নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্মানিত নবী-রাসুলগণ প্রত্যেকেই ছিলেন কর্মঠ এবং নিজ হাতে উপার্জনকারী; যেসব পেশায় নিযুক্ত ছিলেন তারাঃ

২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৩

ছবিঃ অন্তর্জাল।

সম্মানিত নবী-রাসুলগণ প্রত্যেকেই ছিলেন কর্মঠ এবং নিজ হাতে উপার্জনকারী; যেসব পেশায় নিযুক্ত ছিলেন তারাঃ

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানব জাতির হেদায়েত এবং পথপ্রদর্শনের লক্ষ্যে সর্বযুগে প্রত্যেক জাতির কাছে নবী-রাসুল আলাইহিমুস সালামদের প্রেরণ করেছেন। সম্মানিত নবী-রাসুলগণ প্রত্যেকেই ছিলেন কর্মঠ, সৎকর্মশীল এবং নিজ হাতে উপার্জনকারী। গোটা মানবজাতির জন্য তারা ছিলেন পথপ্রদর্শক এবং আদর্শ। তারা ছিলেন জগতের একেকজনন শ্রেষ্ঠ মানব। তাদের জীবনাচার কেমন ছিল, তাদের আদর্শ, অভ্যাস, পেশা ও কাজকর্ম সম্মন্ধে অবগতিলাভ করার ভেতরে মানবজাতির জন্য নিঃসন্দেহে শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। নবী-রাসুলগণকে প্রেরণের উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে কুরআনুল হাকিমে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেন,

وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ

‘প্রতিটি জাতির জন্য পথ-প্রদর্শনকারী রয়েছে।’ -সুরা আর রাদ, আয়াত, ৭

অন্যত্র ইরশাদ করেছেন,

وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّىٰ نَبْعَثَ رَسُولًا

‘আমি রাসুল প্রেরণ না করে কাউকে শাস্তি দিই না।’ -সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত, ১৫

সব নবী-রাসুলগণ ছিলেন মানবজাতির প্রতি প্রেরিত শিক্ষকতুল্য এবং আদর্শ। তারা কারও কাছে হাত পাতবেন, কারও উপরে ভরসা করে চলবেন, এমনটা হতে পারে না। তাই তাদের প্রত্যেকেরই ছিল কোনো না কোনো পেশা। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন উপার্জনকারী। অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতেন না তারা। বরং স্বীয় হস্তে অর্জিত খাদ্যপানীয় গ্রহন করাকে পছন্দ করতেন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোন ধরনের উপার্জন উত্তম ও শ্রেষ্ঠ? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, ব্যক্তির নিজ হাতে কাজ করা এবং সৎ ব্যবসা। -ইমাম জালালুদ্দিন আস সুয়ুতি, আদদুররুল মানসুর, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ২২০

রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হালাল রুজি অর্জন করা ফরজের পর একটি ফরজ।’ -সহিহ বুখারি ও মুসলিম

ঈসা আলাইহিস সালাম এক ব্যক্তিকে অসময়ে ইবাদতখানায় দেখে প্রশ্ন করলেন, তুমি এখানে বসে ইবাদত করছো, তোমার রিজিকের ব্যবস্থা কে করে?

লোকটি বলল, আমার ভাই আমার রিজিকের ব্যবস্থা করে।

ঈসা আলাইহিস সালাম তাকে বললেন, সে তোমার চেয়ে অনেক উত্তম। -হেদায়াতুল মুরশিদিন

কবির ভাষায়, ‘নবীর শিক্ষা কোরো না ভিক্ষা, মেহনত করো সবে।’

নবী-রাসুলগণ হলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব। তাই তাদের পক্ষে অন্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে জীবন ধারণ করা কোনোক্রমেই মানানসই নয়। সঙ্গত কারণে তাঁরা স্বহস্তে অর্জিত সম্পদে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তখন তো আর বর্তমান সময়ের মত এত এত আধুনিক পেশা ছিল না। প্রাচীন পেশাসমূহেই ভরসা করতে হয়েছে তাদের। চলুন, প্রিয় পাঠক, দেখে নিই কোন নবী এবং রাসূল কোন পেশায় যুক্ত ছিলেন-

আদম আলাইহিস সালামঃ

আদম আলাইহিস সালাম ছিলেন একজন কৃষক। তিনি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁর ছেলেদের পেশাও ছিল চাষাবাদ। তা ছাড়া তিনি তাঁতের কাজও করতেন। কারো কারো মতে, তাঁর পুত্র হাবিল পশু পালন করতেন। কৃষিকাজের যন্ত্রপাতির নাম আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। যেমন- আল্লাহর বাণী,

وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا

‘আর আল্লাহ আদমকে সব নামের জ্ঞান দান করেছেন।’ -সুরা আল বাকারাহ, আয়াত ৩১

শিস আলাইহিস সালামঃ

শিস আলাইহিস সালামও কৃষক ছিলেন। তাঁর পৌত্র মাহলাইল সর্বপ্রথম গাছ কেটে জ্বালানি কাজে ব্যবহার করেন। তিনি শহর, নগর ও বড় বড় কিল্লা তৈরি করেছেন। তিনি বাবেল শহর প্রতিষ্ঠা করেছেন। -ইবনে কাসির

