নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা অবরুদ্ধ আল আকসা মসজিদ - অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট দায়ী মুহাম্মদ হাবলোস

২১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:১৮

ছবিঃ অন্তর্জাল।

আমার দেখা অবরুদ্ধ আল আকসা মসজিদ - অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট দায়ী মুহাম্মদ হাবলোস

ফিলিস্তিনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা জর্ডান যাই। সেখান থেকে বাসে করে আমরা সামনে যেতে শুরু করি। সীমান্তের কাছাকাছি গেলেই ইসরাইলের পতাকা দেখতে পাবেন। অনেক উঁচুতে উড়ছে। এটা দেখেই আপনার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাবে। তখন এক অদ্ভুত অনুভূতি টের পাবেন। কিছুটা ভয়, কিছুটা ক্ষোভ, কিছুটা হতাশা। যেহেতু আমি অস্ট্রেলিয়ান, তাই আমার অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট লাগবে। যখন আপনি প্রথমবারের মতো ইসরাইলিদের দেখবেন, হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যাবে। মনে হবে শরীরে যেন বিষক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। তাদের কাছে গেলে তারা হাসিমুখে আপনাকে স্বাগত জানাবে না। নিজেকে একজন নির্বাসিত ব্যক্তি ভাবতে ওরা আপনাকে বাধ্য করবে।

বর্ডারে পৌঁছলে ওরা আপনাকে বাস থেকে নামিয়ে দিবে এবং ভেতরে গিয়ে আপনাকে এক জায়গায় বসে থাকতে হবে। ৩ ঘণ্টা, ৪ ঘণ্টা, ৫, ৬, ৭, ৮ ঘণ্টা। এত সময় পরও আপনাকে প্রশ্ন করা হবে না। আপনি ফিলিস্তিনে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, কিন্তু আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখবে।

বসে থাকার সময় দেখবেন একজন ফিলিস্তিন নাগরিক যাকে আমরা চাচা বা হাজী বলে সম্বোধন করি, ৭০-৭৫ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ মানুষ। আর ১৭-১৮ বছর হবে এমন বয়সী ইসরাইলি নারী সেনা সেই বৃদ্ধ লোকটির সাথে কথা বলছে। এমনভাবে অর্ডার দিচ্ছে মনে হচ্ছে বৃদ্ধ লোকটি কোনো জন্তু জানোয়ার। মনে হয় লোকটি কোনো মানুষই নয়, যেন কোনো পশু। সেই ইসরাইলি নারীটি কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করে বৃদ্ধ লোকটিকে অর্ডার দিচ্ছে।

আর আপনি কষ্টটা অনুভব করতে পারবেন। আর সেখানে দাঁতে দাঁত চেপে আপনাকে এটা সহ্য করতে হবে। এই লোকটি ফিলিস্তিনের অধিবাসী। এই ফিলিস্তিনি লোকটি যেখানে সম্মান পাওয়ার কথা সেখানে ১৮ বছরের একটি মেয়ে অর্ডার দিচ্ছে।

যাহোক, সেখানে বসে থাকার পর আপনাকে ডাকা হবে। সেখানে নারীর উপস্থিতি কাকতালীয় নয়, সে আপনাকে ডাকলে আপনি তার সাথে ভেতরে গিয়ে অন্য রুমে বসতে হবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করবে তুমি কে? কেন ইসরাইলে এসেছ? তোমার এখানে কাজ কি? হজ শেষে বাড়ি না গিয়ে কেন এখানে এসেছ? এভাবে প্রশ্ন করতেই থাকবে আধা ঘণ্টা ধরে। আবার চলে যাবে। দুই তিন ঘণ্টা পর আবার এসে আবার প্রশ্ন করবে। এরপর আপনাকে আরেক জায়গায় পাঠাবে। সেখানে ১-২ ঘণ্টা বসে থাকার পর আবার আপনাকে একই প্রশ্ন করবে। এভাবে চলতে থাকবে। এরপর আপনার ফিলিস্তিনে যাওয়ার ইচ্ছে মরে যাবে। এবার তারা যেতে দিবে।

