সালামের ব্যাপক চর্চা অব্যাহত রেখে নিজের নেকির পাল্লাকে ভারী করে নিবেন, এটাই স্বাভাবিক।

আপনার অনেক কিছুই আকর্ষনীয়। কোনো কিছুকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে লেখার হাত অসাধারণ। কিন্তু ইমোটিকোন (emoticon) ব্যবহারে আপনার পারদর্শিতা প্রবাদতুল্য। আমি স্রেফ অজ্ঞ এই ব্যাপারে।

আসলে মা.হাসান ভাইয়ের লেখা আমি আদৌ পড়তেই পারিনি। দীর্ঘ আলোচনা দিয়েছিলাম যাতে এর থেকে দরূদ ও সালাম পাঠের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আপনি নিজেই দরূদ পাঠের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন।

২৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এই পোস্টে আগেও মন্তব্য করেছি। বীর্য মেরুদণ্ড ও বুকের পাঁজরের মাঝখান থেকে উৎপন্ন হয় এই ব্যাপারে আপনি এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন। কিছু ভালো ব্যাখ্যা দেয়া আছে। মানব সৃষ্টির সূচনা বিন্দু

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



লিঙ্কটা দেয়ায় কৃতজ্ঞতা। জাজাকুমুল্লাহ।

২৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লিঙ্কটা কিছুতেই দিতে পারছি না। তাই উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে দিলাম। আগের মন্তব্যগুলি দয়া করে মুছে দিবেন -