ইদরিস আলাইহিস সালামঃ

ইদরিস আলাইহিস সালাম -এর পেশা ছিল কাপড় সেলাই করা। কাপড় সেলাই করে যে অর্থ উপার্জন করতেন, তা দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। ইদরিস শব্দটি দিরাসা শব্দ থেকে নির্গত। তিনি বেশি পরিমাণে সহিফা পাঠ করতেন বলে তাঁকে ইদরিস বলা হয়। পড়াশোনার প্রথা তাঁর সময় থেকে চালু হয়। একদল পণ্ডিত মনে করেন, হিকমত ও জ্যোতির্বিদ্যার জন্ম ইদরিস আলাইহিস সালাম -এর সময়ই হয়েছিল।

নুহ আলাইহিস সালামঃ

নুহ আলাইহিস সালাম ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নৌকা তৈরির কলাকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং আল্লাহর নির্দেশে তিনি নৌকা তৈরি করেছিলেন। আল্লাহর বাণী—‘আর তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার ওহি অনুযায়ী নৌকা নির্মাণ করো।’ -সুরা হুদ, আয়াত ৩৭

তিনি ৩০০ হাত দীর্ঘ, ৫০ হাত প্রস্থ, ৩০ হাত উচ্চতাসম্পন্ন একটি বিশাল নৌকা তৈরি করেন।

হুদ আলাইহিস সালামঃ

হুদ আলাইহিস সালাম -এর জীবনী পাঠান্তে জানা যায় যে তাঁর পেশা ছিল ব্যবসা ও পশু পালন। ব্যবসা ও পশু পালন করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সালেহ আলাইহিস সালামঃ

সালেহ আলাইহিস সালাম -এর পেশাও ছিল ব্যবসা ও পশু পালন।

লুত আলাইহিস সালামঃ

লুত আলাইহিস সালাম -এর সম্প্রদায়ের লোকেরা চাষাবাদের সঙ্গে জড়িত ছিল। এতে প্রতীয়মান হয় যে তিনিও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতেন চাষাবাদের মাধ্যমে।

ইবরাহিম আলাইহিস সালামঃ

ইবরাহিম আলাইহিস সালাম -এর জীবনী পাঠান্তে জানা যায় যে তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য কখনো ব্যবসা, আবার কখনো পশু পালন করতেন।

ইসমাইল আলাইহিস সালামঃ

ইসমাইল আলাইহিস সালাম পশু শিকার করতেন। তিনি ও তাঁর পিতা উভয়ই ছিলেন রাজমিস্ত্রি। পিতা-পুত্র মিলে আল্লাহর ঘর তৈরি করেছিলেন।

ইয়াকুব আলাইহিস সালামঃ

ইয়াকুব আলাইহিস সালাম -এর পেশা ছিল ব্যবসা, কৃষিকাজ করা ও পশু পালন।

ইউসুফ আলাইহিস সালামঃ

ইউসুফ আলাইহিস সালাম রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেতন হিসেবে রাষ্ট্রীয় অর্থ গ্রহণ করতেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার রব! আপনি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতা দান করেছেন।’ -সুরা ইউসুফ, আয়াত ১০১

শোয়াইব আলাইহিস সালামঃ

শোয়াইব আলাইহিস সালাম -এর পেশা ছিল পশু পালন ও দুধ বিক্রি। পশু পালন ও দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁর কন্যারা চারণভূমিতে পশু চরাতেন।

দাউদ আলাইহিস সালামঃ

দাউদ আলাইহিস সালাম ছিলেন রাজা ও নবী। সহিহ বুখারির ব্যবসা অধ্যায়ে রয়েছে যে দাউদ আলাইহিস সালাম নিজ হাতে উপার্জন করে খেতেন। তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন, হে আল্লাহ! এমন একটি উপায় আমার জন্য বের করে দিন, যেন আমি নিজ হাতে উপার্জন করতে পারি। অতঃপর তাঁর দোয়া কবুল হয় এবং আল্লাহ তাআলা তাঁকে লোহা দ্বারা বর্ম ও অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করার কৌশল শিক্ষা দেন। শক্ত ও কঠিন লোহা স্পর্শ করলে তা নরম হয়ে যেত। যুদ্ধাস্ত্র, লৌহ বর্ম ও দেহবস্ত্র প্রস্তুত করা ছিল তাঁর পেশা। এগুলো বিক্রি করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সোলায়মান আলাইহিস সালামঃ

সোলায়মান আলাইহিস সালাম ছিলেন সমগ্র পৃথিবীর শাসক ও নবী। তিনি তাঁর পিতা থেকে অঢেল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। তিনি নিজেও অঢেল সম্পদের মালিক ছিলেন। ভিন্ন পেশা গ্রহণ করার চেয়ে নিজ সম্পদ রক্ষা ও তদারকি করাই ছিল তাঁর প্রদান দায়িত্ব। মানব-দানব, পশু-পাখি, বাতাস ইত্যাদির ওপর তাঁর কর্তৃত্ব ছিল। তাঁর সাথি ঈসা ইবনে বরখিয়া চোখের পলক ফেলার আগে বিলকিসের সিংহাসন সোলায়মান আলাইহিস সালাম -এর সামনে এনে হাজির করেন।