আপনি ইসরাইলে প্রবেশ করলেই তাদের শোষণ টের পাবেন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে মাইলের পর মাইল কংক্রিটের উঁচু দেয়াল দেখতে পাবেন। মাইলের পর মাইল কংক্রিটের দেয়ালগুলো ফিলিস্তিনিদের আলাদা করে রেখেছে। শহরের ভেতরের দেয়ালগুলোতে এমনভাবে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে যেন সব নরমাল মনে হয়।

এরপর যখন আপনি মাসজিদুল আকসায় প্রবেশ করতে যাবেন, দেখবেন ইসরাইলি সেনারা চার দিক ঘিরে আছে। তাদের কাছে আপনার পাসপোর্ট আইডি সব দেখাতে হবে। এক ইসরাইলি সেনা যার কাছে অটোমেটিক অস্ত্র রয়েছে তাকে বলতে হবে আমি কেন আল্লাহর ঘরে প্রবেশ করতে চাই।

যাহোক এগুলোর পর মসজিদে প্রবেশ করবেন। ভেতরে গিয়ে মনে হবে মসজিদের দেয়ালগুলো যেন কাঁদছে। সেখানে কোনো যুবক নেই। কারণ সেখানে তাদের প্রবেশাধিকার নেই। ভেতরে আপনি গ্লাসের তৈরি স্ট্রান্ড দেখতে পাবেন। যেখানে বোমা, গোলাবারুদ ইত্যাদি রাখা আছে। যেগুলো বিভিন্ন সময়ে এই মসজিদে নিক্ষেপ করা হয়েছে। বোমার গায়ে লেখা ‘মেড ইন ইউএসএ’।

এশার নামাজের পর ভাববেন যে আরো একটু ইবাদত করি। কিন্তু তা অসম্ভব, কারণ তারা মসজিদে তালা লাগিয়ে দেবে। রাত সাড়ে নয়টার মধ্যে আপনাকে বের হয়ে যেতে হবে। ইসরাইলিরাই সবশেষে মসজিদ পরিদর্শন করবে।

তারা কি মসজিদকে সম্মান করে খালি পায়ে প্রবেশ করবে? না মোটেই না। আর সবকিছু আপনার সামনে ঘটলেও আপনি কিছু বলতে পারবেন না। ফিলিস্তিনিদের যদি আপনি প্রশ্ন করেন মুসলিমরা কোথায়? এখানে এত কম মুসলিম কেন? তারা বলবে, মসজিদে আসতে গেলে কমপক্ষে ৫ বার আইডি কার্ড আর পাসপোর্ট দেখাতে হয়। একজন স্থানীয় লোকের মসজিদে প্রবেশ করতে ৫ বার আইডি, পাসপোর্ট দেখাতে হয়। আর যদি সে পাসপোর্ট আনতে ভুলে যায় তার ক্ষতি হতে পারে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।

৭ কি.মি যেতে তাদের দুইবার থামতে হয়। গাড়ি থেকে নেমে দুইবার আইডি দেখাতে হয়। স্ত্রী সাথে থাকলে তাকেও নামতে হয়। পুরো গাড়ি সার্চ করে তারা। প্রতিদিন এটা চলতে থাকে। আর কাউকে যদি সেই পথে ২-৪ বার চলতে হয় তাকেও সেই একই পরিচিত গার্ড আগের মতো চেক করে। এমন সময় আপনার কেমন লাগবে? এত বাজে ব্যাপার।

তো আমরা হাইওয়ে দিয়ে চলতে চলতে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভ‚মি দেখছিলাম। আর হঠাৎ এমন কিছু অদ্ভুত জিনিস দেখছিলাম যেগুলো সেখানে থাকার কথা ছিল না। দেখলাম ঝোপের মাঝে একটা কন্টেইনার পড়ে আছে। জানেন সেগুলো কেন আছে? ফিলিস্তিনের জমিতে কোনো এক ইসরাইলি তার কন্টেইনার রেখে দিয়েছে।