যে ব্যাখ্যাটি চিকিৎসকদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে, তা হচ্ছে, সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী রচিত তাফহিমুল কুরআনের ব্যাখ্যা। সেখানে তিনি লিখেছেনÑ
‘ভ্রুণতত্ত্বের (ঊসনৎুড়ষড়মু) দৃষ্টিতে এটি একটি প্রমাণিত সত্য যে, ভ্রুণের (ঋড়বঃঁং) মধ্যে যে অণ্ডকোষে বীর্যের জন্ম হয় তা মেরুদণ্ড ও বক্ষপাঁজরের মধ্যস্থলে কিডনির কাছে অবস্থান করে এবং সেখান থেকে অণ্ডকোষ ধীরে ধীরে অণ্ডথলিতে (ঝপৎড়ঃঁস) নেমে আসে। কিন্তু তার স্নায়ু ও শিরাগুলোর উৎস সবসময় সেখানেই (মেরুদণ্ড ও পাঁজরের মধ্যস্থলে) থাকে। পিঠের নিকটবর্তী মহাধমনী (অঙজঞঅ) থেকে শিরাগুলো (অৎঃবৎু) বের হয় এবং পেটের সমগ্র অঞ্চল সফর করে সেখানে রক্ত সরবরাহ করে। এভাবে দেখা যায়, অণ্ডকোষ আসলে পিঠের একটি অংশ। শরীরের অতিরিক্ত উষ্ণতা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকায় তাকে অণ্ডথলিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। উপরন্তু যদিও অণ্ডকোষ বীর্য উৎপাদন করে এবং তা মৌলিক কোষে (ঝবসরহধষ াবংরপষবং) জমা থাকে, তবুও মেরুদণ্ড ও পাঁজরের মধ্যস্থলই হচ্ছে তাকে বের করার কেন্দ্রীয় সঞ্চালন শক্তি। মস্তিষ্ক থেকে স্নায়বিক প্রবাহ এ কেন্দ্রে পৌঁছার পর কেন্দ্রের সঞ্চালনে (ঞৎরমমবৎ অপঃরড়হ) মৌলিক কোষ সঙ্কুুচিত হয়। এর ফলে তরল শুক্র পিচকারীর মতো প্রবল বেগে বের হয়ে থাকে। এ জন্য কুরআনের বক্তব্য চিকিৎসাশাস্ত্রের সর্বাধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুসন্ধানলব্ধ জ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যশীল।’ (তাফহিমুল কুরআন খণ্ড-১৯ পৃষ্ঠা : ৭২-৭৩)
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে এ তাফসিরটি আধুনিক শিক্ষিত লোকদের কাছে কেন এত জনপ্রিয়। এ তাফসিরের প্রশংসা আমি প্রথম শুনতে পাই সোভিয়েত ইউনিয়নে (বর্তমান রাশিয়া) ডাক্তারি পড়ার সময় এক আরব সহপাঠীর কাছ থেকে। ফরাসি চিন্তাবিদ ড. মরিস বুকাইলি বলেছেন, কুরআনের তাফসিরকারকের বিশ্বকোষের জ্ঞান (ঊহপুপষড়ঢ়বফরপ শহড়ষিবফমব) থাকা দরকার। উল্লিখিত তাফসিরটি পাঠ করলে তাফসিরকারক সম্পর্কে এ রকম ধারণাই বদ্ধমূল হবে। এ পর্যন্ত তাফসিরটি পৃথিবীর প্রায় ৪৮টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সম্প্রতি আমার এক বন্ধু এই তাফসির রুশ ভাষায় অনুবাদ করেছেন।
ড. ইউসুফ আল কারজাভি, পিএইচডি (আল আজহার) হচ্ছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ এবং কাতার ইউনিভার্সিটির শরিয়াহ বিভাগের প্রধান। তিনি তার ‘সুন্নাহর সান্নিধ্যে’ বইয়ে লিখেছেনÑ ‘নিশ্চয়ই কুরআন আমাদের সময়ের কিছু মহান আলেমের অনুমোদন জয় করেছে এবং এটা এর অধিকার। এর ভাষা, এর উপকারিতা ও এর মণিমুক্তা আবিষ্কারে তাদের জ্ঞান ও সংস্কৃতি এবং সমসাময়িক যুক্তির প্রস্তাবগুলোকে তারা কাজে লাগিয়েছেন। আমরা দেখেছিÑ রশিদ রিদা, সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী, সাইয়েদ কুতুব, আল গাজ্জালি ও অন্যদের কুরআনের ভাষাদি যারা কুরআনের ভাষ্য রচনায় পুরনো ও নতুনের সমন্বয় ঘটিয়েছেন।’
বর্তমানে অনেক শিক্ষিত যুবক কুরআনকে জানতে ও বুঝতে চাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ধর্মীয় উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ে হোলি আর্টিজানের মতো কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, যা বহির্বিশ্বে ইসলাম ও আমাদের দেশের ভাবমর্যাদাকে ক্ষুণœ করেছে। এ তাফসিরটি এ ধরনের যুবকদের জন্য উপকারী হতে পারে, যেখানে তাফসিরকারক শক্তভাবে ধর্মীয় উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
কুরআনে মানুষ সৃষ্টিসংক্রান্ত আরো বেশ কিছু আয়াত আছে, যেমনÑ ‘তিনিই সৃষ্টি করেছেন যুগল পুরুষ ও নারী স্খলিত শুক্রবিন্দু থেকে।’ (সূরা আন-নাজম ৫৩ : ৪৫-৪৬) ‘সে (মানুষ) কি স্খলিত শুক্রবিন্দু ছিল না?’ (সূরা আল কিয়ামাহ ৭৫:৩৭) ‘অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করলেন ঘৃণিত (তুচ্ছ) পানির নির্যাস থেকে।’ (সূরা সিজদা ৩২:৮)
