নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট তারকা আর সিনেমার নায়ক বলে কথা নয়, বিচার সবার জন্য সমান

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫

ক্রিকেট তারকা আর সিনেমার নায়ক বলে কথা নয়, বিচার সবার জন্য সমান

ছবিঃ যুগান্তর অনলাইন হতে সংগৃহিত।

সাকিব আল হাসানসহ খেলাধুলা এবং বিনোদন জগতের আরও কোনো কোনো ব্যক্তির নামে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। ইদানিং যত মামলা হচ্ছে, বেশিরভাগই হত্যা মামলা। সাকিব আল হাসানের নামেও খুনের মামলাই হয়েছে। এই নিয়ে কিছু লোকের মধ্যে ভিন্ন ধরণের একটি আবেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খেলোয়ার বলে সাকিব আল হাসান কিংবা মাশরাফির প্রতি কেউ কেউ অন্যরকম একটি আবেগ দেখাতে চাচ্ছেন। বলি, সাকিব আল হাসান কিংবা মাশরাফি - এরা তো দুধে ধোয়া তুলসি পাতা নন। এরা তো ফ্যাসিবাদের দোসর। খুনী হাসিনার এরা তো একেকটি ঘুটি।

রাজপথে ছাত্রজনতার বুক যে গুলির আঘাতে ঝাঝরা করা হচ্ছিল, তা তো এই সাকিব আল হাসান আর মাশরাফিদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদেই করা হয়েছিল। ফ্যাসিবাদীরা এই সাকিব আল হাসান আর মাশরাফি প্রমুখদের সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের দৃষ্টি বিগত দিনগুলোতে ভিন্ন দিকে ফেরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এদেরকে দেখিয়ে হাসিনার অপরাধগুলো আড়াল করার চেষ্টা হতো। এদেরকে দেখিয়ে তরুন যুব সমাজকে হাসিনা নিজের প্রতি এবং আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল করার অপচেষ্টা করা হতো। এটা ছিল ফ্যাসিবাদী হাসিনার একটি নিকৃষ্ট কৌশল।

সুতরাং এখন আর নয়। বিচারের সময় এখনই। বিচার সবার জন্য সমান - এই কথা যদি সত্য হয়ে থাকে, ফ্যাসিবাদের দোসর, খুনী হাসিনার দোসর, তার ৩০০ এমপির প্রতিটি এমপিই তার অবৈধ ফ্যাসিবাদের একেকটি খুঁটি ছিল। প্রতিটি অপকর্মের সহযোগী ছিল। এদের প্রত্যেকের বিচার হওয়া উচিত। আর সাকিব আল হাসান কিংবা মাশরাফি যদি এতই ভালো হয়ে থাকবেন, তাহলে তারা কেন এই শত শত খুন দেখেও পদত্যাগ করলেন না? তারা কেন প্রতিবাদ করলেন না? তারা কেন আওয়ামী লীগের মত এমন খুনীদের দল থেকে বেরিয়ে এলেন না? খেলোয়ারের ছদ্মাবরণে খুনীর চেহারা বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। নায়কের ছদ্মাবরণে হত্যাকারীর চেহারা এবার জনগণের সামনে প্রকাশ হয়ে গেছে। এবার জনতার আদালতে বিচারের পালা।

আজকে যারা সাকিব আল হাসান, মাশরাফি কিংবা ফেরদৌসের নামে হত্যা মামলা হওয়ায় হাত কচলাচ্ছেন, খুনী হাসিনার এইসব সভাসদদের জন্য যাদের দরদ উথলে উঠছে, ছাত্রজনতার আন্দোলনে আপনাদের পরিবারের কেউ নিশ্চয়ই খুন হয়নি। আপনাদের সন্তানরা আন্দোলনে মাঠেও হয়তো নামেনি। নামলে এবং কেউ শহীদ হলে আপনাদের জ্বলতো। বুকের ভেতরে আগুন জ্বলতো। ক্ষোভের আগুন। দ্রোহের আগুন। খুনী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের রক্তে আগুন ধরে যেত। স্বজন হারানোর নিরব আর্তনাদ আপনাদের ঘুমুতে দিত না। কঁচিকাচা শত শত শহীদের অতৃপ্ত আত্মার কান্না আপনাদের স্থির হতে দিত না। এই সস্তা আবেগ উথলে ওঠার প্রশ্নই আসতো না। সুতরাং, আপনারা তাহলে কারা? আপনাদের পরিচয় কী? ইতোপূর্বে নিশ্চয়ই এই আপনারাই ফ্যাসিবাদী হাসিনারই সহযোগী ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে আপনাদের মিথ্যা ছলনাময়ী আবেগের স্থান এখন আর নেই। বিচারের ক্ষেত্রে আবেগ নয়, বিচার সবার জন্য একই গতিতে চলবে - তবেই এর নাম ন্যায়বিচার।

বলি, সাকিব আল হাসান, মাশরাফি আর ফেরদৌসরা যদি এতই ভালো হয়ে থাকবেন, তাহলে তারা বিতর্কিত নির্বাচনে অংশ নিলেন কেন? হাসিনার চরম বিতর্কিত, একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যক্তি নীতিহীন বর্বর। এই বর্বরদের কারণেই খুনী হাসিনার কালো হাত শক্তিশালী হয়েছিল। হাসিনাকে শক্তিশালী করার অপরাধে, ফ্যাসিস্টকে সহায়তা করার অপরাধে- এদের প্রত্যেককে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু আওতায় আনলেই হবে না, অবশ্যই কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

হাসিনা খাইয়ে দিচ্ছেন সাকিবকে, ছবিঃ আরটিভি অনলাইন হতে সংগৃহিত।

আপনার নেতৃত্ব অনুপ্রেরণা যোগায়, হাসিনার জন্মদিনে সাকিব

সাকিব একদা বলেছিলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব তাকে অনুপ্রেরণা যোগায়।

সাকিবকে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়, সাকিব, হাসিনার মত প্রতিহিংসাপরায়ন একজন অসুস্থ ব্যক্তির নিকট থেকে আপনি কিসের অনুপ্রেরণা লাভ করেন? ফ্যাসিবাদের? খুনের? মিথ্যাবাদিতার? ছলনার? ভারতের তা্বেদারির?

