নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
চার আউলিয়ায় না কি হাসিনার পতন; অতি উত্তম কথা, বলি, ইহা আগে বলোনি ক্যান, বাবা?
ছবি: অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।
৫ আগস্ট ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত ঐতিহাসিক একটি দিন। এদিন ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে নিকৃষ্ট তাবেদার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের। হাসিনা 'পড়ি কি মরি' করতে করতে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় হেলিকপ্টারে উড়াল দিয়ে জীবন বাঁচাতে মোদীর ঘরে আশ্রয় নিতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পালিয়েছেন তার দলের অধিকাংশ নেতা পাতি নেতাও। তাদের অনেকেই জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়েছেন। যারা দেশ ছাড়ার সুযোগ পাননি তারাও মাঠে নেই। চলে গেছেন গহীন গর্তে, জঙ্গলে কিংবা রয়েছেন ছদ্মবেশে আত্মগোপনে।
এমন আত্মগোপনে থাকা কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলতে পেরেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তাদেরই একজন সংবাদ মাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, ‘গ্যাং অব ফোর’ বা চার জনের গ্যাংই না কি হাসিনাকে ডুবিয়েছেন। অবশ্য, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একথা উল্লেখ করেনি যে, ঠিক কোন নেতা এই ‘গ্যাং অব ফোর’ তত্ত্বটি দিয়েছেন। তবে সেই নেতা হাসিনার পতনের জন্য দলের অভ্যন্তরীণ একটি স্বার্থগোষ্ঠীকে দায়ী করে বলেছেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের কথা শোনেননি।’ এই গোষ্ঠীকে ‘গ্যাং অব ফোর’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, "গোষ্ঠীটি শেখ হাসিনাকে বাস্তব অবস্থা বুঝতে দেয়নি।"
এই চার নেতা হলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেন, "চারজনের এই দল তাঁর (হাসিনা) পতনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ব্যক্তিদের ওপর তাঁর ছিল অন্ধবিশ্বাস। তাঁর যে সহজাত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল, তা তিনি তাঁদের কারণে হারিয়েছেন।"
তা সে যে নেতাই হোন, আমি বলি, বাবা, চার আউলিয়ার এই তত্ত্ব তুমি যদি বুঝেই থাকো, তাহলে তা আগে বলোনি কেন? আগে বললে তো হাসিনার পালানোই লাগতো না। সে দেশেই থাকতে পারতো। ক্ষমতাও তাকে হারাতে হতো না। আরো আরো মানুষ খুন করতে পারতো। তার আরও রক্তক্ষুধা মেটাতে পারতো। আওয়ামী লীগের এইসব নেতাদের নিয়ে আর পেরে উঠছি না।
কই, এই সেদিনও তো ওবায়দুল কাদের, হাসিনাদের গলা বড় করে প্রায়ই বলতে শোনা যেত যে, "আওয়ামী লীগ পালায় না।"
বলি, কি রে মিথ্যাবাদী ওকা, এখন পালালি কেন? তোর নেত্রী পালালো কেন? আসাদুজ্জামান কামাল গং ভেগে গেলো কেন? সাহস থাকে তো এখন সামনে আয়। জনতার সামনে এসে কথা বল। পারবি? তোর পলাতক নেত্রীকে বলে দ্যাখ, পারবে?
বলি, অষ্টপ্রহর কুমন্ত্রণা দেওয়া সেই মিথ্যাবাদী হাসানুল হক ইনু আজ কই? নারায়নগঞ্জের সন্ত্রাস খ্যাত শামীম ওসমান কোথায়? চেতনার বড়ি বিক্রি করা সেই মুরগী কবিরেরা এখন কোথায়? আরে, এইসব খুনী রাঘব বোয়ালদের কথা আর বলে লাভ কী? বলি, এখন তো এই তল্লাটে দেখা মিলছে না তোদের আন্ডা বাচ্চাগুলোরও, তল্পিতল্পাসহ হারিয়ে গেছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ল্যাসপেন্সাররাও। কই, কোথায় হারিয়ে গেল এসব আবর্জনার দল?