সে এসে এখানে বসে থাকে। কিছু করে না। এভাবে মাস, বছর দেখে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। যখন কোনো ফিলিস্তিনি আর প্রশ্ন করে না এই কন্টেইনার সম্পর্কে, তখন সেই ইসরাইলি এখানে বাড়ি তৈরি করে। সে জমি তার হয়ে গেল! সব যায়গায় এমন ছোট ছোট কন্টেইনার দেখতে পাবেন।

সময় শেষ। আরো কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, যখন আমরা মসজিদে খলিলে প্রবেশ করি যেখানে ইবরাহিম (আ.)-কে কবরস্থ করা হয়। আমি বাড়িয়ে বলছি না। ইতিহাস ঘেটে দেখেন মসজিদে খলিল মুসলিমদের অধিকারে ছিল। ১৯৯৪ সালে যখন মুসলিমরা এখানে ফজরের সালাত আদায় করছিল এক ইহুদি ডাক্তার সেখানে গিয়ে সিজদারত মুসলিমদের গুলিবর্ষণ করে। ৩০ জনকে হত্যা করে ১২৫ জনকে আহত করে।

এরপর কি হয়েছিল জানেন? ইসরাইলিরা মসজিদটি বন্ধ করে দেয় এবং তদন্ত শুরু করে দেয়। সেই তদন্ত শেষে তারা মসজিদের অর্ধেক দখলে নিয়ে ইহুদি উপাসনাগার বানায়। আর সেই অমানুষ (ডাক্তার) তাকে কি বলব আমি জানি না, তার কবরটি মন্দিরে পরিণত হয় এবং কট্টর ইহুদিরা সেখানে গিয়ে তার কবরের কাছে প্রার্থনা করে। তাকে হিরো বলে।

শপথ আল্লাহর, আপনি ফিলিস্তিনে গিয়ে দেখবেন যা টিভিতে দেখেন তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। আল্লাহর কসম সেখানকার অত্যাচার একজন মুসলমি এর চোখের দিকে তাকালে দেখতে পারবেন। তাদের চোখ দেখলে বুঝতে পারবেন তারা অন্য মুসলিম ভাইদের আশা করে আছে। সময় কম তাই আরো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারলাম না।

ইসরাইলিরা চায় আপনি ফিলস্তিনকে ভুলে যান। এটাই সত্যি। তারা টাকা, ট্যুরিজম কিছুই চায় নাঅ। তারা চায় আপনি (মুসলিম) আর ফিলিস্তিনিরা যাতে ধ্বংস হয়ে যায়। যখন সেই জায়গার নাম মুসলিমদের হৃদয় থেকে মুছে যাবে তখন তারা সার্থক।

কখনো ভেবে দেখেছেন আমরা ফিলিস্তিন সম্পর্কে এত কম জানি কেন? মসজিদ আল কুদসের ইমামের একটা অনুরোধ পেশ করে শেষ করছি। তিনি আমাকে বলেন, ‘দয়া করে ফিরে যান। আর মুসলিম যুবকদের বলেন তারা যেন এখানে আসে। এবং তারা বুঝতে পারবে ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তা পুরোপুরি বাস্তব।’ -অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট দায়ী এবং অনলাইন প্লাটফর্ম OnePath Network এর প্রতিষ্ঠাতা Malaz Majanni Kamal Saleh Mohammad Hoblos সংক্ষেপে মুহাম্মাদ হাবলোসের ইংরেজি লেকচার থেকে অনূদিত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



লোকটা বেকুব, উহাকে ইসরায়েলী পুলিশ ও সেনারা জংগী ভেবেছিলো।

২২ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এই লোকটাকে বেকুব বলতে হলে আপনাকে কি বলা যায়? মহাবেকুব বলাটা কি সঠিক হতে পারে?