মুসা আলাইহিস সালামঃ

মুসা আলাইহিস সালাম ছিলেন একজন রাখাল। তিনি শ্বশুরালয়ে মাদায়েনে পশু চরাতেন। সিনাই পর্বতের পাদদেশে বিরাট চারণভূমি মাদায়েনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। লোকজন সেখানে পশু চরাত। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মুসা আলাইহিস সালাম। আট বছর তিনি স্বীয় শ্বশুর শোয়াইব (আ.)-এর পশু চরিয়েছেন।

হারুন আলাইহিস সালামঃ

হারুন আলাইহিস সালাম -এর পেশাও ছিল পশু পালন। পশু পালন করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

ইলিয়াস আলাইহিস সালামঃ

ইলিয়াস আলাইহিস সালাম -এর পেশাও ছিল ব্যবসা ও পশু পালন।

আইউব আলাইহিস সালামঃ

আইউব আলাইহিস সালাম -এর পেশা ছিল গবাদি পশু পালন। তাঁর প্রথম পরীক্ষাটি ছিল গবাদি পশুর ওপর। ডাকাতরা তাঁর পশুগুলো লুট করে নিয়ে গিয়েছিল। -আনওয়ারে আম্বিয়া, ই. ফা. বাংলাদেশ

ইউনুস আলাইহিস সালামঃ

ইউনুস আলাইহিস সালাম -এর গোত্রের পেশা ছিল চাষাবাদ। সুতরাং কারো কারো মতে, তাঁর পেশাও ছিল চাষাবাদ।

জাকারিয়া আলাইহিস সালামঃ

জাকারিয়া আলাইহিস সালাম ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে মহানবী (সা.) বলেছেন, জাকারিয়া আলাইহিস সালাম কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাই তাঁর শত্রুরা তাঁর করাত দিয়েই তাঁকে দ্বিখণ্ডিত করে। -সহিহ বুখারি

ইয়াহইয়া আলাইহিস সালামঃ

ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে তিনি জীবনের একটি সময় জঙ্গলে ও জনহীন স্থানে কাটিয়েছিলেন। আহার হিসেবে তিনি বৃক্ষের লতাপাতা ভক্ষণ করতেন। -আনওয়ারে আম্বিয়া

জুলকিফল আলাইহিস সালামঃ

জুলকিফল আলাইহিস সালাম -এর পেশা ছিল পশু পালন।

ইয়াসা আলাইহিস সালামঃ

ইয়াসা আলাইহিস সালাম -এর পেশা ছিল ব্যবসা ও পশু পালন।

ঈসা আলাইহিস সালামঃ

ঈসা আলাইহিস সালাম ও মরিয়ম আলাইহিস সালাম -এর আবাসস্থল প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

وَجَعَلْنَا ابْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُ آيَةً وَآوَيْنَاهُمَا إِلَىٰ رَبْوَةٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَمَعِينٍ

‘আমি তাদের উভয়কে এক উচ্চ ভূমি প্রদান করেছিলাম, যা সুজলা ও বাসযোগ্য ছিল।’ -সুরা আল মুমিনুন, আয়াত ৫০

এই উচ্চ ভূমি হলো ফিলিস্তিন। তিনি ফিলিস্তিনে উৎপন্ন ফলমূল খেয়ে বড় হয়েছেন। তিনি ঘুরে ঘুরে অলিতে-গলিতে দ্বিনের দাওয়াতি কাজ করতেন। যেখানে রাত হতো, সেখানে খেয়ে না খেয়ে নিদ্রা যেতেন। তাঁর নির্দিষ্ট কোনো পেশা ছিল না।

মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামঃ

মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন একজন সফল ও সৎ ব্যবসায়ী। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ীদের হাশর হবে নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গে।’ -আদ্দুররুল মানসুর, ষষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২০

তিনি গৃহের কাজ নিজ হাতে করতেন। বকরির দুধ দোহন করতেন। নিজের জুতা ও কাপড় সেলাই ও ধোলাই করতেন, গৃহ ঝাড়ু দিতেন। মসজিদে নববী নির্মাণকালে শ্রমিকের মতো কাজ করেছেন। খন্দকের যুদ্ধে মাটি কেটেছেন। বাজার থেকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতেন।

নবী-রাসুলদের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য এই যে বৈষয়িক ধন-সম্পদের প্রতি তাঁদের কোনো আকর্ষণ ছিল না। তাঁরা কখনো ধন-সম্পদ সঞ্চয় করতেন না এবং সঞ্চয় করা পছন্দও করতেন না। তথাপি যেহেতু তাঁরা মানুষ ছিলেন, সেহেতু বৈষয়িক প্রয়োজনে যতটুকু জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজন, ততটুকু সম্পদ অর্জনে বিভিন্ন পেশা গ্রহণ করেছেন। সদা-সর্বদা নিজেদের কষ্টার্জিত সম্পদ থেকে ভক্ষণ করা পছন্দ করতেন। মানুষদের থেকে কখনো তাঁরা নজর-নেওয়াজ, এমনকি বেতনও গ্রহণ করতেন না। বরং যথাসম্ভব নিজেদের উপার্জন থেকে গরিব ও দুস্থদের সাহায্য করতেন। সব নবী-রাসুল ছাগল চরাতেন। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এমন কোনো নবী নেই, যিনি ছাগল চরাননি।’