বলি, ওকা, এত সহজ মনে করিস না। ভাবিস না- পালিয়েছিস বলেই বেঁচে গিয়েছিস। একটি একটি করে ধরে এনে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে তোদের চক্রের প্রতিটি খুনীকে। প্রতিটি অপরাধীকে। প্রতিটি দেশদ্রোহীকে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত প্রতিটি জল্লাদকে। তোদের বিচার করবে এ দেশের জনতা। জনতার হাত থেকে তোদের ভারতও বাঁচাতে পারবে না। যেমন শেষপর্যন্তু ভারত পারেনি তোদের ক্ষমতায় ধরে রাখতে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
চাটুকার পরিবেষ্টিত হাসিনা নিজেকে সম্রাট/ সম্রাজ্ঞী জ্ঞানে বর্তমান পৃথিবীর সর্বশক্তিমান নেতা মনে করতেন। হাসিনার চরম স্বেচ্ছাচারিতা, অকল্পনীয় অহংকার, অভাবনীয় মূর্খতা, নিন্দনীয় বক ধার্মিকতা তার পতনে সহায়তা করেছে। অনেককে দেখেছি, কথায় কথায় তাকে এ যুগের ফেরাউন অভিধায় ভূষিত করে থাকেন। তবে এ বিষয়টায় আমার মতামত হচ্ছে, বিগত প্রায় ১৬ বছরে হাসিনার হাতে যত মানুষের প্রাণ গেছে, ফেরাউন তত মানুষ খুন করেছিলেন বলে মনে হয় না। ফেরাউন যদি প্রকৃতই তা না করে থাকেন, তাহলে তার সাথে হাসিনাকে তুলনা করে অনর্থক ফেরাউন বেচারাকে অপমান করার কোনো মানে হয় না।
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাসিনার পতনের জন্য হাসিনা..........একমাত্র হাসিনা দায়ী।
এইধরনের কথা বলে পতিতা হাসিনাকে সাধু সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাবখানা এমন, সে ভালোই ছিল; পাড়ার পোলাপাইন তারে পতিতা বানাইছে!!!!
ওই গল্পটা শোনেন নাই............আমার ছেলেটা ভালো, খালি একটু পেয়াজ খায়। তাও সবসময়ে খায় না। যখন...........
২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
হাসিনার পতনের জন্য হাসিনা..........একমাত্র হাসিনা দায়ী।
-আলবৎ সহি।
এইধরনের কথা বলে পতিতা হাসিনাকে সাধু সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাবখানা এমন, সে ভালোই ছিল; পাড়ার পোলাপাইন তারে পতিতা বানাইছে!!!!
-ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলে কথা! ইন্ডিয়ান মিডিয়া সে চেষ্টা একটু আধটু করতেই পারে! দায়িত্ব বলে একটা কথা আছে না!
ওই গল্পটা শোনেন নাই............আমার ছেলেটা ভালো, খালি একটু পেয়াজ খায়। তাও সবসময়ে খায় না। যখন...........
-জ্বি, না শুনলেও এখন শুনে নিচ্ছি।
আর, ও হ্যাঁ, হাসিনার অবৈধ ক্ষমতা জয় বাংলা করার লক্ষ্যে সেই যে পিটিশন! সোনাগাজী না বুঝেই যেটা নিয়ে প্রায়ই মাতামাতি করতো, আমি কিন্তু সিগনেচারটা ঠিক সময়মতই করে দিয়েছিলাম!
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হরিপদঃ ছেলে ভাল! কার্তিকের মতো চেহারা! নধর গোলগাল দেহ-মুখ। উচা-লম্বা-স্মার্ট। খুবই ধার্মিক! ভট্টাচার্যি বাড়ীর দূর্গাপূজা, কীর্তন, যজ্ঞ থেকে শুরু করে সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান-পার্বন তার উদ্যোগেই হয়। আর যে সে ব্রাহ্মণ তো নয়! একেবারে ভট্রাচার্যি! চোখ বুজে মেয়ে দেয়ার মতো ছেলে এটা! চান্দের গাঁয়ে খুত পাবেন কিন্তু ওর কোন খুত নেই! শুধু একটা ছোট্ট সমস্যা আছে! আগেভাগে বলে নেয়াই ভালো। মাঝে মধ্যে ও একটু পেয়াজ-টেয়াজ খায়! কিন্তু আজকের জামানায় এগুলোতো কোন ব্যাপারই না!
কালিদাসঃ বলেন কি? ব্রাহ্মণের ছেলে পেয়াজ খায়! তাও আবার ভট্টাচায্যি ব্রাহ্মণ! কলিকালে আরও কত কি যে দেখতে হবে!
হরিপদঃ আরে না! কি যে কন!! পেয়াজ কি আর ও সব সময় খায়?? এ...ই যখন একটু মাংস-টাংস খায়.....
কালিদাসঃ অ্যা! বলেন কি??... আ..বা..র মাংসও ধরেছে না কি?? হায়রে জামানা! হব্যিষান্ন যাদের খাওয়ার কথা তারা এখন মুরগিও খায়!