যাক, মহাবেকুব না বলে আপনাকে মহাপন্ডিতই বলছি! তাতে যদি আপনি খুশি থাকেন!

তবে, আসল কথা হচ্ছে, মুহাম্মাদ হাবলোস বিশ্বখ্যাত একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তিনি তার আলোকিত কল্যানকর দ্বীনি দাওয়াতী কর্মকান্ডের মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছেন। এশিয়া আফ্রিকা আর ইউরোপের সীমানা ছাড়িয়ে গোটা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ ভালোবেসে তাকে আপন করে নিয়েছেন। আমার ধারণা, এটাই তার বড় প্রাপ্তি।

আপনাকে চেনে এরকম লোকের সংখ্যা কত জন হতে পারে বলে আপনার ধারণা?

২| ২১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সাজানো এবং বানোয়াট লেখা।

২২ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কেন সেটা মনে হল?

৩| ২১ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কেমন আছেন?

পায়ই দেখি পৃথিবীতে মসজিদ ও মন্দির স্থলে যত ঝামেলা।
এসবের কাারণ কি?

এই যেমন আল আকসা, বাবরি, আমাদের বায়তুল মোকারম।

২২ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ। খোঁজ নিলেন বলে কৃতজ্ঞতা। অবশ্য আপনার সংবাদাদি নিতে পারি না বলে ক্ষমা আমারই চাওয়ার কথা। অনেক দিন পরে পোস্টে এলেন। তা, আপনি কেমন আছেন?

আপনার প্রশ্নটা ছোট হলেও এর উত্তর কিন্তু অনেক বড়! মুসলিমদের প্রতিপক্ষ ধরে পৃথিবীর দেশে দেশে তাদের নিধনযজ্ঞ শুরু করেছে কিছু মানুষ। নিধনে সক্ষম না হলে নিপীড়ন করার যে কোনো পথ খুঁজে নিচ্ছে। তাদেরকে জঙ্গিবাদী প্রমান করতে বহুমূখী দায় এবং দোষ তাদের উপরে চাপিয়ে দেয়ার জন্য নানান ফন্দি আঁটছে। তাদেরকে পৃথিবীর অগ্রগতি, সভ্যতা, উন্নতি এবং আধুনিকতার বিপরীত হিসেবে উপস্থাপন করে প্রগতি এবং প্রযুক্তির পথের বাধা এবং অন্তরায়ের অপবাদ দিয়ে সমূলে উৎখাতের কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। আপনি বিশ্ব ভূ-রাজনীতির সাম্প্রতিক একটি কূটচাল হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, পূর্ব তিমুরকে অতি দ্রুততার সাথে ইন্দোনেশিয়ার নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। কারণ, পূর্ব তিমুর বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুসিত দেশ ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশ হলেও পূর্ব তিমুর জনপদটি মুসলিম অধ্যুসিত ছিল না।

এ শতাব্দীর শুরুতে জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ এবং সবচেয়ে বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুর নামে একটি ভূখন্ড আলাদা হয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে জায়গা করে নিল। একই পথ ধরে এ শতাব্দীর প্রথম দশকে আয়তনে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র সুদান ভেঙ্গে দক্ষিণ সুদান নামের আলাদা রাষ্ট্রের উদ্ভব হলো।

যে ফর্মুলায় পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হলো সেই একই ফর্মুলা প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক বিশ্বের দায়িত্ব ছিল কাশ্মীরের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা। কিন্তু জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহল কাশ্মীরীদের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবিটি এখনো পূরণ করেনি। অথচ পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের চেয়ে কাশ্মীর ইসুটি ছিল বেশি পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ। কাশ্মীর ইসুটি জাতিসংঘে পর্যন্ত উত্থাপিত হয়েছে তারপরও কাশ্মীরীদের আজাদী আকাঙ্ক্ষা দমিয়ে রাখা মানবিক চেতনা ও আন্তর্জাতিক আইনের লংঘনের শামিল। কাশ্মীরীদের সঙ্গত দাবি আজাদি তথা স্বাধীনতাকে শুধু ধর্মীয় বিবেচনায় আন্তর্জাতিক মহল যুগের পর যুগ ঝুলিয়ে রেখেছে। এভাবে কতদিন তাদের আজাদির সাধকে দাবিয়ে রাখা যাবে?