জনৈক সাহাবি প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনিও কি ছাগল চরিয়েছেন? প্রত্যুত্তরে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিও মক্কায় অর্থের বিনিময়ে ছাগল চরিয়েছি।’ বলা বাহুল্য যে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর সাহাবিরা অনেকেই ব্যবসা করতেন। বিশেষ করে মুহাজিররা ছিলেন ব্যবসায়ী আর আনসাররা ছিলেন কৃষক।

আমাদের হয়েছে ঘোড়া রোগঃ

হাত পা গুটিয়ে বসে বসে কিংবা পায়ের উপরে পা ফেলে চলার বদ স্বভাবে পেয়েছে আমাদেরকে। কোনো কাজই ভালো লাগে না। আসলে আমাদের কষ্ট সহ্য হয় না। কষ্ট করতে ইচ্ছে হয় না। আমরা আরামপ্রিয় জাতি।

গত ক'দিন আগের কথা। পরিচিত একজন তার ভাগ্নের জন্য কোনো একটি চাকরির ব্যবস্থা করা যায় কি না, একটু দেখতে অনুরোধ করলেন। ভাগ্নে ট্রিপল ই নিয়ে অনার্স। তখন ভদ্রলোকের পেছনের কথা আমার মনে পড়ে গেল যে, তিনি গত কয়েক মাস পূর্বেও একবার ভাগ্নের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন।

কিছুটা আশ্চর্য্য হলাম। মনে মনে একটু কষ্ট লাগলো এই ভেবে যে, এত দিন পর্যন্ত ছেলেটা বেকারই রয়ে গেল? এত দিনেও কোনো একটা কাজের ব্যবস্থা করতে পারলো না!

তাকে সিম্পল কিছু পরামর্শ দিয়ে বললাম যে, ভাগ্নেকে ১০ টা সিভি বানিয়ে ১০ জায়গায় সেগুলো পাঠাতে বলেন। এই কাজটা তো এখন আরও সহজ। বিভিন্ন কোম্পানি এবং অর্গানাইজেশনের ইমেইলে সিভি পাঠিয়ে অতি সহজেই চাকরির জন্য তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করা সম্ভব।

আমার ধারণা, এই কাজ করলে তাকে অন্ততঃ দু'য়েকটা জায়গা থেকে ডাকবে। কোথাও না কোথাও তার একটা জব হয়েই যাবে। শেষে বললাম, যদি কোথাও না হয়, আমি ব্যবস্থা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

ভদ্রলোকের সাথে তারপরে আর আমার আর দেখা হয়নি। দেখা হলে জানতে পারবো যে, ভাগ্নের কোনো কুল কিনারা হলো কি না।

আসলে অলসতার চাদর মুড়ি দিয়ে বিভোর আত্মনিমগ্নতায় নিদ্রাচ্ছন্ন অবস সময় কাটাচ্ছি আমরা। সময়ের দাম নেই। জীবনের মূল্য নেই আমাদের কাছে। বিনা কষ্টে, কাজকর্ম ছাড়াই আমরা বড় কিছু পেতে চাই। বড় কিছু হতে চাই। এও কি কখনো, কোনো কালে সম্ভব?

জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত দামীঃ

অলসতা কিংবা বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিয়ে কর্মহীন এবং উচ্ছন্নতার সন্যাস বা বেকার জীবন ইসলাম সমর্থন করে না। অকর্মণ্য হয়ে থাকার কোনো নজির সম্মানিত নবী রাসূলগণের কারও জীবনে ছিল না। আমাদেরও উচিত সেই শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনকে কাজে লাগানো। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যে অত্যন্ত দামী- তা বুঝে অমূল্য সময়ের মূল্যায়নে যত্নবান হয়ে সঠিক কর্মে নিজেদের নিয়োজিত রাখার প্রতি মনযোগী হওয়া।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:০৮

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। অনেক দিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

কল্যানের দোআ।

২| ২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নবীদের এই পেশা সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে? নাকি হাদীসে?

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



কুরআনুল কারিম, হাদিস এবং ইতিহাসের আলোকে এগুলো জানা যায়। কিছু কিছু স্থানে রেফারেন্স দেয়া হয়েছে।

ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



পুরোটা ভুল তথ্যের উপর লেখা; আমি নবী দাউদ (আ: ) কথাটা বলি, উনি ছিলেন ইহুদীদের রাজা, উনি কৃষক পরিবারের ছেলে ছিলেন, পরিবারের মেষ চরাতেন; পরে, যুদ্ধে অংশ নিয়ে রাজার চোখে পড়েন ও নিজেও রাজা হন।

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মাথার সমস্যা, দুঃখিত! চোখের সমস্যাটা বেড়েছে না কি কমেছে?