হরিপদঃ এতো চিন্তার কি কারণ আছে! ও কি আর মাংস সব সময় খায়? এই য...খ...ন মুসলমান বন্ধুদের সাথে....!
কালিদাসঃ ছিঃ ছিঃ ছিঃ! থামেন! থামেন! ভট্টাচায্যি বংশের ছেলে গরু খায়! এই কথা আর কক্ষণও বলবেন না! বংশের মান-সম্মান একেবারে যাবে! ধর্ম কি আর আছে ওর!!
হরিপদঃ ও..হো! আপনি এভাবে নিচ্ছেন কেন বিষয়টা? ও কি সব সময় গরু খায় না কি?? এই যখন... একটু পানি-টানি খায়! ওসব খেলে-টেলে তো সাথে একটু-আধটু গরু-শুয়োরও খাওয়া লাগে! কি বলেন..!
কালিদাসঃ এ...এ.... ! মদ..ও খায়..! বাদ রাখলো টা কি ও! মাতাল হয়ে বাড়ী ফেরে না তো!
হরিপদঃ আরে না না! কি যে বলেন তার কোন ঠিক নাই! মাতালকে ভট্টাচায্যি বাড়ীতে জায়গা দিবে কেউ? আর মদ তো ও প্রতিদিন খায় না! এই মাঝে মধ্যে যখন একটু রাতের ক্লাবে গিয়ে তাস-টাস খেলে! তখন খায়! ও কি আর ইচ্ছা করে মদ খায় নাকি! মদ তো ওখানে খেতেই হয়! তা আপনি গেলেও একই কথা!
কালিদাসঃ আবার জুয়াও খ্যালে!! ব্রাহ্মণের ছেলে জুয়াড়ী! ঘোর কলিকাল!.... ঘোর কলিকাল! এগুলো মুখে আনাও পাপ!
হরিপদঃ ধ্যাত! আপনার যত সব বাড়াবাড়ী! বলি... জুয়া কি ও প্রতিদিন খ্যালে নাকি? এই যখন একটু রাতের ক্লাবে সুন্দরীরা নাচ-গান করে.... ভেস্তখানায় তো সবই যায়েজ! বুঝলেন না!
কালিদাসঃ বাঈজীও... নাচায়! সেই খারাপ মেয়েগুলার সাথে.... ফষ্টি-নষ্টি....! ব্রাহ্মণের ছেলে! ও ভগবান! প্রলয় আর কতদুর!! এই ঘোর কলি দেখার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভাল।
হরিপদঃ শোনেন দাদা! আমি কিন্তু এই বর্তমান দিনকাল বিবেচনা করে কথা বলছি। আপনারা যেভাবে ছোটবেলায় বা যৌবনকালে চলাফেরা করেছেন, আলাপ-ব্যবহার করেছেন, ধর্মীয় কাজ করেছেন। এখনকার ছেলেরা সেভাবে করেনা। তারা সবকিছু আধুনিকভাবে করে। ধর্মের কাজও তারা আধুনিকভাবে করে।কে কত খারাপ কাজ করছে সেটা এখন কোন বিষয়ই না! শুধু দেখতে হবে, ধর্মের কাজটা সে ঠিক-ঠাক মতো করছে কি না! ধর্মের কাজটা ঠিকমতো করলেইে এই জামানায় সে ভাল মানুষ! পিছনে কি করছে, মদ খাচ্ছে! নাকি কম্পিউটারে রঙ্গিলা দেখছে! না কি বাঈজী নাচাচ্ছে, কোন বিষয় না! এরাই এযুগের ধার্মিক! আপনি চোখ বুজে মেয়ে দিতে পারেন।
কালিদাসঃ কোন খারাপ কাজটা বাদ দিচ্ছে সে! কিন্তু এতকিছুর পরও আপনার মতো মানুষ তার ভাল বলছেন?
হরিপদঃ হ্যা! বলছি! আপনি যদি ধার্মিক ছেলে খোঁজেন! তাহলে এই ছেলেই উপযুক্ত! শেষ কলিতে এরাই ধার্মিক!
সৌজন্যে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: হাসিনা কারো কথা শুনতো বলে আমার মনে হয় না। সে ছিল চরমভাবে স্বেচ্ছাচারী- আর এদের জন্য তার পতন হয়েছে কে বলল? এদের জন্য সে আরো দুর্দমনীয় স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে। তার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার গন আন্দোলনে।