এখানে লক্ষণীয়, মহান স্রষ্টা বীর্যকে ‘ঘৃণিত’ বলেছেন। মলমূত্র ত্যাগ করলে গোসল করা ফরজ হয় না, আর বীর্যপাত হলে ফরজ গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। অথচ মানুষের কাছে মলমূত্র বীর্যের চেয়ে ঘৃণিত। এ মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা সম্ভবত মানুষকে তার সৃষ্টির নগণ্য অবস্থাটিকে সবসময় মনে করিয়ে দিতে চান, যেন মাত্র কয়েক দশকের এ জীবনে মানুষ ক্ষমতা, প্রাচুর্য ও বিদ্যাবুদ্ধির অহঙ্কারে মত্ত না হয়ে ওঠে, যার দেহ কিছু দিন পরই মাটির পোকার (ব্যাকটেরিয়া) আহারে পরিণত হবে।
‘মানুষের ওপরে অন্তহীন মহাকালের এমন সময় কি অতিবাহিত হয়নি, যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না?’ (আল কুরআন ৭৬:১)
চিকিৎসাবিদ্যার কিছু প্রমাণিত তথ্য দিয়ে আলোচনা শেষ করছি। কেউ যদি তিন মাসের মৃত ভ্রুণকে (ঋড়বঃঁং) ব্যবচ্ছেদ করেন, তা হলে অণ্ডকোষকে তিনি বুক আর পিঠের মাঝখানেই দেখতে পাবেন। ভ্রুণের চতুর্থ মাসের পর থেকে অণ্ডকোষের অবতরণ শুরু হয়। নবজাতকের জন্মের আগেই অথবা জন্মের সর্বাধিক ছয় মসের মধ্যে অণ্ডকোষের যাত্রা অণ্ডথলিতে এসে সমাপ্ত হয়। এখানকার তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে অন্তত দুই ডিগ্রি কম। এর গুরুত্ব পরে আলোচনা করছি। প্রতিটি অণ্ডকোষে প্রায় ৭০০ ঝবসরহরভবৎড়ঁং ঃঁনঁষবং আছে যেখানে শুক্রাণু তৈরি হয়। একটি ঞঁনঁষব-এর দৈর্ঘ্য হচ্ছে হাতের সমান এবং প্রস্থ প্রায় চুলের সমান। সব ঞঁনঁষব জড়ো করলে আয়তন হবে ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। এগুলোর মাঝে খবরফরম কোষ থাকে যা ঞবংঃড়ংঃবৎড়হব হরমোন উৎপাদন করে থাকে। এই হরমোন শুক্রাণু, পুরুষের দাড়ি, গোঁফ, গলার স্বর ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য তৈরি করতে সহায়তা করে থাকে। শুক্রাণু হচ্ছে আমাদের শরীরের সবচেয়ে ছোট কোষ আর নারীর ডিম্বাণু হচ্ছে আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় কোষ। একবার বীর্যপাত হলে চার থেকে ছয় কোটি শুক্রাণু সবেগে নিক্ষিপ্ত হয়। এর মধ্যে নারীর ডিম্বাণুর সাথে মিলনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অবশেষে মাত্র একটি শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলে ভ্রুণ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে।
‘তিনি সামান্য পরিমাণ (শুক্র) হতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আন নাহল ১৬:৪) কুরআনে এ কথাটি ১১ বার উল্লেখ করা হয়েছে। যখন সাধারণ বা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ছিল না, তখন এ ধরনের আয়াত যে, মহাজ্ঞানী আল্লাহর থেকে অবতীর্ণ তা আরো প্রমাণিত হয়। অণ্ডকোষ হচ্ছে একমাত্র অঙ্গ (ঙৎমধহ), যা পুরুষের শরীরের বাইরে অণ্ডথলিতে থাকে। শুক্রাণু ও টেসটসটারন হরমোন তৈরির জন্য অণ্ডথলির কম তাপমাত্রা (দুই ডিগ্রি কম) অত্যাবশ্যক। কোনো কারণে অণ্ডকোষ যদি শরীরের ভেতর (অধিক তাপমাত্রায়) থেকে যায়, তা হলে পুরুষের শারীরিক গঠন ব্যাহত হতে পারে। দুটো অণ্ডকোষই শরীরের ভেতরে থেকে গেলে পুরুষ বন্ধ্যা হতে বাধ্য। এ জন্য এসব শিশুকে জন্মের ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে অণ্ডথলিতে অণ্ডকোষ প্রতিস্থাপন করতে হয়। শিশু জন্মের ১১ বছরের মধ্যেও যদি এই অপারেশন করা না হয়, তা হলে অণ্ডকোষের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁঁকি অনেক বেড়ে যায়।

২৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

এভো বলেছেন:
সাড়ে চুয়াত্তর কমেন্ট -- ৩০
এভাবে দেখা যায়, অণ্ডকোষ আসলে পিঠের একটি অংশ।

জী ভাই যৌনাংগ আসলে পিঠের অংশ , নীচের ডায়গ্রামটা দেখুন


মানুষের বীর্য চারটি গ্রন্থির উৎপাদিত বস্তু দ্বারা গঠিত : অন্ডকোষ শুক্রাণু বা পুংজননকোষ উৎপাদন করে, সেই শুক্রাণু যে তরলে বাহিত হয় তা আসে সেমিনাল ভেসিকল, প্রোস্টেট গ্রন্থি এবং বালবোইউরেথাল গ্রন্থি থেকে। এই ভিডিওটি খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেঃ
How Sperm Travels through Male Reproductive System Animation - Sperm Release Pathway -Function Video

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.