কমে থাকলে তো এমন কথা বলার কথা নয়। মনে হচ্ছে বেড়েছেই।

দ্রুতারোগ্য কামনা করছি।

৪| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: তবে নবি রাসূলগন অনেক কষ্ট করেছেন। সেই সময় তো আধুনিক কিছুই ছিলো না। মোবাইল, ইন্টারনেট, গাড়ি, প্লেন কিচ্ছু না।
আমরা যারা এই সময়ে জন্মেছি তারা ভাগ্যবান।

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনার অনুভূতি সঠিক। ধন্যবাদ। আমরা বর্তমান প্রজন্ম সত্যিই ভাগ্যবান। আর আমরা যে ভাগ্যবান সেটা তো গত মাত্র কিছু কাল আগেকার আমাদের পূর্বপুরুষ তথা, দাদা, নানাদের জীবনের দিকে তাকালেই সম্যক উপলব্ধি করতে পারি। আমাদের মায়েরাও তো ঢেকিতে ধান ভানতেন। তাদের জীবন কতই না কষ্টকর ছিল। আমরাও তো ছোটবেলাটা সেই গাও গ্রামের পরিবেশে কাটিয়েছি যেখানে ইন্টারনেট, ইলেকট্রিসিটিসহ কত কিছুর চিন্তাও করতে পারতাম না। এ গাও ও গাও হতে হলে নৌকার সাহায্য নিতে হতো। আপনার আদি নিবাস বিক্রমপুরের সাথে আমার হৃদ্যতা দীর্ঘ দিনের। ঐ এলাকার পার্শ্ববর্তী শ্রীনগরে আমার জীবনের একটি সময় অতিবাহিত করেছি। তখন রাস্তা ঘাট বলতে ঢাকা-মাওয়া সড়কটি ছাড়া বাদবাকি তেমন কিছু চোখে পড়তো না। বর্ষাকালে তো কোষাই ছিল একমাত্র ভরসা। আপনি হয়তো এত কিছু না-ও দেখে থাকতে পারেন। কারণ, আপনার সম্ভবতঃ জন্ম এবং বসবাস উভয়টাই ঢাকাকেন্দ্রিক।

যা-ই হোক, জীবনমানের এই অভাবনীয় উন্নয়নটা মূলতঃ ঘটেছে বিগত কিছু বছরের ব্যবধানেই। আল্লাহ তাআ'লার অশেষ শুকরিয়া যে, তিনি আমাদের অর্থাৎ, মানবজাতির অভাবনীয় উন্নয়নে তাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং তা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর তাওফিক দিয়েছেন।

৫| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩৬

নতুন বলেছেন: নুহ আলাইহিস সালামঃ নুহ আলাইহিস সালাম ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নৌকা তৈরির কলাকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং আল্লাহর নির্দেশে তিনি নৌকা তৈরি করেছিলেন। আল্লাহর বাণী—‘আর তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার ওহি অনুযায়ী নৌকা নির্মাণ করো।’ -সুরা হুদ, আয়াত ৩৭ :- তিনি ৩০০ হাত দীর্ঘ, ৫০ হাত প্রস্থ, ৩০ হাত উচ্চতাসম্পন্ন একটি বিশাল নৌকা তৈরি করেন।

নুহু আ: এর নৌকা নিয়া যেই তথ্য দিলেন তার সাথে বর্তমানের বড় কিছু নৌকার সাথে তুলনা করেন বুঝতে পারবেন অনেক বড় ঘাপলা আছে তথ্যে ;)



৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। হ্যাঁ ভাই, ভালোই বলেছেন। তবে, ঘাপলা খুঁজতে খুঁজতে এক দলের জীবন কিন্তু শেষ! এক জীবনে ঘাপলা খুঁজতে গিয়ে নিজেদের জীবনটাই শেষে ঘাপলা হয়ে যায়। অন্ধকারের অবিমৃশ্যতায় হারিয়ে অবিশ্বাসের দোলাচালে দুলতে দুলতে শেষপর্যন্ত হারিয়ে যান তারাই।

কুরআনের ভুল ধরা, ইতিহাসের ভ্রান্তি খুঁজে খুঁজে আর কত হয়রান হওয়া? এবার আসুন না, আলোকের পথে, বিশ্বাসের পথে, সত্যের পথে; জীবনের বাকি কিছুটা পথ চলি আলোকিত বিশ্বাসের প্রভায়, স্নিগ্ধ মুগ্ধতার অপার শিহরণে, মুক্তির সন্ধানে!

ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মহান নবীরাসুলগণের মাসিক আয় রোজগার কেমন ছিল তা জানতে পারলে ভালো লাগতো। কেননা, তারা তো সার্বক্ষণিক ভাবে ব্যবসা কিংবা কৃষি কাজে থাকতে পারতেন না। ধর্ম প্রচারে ব্যস্ত সময় কেটে যেত।

৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



মহান নবী রাসুলগণের মাসিক আয় রোজগার কেমন ছিল, কি পরিমান ছিল- এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার সুযোগ এতকাল অতীত হয়ে যাবার পরে এখন আর সম্ভব কি না, জানা নেই। তবে, ইচ্ছে করলে আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক কিছু জানতে পারলে আশা করতে পারি, আমাদেরকেও জানাবেন।

ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:২২

মা.হাসান বলেছেন: মাত্র এক জন নবীর কাজ (রুজি তালাশের কাজ) নিয়েই বড় একটা পোস্ট হয়ে যেতে পারে , আপনার সংক্ষিপ্ত পোস্টে মন ভরলো না, তবে এর চেয়ে বড় পোস্ট দেয়াটাও কঠিন তা মানছি।

