নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।
৫ আগস্ট ২০২৪। দেশের কঠিন এক ক্রান্তিকাল। একদিকে লক্ষ লক্ষ ছাত্র জনতার বিপুল উপস্থিতি গোট রাজধানী ঢাকার রাজপথজুড়ে। অন্যদিকে লাখো জনতাকে বুলেটের আঘাতে নিঃশেষ করে দেয়ার অব্যাহত হুমকি নিকৃষ্ট স্বৈরচারের। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনী দেশ এবং দেশবাসীকে রক্ষায় আবারও একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি। তারা দেশমাতৃকার ক্রান্তিলগ্নে যথার্থ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এবং আবারও অসাধারণ একটি সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হলেন। মাননীয় সেনা প্রধান উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে স্পষ্টভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন যে, তারা দেশবাসী সাধারণ ছাত্র জনতার দিকে অস্ত্র তাক করবেন না। দেশ এবং দেশবাসীকে রক্ষায় সিদ্ধান্তটি ছিল এককথায় যথার্থ, উপযুক্ত এবং ঐতিহাসিক। আমরা আমাদের সাহসী বীর সেনানীদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একটি অনাকাঙ্খিত রক্তপাত এড়ানোয় তাদেরকে হৃদয়ের গহীন হতে উষ্ণ অভিবাদন জ্ঞাপন করছি।
সিন্দাবাদের ভূতের মত জাতির কাঁধে চেপে বসা অপশক্তি সেনাবাহিনীকে কঠিন হতে কঠিনতর চাপের মধ্যে ফেলার পরেও তারা বিভ্রান্ত হননি। দেশ ও জাতির পক্ষে নিজেদের অবস্থান শেষ মুহূর্ত পর্যন্তু স্থিরভাবে ধরে রেখেছেন। আর এরই ফলে দেশ ও জাতি মুক্তিলাভ করেছে নিকৃষ্ট ভিনদেশী তাবেদার গোয়েবলসের খোলস পরিহিত ভংঙ্কর স্বৈরাচারের দেড় দশকের চরম দুঃশাসন থেকে। পাপিষ্ট স্বৈরাচার এতটাই জঘন্য পাপে নিমজ্জিত হয়েছে যে, নিজ দেশে অবস্থান করার সৎ সাহসটুকুও তার ভেতরে অবশিষ্ট ছিল না। এক কাপড়ে পার্শ্ববর্তী প্রভূ দেশে পলায়ন করে এই দেশ এবং দেশের মর্যাদা ও গৌরবকে আরেকবার ভূলুন্ঠিত করেছে বিশ্বের দরবারে। বস্তুতঃ একটি জাতিকে গুম, খুন আর নিরন্তর অত্যাচারের স্টিম রোলারে নিষ্পেষিত করে রাখার অপরাধে ভয়ানক এই স্বৈরাচার এবং তার প্রতিটি সহযোগীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। আমাদের প্রত্যাশা, দেশের অগ্রগতি উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ছাত্র জনতার নতুন যে সরকার গতকাল আগস্ট ০৮, ২০২৪ শপথ গ্রহণ করেছে, তারা অবশ্যই এই বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবে না।
বিগত দেড় দশকে এই দেশবাসীকে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে রাখা হয়েছিল। এখানে কেউ কথা বলতে পারতো না। কথা বললেই গুমের ভয়। কথা বললেই খুনের ভয়। কথা বললেই মামলার ভয় সকলের অন্তরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। পত্রিকাগুলোর মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। মিডিয়ার স্বাধীনতা বলতে কিছু ছিল না। বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করা হয়েছিল। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। পুলিশকে ব্যবহার করা হতো দলীয় ক্যাডারের হিসেবে। রাস্তায় মিটিং মিছিলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। নাগরিক অধিকার বলতে যা কিছু বুঝায়, তার প্রায় পুরোটাই শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট দলের, বাল (BAL) এর কর্মী সমর্থক এবং ক্যাডারদের জন্য নির্ধারিত ছিল। বিরুদ্ধ মত, ভিন্ন মতের কন্ঠকে দমনের নিকৃষ্ট পথ বেছে নেওয়া হয়েছিল মামলা হামলা দিয়ে। মামলার পরে মামলা। গন্ডায় গন্ডায় মামলা। ডজনে ডজনে মামলা। কুড়িতে কুড়িতে মামলা। গন্ডা, ডজন আর কুড়িই শুধু নয়। একেকজনের বিরুদ্ধে শত শত মামলারও নজির রয়েছে কুখ্যাত এই নিকৃষ্ট তাবেদার স্বৈরাচারের।
বিরুদ্ধ মত দমনে এরা গুমকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর স্বীকৃত পদ্ধতির প্রায় কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল। এরা গুমের বৈধতা দিতে চেয়েছিল। এরা নামকরণে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিগত কোনো সরকার অন্যদের নাম নিশানা এইরকম ব্যাপকভাবে মুছে দেয়নি। এককভাবে শুধুমাত্র নিজেদের নামই থাকবে, আর কারও নাম সহ্য করা হবে না- এমন নিকৃষ্টভাবে সকল কৃতিত্ব নিজেদের দখলে নেওয়ার নজির এই দেশে ইতোপূর্বে ছিল না। এরা শত শত প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টেছে। সবকিছুর একক কৃতিত্ব শুধুই আমার, এদেশে আমি ব্যতিত আর কারও নাম থাকবে না, থাকতে পারবে না- এই নিকৃষ্ট অন্ধ মানসিকতা তাদেরকে পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এরা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে জাহির করে নিজেদের সকল অপকর্মকে জায়েজ করতে চেষ্টা করতো। কিন্তু জনতার ক্ষোভের সামনে মিথ্যেবাদীদের চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। চোরের বেশে পলায়নপর নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা তাদের অপকর্মের পরিণতি অবশ্যই ভোগ করবে।
পরিশেষে দেশ ও জাতির প্রতি আমাদের ভরসা এবং আস্থার স্থল সেনাবাহিনীর অনন্য দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রেরণা হয়ে থেকে যাবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
আয়নাঘর বানানো, পিলখানা ট্রাজেডি ইত্যাদি দেশবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে জনতা কুর্নিশ করবেন বলে আপনার মনে হয়?
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:১১
সোনাগাজী বলেছেন:
ওগুলো আমি বানাইনি, সেগুলো নিয়ে কিছু বলার পজিশনেও নেই
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
তো যা জানেন না, তা নিয়ে অহেতুক মাথা ঘামাতে যান কেন?
সেনাবাহিনীতে যা কিছু ঘটছে, তার অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। আরও অনেক কিছু এখনও ঘটার অপেক্ষায়। টেনশন করার কিছু নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
সৈবাহিনীতে ভয়ংকর কিছু ঘটেছে, কৌশলে উঁচু পদের অফিসারদের নিস্ক্রীয় করে রাখা হয়েছে। অফিসারেরা কোমলমতিদের ভয়ে প্যান্টে হিস্যু করছে।