একই অবস্থা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের। সেখানকার লক্ষ লক্ষ মুসলমানের পায়ে বেড়ি পড়িয়ে রাখা হয়েছে। তাদেরকে সংশোধনাগারে রাখার নামে কারাগারে নিক্ষেপ করে মানবাধিকার পায়ে দলে চলেছে চীন। কই, কেউ কোনো প্রতিবাদ করছে? বিবিসি মাঝে মধ্যে দু'একটি প্রতিবেদন করে কালেভদ্রে। বিবিসিকেও হুমকির মুখে রেখেছে চীন।

একই কারণ এখানটাতেও, ফিলিস্তিনিরা মুসলিম যে!

নির্লজ্জ আমেরিকা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের চেষ্টাটা পর্যন্ত করতে দিল না। সংবাদে প্রকাশ, যুক্তরাষ্ট্র আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের চেষ্টা আটকে দিয়েছে। ফ্রান্স উত্থাপন করেছিল এ প্রস্তাব। কিন্তু করলে কি হবে? নিরাপত্তা পরিষদের এ অবস্থান সংকট নিরসনে তাদের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করবে দাবি করে তাতে সমর্থন দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যাক, শেষমেষ, আমেরিকার কূটচাল এবার খুব একটা কাজে লাগেনি। নেতানিয়াহু গং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আপাততঃ এটাই স্বস্তির বিষয়।

৪| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১:৫৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চরম সত্য এবং বাস্তব। ফেইসবুকে আমার এক পরিচিত অ্যামেরিকান বাংলাদেশী বন্ধু আছেন তিনি একবার ফিলিস্তিনে আল আকসা মসজিদে গিয়েছিলেন। তিনি লিখেছেন তাকে কতবার পাসপোর্ট এবং সুরা পড়ে শুনাতে হয়েছিল। অ্যামেরিকান পাস্পোর্ট ছিল বলেই তিনি যেতে পারেছিলেন, তিনি মাঝে মাঝে ফেইসবুকে এই সব লিখে থাকেন। এই ঘটনা গুলোর সাথে মিলে গেল।

২২ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাস্তবতাকে তুলে ধরার জন্য। ফিলিস্তিনিদের যে করুন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে, তার সামান্য কিছু আঁচ করা সম্ভব এসব ঘটনায়। কিন্তু বাস্তবতাকে অনেকের মেনে নিতে কষ্ট হয়। ইসরায়েলিদের দস্যুবৃত্তি, খুন খারাবি আর দখলদারত্বকে যারা অন্ধভাবে সাপোর্ট করে এমন ভ্রান্ত নীতিহীন মানবতাবিরোধী মানুষ এই ব্লগেও কদাচিত দেখা যায়। তাদের ধারণা, যত দোষ নন্দ ঘোষ, কথায় আছে না, যত যা-ই হোক, দোষ ঐ কেষ্ট ব্যাটারই। যাবতীয় দোষ এবং অন্যায় সবকিছু ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েলি দখলদাররা তাদের নিকট দুধে ধোয়া তুলসি পাতা সমতুল্য।

এদের ইসরায়েল ঘুরিয়ে আনা দরকার। ইসরায়েলের সেনাদের সাদর সম্ভাষনের কিছুটা এদেরও পাওয়ার অধিকার থাকা উচিত। মিনিটে মিনিটে, ঘাটে ঘাটে দেহ তল্লাশি আর নানাবিধ হয়রানির মুখে পড়লে, বাস্তবতার আলোকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে, অনেকের সাথে যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়ে থাকে তা প্রত্যক্ষ করার পরে এরা আর এমন আবোল তাবোল বকবেন না বলে মনে হয়।