লোহা গলানোর সময়কাল দাউদ নবীর সময়কালের ধরলে হযরত আদমের সময়ে কৃষিকাজের জন্য পাথুরে টুল ছাড়া ব্যবহার করার মতো কিছু ছিলো না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দেহের গড়ন এখনকার মানুষের মতো সাড়ে পাঁচফিট -ছয়ফিট না হবারই কথা। স্টোন এজের শুরুটা ছিলো ত্রিশ লাখ বছরের মতো আগে, শেষটা ছিলো প্রায় ছয় হাজার বছরের মতো আগে। তাম্র যুগের শুরু প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের মতো আগে, লৌহ যুগের শুরু আনুমানিক সাড়ে তিন হাজার বছরের মতো আগে।

ইসায়ী কিছু গবেষকদের মতে নূহ নবীর আগে মানুষ ভেজিটারিয়ান ছিলো। বন্যার পর থেকে মানুষ অন্য পশু-পাখি-মাছ খাওয়া শুরু করে। ঐ সময় থেকে মানুষের আয়ু উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে থাকে বলে বিষয়টা সত্য হবার সম্ভাবনা আমি উড়িয়ে দেই না।

কেউ কেউ দাবি করেন ঈসা নবী কার্পেন্টার ছিলেন। বনী ইসরায়েলি অনেক সূত্রই নবীদের শানের খেলাফে অনেক কথা বলে বলে গ্রহনযোগ্য না। তবে এই বিষয়ে সন্দেহ না করাই ভালো যে নবীরা আল্লাহর উপর ভরসা করতেন কিন্তু কর্ম বিমুখ ছিলেন না।

সুন্দর পোস্টটির জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।

৩১ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে আপনার আগমন এবং তথ্যবহুল মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই।

৮| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৩২

মা.হাসান বলেছেন: @নতুন- বিদেশি পত্রিকার তথ্য সরাসরি না পড়ে যদি একটু চিন্তা করে দেখতেন তবে ঐযায়গার বক্তব্যের অসারতা বুঝতে পারতেন।

১) নূহ নবীর এক হাত = দেড় ফিট - এই তথ্যের উৎস কি?
২) টাইটানিক একটি প্রমোদ তরী ছিলো। বল রুম, ডাইনিং হল, বিলাস বহুল কক্ষ, দামি আসবাব, বিশাল কিচেন, মদের বড় স্টোরেজ, বিশাল ইঞ্জিন রুম - সব কিছুই ছিলো। নূহ নবীর নৌকায় কি এসব ছিলো? দুই জন লোকের ঘুমানোর ঘরের জন্য যেই স্পেস লাগে তাতে কত গুলো গরু-ছাগল-ভেড়া ইত্যাদি রাখা যায় বলে আপনার মনে হয়? দুই ? নাকি আরো কম? বিদেশি পত্রিকা কি বলে?
৩) নূহ নবীর প্লাবনের স্থায়িত্ব ৪০ দিন ছিলো বলে বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিকরা দাবি করেন। তাহলে বৈজ্ঞানিক পত্রিকা এক বছরের রেশনের প্রভিশনের কথা কেনো বলছে? নৌকায় থাকলে কি এক দিনে দশ দিনের খাবার খাওয়া লাগে? পানির মাছ কি ভক্ষন যোগ্য ছিলো না?

৩১ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



যথার্থ মন্তব্য বিষয়টি অনুধাবনে সহায়ক। কৃতজ্ঞতা আবারও।

৯| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪৮

নতুন বলেছেন: নুহ আ: এর নৌকার কাহিনি নিয়ে মুসলমানের মাঝে তেমন ঝামেলা নাই কিন্তু খৃস্টানদের এটা একটা অনেক বড় জিনিস। কারন এটার কাহিনি নিয়ে বাইবেলে অনেক কাহিনি আছে তাতে ঘাপলা দেখে অনেকেই আঙ্গুল তোলে।

মানুষ ৮০ ফুট লম্বা হতে পারেনা সেটা যদি যৌক্তিক ভাবে চিন্তা করেন তবে বুঝতে পারবেন আর যদি বিশ্বাস করেন তবে কিছুই বলার নাই।

ফসিল রেকডে এখনো কোন দানবীয় লম্বা মানুষের ফসিল পাওয়া যায়নাই।

আর যদি অত বড় কাঠের নৌকা, অতগুলি প্রানী এক নৌকায় ৪০ দিন থাকা। তাদের খাবার, বর্জ, দেখাশুনা, সব মিলিয়ে নুহু আ: এর কাহিনি অতিরন্জিত এবং হয়তো এটা খুবই ছোট একটা ঘটনা সময়ের ক্রমে অনেক বড় আকার পেয়েছে।

আর একটু হিসাব করেন নৌকায় কতজন মানুষ ছিলো সেখানের ৮ জন থেকে আজকের ৭ বিলিওন মানুষ এসেছে।

৩১ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। সবই বুঝলাম, সহজ কথায় যদি বলতেন! নূহ আলাইহিস সালামের নৌকা বানানোর বিষয়টি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ আছে কি?