সপরিবারে হাসিনার আমন্ত্রণে সাকিব

আহারে! একেই বলে দহরম মহরম! সপরিবারে ফ্যাসিবাদী খুনীর বাসায় সাকিব!

সপরিবারে হাসিনার বাসায় সাকিব। ছবিঃ জাগো নিউজ হতে সংগৃহিত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক আছে

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বিচার করেন। আপনাদের কেউ ধরে রাখে নি।
যে সব মামলা হচ্ছে সে সব একটাও শেষ পর্যন্ত টিকবে না।
ইউনুস সরকারের উপদেষ্টারা বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে তারাও এধরণের মামলার মুখোমুখি হবেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



কেউ ধরে রাখেনি, ঠিক আছে। কাউকে কাউকে ক্রিকেটার বলে সাকিবের প্রতি আলাদা করে মায়াকান্না করতে দেখা যাচ্ছে, এটা বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার নামান্তর।

আর মামলা টিকবে না বলে তো আর ফ্যাসিবাদকে জায়েজ করা যাবে না, তাই না? মামলা টিকবে কি টিকবে না, সেটা সময়ই বলে দিবে।

ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

এস.এম.সাগর বলেছেন: ৭% ভোটের
ভূয়া এমপিগন
পলাতক খুনি হাসিনার দোসর।
-------------------------------------------
সাকিব এমপি, মাসরাফি এমপি (৭%)
--------------------------------------------------
৭% ভোটের বিতর্কিত এমপি সাকিব আাল হাসানকে ঢাকার হত্যা মামলায় জড়ানো সঠিক হয়নি! কিন্তু সে একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটার, সে কিভাবে সরকারি চাকরি করাকালীন সময়ে একটা রাজনৈতিক দলের বিতর্কিত ভোটের এমপি হতে পারে? পৃথিবীতে অন্য কোন দেশে এমন কোন ঘটনা খুজে পাওয়া জাবে কি? এমপি হওয়ার পর থেকে তার নির্বাচনী এলাকায় যতগুলি রাজনৈতিক হত্যা কান্ড ঘটেছে তাকে এর দায়ভার নিতে হবে। কেননা সাকিব আাল হাসান খুনি মাফিয়া সৈরাচার পলাতক হাসিনার দোসর। মাশরাফিও একই অপরাধে অপরাধী, এবং তাকেও বিচারের আওতায় আসতে হবে। বাংলাদেশে ততকালীন পলাতক মাফিয়া হাসিনালীগ সরকার কর্তৃক যেসকল হত্যাকাণ্ড, গুম, ভোটচুরি, দূর্নীতি, জঘন্য অরাধ সংগঠিত হয়েছে তার দায়ভার হাসিনার সাথে এই সকল ৭% ভোটের এমপিদের বহন করতে হবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



কথায় আছে না, লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। মনে হচ্ছে, এদের অতি লোভই এদেরকে ধ্বংসের মধ্যে টেনে নিয়েছে। ভোটার বিহীন স্বৈরাচারী হাসিনার একতরফা নির্বাচনে গিয়ে ফাও এমপি হওয়ার স্বাদ বুঝুক এবার।

সামান্য মানবতাবোধ আছে, কিংবা নীতি নৈতিকতার বালাই আছে, এমন কোনো মানুষ আওয়ামী লীগের মত একটা খুনী, গুমকারী, রক্তখেকো ফ্যাসিবাদীর দলে থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করা কঠিন। ছাত্র জনতার বুকের উপরে যখন বৃষ্টির মত গুলি ছোড়া হয়েছে, শত শত মানুষকে রাজপথে ঠান্ডা মাথায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী এবং পুলিশ মিলে হত্যা করেছে, তখনও কি এদের একটু মানবতাবোধ জাগেনি? তখনও কি এরা নিকৃষ্ট এই দলটি থেকে পদত্যাগ করতে পারতো না? ছাত্রজনতার আন্দোলনে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রেক্ষিতে সারা দেশে যখন অনেক এলাকায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পাইকারিভাবে দল ত্যাগ করতে দেখা গেছে তখন এরা কোথায় ছিল? এরা তো আওয়ামীলীগ নামক স্বৈরাচারের সব নির্মমতা, সব হত্যাযজ্ঞ, সব গুম অত্যাচারকে মেনেই নিয়েছে। খুনীর দলের সদস্য হিসেবে, বিনা ভোটের সংসদের সদস্য হিসেবে এদের দায় এরা কীভাবে এড়াবে?

অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

করুণাধারা বলেছেন: সাকিব খুনির দোসর!

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



একদম সত্য কথা। বাংলার মাটিতে খুনীর দোসরদের ক্ষমা নেই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.