৫| ২২ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: বিষয়টা নিশ্চিতভাবে দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক- আপন ঘরে পরবাসীরা এর থেকে আর কত ভাল থাকবে।
তবে জনাব মোহাম্মদ হাবলোস যদি মায়ান্মারের রোহিঙ্গা অঞ্চল আর চীনের উইঘুরদের অবস্থা বাস্তবিক পরিদর্শন করে তুলনামুলক
বিচার করতেন তবে ভাল হত। আমার ধারনা, ফিলিস্তিনে তাও তিনি প্রবেশ করে ওদের সার্বিক দূরঅবস্থা সচক্ষে দেখেছেন কিন্তু এই দুই অঞ্চলে সম্ভবত তিনি কোনমতেই প্রবেশ করতে পারবেন না।

ফিলিস্তিনীরা আমাদের সন্মন্ধে যতটুকু জানে, তার থেকে শতগুন আমরা তাদের সন্মন্ধে বেশী জানি- অস্ট্রেলিয়ানরা না জানতে
পারে।

২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



বিষয়টা নিশ্চিতভাবে দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক- আপন ঘরে পরবাসীরা এর থেকে আর কত ভাল থাকবে। তবে জনাব মোহাম্মদ হাবলোস যদি মায়ান্মারের রোহিঙ্গা অঞ্চল আর চীনের উইঘুরদের অবস্থা বাস্তবিক পরিদর্শন করে তুলনামুলক বিচার করতেন তবে ভাল হত।

-আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মোহাম্মদ হাবলোসের পক্ষে যদি মায়ানমারের রোহিঙ্গা অঞ্চল আর চীনের উইঘুরদের অবস্থা বাস্তবিক পরিদর্শন করে তুলনামুলক বিশ্লেষন তুলে ধরা সম্ভব হতো তাহলে খুবই ভালো হতো এতে সন্দেহ নেই কিন্তু সেটা যে আদৌ সম্ভব নয় সেটা আপনার পরের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে।

আমার ধারনা, ফিলিস্তিনে তাও তিনি প্রবেশ করে ওদের সার্বিক দূরঅবস্থা সচক্ষে দেখেছেন কিন্তু এই দুই অঞ্চলে সম্ভবত তিনি কোনমতেই প্রবেশ করতে পারবেন না।

-সে কারনেই নিতান্ত দুঃখজনক হলেও মায়ানমারের রোহিঙ্গা অঞ্চল আর চীনের উইঘুরদের অবস্থা বাস্তবিকভাবে পরিদর্শন করার সুযোগ আপাততঃ দেখছি না।

ফিলিস্তিনীরা আমাদের সন্মন্ধে যতটুকু জানে, তার থেকে শতগুন আমরা তাদের সন্মন্ধে বেশী জানি- অস্ট্রেলিয়ানরা না জানতে পারে।

-সঠিক।

ধন্যবাদ আবারও। অনেক অনেক ভালো থাকুন, প্রার্থনা।

৬| ২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা আমার মন্তব্যের উত্তর এমন সুন্দর করে দেবার জন্য।

সমালোচনা গ্রহন করার মত মানসিকতা সবার থাকেনা। আপনি দীর্ঘজীবি হউন ও সুস্থ্য থাকুন।

২৫ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাদের মত বিজ্ঞজনদের সাথে কথা বলতে পারার সৌভাগ্য এবং সুযোগদান এই প্লাটফর্মটিকে আরও পছন্দনীয় এবং প্রিয়তর করে তোলে।

প্রার্থনা সবসময়, সুস্বাস্থ্যে আপনিও দীর্ঘজীবী হোন। স্বাচ্ছন্দ্যে কাটুক আপনার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন। দীর্ঘজীবি হোক প্রিয় প্লাটফর্ম সামহোয়্যারইনব্লগ.ডটকম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.