১০| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫৫

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাঁ ভাই, ভালোই বলেছেন। তবে, ঘাপলা খুঁজতে খুঁজতে এক দলের জীবন কিন্তু শেষ! এক জীবনে ঘাপলা খুঁজতে গিয়ে নিজেদের জীবনটাই শেষে ঘাপলা হয়ে যায়। অন্ধকারের অবিমৃশ্যতায় হারিয়ে অবিশ্বাসের দোলাচালে দুলতে দুলতে শেষপর্যন্ত হারিয়ে যান তারাই। কুরআনের ভুল ধরা, ইতিহাসের ভ্রান্তি খুঁজে খুঁজে আর কত হয়রান হওয়া? এবার আসুন না, আলোকের পথে, বিশ্বাসের পথে, সত্যের পথে; জীবনের বাকি কিছুটা পথ চলি আলোকিত বিশ্বাসের প্রভায়, স্নিগ্ধ মুগ্ধতার অপার শিহরণে, মুক্তির সন্ধানে!

ধন্যবাদ।


ঘাপলা খোজা না সত্য খোজা। অন্ধবিশ্বাস থেকে যৌক্তিক ভাবনা আলোর পথ দেখায়।

মামুনুল হক মানবীয় বিয়ে, এন্টারকটিক হুজুর, আজহারী সাহেবের চাদে আজান শোনার কাহিনি আগের দিনে চালিয়ে নিতে পারতো কিন্তু এখন এই রকমের কাহিনি দিয়ে ধর্ম বেশিদুর আগাতে পারবেনা।

ইতিমধ্যেই কিন্তু মানুষ মাজার,পীরের ওরশে টাকা পয়সা খরচা কমিয়ে দিয়েছে। এদের বাটপারি সম্পকে মানুষ সচেতন হচ্চে।

হাদিসের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মানুষ।

সামনে আরো আলোচনা হবে, প্রশ্ন আসবে। মানুষ বিশ্বাসে কম যৌক্তিক ভাবনাতে আগ্রহী হবে।

৩১ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ঘাপলা খোজা না সত্য খোজা। অন্ধবিশ্বাস থেকে যৌক্তিক ভাবনা আলোর পথ দেখায়।

-কথা সত্য তবে মতলবে কিঞ্চিত কিছু থেকে গেলেও যেতে পারে। এই আর কি! বুঝতে পেরেছেন আশা করি।

মামুনুল হক মানবীয় বিয়ে, এন্টারকটিক হুজুর, আজহারী সাহেবের চাদে আজান শোনার কাহিনি আগের দিনে চালিয়ে নিতে পারতো কিন্তু এখন এই রকমের কাহিনি দিয়ে ধর্ম বেশিদুর আগাতে পারবেনা।

-মামুনুল হক ভুলের উর্ধ্বের কেউ কি? নিশ্চয়ই নন। তিনি মনগড়া কোনো কথা বললেই তা মেনে নিতে হবে অথবা সেটাকেই ইসলামের নির্দেশনা ধরে নেয়ার কারণ নেই। অন্ধত্ববাদ ইসলামের শিক্ষা নয়।

ইতিমধ্যেই কিন্তু মানুষ মাজার,পীরের ওরশে টাকা পয়সা খরচা কমিয়ে দিয়েছে। এদের বাটপারি সম্পকে মানুষ সচেতন হচ্চে।

-মাজার পুজা, পীরের ওরশে টাকা পয়সা দেয়া- এগুলোর অধিকাংশই করে থাকেন কিছু লোক লাভ এবং লোভের কারণে। এসবের পেছনে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য থাকে। এসব জায়গায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইসলামের প্রকৃত নির্দেশনার বালাই থাকে না। সুতরাং, এগুলোর গোমর মানুষ যত দ্রুত বুঝতে পারবে ততই মঙ্গল।

হাদিসের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মানুষ।

-তা হাসির কথা শোনালেন, ভাই। হাদিসের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন মানুষ কেন তুলছে? কারা তুলছে? শিক্ষিত ব্যক্তিরা তুলছে? না কি অজ্ঞগণ?

হাদিসের মূল কিতাবগুলোতে প্রতিটি হাদিসের যথাযথ সূত্র রয়েছে। হাদিসের ধরণ সহিহ, হাসান, যয়িফ ইত্যাদি বলে দেয়া হয়েছে। সনদ, বর্ণনার পরম্পরা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি হাদিস কোন সাহাবির কাছ থেকে কিভাবে একজন তাবেয়ি জেনেছেন, তার থেকে তার পরবর্তী বর্ণনাকারী কিভাবে জেনেছেন, এভাবে হাদিসের সঙ্কলনকারী পর্যন্ত ধারাবাহিক বর্ণনা যথাযথভাবে কোনো গ্যাপ ব্যতিত সঠিকভাবে প্রতিটি হাদিসের সাথে জুড়ে দেয়ার পরেও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন যারা তুলে থাকেন, তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্য কি? যারা যুক্তির ধার ধারেন না এমনসব লোকদের বুঝাতে পারবেন আপনি- এটা কখনো আশা করেন?

হাদিসের কেন, কেউ কেউ কুরআনের যৌক্তিকতা নিয়েই তো সন্দেহ প্রকাশ করেন। তো, সমস্যা কি? ঐ যে বলেছিলাম, ঘাপলা খোঁজার কথা। যারা কুরআন হাদিসের ঘাপলা খুঁজে খুঁজে হয়রান হন, শেষতক দেখা যায়, তারা নিজেরাই আখেরে ঘাপলার মধ্যে ফেলে দেন নিজেদেরকে। অবিশ্বাসের অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে খেতে নিজেরাই হারিয়ে যান অপরিনামদর্শী ব্যর্থতার গহবরে।

সামনে আরো আলোচনা হবে, প্রশ্ন আসবে। মানুষ বিশ্বাসে কম যৌক্তিক ভাবনাতে আগ্রহী হবে।

-ইসলাম বরাবরই জ্ঞানের আালোকে যুক্তির সাথে চির আধুনিক। জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারের কারণে ইসলামের সত্যতার গভীরে যেতে পারছেন মানুষ। এটা দিনকে দিন আরও বৃদ্ধি পাবে। যুক্তি প্রমানের নিরিখে ইসলামের বাস্তবতা উপলব্ধির মাধ্যমে মানুষের বিশ্বাস আরও শানিত হবে।

ধন্যবাদ।

১১| ০১ লা জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। সবই বুঝলাম, সহজ কথায় যদি বলতেন! নূহ আলাইহিস সালামের নৌকা বানানোর বিষয়টি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ আছে কি?

বিশ্বাস ই নুহ আ: এর বন্যা এবং নৌকার মুল ভিক্তি ;)

সারা বিশ্বে একত্রে কোন বন্যা হওয়া সম্ভবনা।
এই রকমের কাঠের নৌকা সম্ভবনা।
এবং সেই নৌকায় এতো প্রানী এতো দিন দেখাশুনা করা অসম্ভব।
৮ জন মানুষ থেকে আজকের ৭ বিলিওন মানুষ হওয়া সম্ভব?
ঐ নৌকার প্রানী থেকে আজকের এতো প্রানী সম্ভব?

আর ক্যঙ্গারু মতন কিছু প্রানী আছে যা বিশ্বের কিছু এলাকাতেই পাওয়া যায় সেই গুলি আরারাত পাহাড় থেকে অস্ট্রেলিয়াতে কিভাবেক গেলো সেটা ভাবতে পারেন?

০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। অশেষ ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নগুলো সত্যি ভালো লাগে। শুধু মাঝে মাঝে কিছু ছেলেমানুষী টাইপের প্রশ্ন ছাড়া। চলুন, আপনার প্রশ্নগুলোয় যাই।

বিশ্বাস ই নুহ আ: এর বন্যা এবং নৌকার মুল ভিক্তি ;)

-আপনি তাহলে ধরতে পেরেছেন বিষয়টা।

সারা বিশ্বে একত্রে কোন বন্যা হওয়া সম্ভব না।

-কারণ কি? আর সারা পৃথিবীতেই যে তখন বন্যা হয়েছিল এই কথা কোথায় বলা হয়েছে? রেফারেন্স দিলে বুঝতে সুবিধা হতো।

এই রকমের কাঠের নৌকা সম্ভব না।

-তাহলে কোন রকম সম্ভব?

এবং সেই নৌকায় এতো প্রানী এতো দিন দেখাশুনা করা অসম্ভব।

-এত বড় সাইজের নৌকা বানানোই যদি সম্ভব হয়, তাতে মাত্র কয়েকটা দিন অনেক প্রানীর থাকার বিষয়টিও অসম্ভব মনে করা অযৌক্তিক। বর্তমান কালের সুবিশাল জাহাজগুলোর দিকে তাকালেই ভ্রম কেটে যাওয়ার কথা।

৮ জন মানুষ থেকে আজকের ৭ বিলিওন মানুষ হওয়া সম্ভব?

-আপনি তো বললেন ৮ জন থেকে এত মানুষ সম্ভব নয়; আরে ভাই, ৮ জনের আগের দিকে তাকালে আমরা তো একজন থেকেই পৃথিবীতে মানবেতিহাসের সূচনা দেখি। আদম আলাইহিস সালাম থেকেই তো মানুষের শুরু। এসব কি কন? আর ৮ জন মানুষই যে নূহ আলাইহিস সালাম এর নৌকায় ছিলেন এই অদ্ভূত তথ্য কোত্থেকে আবিষ্কৃত?

ঐ নৌকার প্রানী থেকে আজকের এতো প্রানী সম্ভব?

-ঐ যে বললাম, ১ জন থেকে, ১ জোড়া থেকে সম্ভব হলে অসম্ভব মনে করার যুক্তি নেই।

আর ক্যঙ্গারু মতন কিছু প্রানী আছে যা বিশ্বের কিছু এলাকাতেই পাওয়া যায় সেই গুলি আরারাত পাহাড় থেকে অস্ট্রেলিয়াতে কিভাবেক গেলো সেটা ভাবতে পারেন?

-পৃথিবীর একেক এলাকার মাটি এবং পানিতে একেক ধরণের প্রানীর দেখা পাওয়া যায়। এটারও অবশ্য ব্যাখ্যা রয়েছে। এই ব্যাখ্যা আমার মনে হয়, আপনি ভালোভাবেই জানেন। সুতরাং, নতুন ভাইকে নতুন করে এসবের গল্প শোনানোর প্রয়োজন আছে কি?

পুনশ্চঃ আগেই বলেছি, আপনার প্রশ্নগুলো চমৎকার ছিল। আর এগুলোর আরও বেস্ট আনসার থাকা স্বাভাবিক। আমি হয়তো সেভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি।

শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.